HSC | বাংলা ২য় | প্র্রতিবেদন রচনা ১-৫ | PDF Download: বাংলা দ্বিতীয় পত্র হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্র্রতিবেদন রচনা পত্র গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়টির গুরুপূর্ণ কিছু প্র্রতিবেদন রচনা পত্র নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্র্রতিবেদন রচনা
প্রতিবেদন : প্রতিবেদন বলতে কোনো নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যানুসন্ধানভিত্তিক বিবরণী বোঝায়। কোনো ঘটনা, তথ্য বা বক্তব্য সম্পর্কে সুচিন্তিত বক্তব্য প্রদানই প্রতিবেদন। প্রতিবেদন কথাটি ইংরেজি রিপোর্ট কথাটির বাংলা পারিভাষিক শব্দ। সাধারণত কোনো বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত, সিদ্ধান্ত, ফলাফল ইত্যাদি খুঁটিনাটি অনুসন্ধানের পর বিবরণী তৈরি করে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোনো কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য প্রতিবেদন পেশ করা হয়।
প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য : প্র্রতিবেদনের উদ্দেশ্য হলো নির্দিষ্ট কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে সুস্পষ্টভাবে অবহিত করা। এর বক্তব্য হবে নিরপেক্ষতার বৈশিষ্ট্য অনুসারী। এতে জটিল বিষয়ের ব্যাখ্যা থাকবে। প্র্রতিবেদনে কোনো বিষয় সম্পর্কে মতামত প্র্রকাশ করা হয়। প্র্রতিবেদন কাজের সমন্বয় সাধন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
প্রতিবেদনের শ্রেণিবিভাগ :
প্রতিবেদনকে নির্দিষ্টভাবে শ্রেণিবিভাগ করা সম্ভব নয়, কেননা বিষয়ের বৈচিত্র্য অনুযায়ী প্রতিবেদনও নানা প্রকার হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রতিবেদনকে নানা নামে ও বিশেষণে অভিহিত করা হয়। তবে মোটাদাগে প্রতিবেদনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা :
১. সংবাদ প্রতিবেদন : সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোনো ঘটনাসম্পর্কিত প্রতিবেদনকে সংবাদ প্রতিবেদন বলে। নিজস্ব সংবাদদাতা বা প্রতিবেদক এবং বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে এসব সংবাদ সংগ্রহ করা হয়।
২. দাপ্তরিক বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন : দাপ্তরিক বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন এমন এক ধরনের বিবরণ যাতে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো ঘটনা, স্থান, অবস্থা প্রভৃতি বিষয় যাচাই করে সে-সম্পর্কিত তথ্য, তত্ত¡, উপাত্ত তুলে ধরা হয়। দাপ্তরিক প্রতিবেদন দুই ধরনের হয়। যেমন :
(ক) তদন্ত প্রতিবেদন : এটি কোনো ঘটনা, দুর্ঘটনা, গোলযোগ, হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকাশ করা হয়।
(খ) কারিগরি প্রতিবেদন : এটি সাধারণত উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়, প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা, জনস্বার্থে অবদান, অর্থনৈতিক লাভালাভ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনের উপযোগিতা :
বর্তমান সমাজব্যবস্থায় প্রতিবেদনের সীমা-পরিসীমা যেমন তেমনি এর উপযোগিতা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বা বিবরণের জন্য প্রতিবেদনের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবেদনে কোনো বিশেষ ঘটনা বা বিষয়কে সরেজমিনে তদন্ত করে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষলব্ধ ফলাফল প্রকাশ করা হয় বলে, তা থেকে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি তথ্য অবগত হওয়া যায়। কর্তৃপক্ষও সহজে সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিরূপণ, সমন্বয়সাধন ইত্যাদি কাজে সহায়তা পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনা, নীতি নির্ধারণে প্রতিবেদন সহায়ক হয়।
একটি সাধারণ প্রতিবেদনের কাঠামো বা অংশবিভাজন
একটি প্রতিবেদনকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন :
১. শিরোনাম
২. সূচনা অংশ
৩. বিষয়বস্তু
৪. প্রতিবেদকের নাম-ঠিকানা, স্বাক্ষর ও অন্যান্য বিষয়।
১. শিরোনাম : প্রতিবেদনের শিরোনাম আকর্ষণীয় হতে হবে। প্রতিবেদনের যেটা সারাংশ, কিংবা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা প্রতিবেদনের যেটা জরুরি অংশ সেটাই শিরোনাম হবে। শিরোনাম যথাসম্ভব ছোট রাখা আবশ্যক।
