৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪| ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর,র প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন | Class 8-2024. প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি ২০২৪ সালের নতুন কারিকুলাম এর ৮ম শ্রেণির ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪ বই এর প্রশ্ন উত্তর ও সমাধান কিভাবে পড়তে হবে এবং সঠিক সমাধান সহ সকল প্রশ্নে উত্তর নিয়ে।
যারা এখানো আমাদের ফ্রি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানে না তাদের কাছে পৌছানোর জন্য তোমরা তোমাদের বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে জানিয়ে দেয়। যাতে তারাও তোমাদের মতো উপকৃত হতে পারে।
ধরন ৩ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন
প্রশ্ন ১। ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক বলতে কী বুঝ?
উত্তর : সম্পূর্ণ পৃথিবী পৃষ্ঠের উপর কোনো কিছুর অবস্থান জানার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক। পৃথিবীর কোনো স্থানের ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক বোঝার জন্য দুই ধরনের কাল্পনিক রেখা ব্যবহার করা হয় যা হলো অক্ষরেখা এবং দ্রাঘিমা রেখা ।
পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিস্তৃত রেখাগুলো হলো অক্ষরেখা যা প্রত্যেকটি সমান্তরাল এবং পূর্ণবৃত্ত। এই বৃত্তগুলো মেরু অভিমুখে ক্রমাগত ছোট হতে হতে উভয় মেরুতে বিন্দুতে পরিণত হয়।
পৃথিবীর উত্তর থেকে দক্ষিণ বরাবর বিস্তৃত রেখাগুলো হলো দ্রাঘিমা রেখা যা প্রত্যেকটি অর্ধবৃত্ত এবং সমান দীর্ঘ। দ্রাঘিমা রেখা এক মেরু থেকে অন্য মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। কোনো স্থানের অক্ষাংশ বা দ্রাঘিমাংশের পরিমাপটি হচ্ছে দুটি সুনির্দিষ্ট প্রসঙ্গ রেখা থেকে তাদের কৌণিক দূরত্ব।
কৌণিক দূরত্ব বলতে দুটি রেখা বা তলের অন্তর্গত কোণকে বোঝায়। একটা নির্দিষ্ট কোণের জন্য একটি নির্দিষ্ট দ্রাঘিমা রেখা আঁকা হয়। তাই একটি দ্রাঘিমা রেখার প্রতিটি বিন্দুতে দ্রাঘিমাংশের মান সমান। পৃথিবী পৃষ্ঠের যে কোনো স্থানের একটি অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ রয়েছে এবং এই দুটি স্থানাঙ্ক জানলেই স্থানটি কোথায় সেটি সুনির্দিষ্টভাবে জানা যাবে। আর এই জানার পদ্ধতিটিই হলো ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ।
প্রশ্ন ২। অক্ষরেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা কর ।
উত্তর : অক্ষরেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-
১. অক্ষরেখাগুলো পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে আছে ।
২. অক্ষরেখাগুলি পরস্পর পরস্পরের সমান্তরাল ।
৩. অক্ষরেখাগুলো এক-একটি পূর্ণবৃত্ত (দুই মেরুবিন্দু ছাড়া)।
৪. সকল অক্ষরেখার পরিধি সমান নয় ।
৫. অক্ষরেখার মান মেরুর দিকে ক্রমশ বেড়ে যায় ।
৬. অক্ষরেখাগুলোর মান 0° থেকে 90° পর্যন্ত হয় ।
তৃতীয় সেশন
প্রশ্ন ৩। দ্রাঘিমারেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা কর ।
উত্তর : দ্রাঘিমারেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
১. দ্রাঘিমারেখাগুলো পৃথিবীকে উত্তর-দক্ষিণে বেষ্টন করে আছে ।
২. দ্রাঘিমারেখাগুলো প্রত্যেকটি অর্ধবৃত্ত ।
৩. সকল দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য সমান।
৪. দুটি দ্রাঘিমারেখার মাঝের দূরত্ব নিরক্ষরেখার কাছে সবচেয়ে বেশি । দূরত্ব ক্রমশ কমে যায় ।
৫. প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা উত্তর ও দক্ষিণ মেরু বিন্দুতে গিয়ে মিশেছে ৷
৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪|| ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
আরো দেখুন
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য ।। বরিশাল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এর ইতিহাস ও সংস্কৃতি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। বরিশালকে বলা...
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়।। শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। এখানে কিছু ধাপ...
