৪র্থ শ্রেণির ইসলাম প্রথম অধ্যায় ইমান ও আকাইদ প্রশ্ন উত্তর | PDF: চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়টির ১ম অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
ইমান ও আকাইদ
অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব
মহান আল্লাহর পরিচয় মহান আল্লাহর বিভিন্ন গুণবাচক. নামের অর্থ ও তাৎপর্য
সালাম বিনিময়ের সুন্দর নিয়ম কালিমা শাহাদাতের অর্থ ও তাৎপর্য
ইমান মুজমালের অর্থ ও গুরুত্ব ইমান মুফাস্সালের সাতটি বিষয়
অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই
আমরা মুসলিম। আমাদের ধর্মের নাম ইসলাম। ইসলামের মূল বিষয়গুলোকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করাকেই ইমান বলে। আর আকাইদ হলো আকিদা শব্দের বহুবচন, যার অর্থ বিশ্বাস। একজন মুসলিমের ইমান ও আকাইদ বিশুদ্ধ হওয়া খুবই জরুরি। ইমান ও আকাইদের প্রথম কথাই হচ্ছে আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস। তিনি এক, অদ্বিতীয়।
তাঁর কোনো শরিক. নেই। তাঁর সত্তা ও গুণের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো কিছুই নেই। তিনি ছাড়া আর কেউ ইবাদতের যোগ্য নন। মানবজাতির হিদায়াতের জন্য আল্লাহ তায়ালা অনেক. নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। নবি-রাসুলগণ মানুষকে দুনিয়া আখেরাতের কল্যাণ ও মুক্তির দিকে ডেকেছেন। নবি-রাসুলগণের কথা যাঁরা শুনেছেন ও মেনেছেন তাঁরাই পরকালে সফলকাম হবেন।
নৈর্ব্যক্তিক. প্রশ্ন
ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
সঠিক. উত্তরের পাশে টিক. () চিহ্ন দাও।
১। ইমান অর্থ কী?
ক. সত্য কথা বলা
খ. বিশ্বাস
গ. গচ্ছিত রাখা
ঘ. শৃঙ্খলা
২। আমাদের স্রষ্টা কে?
ক. মাতা
খ. পিতা
গ. আল্লাহ
ঘ. পিতামাতা উভয়ই
৩। আমাদের জীবন-মৃত্যুর মালিক. কে?
ক. আল্লাহ
খ. আযরাইল (আ.)
গ. রাষ্ট্রপ্রধান
ঘ. প্রধান বিচারপতি
৪। কাদীর অর্থ কী?
ক. অধিপতি
খ. শান্তিদাতা
গ. সর্বশক্তিমান
ঘ. সর্বত্র বিরাজমান
৫। সালাম শব্দের অর্থ কী?
ক. দয়া
খ. শান্তি
গ. সৃষ্টি
ঘ. ক্ষমা
৬। শাহাদত অর্থ কী?
ক. দীক্ষা দেওয়া
খ. সাক্ষ্য দেওয়া
গ. পরীক্ষা দেওয়া
ঘ. দান করা
৭। ইমান মুজমাল অর্থ কী?
ক. সংক্ষিপ্ত বিশ্বাস
খ. আন্তরিক. বিশ্বাস
গ. বিস্তারিত বিশ্বাস
ঘ. মৌখিক. বিশ্বাস
৮। ইমান মুফাসসালে কয়টি বিষয়ের উল্লেখ. আছে?
ক. তিনটি
খ. চারটি
গ. পাঁচটি
ঘ. সাতটি
৯। ওহি নিয়ে আসতেন কোন ফেরেশতা?
ক. আযরাইল (আ.)
খ. মিকাইল (আ.)
গ. ইসরাফিল (আ.)
ঘ. জিবরাইল (আ.)
১০। আসমানি কিতাব কয়খানা?
