Class 8 | ৮ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা সংক্ষেপে প্রশ্নোত্তর ২০২৪ | Class 8 Islam Shikkha | সমাধান : অষ্টম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা এর অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সমাধানগুলো গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
ধরন ৩ সংক্ষেপে উত্তর দাও।
প্রশ্ন ১। আকাইদ কাকে বলে?
উত্তর : ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহ যেমন আল্লাহ তা’আলা, নবি-রাসুল, ফেরেশতা, আখিরাত ইত্যাদির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাকে আকাইদ বলে ।
প্রশ্ন ২। আল-আসমাউল হুসনা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তা’আলার গুণবাচক নামসমূহকে একত্রে আল-আসমাউল হুসনা বলা হয় ।
প্রশ্ন ৩। তাওয়াব কাকে বলে?
উত্তর : যিনি সর্বদা তাওবাকারীর তাওবা কবুল করেন তাকে তাওয়াব বলে ।
আরো দেখুন
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য ।। বরিশাল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এর ইতিহাস ও সংস্কৃতি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। বরিশালকে বলা...
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়।। শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। এখানে কিছু ধাপ...
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
প্রশ্ন ৪। ‘আল্লাহ্র জাব্বারুন’ অর্থ কী?
উত্তর : জব্বার শব্দের অর্থ পরম শক্তিধর, পরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, অতি স্নেহশীল ইত্যাদি। আল্লাহ্ জাব্বারুন অর্থ আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, মহিমান্বিত ও পরম স্নেহশীল ।
প্রশ্ন ৫। আল্লাহু সামাদুন অর্থ কী?
উত্তর : সামাদুন শব্দের অর্থ অমুখাপেক্ষী। আল্লাহু সামাদুন অর্থ আল্লাহু অমুখাপেক্ষী। আল্লাহ তা’আলা কারও মুখাপেক্ষী নন । তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ ।
প্রশ্ন ৬। আল্লাহু ওয়াদুদুন অর্থ কী?
উত্তর : আল্লাহু ওয়াদুদুন অর্থ আল্লাহ পরম প্রেমময় ও স্নেহপরায়ণ। এ সম্পর্কে আল কুরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেন, “এবং তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, প্রেমময়।
প্রশ্ন ৭। আল্লাহু কাদিরুন অর্থ কী?
উত্তর : কাদিরুন শব্দের অর্থ সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমতাধর । আল্লাহু কাদিরুন অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সবকিছু সুন্দরভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং এগুলো সুনিপুণভাবে পরিচালনাও করছেন।
প্রশ্ন ৮। রিসালাত-এর সংজ্ঞা দাও।
উত্তর : ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ তা’আলার বাণী, আদেশ- নিষেধ মানুষের নিকট পৌছানোর দায়িত্বকে রিসালাত বলা হয়।
প্রশ্ন ৯। রাসুল কাকে বলে?
উত্তর : আল্লাহ তা’আলা যাদের প্রতি আসমানি কিতাব নাযিল করেছেন কিংবা নতুন শরিয়ত প্রদান করেছেন, তাদেরকে রাসুল বলে ।
প্রশ্ন ১০। নবি কাকে বলে?
উত্তর : আল্লাহ তা’আলা যাদের প্রতি কোনো আসমানি কিতাব নাযিল করেননি কিংবা যাকে কোনো নতুন শরিয়ত দেওয়া হয়নি বরং পূর্বের রাসুলের শরিয়তই প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন তাদেরকে নবি বলা হয় ।
প্রশ্ন ১১। রিসালাতে বিশ্বাস অর্থ কী?
উত্তর : নবি-রাসুলগণ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যেসব দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে পৃথিবীতে এসেছেন বা তারা মানুষের নিকট আল্লাহর যে বাণী প্রচার করেছেন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করাই হলো রিসালাতে বিশ্বাস । আল্লাহ তা’আল আর হাদিসে অ আল-আসমাউল নামগুলো আল্প এর মাধ্যমে জানতে পারি।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হন। নিয়মিত শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে।
প্রশ্ন ১২। আল্লাহ তা’আলা নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন কেন?
উত্তর : মানবজাতিকে হেদায়েতের পথ দেখানোর জন্য আল্লাহ্ তা’আলা যুগে যুগে নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন।
প্রশ্ন ১৩। খতমে নবুওয়াত কী?
উত্তর : খতম শব্দের অর্থ শেষ বা সমাপ্ত। আর নবুওয়াত অর্থ পয়গম্বারি, নবিগণের দায়িত্ব ইত্যাদি। পৃথিবীতে নবি-রাসুলগণের আগমনের এ ক্রমধারার সমাপ্তিকে খতমে নবুওয়াত বলা হয় ।
প্রশ্ন ১৪। খাতামুন নাবিয়্যিন কাকে বলা হয়?
উত্তর : আমাদের প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে খাতামুন নাবিয়্যিন বলা হয় । তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি । তারপরে আজ পর্যন্ত কোন নবি আসেনি এবং কিয়ামত পর্যন্ত আসবেনও না।
প্রশ্ন ১৫। ইমাম মাহদি (আ.)-এর আগমন সম্পর্কে বিবরণ দাও ।
উত্তর : যে বছর রমযান মাসের প্রথমদিকে সূর্যগ্রহণ এবং রমযান মাসের শেষের দিকে চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা ঘটবে, সেই বছরই ইমাম মাহদির আবির্ভাব হবে। তিনি শেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মত হিসেবে দুনিয়াতে আসবেন ।
প্রশ্ন ১৬। হযরত ঈসা (আ.) দুনিয়ায় পুনরায় আগমন করবেন কেন?
