সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নবম ও দশম শ্রেণী (PDF)– এখানে অতি গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর গুলো পাবেন ।
কলিজার প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন-উত্তর সমুহ আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নবম ও দশম শ্রেণী (PDF)
প্রশ্ন -১১ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমাদের দেশের অনেক নদনদীর পানিই শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়ছে। এ নদীগুলোকে এখন মরা নদী হিসেবেই আখ্যায়িত করা যায়। এ ব্যাপারে আমাদের এখনই সতর্ক না হলে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
ক. মরা নদী কাকে বলে?
খ. আমেরিকার এরি হ্রদকে মরা হ্রদ হিসেবে কেন ঘোষণা করা হয়?
গ. ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীকে উদ্দীপকে উল্লিখিত নামে সাব্যস্ত করা যায় কিনা− ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের বিপর্যয় প্রতিরোধের কৌশল প্রণয়ন কর।
🢖🢔 ১১নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. যখন কোনো নদীর সকল জলজ জীব অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে মারা যায় তখন সে নদীকে মরা নদী বলে।
খ. এরি হ্রদের চারপাশে বেশ কয়েকটি ডিটারজেন্ট তৈরির কারখানা থেকে সৃষ্ট বর্জ্য ওই হ্রদের পানিতে ফসফেট ও নাইট্রোজেনের বৃদ্ধি ঘটায় যা প্রচুর শ্যাওলা জন্মাতে সাহায্য করে।
এই শ্যাওলাগুলো যখন মরে যায় তখন পানিতে থাকা দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয় এবং তার ফলে মাছসহ সকল প্রাণী মরে যায়। তাই এরি হ্রদকে মরা হ্রদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
গ. ঢাকার পাশে বুড়িগঙ্গা নদীর অবস্থা অনেকটাই মরা নদীর মতো। বুড়িগঙ্গা নদীর পানি শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্যপানির কারণে দূষিত হয়ে পড়ছে।
ঢাকা শহরের দৈনিক প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়। এর প্রায় অর্ধেক পরিমাণ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন সংগ্রহ করে ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসে এবং বাকি অর্ধেক নর্দমার নালা দিয়ে বা অন্য উপায়ে নদীতে গিয়ে পড়ে।
এছাড়া ঢাকার আশপাশের প্রায় সব শিল্প কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যও নদীতে ফেলা হয়। নদী এসব বর্জ্য দিয়ে ভরে উঠছে, নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ছে।
সুতরাং বুড়িগঙ্গা নদীকে মরা নদী নামে সাব্যস্ত করা যায়।
ঘ. উদ্দীপকের বিপর্যয়টি হলো মিঠা পানির উৎসস্থল অব্যাহত হারে দূষিত হয়ে পড়া। মিঠা পানির দূষণ প্রতিরোধ করতে হলে দূষণের কারণ জেনে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করাই হবে দূষণ প্রতিরোধের কৌশলের বড় দিক। এ দূষণ প্রতিরোধে নিম্নলিখিত কৌশল গ্রহণ করা যায় :
১. জলাভ‚মি রক্ষা : জলাভ‚মি, বনভ‚মি রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তা পানি দূষণ রোধে সহায়ক হবে। বৃক্ষরোপণ করে, জলাভ‚মি, হ্রদ ও সমুদ্রের তীরে পরিচ্ছন্নতার কাজ করে পানি দূষণ রোধে জনসচেতনতামূলক কাজ করা যায়।
২. জনসচেতনতা বৃদ্ধি : পানি দূষণকারী ক্ষতিকর বর্জ্যরে বড় একটি অংশ আসে আমাদের বাসাবাড়ি থেকে। এগুলো যদি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হয় তাহলে দূষণ অনেকটাই কমে যায়। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
৩. শিল্প কারখানার দ্বারা পানির দূষণ প্রতিরোধ : শিল্প কারখানায় সৃষ্ট বর্জ্যপানি পরিশোধন করে তারপর নদীতে ফেলা উচিত। এ জন্য দরকার বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা ইটিপি।
প্রশ্ন -১২ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলাদেশে শহর অ লের আশে পাশে মিঠা পানির উৎসে শাপলা, শ্যাওলা, হেলে া, কচুরিপানা ও বিভিন্ন রকমের জলজ উদ্ভিদ জš§াতো। এছাড়া এগুলো বিভিন্ন জলজ প্রাণীরও আবাস ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন আবাসন ব্যবসায়ীরা এই সমস্ত মিঠা পানির উৎসগুলো ভরাট করে আবাসিক এলাকা গড়ে তুলছে।
ক. আর্সেনিক কী?
