HSC | বাংলা ২য় | সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র | PDF Download: বাংলা দ্বিতীয় পত্র হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়টির গুরুপূর্ণ কিছু সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র সমুহ:
১. বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখো। [চ. বো. ১৪, ১০; কু. বো. ০৯; সি. বো. ১২]
তারিখ : ১৫-০৩-২০১৬
বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ
পান্থপথ, ঢাকা।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক ‘আলোকিত বাংলাদেশ’-এ নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে বৃক্ষরোপণের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভ‚মিকা পালনের অনুরোধ করছি।
বিনীত
নাইমুল ইসলাম
ধামরাই, ঢাকা।
বিষয়ঃ বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন করুন
যেকোনো দেশের জন্যই বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। একটি দেশের আয়তনের এক-চতুর্থাংশ বনভ‚মি থাকা বাঞ্ছনীয়। এই বনভ‚মিই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। পরিবেশ দূষণের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। দেশের সামগ্রিক জলবায়ুর ওপর রয়েছে বনভ‚মির যথেষ্ট প্রভাব। বৃক্ষ আমাদের জীবনরক্ষাকারী অক্সিজেন সরবরাহ করে।
এটি একদিকে জ্বালানি কাঠের চাহিদা মেটায় অন্যদিকে জলবায়ুর সমতা রক্ষা করে। গাছপালা থেকে আহরিত কাঠের ব্যবহার হয়। আসবাবপত্র, যানবাহন, বাড়িঘর নির্মাণ এমনকি বস্ত্র ও কাগজ তৈরিতে।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত বাড়ির আনাচ-কানাচে রাস্তার দুই ধারে পুকুর পাড়ে, নদীতীরে সর্বত্র বৃক্ষরোপণ করা। আমাদের দেশে যেটুকু বনভ‚মি রয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় তা অত্যন্ত অপ্রতুল। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বনভ‚মির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে।
নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন চলছে দেশজুড়ে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছি আমরা। পরিবেশ দূষণের কারণে অসহনীয় হয়ে উঠেছে শহরাঞ্চলের পরিবেশ। দেশের জলবায়ুতেও ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
ব্যাপক ভিত্তিতে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমেই কেবল এ সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব। পরিবেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতেও বিশেষ অবদান রাখবে। বৃক্ষরোপণ আন্দোলনকে সফল করা তাই সময়ের অপরিহার্য দাবি।
নাইমুল ইসলাম
ধামরাই, ঢাকা।
২. সড়ক দুর্ঘটনা রোধের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখো। [কু. বো. ১৫]
১০ই নভেম্বর, ২০১৬
সম্পাদক,
দৈনিক ইনকিলাব
ইনকিলাব ভবন
২/১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধের উপায়’ শিরোনামের একটি চিঠি পাঠাচ্ছি। অনুগ্রহ করে তা প্রকাশের সুযোগ করে দিলে বাধিত হব।
বিনীত
বেনজীর আহমদ
গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ
বিষয়ঃ সড়ক দুর্ঘটনা রোধের উপায়
‘একটা দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না’Ñ এ সেøাগানটি নির্মম বাস্তবতানির্ভর ও সর্বজনবিদিত। সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানে আমাদের দেশের একটি জাতীয় সমস্যা। মুহূর্তের মধ্যে তা ছিনিয়ে নিচ্ছে মানুষের অমূল্য জীবন, ভেঙে দিচ্ছে অসংখ্য সাজানো সংসার। পঙ্গু ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। সম্পদের ক্ষতিও কম হচ্ছে না। তাই আজ সর্বমহল থেকে দাবি উঠেছে, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’।
তা সত্তে¡ও দিন দিন প্রতিযোগিতা করে এ দেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার বেড়ে যাচ্ছে। এতে কত মূল্যবান প্রাণ অকালে ঝরে পড়ছে, কত পরিবার পথে বসেছে, সেই অশ্রæসজল করুণ মুখের হিসাব কেউ রাখে না। পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ অথবা অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্রের সামনে পিতার রক্তাক্ত নিথর দেহ- এই অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। অথচ এসব দুর্ঘটনার পেছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চালক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা দায়ী।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারছে না। প্রতিটি বাসস্টেশনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ বা তদারককারী মোতায়েন করে চালক ও হেলপারদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে হবে। বাসচালক ও বাসমালিকদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত শাস্তির বিধান করতে হবে। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও নিরাপদ যানবাহন চলাচলের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে :
