রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি:রচনামূলক প্রশ্নোত্তর(PDFফ্রি): ২য় অধ্যায় পরিচিতি:রচনামূলক প্রশ্নোত্তর, সাজেশন সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে পারবেন। সুতরাং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনার্স ১ম বর্ষের যেকোন বিভাগের সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি:রচনামূলক প্রশ্নোত্তর(PDFফ্রি)
অনার্স প্রথম বর্ষ
বিষয়ঃ রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি
অধ্যায় ২ – রাষ্ট্র(State)
বিষয় কোডঃ ২১১৯০৯
গ-বিভাগঃ রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
০১) রাষ্ট্র কী? আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলি বিশ্লেষণ কর।
অথবা, আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলি আলোচনা কর।
উত্তরঃ ভূমিকাঃ বর্তমানে মানব জাতির গুরুত্বপূর্ণ মানবিক প্রতিষ্ঠান হলো রাষ্ট্র। সুপ্রাচীনকাল থেকে মানুষ নিজেদের সভ্য ও শৃজ্ঞখলাবদ্ধ করার জন্য যে মৌল মানবিক প্রতিষ্ঠানের নিকট ক্ষমতা হস্তান্থর করেছে তা হলো রাষ্ট্র।
আর বর্তমান রাষ্ট্র পুলিশী রাষ্ট্র নয়; বরং জনকল্যাণকর রাষ্ট্র। তাই রাষ্ট্রব্যবস্থার জনকল্যাণ সর্বাধিক প্রাধান্য পায়। তাছাড়া আধুনিকায়নের ফলে রাষ্ট্রের কর্মপরিধি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।
রাষ্ট্রঃ রাষ্ট্র বলতে বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এক আবশ্যক রাজনৈতিক সংগঠনকে বুঝায়। রাষ্ট্র গঠনের জন্য চারটী উপাদান আবশ্যক। এগুলো হলো জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখন্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব। অতএব বলা যায়, জনসমষ্টি, সরকার, নির্দিষ্ট ভূখন্ড, সার্বভৌমত্বের সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্র বলে।
প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ
ম্যাকাইভারের মতে, “রাষ্ট্র এমন একটি সংঘ যা সরকারের ঘোষিত আইন অনুসারে কাজ করে। সরকার আইন ঘোষনা করার এবং তা পালন করার শক্তির অধিকারী। ঐ শক্তির সাহায্যে সরকারের নির্দিষ্ট ভূখন্ডের মধ্যে সামাজিক শৃজ্ঞখলার বাহ্যিক ও সর্বজনীন অবস্থা বজায় রাখে।“
এরিস্টটলের মতে, “রাষ্ট্র হলো কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমষ্টি যার উদ্দেশ্য স্বয়ংসম্পুর্ণ জীবন।“
উড্রো উইলসনের মতে, “রাষ্ট্র হলো কোনো নির্দিষ্ট ভূখন্ডে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগঠিত এক জনসমষ্টি।“
অধ্যাপক ওয়াসবি বলেন, “রাষ্ট্র হলো কোনো ভূখন্ডে বসবাসকারী এমন জনসমষ্টি যার সুসংগঠিত সরকার রয়েছে এবং যা অন্যান্য রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণমুক্ত।“
- আরো পড়ুন:- রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি:অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(PDFফ্রি)
- আরো পড়ুন:- (PDF) অধ্যায়৩:আমলাতন্ত্র লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- অধ্যায়৩:আমলাতন্ত্র লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর(PDF)
- আরো পড়ুন:- (PDF) অধ্যায়৩:আমলাতন্ত্র লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- (PDF) অধ্যায় ৩:আমলাতন্ত্র লোকপ্রশাসন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- অধ্যায় ৩:আমলাতন্ত্র লোকপ্রশাসন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(PDFফ্রি)
- আরো পড়ুন:- অধ্যায় ৩:আমলাতন্ত্র লোকপ্রশাসন অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF
- আরো পড়ুন:- (ফ্রি পিডিএফ) অধ্যায়২: লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- অধ্যায়২: লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর ফ্রি পিডিএফ
- আরো পড়ুন:- অধ্যায়২: লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর ৪টি ফ্রি পিডিএফ
