HSC | আহ্বান | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর | PDF Download: বাংলা ১ম পত্রের আহ্বান গল্পটি হতে যেকোনো ধরনের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা ১ম পত্রের আহ্বান গল্পটি হতে গুরুপূর্ণ কিছু জ্ঞান ও অনুধাবনমূলকপ্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
আহ্বান | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর সমুহ:
ক জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পাস করেন কত সালে?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯১৪ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন।
২. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পরীক্ষায় কোন বিভাগে উত্তীর্ণ হন?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
৩. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন কোন জেলায়?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় চব্বিশ পরগনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
৪. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেশা কী ছিল?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেশা ছিল শিক্ষকতা।
৫. ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের লেখক কে?
উত্তর : ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
৬. “আহ্বান” গল্পের গল্পকথকের পৈতৃক বাড়ির ভিটিতে কী গজিয়েছে?
উত্তর : “আহ্বান” গল্পের গল্পকথকের পৈতৃক বাড়ির ভিটিতে জঙ্গল গজিয়েছে।
৭. ‘আহ্বান’ গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তর : ‘আহ্বান’ গল্পটি ‘বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের’ রচনাবলি থেকে।
৮. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৫০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৯. ঘর করবার জন্য গল্পকথকের বাবার বন্ধু কোন জিনিস দিয়েছিল?
উত্তর : ঘর করবার জন্য গল্পকথকের বাবার বন্ধু খড়, বাঁশ দিয়েছিল।
১০. গল্পলেখকের বাবার বন্ধু গল্পকথককে কেমন ঘর তুলতে বললেন?
উত্তর : গল্পলেখকের বাবার বন্ধু গল্পকথককে চালাঘর তুলতে বললেন।
১১. “আহ্বান” গল্পের গল্পকথক চক্কোত্তি মশাইকে দেখে কী করলেন?
উত্তর : “আহ্বান” গল্পের গল্পকথক চক্কোত্তি মশাইকে দেখে প্রণাম করলেন।
১২. চক্কোত্তি মশাই গল্পকথককে গ্রামে কোন জিনিস করার কথা বললেন?
উত্তর : চক্কোত্তি মশাই গল্পকথককে গ্রামে বাড়িঘর করার কথা বললেন।
১৩. গল্পলেখক কীসের বাগানের মধ্য দিয়ে বাজারে গেল?
উত্তর : গল্পলেখক আম বাগানের মধ্য দিয়ে বাজারে গেল।
১৪. বাজারে যাবার সময় গল্পকথক বৃদ্ধাকে কোথায় দেখতে পেলেন?
উত্তর : বাজারে যাবার সময় গল্পকথক বৃদ্ধাকে আমগাছের ছায়ায় দেখতে পেলেন।
১৫. কে থাকতে বুড়ির গোলাভরা ধান ও গোয়াল ভরা গরু ছিল?
উত্তর : স্বামী থাকতে বুড়ির গোলাভরা ধান ও গোয়াল ভরা গরু ছিল।
১৬. বৃদ্ধা নড়ি ঠকঠক করতে করতে কোথায় যাচ্ছিল?
উত্তর: বৃদ্ধা নড়ি ঠকঠক করতে করতে বাজারে যাচ্ছিল।
১৭. বৃদ্ধা বুড়িকে দেখা মাত্রই গল্পলেখক কী করলেন?
উত্তর: বৃদ্ধা বুড়িকে দেখামাত্রই গল্পলেখক দাঁড়িয়ে গেলেন।
১৮. ‘তিনি থাকতে অভাব ছিল না কোন জিনিসের’“আহ্বান” গল্পে এ উক্তিটির ‘তিনি’ কে?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পে এই ‘তিনি’ হলেন বুড়ির স্বামী।
১৯. “আহ্বান” গল্পের বুড়ির স্বামী পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পের বুড়ির স্বামী পেশায় করাতি ছিলেন।
২০. স্বামী মারা যাবার পর আপন বলতে জগতে বুড়ির কে বর্তমান আছে?
