৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বিষয়টির অবাক জলপান নাটকটি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অবাক জলপান
সুকুমার রায়
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ।
১) পথিক কখন থেকে হাঁটছিলেন?
ক ভোর থেকে
খ. সকাল থেকে
গ. দুপুর থেকে
ঘ. রাত থেকে
২) গন্তব্যে পৌঁছতে পথিককে আরও কতক্ষণ হাঁটতে হবে?
ক. প্রায় এক ঘণ্টা
খ. প্রায় দুই ঘণ্টা
গ. প্রায় তিন ঘণ্টা
ঘ. প্রায় চার ঘণ্টা
৩) ঝুড়িওয়ালপথিকের কথশুনে কী ভেবেছিল?
ক. পথিক জল চায়
খ. পথিক জলপাই চায়
গ. পথিক কাঁচআম চা
ঘ. পথিক আলুবোখরচায়
৪) ঝুড়িওয়ালার কাছে কী ছিল?
ক. জলপাই
খ. জল
গ. কাঁচআম
ঘ. চালত
৫) পথিক ঝুড়িওয়ালার কাছে কিসের খোঁজ জানতে চেয়েছিলেন?
ক. জলপাইয়ের
খ. জলের
গ. চালতার
ঘ. কাঁচআমের
৬) পথিক কোথাকার লোক?
ক. পুবগাঁয়ের
খ. পুবপাড়ার
গ. পশ্চিমগাঁয়ের
ঘ. পশ্চিমপাড়ার
৭) খালিসপুরে কে চাকরি করে?
ক. ঝুড়িওয়ালার দাদা
খ. পথিক
গ. বৃদ্ধ
ঘ. মামা
৮) বৃদ্ধ পথিককে কী বলল?
ক. জোচ্চোর
খ. হতভাগা
গ. পাগল
ঘ. অপদার্থ
৯) পৃথিবীর কত ভাগ স্থল?
ক. এক ভাগ
খ. দুই ভাগ.
গ. তিন ভাগ
ঘ. চার ভাগ
১০) হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের রাসায়নিক সংযোগ হলে কী হবে?
ক. এক্সপেরিমেন্ট
খ. জল
গ. হাইড্রোফোবিয়া
ঘ. মুশকিল
১১) ‘হাইড্রোফোবিয়া’ অর্থ কী?
ক. জলযোগ.
খ. জলাধার
গ. জলযান
ঘ. জলাতঙ্ক
১২) মামপথিককে বোতল ভরকী দেখালেন?
ক. খাওয়ার জল
খ. পরিশ্রæত জল
গ. পুকুরের জল
ঘ. ঘুমড়ির জল
১৩) গন্ধওয়ালনোংরজলে গোলাপি জল ঢালতেই ত কী হয়ে গেল?
ক. কালো
খ বেগুনি
গ. সাদ
ঘ. লাল
১৪) ‘কিচ্ছু মানি নও কিচ্ছু বিশ্বাস করি না’ কথাটি ছিল
ক. কৌশল
খ. মনের কথ
গ. রাগের অনুভতি
ঘ. বিরক্তির অনুভূতি
১৫) পথিক কীভাবে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাওয়ার জল আদায় করলেন?
ক জোর করে
খ. চুরি করে
গ. সুন্দর ব্যবহার দেখিয়ে
ঘ. বুদ্ধি করে
১৬) ‘অবাক জলপান’ নাটিকায় কয়টি চরিত্রের কথোপকথন আছে?
ক. দুইটি
খ. তিনটি
গ. চারটি
ঘ. পাঁচটি
১৭) পথিকের কথশুনে সবাই কী করছিল?
ক. জল খেতে দিচ্ছিল
খ. তাড়িয়ে দিচ্ছিল
গ. কথার খুঁত ধরছিল
ঘ. কৌশলে বোকবানাচ্ছিল
১৮) ‘অবাক জলপান’ নাটিককে রচনকরেছেন?
ক. সত্যজিৎ রা
খ. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
গ. সুকুমার রা
ঘ. সুকুমার বড়ুয়া
১৯) অবাক জলপান কোন ধরনের রচনা?