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ব্লুন্টসলি বলেন, “রাষ্ট্র হলো কোনো ভূখন্ডে বসবাসকারী এমন এক জনসমষ্টি যার সুসংগঠিত সরকার রয়েছে এবং যা অন্যান্য রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণমুক্ত।“
অগর্বান ও নিমফক বলেন, “রাষ্ট্র হলো একটি সংগঠন যা নির্দিষ্ট ভূখন্ডে সার্বভৌম সরকার কতৃক শাসিত।“
সুতরাং যে রাজনৈতিক সংগঠনের নির্দিষ্ট ভূখন্ডে, সুসংগঠিত সরকার, সার্বভৌম আধিপত্য এবং স্থায়ীভাবে বসবাসকারী জনসমষ্টি রয়েছে তাকে রাষ্ট্র বলে।
আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলিঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগন আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলিকে দু’শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। যথাঃ ক. অপরিহার্য কার্যাবলি ও খ. ঐচ্ছিক কার্যাবলি।
ক. অপরিহার্য কার্যাবলিঃ আধুনিক রাষ্ট্রের অপরিহার্য কার্যাবলি নিম্নরূপঃ
১. দেশরক্ষাঃ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা রাষ্টের অপরিহার্য কাজ। দেশরক্ষাসংক্রান্ত কাজের জন্য রাষ্ট্র স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী গঠন ও পরিচালনার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বা নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তোলে।
২. পররাষ্ট্রসংক্রান্ত কার্যাবলিঃ রাষ্ট্রের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য প্রতিবেশি ও দূরের রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তি, প্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সামরিক চুক্তিসংক্রান্ত কাজ রাষ্ট্র সম্পাদন করে।
৩. অর্থনৈতিক কার্যাবলিঃ রাষ্ট্রের সকল কার্যাবলি যথার্থভাবে সম্পাদন করার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। এজন্য বিভিন্ন প্রকার কর নির্ধারণ ও তা সুষ্ঠভাবে আদায় করা আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম কাজ।
৪. অপরাধীদের শাস্তিবিধান করাঃ আধুনিক রাষ্ট্রের একটি অন্যতম প্রধান কাজ হলো অপরাধীদের শাস্তিবিধান করা এবং নিরপরাধীকে রক্ষা করা। আর এ কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য আধুনিক রাষ্ট্র বিচার বিভাগ গঠন করে।
৫. আইন ও বিচারসংক্রান্ত কাজঃ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করে এবং বিচার আদালত গঠন ও পরিচালনা করে।
৬. উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণঃ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ রাষ্ট্রের একটি অন্যতম কাজ। তাই বর্তমান কালের রাষ্ট্রসমূহ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দ্বারা নাগরিকদের যথার্থ উন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
৭. জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানঃ রাষ্ট্রের অন্যতম একটি প্রধান কার্যাবলি হচ্ছে জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা। উন্নত রাষ্ট্রে প্রত্যেক গ্রামে, ইউনিয়ন পর্যায়ে সবার জানমালের নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।
৮. প্রশাসনসংক্রান্ত কার্যাবলিঃ রাষ্ট্রের মূল কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনসংক্রান্ত কাজ। আইনসংক্রান্ত, শাসনসংক্রান্ত বিচারসংক্রান্ত ইত্যাদি কাজ প্রশাসন সংক্রান্ত কাজের মধ্যে পড়ে।
৯. অভ্যন্তরীণ আইনশৃজ্ঞখলা রক্ষাঃ আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলির মধ্যে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র ‘পুলিশ’ নামক প্রতিষ্ঠান বা বিভাগ তৈরি করে যাদের মূল কাজ হলো দেশের নাগরিকের শান্তিশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা প্রদান করা।
খ. ঐচ্ছিক কার্যাবলিঃ আধুনিক রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক কার্যাবলি নিম্নরূপঃ
১. কৃষির উন্নয়নঃ রাষ্ট্রের গৌণ কার্যাবলির মধ্যে কৃষির জন্য উন্নয়ন অন্যতম। কৃষকদের সহজ শর্তে ঋন, সেচ ব্যবস্থা, ভার্তুকি রাষ্ট্র দিয়ে থাকে।