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
চতুর্থ সেশন
প্রশ্ন ৪। তারিখ কিভাবে নির্ণয় করা হয়।
উত্তর : মূল মধ্যরেখা অর্থাৎ ০° দ্রাঘিমা যেহেতু গ্রিনিচের উপর দিয়ে গেছে তাই পৃথিবীর যে কোনো স্থানের সময় ও তারিখ গ্রিনিচের সঙ্গে তুলনা করে নির্ণয় করা হয়। গ্রিনিচের মূল মধ্যরেখা এবং আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার মাঝে পার্থক্য 180° ।
তাই এই দুই স্থানের মাঝে সময়ের পার্থক্য হবে 12 ঘন্টা । এখন যদি মূল মধ্যরেখা থেকে একই দিনের একই সময়ে দুইজন মানুষের একজন পূর্বদিকে এবং একজন পশ্চিম দিকে রওনা করে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখায় পৌঁছায় এবং তা অতিক্রম করে তাহলে পূর্বদিকে যাত্রাকারীর ঘড়ির সময় 12 ঘণ্টা বেশি হবে আর পশ্চিমদিকে যাত্রাকারীর ক্ষেত্রে সময় 12 ঘণ্টা কম হবে।
এক্ষেত্রে দুজনের সময়ের পার্থক্য 24 ঘণ্টা হয়ে যাওয়ার কারণে তারিখের হিসাব পার্থক্য হয়ে যাবে। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য কেউ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অতিক্রম করে পূর্বদিকে এলে তাকে ঘড়িতে ।
দিন পিছিয়ে দিতে হয়। একইভাবে কেউ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অতিক্রম করে পশ্চিমে গেলে তার ঘড়িতে । দিন এগিয়ে দিতে হবে। এভাবেই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার সাথে মিল রেখে দ্রাঘিমা ব্যবহার করে তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
পঞ্চম সেশন
.প্রশ্ন ৫। পরিযায়ী আচরণ কিভাবে পাখিদের সাহায্য করে।
উত্তর : বেঁচে থাকার তাগিদে পাখিদের একস্থান থেকে অন্যস্থানে পরিভ্রমণকে পরিযান বা মাইগ্রেশন বলা হয় । পাখিদের এই আচরণকে সহজাত আচরণ বলা হয় । এই পরিযায়ী আচরণ পাখিদের যেভাবে সাহায্য করে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
১. তীব্র ঠাণ্ডা ও ঝড়ো আবহাওয়া থেকে পরিত্রাণের জন্য পরিযায়ী আচরণ পাখিদের সাহায্যকারী ভূমিকা পালন করে।
২. খাদ্য অন্বেষণের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য দিন পরিহার করে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ আলোক উজ্জ্বল দিনের সন্ধানে পাড়ি জমাতে পরিযায়ী আচরণ ভূমিকা রাখে ।
৩. পরিযানের মাধ্যমে একই প্রজাতি বিভিন্ন জাতের পাখি দূরের কোনো নতুন স্থানে সমবেত হয়ে তাদের আন্তঃপ্রজননে জিন বিনিময়ের সুযোগ ঘটে। এতে নতুন প্রকরণের উদ্ভব হয়।
৪. পরিযায়ী আচরণ পাখির জননাঙ্গের বিকাশকে ত্বরান্বিত করে।
৫. পরিযান অনেক, পাখির খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটায় ।
প্রশ্ন ৬। দ্রাঘিমা রেখা ও আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার মধ্যে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
উত্তর : নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর উপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে রেখা কল্পনা করা হয়েছে সেগুলোকে দ্রাঘিমা রেখা বলে।
অপরদিকে, প্রশান্ত মহাসাগরের উপর মানচিত্রে ১৮০° দ্রাঘিমারেখাকে অনুসরণ করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা। এ দুয়ের মধ্যে দ্রাঘিমা রেখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
দ্রাঘিমা রেখার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের সময় নির্ধারণ করা হয়। তাছাড়া স্থানীয় সময়, প্রমাণ সময় ও আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা নির্ণয়ে এর ভূমিকা রয়েছে। মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের দ্রাঘিমা বলে। পৃথিবীর পরিধি দ্বারা উৎপন্ন কোণ ৩৬০°।
অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিমে ১৮০° করে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি ১° দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য ৪ মিনিট সময়ের ব্যবধান হয়। তাকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের সময় এবং তারিখ নির্ধারিত হয়।
অপরদিকে, ১৮০° পূর্ব দ্রাঘিমা অতিক্রম করলে সময় বাড়ে এবং ১৮০° পশ্চিম দ্রাঘিমা অতিক্রম করলে সময় কমে। তখন এখানে সময়ের পার্থক্য হয় ২৪ ঘন্টা এবং তারিখও হয়ে যাচ্ছে দুই রকম। এ অসুবিধা দূর করার জন্য পৃথিবীর মানচিত্র প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে ১৮০° দ্রাঘিমা অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা প্রবর্তন করা হয়েছে।
উল্লেখিত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, দ্রাঘিমা রেখা ও আন্তর্জাতিক রেখা উভয় গুরুত্বপূর্ণ হলেও আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার চেয়ে দ্রাঘিমা রেখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।