Class 6: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান > ষষ্ঠ শ্রেণি ● বাংলা ● অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান এর অধ্যায় ৫ : বুঝে পড়ি লেখতে শিখি, পরিচ্ছেদ ৩ : তথ্যমূলক লেখা ।।
এই অধ্যায়ে আমরা যা শিখব: তথ্যমূলক লেখায় তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে কারও জীবনী, ঐতিহাসিক ঘটনা, ভ্রমণকাহিনি প্রভৃতির বর্ণনা দেওয়া হয়। সেলিনা হোসেন রচিত ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ রচনাটিতে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জীবনী তুলে ধরে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। বেগম রোকেয়ার জন্ম-মৃত্যু সাল, লেখাপড়া, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অবস্থা, ব্যক্তিগত জীবনের নানা বাধাবিপত্তি, বৈবাহিক সম্পর্ক, ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনা, কর্মকা- প্রভৃতি বিষয় সুশৃঙ্খল তথ্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে আলোচ্য রচনাটিতে। যার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বেগম রোকেয়ার জীবনের নানা ধরনের তথ্য জানতে পারবে।
Class 6: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: Class 6: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন:ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুধাবনমূলক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
⚙অভিজ্ঞতা-১ মূল বই: পৃষ্ঠা ৭৬
বলি ও লিখি
‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ রচনায় লেখক যা বলেছেন, তা নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ৭৬)
উত্তর: বেগম রোকেয়া ১৯৮০ সালে রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় মুসলমান সমাজে বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন ছিল না। পর্দাপ্রথার ঝড়াকড়িতে মেয়েদের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। রোকেয়া বড়ো বোন ও বড়ো দুই ভাইয়ের সহায়তায় অনেক লাঞ্ছনা ও গঞ্জনা সহ্য করেও পড়ালেখা চালিয়ে যান।
তারপর ১৮৯৭ সালে ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে বিয়ে হলে স্বামীর সহযোগিতায় তিনি পড়ালেখা চালিয়ে যান। তাঁর সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে ‘পিপাসা’ রচনার মাধ্যমে। তারপর তাঁর বিভিন্ন রচনা বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হতে থাকে।
১৯০৫ সালে ইংরেজি রচনা ‘সুলতানাজ ড্রিম’-এর মাধ্যমে তিনি সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি পান। ১৯০৯ সালে তার স্বামী মারা গেলে স্বামীর নামে গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। এভাবে ধীরে ধীরে নারীশিক্ষা বাড়তে থাকে। বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ১৯৩২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
অভিজ্ঞতা-২ মূল বই: পৃষ্ঠা ৭৬
তথ্যমূলক রচনার প্রস্তুতি তোমরা দলে ভাগ হও। এরপর শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী তোমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসব তথ্য সংগ্রহ করো। সংগৃহীত তথ্য দিয়ে তথ্যমূলক রচনা তৈরি করো। (বাংলা মূলবই পৃষ্ঠা : ৭৬)
উত্তর: নির্দেশ সংগৃহীত তথ্য
১. প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ১. ১৯৪২ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
২. অবস্থান ও কাঠামো ২. শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানায় অবস্থিত।
৩. বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী ৩. বর্তমান শিক্ষক সংখ্যা : প্রধান শিক্ষকসহ একুশ জন। শিক্ষার্থী আটশত।
৪. বিভিন্ন কর্মকা- ৪. বিতর্ক অনুষ্ঠান, কীড়া প্রতিযোগিতা, বার্ষিক নাটক ইত্যাদি হয়।
৫. অর্জন ও কৃতিত্ব ৫. আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রতিবছর চ্যাম্পিয়ন হয়।
৬. প্রতিষ্ঠানের ছবি ৬. (স্কুলের একটি ছবি)
আমাদের বিদ্যালয়ের নাম জাজিরা হাট উচ্চ বিদ্যালয়। স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী জনগণের আপ্রাণ চেষ্টায় এ বিদ্যালয়টি ১৯৪২ সালে স্থাপিত হয়।বিদ্যালয়টি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার ১ নং জাজিরা পৌরসভার জাজিরা হাট নামক স্থানে অবস্থিত।আমাদের বিদ্যালয়ের পরিবেশ খুব সুন্দর। এটি বড় রাস্তার খুব কাছেই অবস্থিত। এর চারদিক বিভিন্ন ফুলের ও কাঠের গাছে ঘেরা।
এখানে পাঠদানের জন্য দশটি কক্ষ রয়েছে। বারান্দার সঙ্গে রয়েছে ফুলের বাগান। এর পরেই সবুজ ঘাসে ছাওয়া খেলার মাঠ। আমরা এখানে খেলাধুলা করি। আমাদের বিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও শিক্ষার মান খুবই উন্নত। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় আটশত শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকসংখ্যা একুশ জন।
