Class 8 science-2024 || অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম: পরিযায়ী পাখির গুরুত্ব (সমাধান সহ) | Class 8-2024. প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি ২০২৪ সালের নতুন কারিকুলাম এর অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪ কিভাবে পড়তে হবে এবং সঠিক সমাধান সহ সকল প্রশ্নে উত্তর নিয়ে।
যারা এখানো আমাদের ফ্রি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানে না তাদের কাছে পৌছানোর জন্য তোমরা তোমাদের বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে জানিয়ে দেও। যাতে তারাও তোমাদের মতো উপকৃত হতে পারে।
প্রদ্ধেয় শিক্ষক/অভিভাবক সমীপে
- অ্যাক্টিভিটিগুলো PI সংশ্লিষ্ট হওয়ায় শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা অর্জনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।
- শ্রদ্ধেয় শিক্ষক/অভিভাবকগণ ইচ্ছে করলে শিখনযোগ্যতা সংশ্লিষ্ট এসব অ্যাক্টিভিটি শিখনকালীন মূল্যায়নে ব্যবহার করতে পারবেন।
- মূল্যায়ন নির্দেশিকা অনুসরণে অ্যাক্টিভিটিগুলো মূল্যায়ন করে পারদর্শিতার মাত্রা বা স্তর (COA) যাচাই করা যাবে
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাক্টিভিটিগুলোর ক্ষেত্রে PI মাত্রা সংরক্ষণ করে তা অ্যাপেও ইনপুট দেওয়া যাবে।
অ্যাসাইনমেন্ট-২
অ্যাসাইনমেন্ট | নির্দেশনা |
পরিযায়ী পাখির গুরুত্ব সম্পর্কে একটি অ্যাসাইনমেন্ট উপস্থাপন কর। | পরীযায়ী পাখিরা আমাদের পরিবেশের কী উপকার করে তা লিখবে। |
উত্তর : অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম : পরিযায়ী পাখির গুরুত্ব ।
বর্ণনা : পরিযায়ী পাখিরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ও পোকামাকড় নিধন করে। এরা ফুলে ফুলে ঘুরে মাঝে মাঝে পরাগায়ন ঘটায় । এছাড়া এই পাখিরা নৈসর্গিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। পরিযায়ী পাখিরা কৃষি ও পরিবেশের জন্য অনেক উপকারী।
এদের গান ও কলকাকলিতে প্রকৃতি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। এই পাখিদের কিচির মিচিরে পরিবেশ হয়ে ওঠে মুখরিত । বাহারি রঙের এসব পরিযায়ী পাখির খুনসুটি আর ছোটাছোটি যে কারও মনকে উদ্বেলিত করে তোলে । শীতের মৌসুমে প্রকৃতির অপরূপ অলঙ্কার হয়ে ওঠে এ পরিযায়ী পাখির ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলার দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন জলরঙে আঁকা ছবি।
ভ্রমণপিপাসু মানুষ পাখি দেখতে ভিড় করে বিভিন্ন জলাশয়ে। পাখিদের কলকাকলি যেন প্রকৃতির শোভা বাড়িয়ে দেয় অনেকগুণ। তাই বলা যায় বর্ণিল পরিবেশ আর উপকারী দিক বিবেচনায় পরিযায়ী পাখির গুরুত্ব অনেক। তাই আমাদের সকলের উচিৎ এসব পাখিদের প্রতি সদয় আচরণ করা।
অ্যাসাইনমেন্ট-৩
অ্যাসাইনমেন্ট | নির্দেশনা |
চুম্বক সম্পর্কে একটি অ্যাসাইনমেন্ট লিখ। | চুম্বকের প্রাথমিক বর্ণনা, ধর্ম, প্রকারভেদ, ব্যবহার লিখবে। |
উত্তর : অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম : চুম্বক
উদ্দেশ্য : চুম্বক সম্পর্কে ধারণা লাভ করা।
চিত্র : হোয়াইট স্টার্ক
চিত্র : গার্গেনি [শিখনযোগ্যতা ৪.৮.৭; পারদর্শিতা সূচক (PI) ৪.৮.৭.৩] নির্দেশনা
বর্ণনা : চুম্বক এক প্রকার শক্তি। যার প্রভাবে কোনো জড় বস্তুর আকর্ষণ, বিকর্ষণ ও দিক নির্দেশক ধর্ম লাভ করে, ঐ শক্তিকে চুম্বক বলে। অর্থাৎ, যে সকল বস্তুর আকর্ষণ ও দিক নির্দেশক ধর্ম আছে, তাদেরকে চুম্বক বলে। চুম্বকের মেরু অঞ্চলে অর্থাৎ দুই মেরুতে আকর্ষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। ড. গিলবার্ট ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে চুম্বক ও চুম্বক মেরুর ধর্ম থেকে প্রমাণ করেন যে, পৃথিবী একটি বিরাট চুম্বক । এজন্য চুম্বক সবসময় উত্তর-দক্ষিণে অবস্থান করে।
Class 8 science-2024 || অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম: পরিযায়ী পাখির গুরুত্ব (সমাধান সহ)
আরো দেখুন
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য ।। বরিশাল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এর ইতিহাস ও সংস্কৃতি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। বরিশালকে বলা...