ক. ৪ খানা
খ. ১০০ খানা
গ. ১০৪ খানা
ঘ. ১১০ খানা
খ. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১. যার ইমান আছে তাকে বলে ————– ।
২. দিন শেষে পশ্চিম আকাশে ————– অস্ত যায়।
৩. পরস্পরে দেখা হলে আমরা ————– দেই।
৪. মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর ————– ও রাসুল।
৫. তকদির মানে ————– ।
উত্তর : ১. মুমিন বা মুসলিম ২. সূর্য ৩. সালাম ৪. বান্দা ৫. ভাগ্য।
গ. রেখা টেনে অর্থ মেলাও :
১) মালিক——- বাক্য
২) কাদীর ——-শান্তিদাতা
৩) সালাম ——-অধিপতি
৪) কালিমা ——-সর্বশক্তিমান
উত্তর :
১) মালিক. সর্বশক্তিমান
২) কাদীর অধিপতি
৩) সালাম শান্তিদাতা
৪) কালিমা বাক্য
ঘ. রেখা টেনে অর্থ সঠিক. উত্তর মেলাও :
১) আযরাইল ——-(আ.) ওহি আনতেন
২) জিবরাইল (আ.)——- মেঘবৃষ্টি ও রিজিকের দায়িত্বে
৩) ইসরাফিল (আ.)——-জীবের জান কবজ করেন
৪) মিকাইল (আ.) ——-শিঙ্গা ফুঁ দেবেন
উত্তর :
১) আযরাইল (আ.) জীবের জান কবজ করেন
২) জিবরাইল (আ.) ওহি আনতেন
৩) ইসরাফিল (আ.) শিঙ্গা ফুঁ দেবেন
৪) মিকাইল (আ.) মেঘবৃষ্টি ও রিজিকের দায়িত্বে
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর :
১. আল্লাহ তায়ালার পাঁচটি গুণের নাম লেখ।
উত্তর : মহান আল্লাহ তায়ালার গুণ অশেষ। নিচে তাঁর পাঁচটি গুণের নাম দেওয়া হলোÑ
ক) আল্লাহু মালিকুন; অর্থ আল্লাহ মালিক।
খ) আল্লাহু কাদীরুন; অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান।
গ) আল্লাহু সালামুন; অর্থ আল্লাহ শান্তিদাতা।
ঘ) আল্লাহু খালিকুন; অর্থ আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা।
ঙ) আল্লাহু গাফুরুন; অর্থ আল্লাহ ক্ষমাকারী।
২. ইমান মুফাসসালে কয়টি বিষয়ের উল্লেখ. আছে?
উত্তর : ইমান মুফাসসালে সাতটি বিষয়ের উল্লেখ. আছে। বিষয়গুলো হলো- (১) আল্লাহ, (২) ফেরেশতা, (৩) কিতাব, (৪) রাসুলগণ, (৫) শেষ দিবস, (৬) তকদির, (৭) মৃত্যুর পর পুনরুত্থান।
৩. চারজন প্রসিদ্ধ ফেরেশতার নাম লেখ।
উত্তর : চারজন প্রসিদ্ধ ফেরেশতা হলেন- (১) হযরত জিবরাইল (আ.), (২) হযরত মিকাইল (আ.), (৩) হযরত ইসরাফিল (আ.), (৪) হযরত আযরাইল (আ.)।
৪. চারখানা বড় কিতাবের নাম লেখ।
উত্তর : চারখানা বড় কিতাব হলো- (ক) তাওরাত, (খ) ইঞ্জিল, (গ) যাবুর, (ঘ) কুরআন মজিদ।
৫. দশ জন নবি-রাসুলের নাম লেখ।
উত্তর : দশজন নবি-রাসুল হলেন- (১) হযরত আদম (আ.), (২) হযরত নূহ (আ.), (৩) হযরত ইবরাহীম (আ.), (৪) হযরত ইসমাঈল (আ.), (৫) হযরত ইয়াকুব (আ.), (৬) হযরত ইউনুছ (আ.), (৭) হযরত যাকারিয়া (আ.), (৮) হযরত দাউদ (আ.), (৯) হযরত মুসা (আ.), (১০) হযরত মুহাম্মদ (স.)।
৬. আসমানি কিতাব কতোখানা?
