HSC | বাংলা ২য় পত্র | অনুচ্ছেদ রচনা ১৬-২৮ | PDF Download: বাংলা দ্বিতীয় পত্র হতে গুরুত্বপূর্ণ সব অনুচ্ছেদ রচনা গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়টির গুরুপূর্ণ কিছু অনুচ্ছেদ রচনা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
উচ্চ মাধ্যমিক \ বাংলা ২য় পত্র \ নির্মিতি অংশ \অনুচ্ছেদ রচনা
১৬. সত্যবাদিতা [সি. বো. ১৫]
প্রকৃত মানুষ হতে হলে যেসব নৈতিক গুণ থাকা আবশ্যক তার মধ্যে সত্যবাদিতা অন্যতম। সত্যবাদিতা একটি পবিত্র গুণ। যে ব্যক্তি সত্য কথা বলে তার পক্ষে অন্যায় কাজ করা অসম্ভব। সত্য বললে মানুষের জীবনযাপন অনেক সহজ হয়ে যায় এবং সে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে দূরে থাকতে পারে। যে ব্যক্তি মিথ্যার আশ্রয় নেয় সে একটি চক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়ে।
একটি মিথ্যা লুকানোর জন্য তাকে আরও অনেক মিথ্যা বলতে হয়। ফলে সে অনবরত নানা পাপকাজে লিপ্ত হয়। ইচ্ছা না থাকা সত্তে¡ও তাকে মিথ্যা বলতে হয়। কিন্তু জীবনকে সুখ ও শান্তিময় করে তুলতে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
সত্য পথে থাকলেও নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে। তবুও কোনো অবস্থাতেই সত্যের পথ ত্যাগ করা সমীচীন নয়। সত্যবাদিতা মানুষকে সাফল্যের চূড়ায় আরোহণ করতে সাহায্য করে। শত বাধার সম্মুখীন হয়েও যে ব্যক্তি সত্যকে অবলম্বন করে পথ চলে সে সকলের কাছে প্রিয় হয়।
তার ইহকাল ও পরকাল উভয়ই সুখের হয়। সত্যবাদিতার সাহায্যে কঠিন থেকে কঠিনতর কাজও সহজে সমাধান করা যায়। তাই সব অবস্থাতেই সত্যবাদিতাকে আশ্রয় করা উচিত।
১৭. বিদ্যালয়ের শেষ দিন [সি. বো. ১৫]
বিদ্যালয়ের প্রথম দিন এবং শেষ দিন দুটোই আমার কাছে বেশ স্মৃতিময় ও আবেগপূর্ণ। বিদ্যালয়ের শেষ দিন আমার কাছে স্মৃতির ডালা হিসেবে ধরা দেয়। আমাদের এসএসসি পরীক্ষার দ্বারপ্রান্তে ছিলাম তখন আমরা। আমাদের নির্বাচনি পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুদিন পরই ক্লাস বন্ধ হওয়ার ঘোষণা দিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। তাই আমরা বিদ্যালয়ের শেষ দিনটি আনন্দের সাথে উদ্যাপন করার পরিকল্পনা করলাম।
প্রথমেই আমরা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীরা শ্রেণিশিক্ষিকাকে সাথে নিয়ে কেক কাটলাম। আমাদের উদ্দেশে তিনি অনেক মূল্যবান উপদেশ দিলেন। এরপর আমাদের মধ্যে অনেকেই নিজের অনুভ‚তি ব্যক্ত করল। তার মধ্যে আমিও ছিলাম। দীর্ঘ সময় একই বিদ্যালয়ে কাটানোর পর ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট লাগছিল। আমরা সব বিভাগের ছাত্রীরা মিলে একসাথে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলাম।
সেখানে প্রধান শিক্ষিকা আমাদের উদ্দেশে অনেক কথা বললেন। এরপর আমরা বান্ধবীরা মিলে নাচ-গান করে বেশ হইচই করলাম। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব আমাদের। এতদিনের সান্নিধ্যের ছন্দপতনের ভয়ে সবাই বিষণœ হলাম। পরক্ষণেই আমাদের আবেগ যেন বাঁধ ভেঙে দিয়ে অশ্রæ হয়ে গড়িয়ে পড়ল।
সবাই সবার সাথে এক আত্মিক বন্ধন অনুভব করলাম। আমার প্রিয় শিক্ষিকসহ রেহানা ম্যাডামকে আমরা দিনে একটি ফুলের ডালি, কার্ড, কলম, ডায়েরি ইত্যাদি উপহার দিলাম। তাঁদের সাথে ছবিও তুলে নিলাম। আজও আমার কাছে বিদ্যালয়ের সেই শেষ দিনটি বিশেষভাবে ধরা দেয়। এদিনটির কথা আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না।
১৮. পহেলা ফাল্গুন