ক. নাটিকা
খ. ছোটগল্প
গ. প্রবন্ধ
ঘ. উপন্যাস
২০) পথিক ঝুড়িওয়ালার কাছে কী চেয়েছিল?
ক. কাঁচআম
খ. জল
গ. জলপাই
ঘ. পাঁকআম
২১) কুকুরে কামড়ালে মামকোন রোগের কথবলেছিল?
ক. ডিপথেরিয়া
খ. আমাশয়
গ. জলাতঙ্ক.
ঘ. টাইফয়েড
২২) পথিক কয়জনের কাছে খাবার জল চেয়েছিল?
ক. ৪ জন
খ. ৩ জন
গ. ২ জন
ঘ. ৫ জন
২৩) বৃদ্ধ পথিককে কয় ধরনের জলের কথবলতে চেয়েছিল?
ক. পঁচিশ
খ. ত্রিশ
গ. দশ
৪. সাতাশ
২৪) পথিক শেষ পর্যন্ত কার কাছ থেকে খাবার জল পেয়েছিল?
ক. বালক.
খ. মামা
গ. ঝুড়িওয়ালা
ঘ. বৃদ্ধ
২৫) নাটিকাটিতে বিজ্ঞানীর চরিত্রে কাকে দেখানো হয়েছে?
ক. ঝুড়িওয়ালা
খ. বৃদ্ধ
গ বালক.
ঘ মামা
২৬) পথিকের তেষ্টপেয়েছিল। অর্থাৎ পথিক ছিল
(ক) ক্ষুধার্ত
(খ) পিপাসার্ত
(গ) শীতার্ত
(ঘ) ভয়ার্ত
২৭) মামার কাছে পথিকের প্রত্যাশকী ছিল?
(ক) জলের ব্যাপারে আলোচনা
(খ) খাবার জল
(গ) জলাতঙ্কের বিবরণ
(ঘ) নোংরও দুর্গন্ধযুক্ত জল
২৮) কুকুরের কামড়ে নিচের কোনটি হতে পারে?
(ক) জলাতঙ্ক.
(খ) জলতেষ্টা
(গ) জলাকাক্সক্ষা
(ঘ) জলপান
২৯) ‘টাটকা’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) পরিষ্কার
(খ) ফুটফুটে
(গ) নোংর
(ঘ) তাজা
৩০) মামার কর্মকাণ্ডে পথিকের মনে
(ক) আগ্রহ সৃষ্টি করে
(খ) কৌত‚হল সৃষ্টি করে
(গ) বিরক্তি সৃষ্টি করে
(ঘ) ঘৃণসৃষ্টি করে
পাঠ্যবই থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১) খ সকাল থেকে
২) ক. প্রায় এক ঘণ্টা
৩) খ. পথিক জলপাই চায়
৪) গ. কাঁচআম
৫) খ. জলের
৬) ক. পুবগাঁয়ের
৭) ক. ঝুড়িওয়ালার দাদা
৮) ঘ. অপদার্থ
৯) ক. এক ভাগ
১০) খ. জল
১১) ঘ. জলাতঙ্ক
১২) খ. পরিশ্রæত জল
১৩) গ. সাদ
১৪) ক. কৌশল
১৫) ঘ. বুদ্ধি করে
১৬) গ. চারটি
১৭) গ. কথার খুঁত ধরছিল
১৮) গ. সুকুমার রা
১৯) ক নাটিকা
২০) খ জল
২১) গ জলাতঙ্ক.
২২) খ ৩ জন
২৩) ক পঁচিশ
২৪) খ মামা
২৫) ঘ মামা
২৬) (খ) পিপাসার্ত
২৭) (খ) খাবার জল
২৮) (ক) জলাতঙ্ক;
২৯) (ঘ) তাজা;
৩০) (গ) বিরক্তি সৃষ্টি করে
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
১) পথিকের ঘিলু শুকিয়ে উঠেছিল কেন?
উত্তর : জলের তৃষ্ণায় পথিকের ঘিলু শুকিয়ে উঠেছিল।
২) নেপথ্যের বালক কী পাঠ করছিল?