(১) বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই ঘটে অদক্ষ, অযোগ্য ও লাইসেন্সবিহীন চালকের কারণে। তাই লাইসেন্স প্রদানের আগে চালকের দক্ষতা ও যোগ্যতা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। লাইসেন্সবিহীন কেউ যেন গাড়ি চালাতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
(২) ত্রটিপূর্ণ যানবাহন প্রায়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়। তাই রাস্তায় বের করার আগে যান্ত্রিক কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। প্রতিটি গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে কী না তাও দেখতে হবে।
(৩) ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই এ আইনের প্রতি যাতে সবাই শ্রদ্ধাশীল থাকে সেজন্য একে আরো শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করতে হবে।
(৪) ওভারটেকিংয়ের কারণে প্রচুর দুর্ঘটনা ঘটে। তাই বিধিবহির্ভূত ওভারটেকিংয়ের অসম প্রতিযোগিতা থেকে চালককে বিরত থাকতে হবে।
(৫) অতিরিক্ত মাল ও যাত্রীবোঝাই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী। অতিরিক্ত মাল ও যাত্রী বহন কঠোর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বন্ধ করতে হবে।
(৬) মহাসড়কের সংখ্যা বৃদ্ধি ও তা অধিকতর প্রশস্ত করা প্রয়োজন।
(৭) রাস্তায় ডিভাইডার প্রস্তুত করা অত্যন্ত জরুরি।
(৮) গাড়িচালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
আশা করি, উপর্যুক্ত কারণগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হবে।
নিবেদক
বেনজীর আহমদ
গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ।
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
৩. তোমার এলাকার বন্যার্তদের সাহায্যের আবেদন জানিয়ে/ত্রাণ বিতরণের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্রিকায় প্রকাশের লক্ষ্যে সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি লেখো। [ঢা. বো. ১৪, ব. বো. ১৪, সি. বো. ১৪, কু. বো. ১৪]
১৫ নভেম্বর, ২০১৬
মাননীয়
সম্পাদক
দৈনিক ইত্তেফাক
কাওরান বাজার, ঢাকা
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় ‘বন্যার্তদের জন্য সাহায্য চাই’ শিরোনামে একটি চিঠি ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার ও সর্বসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে আমার এই বক্তব্য প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
বিনীত
মিজানুর রহমান
আরিচা, মানিকগঞ্জ।
বিষয়ঃ শিবালয় (মানিকগঞ্জ) অঞ্চলের বন্যার্তদের জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন
মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলা এবারও সর্বনাশা বন্যার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি। এবারের বন্যা স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে এই এলাকার সমস্ত অবকাঠামো। প্রবল বর্ষণ আর পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সম্পূর্ণ উপজেলা আজ বন্যাকবলিত। নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর অধিকাংশ বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে।
ভেসে গেছে কৃষকদের গরু-বাছুর, পুকুরের মাছ। জমির ফসলও সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। চারদিকে পানি অথচ বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে এলাকায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয়, ইত্যাদি পানিবাহিত রোগ।
থানা প্রশাসন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো খাদ্য-বস্ত্রের যতটুকু জোগান দিতে পারছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। অবিলম্বে খাদ্য, পানীয় জল এবং চিকিৎসার সুব্যবস্থা না করলে দুর্গতদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।
তাই, এ ব্যাপারে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং বিভিন্ন সাহায্যদাতা সংস্থা ও সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।
৪. তোমার এলাকায় একটি রাস্তা সংস্কার সম্বন্ধে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রের প্রকাশের জন্য একটি চিঠি লেখো।
তারিখ : ১২ই ফেব্রæয়ারি, ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক ইত্তেফাক