বসন্তের প্রথম দিন পহেলা ফাল্গুন হিসেবে পরিচিত। বাংলার ষড়ঋতু পরিক্রমায় সবার শেষে আসে ঋতুরাজ বসন্ত। ফাল্গুন ও চৈত্র, এ দুই মাস মিলে বসন্তকাল। শীতের শুষ্কতা আর জীর্ণতাকে ঘুচিয়ে নবীন আলোক বার্তা নিয়ে আসে ফাল্গুন। ১লা ফাল্গুন আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য দিন। এদিন সারাদেশে তারুণ্যের জোয়ার নামে।
মেয়েরা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে সেজেগুজে বের হয়। মাথায় পরে রং-বেরঙের ফুলের মালা। ছেলেরাও পরে পাঞ্জাবি। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার, বিভিন্ন বয়সের মানুষ পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে বাইরে ঘুরতে বের হয়। পহেলা ফাল্গুনের উৎসব শহরেই বেশি দেখা যায়।
বিশেষ করে ঢাকায়। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এদিন বকুলতলায় বসন্ত উৎসব পালন করে। দেশীয় সংস্কৃতিকে ধারণ করে সারাদিন গান চলতে থাকে। এ উৎসব ছড়িয়ে যায় শাহবাগ, পাবলিক লাইব্রেরি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত। এদিন মানুষে মানুষে শুভেচ্ছা ও কুশলাদী বিনিময় হয়ে থাকে।
পহেলা ফাল্গুন আমাদের উৎসব ও ঐতিহ্যপ্রিয়তারই অনন্য নিদর্শন। বাঙালির জীবনে পহেলা ফাল্গুনের গুরুত্ব তাই অপরিসীম। এটি বাঙালির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ সংস্কৃতির চেতনা আমাদের ধারণ ও লালন করতে হবে।
১৯. ডিজিটাল বাংলাদেশ
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বর্তমান সময়ে অত্যন্ত আলোচিত একটি বিষয়। উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এটি একটি সময়োচিত পদক্ষেপ। ডিজিটাল বাংলাদেশ কী, এ বিষয়কে বুঝতে হলে প্রথমেই আমাদের জানতে হবে একটি দেশ কীভাবে ডিজিটাল দেশে পরিণত হতে পারে।
একটি দেশকে তখনই ডিজিটাল দেশ বলা যাবে যখন তা ই-স্টেটে পরিণত হবে। অর্থাৎ ওই দেশের যাবতীয় কাজ যেমনÑ সরকারব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা, ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি প্রভৃতি কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। তাই একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার। ২০২১ সালে পালিত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। সেই লক্ষ্যে এ সময়ের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। সাধারণভাবে বলতে গেলে একটি ডিজিটাল সমাজ নিশ্চিত করবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজব্যবস্থা, যেখানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সমস্ত কর্মকাণ্ডে অনলাইন প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত হবে।
কার্যকর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সুশাসিত সমাজব্যবস্থা নিশ্চিত করাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এক্ষেত্রে সবার আগে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী তথ্যপ্রযুক্তি কাঠামো গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতির সমাধান, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কাঠামোর উন্নয়ন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রশিক্ষণ, ইংরেজি শিক্ষার ব্যবহারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্বায়ন সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি দ্রæত প্রসারের ফলে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছে ডিজিটাল উন্নয়নের চলমান প্রক্রিয়ায়। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নামক প্রকল্পের সাথে সাধারণ মানুষের যোগসূত্র তৈরি করতে হবে। তবেই উন্নত, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনের এই স্বপ্ন পূরণ হবে।
