HSC | এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে | সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১-৫ | PDF: বাংলা ১ম পত্রের এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতাটি হতে যেকোনো ধরনের প্রশ্নোত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা ১ম পত্রের এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতাটি হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
অনুশীলন অংশ
১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
১. এমন স্নিগ্ধ নদী কাহার কোথায় এমন ধূম্র পাহাড়
কোথায় এমন হরিৎক্ষেত্র আকাশ তলে মেশে
এমন ধানের ওপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে।
২. আঁখি মেলে তোমার আলো
প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে।
ক. জীবনানন্দ দাশের কাব্যবৈশিষ্ট্যকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী বলে আখ্যায়িত করেছেন?
খ. “জলাঙ্গীরে দেয় অবিরল জল”:কথাটির দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের উভয় অংশে কোন বিশেষ দিকটি “এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে” কবিতায় অনুপস্থিত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধের কারণে এখানকার প্রতিটি জিনিস কবির চোখে অপরূপ সৌন্দর্য জাগানিয়া।” উদ্দীপক ও কবিতার আলোকে মন্তব্যটির যৌক্তিকতা দেখাও।
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘চিত্ররূপময়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
খ. প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা কবি নদীমাতৃক বাংলার নদী-নালার স্রোতধারার প্রাণৈশ্বর্যকে বোঝাতে চেয়েছেন।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশে জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছোট-বড় ১৩০টি নদ-নদী। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো: পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী প্রভৃতি। এসব নদী ছাড়াও জলে পরিপূর্ণ হয় এদেশের অসংখ্য খাল-বিল, ডোবা নালা। তারা ফিরে পায় তাদের স্রোতধারার প্রাণৈশ্বর্য ও রূপ-সৌন্দর্য। প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা কবি মূলত এদেশের নদ-নদীর স্রোতধারার ঐশ্বর্যকে বোঝাতে চেয়েছেন।
গ. উদ্দীপকের উভয় অংশে স্বদেশের বুকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার বিশেষ দিকটি ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় অনুপস্থিত।
দেশ ও দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতিটি মানুষের আত্মার সম্পর্ক। তাই মানুষ তার স্বদেশকে ভালোবাসে অন্তরের অন্তস্থল থেকে। স্বদেশের প্রতিটি জিনিসই তার কাছে পায় অসীম মর্যাদা।
উদ্দীপকের উভয় অংশে স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ প্রকাশ পেয়েছে। কেননা, এখানে স্বদেশের প্রতিটি জিনিসই পেয়েছে অনন্য মর্যাদা। স্বদেশের পাহাড়-প্রকৃতি, নদ-নদী সবকিছুই কবির কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনে হয়েছে।
স্বদেশের প্রতি এমন মমত্ববোধের কারণে কবি তাঁর জন্মভূমির বুকেই শেষ-নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চেয়েছেন। অন্যদিকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কবি গভীরভাবে তাঁর মাতৃভূমিকে ভালোবেসেছেন। তাইতো স্বদেশের সবকিছুই তাঁর কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনে হয়েছে।
স্বদেশের রূপ-সৌন্দর্যের মাঝে তিনি খুঁজে পেয়েছেন প্রাণৈশ্বর্য। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের উভয় অংশে স্বদেশের বুকে শেষ-নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাওয়ার বিশেষ দিকটি ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় অনুপস্থিত।
ঘ. “স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধের কারণে এখানকার প্রতিটি জিনিস কবির চোখে অপরূপ সৌন্দর্য জাগানিয়া।”: উদ্দীপক ও কবিতার আলোকে মন্তব্যটি যৌক্তিক।