তাঁরা সবাই উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে সুশৃঙ্খলার সঙ্গে পড়াশুনা করে। শিক্ষকরা আমাদেরকে নিজেদের সন্তানের মতো ভালোবাসেন। আমরাও শিক্ষকদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। প্রতিবছর এ বিদ্যালয় থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে খুব ভালো ফল অর্জন করে।
আমাদের বিদ্যালয়ে লেখাপড়া ছাড়াও চরিত্র গঠন এবং মানবতাবোধ ও দেশাত্মবোধ জাগ্রত করার জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালানো হয়। খেলাধুলায় আমাদের বিদ্যালয় থানার মধ্যে প্রায় সবসময়ই শীর্ষস্থান অধিকার করে। আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমাদের পুনঃপুন বিজয় তারই প্রমান বহন করছে।
আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের জন্য প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের লেখা নিয়ে স্কুল বার্ষিকী প্রকাশিত হয়। এছাড়া আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বিতর্ক অনুষ্ঠান, বার্ষিক নাটক, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, বার্ষিক মিলাদ মাহফিল, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রভৃতি অনুষ্ঠান হয়। আমাদের বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যে কারণে এটি জাজিরা থানার মডেল স্কুলগুলোর একটি। আমি এ বিদ্যালয়কে অত্যন্ত ভালোবাসি। আমি এ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি কামনা করি।
অধিকতর অনুশীলনের জন্য একক ও দলীয় কাজের সমাধান
কাজ-১ : একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনা নিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ শব্দের একটি তথ্যমূলক লেখা লেখো। লেখার একটি শিরোনাম দাও।
উত্তর:একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনের একটি মহান দিন। এই দিনে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভ করে। আর তার জন্য করতে হয়েছিল তীব্র আন্দোলন এবং দিতে হয়েছিল জীবন। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের প্রাণের চেয়েও প্রিয়।
পাকিস্তানি শাসকবর্গ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চাইলে বাঙালিরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, মিছিল করেছে, সভা-সমাবেশ করেছে। আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে ১৯৫২ সালে গঠন করেছে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’। শাসকগোষ্ঠী ভয় পেয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে জারি করেছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতা ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমেছে। পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকে। অবশেষে সারা দেশের মানুষের তীব্র আন্দোলনের মুখে শাসকগোষ্ঠী বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে বাধা হয়েছে।
ভাষাশহিদদের স্মৃতির উদ্দেশে ২৩ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতারাতি শহিদ মিনার নির্মাণ করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে অনানুষ্ঠানিকভাবে শহিদ শফিউর রহমানের পিতা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে সাহিত্যিক আবুল কালাম শামসুদ্দিন শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন। ২৬ তারিখ অপরাহ্ণে পুলিশ শহিদ মিনারটি ভেঙে ফেলে। পরবর্তীতে রাতে আবার শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়।
কানাডা প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন ‘মাদার ল্যাংগুয়েজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর আবদুস সালাম ও রশিদুল ইসলাম একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁরা বাংলাদেশ সরকারকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানোর অনুরোধ জানান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে খুব দ্রুত এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ইউনেস্কো সম্মেলনে পাঠানো হয়। ইউনেস্কোর ৩১তম সাধারণ অধিবেশনে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর একুশে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনদানের নজির ইতিহাসে নেই। বাংলাভাষীরা সেই অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এ সূত্রেই একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। বাংলা ভাষার ব্যাপক চর্চা ও উৎকর্ষের মাধ্যমে এ সম্মান সমুন্নত রাখতে হবে।
কাজ-২ : মনে করো, তুমি বন্ধুদের সাথে নায়াগ্রা বেড়াতে গিয়েছিলে। তুমি কীভাবে গিয়েছ আর কী দেখেছ তার তথ্য দিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ শব্দের তথ্যমূলক লেখা লেখো।