২০. সততা
সততা মানবচরিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি গুণ। সর্বদা সত্য কথা বলা, সৎপথে চলা এবং কোনো অন্যায় কাজে লিপ্ত না হওয়ার নামই সততা। এক কথায় সত্যের অনুসারী মানুষের সৎ থাকার গুণকে সততা বলা হয়।
এই গুণ অর্জনের চেষ্টা ও চর্চা একজন মানুষকে পৌঁছে দিতে পারে মর্যাদা ও গৌরবের আসনে। নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলস অনুশীলনের মাধ্যমে এই গুণ অর্জন করা যায়। আর এই গুণ যিনি অর্জন করতে পারেন তিনিই সমাজে আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে থাকেন। সততাকে তাই মানবচরিত্রের অলংকার বলা হয়। সততার সুফল শত ধারায় বিকশিত। জীবনকে সুন্দর, সফল ও সার্থক করার জন্য সৎ থাকার অভ্যাস করতে হয়।
সৎগুণসম্পন্ন মানুষ কখনোই অন্যায় ও অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকতে পারে না। সৎ লোক মাত্রই চরিত্রবান ও মহৎ হয়ে থাকে। তাই সে সবার বিশ্বাসভাজন ও শ্রদ্ধেয় হয়। সততা মানুষের নৈতিকতাকে সমুন্নত করে। সৎ ব্যক্তি কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না।
একটি সমৃদ্ধ ও আদর্শ জীবন গড়ার জন্য সততার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের উচিত ছাত্রজীবন থেকেই সৎ গুণগুলো অনুশীলন করা। তাহলেই তারা পরিবার ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করতে পারবে।
২১. দুর্নীতি
জাতীয় জীবনে উন্নতির অন্যতম অন্তরায় দুর্নীতি। আমাদের জীবন, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রকোষ্ঠে দুর্নীতি এমনভাবে প্রবেশ করেছে যে, আজকাল একে এড়িয়ে আমাদের চলাই দায়। অফিস-আদালতে, পেশায়-নেশায়, ঘরে-বাইরে, রাজনীতি কিংবা ধর্মনীতি সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির সর্বগ্রাসী প্রভাব বিদ্যমান। দুর্নীতি যেন সভ্য সমাজে স্বাভাবিক বিষয়।
সা¤প্রতিক বছরগুলোতে পর পর বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দুর্নীতির কারণে বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে, সাহায্যের হাতও গুটিয়ে নিচ্ছে ধনী দেশগুলো। দুর্নীতির অবাধ বিস্তার সামাজিক ক্ষেত্রে নব্য ধনিকশ্রেণির সৃষ্টি করছে, জন্ম দিচ্ছে নানামুখী বৈষম্য।
সন্ত্রাস নামক যে ভয়ংকর দানব সমাজকে নিরাপত্তাহীন করে তুলেছে তার পেছনেও রয়েছে দুর্নীতির প্রভাব। দুর্নীতি জন্ম দিয়েছে মূল্যবোধহীনতা, যা সমাজকে অবক্ষয়ের অতলে ডুবিয়ে দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দুর্নীতি এক দুরারোগ্য ব্যাধি, দুর্বিষহ অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে।
এর করাল গ্রাসে জাতীয় উন্নতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। মেধা ও পরিশ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না। বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। দেশের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। স্বনির্ভর জাতি গড়ে তোলার জন্য দুর্নীতি নামক এই অভিশাপকে রুখতে হবে এখনই। সকলের সম্মিলিত অঙ্গীকারই পারে এর প্রভাব কমিয়ে আনতে।
২২. আমাদের লোকশিল্প
