HSC | আমার পথ | কাজী নজরুল ইসলাম | বাংলা ১ম পত্র | PDF: বাংলা ১ম পত্র বিষয়টি হতে যেকোনো ধরনের প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা ১ম পত্রের আমার পথ গল্পটি হতে গুরুপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
আমার পথ | কাজী নজরুল ইসলাম:
পাঠ-পরিচিতি
প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলামের সুবিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রুদ্র-মঙ্গল’ থেকে সংকলিত হয়েছে। “আমার পথ” প্রবন্ধে নজরুল এমন এক ‘আমি’র আবাহন প্রত্যাশা করেছেন যার পথ সত্যের পথ; সত্য প্রকাশে তিনি নির্ভীক অসংকোচ। তাঁর এই ‘আমি’-ভাবনা বিন্দুতে সিন্ধুর উচ্ছ¡াস জাগায়। নজরুল প্রতিটি মানুষকে পূর্ণ এক ‘আমি’র সীমায় ব্যাপ্ত করতে চেয়েছেন; একইসঙ্গে, এক মানুষকে আরেক মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে ‘আমরা’ হয়ে উঠতে চেয়েছেন।
স্বনির্ধারিত এ জীবন-সংকল্পকে তিনি তাঁর মতো আরও যারা সত্যপথের পথিক হতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশে ছড়িয়ে দিতে চান। এ সত্যের উপলব্ধি কবির প্রাণপ্রাচুর্যের উৎসবিন্দু। তিনি তাই অনায়াসে বলতে পারেন, ‘আমার কর্ণধার আমি। আমার পথ দেখাবে আমার সত্য।’ রুদ্র-তেজে মিথ্যার ভয়কে জয় করে সত্যের আলোয় নিজেকে চিনে নিতে সাহায্য করে নজরুলের এ ‘আমি’ সত্তা। তাঁর পথনির্দেশক সত্য অবিনয়কে মেনে নিতে পারে কিন্তু অন্যায়কে সহ্য করে না।
সমাজ ও সমকাল পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে প্রাবন্ধিক দেখেছেন যে, সুস্পষ্টভাবে নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে না জানলে তৈরি হয় পরনির্ভরতা, আহত হয় আমাদের ব্যক্তিত্ব। নজরুলের কাছে এ ভগ্ন আত্মবিশ্বাসের গøানি গ্রহণযোগ্য নয়। এর পরিবর্তে তিনি প্রয়োজনে দাম্ভিক হতে চান; কেননা তাঁর বিশ্বাস সত্যের দম্ভ যাদের মধ্যে রয়েছে তাদের পক্ষেই কেবল অসাধ্য সাধন করা সম্ভব।
নজরুল এ প্রবন্ধে দেখিয়েছেন যে, তিনি ভুল করতে রাজি আছেন কিন্তু ভণ্ডামি করতে প্রস্তুত নন। ভুল জেনেও তাকে ঠিক বলে চালিয়ে দেবার কপটতা কিংবা জেদ তাঁর দৃষ্টিতে ভণ্ডামি। এ ভুল ব্যক্তির হতে পারে, সমাজের হতে পারে কিংবা হতে পারে কোনো প্রকার বিশ্বাসের। তবে তা যারই হোক আর যেমনই হোক এর থেকে বেরিয়ে আসাই নজরুলের একান্ত প্রত্যাশা।
তিনি জানেন, এ বেরিয়ে আসা সম্ভব হলেই মানুষের সঙ্গে মানুষের প্রাণের সম্মিলন ঘটানো সম্ভব হবে। মনুষ্যত্ববোধে জাগ্রত হতে পারলেই ধর্মের সত্য উন্মোচিত হবে, এক ধর্মের সঙ্গে অপর ধর্মের বিরোধ মিটে যাবে। সম্ভব হবে গোটা মানব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা; আর এ ঐক্যের মূল শক্তি হলো স¤প্রীতি।
লেখক পরিচিতি:
নাম ও উপাধি প্রকৃত নাম : কাজী নজরুল ইসলাম।
ডাক নাম : দুখু মিয়া
উপাধি : বিদ্রোহী কবি
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ২৫ মে, ১৮৯৯; ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬।
জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম।
পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : কাজী ফকির আহমেদ।
মাতার নাম : জাহেদা খাতুন।