২. দরিদ্রদের সাহায্যেঃ রাষ্ট্র বিভিন্ন সময় সুনামি, ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত দরিদ্রদের সহজ শর্ত ঋন ও সাহায্য করে থাকে। স্থানীয় পর্যায়ে পুনর্বাসন প্রক্রিয়াও এর মধ্যে পড়ে।
৩. সামাজিক নিরাপত্তা বিধানঃ বয়স্ক ভাতা, অবসর ভাতা, বেকার ভাতা ইত্যাদি প্রদানের মাধ্যমে দেশের নাগরিকের সামাজিক নিরাপত্তা বিধান করা আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম কার্যাবলি।
৪. চিন্তাবিনোদনঃ রাষ্ট্র নাগরিকের সুস্বাস্থ্যের জন্য মাতৃসদন, পরিবার পরিকল্পনার ইত্যাদি বিভাগ চালু করে এবং সবার স্বাস্থ্যের প্রতি উন্নয়নের জন্য সুনজর দেয়।
৫ শ্রমিকদের কল্যাণঃ শ্রমিকদের কল্যাণে সময়মতো বেতন ভাতা, শ্রমিক সংঘ গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো রাষ্ট্র নিজ দায়িত্বে করে থাকে।
৬. শিক্ষামূলক কার্যাবলীঃ শিক্ষার উপকরণ বিতরণ, অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা ইত্যাদি শিক্ষামূলক কার্যাবলি আধুনিক রাষ্ট্র করে থাকে। সেই লক্ষ্য নির্ধারণে রাষ্ট্র তার বাজেট পরিকল্পনায় করে থাকে।
৭. ব্যবসায় বাণিজ্য ও শিল্প সম্প্রসারণসংক্রান্টঃ ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষ্যে রাষ্ট্র সরকারি বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার কর্মপরিকল্পনা করে থাকে এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করে থাকে।
উপসংহারঃ উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সভ্যতার বিকাশে মানুষ যতগুলো সংঘ গঠন করেছে তার মধ্যে রাষ্ট্র অন্যতম। রাষ্ট্র হচ্ছে একটি বাস্তব রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান কালের বিবর্তন মানুষের প্রয়োজনেই রাষ্ট্রের উদ্ভব।
আর মানব ইতিহাসে রাষ্ট্র যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তা এর উদ্দেশ্যসমূহ ও কার্যাবলির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। রাষ্ট্রের কার্যাবলির মাধ্যমেই আমরা বুঝতে পারি রাষ্ট্রের প্রকৃতি কেমন এবং এই প্রকৃতি নিরূপণ করে বিশ্লেষণের মাধ্যমে বলা যায় এটি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।
২) কল্যাণমূলক রাষ্ট্র কী? কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।
অথবা, কল্যাণ রাষ্ট্র কাকে বলে? কল্যাণ রাষ্ট্রের বিশেষত্ব আলোচনা কর।
উত্তরঃ ভূমিকাঃ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর হতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা অধিক মাত্রায় অনুভূত হতে থাকে। এ অনুভূতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আরও ঘনীভুত হয়। তাই বর্তমানে কোনো রাশট্রকে আর পুলিশি রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত করা হয় না।
জনগণের সর্বাজ্ঞীণ কল্যাণসাধন করাই সকল রাষ্ট্রের লক্ষ্য। তাই বর্তমানে প্রায় সকল রাষ্ট্রই নিজেই কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলে দাবি করে। কারণ বর্তমানে প্রায় সকল রাষ্ট্রই জনকল্যাণমূলক বহুবিধ কার্যাসম্পাদন করে থাকে।
কল্যাণমূলক রাষ্ট্রঃ নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য মৌলিক চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে যে রাষ্ট্র উন্নয়ন ও কল্যাণমুলক কাজ করে থাকে তাকে কল্যাণ রাষ্ট্র বলে।
প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ
জি. ডি. ইইচ. কোল বলেন, “যে সমাজ নাগরিকদের জীবনব্যবস্থা সর্বনিম্ন চাহিদা পূরণ করতে পারে তাকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলে।“
হার্বাট লেহমেনের মতে, “কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলতে সে রাষ্ট্রকে বুঝায়, যেখানে জনগণ তাদের ব্যক্তিসত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন করতে পারবে এবং তাদের প্রতিভার উপযুক্ত পুরষ্কার লাভ করে।“
