স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৮ম-রচনামূলক)পর্বঃ২ প্রশ্নোত্তর ও সাজেশন সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে পারবেন। সুতরাং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনার্স ১ম বর্ষের যেকোন বিভাগের সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
অনার্স প্রথম পর্ব
বিভাগ: স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস
বিষয় : ১৯৭০-এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মার্চের অসহযোগ আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা
বিষয় কোড: ২১১৫০১
গ-বিভাগঃ রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর
৮.০৮. বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের (১৯৭১) ঐতিহাসিক ভাষণ মূল্যায়ন কর ।
অথবা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর ।
উত্তরঃ ভূমিকা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ভাষণকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর সাথে তুলনা করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জনগণের তীব্র স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে শেখ মুজিব বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের পথকে প্রশস্ত করেন এবং অসহযোগ আন্দোলনকে আরও বেগবান ও গতিশীল করে তোলেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম ।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের (১৯৭১) ঐতিহাসিক ভাষণ মূল্যায়ন : নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের (১৯৭১) ঐতিহাসিক ভাষণ মূল্যায়ন করা হলো :
১. মুক্তির দাবি উত্থাপন : স্বৈরাচারী পাকিস্তান সরকার এদেশের মানুষকে দীর্ঘ ২৪ বছর শাসন শোষণ করেছে। তারা ভূমিকা পালন করেছে শাসকের আর শাসিত হিসেবে বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে এদেশের সাধারণ মানুষকে।
তাই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জাতিকে চতুর্দিক থেকে নানা চক্রান্তের ফাঁদ পেতে মারার যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, তা থেকে এদেশবাসী মুক্তি চেয়েছে, বাঁচতে চেয়েছে। বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে এ মুক্তি আর বাঁচার বাণী ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, “আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।” তিনি আরও বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” মূলত এ ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির দাবি তুলে ধরেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৮-রচনামূলক)পর্বঃ৩
২. ভ্রাতৃত্ববোধের মর্মবাণী : ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ভ্রাতৃত্ববোধের মর্মবাণী জনগণের মধ্যে তুলে ধরেন। যার ফলে জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়। তিনি তার ভাষণে বলেন, “ভায়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন।” তিনি বাঙালি জাতির সদস্যদেরকে ‘ভাইয়েরা আমার’ বলে সম্বোধন করে ভ্রাতৃত্ববোধকে জাগ্রত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
৩. অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু দেশব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানান। দেশবাসীকে পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত শাসনব্যবস্থাকে অচল করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ অসহযোগ আন্দোলনকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত করে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দেবার চাই যে, আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট কাছারি, আদালত-ফৌজদারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।”
এভাবে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে তিনি জনগণকে স্বাধীনতার প্রতি উৎসাহিত করেন।
৪. মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ : মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ৭ মার্চের ভাষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া নিরস্ত্র বাঙালির প্রস্তুতির বিপরীতে ছিল সুসজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ অবস্থা পূর্বেই উপলব্ধি করে ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। তিনি তার ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়ে বলেন, “আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।
তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।…রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৮-রচনামূলক)পর্বঃ৩
৫. দেশরক্ষার আহ্বান : ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণকে দেশরক্ষার আহ্বান জানান। তিনি দেশরক্ষার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মনে রাখবেন, বাঙালি, অবাঙালি যারা আছে, তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের ওপর।
আমাদের যেন বদনাম না হয় কেননা শত্রুবাহিনী ঢুকেছে, নিজেদের মধ্যে অন্তঃকলহ সৃষ্টি করবে, লুটতরাজ করবে। তাই তিনি শত্রুবাহিনীর কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করার আহ্বান জানান ।
৬. যুদ্ধের পরোক্ষ ঘোষণা : মুক্তিযুদ্ধের পরোক্ষ ঘোষণা ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে। তিনি এ ভাষণের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ যুদ্ধের ঘোষণা না দিলেও পরোক্ষভাবে যুদ্ধ ঘোষণার নির্দেশ দেন । যা মুক্তিকামী জনগণের জন্য ছিল সবুজ সংকেত।
তিনি ভাষণে বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” তিনি আরো বলেন, “তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ্ ।”
৭. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি : দেশবাসীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি ঘটবে এই লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল । কিন্তু এ মুক্তি অর্জিত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি।