উত্তর : আসমানি কিতাব ১০৪ খানা।
৭. ছোট কিতাবকে কী বলে?
উত্তর : ছোট কিতাবকে সহীফা বলে।
৮. সর্বশেষ নবি কে?
উত্তর : সর্বশেষ নবি হলেন হযরত মুহাম্মদ (স.)।
৯. সর্বশেষ আসমানি কিতাব কী?
উত্তর : সর্বশেষ আসমানি কিতাব হচ্ছে কুরআন মজিদ।
বর্ণনামূলক. প্রশ্নের উত্তর :
১. সংক্ষেপে আল্লাহর পরিচয় দাও।
উত্তর : মহান আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক. নেই। তাঁর সত্তা ও গুণের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো কিছুই নেই। তিনি অনাদি, অনন্ত। তিনি ইহকাল ও পরকালের মালিক। সমস্ত প্রাণীকুলের রিজিকদাতা। এই বিশাল পৃথিবীতে যত কিছু আছে, সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ।
শুধু এসব সৃষ্টিই করেননি, অত্যন্ত সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা করছেন আল্লাহ। তিনি অসীম শক্তির অধিকারী। তিনিই একমাত্র শান্তিদাতা। সবকিছুরই মালিক. একমাত্র তিনি। তিনি সব কিছু জানেন, শোনেন, দেখেন।
২. আল্লাহ তায়ালার কয়েকটি গুণের নাম লেখ।
উত্তর : মহান আল্লাহ অনেক. গুণের অধিকারী। নিচে তাঁর কয়েকটি গুণের নাম উল্লেখ. করা হলো-
১. আল্লাহু খালিকুন (আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা) : মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। এ সুন্দর পৃথিবী এবং তার বাইরে যা কিছু আছে সবই তাঁর।
২. আল্লাহু মালিকুন (আল্লাহ মালিক) : পৃথিবী ও তার বাইরে যা কিছু আছে সবকিছুর মালিক. একমাত্র আল্লাহ। তাঁর কোনো শরিক. নেই। কুরআন মজিদে আছে, “আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সব কিছুরই মালিক. আল্লাহ।”
৩. আল্লাহু কাদিরুন (আল্লাহ সর্বশক্তিমান) : আল্লাহ অসীম শক্তির অধিকারী। পৃথিবীর সবকিছুই তাঁর। পৃথিবীর ও মহাকাশের সবকিছুই তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী চলে। সমস্ত কিছুই তাঁর শক্তির অধীন।
৪. আল্লাহু সালামুন (আল্লাহ শান্তিদাতা) : আল্লাহ তায়ালা একমাত্র শান্তিদাতা। আল্লাহ যাকে শান্তি দেন সেই শান্তি পায়। তিনি শান্তি দিলে কেউ তার ক্ষতি করতে পারে না।
৩. ‘আল্লাহ সর্বশক্তিমান’- কথাটির অর্থ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : ‘আল্লাহু কাদীরুন’ অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান। এই বিশাল পৃথিবী ও এর বাইরে যা কিছু আছে সব কিছু মহান আল্লাহর সৃষ্টি। পৃথিবীর ভেতরে-বাইরে, ছোট-বড়, দৃশ্য-অদৃশ্য যা কিছু আছে এ সবই আল্লাহর হুকুমে পরিচালিত হচ্ছে। তাঁর হুকুমের বাইরে কেউ কোনো কিছু করতে পারে না। মহান আল্লাহ নিজেই তাঁর কুদরতের মাধ্যমে এসব কিছুর ধারক. ও বাহক. হিসেবে সুন্দরভাবে পরিচালিত করছেন। তিনি অসীম শক্তির অধিকারী।
৪. আল্লাহ ‘শান্তিদাতা’ বাক্যটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : ‘আল্লাহু সালামুন’ অর্থ আল্লাহ শান্তিদাতা। আমাদের শরীর ও মন যখন ভালো থাকে, তখন আমরা শান্তি পাই। যখন আমাদের মন খারাপ হয় তখন শান্তি লাগে না। শরীর খারাপ হলেও মনে শান্তি থাকে না। অসুস্থ হলে সবাই আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। মহান আল্লাহ আমাদের রোগমুক্ত করেন। আমরা সুস্থ হই। শান্তি পাই। আল্লাহ ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা বস্তু আমাদের শান্তি দিতে পারে না। তিনি যাকে শান্তি দেন সে সব অবস্থাতেই শান্তিতে থাকে। কেউ তার ক্ষতি করতে পারে না।