প্রাথমিক শিক্ষা : গ্রামের মক্তব থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।
শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক শিক্ষা : প্রথমে রাণীগঞ্জের সিয়ারসোল স্কুল,পরে মারখুন উচ্চ ইংরেজি স্কুল, অতঃপর ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এক বছর পর তিনি পুনরায় নিজের গ্রামে ফিরে যান এবং ১৯১৫ সালে পুনরায় রাণীগঞ্জ সিয়ারসোল রাজ স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এ স্কুলে নজরুল ১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত একটানা অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন।
কর্মজীবন দারিদ্র্যের কারণে প্রথম জীবনে তিনি কবিয়াল, লেটো গানের দলে ও রুটির দোকানে কাজ করেন। ১৯১৭ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে পত্রিকা সম্পাদনার চাকরি নেন। তাছাড়া গ্রামোফোন রেকর্ডের জন্যে গানলেখা, সুরারোপ এবং সাহিত্য সাধনার মাধ্যমে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করেন। জীবনের শেষ তিন দশক নজরুল নির্বাক ও কর্মহীন ছিলেন।
সাহিত্য সাধনা
নজরুলের সাহিত্য সাধনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়। তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনাবলি হচ্ছ
কাব্যগ্রন্থ : অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশী, ভাঙার গান, সাম্যবাদী, সর্বহারা, ফণি-মনসা, জিঞ্জির, সন্ধ্যা, প্রলয় শিখা, দোলনচাঁপা, ছায়ানট, সিন্ধু-হিন্দোল, চক্রবাক, নতুন চাঁদ, ঝিঙেফুল, চন্দ্রবিন্দু ইত্যাদি।
উপন্যাস : বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা ইত্যাদি।
প্রবন্ধগ্রন্থ : রাজবন্দীর জবানবন্দী, যুগ-বাণী, ধূমকেতু, রুদ্র-মঙ্গল, দুর্দিনের যাত্রী ইত্যাদি।
গল্পগ্রন্থ : ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা, পদ্মগোখরা, জিনের বাদশা ইত্যাদি।
নাটক : ঝিলিমিলি, আলেয়া, পুতুলের বিয়ে, মধুমালা, রক্তকমল, মহুয়া, জাহাঙ্গীর, কারাগার ইত্যাদি।
জীবনীগ্রন্থ : মরুভাস্কর (হযরত মুহাম্মদ (স)-এর জীবনীগ্রন্থ)।
অনুবাদ : রুবাইয়াত-ই-হাফিজ, রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম, কাব্যে আমপারা।
গানের সংকলন : বুলবুলি, চোখের চাতক, চন্দ্রবিন্দু, নজরুল গীতি, সুরলিপি, গানের মালা, চিত্তনামা ইত্যাদি।
সম্পাদিত পত্রিকা : ধূমকেতু, লাঙ্গল, দৈনিক নবযুগ।
পুরস্কার ও সম্মাননা ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’, ভারত সরকার কর্তৃক ১৯৬০ সালে ‘পদ্মভ‚ষণ’ পদক, রবীন্দ্রভারতী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট উপাধি এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন।
বিশেষ কৃতিত্ব বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নাগরিকত্ব এবং জাতীয় কবির মর্যাদা লাভ।
জীবনাবসান মৃত্যু তারিখ ও স্থান : ২৯ আগস্ট, ১৯৭৬ ঢাকার পিজি হাসপাতাল।
সমাধি স্থান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ।
উৎস পরিচিতি
প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলামের সুবিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রূদ্র-মঙ্গল’ থেকে সংকলিত হয়েছে।