খ. বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদী দুটির ভবিষ্যৎ কী?
গ. আমিষের চাহিদা মেটাতে উদ্দীপকের জলজ উদ্ভিদের অবদান আছে কি? উত্তরের সপক্ষে ব্যাখ্যা লেখ।
ঘ. প্রাকৃতিক জলজ পরিবেশ বিপর্যয়ে উদ্দীপকের উলিখিত ঘটনা কীভাবে যুক্ত এবং এ বিপর্যয়কে কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় বিশ্লেষণ কর।
🢖🢔 ১২নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. আর্সেনিক এক ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ধাতব পদার্থ।
খ. আজকাল নদী দখল করে নানা ধরনের স্থাপনা ও আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হচ্ছে। বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় দখল করে এ ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে ফলে নদীগুলোর গতিপথ সরু হয়ে যাচ্ছে এবং পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এ নদী দুটি মরা নদীতে পরিণত হবে।
গ. উদ্দীপকে উলিখিত উদ্ভিদগুলো জলজ উদ্ভিদ। পানি না থাকলে এগুলো জন্মাতে পারবেনা। এ উদ্ভিদগুলো পানিতে অক্সিজেন সংযোজন করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এই অক্সিজেন অন্যান্য সকল জলজ প্রাণী শ্বসনের জন্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। এছাড়া এই সমস্ত জলজ উদ্ভিদ বিশেষ করে শ্যাওলা মাছের খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে।
মাছ আমাদের খাদ্যের আমিষের একটি উলেখযোগ্য উৎস। সুতরাং বলা যায় জলজ উদ্ভিদ পানিতে না থাকলে মাছ বাঁচতে পারত না। কারণ জলজ উদ্ভিদগুলো একদিকে যেমন মাছের খাদ্যভাণ্ডার অপর দিকে তারা মাছের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে।
অতএব আমাদের প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা মেটাতে উদ্দীপকে উলিখিত জলজ উদ্ভিদগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ঘ. আবাসন ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আবাসন গড়ার জন্য নদী, খালবিল ভরাট করে ফেলার কারণে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জলজ আবাস নষ্ট হওয়ার কারণে জলজ উদ্ভিদগুলো জন্মাতে পারছে না।
এতে করে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। কারণ জলজ উদ্ভিদ একদিকে যেমন সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে পানিতে অক্সিজেন যুক্ত করে অপরদিকে এরা জলজ প্রাণীদের খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে। এসব জলজ উদ্ভিদ না থাকলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী বাঁচতে পারবে না এবং বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।
আমাদের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের শতকরা ৮০ ভাগই আসে মাছ থেকে। নদী ও খালবিল দখলের ফলে জলজ পরিবেশ হুমকির মুখে পতিত হয়েছে। ফলে আমাদের প্রোটিনের উৎসও হুমকির মুখে পড়েছে।
এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হচ্ছে :
১. জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে আবাসন ব্যবসায়ীরা নদী ও খালবিল দখল করে ভরাট করতে না পারে।
২. নদী দখল ও ভরাট করা বন্ধের জন্য দেশে যে বিদ্যমান আইন আছে তা কঠোরভাবে সরকারকে প্রয়োগ করতে হবে।
সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর সমুহ:
প্রশ্ন -১৩ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
খোকন তার একুয়ারিয়ামে লক্ষ করল তার মাছগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। সে সবসময় মাছের খাদ্য ঠিক ঠাক দেয়। তার সমস্যার কথা মৎস্য বিশেষজ্ঞের কাছে বললে তিনি তাকে বললেন তোমার একুয়ারিয়ামের পানির মানদণ্ড ঠিক নাই।
ক. ঘধঙঈষ ট্যাবলেটের একটি ব্যবহার লেখ।
খ. আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ও মাছের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার পার্থক্য কী?