জাতিসংঘ প্রদত্ত সংজ্ঞানুযায়ী, “যে রাষ্ট্র প্রতিটি নাগরিকের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগ সুবিধা প্রদান করে এবং বেকারত্ব, অসুস্থতা পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে তাকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলে।“
অধ্যাপক বেন্থামের মতে, “যে রাষ্ট্র ব্যাপকভাবে জনগণের সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থার করা হয় তাকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলে।“
টিউমাসের মতে, “কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হলো সে রাষ্ট্র যে জনগণের সার্বিক কল্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করে।“
সেলসিংগারের মতে, “কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে সরকার নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থান, আয়, শিক্ষা,
স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক নিরাপত্তা এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে সমর্থ হয়।“সুতরাং বলা যায় যে, যে রাষ্ট্র ব্যক্তি ও সমাজের কল্যাণসাধনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদন করে তাকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলে।
কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ নিম্নে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমুহ উল্লেখ করা হলো-
১. ব্যক্তি স্বাধীনতা সংরক্ষণঃ ব্যক্তির স্বাধীনতা পূর্ণমাত্রায় স্বীকার ও সংরক্ষণ করা এবং ব্যক্তিত্ব বিকাশে স্বাধীনতার উপভোগকে নিশ্চিত করা হচ্ছে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
২. উন্নত জীবনযাপনে নিশ্চয়তা দানঃ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র দেশের নাগরিকের উন্নত জীবনযাপনে নিশ্চয়তা প্রদান করে। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের দ্বারা, বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা এবং সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্র নিশ্চয়তার কাজটি করে থাকে।
৩. সামাজিক অধিকার সংরক্ষণঃ জনগণকে সচেতন করে সামাজিক অধিকার সম্পর্কে ধারণা প্রদান করাই কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র শিক্ষিত জনগণকে প্রলুব্ধ করে থাকে।
৪. গনসচেতনতা সৃষ্টিঃ রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত সেচ্চাকর্মীদের দ্বারা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে থাকে। এক্ষেত্রে হাতে কলমে শিক্ষার মাধ্যমটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়।
৫. সম্পদ ও আয়ের ভারসাম্যঃ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নাগরিকদের মধ্যে থেকে সম্পদ ও আয় গ্রহণ করে এবং তা পরবর্তীতে ভারসাম্য অবস্থা প্রদানে সহায়তা করে থাকে।
৬. বন্টন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রনঃ বন্টন ব্যবস্থা সুষ্ঠভাবে নিয়ন্ত্রণ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের একটি বৈশিষ্ট্য। এ ব্যবস্থাটির মাধ্যমে ধনী-গরিব বৈষম্য দূর করে রাষ্ট্রে সুষ্ঠ ও সুসম বন্টনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
৭. গণমূখী বিচার ব্যবস্থাঃ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শোষণ, জুলুম, অন্যায় ও অত্যাচারের হাত থেকে সমাজকে রক্ষা করার জন্য গনমূখি বিচার ব্যবস্থার করে সুশাসন প্রতিষথা করা।
৮. নাগরিক অধিকার সংরক্ষণঃ উন্নত জীবন ব্যবস্থার জন্য যেসব অধিকার একান্ত অপরিহার্য কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নাগরিকদের সেসব মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়।
৯. সর্বজনীন কল্যাণসাধনঃ কল্যাণকামী রাষ্ট্র জনগণের সমস্যাকে চিহ্নিত করে অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তা কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
১০. গণস্বার্থ রক্ষাঃ শ্রেণিস্বার্থের পরিবর্তে এ ধরনের রাষ্ট্রে গণস্বার্থ প্রাধান্য লাভ করে। কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে জনগণের পূর্ণ কর্মসংস্থানকে লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