রচনার বক্তব্যবিষয়:
বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলাম এক চিরস্মরণীয় নাম। তিনি ছিলেন মনে-প্রাণে যথার্থই একজন বিদ্রোহী কবি। কবির এ বিদ্রোহের মূল সুর হলো পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে দেশমাতৃকার মুক্তি। ‘রূদ্র-মঙ্গল’ প্রবন্ধগ্রন্থের অন্তর্গত ‘আমার পথ’ তদ্রুপ একটি প্রবন্ধ। কাজী নজরুল ইসলাম এখানে ‘আমার পথ’ বলতে সত্যের পথ বা বিদ্রোহের পথকে বোঝাতে চেয়েছেন। তিনি নিজেকেই নিজের কর্ণধার দাবি করেন। তিনি মনে করেন, একমাত্র সত্যের বিরোধী পথ ছাড়া অন্য কোনো পথই বিপথ নয়।
তাই তিনি প্রথমে সত্যকে প্রকৃত অর্থে চেনার আহŸান জানিয়েছেন। একই সাথে লেখক আরও বলেছেনÑ ‘যায় ভিতরে ভয়, যার মনে মিথ্যা সে-ই বাইরের মিথ্যাকে ভয় পায়’। কবির বিশ্বাস, যে নিজেকে চেনে, তার অন্যকে চিনতে বাকি থাকে না। এই আত্মসচেতনতাই সত্যের পথপ্রদর্শক। এছাড়া কবি দাসত্বেরও তীব্র নিন্দা করেছেন। কারণ অন্তরে যাদের গোলামির ভাব, তারা বাইরের গোলামি থেকে রেহাই পায় না।
তাছাড়া আত্মাকে চিনলেই আত্মসচেতনতা বা আত্মনির্ভরতা আসে, যা স্বাধীনতার একমাত্র পথনির্দেশক। দেশের সব মিথ্যা বা শত্র“কে ধ্বংস করতে ধূমকেতু সদা-প্রস্তুত। কারণ সে দাসত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।
আলোচ্য প্রবন্ধে লেখক ‘আমার পথ’ বলতে ধূমকেতুর জন্য নির্দেশিত দর্শন বা পথকেই বুঝিয়েছেন। এ নির্দেশনা মোতাবেক সত্যের পথ ধরেই একমাত্র স্বাধীনতা বা মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কবি এ প্রবন্ধে ধর্ম প্রসঙ্গে বলেছেনÑ“যে নিজের ধর্মের সত্যকে চিনেছে, সে কখনো অন্যের ধর্মকে ঘৃণা করতে পারে না।” দেশের পক্ষে মঙ্গলকর এ সত্যকে অবলম্বন করেই কবির পথ চলা।
নামকরণ ও সার্থকতা:
নামকরণ : ‘আমার পথ’ নিবন্ধের নামকরণ করা হয়েছে মূল বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে। ‘ধূমকেতু’ পত্রিকা প্রকাশের উদ্বোধনী বাণী এটি। এতে পত্রিকার মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে। সেই ‘ধূমকেতু’কে রথ করেই কবির নতুন পথযাত্রা শুরু। নিবন্ধের প্রথমেই কবির প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসে দৃঢ় উচ্চারণÑ ‘আমার কর্ণধার আমি। আমায় পথ দেখাবে আমার সত্য।’ কবি মনে করেন, যা কিছু সত্যবিরোধী তা-ই বিপথ।
রাজভয় বা লোকভয় কোনোটাই তাকে বিপথে নিতে পারবে না। যার ভিতরে ভয় সে-ই কেবল বাইরে ভয় পায়, আর যার মনে মিথ্যা সে-ই মিথ্যাকে ভয় পায়। কবির ভেতরেও ভয় নেই, মনেও মিথ্যা নেই। তাই তাঁর ভয় পাওয়ারও কোনো কারণ নেই। তিনি নিজেকে ভালো করেই চেনেন, আর তাই তিাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য।
মনে জোর আছে, তিনি আত্মবিশ্বাসী। এটা আত্মাকে চেনার সহজ স্বীকারোক্তি। নারীসুলভ কোমলতা নয়, অহংকারের পৌরুষই তঁ^ার কাছে নিজের শক্তির ওপর অটুট বিশ্বাসই স্বাবলম্বন, যা আত্মস্থ করাতে চেয়েছিলেন গান্ধীজি। অথচ আমরা নিজেদের চিনতে পারি নি বলেই বাইরের গোলামি থেকে রেহাই পাই নি। অথচ আত্মনির্ভরতাই স্বাধীন হওয়ার ভিত্তি। সেটাই ‘ধূমকেতু’র পথ। দেশের যারা শত্র“, দেশের যা কিছু মিথ্যা, ভণ্ডামি, মেকি তা সব দূর করাই ধূমকেতুর কর্ণধারের পথ।