৫. কালিমা শাহাদত অর্থসহ বাংলায় লেখ।
উত্তর : কালিমা শাহাদত অর্থসহ বাংলায় নিচে উলেখ. করা হলো :
কালিমা শাহাদত : আশ্হাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকালাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহূ ওয়া রাসূলুহূ।
অর্থ : “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক. নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।”
৬. ইমান মুজমাল অর্থসহ বাংলায় লেখ।
উত্তর : ইমান মুজমাল অর্থসহ বাংলায় নিচে লেখা হলো-
আমান্তু বিল্লাহি কামা হুয়া বিআস্মাইহি ওয়া সিফাতিহী ওয়া কাবিলতু জামী’আ আহ্কামিহী ওয়া আরকানিহী।
অর্থ : আমি ইমান আনলাম আল্লাহর উপর ঠিক. তেমনি যেমন আছেন তিনি, তাঁর সব নাম ও গুণাবলিসহ। আর মেনে নিলাম তাঁর সব হুকুম-আহকাম ও বিধি-বিধান।
৭. ইমান মুফাসসালে উল্লিখিত বিষয়গুলোর নাম লেখ।
উত্তর : ইমান মুফাসসালে সাতটি বিষয়ের নাম এসেছে। সেগুলো হলো-
১) আল্লাহ, অর্থাৎ আল্লাহর উপর বিশ্বাস।
২) ফেরেশতা, অর্থাৎ ফেরেশতাকুলের উপর বিশ্বাস।
৩) কিতাব, অর্থাৎ আসমানি কিতাবসমূহের উপর বিশ্বাস।
৪) নবি-রাসুল, অর্থাৎ নবি-রাসুলগণের উপর বিশ্বাস।
৫) শেষ দিবস, অর্থাৎ কিয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাস।
৬) তকদির, অর্থাৎ তকদির ভালো-মন্দ যা কিছু হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়-এর উপর বিশ্বাস।
৭) মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস। অর্থাৎ মৃত্যুর পর আমাদেরকে পুনরায় জীবিত করে হাশরের ময়দানে উঠানো হবে-এর উপর বিশ্বাস।
৮. আল্লাহর উপর বিশ্বাস কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : ইমানের সর্বপ্রথম বিষয় হলো মহান আল্লাহ তায়ালার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। মহান আল্লাহপাকের সত্তা এক. ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক. নেই। তিনি তাঁর গুণাবলীতেও অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়। তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ। যখন কোনো কিছুই ছিল না তখন তিনিই ছিলেন। আবার একদিন সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে তখন তিনিই থাকবেন। মহান আল্লাহ সবকিছু জানেন, সবকিছু শোনেন ও দেখেন। আসমান জমিনের সবকিছু তাঁর সৃষ্টি। তিনি সকল সৃষ্টির পালনকর্তা। তিনিই সব কিছুর মালিক। এ সমস্ত কিছুর উপর বিশ্বাস রাখা ইমানের প্রথম ও সবচেয়ে জরুরি শর্ত।
৯. প্রসিদ্ধ ফেরেশতাদের নাম ও তাঁদের কাজ বর্ণনা কর।
উত্তর : মহান আল্লাহ অসংখ্য ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন চারজন। তাঁরা হলেন-
১) হযরত জিবরাইল (আ.)
২) হযরত মিকাইল (আ.)
৩) হযরত আযরাইল (আ.)
৪) হযরত ইসরাফিল (আ.)