উত্তর : নেপথ্যের বালক পাঠ করছিল- ‘পৃথিবীর তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল। সমুদ্রের জল লবণাক্ত, অতি বিস্বাদ’।
৩) রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল বিশ্লেষণ করলে কী পাওয়যায়?
উত্তর : রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল বিশ্লেষণ করলে দুই ভাগ হাইড্রোজেন ও এক ভাগ অক্সিজেন পাওয়যায়।
৪) ‘ডিস্টিল ওয়াটার’ কী?
উত্তর : ডিস্টিল ওয়াটারকে বাংলায় বলে পরিশ্রæত জল। এ জল পরিষ্কার হলেও খাওয়যায় না। কেননএতে কোনো স্বাদ নেই।
৫) পথিক কীভাবে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাবার জল আদায় করলেন?
উত্তর : পথিক বিজ্ঞানীর নানরকম জ্ঞানের কথঅবিশ্বাস করার ভান করলেন। বিজ্ঞানীকে দিয়ে তিনি কৌশলে এক গøাস খাবার জল আনালেন। জল নিয়ে আসামাত্র বিজ্ঞানীকে কিছু বলার সুযোগ নদিয়েই পথিক পুরো গøাস সাবাড় করে দিলেন। এভাবেই পথিক কৌশলে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাবার জল আদায় করলেন।
৬) ‘বোবজল’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বোবজল বলতে ‘ডিস্টিল ওয়াটার’ ব‘পরিশ্রæত জল’কে বোঝায়। এ জলে কোনো রকম স্বাদ থাকে নবলে এর নাম ‘বোবজল’।
৭) ‘জলাতঙ্ক’ কাকে বলে? এই রোগ কেমন করে হয়?
উত্তর : ‘জলাতঙ্ক’ হলো এক ধরনের রোগ, যাতে আক্রান্ত হলে মানুষ জলের তৃষ্ণপেলেও জল খেতে পারে না, বরং তদেখলেই আতঙ্কিত হয়। ইংরেজিতে একে ‘হাইড্রোফোবিয়া’ বলে।
জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু বহনকারী কোনো পশু মানুষকে কামড়ালে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
৮) জলের তেষ্টায় পথিকের মনের ও শরীরের অবস্থকী হয়েছিল? ব্যাখ্যকর।
উত্তর : জলের তেষ্টায় পথিকের মন খুবই অস্থির হয়ে পড়ে। একটুখানি পানি পাওয়ার জন্য সে চঞ্চল হয়ে ওঠে।
পথিকের শরীর পানির অভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। চুল হয়ে গিয়েছিল উসকো খুসকো। চেহারায় ছিল উ™£ান্ত ভাব।
৯. পথিককে ঝুড়িওয়ালকত রকম জলের কথশুনিয়েছিল? নামগুলো লেখ।
উত্তর : পথিককে ঝুড়িওয়ালপাঁচ রকম জলের কথশুনিয়েছিল। নামগুলো হলো ১. কুয়োর জল, ২. নদীর জল, ৩. পুকুরের জল, ৪. কলের জল এবং ৫. মামাবাড়ির জল।
১০) পানিতে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের পরিমাণ কত?
উত্তর : পানিতে এক ভাগ অক্সিজেন আর দুই ভাগ হাইড্রোজেন।
১১) জলাতঙ্ক কী? এটি হলে কী সমস্যহয়?
উত্তর : জলাতঙ্ক এক ধরনের রোগ। জলাতঙ্ক হলে পানি খাওয়ায় সমস্যদেখদেয়। পানি খেতে গেলেই গলায় খিচ ধরে যায়।
১২) কার হাইড্রোফোবিয়হয়েছিল? কীভাবে?