গ. উদ্দীপকে খোকনের একুয়ারিয়ামে মাছগুলোর রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণ এবং এর প্রতিকার ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বিশেষজ্ঞের মতে একুয়ারিয়ামের পানির মানদণ্ড ঠিক রাখার জন্য খোকনের করণীয় কী? বিশ্লেষণ কর।
🢖🢔 ১৩নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. পানিকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ঘধঙঈষ ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।
খ. আমরা বাতাস থেকে ফুসফুসের দ্বারা অক্সিজেন গ্রহণ শ্বাস-প্রশ্বাস নিই আর মাছ পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন ফুলকার মাধ্যমে গ্রহণ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়।
গ. খোকনের একুয়ারিয়ামের মাছগুলো রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণ পানির ঢ়ঐ। পানির ঢ়ঐ এর মান যদি খুব কমে যায় তাহলে ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের মারাত্মক ক্ষতি হয়। পানির ঢ়ঐ খুব কমে গেলে অর্থাৎ এসিডিক হলে জলজ প্রাণীদের দেহ থেকে ক্যালসিয়ামসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ লবণ বাইরে চলে আসে; ফলে মাছ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে।
খোকন একুয়ারিয়ামে যে খাবার দিচ্ছে তা সম্ভবত পানির ঢ়ঐ কে কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে মাছগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এর জন্য তার করণীয় একুয়ারিয়ামের পানির ঢ়ঐ ৬-৮ এর মধ্যে রাখা এবং মাছকে ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ লবণসমৃদ্ধ খাবার দেওয়া।
ঘ. পানির মানদণ্ডের উপর নির্ভর করে জলজ জীবগুলোর শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো। খোকনের একুয়ারিয়ামের মাছগুলোকে রোগমুক্ত ও সুস্থ রাখার জন্য করণীয় হলো :
১. পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন এর পরিমাণ ঠিক রাখা। কারণ জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য ১ লিটার পানিতে ন্যূনতম ৫ মি. গ্রাম অক্সিজেন থাকা প্রয়োজন। কোনো কারণে এই অক্সিজেন যদি নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কমে যায়, তাহলে জলজ প্রাণীদের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
খোকন একুয়ারিয়ামে যে খাবার সবরাহ করছে তা সম্ভবত পানির ঢ়ঐ কে কমিয়ে দিচ্ছে এবং এতে করে মাছগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
২. পানির তাপমাত্রা ঠিক রাখা দরকার। পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে, পানিতে এক দিকে যেমন দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায়, অপর দিকে জলজ প্রাণীর প্রজনন ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়।
৩. জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য পানির ঢ়ঐ ৬-৮ উপযুক্ত। যদি ঢ়ঐ এর মান খুব কমে যায় বা বেড়ে যায় তাহলে ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি হয়। পানির ঢ়ঐ কমে গেলে অর্থাৎ পানি এসিডিক হয়ে গেলে জলজ প্রাণীদের দেহ থেকে ক্যালসিয়ামসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ লবণ দেহ থেকে বের হয়ে যায় এবং রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন -১৪ 🢖 নিচের ছকটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. পানির গাঠনিক সংকেত লেখ।
খ. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজননের জন্য পানির মানদণ্ড কী রকম হওয়া উচিত?
গ. উদ্দীপকে নদী ও খালের পানিকে কীভাবে পানযোগ্য করবে? ব্যাখ্যাসহ লেখ।
ঘ. বাংলাদেশে ব্যবহার উপযোগী পানির উৎসগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা বিশ্লেষণ কর।
🢖🢔 ১৪নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. পানির গাঠনিক সংকেত H2O.