৪০ কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ১২১৫।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় অনুগ্রহপূর্বক নিম্নলিখিত প্রতিবেদনটি ছাপিয়ে এলাকাবাসীর কৃতজ্ঞতাভাজন হবেন।
ধন্যাবাদান্তে,
মো. রোকনুজ্জামান
দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।
বিষয়ঃ দৌলতপুর-ভেড়ামারা সড়কের আশু সংস্কার চাই
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর এবং ভেড়ামারা উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী প্রধান সড়ক হলো দৌলতপুর-ভেড়ামারা সড়ক। প্রতিদিন শত শত বাস, ট্রাক এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত অযতেœর শিকার। সড়ক বিভাগের অবহেলার দরুণ এই পাকা সড়কটি এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে মেরামত করা হয়নি।
এই সড়কের বেশ কিছু অংশে এখনও কার্পোটিং করা হয়নি। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলাসহ কুষ্টিয়ার দুটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষের জন্য এই একটাই প্রধান সড়ক। এই সড়ক ব্যবহার করেই তাদের রাজধানী ঢাকায় যেতে হয়। অতএব, রাস্তাটির গুরুত্বকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। এ বছর বন্যার কারণে সড়কটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
রাস্তাটি যদি দ্রত মেরামত করা না হয়, তাহলে একদিকে যেমন সরকারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে, অপরদিকে এই এলাকার জনসাধারণের কষ্টের সীমা থাকবে না। তাই যথাশীঘ্র সম্ভব রাস্তাটি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এলাকাবাসীর পক্ষে,
মো. রোকনুজ্জামান
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৫. তোমার এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক দূষণের প্রতিকার চেয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র রচনা করো।
তারিখ : ৯ই এপ্রিল, ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
১০০, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা।
জনাব,
আপনার সম্পাদিত ও বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় নিম্নোক্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
নিবেদক
মো. সেলিম রেজা
ভবানীপুর, মেহেরপুর।
বিষয়ঃ আর্সেনিক সমস্যার সমাধান চাই
বর্তমান সময়ে সারাদেশে আর্সেনিক সমস্যার ভয়াবহতা প্রকাশ পেয়েছে। আর্সেনিকের এই ভয়াবহতার শিকার মেহেরপুর জেলাও। এ জেলার ভবানীপুর ও এর আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম আর্সেনিক বিষের মারাত্মক শিকার। দীর্ঘদিন ধরে মাত্রাধিক আর্সেনিকযুক্ত পানি পানের ফলে এ এলাকার বহুলোক আর্সেনিকজনিত নানা সমস্যার সম্মুখীন। অনেকের গায়ে-পিঠে, হাত-পায়ের তালুতে বিশেষ ধরনের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে।
নির্দিষ্ট মাত্রার আর্সেনিক পানিতে মিশ্রিত থাকা আবশ্যক কিন্তু মাত্রাধিক আর্সেনিকযুক্ত পানি পান যে জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ তা এই গ্রামের অশিক্ষিত সাধারণ জনগণের অনেকেই জানে না। ফলে তারা প্রতিনিয়তই বিষমিশ্রিত পানি পান করছে। তাদেরকে আর্সেনিক সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত করা অতি জরুরি।
এছাড়া এলাকার যেসব নলক‚পের পানিতে মাত্রাধিক আর্সেনিক আছে সেগুলো চিহ্নিতকরণ এবং সেগুলোর পানি পান থেকে গ্রামবাসীকে বিরত রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারি দায়িত্ব বলে এলাকাবাসী মনে করে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির সুবন্দোবস্ত করা এবং বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টিও অতি জরুরি। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নিবেদক
ভবানীপুর এলাকাবাসীর পক্ষে
মো. সেলিম রেজা
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৬. তোমার এলাকার বিশুদ্ধ পানির অভাব সম্পর্কে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের জন্যে সংবাদপত্রের সম্পাদকের নিকট একটি পত্র রচনা করো।
তারিখ : ২০শে মে ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক মানবজমিন
৪ কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক মানবজমিন’ পত্রিকায় অনুগ্রহপূর্বক আমার নিম্নলিখিত পত্রটি চিঠিপত্র বিভাগে প্রকাশের মাধ্যমে এলাকার অধিবাসীদের দুঃখ-কষ্টের করুণ চিত্র তুলে ধরলে কৃতার্থ হব।
বিনীত নিবেদক
কামাল হোসেন
দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।
বিষয়ঃ বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা চাই