উত্তর : বদ্যিনাথের হাইড্রোফোবিয়হয়েছিল। কুকুরের কামড়ে তার এই রোগ হয়েছিল।
পাঠ্যবই থেকে মূলভাব লিখন
অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : ভীষণ তৃষ্ণার্ত একজন লোক জলের তেষ্টায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু আরেকজন লোক তাকে পানি পান করতে দেওয়ার বদলে পানির গুণাগুণ সম্পর্কে বিভিন্ন জ্ঞানের কথবলে চলেছে। তৃষ্ণার্ত লোকটি নানাভাবে তাকে বোঝাতে চায় কিন্তু তার কথার খুঁত ধরে অন্য লোকটি নতুন বিষয় সম্পর্কে কথবলছে।
পাঠ্যবই বহিভর্ত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
পানিতে ক্ষতিকর কোনো কিছু মিশে থাকলে সে পানিকে দূষিত পানি বলহয়। পানি পরিষ্কার দেখগেলেও সব সময় তনিরাপদ নাও হতে পারে। টলটলে পুকুরের পানিও দূষিত হতে পারে। খালি চোখে দেখযায় নএমন জীবাণু বক্ষতিকর পদার্থ এতে মিশে থাকতে পারে। নলক‚পের পানি সাধারণত নিরাপদ।
তবে আমাদের দেশে কিছু কিছু নলক‚পের পানিতে আর্সেনিক নামক বিষাক্ত পদার্থ মিশে আছে। পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি খালি চোখে দেখে বোঝযায় না। তবে নলক‚পের পানি পরীক্ষকরে বোঝযায় তাতে আর্সেনিক আছে কি না। যেসব নলক‚পের পানিতে আর্সেনিক আছে, সেই নলক‚পগুলোকে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করহয়েছে।
এসব নলক‚পের পানি পান করযাবে না। আর সবুজ দাগ থাকার অর্থ-এর পানি নিরাপদ। দূষিত পানি জীবনের জন্য খুব ক্ষতিকর। দূষিত পানি পান করলে আমরকলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, ডায়রিয় এসব পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারি। পেটের পীড়ও চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কথাকে।
তাছাড় আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন পান করলে হাত-পায়ে এক ধরনের ক্ষত বঘতৈরি হয়, যআর্সেনিকোসিস রোগ নামে পরিচিত। এ রোগের সহজ কোনো চিকিৎসনেই। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ ধরপড়লে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করবন্ধ করলেই সুস্থ হওয়যেতে পারে। এ রোগ সংক্রামক নয়, অর্থাৎ আর্সেনিকোসিরোগীদের কাছে গেলে অন্যদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কনেই।
সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) কোনো নলক‚পের গায়ে লাল রং করদেখলে কী বুঝবে?
(ক) পানি নিরাপদ
(খ) পানি আর্সেনিকমুক্ত
(গ) পানি খাওয়যাবে
(ঘ) পানি আর্সেনিকযুক্ত
২) আর্সেনিকযুক্ত পানি পানের কারণে কোন রোগ হয়?
(ক) আর্সেনিকস
(খ) আর্সেনসিস
(গ) আর্সেনিকোসিস
(ঘ) আর্সিনেকোসিস
৩) আমরআর্সেনিকোসিসে আক্রান্তদের সাথে কেমন আচরণ করব?
(ক) তাদের থেকে দূরে থাকব
(খ) তাদের সেবকরব
(গ) তাদের আর্সেনিকযুক্ত পানি খাওয়াব
(ঘ) তাদের আলাদথাকার ব্যবস্থকরব
৪) আর্সেনিক কী?
(ক) এক ধরনের রোগ
(খ) এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ
(গ) এক ধরনের জীবাণু
(ঘ) এক ধরনের ওষুধ
৫) নিচের কোনটি পানিবাহিত রোগ নয়?