২. সূচনা অংশ : প্রতিবেদনের যেটা একেবারে সূচনাংশ তা প্রতিবেদনের বাকি অংশের তুলনায় গুরুত্ব বেশি। তার কারণ, এটির দ্বারা আকৃষ্ট হলে তবেই একজন পাঠক গোটা খবরটি পড়তে উৎসাহী হবেন। সূচনা অংশ এমনভাবে লেখা উচিত যেন প্রতিবেদনের বাদ বাকি অংশ সম্পর্কে পাঠকের কৌত‚হল জাগ্রত হয়।
৩. বিষয়বস্তু : এ অংশে প্রতিবেদনের শিরোনাম অনুযায়ী বিষয়বস্তুর তথ্যনির্ভর বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা থাকবে। অর্থাৎ ‘কে, কী, কেন, কবে ও কোথায়, এসব প্রশ্নের মাধমে প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলো খুঁজে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রেখে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা ছাঁটাই করতে হবে এবং তথ্যনির্ভর সংবাদ উপস্থাপন করতে হবে।
৪. প্রতিবেদকের নাম-ঠিকানা, স্বাক্ষর ও অন্যান্য বিষয় : এ অংশে প্রতিবেদকের নাম-ঠিকানা, স্বাক্ষর, প্রতিবেদন তৈরির সময়, সংযুক্তি (কোনো প্রকার ছবি বা ডকুমেন্ট ইত্যাদি), তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ করা যেতে পারে।
প্রতিবেদন রচনায় অনুসরণীয় বৈশিষ্ট্যঃ
১। সুনির্দিষ্ট কাঠামো : কোনো প্রতিবেদন প্রণয়নকালে একটি নির্দিষ্ট কাঠামো অনুসারে করতে হয়। এতে থাকবে একটি শিরোনাম, প্রাপকের নাম-ঠিকানা, আলোচ্য বিষয়ের সূচিপত্র, বিষয়বস্তু, তথ্যপঞ্জি, স্বাক্ষর, তারিখ ইত্যাদি।
২। সঠিক তথ্য : প্রতিবেদন রচিত হবে সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। তথ্যানুসন্ধানই হলো প্রতিবেদকের প্রধান কাজ। সেজন্য তথ্যের যথার্থতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।
৩। সম্পূর্ণতা : প্রতিবেদনে যেসব তথ্য পরিবেশিত হবে তা হতে হবে নির্ভুল ও সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য।
৪। স্পষ্টতা : প্রতিবেদনের বক্তব্যের মধ্যে স্পষ্টতা থাকবে যাতে বক্তব্য বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ সহজ হয়।
৫। সংক্ষিপ্ততা : প্রতিবেদন হতে হবে বাহুল্যবর্জিত। বক্তব্য হবে সুনির্বাচিত এবং কোনো অনাবশ্যক বক্তব্য সংযোজিত হতে পারবে না।
৬। সুন্দর উপস্থাপনা : প্রতিবেদনের উপস্থাপন হতে হবে আকর্ষণীয়। এর বক্তব্য যেন সহজ-সরল ভাষায় প্রকাশ পায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
৭। সুপারিশ : প্রতিবেদনের উপসংহারে সুপারিশ সংযোজন করতে হবে, যাতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সমস্যা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
১. তোমার এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
জুরাইন এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির করুণ চিত্র
বিশেষ প্রতিবেদক : জুরাইন ঢাকার একটি স্বনামধন্য এলাকা। এখানে প্রায় ৩০ হাজার লোক বাস করে। অভিজাত এলাকা হওয়ায় এখানে বসতি গড়ার প্রতি অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। মানুষের চাহিদার দিকে খেয়াল রেখে এখানে নতুন নতুন আবাসন প্রকল্পও গড়ে উঠছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।
গত দুই মাসে জরিপ করে দেখা যায়, এখানে ইতোমধ্যে প্রায় ৪টি ধর্ষণ, ২টি শিশু নির্যাতন এবং ১৫টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, টাকা ইত্যাদি মূল্যবান সম্পদ হারানো এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এলাকায় ক্ষমতাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য চোখে পড়ার মতো।
অবৈধভাবে জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ইত্যাদি ঘটনারও তথ্য পাওয়া যায়। এসব ব্যাপারে জনগণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিষ্ক্রিয় দর্শকের ভ‚মিকা পালন করে থাকে। পুলিশের কাছে সহায়তা চাইলেও কার্যকরী সহায়তা পাওয়া বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে অনেক পিতা-মাতাই মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন। সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে তারা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। এর পাশাপাশি যে কয়েকটি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তাও অত্যন্ত দুঃখজনক।
বাসার গৃহপরিচারিকার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেও নির্যাতনকারীরা অর্থের জোরে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এতে করে এলাকায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়তে পারে বলে মত দিয়েছেন সুশীল সমাজ।