প্রতিটি মানুষের মধ্যে তাঁর স্বদেশের প্রতি রয়েছে গভীর ভালোবাসা, যা মানুষের মনে আনে প্রশান্তির জোয়ার। স্বদেশের প্রতি এমন গভীর মমত্ববোধের কারণে স্বদেশের প্রতিটি বস্তু মানুষের কাছে পায় বিশেষ মর্যাদা।
উদ্দীপকে জন্মভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। কবির চোখে তাঁর দেশের নদী, পাহাড়, প্রকৃতি, আকাশ সবকিছুই যেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ। ধান খেতে বাতাসের এমন খেলা পৃথিবীর আর কোথাও যেন খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই কবি এমন ঐশ্বর্যমণ্ডিত দেশে জন্মে গর্বিত।
তাঁর চোখে অসাধারণ সুন্দর এই দেশ যা সারা পৃথিবীর মধ্যে অনন্য। প্রকৃতির সৌন্দর্যের এমন লীলাক্ষেত্র পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এদেশের চিরসবুজ প্রকৃতি, নদ-নদী পাহাড় যেন সৌন্দর্যের প্রতীক। প্রকৃতি ও প্রাণির মধ্যে রয়েছে অসীম সংহতি।
স্বদেশের প্রতি প্রতিটি মানুষের থাকে গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ। এ ভালোবাসা ও মমত্ববোধের কারণেই স্বদেশের সবকিছু মানুষের চোখে হয়ে ওঠে পৃথিবী-শ্রেষ্ঠ- যা উদ্দীপক ও কবিতায় ফুটে উঠেছে। এজন্যই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত
মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।
অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ
২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা;
তাহার মাঝে আছে দেশ এক: সকল দেশের সেরা;
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা;
এমন স্নিগ্ধ নদী কাহার, কোথায় এমন ধূম্র পাহাড়;
কোথায় এমন হরিৎক্ষেত্র আকাশ তলে মেশে।
এমন ধানের উপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে।
পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখী; কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি,
গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে:
তারা ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে: আমার জন্মভূমি।
ক. পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল কী?
খ. “এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে: সবচেয়ে সুন্দর করুণ”:এখানে কোন স্থানের কথা বলা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের কবির জন্মভূমি ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার কিসের প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “প্রকৃতিপ্রেম থেকে উৎসারিত স্বদেশপ্রেমই উদ্দীপকের কবিতাংশ ও ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার মূল ভাবনা।”: মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. শঙ্খচিল পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল।
খ. “এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে: সবচেয়ে সুন্দর করুণ”: এখানে বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে।
আমাদের এই বাংলার মানুষ অভাবগ্রস্ত হলেও প্রাকৃতিক সম্পদ আর প্রকৃতির রূপে বাংলা ঐশ্বর্যশালী। বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতোটাই মনোরম যে, পৃথিবীর কোথাও এমন স্থান খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাংলার প্রতিটি তুচ্ছ উপাদানে কবি অপরূপ সৌন্দর্যের আভা দেখতে পান। তাই বলা যায়, এই পৃথিবীতে “এক স্থান আছে: সবচেয়ে সুন্দর করুণ”: তাহলো আমাদের রূপসী বাংলা।
গ. উদ্দীপকের কবির জন্মভূমি ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে।
আমাদের এই বাংলাদেশ প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। সাগর, নদী, পাহাড়, পশু-পাখি, ফুলে-ফসলে ঘেরা আমাদের এই বাংলাদেশ। প্রকৃতির ভুবনমোহিনী সৌন্দর্য আমাদের বিমোহিত ও মুগ্ধ করে।