(ক) আমাশ
(খ) কলেরা
(গ) ক্যান্সার
(ঘ) ডায়রিয়া
উত্তর : ১) (ঘ) পানি আর্সেনিকযুক্ত; ২) (গ) আর্সেনিকোসিস; ৩) (খ) তাদের সেবকরব; ৪) (খ) এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ; ৫) (গ) ক্যান্সার
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়হলো। উপযুক্ত শব্দ দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ—————-অর্থ
নিরাপদ—————- বিপদমুক্ত।
আশঙ্কা —————-সংশয়, সন্দেহ।
পীড়া —————-বেদনা, ব্যথা।
সংক্রামক—————-ছোঁয়াচে, সঞ্চারিত হয় এমন।
টলটলে —————-স্বচ্ছ।
বিষাক্ত —————-বিষযুক্ত।
ক) কাল থেকে হালিমার পেটের ————— বেড়েছে।
খ) দিঘির ————— জল দেখে মন ভালো হয়ে গেল।
গ) পোলিও ————— ব্যাধি নয়।
ঘ) বৃষ্টি হওয়ার ————— থাকায় আমরছাতনিয়ে বের হলাম।
ঙ) ————— সাপের ছোবলে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
উত্তর : ক) পীড়া; খ) টলটলে; গ) সংক্রামক; ঘ) আশঙ্কা; ঙ) বিষাক্ত।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) ‘আর্সেনিকোসিস’ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : আর্সেনিকোসিস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য-
১) দীর্ঘদিন আর্সেনিকযুক্ত পানি পানের ফলে যে রোগের সৃষ্টি হয় ত‘আর্সেনিকোসিস’ নামে পরিচিত।
২) এ রোগ হলে হাতে-পায়ে এক ধরনের ক্ষত বঘসৃষ্টি হয়।
৩) আর্সেনিকোসিস সংক্রামক রোগ নয়।
৪) এ রোগের সহজ কোনো চিকিৎসনেই।
৫) প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগটি ধরপড়লে আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করতে থাকলেই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনথাকে।
খ) দূষিত পানি পান করলে কী কী ধরনের শারীরিক সমস্যহতে পারে?
উত্তর : দূষিত পানি আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ ধরনের পানি পান করার ফলে আমরকলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, আর্সেনিকোসিস ইত্যাদি পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারি। এছাড়াও পেটের পীড়া, চর্মরোগ ইত্যাদিও দেখদিতে পারে।
গ) দূষিত পানি কাকে বলে? নলক‚পের পানি আর্সেনিকমুক্ত কি নবোঝার উপায় তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : পানিতে ক্ষতিকর কোনো কিছু মিশে থাকলে সে পানিকে দূষিত পানি বলে।
নলক‚পের পানি আর্সেনিকমুক্ত কি নবোঝার উপায়-
১) পানি দেখে বোঝার উপায় নথাকায় অবশ্যই তপরীক্ষকরতে হবে।
২) কোনো নলক‚পের গায়ে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করথাকলে বুঝতে হবে তাতে আর্সেনিক আছে।
৩) সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করনলক‚পের পানি অবশ্যই আর্সেনিকমুক্ত।
ঘ) টলটলে পুকুরের পানিও পান করযায় নকেন? চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : টলটলে পুকুরের পানি দেখতে পরিষ্কার হলেও এতে অনেক রকম রোগের জীবাণু থাকতে পারে। এগুলোকে খালি চোখে দেখযায় না। অর্থাৎ দেখতে পরিষ্কার হলেও পুকুরের পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনথাকে। এ পানি নিরাপদ নয় বলে পান করযায় না।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে, বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
দ্ধ, ষ্ট, চ্ছ, ন্দ, ঙ্ক।
উত্তর :
দ্ধ = দ + ধ —————-শুদ্ধ
—————-বানানটি শুদ্ধ করে লেখ।
ষ্ট = ষ + ট —————-অষ্টম
—————-ভাইয়অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
চ্ছ = চ + ছ —————-গুচ্ছ
—————-এক গুচ্ছ রজনীগন্ধদিন।