অনতিবিলম্বে যদি জুরাইন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায় তবে এলাকাবাসীকে চরম পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। এক্ষেত্রে সরকার এবং সাধারণ জনগণের একত্রিত অংশগ্রহণ আবশ্যক। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই উক্ত এলাকার সকল অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
প্রতিবেদক
শরিফুন নাহার
জুরাইন, ঢাকা।
১৩/৫/২০১৬
[পত্রিকার ঠিকানাসংবলিত খাম আঁকতে হবে]
২. কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজিত মহান একুশে ফেব্রæয়ারিÑ২০১৫-এর উদ্যাপন উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
মাননীয়
প্রধান শিক্ষক,
কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
টিকাটুলি, ঢাকা।
বিষয় : বিদ্যালয় আয়োজিত মহান একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানমালা বিষয়ে প্রতিবেদন।
জনাবা,
কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্যাপন সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আপনার সদয় অবগতির জন্য উপস্থাপন করলাম।
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্যাপিত
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি -২০১৫ উদ্যাপন উপলক্ষে কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। প্রভাতফেরি, পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, নৃত্য, আলোচনাসভা ইত্যাদি আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
প্রধান শিক্ষিকা জোবায়দা আকতারের নেতৃত্বে ভোর ৬টায় ব্যানার-ফেস্টুনসংবলিত প্রভাতফেরি বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী শহিদ মুরাদ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহিদ মিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সকলেই সমবেত কণ্ঠে গেয়ে ওঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।’
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ভাষা দিবসের ওপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকমণ্ডলী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা সভাস্থলে আসন গ্রহণ করেন। একের পর এক শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য। তারপর শুরু হয় আলোচনা সভা। প্রধান শিক্ষিকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ৭৫ নং ওয়ার্ড ডিসিসি কমিশনার জয়নুল হক মঞ্জু, সমাজসেবী সাব্বির আহমেদ আরিফ ও মোজাম্মেল হক মুক্তা। প্রধান অতিথি চিত্রাঙ্কনে বিজয়ীদের হতে পুরস্কার তুলে দেন। পরে সভাপতি দিনব্যাপী আয়োজনে উপস্থিতি সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানটি বাংলা ভাষা ও শহিদদের প্রতি আমাদের মাঝে গভীর শ্রদ্ধা ও মমত্ববোধ জাগিয়ে তোলে।
প্রতিবেদক
মাধবী আকতার
দশম শ্রেণি
বিজ্ঞান শাখা, রোল-১১
২৪/০২/২০১৬
[এখানে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাসংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৩. তোমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
বরাবর,
সভাপতি
পরিচালনা পর্ষদ
ঘিওর ডিএন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকগঞ্জ।
বিষয় : বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সম্পর্কে প্রতিবেদন।
জনাব,
ঘিওর ডিএন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুতির বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে নিম্নোক্ত প্রতিবেদন আপনার সমীপে উপস্থাপন করলাম।
শিক্ষার পরিবেশ নেই ঘিওর ডিএন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে
ঘিওর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঘিওর ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়টি উপজেলার শীর্ষস্থানীয় একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অর্ধশতাধিক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি এলাকার শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদান রেখে আসছে। কিন্তু সাপ্রতিককালে কিছু অব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্তহীনতায় বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও লেখাপড়ার মান দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে। সমস্যাগুলো নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো :
১. সময় ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম : বিদ্যালয়ে বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা দেরিতে উপস্থিত হন। নির্দিষ্ট সময়ে তাদের অনুপস্থিতির ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে হইচই ও হট্টগোল করতে থাকে। ফলে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘিœত হয়। অভিভাবকরা এ নিয়ে অভিযোগ করলেও কোনো ফল হয়নি।
২. অনুপযোগী শ্রেণিকক্ষ : শ্রেণিকক্ষগুলো প্রতিদিন যথাযথভাবে পরিষ্কার করা হয় না। বেশ কয়েকটি শ্রেণিকক্ষের হোয়াইট বোর্ড ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ভাঙা বেঞ্চগুলোর দ্রæত মেরামত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
৩. অব্যবস্থাপনাপূর্ণ পাঠাগার : অব্যবস্থাপনায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের পাঠাগার কক্ষ। বইয়ের সংখ্যা অপ্রতুল। ইস্যুকৃত বইগুলো ফেরতের যথাযথ উদ্যোগ না নেওয়ার ফলে দিন দিন বইয়ের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এসব কারণেই জরুরি ভিত্তিতে পাঠাগার ব্যবস্থাপনায় যথাযথ শৃঙ্খলা আনা একান্ত প্রয়োজন।
৪. সুযোগ-সুবিধাহীন বিজ্ঞানাগার : বিজ্ঞানাগারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। ফলে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা দায়সারাভাবে ব্যবহারিক ক্লাস সম্পন্ন করে। একটু নজর দিলেই যেখানে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব। সেখানে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। হাতে-কলমে শেখার পরিবর্তে তা হচ্ছে সাধারণ পাঠদানের মতো করেই। রসায়ন, পদার্থ ও জীববিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষা থেকে যাচ্ছে অপূর্ণাঙ্গ। এ অবস্থা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা প্রয়োজন।
৫. প্রশাসনিক কজে বিশৃঙ্খলা : শিক্ষার্থীদের ভর্তি, বেতন গ্রহণ, ছাড়পত্র প্রদান, প্রশংসাপত্র ইস্যু, রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযথ সহাযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বেশ কিছু অভিভাবক।
৬. জাতীয় দিবস পালনে অনীহা : বর্তমানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় দিবস পালনের কোনো কর্মসূচি নেওয়া হয় না। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে জাতীয় চেতনাবোধ জাগ্রত হচ্ছে না। কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে যথাযথভাবে ধারণ করার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে জাতীয় দিবসসমূহ পালন করার যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
ঐতিহ্যবাহী ঘিওর ডিএন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে উল্লিখিত বিষয়গুলোতে কর্তৃপক্ষের মনযোগ দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
প্রতিবেদক
মিথুন কামাল, প্রতিবেদক
নবম শ্রেণি, মানবিক শাখা
রোল নং-১৫
১৮/১০/২০১৬।
[এখানে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাসংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৪. তোমার স্কুলে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া-প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা করো। [দি. বো. ১৫]
তারিখ : ২০/০৩/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক,
মনোহরদি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
মনোহরদি, নরসিংদী
বিষয় : স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান-সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
জনাব,
আপনার আদেশক্রমে স্কুলে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার একটি প্রতিবেদন আপনার সদয় অবগতির জন্য পেশ করছি।
মনোহরদি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত।
গত ১৭ই মার্চ মনোহরদি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ক্রীড়া শিক্ষক সোবহান চৌধুরীর সার্বিক তত্ত¡াবধানে, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ঐকান্তিক সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সুন্দরভাবে পরিচালিত ও সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।