প্রসিদ্ধ ফেরেশতাদের বর্ণনা :
১) হযরত জিবরাইল (আ.) : তিনি নবি-রাসুলগণের কাছে আল্লাহর ওহি নিয়ে আসতেন। ওহি মানে আল্লাহর বাণী।
২) হযরত মিকাইল (আ.) : তিনি জীবের জীবিকা বণ্টন ও মেঘবৃষ্টির দায়িত্বে নিয়োজিত।
৩) হযরত আযরাইল (আ.) : তিনি আল্লাহর হুকুমে জীবের জান কবজ করেন।
৪) হযরত ইসরাফিল (আ.) : তিনি শিঙ্গা হাতে আল্লাহর আদেশের অপেক্ষায় আছেন। তিনি প্রথম যে ফুঁ দেবেন, তাতে সকল সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাবে। দ্বিতীয় ‘ফুঁ’ দিলে সবকিছু আবার জীবন ফিরে পাবে।
১০. আসমানি কিতাব কাকে বলে? সর্বশেষ আসমানি কিতাবের সংক্ষেপে বর্ণনা দাও।
উত্তর : মহান আল্লাহ নবি-রাসুলের কাছে বিভিন্ন সময়ে ওহি বা বাণী পাঠিয়েছেন। আল্লাহর বাণীসমূহের সমষ্টিকে বলে আসমানি কিতাব। আসমানি কিতাবে আছে মানুষের জন্য হিদায়াত ও মুক্তির কথা।
সর্বশেষ আসমানি কিতাব : সর্বশেষ আসমানি কিতাব হলো কুরআন মজিদ। এ কিতাব অবতীর্ণ হয় সর্বশেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর উপর। কুরআন মজিদে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানবগোষ্ঠির জন্য হেদায়াত ও মুক্তির নির্দেশনা রয়েছে। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ. জীবন-বিধান।
সঠিক. উত্তরের ডান পাশে ‘শু’ এবং ভুল উত্তরের ডান পাশে ‘অ’ লেখ. :
১) আমরা নিজে নিজে সৃষ্টি হইনি।
২) আল্লাহ সকল সৃষ্টির মালিক।
৩) মালিক. অর্থ অধিপতি।
৪) মহাকাশের সবকিছুই ফেরেশতাদের হুকুমে চলে।
৫) ধনসম্পদ থাকলেই শান্তি পাওয়া যায়।
উত্তর : ১) শু ২) শু ৩) শু ৪) অ ৫) অ
বাম পাশের বাক্যের সাথে ডান পাশের বাক্যের মিল কর :
১. ইসলামের মূল—— কথাই আল্লাহ মালিক।
২. আমাদের সৃষ্টি করেছেন —–আল্লাহ।
৩. আল্লাহু মালিকুন অর্থ —–তখন শান্তি লাগে।
৪. মহাকাশের সবকিছুই —–তাঁর হুকুমে চলে।
৫. মন যখন ভালো থাকে—– ইমান।
উত্তর :
১. ইসলামের মূল কথাই ইমান।
২. আমাদের সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ।
৩. আল্লাহু মালিকুন অর্থ আল্লাহ মালিক।
৪. মহাকাশের সব কিছুই তাঁর হুকুমে চলে।
৫. মন যখন ভালো থাকে তখন শান্তি লাগে।
উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর :
১) মহান আল্লাহ এক’ ————–।
২) ফেরেশতাগণ আল্লাহ তায়ালার তৈরি।
৩) ওহি হলো ————– বাণী।
৪) আমাদের মৃত্যুর পরের জীবনকে বলে ————–।
৫) জান্নাত হলো ————– সুখের স্থান।
৬) ফেরেশতাদের মধ্যে বিখ্যাত হলেন ————– জন।
উত্তর : ১) অদ্বিতীয় ২) নূরের ৩) আল্লাহর ৪) আখিরাত ৫) পরম ৬) চার।
প্রশ্ন ও উত্তরঃ
১. ওহি কাকে বলে?