উত্তর: স্বামী মারা যাবার পর আপন বলতে জগতে বুড়ির বর্তমান আছে এক নাতজামাই।
২১. বুড়ি কাকে উঠোনের কাঁঠালতলায় আপন মনে বকে গেল?
উত্তর: বুড়ি গল্পকথককে উঠোনের কাঁঠালতলায় আপন মনে বকে গেল।
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | আনিসুজ্জামান | বাংলা ১ম পত্র | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-৯ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | বাংলা ১ম | PDF
২২. বুড়ি গল্পকথকের জন্য ময়লা ছেঁড়া কাপড়ের প্রান্তে বেঁধে কী নিয়ে এসেছিল?
উত্তর: বুড়ি গল্পকথকের জন্য ময়লা ছেঁড়া কাপড়ের প্রান্তে বেঁধে আম নিয়ে এসেছিল।
২৩. “আহ্বান” গল্পের গল্পকথকের সামনে কে দন্তহীন মুখে হাসবার চেষ্টা করল?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পের গল্পকথকের সামনে বুড়ি দন্তহীন মুখে হাসবার চেষ্টা করল।
২৪. গল্পকথক গ্রামে কার বাড়িতে থাকেন?
উত্তর: গল্পকথক গ্রামে এক জ্ঞাতি খুড়োর বাড়িতে থাকেন।
২৫. “আহ্বান” গল্পের বুড়ির স্বামীর নাম কী?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পের বুড়ির স্বামীর নাম জমির।
২৬. কে গল্পকথককে বুড়ির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন?
উত্তর: গল্পকথকের খুড়ো মশায় গল্পকথককে বুড়ির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
২৭. বুড়ির আনা আমগুলোকে কী রকম বলে উলেখ করেছেন?
উত্তর: বুড়ির আনা আমগুলোকে কড়া মিষ্টি বলে উলেখ করেছেন।
২৮. “আহ্বান” গল্পের বুড়িকে কে দুধ দিয়েছিল?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পের বুড়িকে হাজরার বউ দুধ দিয়েছিল।
২৯. “আহ্বান” গল্পের হাজরার বউ বুড়িকে কী বলে ডাকে?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পের হাজরার বউ বুড়িকে মা বলে ডাকে।
৩০. কে বুড়িকে খাবার না দিয়ে খায় না?
উত্তর: হাজরার বউ বুড়িকে খাবার না দিয়ে খায় না।
৩১. হাজরার বউয়ের পেশা কী ছিল?
উত্তর: হাজরার বউয়ের পেশা ছিল ধান ভানা।
৩২. বুড়ি কথিত গোপালকে কী দেখতে যেতে বলে?
উত্তর: বুড়ি কথিত গোপালকে ঘরখানা দেখতে যেতে বলে।
৩৩. বুড়ি গল্পকথকের বসবার জন্য ঘরে কী তৈরি করেছিল?
উত্তর: বুড়ি গল্পকথকের বসবার জন্য ঘরে খেজুর পাতার চাটাই তৈরি করেছিল।
৩৪. গল্পকথক গ্রামে থাকা অবস্থায় কে রোজ সকালে আসতে ভোলে না?
উত্তর: গল্পকথক গ্রামে থাকা অবস্থায় বুড়ি রোজ সকালে আসতে ভোলে না।
৩৫. গল্পকথকের খাবার দুধ কোথা থেকে আসে?
উত্তর: গল্পকথকের খাবার দুধ ঘুঁটি গোয়ালিনীর কাছ থেকে আসে।
৩৬. বুড়ির দৃষ্টিতে ঘুঁটি গোয়ালিনীর দুধে অর্ধেক কী?
উত্তর: বুড়ির দৃষ্টিতে ঘুঁটি গোয়ালিনীর দুধে অর্ধেক জল থাকে।
৩৭. “আহ্বান” গল্পের বুড়ি গল্পকথককে কী নামে ডাকে?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পের বুড়ি গল্পকথককে ‘গোপাল’ নামে ডাকে।
৩৮. অসুস্থ বুড়িকে গল্পকথক কখন দেখতে গেলেন?