অন্যবারের তুলনায় এবার এই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিষয় যেমন ছিল অনেক, তেমনি ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ, যে জন্য সব শিক্ষার্থীই কমবেশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল।
সকাল নয়টায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের সম্মানিত প্রধান শিক্ষক। প্রধান অতিথি ছিলেন দেশবরেণ্য ক্রীড়াবিদ জোবায়রা রহমান লিনু। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষিত হয়।
এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো ছিল বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। বিশটিরও বেশি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন রকমের দৌড়, দীর্ঘলাফ, উচ্চলাফ, বর্শা নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, লৌহগোলক নিক্ষেপ, প্রতিবন্ধক দৌড়, দ্রæত হাঁটা, সাইকেল দৌড় ইত্যাদি ছিল অন্যতম। পুরুষ অতিথিদের জন্য ছিল ‘অন্ধের হাঁড়ি ভাঙা খেলা’ এবং আমন্ত্রিত মহিলাদের জন্য ছিল ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’।
এ খেলা দুটি খুবই উপভোগ্য হয়েছে। শিক্ষকগণের জন্য ছিল উল্টো দৌড়। শিক্ষিকাগণের জন্য ছিল ‘সুঁইয়ে সুতা গাঁথা’। সবশেষে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ এবং শিক্ষকগণের মধ্যে ‘রশি টানাটানি’ হয়। এ খেলাটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় শেষ হয়। দর্শকদের মাঝে এটি ভিন্ন মাত্রার আনন্দ দেয়।
প্রতিযোগিতা শেষে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক বিজয়ীকে একটি করে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রাজা মিয়া চারটি ইভেন্টে প্রথম হয়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগীর সম্মান অর্জন করে। মেয়েদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগীর কৃতিত্ব অর্জন করে দশম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া খাতুন।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে এবার বিদ্যালয়ের বিশাল মাঠ যেভাবে সাজানো হয়েছিল তা সবার দৃষ্টি কেড়েছে। তাছাড়া এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও ছিল অত্যন্ত চমৎকার। ক্রীড়ানুষ্ঠানের উদ্বোধন, পায়রা ওড়ানো, মশাল প্রজ্বলন, প্রতিযোগীদের কুচকাওয়াজ ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ এই খেলায় যারা অংশ নিয়েছে তারাও অত্যন্ত রুচিবোধের পরিচয় দিয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠানের ধারাবর্ণনা ছিল চমৎকার।
অনুষ্ঠানটি সফল করতে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ সকলেই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য রেখেছেন তা অবশ্যই তাদেরকে উৎসাহ, আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
এ কথা স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা নেই যে, এবারের ক্রীড়ানুষ্ঠান স্কুলে সুনাম বৃদ্ধি করেছে এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমের চর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে।
বিনীত প্রতিবেদক
কামরুল আহসান
দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ
রোল নং- ১৫
[এখানে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাসংবলিত খাম আঁকতে হবে]
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৬১-১৮৫ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৪১-১৬০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১২১-১৪০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | বোর্ড ভিত্তিক অনুবাদ ১০১-১২০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় পত্র | অনুবাদ ৬১-৮০ | Onubad | PDF Download
৫. দুর্নীতি সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
তারিখ : ২৬শে আগস্ট, ২০১৫
বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক ইত্তেফাক
কারওয়ান বাজার,
ঢাকা-১২০৫।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ কলামে প্রকাশের জন্য ‘দুর্নীতিমুক্ত সমাজ চাই’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পাঠাচ্ছি। সা¤প্রতিক সময়ের গুরুত্ববহ এ বিষয়টির উপযোগিতা বিচার করে আপনার পত্রিকায় প্রকাশ করবেন বলে আশা করছি।
