৮ম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ২০২৪ || অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল || Class 8 Shilpo o Sonskriti 2024, প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি ২০২৪ সালের নতুন কারিকুলাম এর অষ্টম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি বই ও গাইড থেকে কিভাবে পড়তে হবে এবং সঠিক সমাধান সহ সকল প্রশ্নে উত্তর নিয়ে।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা যারা এখানো আমাদের ফ্রি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট জাগোরিক সম্পর্কে জানে না তাদের কাছে পৌছানোর জন্য তোমরা তোমাদের বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে জানিয়ে দেও। যাতে তারাও তোমাদের মতো উপকৃত হতে পারে।
অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল
প্রিয় শিক্ষার্থী, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এই বইয়ে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। এই অংশে কৌশলগুলো বিস্তারিতভাবে উদাহরণসহ তুলে ধরা হলো, যা তোমার শিখনকালীন এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বন্ধুখাতা
শিক্ষাথীরা নিজেদের পছন্দমতো ডিজাইন বা নকশা করে যে খাতা বানাবে তার নাম হবে বন্ধুখাতা। এই খাতায় শিক্ষার্থীরা আঁকবে, শিখবে। প্রয়োজন বা পছন্দ অনুযায়ী পত্র-পত্রিকার অংশ, পাতা, ফুল, রঙিন কাগজ ইত্যাদি আঠা দিয়ে লাগিয়ে সংরক্ষণও করে রাখতে পারবে।
বন্ধু খাতায় প্রিয় গান বা নাচের কিছু কথা লিখে রাখতে পারে। এই খাতা বানানোর বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। যে যার ইচ্ছেমতো বন্ধুখাতা তৈরি ও সংরক্ষণ করবে। বন্ধুখাতায় শিক্ষার্থীরা চাইলে অনেক মজার মজার কাজ করতে পারে।
চিত্র : বন্ধুখাতার নমুনা (কভার পাতা)
চিত্র : বন্ধুখাতার নমুনা (ভেতরের পাতা)
পেনসিল স্কেচ
স্কেচ অর্থ খসড়া। পেনসিলে আঁকা খসড়া ছবিকে পেনসিল স্কেচ বলে। পেনসিলের স্কেচের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরন ও বিভিন্ন রঙের পেনসিল ব্যবহার করা হয়। পেনসিল স্কেচের ক্ষেত্রে পেনসিলে হাতের চাপ ধীরে ধীরে কম থেকে বেশি করে টোন বা রং হালকা থেকে গাঢ় তৈরি করা যায়।
আবার, একটি টোনের উপর কয়েকবার টোন দিয়েও হালকা থেকে গাঢ় টোন তৈরি করা যায়। এভাবে পেনসিল স্কেচ করা যায়। এছাড়াও কলম, চারকোল (কাঠ কয়লা), বিভিন্ন রঙের রং পেনসিল ইত্যাদির সাহায্যেও একই পদ্ধতিতে টোন দিয়ে স্কেচ করা ও ছবি আঁকা যায় ।
স্কেচ খাতা
কোনো রং ও যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়া শুধু পেনসিল এবং ইরেজার দ্বারা যা অঙ্কন করা হয় তাকে স্কেচ বলে। মূলত যেকোনো পোশাক, স্থান, বাড়িঘর ইত্যাদি ডিজাইন যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়া শুধু পেনসিল এবং ইরেজার দ্বারা অঙ্কনকে স্কেচ (Sketch) বলে। ‘স্কেচ হলো স্ট্রাকচার, সম্ভাব্য আকৃতি।
স্কেচ খাতা হলো এমন একটি খাতা যেখানে শুধু পেনসিল এবং ইরেজার দ্বারা মূলবস্তুকে লক্ষ রেখে বা না রেখে নিজের ধারণাসমূহকে আকৃতি প্রদান করা হয়। অর্থাৎ, এটি একটি স্থান, ঘটনা, ধারণা, আকৃতি বা রঙের দৃশ্যমান ডায়েরি।
যেকোনো চিত্র বা ছবি আঁকার জন্য যে বই বা খাতা ব্যবহার করা হয় এবং বিভিন্ন প্রকার ছবি দেখে প্রাথমিক চিত্র অঙ্কন করা হয় সেটিই স্কেচ খাতা। স্কেচ খাতা থেকে মানুষের চিন্তার দৃশ্যমান তথ্যাবলি পাওয়া যায় ।
৮ম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ২০২৪ || অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল
আরো দেখুন
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য ।। বরিশাল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এর ইতিহাস ও সংস্কৃতি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। বরিশালকে বলা...