উত্তর: অসুস্থ বুড়িকে গল্পকথক বিকেলে দেখতে গেলেন।
৩৯. “আহ্বান” গল্পের বুড়ি কীসের উপর শুয়েছিল?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পের বুড়ি মাদুরের উপর শুয়েছিল।
৪০. বুড়ি কাকে দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গেল?
উত্তর: বুড়ি গোপালকে দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গেল।
৪১. “আহ্বান” গল্পে কার দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পে বুড়ির দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।
৪২. শেষবারে গ্রামে ঢুকতেই গল্পলেখকের কার সাথে দেখা হয়?
উত্তর: শেষবারে গ্রামে ঢুকতেই গল্পলেখকের দিগম্বরীর সাথে দেখা হয়।
৪৩. দিগম্বরী কে?
উত্তর: দিগম্বরী পরশু সর্দারের বৌ।
৪৪. গল্পকথক কার কাছ থেকে প্রথমে বুড়ির মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পায়?
উত্তর: গল্পকথক দিগম্বরীর কাছে থেকে প্রথমে বুড়ির মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পায়।
৪৫. ‘ওর স্নেহাতুর আÍা বহু দূর থেকে আমায় আহ্বান করে এনেছে।’“আহ্বান” গল্পে কার আÍার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পে বুড়ির কথা বলা হয়েছে।
৪৬. “আহ্বান” গল্পে আবদুল, শুকুর, নসরÑএরা লেখকের কী হতেন?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পে আবদুল, শুকুর, নসরÑএরা লেখকের স্কুল জীবনের বন্ধু হতেন।
৪৭. কারা বুড়ির কবর খুঁড়েছে?
উত্তর: দুজন জোয়ান ছেলে বুড়ির কবর খুঁড়েছে।
৪৮. বুড়ি কার জন্য খেজুর পাতার চাটাই বুনে রেখেছিল?
উত্তর: বুড়ি গল্পকথকের জন্য খেজুর পাতার চাটাই বুনে রেখেছিল।
৪৯. বুড়ি কথিত গোপালের জন্য ঘটিতে কী এনেছিল?
উত্তর: বুড়ি কথিত গোপালের জন্য ঘটিতে দুধ এনেছিল।
৫০. “আহ্বান” গল্পের কার মন বুড়ির ডাক তাচ্ছিল্য করতে পারেনি?
উত্তর: “আহ্বান” গল্পের গল্পলেখকের মন বুড়ির ডাক তাচ্ছিল্য করতে পারেনি।
৫১. গল্পকথক কাপড় কিনতে কার কাছে টাকা দিল?
উত্তর: গল্পকথক কাপড় কিনতে বুড়ির নাতজামাইয়ের কাছে টাকা দিল।
৫২. বুড়িকে আনুমানিক কয়টায় দাফন করা হয়েছিল?
উত্তর: বুড়িকে আনুমানিক বেলা বারোটায় দাফন করা হয়েছিল।
৫৩. বুড়িকে কোথায় কবর দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: বুড়িকে একটা প্রাচীন গাছের তলায় কবর দেয়া হয়েছিল।
৫৪. গল্পকথক পকেট থেকে বুড়িকে কী বের করে দিয়েছিল?
উত্তর: গল্পকথক পকেট থেকে বুড়িকে পয়সা বের করে দিয়েছিল।
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | আনিসুজ্জামান | বাংলা ১ম পত্র | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-৯ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | বাংলা ১ম | PDF
৫৫. বাল্যকালে কার মা-পিসি মারা গিয়েছে?
উত্তর: বাল্যকালে গল্পকথকের মা-পিসি মারা গিয়েছে।
খ অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১. চক্রবর্তী মহাশয় গল্পলেখককে কেন চালাঘর তুলতে বললেন?
