সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় ব্যবসায় | অধ্যায় ৯ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৩১-৩৫: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের নবম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের নবম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ৩১ সেনাবাহিনীর তিনটা ইঞ্জিন গভীর অরণ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী নির্মূল অভিযানে যাচ্ছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ইউনিট কর্মকর্তাদের সাথে মিলে অভিযানের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত করণীয় নির্ধারণ করলেন। নির্দেশনা তৈরি করা হলো প্রতিদিনের অভিযানের অগ্রগতি ও সমস্যা নিয়ে ইউনিট কর্মকর্তাগণ প্রত্যেকে কথা বলবেন এবং সমন্বিতভাবে কর্মসূচি পরিচালনা করবেন। অভিযান সাফল্যের সাথে যাওয়ার কারণে শেষ দিকে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়টি উপেক্ষিত হয়। এতে একটা ইউনিট বেশি এগিয়ে যেয়ে বিপদে পড়ে।
[অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. নমনীয়তার নীতি কী? ১
খ. কার্যকর সমন্বয়ের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যের ঐক্য স্থাপন জরুরি কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ইউনিট কর্মকর্তাদের সাথে মিলে ব্যবস্থাপনার কোন কাজ করছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. সমন্বয়ের অভাবে কারণেই একটা ইউনিট বিপদে পড়েছেÑ উদ্দীপকের আলোকে বক্তব্যের যথার্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৩১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ পরিবর্তনশীল ব্যবসায় জগতে বিভিন্ন বিষয় সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টাকে নমনীয়তার নীতি বলে।
খ উত্তরঃ উদ্দেশ্যের ঐক্য নীতি বলতে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন (ক্রয়, বিক্রয়, উৎপাদক, অর্থ) বিভাগ ও উপবিভাগের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট করাকে বোঝায়। এ নীতিতে মূল লক্ষ্যের ভিত্তিতে উপবিভাগীয় পর্যায়ে উদ্দেশ্য ঠিক করা হয়।
সেই সাথে বিভাগ ও উপবিভাগের উদ্দেশ্য পারস্পরিকভাবে সমন্বিত হয়। এভাবে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য অর্জনে সমন্বিত প্রয়াস তৈরি হয়। তাই কার্যকর সমন্বয়ে উদ্দেশ্যের ঐক্য স্থাপন করা জরুরি।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ইউনিট কর্মকর্তাদের সাথে মিলে ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনার কাজ করেছেন।ভবিষ্যতে কী করা হবে, কাকে দিয়ে করা হবে, কখন করা হবে ইত্যাদি নির্ধারণ করার অগ্রিম কর্মসূচি বা নকশা প্রণয়ন করাই হলো পরিকল্পনা।
এটি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার প্রথম কাজ। উদ্দীপকে সেনাবাহিনীর তিনটা ইঞ্জিন গভীর অরণ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী নির্মূলে অভিযানে যাচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ইউনিট কর্মকর্তাদের সাথে মিলে অভিযান সম্পাদনের কাজসমূহ নির্ধারণ করলেন।
অর্থাৎ অভিযানে কে কী কাজ করবে, কখন করবে, তার অগ্রিম কর্মসূচি তৈরি করলেন। অতঃপর প্রতিদিনের অভিযানের অগ্রগতি ও সমস্যা নিয়ে ইউনিট কর্মকর্তাগণ কথা বলবেন। পরবর্তীতে তারা সমন্বিতভাবে কর্মসূচি পরিচালনা করবেন।
তাদের এসব কাজের সাথে পরিকল্পনার মিল রয়েছে। সুতরাং উদ্দীপকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ইউনিট কর্মকর্তাদের সাথে মিলিত হয়ে পরিকল্পনার কাজ করেছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে সমন্বয়ের অভাবের কারণেই একটা ইউনিট বিপদে পড়েছেÑ বক্তব্যটি যথার্থ। সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে দলীয় প্রচেষ্টা, ঐক্য ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে কাজ সম্পাদন সহজ হয়, কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।
উদ্দীপকে সেনাবাহিনীর তিনটা ইঞ্জিন গভীর অরণ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী নির্মূলে অভিযানে যাচ্ছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ইউনিট কর্মকর্তাদের সাথে মিলে পরিকল্পনা করে অভিযানের কর্মসূচি নির্ধারণ করেন।
অতঃপর কর্মসূচি অনুযায়ী অভিযানের অগ্রগতি ও সমস্যা নিয়ে ইউনিট কর্মকর্তাগণ কথা বলবেন, এমনকি তারা সমন্বিতভাবে কর্মসূচি পরিচালনা করবেন। অভিযান সাফল্যের সাথে এগোতে থাকে।
এতে শেষ দিকে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়টি উপেক্ষিত হয়। ফলে একটা ইউনিট বেশি এগিয়ে গিয়ে বিপদে পড়ে। অর্থাৎ ইউনিটটি সঠিকভাবে সমন্বয় করতে না পাড়ায় বিপদে পড়ে।