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়।। শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। এখানে কিছু ধাপ...
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
চারু ও কারুকলা
যে কলা বা কারুকাজ বাহ্যিক কাজে লাগে না, কিন্তু মনের তৃপ্তি পাওয়া যায়, তাকে চারুকলা বলে। জীবন জিজ্ঞাসা থেকেই এটি সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য শিক্ষা গ্রহণ প্রয়োজন হতে পারে। যেমন : মোনালিসা, দ্যা লাস্ট সাপার, ম্যাডোনা, সান ফ্লাওয়ার, কাজরী নৃত্য, শেষ বোঝা ইত্যাদি।
অন্যদিকে, যে কলা বা শিল্প প্ৰধানত দৈহিক ও ব্যবহারিক চাহিদা মেটানোর সঙ্গে আনন্দ দান করে, তাকে কারুকলা বলে । কারুশিল্প মানুষের সৃজনশীল কাজ। এটিকে হস্তশিল্পও বলা হয়। নিত্য ব্যবহার্য জিনিসের শৈল্পিক রূপায়ণ হলো কারুকার্য। এটি একটি বিশেষ রীতি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিভিন্ন ধরনের কাঠের আসবাবপত্র, মাটির তৈরি জিনিসপত্র, হাতির দাঁতের তৈরি চিরুনি, শোলা, কাগজ, গোখরা ইত্যাদি।
দৃশ্যকলা
শিল্পের বিভিন্ন রূপ; যেমন- চিত্রকলা, ভাস্কর্য, ফটোগ্রাফি, স্থাপত্য এবং বিভিন্ন কারুশিল্পকে দৃশ্যকলা বলে। দৃশ্যকলা পৃথিবীর যেকোনো দেশের স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি প্রধান অংশ। দৃশ্যকলার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কারু ও চারুশিল্পীরা তাদের নিজ নিজ দেশ, স্থান ও সময়ের চিত্র তুলে ধরেন।
এর মাধ্যমে সময়ের পরিক্রমায় আমরা ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিক ও মেজাজের শিল্পকর্ম দেখতে পাই, যাকে সহজভাবে দৃশ্যকলা নামে অভিহিত করা হয়। সাম্প্রতিককালের পণ্য নকশা, গ্রাফিক ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, কারুকার্য প্রভৃতি বিষয়ও দৃশ্যকলার অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয় ।
পরিবেশনকলা
যে শিল্পকলার মাধ্যমে শিল্পীরা তাদের কণ্ঠ এবং শরীরকে ব্যবহার করে শৈল্পিক অভিব্যক্তি তৈরি করেন, তাকে পরিবেশন শিল্পকলা বা Performing Arts বলে। এটি শারীরিক বা স্থিতিশীল শিল্পবস্তু; যেমন- চিত্রাঙ্কন, ক্যানভাস প্রভৃতি দৃষ্টিধর্মী শিল্পকর্ম থেকে ভিন্ন। পরিবেশন শিল্পকলার বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে; যার সবগুলোই সরাসরি দর্শকের সামনে পরিবেশিত হয়।
পরিবেশন শিল্পকলার মধ্যে নাচ, সংগীত, আবৃত্তি, নাটক, থিয়েটার, জাদু প্রদর্শন, মুকাভিনয়, কথ্য শিল্প, পাপেট অভিনয়, সার্কাস শিল্প, বক্তৃতা, কর্মক্ষমতা শিল্প প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
কোলাজ