তাই ৭ মার্চের ভাষণে তিনি উল্লেখ করেন, “নির্বাচনের পর বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈরি করব এবং এদেশকে আমরা গড়ে তুলবো। এদেশের মানুষ অর্থনীতি, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে।”
এভাবে উক্ত ভাষণে তিনি জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তির কথা ঘোষণা করেন ৮. সেনাবাহিনীর প্রতি নির্দেশনা : বঙ্গবন্ধু নিরীহ বাঙালির ওপর আক্রমণ না করার আহ্বান জানান সেনাবাহিনীর প্রতি। সাথে সাথে এও জানানো হয় যে যদি হামলা চালানো হয়, তবে এর সমুচিত জবাবও দেওয়া হবে ।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৮-রচনামূলক)পর্বঃ৩
তার ভাষায়, “তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না । কিন্তু আর আমার বুকের উপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না, ৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি, কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না।”
৯. দ্বন্দ্বের কারণ ব্যাখ্যা : সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানকে কতটা অত্যাচার ও বঞ্চিত করেছে ও তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দাবিকে তুচ্ছ করে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে কীভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে পাক সামরিক সরকারের কাছে তা তুলে ধরেন এ ভাষণে।
এভাবে বঙ্গবন্ধু দুই পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করেন যা বাঙালির স্বাধীনতার গতিকে আরও যৌক্তিক করে তোলে ।
১০. দেশপ্রেমের বাণী : ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ব্যক্তি বা দলের চেয়ে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন দেশের স্বার্থকে তিনি ক্ষমতা চাননি। চেয়েছেন এদেশের মানুষের মুক্তি এবং প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন এদেশের মানুষের অধিকার।
তিনি জনগণের মাঝে দেশপ্রেমের বাণী প্রচার করে দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, “আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই।”
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
কেননা এ ভাষণের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতি তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সর্বোপরি দেশকে রক্ষার জন্য মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। আর এ মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল এক অমীয় নির্দেশ।
এ ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় ।
৮.০৯. পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইটের উদ্দেশ্য কী ছিল? সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, সামরিক সরকার কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইটের উদ্দেশ্যগুলো বিশ্লেষণ কর ।
উত্তরঃ ভূমিকা : পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ই আন্দোলনকারী মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে কঠোর হস্তে দমনের জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিকবাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে তা অপারেশন সার্চলাইট নামে অভিহিত ।
অপারেশন সার্চলাইটের আওতায় ২৫ মার্চ রাত সাড়ে এগারটা থেকে মে পর্যন্ত বড় বড় শহরে অভিযান পরিচালিত হয় । একে একাত্তরের গণহত্যার দলিল বলা হয়ে থাকে।
পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইটের উদ্দেশ্য : নিম্নে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার উদ্দেশ্য তুলে ধরা হলো :
১. আন্দোলন স্তব্ধ করা : পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কর্তৃক এ সামরিক অভিযান পরিচালনা করার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দেশব্যাপী চলমান অসহযোগ আন্দোলনকে স্তব্ধ করা।
কেননা অসহযোগ আন্দোলনের তীব্রতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি সামরিক সরকারের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছিল তাছাড়া অসহযোগ আন্দোলনের ফলে পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক সরকারের কর্তৃত্ব ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে। জনগণ সামরিক সরকারের নির্দেশনা অগ্রাহ্য করতে শুরু করেছিল।
তাই সামরিক সরকার অসহযোগ আন্দোলন স্তব্ধ করার মানসে এ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছিল।
২. ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নস্যাৎ করা : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভ সামরিক সরকার ভালোভাবে নেয়নি। কেননা পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার নির্বাচনি ফলাফলে শঙ্কিত হয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রশ্নে গড়িমসি ও নানারকম ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুধু বিলম্বিতই করেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৮-রচনামূলক)পর্বঃ৩
কিন্তু তা সত্ত্বেও বাঙালি জনগণের সংগ্রামী চেতনা ও আন্দোলন দমিয়ে রাখা যায়নি। যা সামরিক সরকারের জন্য ছিল খুবই হতাশাজনক। ফলে সামরিক সরকার এর স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজছিল। যাতে করে পূর্ব পাকিস্তানি জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে না হয়। এ উদ্দেশ্যে তারা এ ন্যক্কারজনক সামরিক হামলা চালায়।
৩. কর্তৃত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা : পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকশ্রেণি সবসময় চেয়েছে পূর্ব পাকিস্তানকে নিজেদের কর্তৃত্বে রাখতে। কিন্তু ১৯৭০ এর নির্বাচনি ফলাফল কেন্দ্রীয় সরকারকে হতাশ করলে সামরিক সরকার কর্তৃত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার নতুন পন্থা খুঁজতে থাকে। এজন্য তারা আলোচনার পাশাপাশি সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতেও মনোযোগী হয়।