উদ্দীপকে বর্ণিত দেশটি পৃথিবীর সকল দেশের চেয়ে সেরা: এমন স্নিগ্ধ নদী আর ধূম্র পাহাড় আর কোথাও নেই। এখানকার বাতাস ধানের খেতের ওপর যেভাবে ঢেউয়ের খেলার সৃষ্টি করে তা পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
পাখির কলরবে এখানকার প্রকৃতি সদা কলোলিত; ফুলের ওপর ভ্রমর আর মৌমাছির গুঞ্জন আমাদের চিত্তকে আন্দোলিত করে। ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় যে স্থানের কথা বলা হয়েছে তার সবুজ ডাঙা মধুক‚পী ঘাসে অবিরল।
কর্ণফুলী, পদ্মার অবিরল জলের ধারা আর শঙ্খচিল, ল²ীপেঁচার অস্ফুট তরুণ চঞ্চলতা প্রকৃতিতে এক মোহনীয় আবেশ সৃষ্টি করে। এখানে সন্ধ্যার অন্ধকার বাতাসে সুদর্শন উড়ে যায় আর বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে ধানের খেত যেন হলুদ শাড়ির মতো রূপসীর গায়ে লেগে থাকে।
নীল বাংলার ঘাসে আর ধানের ভেতরে যে অপার সৌন্দর্য তা সত্যিই অপরূপ রূপের প্রতীক। উদ্দীপকেও বলা হয়েছে, সকল দেশের রানি হলো আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। তাই বলা যায়, এই ভাবটি ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কবির প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করে।
ঘ. প্রশ্নোলিখিত মন্তব্যটি সঠিক ও যথার্থ।
জন্মভূমির অবারিত সৌন্দর্যই একজন মানুষের মনের গহিনে স্বদেশের প্রতিমূর্তি গড়ে দেয়। প্রকৃতির অপার রূপমুগ্ধতাই দেশবাসীর মনের ভেতরে সৃষ্টি করে দেশপ্রেম।
উদ্দীপকের কবি তাঁর প্রিয় জন্মভূমির রূপবৈচিত্র্যে পুরোপুরি মুগ্ধ। কবি এই বসুন্ধরাকে ধনধান্য পুষ্পভরা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আর এই বসুধার মাঝে একটি দেশ আছে যেটি অন্যান্য দেশের তুলনায় সেরা। কেননা, সেই দেশটি স্বপ্ন দিয়ে তৈরি হয়েছে এবং স্মৃতি দিয়ে ঘেরা রয়েছে। দেশটি কবির মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বাংলার স্নিগ্ধ নদী, ধূম্র পাহাড়, ধানের খেত, পাখির কলকাকলি কবির মনে দোলা দিয়ে যায়।
‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতাতেও কবি তাঁর জন্মভূমির অপার সৌন্দর্যের নিটোল বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। কবি ‘জীবনানন্দ দাশ’ নীল বাংলার ঘাসে আর ধানের ভেতরে যে সৌন্দর্য দেখেছেন তা এককথায় অপূর্ব।
তিনি পাকা ধানের খেতকে দেখেছেন রূপসীর শরীরের উপরে থাকা হলুদ শাড়ির মতো। কবি তাঁর বাংলা মায়ের প্রতিটি তুচ্ছ উপাদানকেও ভালোবাসেন বলে কবিতায় তাদের স্থান দিয়েছেন।
স্বদেশের প্রতি কবির গভীর ভালোবাসা আছে বলেই তিনি তাঁর দেশের প্রকৃতি বন্দনা করেছেন। উদ্দীপকের কবিতার ক্ষেত্রেও বিষয়টি সমানভাবে উঠে এসেছে। পরিশেষে বলা যায়, প্রকৃতিপ্রেম থেকে উৎসারিত স্বদেশপ্রেমই উদ্দীপকের কবিতাংশ ও ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার মূল ভাবনা: মন্তব্যটি যথার্থ।
৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
স্বাভাবিক ব্যস্ততাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চার দিনের জন্য আমরা চলে গেলাম ভ্রমণে। সঙ্গে ছিল বন্ধু রাফি ও শাফি। এই সময় কক্সবাজারে পর্যটকের আনাগোনা খুব কম। তাই সমুদ্র আর পাহাড়কে যেন আমরা নিজের মতো করেই পেলাম। নিত্যদিনের রুটিন ভেঙে সকালে ঘুম থেকে উঠে সারাদিন শুধু ঘোরা আর দেখা। সমুদ্রের ঢেউ ভেঙে ভেসে বেড়ানো, ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ভেজা- সবই ছিল তুলনাহীন আনন্দের উচ্ছ¡াস।
সন্ধ্যায় ঝিঁঝি পোকার সঙ্গে পালা দিয়ে তিন বন্ধুর গান ধরা। সবই ছিল ‘ইচ্ছে পূরণ’ গল্পের মতোই। ওহ! সবুজ পাতার ফাঁকে ভোরের দোয়েল কীভাবে শিস দেয় সেটাও আমরা দেখেছি আর শুনেছি।
বন্ধু রাফি সবকিছুতেই যেন খুঁজে পেল নতুন এক বাংলাদেশ। ওর মতে, ‘এই বাংলাদেশ তো আমার সেই বাংলা। যেখানে সাম্পান ভাসে সাগরে। মাঝি গান গাইতে গাইতে ছুটে যায় মাঝ-দরিয়ায়। নানা পাখি আর ফুলের সমারোহে এই তো সোনার বাংলা, যাকে দেখে শুধু মুগ্ধতাই বাড়ে ।’
ক. কবির চোখে পৃথিবীর সুন্দরতম স্থান কোনটি?