এক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব ছিল। কারণ যেকোনো লক্ষ্য অর্জনে সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ। এতে কর্মীদের মধ্যে একতা থাকে। ফলে কাজে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। এছাড়াও এতে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পায়। ফলে মূল লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। কিন্তু উদ্দীপকের মধ্যে একতা থাকে।
ফলে কাজে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। তাছাড়াও এতে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পায়। ফলে মূল লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। কিন্তু উদ্দীপকের মধ্যে কেনো সমন্বয় ছিল না। তাই একটি ইউনিট বিপদে পড়েছে।
প্রশ্নঃ ৩২ সুমা রিরোলিং মিল-এর মালিক জনাব রাব্বি। তিনি প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্যের আলোকে প্রত্যেক বিভাগীয়, উপবিভাগীয় ও আঞ্চলিক উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেন। সে অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগ উপবিভাগ ও আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে সমন্বয় করেন। ফলে তার প্রতিষ্ঠানে কোন কাজেই সমন্বয়হীনতা পরিলক্ষিত হয় না।
[সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ, ঢাকা]
ক. সমন্বয়সাধন কী? ১
খ. সমন্বয়ের ভারসাম্যের নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে সুমা রিরোলিং মিলে সমন্বয়ের কোন নীতি অনুসরণ করা হয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে জনাব রাব্বির অনুসৃত নীতির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
৩২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এর বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয় বলে।
খ উত্তরঃ সমন্বয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও বিভাগগুলোর কাজে সমতা বিধানের নীতিকেই ভারসাম্যের নীতি বলে। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য আলাদা থাকে।
এক্ষেত্রে কোনো বিভাগের কর্মীর অভাব থাকলে কাজে অগ্রগতি দেখা যায় না। আবার কোনো বিভাগে কর্মীর আধিক্য থাকলে জনশক্তির উপযুক্ত ব্যবহার হয় না। তাই কাজ ও কর্মীর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা আবশ্যক।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে সুমা রিরোলিং মিলে শুরুতে সমন্বয়ের নীতি অনুসরণ করা হয়।এ নীতি অনুযায়ী কাজের শুরুতেই সকল বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীদের কাজের মধ্যে সমন্বয়ের সাধন করা হয়। এতে কর্মী ও বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করে সহজে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।
উদ্দীপকের সুমা রিরোলিং মিলের মালিক জনাব রাাব্বি। তিনি প্রথমে প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্য ঠিক করেন। তারপর সেই উদ্দেশ্যের আলোকে প্রত্যেক বিভাগ, উপবিভাগ ও আঞ্চলিক উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেন।
সে অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগ, উপবিভাগ ও আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে সমন্বয় করেন। জনাব রাব্বি মূলত মুখ্য উদ্দেশ্যের আলোকে কাজ শুরুর আগেই সব বিভাগের মধ্যে সমন্বয়সাধন করেন। তাই বলা যায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক শুরুতে সমন্বয়ের নীতি অনুসরণ করেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব রাাব্বির শুরুতে সমন্বয়ের নীতি অনুসরণ করা যৌক্তিক। এ নীতি অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শুরুতেই সমন্বয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের সব বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীর কাজের মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি সহজ হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানে সফলতা আসে।
উদ্দীপকে সুমা রিরোলিং মিলের মালিক জনাব রাব্বি। তিনি প্রথমে প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্য ঠিক করেন। তারপর অন্যান্য বিভাগ, উপবিভাগের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে কাজের সমন্বয় করেন। ফলে প্রতিষ্ঠানে কোনো কাজেই বিশৃঙ্খলা দেখা যায় না।
উদ্দীপকের কোম্পানিতে জনাব রাব্বি শুরু থেকেই সব বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছেন। এতে সব বিভাগের কর্মীরা একে অন্যের সাথে মিল রেখে কাজ করতে পারেন। প্রত্যেক বিভাগের কাজের মধ্যে ভারসাম্য থাকে। ফলে প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় থাকে। পাশাপাশি দ্র–ত কাজ সম্পাদন করে লক্ষ্য অর্জন করা যায়। সুতরাং জনাব রাব্বির অনুসৃত নীতিটি সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত
প্রশ্নঃ ৩৩ ‘এপেক্স এ্যাপারাল লি.’-এর ব্যবস্থাপক হিসেবে জনাব মজনু যোগদান করলেন। যোগদানের পরই তিনি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কর্মীদেরকে লিখিত আকারে নির্দেশ প্রদান না করে সরাসরি যোগাযোগ করেন। তিনি কর্মীদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন। কর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে তিনি সুসমন্বয় নিশ্চিত করে সহজেই প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হলেন। [দনিয়া কলেজ, ঢাকা]
ক. সমন্বয় কী? ১
খ. নমনীয়তার নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জনাব মজনু সমন্বয়সাধনের কোন নীতিটি মেনে চলেন? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. জনাব মজনুর সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা এপেক্স এ্যাপোরাল লি. এর জন্য কতটা উপকারী বলে তুমি মনে করো যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এর বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয় বলে।
খ উত্তরঃ পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় সমন্বয়, সংশোধন বা পরিবর্তন রাখার সুযোগকে নমনীয়তার নীতি বলে।প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে।
এর সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্যই নমনীয়তার নীতি অনুসরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা, উদ্দেশ্য ও পদ্ধতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন এনে প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যাভিমুখী করাই নমনীয়তার কাজ।
গ উত্তরঃ জনবা মজনু সমন্বয়সাধনের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নীতিটি মেনে চলেন। এ নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যে কোনো রূপ বাধা ছাড়া সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কর্মী ও নির্বাহী নিজেরা যোগাযোগ করে দ্র–ত সমস্যার সমাধান করতে পারে। জনাব মজনু এপেক্স এ্যাপারাল লি.-এর ব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় কার্য সম্পাদন করেন।
এই লক্ষ্যে তিনি কর্মীদের লিখিত নির্দেশনা না দিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করেন। এতে কর্মীদের উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। জনাব মজনু কর্মীদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক খোঁজ খবর ও রাখেন।
এছাড়া তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে নির্দেশ প্রদান করার মাধ্যমে জনাব মজনু প্রতিষ্ঠানে সুসমন্বয় নিশ্চিত করেন। তার এসব কার্যক্রম প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নীতির বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়। তাই বলা যায়, জনাব মজুন প্রত্যক্ষ যোগাযোগের নীতি অনুসরণ করেন।
ঘ উত্তরঃ জনাব মজনুর সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা এপেক্স এ্যাপারাল লি. এর জন্য উপকারী হবে বলে আমি মনে করি।এ যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের সাথে সরাসরি আলাপ-আলোচনা করে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়। এতে কর্মীদের সাথে নির্বাহীর সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন সহজতর হয়।
জনাব মজনু প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলির সমন্বয় করেন। তার এ যোগাযোগের ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মীদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন (সুবিধা, অসুবিধা) বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। এতে তাদের কাজ করার সামর্থ্য অনুযায়ী নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
উদ্দীপকে জনাব মজনুর এ যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মীদের কাজের মধ্যে ঐক্য ও ভারসাম্য সৃষ্টি হয়েছে। সরাসরি তত্ত¡াবধান থাকার ফলে কর্মীদের কাজের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কর্মীদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি হওয়ায় তারা দলীয়ভাবে কাজ করার উৎসাহ পাচ্ছে। উপর্যুক্ত সুবিধাগুলো বিবেচনায় বলা যায়, জনাব মজনুর সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থাই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জনে কার্যকর ভ‚মিকা রেখেছে।