উত্তর: দেখে এলাম নায়াগ্রা
তোমার নিশ্চয়ই জলপ্রপাতের কথা শুনেছ? জলপ্রপাত দেখার সৌভাগ্য একবার আমার হয়েছিল। নিজের দেশে না, বিদেশের মাটিতে। কানাডায় গিয়েছি। সেখানকার খুব বড় শহর টরন্টো। একদিন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গল্পের মজলিসে কথা উঠল- সবাই মিলে নায়জা দেখতে গেলে কেমন হয়। তখনই সকলে রাজি। কোন দিন যাওয়া হবে তাও ঠিক হলো।
কোথাও যাব বললেই তো হয় না, কীভাবে যাব তা ভাবতে হয়। বাসে করে যাওয়া যায়। কিন্তু বাসে চেপে গেলে নিজের ইচ্ছেমতো যোগানে সেখানে থামা যায় না। অতএব ঠিক হলো যে, কোনো বন্ধুর একটা গাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে।
তাই যাওয়া গেল একদিন। আমেরিকার কিংবা কানাডায় প্রায় সকলেরই নিজের গাড়ি থাকে। আমার বন্ধুরও ছিল। বন্ধুরই এক বিশাল গাড়িতে একদিন চড়ে বসলাম। চলো নায়াগ্রা, চলো নায়াগ্রা। আহ, দেশে ফিরে গিয়ে কী গল্পটাই না করা যাবে।
শাঁ শাঁ করে গাড়ি ছুটতে লাগল। এখানে রাস্তা মোটেই আঁকাবাঁকা থাকে না, রেললাইনের মতো সোজা। ফলে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো সম্ভব হয়।
কিন্তু এত জায়গা থাকতে নায়াগ্রা দেখতেই যেতে হবে কেন? নায়াগ্রা হলো জলপ্রপাত। জলপ্রপাত তো কখনো দেখিনি। শুধু জেনে এসেছি, ঝরনার মতো পাহাড়ের ওপর থেকে পানি নিচে সমতল ভূমিতে গড়িয়ে পড়ে। তবে আকারে অনেক বিশাল। করনা ছোটো, আর জলপ্রপাত বড়ো- এটুকু যা তফাত। উপর থেকে নিচে জল পতনের ব্যাপার দুই জায়গাতেই ঘটছে। জল যদি না-ই পড়ে, তা হলে ঝরনাও হবে না, জলপ্রপাতও হবে না। কিন্তু জল যে নিচে পড়ছে, পড়ে যাচ্ছেটা কোথায়? জলের ধর্ম তো গড়িয়ে যাওয়া। ঝরনার জলও গড়াতে গড়াতে ক্রমশ নদী হয়ে যায়।
কাজ-৩ : কাগজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। কাগজ কীভাবে আবিষ্কৃত হয় তার তথ্য-উপাত্ত দিয়ে একটি ‘তথ্যমূলক লেখা’ লেখো।
উত্তর: কাগজ আবিষ্কার
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যে কয়েকটি জরুরি জিনিসের প্রয়োজন হয়, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কাগজ। কাগজবিহীন জীবন কল্পনা করার চেষ্টা করুন। এটা কি আদৌ সম্ভব? মনে হয় না। এমনকি ইমেইল এবং ডিজিটাল বইয়ের যুগেও কাগজ আমাদের চারপাশে রয়েছে এবং এর ব্যবহারের গুরুত্ব অতীতের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার অতিপ্রয়োজনীয় প্রাতরাশ সারা থেকে শুরু করে খবরের কাগজ, শপিং ব্যাগ, অর্থ, স্টোর রসিদ, সিরিয়াল বান্ধ এবং টয়লেট পেপারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে কাগজের ব্যবহার অনস্বীকার্য। আমরা প্রতিদিন অনেক উপায়ে কাগজ ব্যবহার করি।
প্রাচীন চীনা ইতিহাস থেকে জানা গেছে, সিস লুন (বা কাই জুন) নামে একজন সর্বপ্রথম ১০৫ খ্রিস্টাব্দে কাগজ আবিষ্কার করেন এবং তিনি তৎকালীন হান রাজবংশের সম্রাট হেইদিকে সেটা উপস্থাপন করেছিলেন। তবে পশ্চিম চীন এবং তিব্বতের প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে বোঝা যায়, কাগজের আবিষ্কার বহু শতাব্দী আগেই হয়েছিল।
চীনের প্রাথমিক কাগজ প্রস্তুতকারীরা কাগজ প্রস্তুতের ক্ষেত্রে হেম ফাইবার (এক প্রকার শন জাতীয় উদ্ভিদ) ব্যবহার করত, যা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হতো এবং কাঠের একটি বড় টুকরোর সাহায্যে ডুবিয়ে রাখা হতো। ফলস্বরূপ এটি পাতলা তরলে রূপান্তরিত হলে সেটি একটি সমান্তরাল বাঁশের ছাঁচে ঢেলে দেওয়া হতো।
বাঁশের কাঠামোর উপরে শুকিয়ে যাওয়া ভরল প্রাথমিকভাবে আলগা বোনা কাপড়টি ফাইবারের কাগজে রূপ নিত। এভাবেই মূলত কাগজ তৈরির প্রক্রিয়াটি করা হতো।
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি-JSC এর অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
- আরো পড়ুন: JSC : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর
- আরো পড়ুন: JSC : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি-JSC এর অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
সময়ের সাথে সাথে কাগজ প্রস্তুতকারীরা তাদের কাজের ক্ষেত্রে কিছু নতুনত্ব আনার চেষ্টা করে। তারা এ সময় কাগজ প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বাঁশ, তৃত এবং বিভিন্ন ধরনের গাছের ছালসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করা শুরু করে।
সরকারি রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য একটি হলুদ পদার্থ কাগজ তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করত যা কাগজকে ভিন্ন রং দিত, এই ইম্পেরিয়াল কজের কাগজ অনেকদিন দীর্ঘস্থায়ী হতো এবং এতে করে কাগজকে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যেত।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।