খ. “সবুজ ডাঙা ভরে আছে মধুক‚পী ঘাসে অবিরল;”:চরণটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’:কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের শেষ চরণে রাফির অনভূতিতে যেন কবি জীবনানন্দ দাশের প্রকৃতি চেতনারই প্রতিফলন ঘটেছে।”: মূল্যায়ন কর।
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কবির চোখে পৃথিবীর সুন্দরতম স্থান হলো তাঁর জন্মভূমি বাংলাদেশ।
খ. প্রশ্নোলিখিত চরণটি দিয়ে চিরসবুজ বাংলার প্রকৃতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত চিরসবুজ এক দেশ। এদেশের যেখানে তাকাই সেখানেই যেন সবুজ প্রকৃতি দ্বারা বেষ্টিত। যার সৌন্দর্য মানুষের সৌন্দর্যপিপাসু মনের তৃষ্ণা নিবারণ করে। এই চিরসবুজ বাংলা গাছপালা, বন-জঙ্গল, ফুলে ফুলে, ঘাস-পাতায় ভরপুর-প্রশ্নোক্ত চরণটি দ্বারা এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে।
গ. “উদ্দীপকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় ফুটে ওঠা দিকটি হলো, বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ।
প্রকৃতি তার আপন রূপ-রস-গন্ধ দিয়ে সর্বদা সৌন্দর্য ছড়ায়।
মানুষ প্রতিনিয়ত ছুটে যেতে চায় নিসর্গ প্রকৃতির মাঝে শুধু একটু আত্মতৃপ্তির আশায়। আর সেই প্রকৃতি যদি হয় মাতৃভূমির তবে সেই সৌন্দর্য তার কাছে হবে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ।
উদ্দীপকের তিন বন্ধু শহরের ব্যস্ততাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছুটে গেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। সেখানে তারা উপভোগ করেছে সমুদ্রের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, ঝিঁঝি পোকার ডাক আর বৃষ্টির পরশ। এছাড়া সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে দোয়েলের শিস দেয়া দেখে তারা মুগ্ধ হয়েছে। বাংলা-প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য তাদের মনকে প্রসন্ন করে তুলেছে।
অন্যদিকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতাতেও কবি বাংলাকে পৃথিবীর সুন্দরতম স্থান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যেখানে সবুজ ডাঙা ভরে থাকে মধুকূপী ঘাসে, যেখানে রয়েছে হাজারো নদীর মিলনমেলা, সবুজের সমারোহ।
এই বাংলার এমন অপরূপ সৌন্দর্য কবি-হৃদয়ে এনে দিয়েছে প্রশান্তি, তাই তো কবি বাংলা প্রকৃতির বন্দনা করেছেন। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় বাংলার প্রকৃতির প্রতি মুগ্ধতার দিকটি ফুটে উঠেছে।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ চরণে রাফির অনুভূতিতে যেন কবি জীবনানন্দ দাশের প্রকৃতি চেতনারই প্রতিফলন ঘটেছে।” :মন্তব্যটি যথার্থ।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় মানুষের কাছে মাতৃভূমির সৌন্দর্য সবসময়ই অনন্য মর্যাদা পায়। তাই প্রত্যেক মানুষের মধ্যে স্বদেশের প্রকৃতি চেতনার মাধ্যমেই দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটে।
উদ্দীপকের শেষ চরণে রাফির বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধতার প্রগাঢ় প্রকাশ ঘটেছে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে এর প্রকৃতি দেখে সে বলেছে, এই বাংলাদেশ আমার সেই বাংলা। যেখানে সাম্পান ভাসে সাগরে। মাঝি গান গাইতে গাইতে নৌকা বেয়ে চলে যায় মাঝ-দরিয়ায়। নানা পাখি আর ফুলের সমারোহে এই সোনার বাংলাকে দেখে শুধু মুগ্ধতাই বাড়ে।