দেশি জিনিস দিয়ে দেশের মানুষের হাতে তৈরি শিল্পসম্মত দ্রব্যকেই লোকশিল্প বলা হয়। বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাপন ও গ্রামীণ ঐতিহ্যের সাথে লোকশিল্পের নিবিড় যোগাযোগ বিদ্যমান। নানা ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পে আমাদের দেশ সমৃদ্ধ। ঢাকাই মসলিন নিয়ে আজ অবধি আমরা গর্ববোধ করি। লুপ্তপ্রায় নকশিকাঁথা আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের স্মারক। আমাদের দেশের লোকশিল্প বিভিন্ন রূপে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে প্রাধান্য পেয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকা, টাঙ্গাইল, সাহজাদপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এলাকার তাঁতশিল্প উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের জামদানি, খুলনার মাদুর, সিলেটের শীতল পাটি আমাদের সবার পরিচিত। বাংলাদেশের মৃৎশিল্পীদের তৈরি পোড়ামাটির কলস, হাঁড়ি, পাতিল, সানকি, ফুলদানি, পুতুলও আমাদের লোকশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
গ্রামের ঘরে ঘরে শিকা, হাতপাখা, বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র, কাপড়ের পুতুলও আমাদের দেশের মানুষের রুচির পরিচায়ক। লোকশিল্প যেমন আমাদের দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে তেমনি বিদেশি মুদ্রা উপার্জনেও অবদান রাখে। এর ভেতর দিয়ে দেশের অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব। তাই লোকশিল্পের সংরক্ষণ ও স¤প্রসারণের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৬১-১৮৫ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৪১-১৬০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১২১-১৪০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | বোর্ড ভিত্তিক অনুবাদ ১০১-১২০ | PDF Download
২৩. পরিবেশ দূষণ [ঢা. বো. ১৫]
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর। জীবনযাপন তাই এখন অনেক আধুনিক, অনেক সহজ। কিন্তু তা করতে গিয়ে মানুষ পরিবেশ ধ্বংসের নেতিবাচক দিকে লক্ষ রাখছে না। মানুষসহ অন্যান্য জীবজন্তু পরিবেশও প্রকৃতির অংশ। প্রকৃতির দানেই মানুষ নানা আঙ্গিকে নিজের জীবনকে সাজিয়ে তুলেছে। অথচ অবিবেচক মানুষদের কারণেই পরিবেশ আজ ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
পরিবেশ দূষণ মূলত দুটি কারণে ঘটে। একটি হচ্ছে প্রাকৃতিক কারণ আর অন্যটি মানবসৃষ্ট কারণ। বর্তমান সময়ে পরিবেশ দূষণের পেছনে মানুষের ভ‚মিকাই সবচেয়ে বেশি। জনসংখ্যার বিস্ফোরণের কারণে প্রাকৃতিক সম্পদ- বায়ু, পানি, মাটির ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। বনজ সম্পদ ধ্বংসে রীতিমতো উৎসব চলছে বিশ্বজুড়ে। ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বাতাসে ধুলোবালি, কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া, কীটনাশক ইত্যাদির উপস্থিতি বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। কলকারখানার বর্জ্য, কীটনাশক ইত্যাদি পানিকে করে তুলেছে বিষাক্ত। হাজারো রকমের উৎকট শব্দের কারণে শব্দদূষণ ঘটছে। নষ্ট হচ্ছে মনের শান্তি। ক্ষতিকর রাসায়নিক ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলায় দূষিত হচ্ছে মাটি। এভাবে দূষিত হতে থাকলে একসময় পরিবেশের ভারসাম্য সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যাবে।
ফলে এই বিশ্ব জীবের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে। অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আজ মারাত্মক হুমকির মুখে। বিশ্বের পরিবেশবাদীরা চেষ্টা করছেন এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে। নেওয়া হচ্ছে নানামুখী পদক্ষেপ।
উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ-এ দুয়ের মাঝে সমন্বয় সাধনের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে জনসংখ্যার বৃদ্ধি রোধ ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা ব্যাপক ভিত্তিতে তৈরি না হলে পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব হবে না। পরিবেশ দূষণ যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সবারই ভ‚মিকা রাখা উচিত। সকলের সচেতনতাই আমাদের পরিবেশকে সুস্থ ও সুন্দর করে তুলতে পারে।
২৪. যানজট [দি. বো. ১৫]
যানজট বলতে বোঝায় যানবাহনের জট। রাস্তায় যানবাহন যখন স্বাভাবিক গতিতে চলতে না পেরে অস্বাভাবিক জটের সৃষ্টি করে তখন তাকেই আমরা যানজট বলে থাকি। যানজট জনবহুল এই বাংলাদেশের এক বিরাট সমস্যা। এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায় শহরগুলোতে, বিশেষত রাজধানী ঢাকাতে। যানজটের সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার শহরাঞ্চলের প্রতিটি মানুষ।
জীবন জীবিকার প্রয়োজনে শহরগুলো প্রতিনিয়ত মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। জনগণের প্রয়োজনের সাথে তাল মিলিয়ে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা তৈরি করছে যানজট। এছাড়া রাস্তার স্বল্পতা, অপ্রশস্ততা, অপরিকল্পিত নগরায়ন, ট্রাফিক আইন অমান্য করাই হচ্ছে যানজটের অন্যতম কারণ। যানজটের ফলে নষ্ট হয় অসংখ্য কর্মঘণ্টা।
প্রয়োজনীয় কাজগুলো যথাসময়ে করা সম্ভব হয় না। প্রায়ই ঘটে মারাত্মক সব দুর্ঘটনা। এভাবে যানজটের কারণে ব্যক্তি, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যানজট সমস্যা দূর করার জন্য অত্যন্ত কঠোরভাবে ট্রাফিক আইন পালন করাই হতে পারে এক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ।
নগর উন্নয়নের জন্য পরিচালিত কর্মকাণ্ডগুলোও হওয়া উচিত সুপরিকল্পিত। শহরগুলোর যানজট সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কোনো বিকল্প নেই।
২৫. কম্পিউটার
বিবর্তনের সোপান বেয়ে আসে সভ্যতা। এর ফলে সৃষ্টি হয় নানা বিস্ময়কর জিনিস। বর্তমানে আমরা কম্পিউটারের যুগে উত্তীর্ণ হয়েছি। কম্পিউটার যুগ বলতে বোঝায় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যুগ। আর কম্পিউটার হচ্ছে এমন একটি যন্ত্র, যা মানুষের মস্তিষ্কের বিকল্প। কম্পিউটার ক্ষুদ্র-বৃহৎ সকল কাজ অনুগত ভৃত্যের মতো হুকুম তামিল করতে সদা প্রস্তুত।
কম্পিউটারের মাধ্যমে জীবনযাত্রার সকল পর্যায়ের অত্যন্ত জটিল কাজ খুব সহজেই সমাধান করা সম্ভব। কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি কম্পিউটার এমন হিসাবÑনিকাশ করতে পারে যা একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গণিতজ্ঞের কয়েক বছর সময় প্রয়োজন হবে। দ্রæততম কম্পিউটারগুলো লক্ষ লক্ষ সমস্যা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সমাধান করতে পারে। কোনো ধরনের ত্রæটি ছাড়াই এটি একই সময়ে অনেকগুলো কার্যক্রম চালাতে পারে।
আজকাল কম্পিউটার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি ব্যবসা চালাতে পারে, শিক্ষা প্রদান করতে পারে, বিমান চালাতে পারে, এমনকি সংগীত সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের উচিত দেশের উন্নয়নের জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা। তাহলেই আমরা একটি প্রযুক্তিনির্ভর, বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক জাতি গড়তে পারব।