খ. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজননের জন্য পানির তাপমাত্রা এবং ঢ়ঐ মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে জলজ প্রাণীর প্রজননে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কারণ তখন পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন কমে যায়। পানির ঢ়ঐ খুব কম বা বেশি অর্থাৎ অ¤øত্ব অথবা ক্ষারত্ব খুব বেশি হলে মাছের ডিম পোনা মাছ বাঁচতে পারে না এবং প্রজননে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
গ. নদী ও খালের পরিষ্কার পানিতে পানিবাহিত রোগের জীবাণু থাকে। নানা ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহার করে একে পানযোগ্য করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ক্লোরিন গ্যাস।
এছাড়া বিøচিং পাউডার ও আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খুব সহজ পদ্ধতি হলো সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড (ঘধঙঈষ) ট্যাবলেট পানিতে দিয়ে খাল ও নদীর পানিকে পানযোগ্য করা যায়।
আর একটি সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি হচ্ছে পানিকে ১৫-২০ মিনিট স্ফুটন করে নদী ও খালের পানিকে জীবাণুমুক্ত করে পানযোগ্য করা যায়।
সুতরাং এই দুটি পদ্ধতির মধ্যে কোনো একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে নদী ও খালের পানিকে পানযোগ্য করা যায়।
ঘ. বাংলাদেশে ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হলোÑ নদনদী, খালবিল, পুকুর ও ভূগর্ভস্থ পানি। এই উৎসগুলো দিন দিন ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে।
বর্জ্য পানির বড় একটি অংশ নর্দমার দ্বারা নদনদীতে ফেলা হচ্ছে এবং পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। কৃষি জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। বৃষ্টি এবং বন্যার সময় কৃষি জমির রাসায়নিক ও জৈব সার এবং কীটনাশক পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করছে।
নদনদীর পানিদূষণের একটি অন্যতম কারণ হলো শিল্প কারখানার বর্জ্য। এছাড়া নৌকা, ল , জাহাজ থেকে ফেলা মলমূত্র ও তেল জাতীয় পদার্থ নদনদীর পানিকে দূষিত করছে।
বাংলাদেশের আর একটি ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানি। সেচের জন্য ভ‚গর্ভস্থ পানি অতিরিক্ত উত্তোলনের ফলে বাংলাদেশের অনেক অ লের পানি আর্সেনিক দ্বারা দূষিত হয়ে পড়েছে।
সুতরাং দিন দিন বাংলাদেশের ব্যবহার উপযোগী পানির উৎসগুলো স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে পড়ছে।
প্রশ্ন -১৫ 🢖 নিচের রেখাচিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. পারমাণবিক বিদ্যুৎ কারখানার বর্জ্যে কী থাকে?
খ. হেলসিংকি নিয়ম কী?
গ. প্রকৃতিতে উদ্দীপকে রেখাচিত্রটির ভ‚মিকা উল্লেখ কর।
ঘ. উদ্দীপকের রেখাচিত্রটি চিিহ্নত করে ব্যাখ্যা কর।
🢖🢔 ১৫নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. পারমাণবিক বিদ্যুৎ কারখানার বর্জ্যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকে।
খ. আন্তর্জাতিক আইন সমিতি ১৯৬৬ সালে হেলসিংকিতে অনুষ্ঠিত তাদের ৫২ তম সভায় আন্তর্জাতিক নদীগুলোর পানির ব্যবহার সম্পর্কে একটি রিপোর্ট গ্রহণ করে। এই রিপোর্টটি হেলসিংকি নিয়ম নামে পরিচিত।
গ. উদ্দীপকের রেখাচিত্রে পানির পুনঃআবর্তনকে বোঝানো হয়েছে। পানির এই পুনঃআবর্তন প্রকৃতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে পানির পুনঃআবর্তনের সাহায্যে পরিবেশের বিশুদ্ধ পানির যোগান বজায় থাকে। পানির পুনঃআবর্তনের দ্বারা পরিবেশের পানির পরিমাণ এবং ভারসাম্য বজায় থাকে।
পানির পুনঃআবর্তন না হলে বৃষ্টি হতো না; ফলে পুরো পৃথিবী মরুভ‚মিতে পরিণত হয়ে যেত। প্রচণ্ড খরা হতো, ফসল উৎপাদন ব্যাহত হতো। ফলে খাদ্যের ঘাটতি ঘটত এবং দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হতো।
ঘ. উদ্দীপকের রেখাচিত্রটি চিহ্নিত করে নিচে দেয়া হলো :
পানির পুনঃআবর্তন চক্র। দিনের বেলায় সূর্যের তাপে ভ‚পৃষ্ঠের পানির উৎস-সমুদ্র, নদনদী, খালবিল, পুকুর এর পানি বাষ্পীভ‚ত হয়ে বায়ুমণ্ডলে চলে আসে। এরপর বাষ্প ঘনীভ‚ত হয়ে প্রথমে মেঘ ও পরে তা বৃষ্টি আকারে আবার ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসে।
এই বৃষ্টির পানির বড় অংশ নদনদী, সমুদ্র ও খালবিলে গিয়ে পড়ে এবং আবার বাষ্পীভ‚ত ও ঘনীভ‚ত হয়ে বৃষ্টির আকারে ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসে। এভাবে গঠিত পানির পুনঃআবর্তন দ্বারা পরিবেশের পানির পরিমাণ ও ভারসাম্য বজায় থাকে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।