অন্যদিকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কবির বাংলা-প্রকৃতির প্রতি সৌন্দর্যমুগ্ধতার তীব্র অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে। তিনি এই বাংলার সুবজ প্রকৃতি, বনায়ন, নদী, পাখি, ঘাস সবকিছুতেই মুগ্ধ। তাইতো কবি রূপসী বাংলার পাকা ধানকে প্রকৃতির হলুদ শাড়ি পরার সাথে তুলনা করেছেন। কবির মতে বিশালাক্ষী দেবী এই বাংলাকে যে সৌন্দর্য বর দিয়েছেন তা পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলার প্রকৃতিপ্রেমে মুগ্ধ। তাই তিনি নানা উপমা ও চিত্রকল্পের সাহায্যে এদেশের সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছেন। যার প্রতিফলন ঘটেছে উদ্দীপকের রাফির মধ্যে। তাই সংগত কারণেই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।
৪. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
বাংলার চাঁদ নিত্য স্নিগ্ধ। বাংলার আকাশ নিত্য প্রসন্ন, বাংলার বায়ুতে চিরবসন্ত ও শরতের নিত্য মাধুর্য। বাংলার জল নিত্য-প্রাচুর্যে ও শুদ্ধতায় পূর্ণ। বাংলার মাটি নিত্য-উর্বর। এই মাটিতে নিত্য সোনা ফলে। এত ধান আর কোনো দেশে ফলে না। পাট শুধু একা বাংলার। এত ফুল, এত পাখি, এত গান, এত সুর, এত কুঞ্জ, এত ছায়া, এত মায়া আর কোথাও নাই।
ক. ল²ীপেঁচা কীসের গন্ধের মতো অস্ফুট তরুণ?
খ. “হলুদ শাড়ি লেগে থাকে রূপসীর শরীরের ‘পর:”চরণটি দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার কোন দিকটি উদ্দীপকের বাংলার প্রকৃতিতে দৃশ্যমান?”: বিচার কর।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার মূল সুর যেন একই বৃন্তের দু’টি ফুল।”:মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. লক্ষী পেঁচা ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট তরুণ।
খ. প্রশ্নোক্ত চরণটি দিয়ে কবি কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের ধান পাকার মৌসুমে মাঠের সৌন্দর্যকে বুঝিয়েছেন।
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের মাঠ-ঘাট, প্রান্তর ধানসহ নানা ধরনের ফসলে ভরপুর। মাঠে মাঠে যখন ধান পাকে তখন যেন মাঠের প্রকৃতি হলুদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এই হলুদ প্রকৃতিকে কবি তাঁর কবিতার রূপসীর শাড়িরূপে কল্পনা করেছেন, যা জড়িয়ে থাকে বাংলাদেশ নাম্নী রূপসীর শরীরে। মূলত কবি ধান পাকার মৌসুমে প্রকৃতির নবরূপে সজ্জিত হওয়াকেই বুঝিয়েছেন প্রশ্নোক্ত চরণে।
গ. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঐশ্বর্যের দিকটি উদ্দীপকে প্রকাশিত বাংলার প্রকৃতিতে দৃশ্যমান।
প্রকৃতির এক অপরূপ লীলানিকেতন আমাদের এই বাংলাদেশ। এখানে প্রকৃতি অকৃপণভাবে দাঁড়িয়ে আছে সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে। এখানে রয়েছে মাঠ ভরা ফুল-ফল, ফসলের সমারোহ। বাংলা প্রকৃতিতে ঋতু বিশেষে রয়েছে স্বতন্ত্র সৌন্দর্য।