২৬. ইন্টারনেট
আধুনিক যোগাযোগের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নাম ইন্টারনেট। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। টেলিকমিউনিকেশন অবকাঠামো ব্যবহার করে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলো ইন্টারনেট। বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে বহুল আলোচিত ও সবচেয়ে গতিশীল যোগাযোগ ব্যবস্থা এটি। ইন্টারনেটকে বলা হয় নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক।
ইন্টারনেটের অবদানের ফলে এক যুগ আগে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যা ছিল অসম্ভব বা অকল্পনীয়, বর্তমানে তা চোখের পলকে সাধিত হচ্ছে। তথ্য আদান-প্রদান থেকে শুরু করে বিশ্বের সকল প্রান্তের মানুষের সাথে আড্ডা, সম্মেলন, শিক্ষা, বিপণন, অফিস ব্যবস্থাপনা, বিনোদন ইত্যাদি ইন্টারনেটের সাহায্যে করা যাচ্ছে। মাল্টিমিডিয়ার বিকাশের সাথে সাথে প্রতিদিন এর সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হচ্ছে।
এক দেশের মানুষ ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্য দেশের চিকিৎসকের নিকট থেকে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এক দেশে বসে অন্য দেশে জিনিসপত্র কেনাকাটা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ঘরে বসেই কোনো শিক্ষার্থী বিশ্বের বড় বড় লাইব্রেরির শ্রেষ্ঠ বইগুলো পড়তে পারছে। অল্প খরচে পৃথিবীর এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে।
মানুষ তার জীবনকে অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করতে সক্ষম হচ্ছে ইন্টারনেটের কল্যাণেই। বাংলাদেশও এই প্রযুক্তিতে পিছিয়ে নেই। ইন্টারনেটের প্রতি মানুষের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ব্যবহারে শিক্ষা, অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে আসছে আধুনিকতা। মোটকথা, ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও যোগাযোগে সেতুবন্ধ সৃষ্টি করেছে।
২৭. শীতের সকাল
শীতের সকাল অন্যসব ঋতু থেকে আলাদা। কুয়াশার চাদরে মোড়া শীতের সকাল হাড় শীতল করা ঠাণ্ডা নিয়ে দেখা দেয়। এ সময় এক ফালি রোদ সকলের কাছে বহুল প্রতীক্ষিত হয়ে ওঠে। শীতের সকালে মানুষের মাঝে এক অজানা অলসতা ভর করে। লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকাতেই যেন তখন স্বর্গীয় সুখ অনুভ‚ত হয়। কুয়াশার অন্ধকারে সূর্যদেবতার দেখা পাওয়া ভার।
তাই সকালের উপস্থিতি টের পাওয়াও কষ্টকর। কিন্তু জীবনের বাস্তবতা শীতকেও দূরে সরিয়ে দেয়। তাই আড়মোড়া ভেঙে উঠতেই হয় সকলকে। নিজেকে তৈরি করে নিতে হয় কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। শীতের সকালে প্রকৃতি ও প্রাণীর মধ্যে এক ভিন্ন আমেজ লক্ষ করা যায়। মানুষ, জীবজন্তু, পাখ-পাখালি শীতের বেলায় সূর্যের প্রত্যাশায় প্রহর গুনতে থাকে। শীতের সকালের প্রকৃত আনন্দ গ্রামীণ জীবনেই খুঁজে পাওয়া যায়।
বাংলার গ্রামগুলোতে শীতের সকাল বেশ মনোরম হয়। গ্রামের মাঠে মাঠে শীতের প্রভাব বেশ চোখে পড়ে। শীতের কুয়াশা ভেদ করে নিজ নিজ গৃহপালিত প্রাণীদের নিয়ে বের হয় গ্রামের কর্মঠ মানুষেরা। সূর্যের দেখা পাওয়া মাত্রই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রোদ পোহাতে শুরু করে। গ্রামের মানুষেরা খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীতকালে উষ্ণতা খুঁজে ফিরে। শীতের সকালে গ্রামের সবচেয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত হলো পিঠা-পুলি খাওয়ার মুহূর্ত।