ধূমকেতু সমস্ত অন্যায় ও দাসত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকবে। কোনো ঝগড়া-বিবাদ, কোনো সা¤প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেবে না। কেননা, মানব-ধর্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম। যে নিজের ধর্মকে ভালো করে চেনে, সে কখনো অন্য ধর্মকে অবহেলা করতে পারে না। কবি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, দেশের পক্ষে যা কিছু কল্যাণকর, সত্য, সুন্দর সেসবই তাঁর জবানীতে ‘আমার পথ’। এসব দিক বিবেচনায় নিবন্ধের নামকরণ ‘আমার পথ’ যথার্থ হয়েছে।
নামকরণের সার্থকতা : ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের এমন একটা পর্যায়ে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘ধূমকেতু’র আবির্ভাব ঘটিয়েছেন, যখন এ দেশের অস্থিমজ্জায় পচন ধরেছে, রাজভয় আর লোকভয়ের ছায়ায় সব সত্য ঢেকে গেছে। সেই মিথ্যা আর ভয় থেকে সত্য-ন্যায় ও কল্যাণকে মুক্ত করে সদম্ভে প্রকাশ করতেই কবি ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার আশ্রয় নিয়েছেন। সেই সত্য ও কল্যাণের পথকেই কবি বলেছেন ‘আমার পথ’।
ধূমকেতু সেই পথই অনুসরণ করবে। ধূমকেতু অসত্যকে, অন্যায়কে, ভণ্ডামিকে, সা¤প্রদায়িকতাকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেবে না। তার কাজ হবে দেশের মানুষকে নিজে শক্তি সম্পর্কে সচেতন করা। আত্মশক্তিতে বলীয়ান করে তাদেরকে আত্মনির্ভর ও স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করবে।
দেশের যারা শত্র“, দেশের যা কিছু মিথ্যা, ভণ্ডামি, মেকি সেসব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করে মানুষকে সচেতন করে তুলবে, যাতে তারা সত্যকে, কল্যাণকে চিনতে পারে। তাহলেই তারা নিজেদের চিনতে পারবে এবং সত্য ও কল্যাণের পথ অনুসরণ করে স্বাধীন সত্তার জয় ঘোষণা করতে পারবে। এ পথই ধূমকেতুর পথ, কবির ভাষায় ‘আমার পথ,। এ বিষয় অনুসরণ করেই নিবন্ধের নামকরণ ‘আমার পথ’ সুন্দর ও সার্থক হয়েছে।
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | আনিসুজ্জামান | বাংলা ১ম পত্র | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-৯ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | বাংলা ১ম | PDF
শব্দার্থ ও টীকা
কর্ণধার: নেতৃত্ব প্রদানের সামর্থ্য আছে এমন ব্যক্তি।
কুর্নিশ: অভিবাদন। সম্মান প্রদর্শন।
অভিশাপ-রথের সারথি: সমাজের নিয়ম পাল্টাতে গেলে বাধার সম্মুখীন হতে হয়, সমাজরক্ষকদের আক্রমণের শিকার হতে হয়। এ কথা জেনেও নজরুল তাঁর বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি অভিশাপ হয়ে আবিভর্‚ত হয়েছেন। নিজেই বসেছেন রথচালক তথা সারথির আসনে।
মেকি: মিথ্যা, কপট।
সম্মার্জনা: মেজে ঘষে পরিষ্কার করা।
আগুনের ঝাণ্ডা: অগ্নিপতাকা। আগুনে সব শুদ্ধ করে নিয়ে সত্যের পথে ওড়ানো নিশান।
বানান সতর্কতা (যেসব শব্দের বানান ভুল হতে পারে) :
নমস্কার, স্বীকারোক্তি, পৌরুষ, কাণ্ডারি, স্পর্ধা, স্বাবলম্বন, মহাত্মা গান্ধীজি, নিস্ক্রিয়, পরাবলম্বন, ভণ্ডামি, সম্মার্জনা, প্রশংসা, বৈষম্য, শ্রদ্ধা।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।