৮ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা:শিখনযোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে আরও কিছু শিখি ২০২৪ | Class 8 Islam Shikkha : অষ্টম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা এর প্রথম অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সমাধানগুলো গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
শিখনযোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে আরও কিছু শিখি
আকাইদ : ইসলামের বিশ্বাসগত দিকের নামই হলো আকাইদ। এটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো বিশ্বাসমালা। ইসলামের মূল বিষয়গুলোর ওপর মনেপ্রাণে বিশ্বাস করাকে আকাইদ বলা হয় ।
আসমাউল হুসনা: আসমাউল হুসনা আরবি শব্দ। আসমা শব্দের অর্থ নামসমূহ। আর হুসনা অর্থ সুন্দরতম । অতএব আসমাউল হুসনা অর্থ সুন্দরতম নামসমূহ। আল্লাহ তা’আলার সুন্দর সুন্দর নামকে একত্রে আসমাউল হুসনা বলা হয় ৷
তাওহিদ: তাওহিদ আরবি শব্দ। এর অর্থ একত্ববাদ। আল্লাহ তা’আলাকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করাকে তাওহিদ বা একত্ববাদ বলা হয় ।
রিসালাত: রিসালাত আরবি শব্দ। এর অর্থ বার্তা, খবর, চিঠি বা সংবাদ বহন। রাসুলগণ কর্তৃক মানুষকে আল্লাহ তা’আলার দিকে আহ্বান করা, সত্য দ্বীন প্রচার করা, মহান আল্লাহর বাণী প্রচার করা ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করাকে রিসালাত বলা হয় ।
ওহি; ওহি আরবি শব্দ। এর অর্থ ইশারা, ইঙ্গিত, গোপন করা ইত্যাদি। সাধারণত কোনো ব্যক্তির নিকট গোপনে প্রেরিত সংবাদকে ওহি বলা হয় ।
৮ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা:শিখনযোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে আরও কিছু শিখি
আরো দেখুন
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
একজন মানবিক সমাজসেবক সাজ্জাদ পারভেজ
একজন মানবিক সমাজসেবক সাজ্জাদ পারভেজ ॥ গেস্ট ব্লগিং॥ নিজের পরিচিতি নয়, যার কাজ শুধু সামাজিক কাজের মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে রাখা।...
নতুন করিকুলাম || অষ্টম শ্রেণির বাংলা অধ্যায় ২ নজরে ‘রেলের পথ
নতুন করিকুলাম || অষ্টম শ্রেণির বাংলা অধ্যায় ২ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 2024 | সমাধান : অষ্টম শ্রেণীর বাংলা ১ম...
ইমান: ইমান (b) শব্দের অর্থ বিশ্বাস। ইসলামি পরিভাষায়, শরিয়তের যাবতীয় বিধিবিধান অন্তরে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং তদনুযায়ী আমল করাকে ইমান বলে ।
তাওয়াবুন: তাওয়াবুন ( ) অর্থ তওবা কবুলকারী, ক্ষমাকারী। এটি মহান আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম । যারা আল্লাহ তা’আলার কাছে খাঁটি মনে তওবা করে, তিনি তাদের তওবা কবুল করেন এবং তাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন ।
কাদিরুন: কাদিরুন অর্থ সর্বশক্তিমান, মহা ক্ষমতাধর।এটি মহান আল্লাহর একটি গুনবাচক নাম।আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি আকাশ সমুহ ও পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন আর এগুলো তিনি সুনিপুণভাবে পরিচালনা করেন।