প্রশ্নঃ ৩৪ জনাব হোসেন একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তার প্রতিষ্ঠানের কাঠোর নিয়ম-কানুন তথা চেইন-অব-কমান্ড অনুসরণ করা হয় এবং অধীনস্থরা ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশ ব্যতীত কোনো কাজই সম্পদন করেন না। তথাপিও প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বৃদ্ধি না পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে দেখা গেল যে, ক্রয় ব্যবস্থাপক অনেক বেশি কাঁচামাল ক্রয় করে রেখেছেন, যা প্রতিনিয়ত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর বিক্রয় ব্যবস্থাপকও উৎপাদিত পণ্য কাক্সিক্ষত মাত্রায় বিক্রয় করতে পারছেন না। ফলে সংরক্ষণ ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। [রংপুর সরকারি কলেজ]
ক. সমন্বয় কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনার কাজগুলো একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে ব্যবস্থাপনার কোন কাজের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত সমস্যা সমাধানের কৌশল বিশ্লেষণ করো। ৪
৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এর বিভিন্ন বিভাগ। উপবিভাগ ও ব্যক্তি প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয়সাধন বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার কৌশলকে ব্যবস্থাপনা বলে। এটি পরিকল্পনা দিয়ে শুরু হয়ে সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয় এবং নিয়ন্ত্রণ দিয়ে শেষ হয়।
এই প্রক্রিয়ার একটি কাজ বাদ পড়লে অন্য কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হবে না। এতে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হবে। এজন্য ব্যবস্থাপনার কাজগুলো একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে ব্যবস্থাপনার সমন্বয়সাধন কাজটির অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিভাগ, উপবিভাগের কাজের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। এতে কাজের ঐক্য সৃষ্টি করে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য সহজে অর্জন করা যায়।
জনাব হোসেন একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটিতে কঠোর নিয়ম-কানুন মেনে চলা হয়। তারপরও মুনাফা বৃদ্ধি পায় নি। এ অবস্থায় জনাব হোসেন অনুসন্ধান করে দেখেনে যে ক্রয় ব্যবস্থাপক বেশি কাঁচামাল ক্রয় করেছেন; যা নষ্ট হচ্ছে।
অপরদিকে বিক্রয় ব্যবস্থাপক উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করতে পারছেন না। অর্থাৎ উক্ত প্রতিষ্ঠানে দুই বিভাগের ব্যবস্থাপকদের কাজের মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই। এতে সমন্বয়ের অভাব সৃষ্টি হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের বর্ণিত সমস্যা সমন্বয় কৌশলের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। সমন্বয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো সব বিভাগের কাজের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করা। এতে প্রত্যেক কর্মী নিজ কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকে। লক্ষ্যাভিমুখী কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সহজে সমাধান করা যায়।
জনাব হোসেনের উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের কাক্সিক্ষত মুনাফা অর্জন হচ্ছে না। তাই জনাব হোসেন সমন্বয়ের কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। তিনি ক্রয় ও বিক্রয় ব্যবস্থাপকের কার্যক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করতে পারেন।
এছাড়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়কারী নিয়োগ করেও উক্ত সমস্যা সমাধান করা যায়। এক্ষেত্রে সমন্বয়কারী ক্রয়-বিক্রয়সহ অন্যান্য বিভাগের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। সুতরাং জনাব হোসেন কার্যকর সমন্বয় প্রতিষ্ঠা করে উদ্দীপকে বর্ণিত সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ৩৫ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মায়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে সীমান্তর পথে দলে দলে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশ সরকার মানবতার উদাহরণ হিসাবে সীমান্ত উš§ুক্ত করে দেয়। বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ তাদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। অবস্থা অনুক‚লে না আসা পর্যন্ত এদেশে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের ছোট ছোট টিম বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে তাদের ভিন্ন ভিন্ন সেবা দিচ্ছে। একটি বিশেষ সংস্থা কাজের অগ্রগতি তদারকি করছে। ফলে তারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। [স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক. সমন্বয় কাকে বলে? ১