উত্তর : ওহি হলো আল্লাহর বাণী। আল্লাহ তায়ালা নবি-রাসুলদের কাছে যে বাণী পাঠিয়েছেন তাকেই ওহি বলে।
২. ইমান কাকে বলে?
উত্তর : ইমান অর্থ বিশ্বাস। মহান আল্লাহ তায়ালা এক. ও অদ্বিতীয় এবং মুহাম্মদ (স.) তাঁর রাসুল ও সর্বশেষ নবি। এই কথা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করাকেই ইমান বলে।
৩. মহানবির কাছে সর্বপ্রথম কোন ফেরেশতা ওহি নিয়ে আসেন?
উত্তর : মহানবির কাছে সর্বপ্রথম হযরত জিবরাইল (আ.) ওহি নিয়ে আসেন।
৪. প্রথম কোন সূরা ওহি হিসেবে অবতীর্ণ হয়?
উত্তর : সূরা আলাকের ৫ (পাঁচ) আয়াত প্রথম ওহি হিসেবে অবতীর্ণ হয়।
৫. ইমানে মুজমাল অর্থ কী?
উত্তর : ইমান অর্থ বিশ্বাস। আর মুজমাল অর্থ সংক্ষিপ্ত। ইমানে মুজমাল অর্থ সংক্ষিপ্ত বিশ্বাস।
৬. তকদির অর্থ কী?
উত্তর : তকদির অর্থ ভাগ্য। জীবনে ভালো মন্দ যা কিছু হয় সব আল্লাহর হুকুমে হয়- এই বিশ্বাসকে তকদির বলে।
৭. পবিত্র কুরআনে কতোজন নবি-রাসুলের নাম এসেছে?
উত্তর : পবিত্র কুরআনে ২৫ জন নবি-রাসুলের নাম এসেছে।
৮. প্রথম নবির নাম কী?
উত্তর : প্রথম নবির নাম হযরত আদম (আ.)।
৯. সহীফা মোট কতো খানা?
উত্তর : সহীফা মোট ১০০ খানা।
১০. হযরত মিকাইল (আ.)-এর কাজ কী?
উত্তর : হযরত মিকাইল (আ.) আল্লাহর হুকুমে জীবের জীবিকা বণ্টন ও মেঘবৃষ্টির দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।
১১. হযরত জিবরাইল (আ.)-এর কাজ কী ছিল?
উত্তর : হযরত জিবরাইল (আ.) এর কাজ ছিল আল্লাহর হুকুমে নবি-রাসুলগণের উপর ওহি নিয়ে আসা।
১২. হযরত ইসরাফিল (আ.) হাতে কী নিয়ে অপেক্ষায় আছেন?
উত্তর : হযরত ইসরাফিল (আ.) আল্লাহর হুকুমে হাতে শিঙ্গা নিয়ে অপেক্ষায় আছেন।
১৩. কোন ফেরেশতা আল্লাহর হুকুমে জীবের জান কবজ করেন?
উত্তর : হযরত আযরাইল (আ.) আল্লাহর হুকুমে জীবের জান কবজ করেন।
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাঠান মুলুকে | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | কাজলা দিদি | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাখির জগৎ | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
সাধারণ
১. ইমান মুফাস্সালে আমরা কতগুলো বিষয়ের উপর ইমান আনি? ইমান মুফাস্সাল অর্থসহ বাংলায় লেখ।
উত্তর : ইমান মুফাস্সালে আমরা সাতটি বিষয়ের উপর ইমান আনি। ইমান মুফাস্সাল অর্থসহ বাংলায় নিচে উলেখ. করা হলো :
ইমান মুফাস্সাল- আমানতু বিল্লাহি ওয়ামালাইকাতিহী ওয়াকুতুবিহী ওয়ারুসুলিহী ওয়ালইয়াওমিল আখিরি ওয়াল কাদরি খাইরিহী ওয়াশাররিহী মিনাল্লাহি তায়ালা ওয়াল বা’সি বা’দাল মাউত।
অর্থ : আমি ইমান আনলাম আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর কিতাব ও তাঁর রাসুলগণের ওপর। আরও ইমান আনলাম শেষ দিবসে ও তকদিরের ভালো-মন্দে, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে।
২. ‘সালাম’ অর্থ কী? আমরা পরস্পর সালাম বিনিময় করব কেন?