কোলাজ হচ্ছে এক ধরনের শিল্পকর্ম। বিভিন্ন বস্তুর টুকরোকে একত্র করে একটি নতুন শিল্পের জন্ম দেওয়াই হচ্ছে কোলাজ। কোলাজ শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ ‘Coller’ থেকে। এর অর্থ হলো কোনোকিছু আঠা দিয়ে আটকানো।
বিভিন্ন উপকরণের সাহায্যে কোলাজ প্রস্তুত করা যায়। যেমন : নিউজ পেপার, ম্যাগাজিন, উল, গাছের পাতা, তুলা, বিভিন্ন রঙের কাগজ ইত্যাদি। এসব উপকরণ প্রয়োজনমতো কেটে বা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করা হয়।
কাটা বা ছেঁড়া টুকরোগুলো আঠার সাহায্যে একটি বোর্ড বা শক্ত কাগজে লাগিয়ে একটি নতুন শিল্প তৈরি করা হয় । এভাবেই কোলাজ তৈরি করা হয়ে থাকে। কোলাজ শিল্পকর্ম যুক্তি, সৃজনশীল, কল্পনাপ্রবণ এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশে সাহায্য করে। এটি জ্ঞান বাড়াতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।
অরিগ্যামি
অরিগ্যামি প্রধানত একটি জাপানিজ শিল্প । জাপানি শব্দ অরি (Ori) মানে হচ্ছে ভাঁজ করা বা মোড়ানো আর কামি (kami) মানে হচ্ছে কাগজ। পরবর্তীতে কামি (kami) থেকে শব্দটা গ্যামি (gami) হয়েছে। কাগজ ভাঁজ করে নতুন কিছু বানানোর শিল্পের নাম হচ্ছে অরিগ্যামি। অরিগ্যামি শুরুতে পরিচিত ছিল ‘অরিকাটা’ নামে।
১৮৮০ সালের পর অরিকাটা পরিচিতি পায় অরিগ্যামি নামে। জাপানের আকিরা ইয়োশিজাওয়াকে আধুনিক অরিগ্যামির জনক বলা হয়। এখন অরিগ্যামি অনেক বেশি নতুনত্বে ভরপুর। তিনি সর্বমোট ১৮টি বই লিখেছেন অরিগ্যামি টেকনিক নিয়ে । বাংলাদেশেও অরিগ্যামির জনপ্রিয়তা রয়েছে।
পোস্টার
কোনো বিষয় বড় কাগজে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে প্রচার করা হলো পোস্টার। এক্ষেত্রে কোনো বিষয় বা ঘটনাকে ভাষা, ছবি, চিহ্ন ব্যবহার করে উপস্থাপন করা হয়। এটি একটি জনপ্রিয় প্রচার মাধ্যম।
কোনো জনসমাগম এলাকায় বা দেয়ালে পোস্টার স্থাপন করে সহজেই প্রচারণা চালানো যায় । চিত্র/ছবি/কোলাজ/কার্টুন/লেখা/পেপার কাটিং ইত্যাদি দিয়ে পোস্টার সাজাতে হয়। পোস্টার ডিজাইনের কৌশল :
১. বড় কাগজে শিট সংগ্রহ করা (পুরাতন ক্যালেন্ডারের পাতা হলেও চলবে)।
২.বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম বা স্লোগান লিখ ।
৩. শিরোনামের ফন্ট তুলনামূলক বড় হতে হবে।
৪. সহজ ও কম শব্দ ব্যবহার করে বিষয়বস্তু তুলে ধরা ।
৫. লেখার সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রাফিক্স বা চিত্র আঁকা
৬. কাগজের বিভিন্ন স্থানে খালি জায়গা রাখা ।
৭. চিত্র/ছবি/কোলাজ/কার্টুন/পেপার কাটিং ইত্যাদি দিয়ে ডিজাইন করা ।
৮. প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের রং ব্যবহার করা প্রভৃতি ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।