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়।। শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। এখানে কিছু ধাপ...
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
চুম্বকের ধর্ম : চুম্বকের সম মেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীত মেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে। চুম্বক সর্বদা উত্তর ও দক্ষিণমুখী হয়ে থাকে । একটি দণ্ড চুম্বককে যত টুকরাই করা হোক না কেন তা সর্বদা উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু সৃষ্টি।
চুম্বকের প্রকারভেদ : চুম্বক ২ প্রকার। যথা-
১. প্রাকৃতিক চুম্বক : প্রকৃতিতে বা খনিতে যে চুম্বক পাওয়া যায় তাকে প্রাকৃতিক চুম্বক বলে । এ চুম্বকের চুম্বকত্ব স্থায়ী ও শক্তিশালী হয় না । ২. কৃত্রিম চুম্বক : মানুষের কাজের উপযোগী বিভিন্ন চুম্বক পদার্থ ব্যবহার করে পরীক্ষাগারে বিভিন্ন আকার আকৃতির যে সকল চুম্বক তৈরি করা হয় তাকে কৃত্রিম চুম্বক বলে।
কৃত্রিম চুম্বক আবার দুই প্রকার। যথা—
- অস্থায়ী চুম্বক : চুম্বক পদার্থকে কোনো চুম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে আনলে চুম্বকে পরিণত হয়। চুম্বক ক্ষেত্রটি সরিয়ে নেওয়ার সাথে সাথে এর চুম্বকত্ব লোপ পায়। এটি সাধারণ কাঁচা ও নরম লোহা দিয়ে তৈরি। কলিং বেল, বৈদ্যুতিক ঘণ্টা, মটর, স্পিকার, জেনারেটর, ট্রান্সফর্মার ইত্যাদি তৈরিতে অস্থায়ী চুম্বক ব্যবহার করা হয়।
চিত্র : প্রাকৃতিক চুম্বক
চিত্র : কৃত্রিম চুম্বক
- স্থায়ী চুম্বক : চুম্বকক্ষেত্র সরিয়ে নিলেও যে কৃত্রিম চুম্বকের চুম্বকত্ব সহজে লোপ পায় না, তাকে স্থায়ী চুম্বক বলে। লোহা, নিকেল, কোবাল্ট, তামা ইত্যাদির মিশ্রণ দিয়ে বর্তমানে শক্তিশালী স্থায়ী চুম্বক তৈরি করা হচ্ছে।
চুম্বকত্ব : চুম্বকের আকর্ষণীয় ও দিক নির্দেশক ধর্মকে চুম্বকত্ব বলে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, চুম্বকত্ব হলো একটি গতিশীল আধানের প্রভাব। যা উত্তর মেরু থেকে লম্বভাবে বের হয়ে দক্ষিণ মেরুতে যায়। চুম্বকত্ব চুম্বকের একটি ভৌত ধর্ম
চুম্বকের ব্যবহার :
১. দিক নির্ণায়ক কম্পাস তৈরিতে চুম্বক ব্যবহার করা হয়।
২. রাডারে, ট্রান্সফর্মারে চুম্বক ব্যবহার করা হয়।
৩. বৈদ্যুতিক ঘণ্টা ও মোটরে চুম্বক ব্যবহার করা হয়।
৪. মাইক্রোফোন ও লাউড স্পিকারে চুম্বক ব্যবহার করা হয় ইত্যাদি ।
প্রতিবেদন প্রণয়ন
মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণে একক ও দলগত কাজ
প্রতিবেদন-১ : পরিযায়ী পাখির প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর ।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : পরিযায়ী পাখি নিয়ে সচেতনতা আসুক।
প্রতিবেদনের নাম : নাম : মহিদুল ইসলাম; শ্রেণি : ৮ম; রোল : ৪; শাখা : ক
প্রতিবেদনের তারিখ : ০৭-০২-২০২৪
বর্ণনা : শান্ত জলের বুকে লাল শাপলার গালিচা ও কচুরিপানার রক্তাক্ত নীল ফুলের মাঝে ঝাঁক বেঁধে ডানা মেলে পরিযায়ী পাখির দল। পাখির কিচির মিচিরে মুখরিত পরিবেশ। বাহারি রঙের এসব পরিযায়ী পাখির খুনসুটি আর ছোটাছুটি যে কারও মনকে উদ্বেলিত করে তোলে।
শীতের মৌসুমে প্রকৃতির অপরূপ অলঙ্কার হয়ে ওঠা এ পরিযায়ী পাখির ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলার দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন জলরঙে আঁকা ছবি। প্রতি শীতে দূর-দূরান্ত থেকে পাখিরা আসে আমাদের দেশে।