আর এসব করার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব বজায় রাখা। যা করতে গিয়ে সামরিক সরকার অপারেশন সার্চলাইটের মতো জঘন্য হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করতেও দ্বিধা করেনি।
- স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৬ষ্ঠ-অতিসংক্ষিপ্ত)
- স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৬ষ্ঠ-সংক্ষিপ্ত)
- স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৬ষ্ঠ-রচনামূলক)-১
- স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৬ষ্ঠ-রচনামূলক)-২
- স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৬ষ্ঠ-রচনামূলক)-৩
৪. স্বায়ত্তশাসনের দাবি ধূলিসাৎ করা : প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন ৮. প্রদানের দাবি ছিল বাঙালি জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু সামরিক সরকার ছলেবলে কৌশলে সে দাবি নাকচ করে আসছিল। তবে ‘৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভ বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে যৌক্তিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়।
যার ওপর ভিত্তি করে জনগণ অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জোরালো করে তোলে। এ অবস্থা পাক সামরিক সরকারকে ভাবিয়ে তোলে । ফলে সামরিক সরকার স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে ধূলিসাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে আকস্মিক সামরিক অভিযান পরিচালনা করে ।
যেন জনগণ অভিযানে ভীত হয়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবি পরিত্যাগ করে ।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৮-রচনামূলক)পর্বঃ৩
৫. স্বাধীনতাকামী বাঙালি দমন : অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে সমূলে দমন করা যার ফল দেখে যেন অপরাপর বাঙালিরা তাদের স্বাধীনতার দাবি থেকে সরে আসে।
কেননা ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু যে পরোক্ষ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তা সমস্ত বাঙালির মনে স্বাধীন হওয়ার বাসনাকে আরও শতগুণে বৃদ্ধি করেছিল । আর সেই লক্ষ্যেই এসব স্বাধীনতাকামী জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ।
তাই স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের দমন করার লক্ষ্যে এ সামরিক অভিযান প্রেরণ করা হয়েছিল ।
উপসংহারঃ উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, পাক । সামরিক সরকার বাঙালির যৌক্তিক দাবিকে ধ্বংস করা এবং সামরিক কর্তৃত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে পূর্ণমাত্রায় বাঙালি শোষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করেছিল।
তারা চেয়েছিল যেকোনো মূল্যে বাঙালি দমন করে আন্দোলনকে স্থগিত করার পাশাপাশি স্বাধীনতার দাবিকে চিরতরে নস্যাৎ করতে।
সর্বোপরি পূর্ব পাকিস্তানি জনগণকে তাদের পূর্ণ কর্তৃত্বে রাখার উদ্দেশ্যে পাক সামরিক সরকার ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র নিরীহ বাঙালির ওপর অপারেশন সার্চলাইট নামে কুখ্যাত সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছিল।
৮.১০ “বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ঘোষণা।”- বিস্তারিত আলোচনা কর।
অথবা, “বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল। – আলোচনা কর।
উত্তরঃ ভূমিকা : ১৯৭০ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নির্দেশনামূলক ভাষণ প্রদান করেন যা বিশ্বের ইতিহাসে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে খ্যাত।
এই ভাষণের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার সংগ্রামের সূচনা হয় যদিও এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ দেশের আপামর জনসাধারণকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দীপ্ত শপথে বলীয়ান করে।
যে কারণে ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যেই স্বাধীনতার ঘোষণা নিহিত ছিল বলে মনে করা হয় ।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ঘোষণা : নিম্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই যে স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ঘোষণা ছিল সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য : শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে যে ভাষণ দেন তা বাঙালি জনগণকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্দীপ্ত করে। শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
” তিনি আরও বলেন, “রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ!” তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।”
ঐক্যবদ্ধ জনতা নেতার এ উদাত্ত আহ্বানকে স্বাগত জানায় এবং দেশের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুতি নিতে থাকে।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৮-রচনামূলক)পর্বঃ৩
ভাষণের নির্দেশনামা ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের জন্য কিছু নির্দেশনামা জারি করেন যা জনগণকে স্বাধীনতা সংগ্রামের পথে অগ্রসর হতে অনুপ্রাণিত করে । এগুলো নিম্নরূপ :
ক. বাংলার মুক্তি না আসা পর্যন্ত সকল খাজনা, ট্যাক্স বন্ধ রাখতে হবে।
খ. সেক্রেটারিয়েট, সরকারি আধাসরকারি অফিস, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য আদালত বন্ধ থাকবে।
গ. যানবাহন ও বন্দরে কাজ চলবে। তবে সশস্ত্র বাহিনীর চলাচলের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা চলবে না ।
ঘ. টেলিফোন, টেলিগ্রাম কেবল বাংলাদেশের ভিতরই চলবে।
ঙ. স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে ।
চ. আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অবিলম্বে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ যে ভাষণ দেন তা বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় এ ভাষণের মধ্যে স্বাধীনতার স্পষ্ট ঘোষণা ছিল। নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করলে এর প্রমাণ মেলে –