ন্দ = ন + দ —————-মন্দ
—————-আমরমন্দ পথে চলব না।
ঙ্ক. = ঙ + ক. —————-আশঙ্ক
—————-লোকটি অজানআশঙ্কায় কাঁপছে।
নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।
ক্ল, স্ত, চ্চ, স্থ, ক্ষ।
উত্তর :
ক্ল = ক + ল —————-ক্লাস
– সকাল আটটথেকে ক্লাস শুরু হয়।
স্ত = স + ত —————-মস্ত
—————-বাড়িটি মস্ত বড়।
চ্চ = চ + চ —————-বাচ্চা
—————-বাচ্চাটি মাঠে খেলছে।
স্থ = স + থ —————-দুস্থ
—————-দুস্থ লোকটি কাঁদছে।
ক্ষ = ক + ষ —————-দক্ষ
—————-কাকসাঁতারে বেশ দক্ষ।
বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদ পুনঃলিখন
সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
দেখুন মশাই কী করে যে কথাটআপনাদের মাথায় ঢোকাব তভেবে পাইনে বলি বারবার করে যে বলছি তেষ্টায় গলশুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল সেটতো কেউ কানে নিচ্ছেন নদেখি একটলোক তেষ্টায় জল জল করছে তবু জল খেতে পায় নএরকম কোথাও শুনেছেন শুনেছি বইকি চোখে দেখেছি
উত্তর : দেখুন মশাই! কী করে যে কথাটআপনাদের মাথায় ঢোকাব তভেবে পাই নে। বলি, বারবার করে যে বলছি তেষ্টায় গলশুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল, সেটতো কেউ কানে নিচ্ছেন নদেখি। একটলোক তেষ্টায় জল জল করছে, তবু জল খেতে পায় না, এরকম কোথাও শুনেছেন? শুনেছি বইকি, চোখে দেখেছি।
সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
কী উৎসাহ কী আগ্রহ শুনেও সুখ হয় এরকম জানবার আকাক্সক্ষআর কজনের আছে বলুন তো
উত্তর : কী উৎসাহ, কী আগ্রহ! শুনেও সুখ হয়। এরকম জানবার আকাক্সক্ষআর কজনের আছে, বলুন তো?
এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
এককথায় প্রকাশ কর।
ক) বিজ্ঞান চর্চকরেন যিনি;
খ) তৃষ্ণায় কাতর যিনি;
গ) কাজের আগ্রহ;
ঘ) সম্পূর্ণ নতুন এমন;
ঙ) ছোট্ট নাটক।
উত্তর : ক) বিজ্ঞানী; খ) তৃষ্ণার্ত; গ) উৎসাহ; ঘ) আনকোরা; ঙ) নাটিকা।
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাঠান মুলুকে | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | কাজলা দিদি | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাখির জগৎ | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
চলিতেছে, আসিতেছি, পাইবেন, চাহিতেছেন, বকাইয়ো, দেখিয়াছি, খাওয়াইয়া।
উত্তর :
সাধু রূপ —————-চলিত রূপ
চলিতেছে—————-চলছে
আসিতেছি—————-আসছি
পাইবেন—————-পাবেন
চাহিতেছেন—————-চাচ্ছেন
বকাইয়ো—————-বকিয়ো
দেখিয়াছি—————-দেখেছি
খাওয়াইয়া —————- খাইয়ে
বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন
নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
জল, তৃষ্ণা, খাঁটি, গাঁ, তফাৎ।
উত্তর :
মূল শব্দ —————-সমার্থক শব্দ
জল—————-পানি, নীর।
তৃষ্ণা—————-তিয়াস, পিপাসা।
খাঁটি—————-বিশুদ্ধ, নির্ভেজাল।
গাঁও—————-গ্রাম, পল্লি।
তফাৎ—————-পার্থক্য, অমিল।
নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
প্রবেশ, সকাল, কাঁচা, রোদ, অন্যায়, সশব্দে, মুখ্যু, আগ্রহ, গুণ, দুর্গন্ধ, পরিষ্কার, বিশ্বাস, টাটকা, খাঁটি।
উত্তর :
মূল শব্দ —————-বিপরীত শব্দ
প্রবেশ—————-প্রস্থান
আগ্রহ—————-অনাগ্রহ
সকাল—————-সন্ধ্যা
গুণ—————-দোষ
কাঁচা—————-পাকা
দুর্গন্ধ—————-সুগন্ধ
রোদ—————-বৃষ্টি
পরিষ্কার—————-অপরিষ্কার
অন্যায়—————-ন্যায়
বিশ্বাস—————-অবিশ্বাস
সশব্দে—————-নিঃশব্দে
টাটকা—————-বাসি
মুখ্যু—————-জ্ঞানী
খাঁটি—————-ভেজাল
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।