১১. ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশঃ ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশে রাষ্ট্র অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। এজন্য এটি শিক্ষার উন্নতিকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
১২. মিশ্র অর্থনীতির প্রবর্তনঃ কল্যাণকামী রাষ্ট্র মূলত মিশ্র চরিত্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চালু করে। এটি সরকারি মালিকানার প্রসার ঘটানোর সাথে সাথে ব্যক্তি উদ্যোগকেও স্বাগত জানায়।
১৩. নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণঃ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্ভরশীল ব্যক্তিদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এতে সমাজের কেউ অসহায় থাকে না।
১৪. ধনী-দরিদ্র ব্যবধান কমানোর চেষ্টাঃ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে যাতে ধনী-দরিদ্রের পার্থক্য দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার পরিবর্তে উত্তরোত্তর কমে আসে সে দিকে দৃষ্টি রেখে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
১৫. এটিএমপ্রত্যয় ও আত্মবিশবাস সৃষ্টিঃ কল্যাণমুলক রাষ্ট্রে জনগণের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় ও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টির প্রতি গুরুত্বরোপ করা হয়। কল্যাণমূলক রাষ্ট্র এ সংক্রান্ত কাজের মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়ে থাকে।
উপসংহারঃ উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, আধুনিক বিশ্বব্যবস্থায় প্রত্যেকটি রাষ্ট্রেরই অন্যতম লক্ষ হলো সর্বাধিক কল্যাণ অর্জন। আর কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সর্বদা জনকল্যাণে কাজ করে থাকে।
এমন কোনো বাধা ধরা নিয়ম নেই যেকোনো একটি বৈশিষ্ট্য অর্জন না করলে সেটা কল্যাণমূলক হতে হলে সর্বপ্রকার জনকল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কেননা জনকল্যানই কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের প্রধান অনুমিত শর্ত।
৩) রাষ্ট্রের উপদানসমূহ আলোচনা কর।
অথবা, কোন কোন উপদানের সমন্বয়ে রাষ্ট্রের সৃষ্টি।
উত্তরঃ ভূমিকাঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে রাষ্ট্র। সভ্যতার বিকাশে মানুষ যত রকম সংঘ গঠন করেছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ এবং শক্তিশালী সংঘই হচ্ছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্র মূলত একটি বাস্তব রাজনৈতিক সংগঠন।
সমাজ জিবনের এক পর্যায়ে মানুষ তার জিবনের নিরাপত্তা ও সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য একটি সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে। কালের বিবর্তনে মানুষের এ প্রয়োজনীয়তা থেকেই রাষ্ট্র নামক রাজনৈতিক সংগঠনের জন্ম হয়।
রাষ্ট্রের উপাদানসমূহঃ রাষ্ট্র সম্পর্কিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের সংজ্ঞাসমূহ বিশ্লেষণ করলে রাষ্ট্রের ৪টি উপাদান দেখতে পাওয়া যায়। নিম্নে রাষ্ট্রের উপাদানগুলো বর্ণনা করা হলো –
১. জনসমষ্টিঃ রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম উপাদান হলো জনসমষ্টি। রাষ্ট্রের প্রথম ও প্রধান উপাদান হলো জনসমষ্টি। জনসমষ্টির ইচ্ছাপ্রণোদিত পারস্পরিক সম্বন্ধ থেকে রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে। তাই জনসমষ্টি ব্যতীত রাষ্ট্রকে কল্পনা করা যায় না।
সংগঠিত জনসমষ্টি যারা সংগঠনের মধ্যে সংগঠিত হতে পারে তারাই রাষ্ট্র গঠন করতে পারে। জনসমষ্টির দুধরনের বিভাজন রয়েছে। যেমন – ক. শাসক ও শাসিত এবং খ. নাগরিক ও বিদেশি।
জনসমষ্টির আকারঃ গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর মতে, রাষ্ট্রের জনসংখ্যা ৫ হাজার হওয়া উচিৎ। এরিস্টটল ও রুশো বলেন, জনসংখ্যা ১০ হাজার এবং ১ লক্ষের মধ্যে হওয়া উচিৎ।