দুর্নীতিমুক্ত সমাজ চাই
দুর্নীতি যেকোনো দেশ ও জাতির উন্নয়নের পথে অন্যতম বাধা। শাসনব্যবস্থাকে ক্রমশ দুর্বল করে দেয় দুর্নীতি। দুরারোগ্যে ব্যাধির মতো দুর্নীতি ধীরে ধীরে গ্রাস করে নেয় সবকিছু। দেশের সকল স্তরে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। প্রতিটি মানুষ দুর্নীতির চক্রে পড়ে নাকাল হয়। উচ্চস্তরের কর্তাব্যক্তিরা দুর্নীতিকে আশ্রয় করে নিশ্চিত জীবনযাপনের প্রয়াস চালায়।
কিন্তু তাদের বিলাসিতার চরম মূল্য দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির লোকেরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করে না। নীরব দর্শকের মতো তারা চুপ করে সহ্য করে যায় শোষণ ও নিপীড়ন। প্রকাশ্যে হোক কিংবা অপ্রকাশ্যে বাড়তি উপার্জনের আশায় প্রায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীই দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে থাকে। মেধার চেয়ে বর্তমানে অর্থই প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে সব ক্ষেত্রে। কালো টাকার দৌরাত্ম্যে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
দুর্নীতির এমন নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছে। আমাদের জাতীয় অস্তিত্বও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে দুর্নীতির কারণে। আমাদের নিশ্চুপ ও নীরব অবস্থান দুর্নীতিকে প্রতিনিয়ত প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতিবাজরা তাই সমাজকে কলুষিত করেই চলেছে।
দুর্নীতি দমনে নিচে উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করা দরকারঃ
১. দুর্নীতির সথে জড়িত সকল প্রাসঙ্গিক ইস্যু মূল্যায়ন এবং দুর্নীতির মূলোৎপাটনের জন্য দক্ষ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ নাগরিকদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। টাস্কফোর্স দুর্নীতি দমনের একটি বিশদ কর্মসূচি সুপারিশ করবে।
২. দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক সদিচ্ছার বেশি প্রয়োজন। রাজনীতিবিদদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা থাকতে হবে। তাদের সৎ ও আদর্শবান হতে হবে। দুর্নীতিবাজদের দল থেকে বের করতে হবে। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে হবে। প্রশাসনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
৩. দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দুর্নীতি হ্রাস পাবে। এর জন্য দরকার স্বাধীন বিচার বিভাগ। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এবং কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়Ñ সমাজে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হলে, আইনের যথাযথ প্রয়োগ হলে দুর্নীতির পরিমাণ কমে যাবে।
৪. বেসরকারি, সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য বাজারের সাথে সমন্বয় রেখে সুষম বেতন কাঠামো এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতে হবে।
৫. দুর্নীতি রোধে স্বাধীন গণমাধ্যম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে পারে। দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের তথ্য অনুসন্ধান এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করে গণমাধ্যম দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকার ভ‚মিকা রাখতে পারে।
৬. দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক ও নৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানুষের মাঝে নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। কেননা নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তি কখনো দুর্নীতির আশ্রয় নিতে পারে না। আর এসব দিক বিবেচনায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে।
সকলের দৃঢ় অবস্থানই পারে বর্তমান দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। দুর্নীতির চক্রকে ভাঙতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাই সকলকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি।
¬
বিনীত নিবেদক
কাজী মামুনুর রশীদ
কামতা, ফেনী।
[এখানে পত্রিকার ঠিকানাসংবলিত খাম আঁকতে হবে]
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।