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার অন্তর্গত চরদিয়াড়ি গ্রামের দারিদ্র্য-পীড়িত অধিবাসীরা দীর্ঘকাল ধরে নিদারুণ পানিকষ্ট ভোগ করে আসছে। বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার মতো কোনো নলক‚প এই গ্রামে নেই। গ্রামে রয়েছে অতি পুরাতন তিনটি পাতক‚প, দুটি পুরাতন পুকুর ও ছোট একটি খাল। পানির এ সীমিত উৎস থেকে গ্রামবাসী কোনোরকমে দৈনন্দিন কাজ ও পানীয় জলের অভাব মিটিয়ে থাকে।
পুকুরগুলো অতি পুরাতন এবং সংস্কারের অভাবে শ্যাওলা জাতীয় জলজ উদ্ভিদে পরিপূর্ণ। খালটিতে একমাত্র বর্ষা মৌসুম ছাড়া অন্য সময় মোটেই পানি থাকে না। শুকনো মৌসুমে তাই নিদারুণ পানিকষ্ট দেখা যায়। যে কয়টি পাতক‚প আছে তা গ্রামবাসীর প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারে না। মানুষ বাধ্য হয়ে পুকুরের জীবাণুযুক্ত পানি পান করে। ফলে প্রায়ই গ্রামবাসীকে কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হতে হয়, অনেকে অকালে মৃত্যুবরণ করে।
অতএব আমাদের এ মারাত্মক সমস্যাটি গভীর সহানুভ‚তির সঙ্গে বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে গ্রামে কয়েকটি নলক‚প স্থাপন করার জন্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিনীত নিবেদক
গ্রামবাসীর পক্ষে
কামাল হোসেন
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৭. তোমার এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের নিরসনকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি চিঠি লেখো।
তারিখ : ১৪ই এপ্রিল ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
সকালের খবর
পুরানা পল্টন, ঢাকা।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় নিম্নলিখিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
বিনীত
অবনী রাহনুম
খিলগাঁও, ঢাকা।
বিষয়ঃ লোডশেডিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন
আমরা রাজধানী ঢাকার অন্তর্গত খিলগাঁও এলাকার অধিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে চরম লোডশেডিং-এর শিকার। আমরা জানি, সারাদেশে এখন বিদ্যুৎ ঘাটতি চলছে এবং এও জানি দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত লোডশেডিং চলছে। তবে আমাদের এই খিলগাঁও এলাকার মতো এরকম লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে এরকম অব্যবস্থা বাংলাদেশের আর কোনো স্থানে আছে বলে আমাদের জানা নেই।
বিদ্যুৎকর্মীরা এই এলাকার হাজার হাজার মানুষকে যেন জিম্মি করে রেখেছে। এখানে নিয়মিতভাবে প্রতিদিনই তিন চারবার করে লোডশেডিং হচ্ছে। একে তো গরমের দিন, তার ওপর বিদ্যুতের এই অনিয়মের ফলে পানি সরবরাহে বিঘœ ঘটছে। দুপুরে যখন প্রচণ্ড গরম থাকে তখন দু-আড়াই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না।
আবার রাতে কয়েকবার করে বিদ্যুৎ চলে যায়। টেলিভিশনে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, নাট্যানুষ্ঠান বা বিনোদনমূলক কোনো অনুষ্ঠান আমরা একদিনও ঠিকমতো দেখতে পারি না। তাছাড়া রাতে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকার ফলে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার খুবই বিঘ্ন ঘটছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমাদের এই অশেষ ভোগান্তি দূর করার জন্য অতিসত্বর এ এলাকার লোডশেডিং বন্ধ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করুন।
বিনীত
এলাকাবাসীর পক্ষে
অবনী রাহনুম
খিলগাঁও, ঢাকা।
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৮. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখো।
তারিখ : ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক নয়াদিগন্ত
ইডেন কমপ্লেক্স, মতিঝিল, ঢাকা।
জনাব,
আপনার স¤পাদিত ও বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
নিবেদক
আতিকুর রহমান রিংকু
নাগরপুর, টাঙ্গাইল।
বিষয়ঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ প্রসঙ্গে
কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশের শতকরা ৬০ জন মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে একদিকে জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও সীমিত হয়ে পড়ছে। এদেশের শিক্ষিত মোট জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ বেকার। এরূপ পরিস্থিতিতে জনজীবনে যখন চলছে টানাপোড়েন, ঠিক তখনই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম বেড়ে চলেছে।
চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, জ্বালানি তেল, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, মাছ, মাংস, চিনি, শিশুখাদ্য ইত্যাদির দাম রাতারাতি প্রায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এরূপ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রয়োজনানুসারে তারা জিনিসপত্র কিনতে পারছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনো সময় গণবিদ্রোহের ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশে বাজার নিয়ন্ত্রকারী কোনো কর্তৃপক্ষ নেই, নেই এ বিষয়ে সরকারের কোনো বিশেষ নজর।
ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে নগরজীবন। এ অবস্থার আশু প্রতিকার প্রয়োজন। এ জন্য যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন সেগুলো হলোঃ
১. বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় করা, সেই সাথে সরেজমিনে তদন্তের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করা;
২. এ অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা;
৩. আন্তর্জাতিক বাজারে যে সকল দ্রব্যের মূল্য বেড়ে গেছে সেসব দ্রব্যের ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ ভর্তুকি প্রদান করা;
৪. আমদানি কর প্রত্যাহার করা। আশা করা যায়Ñ এ ব্যাপারগুলোতে নজর দিলে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকবে।
নিবেদক
আতিকুর রহমান রিংকু
নাগরপুর, টাঙ্গাইল।
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৯. শহরে যানজট নিরসনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখো।
তারিখ : ১৭ই মে ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা-১২১৫।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় নিম্নলিখিত জনগুরুত্বসম্পন্ন পত্রটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
নিবেদক
বাদল রায়
গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
বিষয়ঃ অসহনীয় যানজটে স্থবির নগরজীবন
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। দেশের সমস্ত কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। নানা প্রয়োজনে দেশের সকল প্রান্তের মানুষ ঢাকা আসে। অফিস-আদালতের কাজ, ভ্রমণসহ নানা প্রয়োজনের কেন্দ্রস্থল ঢাকা। অথচ দেশের ব্যস্ততম এ শহরটি যানজটের কবলে পড়ে নাকাল। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় তীব্র ট্রাফিক জ্যাম লক্ষ করা যায়।
দুঃসহ যানজটের কবলে পড়ে মানুষকে যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনের মধ্যে আটকে থাকতে হয় তখন ঢাকা সম্পর্কে মানুষের তিক্ত অভিজ্ঞতার জন্ম হয়। ফার্মগেট থেকে গুলিস্তান যেতে যেখানে বড়জোর পনেরো মিনিট সময় দরকার, সেখানে যানজটের কারণে কখনো কখনো আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সবগুলো সড়কেই একই চিত্র। এভাবেই মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মূল্যবান সময়।
যেখানে দিনে পাঁচটি কাজ করা সম্ভব যানজটের কারণে হয়তো দুটি কাজ করা যায়। এ অবস্থায় দেশ অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ দুরবস্থা নিরসনকল্পে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিম্নলিখিত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
১. অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করা;
২. রাস্তাসমূহ প্রয়োজনের অনুপাতে প্রশস্ত করা;
৩. যানবাহন চালকদের ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলতে বাধ্য করা;
৪. পাতাল রেলের ব্যবস্থা করা। এজন্য প্রয়োজনে উন্নত দেশের সাহায্য গ্রহণ করা;
৫. নগরীর চারদিক দিয়ে বিকল্প রেল স্থাপন করা;
৬. ফ্লাইওভারগুলোর নির্মাণ কাজ ত্বরান্বিত করা।
উপরোল্লিখিত ব্যবস্থসমূহ গ্রহণ করলে যানজটের তীব্রতা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
নিবেদক
বাদল রায়
গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
১০. ‘ইভ টিজিং’-এর বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র লেখো।
তারিখ : ১০ই জানুয়ারি ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক ইনকিলাব
রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা।
জনাব,
সম্মান জানবেন। আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য “ইভ টিজিং প্রতিরাধে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন” শিরোনামে একটি চিঠি এই সঙ্গে পাঠাচ্ছি। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সর্বসাধারণ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে আমার চিঠিটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
বিনীত
মারুফা শারমিন
কুমিল্লা।
বিষয়ঃ ‘ইভ টিজিং’ প্রতিরোধে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন
বর্তমানে ‘ইভ টিজিং’ বহুল আলোচিত ও ভীতি জাগানিয়া একটি শব্দ। এটি একটি মানসিক ও সামাজিক সমস্যা। সা¤প্রতিক সময়ে আমাদের সমাজে উত্যক্তকারীদের জ্বালাতনে নারীর জীবন অতিষ্ঠ। বিশেষত উচ্ছৃঙ্খল ও বখাটে ছেলে/যুবকদের বিকৃত মানসিকতা এবং নৈতিক চরিত্রের অবনতি, মূল্যবোধের অভাব, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এর প্রধান কারণ।