ভ্রমণপিপাসু মানুষ পাখি দেখতে ভিড় করে বিভিন্ন জলাশয়ে। পাখিদের কলকাকলি যেন প্রকৃতির শোভা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। গাছের সবুজ, জলের নীল আর পাখিদের নানা রং মনে যে বর্ণিল আবেশ তৈরি করে তার রেশ রয়ে যায় অনেক দিন।
আন্তর্জাতিকভাবে জলচর পাখির জন্য স্বীকৃত ২৮টি জায়গা বাংলাদেশের সীমানায় রয়েছে। শীত এলেই এসব স্থানসহ বিভিন্ন জলাশয়, হাওর, বাঁওড়, বিল ও পুকুরের পাড়ে চোখে পড়ে নানান রংবেরঙের নাম জানা, অজানা পাখির।
পরিযায়ী এই পাখিদের আমরা আদর করে অতিথি পাখি বলে থাকি। অথচ বেআইনি ক্ষুদ্র আনন্দের শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হয় এই অতিথি পাখিগুলোর। পরিযায়ী এই পাখিগুলো আমাদের বন্ধু, আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের গর্ব। তাই এ পাখিগুলোকে অচেনা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমাদের বন্ধুসুলভ আচরণ করা দরকার। এই পাখিগুলো রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব ।
আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে। এক শ্রেণির লোভী ব্যক্তিদের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য দুর্লভ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। জালের ফাঁদ পেতে, বিষটোপ এবং ছরার গুলি দিয়ে নির্বিচারে ও নির্মমভাবে এসব পাখি শিকার চলছে প্রতিনিয়ত।
কেউ শখের বশে আবার কেউ বাজারে বিক্রির জন্য পরিযায়ী পাখিদের হত্যা করছে। পরিযায়ী পাখিদের বিচরণভূমি ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। বন-জঙ্গল কেটে উজার করে ফেলায় পাখিরা হারাচ্ছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়। আবার ফসলি জমিতে কৃত্রিম সার এবং মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে পরিযায়ী পাখিরা বিষে আক্রান্ত কীটপতঙ্গ খেয়ে মারা যাচ্ছে।
উপকূলে চিংড়ি চাষের ফলেও পরিযায়ী পাখিদের বিচরণক্ষেত্র সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। আশঙ্কাজনক হারে আমাদের দেশে শীতে পাখি আসার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ক্যামেরার ক্লিক বা নীরবতা ভঙ্গ করলেও পাখিরা বিরক্তবোধ করে এবং অন্যত্র চলে যায়। আমরা পাখির নাচ-গাচ আর ওড়াউড়ি দেখব এবং উপভোগ করব। তবে সীমার মধ্যে সতর্ক থেকে।
আইন প্রয়োগে আমাদের আরও কঠোর হতে হবে। তবে আমরা সচেতন না হলে আইনে খুব একটা সফলতা পাওয়া যাবে না। প্রশাসনের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলা কবিতার সেই বিখ্যাত লাইনটি আমাদের মনে রাখতে হবে- “আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?” পরিযায়ী পাখিদের জন্য পরিবেশ ও আবাসস্থল রক্ষায় নিজেদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি আমাদের কর্তব্য হবে নিজ নিজ পরিবেশে আশেপাশের মানুষদেরও পরিযায়ী পাখিদের বিষয়ে সচেতন করে তোলা অর্থাৎ সবাইকে জাগিয়ে তোলা ।
তথ্য সূত্র : অনুসন্ধানী পাঠ (অষ্টম শ্রেণি), http://en.wikipedia.org/wiki/migratory bird
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।