ওয়াদুদুন: ওয়াদুদ শব্দের অর্থ পরম স্নেহপরায়ণ, প্রেমময়, প্রেমাস্পদ। এটি মহান আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম । আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদেরকে অত্যন্ত ভালোবাসেন এবং তিনিই তাদের সৃষ্টি করেছেন ।
জাব্বারুন: জাব্বার শব্দের অর্থ পরম শক্তিধর, পরাক্রমশালী, অতীব মহিমান্বিত, অতি স্নেহশীল ইত্যাদি। এটি মহান আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। আল্লাহ তা’আলা সবচেয়ে মহিমান্বিত। তার সামনে সবাই পরাভূত ও দুর্বল ।
সামাদুন : সামাদ শব্দের অর্থ অমুখাপেক্ষী, চিরন্তন, অবিনশ্বর ইত্যাদি। এটি মহান আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। আল্লাহ তা’আলা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। বরং সৃষ্টিজগতের সবকিছু আল্লাহর মুখাপেক্ষী ।
নবি-রাসুলগণ: নবি-রাসুলগণ মহান আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ বা মনোনীত বান্দা। নবুওয়াত ও রিসালাতের দায়িত্ব নবি-রাসুলগণ পালনের জন্য আল্লাহ তা’আলা তাদের নির্বাচিত করেছেন। যিনি নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করেন তিনি হলেন নবি আর রিসালাতের দায়িত্ব পালনকারীকে বলা হয় রাসুল।
রেশতাগণ: ফেরেশতাগণ আল্লাহ তা’আলার বিশেষ সৃষ্টি। তারা নূরের তৈরি। নূর মানে আলো। তারা আল্লাহর আদেশে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত । তারা কখনো আল্লাহর হুকুম অমান্য করে না। তাদের পানাহারের প্রয়োজন নেই। আল্লাহর জিকির এবং আদেশ মেনে চলাই তাদের একমাত্র কাজ ।
নবুওয়াত: রিসালাত-এর আরেকটি সমার্থক পরিভাষা হচ্ছে নবুওয়াত। নবুওয়াত অর্থ অদৃশ্যের সংবাদ প্রদান। মহান আল্লাহ কর্তৃক নবিগণকে যেসব দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রদান করা হয়েছে, তাকে বলা হয় নবুওয়াত ।
খাতামুন নাবিয়্যিন: খাতামুন শব্দের অর্থ শেষ বা সমাপ্ত। আর নবুওয়াত অর্থ নবিগণের দায়িত্ব। আর খাতামুন নাবিয়্যিন অর্থ নবুওয়াতের সমাপ্তি। এখানে মহানবি (সা.) হলেন শেষ নবি। তারপরে আর কোনো নবি-রাসুল পৃথিবীতে আগমন করবেন না। এজন্য মহানবি (সা.)-কে খাতামুন নাবিয়্যিন বা সর্বশেষ নবি বলা হয় ৷
আখিরাত: আখিরাত অর্থ পরকাল। পরকাল হলো ইহকালের বা দুনিয়ার জীবনের পরের জীবন। অর্থাৎ মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকেই আখিরাত বলা হয়। এ জীবনের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই । এটি অনন্ত ও চিরস্থায়ী জীবন।
কিয়ামত বা মহাপ্রলয়: কিয়ামত অর্থ মহাপ্রলয়। পৃথিবীতে এমন একসময় আসবে যখন মানুষ আল্লাহ তা’আলাকে ভুলে যাবে। সে সময় আল্লাহ পাক দুনিয়া ধ্বংস করে দিবেন। তার নির্দেশে হযরত ইসরাফিল (আ.) শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন । ফলে পৃথিবীতে কিয়ামত বা মহাপ্রলয় ঘটবে এবং স্বকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।
পুনরুত্থান: পুনরুত্থান অর্থ পুনরায় উত্থান, কবর হতে মৃতের উত্থান। কিয়ামতের পর আল্লাহ পুনরায় সমস্ত প্রাণীকে জীবিত করবেন। তার হুকুমে হযরত ইসরাফিল (আ.) দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন । ফলে সকল প্রাণী পুনরায় জীবিত হবে। একে বলা হয় পুনরুত্থান ।