বর্তমানে ইভটিজিং এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, এর কারণে শুধু নারীরাই প্রাণ দিচ্ছে না, প্রতিবাদকারীরাও এখন নিরাপদ নয়। ইভ টিজিংয়ের শিকার হয়ে এ পর্যন্ত অনেক নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।। বর্তমানে দেশে ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৯০% নারী ঘরে এবং ঘরের বাইরে ইভ টিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন। ফলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত হচ্ছে। তাই আর দেরি না করে ইভ টিজিং-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
এর জন্য কঠোর আইন ও শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জনগণের সৃষ্ট দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। পুলিশকে গণমানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। তবে, শুধু কঠোর আইন করেই ইভ টিজিং প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন।
ইভ টিজিং নামক সামাজিক ব্যাধিকে সামগ্রিকভাবে নারী নির্যাতন অথবা যুব সমাজের ভয়াবহ অধঃপতনÑ যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, এই ব্যাধি হতে সমাজকে মুক্ত করতে না পারলে মানবিক অগ্রগতির পথ বাধাগ্রস্ত হতে থাকবে। তাই পরিবারের ছেলেমেয়েদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ তৈরি করতে হবে। তৈরি করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।
যে মেয়েটি ইভ টিজিং-এর শিকার পরিবার থেকে তার প্রতি সহানুভ‚তি, সাহস ও আশ্বাস দেওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ রাখতে হবে মেয়েটি যেন তার মনোবল হারিয়ে না ফেলে। নারীকে মানুষ হিসেবে সম্মান করার বিষয়টির শিক্ষা পুত্র-সন্তানদের পরিবার থেকেই দিতে হবে। আসুন, সবাই সম্মিলিতভাবে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।
মারুফা শারমিন
কুমিল্লা
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৬১-১৮৫ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৪১-১৬০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১২১-১৪০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | বোর্ড ভিত্তিক অনুবাদ ১০১-১২০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় পত্র | অনুবাদ ৬১-৮০ | Onubad | PDF Download
১১. তোমার এলাকায় ডেঙ্গু মশার উপদ্রব নিবারণের জন্যে/ ডেঙ্গুজ্বরের প্রতিকারের আবেদন জানিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি চিঠি লেখো।
তারিখ : ২০শে জুন ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা-১২১৫।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকায় চিঠিপত্র কলামে নিম্নলিখিত পত্রটি ছাপিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে সহায়তা করলে কৃতার্থ হব।
বিনীত
সালেহা বানু
লালবাগ, ঢাকা।
বিষয়ঃ ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন
রাজধানী ঢাকার লালবাগ একটি জনবহুল এলাকা। এলাকার জরাজীর্ণ রাস্তাগুলোর মোড়ের নোংরা অবৈধ ডাস্টবিন ও বদ্ধ ড্রেনগুলোতে প্রতিনিয়ত জন্ম নেয় অসংখ্য মশা। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাবাসী মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ। এ বিষয়ে বার বার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকষর্ণ করেও কোনো ফল হয়নি। স¤প্রতি স্থানীয় বেশ কয়েকজন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় এলাকায় ডেঙ্গু আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ডেঙ্গুজ্বর একটি ভাইরাসজনিত মশাবাহিত রোগ। স্বল্প পরিমাণ পরিষ্কার পানিতে এ রোগের বাহক এডিস মশা ডিম পাড়ে। বিভিন্ন বাড়িতে থাকা ফুলের টব, যত্রতত্র ফেলা নারকেলের মালা, ভাঙা কলস, পরিত্যক্ত কৌটা প্রভৃতিতে কারণেই এই এলাকায় এডিস মশার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এগুলোতে থাকা স্থির পানিই এডিসের প্রজননের উত্তম জায়গা। এডিস মশার কামড়ে প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসতাপালে ভর্তি হচ্ছে।
ইতোমধ্যে আক্রান্তদের দুজন মৃত্যুবরণও করেছে। তাই ডেঙ্গু আতঙ্কে এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায়, ডেঙ্গুজ্বর প্রতিকারের লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং এডিস মশা বিনাশমূলক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নিবেদক
সালেহা চৌধুরী
লালবাগ, ঢাকা।
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।