গাছে গাছে খেজুরের রসের হাঁড়ি ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায়। এ রস দিয়ে নানা রকম পিঠা বানানো হয়। গ্রামীণ জীবনের আবেদন ইট-কাঠ-পাথরের শহুরে জীবনে পাওয়া যায় না। শহরে দেখা যায় বারান্দায় বসে রোদ পোহানোর দৃশ্য কিংবা গরম চায়ের পেয়ালা হাতে নিয়ে খবরের কাগজ পড়ার দৃশ্য। লেপ জড়ানো কর্মব্যস্ত মানুষ নির্দিষ্ট সময়ের পরেও আরও একটু ঘুমিয়ে নিতে চায়। কিন্তু জীবিকার টানে তকে আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠতেই হয়। সর্বোপরি সকলের কাছেই শীতের সকাল হয়ে ওঠে বৈচিত্র্যময়।
২৮. বিশ্বায়ন
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বায়ন বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। বিশ্বায়ন মূলত পারস্পরিক ক্রিয়া ও আন্তঃসংযোগ সৃষ্টিকারী একটি পদ্ধতি। বিভিন্ন জাতির সরকার, প্রতিষ্ঠান ও জনগণের মাঝে এটি সমন্বয় সাধন ও মিথস্ক্রিয়ার সূচনা করে। এই পদ্ধতির চালিকাশক্তি হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি। পরিবেশ, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক পদ্ধতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রগতি এবং মানবিক ও সামাজিক অগ্রগতি; সবকিছুর ওপরই এর সুস্পষ্ট প্রভাব লক্ষ করা যায়।
জাতীয় অর্থনৈতিক কাঠামোকে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সাথে একীভ‚তকরণের প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে ‘বিশ্বায়ন’ শব্দটির অধিকতর ব্যবহার হয়ে থাকে। অনেকে এ প্রক্রিয়াকে নতুন হিসেবে উল্লেখ করে একে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে বহু পূর্ব থেকেই এ প্রক্রিয়াটি বিশ্ব জুড়ে চলমান রয়েছে। সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারার মধ্যেই এর উৎস নিহিত ছিল।
সপ্তদশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্ভবের ফলে এর ক্ষেত্র অধিকতর প্রসারিত হয়। গত পঞ্চাশ বছরে এ প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি গতি লাভ করেছে। বিশ্বায়নের ফলে বৈশ্বিক ব্যবসায়-বাণিজ্যসহ সকলক্ষেত্রে অভ‚তপূর্ব বিপ্লব সাধিত হয়েছে। এক দেশের পণ্য অন্য দেশে বসে সহজেই আমরা পেয়ে যাচ্ছি। প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থার কারণে পণ্যের দামও থাকছে হাতের নাগালে।
তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের ফলে জ্ঞানার্জনের পথ হয়েছে প্রশস্ত। দারিদ্র্য, অজ্ঞানতা ও অপশাসন দূর করে বিশ্বকে একটি শান্তিপূর্ণ আবাসস্থল করার ক্ষেত্রে বিশ্বায়ন একটি বড় সুযোগ। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ্বের সব জাতি একযোগে এ সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তবে ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি বিশ্বায়নের কিছু নেতিবাচক দিকও আমাদের চোখে পড়ে।
তুলনামূলকভাবে এগিয়ে থাকা দেশগুলো বিশ্বায়নকে নিজেদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এর ফলে হাতে গোনা কিছু পুঁজিপতিরা লাভবান হচ্ছে। গরিব হচ্ছে আরও গরিব। তবে বিশ্বায়নের ভালো দিকগুলোর উপযোগিতা অনস্বীকার্য। আমাদের উচিত এই ইতিবাচক দিকগুলোর প্রতি মনোযোগী হয়ে অর্থনৈতিকভাবে এবং মেধা ও মননে সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে আত্মনিয়োগ করা
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।