১. স্বাধীনতার ডাক : ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জনগণের প্রতি স্বাধীনতার ডাক দেন। তিনি বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” অর্থাৎ তার বক্তব্যের মধ্যেই স্বাধীনতার ঘোষণা নিহিত ছিল। তিনি এ ভাষণের মাধ্যমেই জনগণকে স্বাধীনতার প্রতি উজ্জীবিত করে তোলেন।
যার ফলশ্রুতিতে জনগণ অসহযোগ আন্দোলন এবং পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাই ২৬ মার্চ স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা যদি নাও আসত তবুও বাঙালি ৭ মার্চের ভাষণের দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়ে মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ত এতে কোনো সন্দেহ ছিল না। তাই বলা যায় ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যেই স্বাধীনতার ঘোষণা নিহিত ছিল।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৮-রচনামূলক)পর্বঃ৩
২. মুক্তির বাণী প্রদান : ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালি জনগণের জন্য মুক্তির বাণী প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি লী বলেন, “রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, এই দেশেরে মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।” তার এই মুক্তির বাণী জনগণের মনে মুক্তির বার্তা বয়ে আনে।
এ ভাষণের দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়েই জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বাঙালি জাতীয়তাবোধ সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। তাই একথা অবশ্যই বলা যায় যে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যেই বাঙালির মুক্তির বাণী নিহিত ছিল।
৩. প্রতিরোধের বাণী প্রচার : ৭ মার্চের ভাষণে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালি জনগণকে প্রতিরোধের মন্ত্রে উদ্দীপ্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল” তার এই বক্তব্য জনগণের মধ্যে প্রতিরোধের বাণী প্রচার করে।
জনগণ এ ভাষণের মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ করার উজ্জীবনী শক্তি লাভে সক্ষম হয়। এ বক্তব্যের মাধ্যমেই জনগণ প্রতিরোধ কর্মসূচি গ্রহণের প্রেরণা লাভ করে ।
৪. মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু : ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার জনতা মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে ৭ মার্চ বিকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা রাইফেল নিয়ে ঢাকার রাজপথ প্রদক্ষিণ শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যায় এবং ২৫ মার্চ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউওটিসি এর ক্যাডেটরা এ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। একইভাবে বাঙালি সৈন্যদের মধ্যেও আলোড়ন শুরু হয়ে যায়। তাই এ থেকে বুঝা যায় এ ভাষণের মধ্যেই স্বাধীনতার ঘোষণা নিহিত ছিল ।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৮-রচনামূলক)পর্বঃ৩
৫. জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন : অসহযোগ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ভাষণ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তার ভাষণ বাঙালি সৈনিক ও সাধারণ মানুষকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করে। তাছাড়া এ বক্তৃতায় বাঙালির আশা- আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত হয়।
ঐ দিন শেখ মুজিব পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীকে প্রস্তুত হতে আগাম নির্দেশ দিয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। মেজর জিয়াউর রহমান তার একটি জাতির জন্ম’ প্রবন্ধে এ ভাষণের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, “৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ঘোষণা আমাদের কাছে এক গ্রিন সিগন্যাল বলে মনে হলো।” তাই নিঃসন্দেহে একথা বলা যায় যে ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ঘোষণা ।
৬. প্রতিরোধ কমিটি গঠন : ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংগ্রাম প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হতে থাকে । ৭ মার্চের পর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসহ সাধারণ মানুষের সমন্বয়ে সংগ্রাম প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হয়। প্রত্যেক জেলা, মহকুমা, থানা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিরোধ প্রস্তুতি গড়ে উঠতে থাকে যা ২৬ মার্চের পর পরিপূর্ণতা লাভ করে।
৭ মার্চের ভাষণের মধ্যেই শেখ মুজিব ঘোষণা করেন, “প্রত্যেক গ্রাম, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল ।” তার এই বক্তব্য দেশব্যাপী প্রতিরোধ কমিটি গঠনে উদ্দীপ্ত করে। তাই ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার স্পষ্ট ঘোষণা ছিল এটা বলাই যায়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, অসহযোগ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেছিলেন তা তৎকালীন প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবেই বিবেচিত হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৮-রচনামূলক)পর্বঃ৩
যদিও ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস হিসেবে স্বীকৃত তথাপি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ তারিখের ঘোষণার পর পরই বাংলাদেশে অসহযোগ ও প্রতিরোধ আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। তার ভাষণ বাঙালি সৈন্য ও সাধারণ মানুষকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করে।
শুধু ছাত্র শ্রমিক নয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যেও ভাষণের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।