উদ্দীপকে বাংলার প্রাকৃতির সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধতা ও বাংলার ঐশ্বর্যের বন্দনা করা হয়েছে। এই বাংলার চাঁদ নিত্য স্নিদ্ধ, আকাশ নিত্য প্রসন্ন, বাংলার বায়ুতে চিরবসন্ত ও শরতের নিত্য মাধুর্য ও শ্রী বিদ্যমান। এছাড়া বাংলার মাটি নিত্য উর্বর, যেখানে সবকিছুর চাষ করা সম্ভব।
বাংলার মতো এমন প্রকৃতি ও ঐশ্বর্যমণ্ডিত দেশ আর নেই। অন্যদিকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কবি বাংলা-প্রকৃতিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
রয়েছে চিরসবুজ প্রকৃতি, আর ভোরের মেঘে নাটার রঙের মতো জেগে থাকা অরুণ। আমাদের স্বপ্নে সোনার বাংলায় রয়েছে অসংখ্য নদ-নদী ও প্রকৃতির চিরতরঙ্গিত খেলা। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্যদৃশ্যমান হয়ে আছে।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার মূল সুর যেন একই ধারায় প্রবাহিত”: মন্তব্যটি আমি সমর্থন করি। কারণ উভয়ক্ষেত্রেই মাতৃভূমির বন্দনা ও স্বদেশপ্রেম উচ্চারিত হয়েছে।
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কাছে তার মাতৃভূমি অন্যান্য দেশের তুলনায় উত্তম। তাই মাতৃভূমির সবকিছুই তাকে মুগ্ধ করে। কেননা, স্বদেশের সৌন্দর্য মানব-হৃদয়কে যে তৃপ্তি দেয় তা আর অন্য কোনো দেশের পক্ষেই দেয়া সম্ভব নয়। তাই মানুষ স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাতৃভূমির বন্দনা করে।
উদ্দীপকে বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্যের কথা বলা হয়েছে, যা মূলত স্বদেশপ্রেমেরই বহিঃপ্রকাশ। কেননা, স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই উদ্দীপকের লেখক বাংলার চাঁদ নিত্য স্নিগ্ধ, আকাশ নিত্য প্রসন্ন, বায়ুতে চিরবসন্ত ও শরতের নিত্য মাধুর্য ও শ্রীর কথা বলেছেন।
কৃষিপ্রধান এই বাংলার প্রকৃতি সৌন্দর্য দিয়ে মোড়ানো, যা এক স্বর্গীয় লীলাভূমির সঙ্গে তুলনীয়। এমন স্নিগ্ধ রূপ যেন শুধু বাংলার একারই। অন্যদিকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতাতেও কবি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এদেশের প্রকৃতির বন্দনা করেছেন।
কবির চোখে নদীবিধৌত এই দেশ যেন এক ভূস্বর্গ। এই রূপসী বাংলার সর্বত্র যে অপার সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে তা বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। কবিতায় কবি এমনই মত পোষণ করেছেন।
‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কবির মধ্যে দেশপ্রেম বিদ্যমান রয়েছে। তাই তিনি এই দেশকে পৃথিবীর সুন্দরতম স্থান বলেছেন, যার প্রতিফলন ঘটেছে প্রদত্ত উদ্দীপকে। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি সমর্থনযোগ্য।
৫. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
রূপসী বাংলাদেশ। এখানে প্রকৃতি তার স্বাভাবিক বিন্যাস ও বৈচিত্র্যে সৌন্দর্যের এক অপরূপ ছবি এঁকেছে। এমন রৌদ্রদীপ্ত উজ্জ্বল দিন আর জ্যোৎস্নালোকিত স্নিগ্ধ রাত্রি আর কোথায় পাব? এমন দিগন্তজোড়া শ্যামল শোভা আর ছায়াঘন বনরাজির তুলনা কোথায়? কোথায় মেলে এমন তরঙ্গভঙ্গে উদ্বেল পদ্মা-মেঘন-যমুনা, কপোতাক্ষ-কর্ণফুলী, সুরমা-গোমতী অথবা হাকালুকি হাওর, চলন বিল? কোথায় দৃষ্টি কাড়ে কাজলকালো বিল আর দিঘির জলে ফুটে থাকা অযুত শাপলার সৌন্দর্য, বাতাসে দোল খাওয়া সরষে ফুলের ফুলকিমালা?
ক. সবুজ ডাঙা কীসে ভরে আছে?