উত্তর : গ্রামের ছেলে গ্রামে বাস করবেÑচক্রবর্তী মহাশয় এই অভিপ্রায়ে গল্পলেখককে চালাঘর তুলতে বললেন।
গল্পলেখক ছিলেন চক্রবর্তী মহাশয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর একমাত্র ছেলে। বন্ধুটি মারা যাবার অনেকদিন পর তার একমাত্র ছেলেকে দেখে সে অত্যন্ত খুশি হয় এবং বন্ধুর ছেলেটিকে গ্রামে মাঝে-মধ্যে আসার জন্য বাবার ভিটায় অন্তত একটি চালাঘর তোলার পরামর্শ দেয়।
২. ‘সেও তো গরিব লোক।’ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: “আহ্বান” গল্পে গল্পকথক দারিদ্র্যপীড়িত এক অসহায় বৃদ্ধাকে আলোচ্য উক্তিটি করে।
বুড়ি ভালোবেসে তার কথিত গোপালের জন্য তার পাতানো মেয়ের কাছ থেকে খাঁটি দুধ নিয়ে যায়। গোপাল দারিদ্র্যের কারণে বুড়িকে দুধের মূল্য দিতে গেলে বুড়ি ইতস্তত করে। গোপাল বোঝে বুড়ি অর্থের জন্য নয়, হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার জন্যই তার জন্য দুধ নিয়ে আসে। তাই গোপাল বুড়িকে টাকা দিয়ে বলে সেও তো গরিব লোক। বুড়িকে বোঝাতেই গোপাল প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে।
৩. বুড়ি গোপালের জন্য কেন দুধ নিয়ে এসেছিল?
উত্তর: গোপাল যে দুধ খেত তার মধ্যে ভেজাল থাকার কারণে বুড়ি গোপালের জন্য এক ঘটি দুধ নিয়ে এসেছিল।
বুড়ি লেখক তথা গোপালকে বড় বেশি ভালোবাসতো। তাই সে গোপালের খোঁজ খবর নিতে আসতো। গোপাল ঘুঁটি গোয়ালিনীর ভেজাল দুধ খাচ্ছে শুনে বুড়ি ব্যথিত হয়েছিল। তাই পাতানো মেয়ের কাছ থেকে চেয়ে দুধ নিয়ে এসেছিল গোপালের জন্য।
৪. বুড়ি ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখে ধরলেন কেন?
উত্তর: বুড়ি গল্পকথককে ভালোভাবে দেখতে ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখে ধরলেন।
গল্পকথক বাজারে থাকার সময় আম গাছের ছায়ায় এক বৃদ্ধাকে দেখতে পায়। গল্পকথক বৃদ্ধার গ্রামেরই ছেলে। কিন্তু বৃদ্ধা তাকে ভালোভাবে চেনে না। কথোপকথনের এক পর্যায়ে বুড়ি নিজের ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখের ওপর ধরে গল্পকথককে চেনার চেষ্টা করে।
৫. গল্পকথককে বুড়ি চিনতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বয়সের কারণে চোখের দৃষ্টি কমে আসায় বুড়ি গল্পকথককে চিনতে পারে না।
অনেকদিন পর হঠাৎ গ্রামে এসে গল্পলেখক গ্রামের বাজারে যেতে আম গাছের ছায়ায় তারই গ্রামের এক বুড়ির সাথে সাক্ষাৎ হয়। বুড়িকে দেখে গল্পলেখক দাঁড়ালেও বুড়ির দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় এবং লেখক দীর্ঘদিন বাড়িতে না থাকায় তাকে চিনতে পারে না।
৬. ‘দুধ খেতে পাচ্ছ না ভালো, সে বুঝেছি।’Ñকথাটির ভাবার্থ লেখ।
উত্তর: বিভ‚তিভ‚ষণের “আহ্বান” গল্পের বুড়ি দুধের বিশুদ্ধতা নিয়ে গল্পলেখককে এ কথাটি বলেছে।
গ্রামে থাকাবস্থায় গল্পলেখককে ঘুঁটি গোয়ালিনী দুধ দেয়। কিন্তু গোয়ালিনী সম্পর্কে গল্পকথক ভালোভাবে জানে না যে, তার দুধে পানি মেশানো থাকে। গ্রামের বুড়ির সাথে গল্পকথকের বেশ ভাব হয়েছে। তাই বুড়ি দুধের ভেজালের কথা আলোচ্য বাক্যটির মাধ্যমে লেখককে বুঝিয়েছেন।
৭. হাজরার বউ বুড়িকে খেতে দেয় কেন?