উত্তর : ইমাম মাহদি (আ.) দুনিয়ায় আবির্ভাবের সাত বছরের মধ্যে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে। দাজ্জাল ও তার বাহিনী মুসলমানদেরকে অসহনীয় অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করলে এ দাজ্জাল বাহিনীকে নির্মূল করার জন্য উম্মতে মুহাম্মাদি হিসেবে হযরত ঈসা (আ.) দুনিয়াতে আগমন করবেন।
প্রশ্ন ১৭। দাজ্জালের আবির্ভাব কবে হবে?
উত্তর : ইমাম মাহদির (আ.)-এর আবির্ভাবের সাত বছরের মধ্যে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে।
প্রশ্ন ১৮। ঈসা (আ.) পৃথিবীতে কোথায় অবতরণ করবেন?
উত্তর : দু’জন ফেরেশতার কাঁধে ভর করে ঈসা (আ.) দামেস্কের একটি মসজিদে অবতরণ করবেন।
প্রশ্ন ১৯। কিয়ামত বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কিয়ামত অর্থ দণ্ডায়মান হওয়া বা ওঠা। ইসলামি পরিভাষায় কবর থেকে মানুষ ওঠে হাশরের ময়দানে আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হওয়াকে কিয়ামত বলা হয় ।
প্রশ্ন ২০। ইয়াওমুল বা’ছ কাকে বলে?
উত্তর : কিয়ামতের দিনে কবর থেকে মৃতের উত্থানকে ইয়াওমুল বা’ছ বা পুনরুত্থান দিবস বলে ।
প্রশ্ন ২১। ইয়াউমুদ্দিন কাকে বলা হয়?
উত্তর : মহান আল্লাহর হুকুমে হযরত ইসরাফিল (আ.)-এর শিক্ষায় ফুৎকারের মাধ্যমে সবাই পুনরায় জীবিত হয়ে হাশরের ময়দানে একত্রিত হবে। এদিন সবাই নিজ নিজ কর্মফলপ্রাপ্ত হবে। তাই এ দিবসকে ইয়াউমুদ্দিন বা কর্মফল দিবস বলে ।
প্রশ্ন ২২। হাশর বলতে কী বোঝ?
উত্তর : বিশ্বজগৎ ধ্বংস হওয়ার অনেক বছর পর আল্লাহ তা’আলা সবাইকে পাপ-পুণ্যের বিচারের জন্য পুনরায় জীবিত করবেন। সেদিন সবাইকে একটি ময়দানে আল্লাহর সামনে একত্রিত করা হবে। একে বলা হয় হাশর ।
প্রশ্ন ২৩। জান্নাত কাকে বলে?
উত্তর : ইসলামি পরিভাষায় আখিরাতে ইমানদার ও নেককার বান্দাদের জন্য যে চিরশান্তির আবাসস্থল তৈরি করে রাখা হয়েছে তাকে জান্নাত বলা হয় ।
প্রশ্ন ২৪। জাহান্নাম কাকে বলে?
উত্তর : ইসলামি পরিভাষায় আখিরাতে কাফির, মুশরিক, মুনাফিক ও পাপীদের শাস্তির জন্য যে স্থান নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে তাকে জাহান্নাম বলা হয় ।
প্রশ্ন ২৫। তাকদির বলতে কী বোঝ?
উত্তর : তাকদির অর্থ ভাগ্য। মানুষের জীবনে যা কিছু ঘটে, তার সবই হয় আল্লাহ তা’আলার নির্ধারিত হুকুমে। এই নির্ধারিত হুকুমকে তাকদির বলা হয়।
প্রশ্ন ২৬। তাকদির কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : তাকদির ২ প্রকার। যথা-১. তাকদিরে মুবরাম অর্থাৎ অপরিবর্তনীয় তাকদির; ২. তাকদিরে মুআল্লাক অর্থাৎ পরিবর্তনযোগ্য তাকদির।
প্রশ্ন ২৭। শাফাআত কাকে বলে?
উত্তর : ইসলামি পরিভাষায় শেষ বিচারের দিন ক্ষমা ও কল্যাণ লাভের জন্য মহান আল্লাহর কাছে নবি-রাসুলগণ, ফেরেশতাগণ ও পুণ্যবান বান্দাগণ কর্তৃক সুপারিশ করাকে শাফাআত বলে ।
প্রশ্ন ২৮। শিরক কী?
উত্তর : ইসলামি পরিভাষায় কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে আল্লাহ তা’আলার সমকক্ষ বা সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলে ।
প্রশ্ন ২৯। শিরকের প্রকারভেদ লেখ।
উত্তর : শিরক ৩ প্রকার। যথা- ১. আল্লাহর সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা; ২. ইবাদাতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে শিরক করা ও ৩. আল্লাহ তা’আলার নাম ও গুণাবলিতে শিরক করা।
প্রশ্ন ৩০। শিরকের পরিণাম কী হবে?
উত্তর : আল্লাহ তা’আলার নিকট সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ হচ্ছে শিরক। এর পরিণাম ভয়াবহ। কেননা পৃথিবীতে যত প্রকার যুলুম আছে শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড়ো পাপ বা যুলুম।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।