খ. সমন্বয়ের ভারসাম্য নীতি বলতে কী বুঝ? ২
গ. শান্তিপূর্ণ অবস্থা রক্ষায় সমন্বয়ের কোন নীতি এখানে কার্যকর হয়েছে বলে তুমি মনে করো। ৩
ঘ. রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে ব্যবস্থাপনার যে দক্ষতা প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৪
৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এর বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয় বলে।
খ উত্তরঃ সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মীর সংখ্যা ও কাজের পরিমাণের মধ্যে সমতা বিধান করাকে সমন্বয়ের ভারসামী নীতি বলে। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য আলাদা হয়ে থাকে। কোনো বিভাগে কাজের চাপ বেশি হলে সেখানে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ দিতে হবে।
আবার কোনো বিভাগে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মী থাকলে তাদের অন্য বিভাগে নিয়োগ করতে হবে। এভাবে কাজ ও কর্মীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করাই সমন্বয়ের ভারসাম্য নীতি।
গ উত্তরঃ শান্তিপূর্ণ অবস্থা রক্ষায় এখানে সমন্বয়ের তত্ত¡াবধান পরিসরের নীতি কার্যকর হয়েছে বলে আমি মনে করি। এ নীতিকে একজন নির্বাহীর প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে কত সংখ্যক কর্মী নিয়োজিত থাকবে তা নির্ধারণ করা হয়।
এতে নির্বাহী সহজে অধীনস্থদের কাজ তদারকি করতে পারেন। ফলে কাজের সমন্বয়সাধন সহজ হয়।রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নির্যাতনের শিকার হয়ে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসছে। সরকার মানবতার উদাহরণ হিসেবে সীমান্ত উš§ুক্ত করে দেয়।
বিভিন্ন সংস্থা তাদের ত্রাণ বিতরণ করে। অবস্থা অনুক‚লে না আসা পর্যন্ত এদেশে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের ছোট ছোট দল বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে তাদের ভিন্ন ভিন্ন সেবা দিচ্ছে।
সরকারের একটি টিমের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা প্রদান করা সম্ভব না, এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তাই তারা ছোট ছোট টিমে ভাগ হয়ে ভিন্ন ভিন্ন সেবা প্রদান করছে। একটি সংস্থা কাজের অগ্রগতি তদারকি করছে।
এতে টিমুগলোকে তত্ত¡াবধান করা সহজ হয়েছে। এসব বৈশিষ্ট্য তত্ত¡াবধান পরিসরের নীতির সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং উদ্দীপকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থা রক্ষায় সমন্বয়ের তত্ত¡াবধান পরিসরের নীতি কার্যকর হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপে ব্যবস্থাপনার সমস্যা অনুধাবনের দক্ষতা প্রতিফলিত হয়েছে।সমস্যা অনুধাবনের দক্ষতা হলো দ্র–ত সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সমস্যা নির্ণয় করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রত্যেক স্তরের ব্যবস্থাপকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উদ্দীপকে মায়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আসে। অবস্থা অনুক‚লে না আসা পর্যন্ত এদেশে এদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ তাদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।
এ ব্যাপারে সরকারের ছোট ছোট টিম বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে তাদের ভিন্ন ভিন্ন সেবা দিচ্ছে। একটি বিশেষ সংস্থা কাজের অগ্রগতি তদারকি করছে। ফলে তারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।
উদ্দীপকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আগমন এক ধরনের সমস্যা। কারণ এ বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য, বাসস্থান ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কষ্টকর।
তাছাড়া তাদের সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও বেড়ে যেতে পারে। সরকার এ সমস্যাটি দ্র–ত অনুধাবন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ যেন সুষমভাবে বণ্টিত হয় এ ব্যাপারটি সরকারের নিয়োজিত টিম দেখাশোনা করে।
এছাড়াও টিমগুলো রোহিঙ্গাগোষ্ঠীকে অন্যান্য সেবা প্রদানও নিশ্চিত করছে। রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য যে একটি সমস্যা-এই বিষয়টি সরকার দ্র–ত অনুধাবন করতে পারায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। তাই বলা যায়, এখানে সরকারের সমস্যা অনুধাবন দক্ষতা প্রতিফলিত হয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।