উত্তর : ‘সালাম’ অর্থ শান্তি।
সালাম বিনিময়ের দ্বারা একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা, আন্তরিকতা, মহব্বত তৈরি হয়। একে অপরের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়। এতে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। অশান্তি দূর হয়। ইসলামে সালাম বিনিময় একটি সুন্দর নিয়ম। সালাম হলো শান্তির দোয়া। তাই আমরা একে অপরের সাথে দেখা হলে অবশ্যই সালাম বিনিময় করব।
৩. কালিমা শাহাদত মানে কী? কালিমা শাহাদতের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কালিমা শাহাদত মানে- সাক্ষ্য দেওয়ার বাক্য।
কালিমা শাহাদত হলো ইসলামের মূল বিষয়। এর দ্বারা আমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকেই মাবুদ হিসেবে স্বীকার করে নিই ও হযরত মুহাম্মদ (স.)-কে আল্লাহর বান্দা ও রাসুল হিসেবে সাক্ষ্য দিই। তাওহিদ ও রিসালাতের প্রতি ইমান আনি। এ সাক্ষ্য দেওয়া ছাড়া একজন মুমিন-মুসলমানের ইমান কখনো পরিপূর্ণ হতে পারে না। আর রাসুল (স.)-এর খাঁটি উম্মত হওয়া যায় না। তাই আমরা কালিমা শাহাদতের অর্থ জানব, অন্তরে বিশ্বাস করব এবং বাস্তব জীবনে আমল করব।
৪. আখিরাত কাকে বলে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আখিরাত মানে পরকাল। মৃত্যুর পরের জীবনকে বলে আখিরাত। মৃত্যুর পরেই এ জীবনের শুরু হয়। কবর, কিয়ামত, হাশর, মিজান, পুলসেরাত, জান্নাত, জাহান্নাম এসবই আখিরাতের জীবনের অন্তর্ভুক্ত। আখিরাত জীবনের শুরু আছে, শেষ নেই। সে জীবন অনন্তকালের। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “এ দুনিয়ার জীবন তো অস্থায়ী উপভোগের বস্তু। আর আখিরাতই হচ্ছে চিরস্থায়ী আবাস।” দুনিয়ার জীবনে আমরা যেমন কাজ করব, আখিরাতে আমরা তেমনি ফল ভোগ. করব। আখিরাতের জীবনই হলো আসল জীবন।
যোগ্যতাভিত্তিক
৫. মহান আল্লাহর পরিচয় পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : মহান আল্লাহর পরিচয় নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো :
১) মহান আল্লাহ এক. ও অদ্বিতীয়।
২) তাঁর সত্তা ও গুণের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো কিছুই নেই।
৩) তিনি অনাদি, অনন্ত।
৪) তিনি সর্বশক্তিমান ও পরম দয়ালু।
৫) তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা ও পালনকর্তা।
৬. শেষ দিবসের প্রতি তোমার বিশ্বাস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : নিচে পাঁচটি বাক্যে শেষ দিবসের প্রতি আমার বিশ্বাস উল্লেখ. করা হলো :
১) শেষ দিবস বা আখিরাতে বিশ্বাসী ব্যক্তি তার কাজকর্মে সতর্ক. হয়।
২) ইমানের অন্যান্য বিষয়ের মতো শেষ দিবসে বিশ্বাস করাও জরুরি।
৩) দুনিয়ায় যারা ভালো কাজ করে, শেষ দিবসে তারা জান্নাতের সুসংবাদ পাবেন।
৪) দুনিয়ায় যারা খারাপ কাজ করে, শেষ দিবসে তারা জাহান্নামের দুঃসংবাদ পাবে।
৫) শেষ দিবসে বিশ্বাসী ব্যক্তি শাস্তির ভয়ে দুনিয়ায় ভালো কাজ করে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।