হাশর: হাশর শব্দের অর্থ সমাবেশ, ভিড়, চাপ ইত্যাদি। মৃত্যুর পর সকল মানুষকে পুনরায় জীবিত করা হবে। এ সময় একজন ফেরেশতা সবাইকে আহ্বান করবেন। ফলে সকলে একটি বিশাল ময়দানে সমবেত হবে। একে বলা হয় হাশর ।
জান্নাত: জান্নাত শব্দের অর্থ বাগান, উদ্যান, আবৃত স্থান। ফারসি ভাষায় একে বলা হয় বেহেশত। বাংলায় একে বলা হয় স্বর্গ। জান্নাত হলো চিরশান্তির স্থান। সেখানে সবকিছুই সুন্দর ও আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা সুসজ্জিত।
জাহান্নাম: জাহান্নাম হলো আগুনের গর্ত, শাস্তির স্থান। একে দোযখ বা নরকও বলা হয়। জাহান্নাম খুবই ভয়ংকর স্থান । সেখানে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি । মৃত্যুর পর অমুসলিম ও পাপীদের স্থান হবে জাহান্নাম ।
তাকদির: তাকদির আরবি শব্দ । এর অর্থ নির্ধারণ করা, নির্দিষ্ট করা, ধার্য করা, নিয়তি, ভাগ্য ইত্যাদি। এ মহাবিশ্বে যা কিছু ঘটবে প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তা’আলা তা পূর্ব থেকেই নির্ধারণ করে রেখেছেন। এই পূর্ব নির্ধারিত বিষয়ই হলো তাকদির।
শাফাআত : শাফাআত শব্দের অর্থ সুপারিশ করা, অনুরোধ করা ইত্যাদি। কিয়ামতের দিন কল্যাণ ও ক্ষমার জন্য আল্লাহ তা’আলার নিকট নবি-রাসুলগণের সুপারিশ করাকে শাফাআত বলা হয় ।
শিরক : শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, সমকক্ষ মনে করা ইত্যাদি কোনোকিছুকে আল্লাহ তা’আলার সমতুল্য বা সমকক্ষ মনে করাকে শিরক বলে। যে ব্যক্তি শিরক করে, তাকে বলা হয় মুশরিক ।
তাওবার : তাওবার আক্ষরিক অর্থ মহান আল্লাহর দিকে ফিরে আসা। ইসলামি শরিয়তে অতীত পাপকাজ থেকে ফিরে আসা এবং ভবিষ্যতে তা না করার দৃঢ় সংকল্প করাকে তাওবা বলা হয় ।
তাসবীহ : তাসবীহ অর্থ আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করা । অর্থাৎ সুবহানাল্লাহ পাঠ করা। আর তাহলীল অর্থ আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করা অর্থাৎ আল্লাহ আকবার পাঠ করা ।
দ্বীন : দ্বীন শব্দের অর্থ হলো প্রতিদান বা বদলা, আনুগত্য-আনুগত্যের বিধান বা পদ্ধতি ইত্যাদি। দ্বীন বলতে জীবনব্যবস্থাকে বোঝানো হয়। ইসলামি পরিভাষায়, আনুগত্যের উদ্দেশ্যে রাসুলের মাধ্যমে প্রেরিত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থাকে দ্বীন বলা হয়।
হেদায়েত: হেদায়েতের বাংলা অর্থ পথপ্রদর্শন । ইমাম কুরতুবি (রহ.)-এর মতে যে পথ রাসুল (সা.) ও তাঁর অনুসারীদের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে তাকে হেদায়েত বলে। মোটকথা মহান আল্লাহ প্রদত্ত রাসুল (সা.) প্রদর্শিত জীবন পরিচালনার সঠিক পথপ্রদর্শন করাকে হেদায়েত বলে ।
রুহুল্লাহ : রুহুল্লাহ অর্থ আল্লাহর রুহ । এটি আল্লাহ প্রদত্ত হযরত ঈসা (আ.)-এর উপাধি ।
মুজিযা : মুজিযা শব্দের বাংলা অর্থ অলৌকিক ঘটনা। নবি-রাসুলদের দ্বারা সংঘটিত অলৌকিক ঘটনাকে মুজিযা বলা হয়।
উম্মত: উম্মত অর্থ জাতি, ধর্ম, দল ইত্যাদি
আমলনামা : আমল আরবি শব্দ যার অর্থ কাজ বা কর্ম। ইসলামি পরিভাষায়, শেষ বিচারের দিনে প্রাপ্ত, সকল মানুষের ভালোমন্দ কর্মের সংরক্ষিত হিসাবকে আমলনামা বলা হয় ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।