খ. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কবি নদীর নাম উলেখ করেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের ‘রূপসী বাংলাদেশ’ উক্তিটিতে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার আভাসিত দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে নদীমাতৃক বাংলার যে চিত্র অঙ্কিত হয়েছে তা ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার একটি বিশেষ ভাবার্থের দর্পণ।”: মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সবুজ ডাঙা মধুক‚পী ঘাসে ভরে আছে।
খ. ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় নদীমাতৃক বাংলার চিত্র বোঝাতে কবি নদীর নাম উলেখ করেছেন।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে অসংখ্য নদ-নদী, যা এ দেশের প্রকৃতিকে করেছে সমৃদ্ধ আর অর্থনীতিকে রেখেছে চাঙ্গা। এদেশের প্রধান প্রধান নদীর মধ্যে রয়েছে পদ্মা, মেঘনা, কর্ণফুলী, ধলেশ্বরী প্রভৃতি। মূলত কবি নদীপ্রধান বাংলার চিত্র বোঝাতেই কবিতায় নদীর নাম উলেখ করেছেন।
গ. উদ্দীপকের ‘রূপসী বাংলাদেশ’ উক্তিটিতে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের দিকটি আভাসিত।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক স্বর্গীয় লীলাভূমি। প্রত্যেক ঋতুতে এদেশের প্রকৃতি সজ্জিত হয় নানা রূপে। এই বাংলার রৌদ্রদীপ্ত দিন আর জ্যোৎস্নাশোভিত স্নিগ্ধ রাত্রির যে সৌন্দর্য তা পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
উদ্দীপকের ‘রূপসী বাংলাদেশ’ উক্তিটি দ্বারা বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই বাংলার প্রকৃতি তার আপন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে ভাস্বর। এখানে রয়েছে দিগন্তজোড়া শ্যামল-শোভা আর ছায়াঘন বনরাজি, রয়েছে নদীমাতৃক বাংলার চিত্র।
এছাড়া খাল-বিলে সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে ফুটে থাকা শাপলা, বাতাসে দোল খাওয়া সর্ষে ফুল-সবকিছুই মানুষকে মুগ্ধ করে। অপরদিকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কবি তাঁর জন্মভূমি বাংলাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম স্থান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
যেখানে রয়েছে চিরসবুজ প্রকৃতি, পাকা ফসলের রং রূপসী বাংলার শরীরে হলুদ শাড়ির মতো লেগে থাকে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ‘রূপসী বাংলাদেশ’ উক্তিটিতে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার অপরূপ বাংলার প্রকৃতি বন্দনার দিকটি আভাসিত।
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | আনিসুজ্জামান | বাংলা ১ম পত্র | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-৯ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | PDF
HSC | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | PDF
ঘ. “উদ্দীপকে নদীমাতৃক বাংলার যে চিত্র অঙ্কিত হয়েছে তা ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার একটি বিশেষ ভাবার্থের দর্পণ।”: এই মন্তব্যটি যথার্থ।
বাংলাদেশের প্রকৃতি তার সৌন্দর্য প্রকাশে অকৃপণ আর এই সৌন্দর্যকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করেছে এদেশে জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য নদ-নদী, যার সুশোভিত ঢেউ আর নির্মল পানি দেশের মানুষের মনকে করেছে আন্দোলিত।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশে জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য নদী। যার সুশোভিত ঢেউ মানব- হৃদয়ে প্রশান্তি বয়ে আনে। এদেশের প্রধান প্রধান নদীর মধ্যে রয়েছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী যা উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে।
অন্যদিকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় নদীমাতৃক বাংলার বর্ণনার পাশাপাশি এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনাও দেয়া হয়েছে। নদীবিধৌত এদেশের জল অবিরল, পাকা ধানের খেতে রূপসী বাংলার মাঠ যেন হলুদ শাড়ি পরে থাকে। এই বিশাল পৃথিবীর বুকে কবির চোখে সবচেয়ে সুন্দর দেশ এই বাংলাদেশ।
কবিতায় কবি বাংলার প্রকৃতির বন্দনা করেছেন। কবির কাছে এ দেশ চিরসবুজ ও নদীবিধৌত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ, যার সৌন্দর্য যেন দেবী নিজ হাতে বর দিয়েছেন। কিন্তু উদ্দীপকে শুধু নদীমাতৃক বাংলার কথা বলা হয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে এ কথা বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।