উত্তর: হাজরার বউ আন্তরিকতার জন্য বুড়িকে খেতে দেয়।
হাজরার বই ছা-পোষা একজন নারী। সে বুড়িকে ভালোবেসে মা ডেকেছে। তাই উদার মানবিকতার জন্যই সে তার সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের দুমুঠো চাল বুড়ির সাথে একসঙ্গে রান্না করে খায়। এতে হাজরার উদার দৃষ্টিভঙ্গিরই পরিচয় মেলে।
৮. ‘ওই যারে মেয়ে বলি, ও বড় ভাল’ কথাটি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: হাজরার বৌ-এর প্রতি বুড়ির কৃতজ্ঞতাবোধের পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে এখানে।
বুড়ির আপনজন বলতে এই পৃথিবীতে তার এক নাতজামাই ছাড়া কেউ নেই। কিন্তু সেই নাতজামাই বুড়িকে দেখে না। পাতানো এক মেয়ে কষ্ট হলেও তাকে ভরণপোষণ দেয়। তাই গল্পকথক যখন বলে খাওয়া-দাওয়া কোথায় হয়, তখন বুড়ি হাজরার বৌ-এর কথা বলে তার কৃতজ্ঞতাবোধ স্বীকার করে।
৯. বুড়ির দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অনেক প্রতীক্ষার পর গোপাল অসুস্থ বুড়িকে দেখতে আসে বলে বুড়ির দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।
বুড়ি গোপালকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে। তাই তার বিশ্বাস তার এই দুর্দিনে তার øেহের গোপাল হৃদয়ে টানে তার কাছে আসবেই। বুড়ির টানেই শেষ পর্যন্ত গল্পকথক বুড়িকে দেখতে যায়। তাইতো আনন্দে বুড়ির চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।
১০. গল্পকথকের গ্রাম ছাড়ার পর বুড়িকে স্মরণ না থাকার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গ্রাম থেকে ফিরে গল্পকথক আবারও কলকাতায় গিয়ে নিজ কাজে ব্যস্ত থাকায় বুড়িকে ভুলে যান।
গল্পকথক গ্রামে আসার পর বুড়ি যেভাবে তাকে ভালোবেসে আপন করে কাছে টেনেছে, সেভাবে গল্পকথক বুড়িকে আপন ভাবতে পারেনি। তবে বুড়ির প্রতি তার যে মায়ামমতা ছিল না তা কিন্তু নয়। কর্মব্যস্ততার কারণেই বুড়িকে তার স্মরণে আসেনি।
১১. গল্পকথক বুড়িকে পকেট থেকে পয়সা বের করে দিলেন কেন?
উত্তর: বুড়ির অভাব-অভিযোগ আর কষ্টের কথা শুনে গল্পকথক বুড়িকে পকেট থেকে পয়সা বের করে দিলেন।
স্বামী বেঁচে থাকতে বুড়ির কোনো অভাব না থাকলেও বর্তমানে বুড়ির এক নাতজামাই থাকা সত্তে¡ও তার খাবারের কষ্ট। বয়সের ভারে কাজ করার সামর্থ্য নেই। বুড়ির এই কষ্টের কথা শুনে গল্পলেখক নিজ পকেট থেকে মানবতার খাতিরে পয়সা বের করে দিলেন।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।