রাষ্ট্রের জনসংখ্যা কম বেশি হতে পারে। তবে একটি স্বাভাবিক রাষ্ট্রের জনসংখ্যা সেই রাষ্ট্রের প্রয়োজন ও প্রাপ্ত সম্পদের সাথে সংগতিপূর্ণ হওয়াই কাম্য। জনসমষ্টি রাষ্ট্রের প্রাণস্বরুপ।
২. নির্দিষ্ট ভূখন্ডঃ নির্দিষ্ট ভূখন্ড রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। রাষ্ট্রের অবশ্যই একটি সুনির্দিষ্ট ভূখন্ড থাকবে। দেশের জনগণ এ ভূখন্ডেই বসবাস করে। এ ভূখন্ড অন্যান্য রাষ্ট্রের জনগণ কর্তৃক অধিকৃত ভূখন্ড থেকে অবশ্যই পৃথক হবে।
ক. ভূখন্ডের ধরনঃ স্থলভূমি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরের নদনদী, রাষ্ট্র সীমানায় প্রবাহিত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সাগর ও মহাসাগরের জলসীমা এবং স্থলভূমি ও জলভূমির উপস্থিত আকাশসীমা এবং সকল প্রাকৃতিক সম্পদ রাষ্ট্রীয় ভূখন্ডের অন্তর্ভুক্ত।
খ. ভূখন্ডের আয়তনঃ রাষ্ট্র আয়তনের দিক দিয়ে ছোট হতে পারে আবার বড় হতে পারে যেমন – মোনাকোর আয়তন ২ বর্গ কি.মি. চীনের আয়তন ৯৫,৯৬,৯৬০ বর্গ কি.মি।
গ. ভূখন্ডের ভৌগলিক দিকঃ এটি খন্ডিত হতে পারে আবার অখন্ড হতে পারে। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ইত্যাদি অনেক রাষ্ট্র অনেক খন্ডে খন্ডিত। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর অঙ্গরাজ্য, আলাস্কা, হাওয়াই অনেক দূরে অবস্থিত।
৩. সরকারঃ রাষ্ট্রের তৃতীয় প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সরকার। সরকার রাষ্ট্রের আর একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। কোনো এক ভূখন্ডের ওপর কতকগুলো লোক যদি বাস করে তাহলেও তাদের মধ্যে রাষ্ট্র সংগঠিত হবে না।
তাদের মধ্যে সাধারণ উদ্দেশ্য থাকতে হবে, আইন ও শৃংখলার বন্ধন থাকতে হবে এবং সর্বোপরি একটি বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে যা শান্তি রক্ষা এবং শৃংখলার স্থাপন প্রভৃতি কাজের জন্য দায়ী সরকার শব্দটি সংকীর্ণ অর্থে রাষ্ট্রপতিসহ মন্ত্রীবর্গকে বুঝায়।
ব্যাপক অর্থে তা শাসকগোষ্ঠির অন্তর্গত সকলকে বুঝায় যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনায় অংশগ্রহন করে। গ্রাম্য চৌকিদার থেকে রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত সকলকেই সমবেতভাবে আমরা সরকার বলতে পারি। সরকার রাষ্ট্রের সমবেত ইচ্ছার প্রতীকস্বরূপ।
সরকারের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের ইচ্ছা প্রকাশিত এবং কার্যকরী হয়। যেকোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা করার জন্য পরিচালকমন্ডলী প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় এ কাজে পরিচালকমন্ডলী হচ্ছে সরকার।
৪. সার্বভৌমত্বঃ রাষ্ট্র গঠনের সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ উপাদান হচ্ছে সার্বভৌমত্ব বা সার্বভৌমিকতা। এটি রাষ্ট্রের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ ক্ষমতার বলে রাষ্ট্র সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উর্ধে অবস্থান করে এবং অধীনস্থ সকলকে আদেশ ও নির্দেশ প্রদান করে। সার্বভৌম ত্বের দুটো দিক রয়েছে। যথাঃ
ক. অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্বঃ যে সার্বভৌমত্ব কোনো রাষ্ট্র তার অধীনস্থ সকল জনসমষ্টির ও সংস্থার ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে ও আনুগত্য লাভ করে তাকে অভ্যন্তরীন সার্বভৌমত্ব বলে।
- আরো পড়ুন:-প্রশাসন ও সংগঠনের নীতিমালা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(ফ্রি PDF)
- আরো পড়ুন:-প্রশাসন ও সংগঠনের নীতিমালা,অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(PDF)
- আরো পড়ুন:-লোকপ্রশাসন পরিচিতির রচনামূলক প্রশ্নোত্তর (ফ্রি PDF)
- আরো পড়ুন:- (ফ্রি PDF) লোকপ্রশাসন পরিচিতির রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- লোকপ্রশাসন পরিচিতির রচনামূলক প্রশ্নোত্তর(ফ্রি PDF)
- আরো পড়ুন:- ফ্রি PDF লোকপ্রশাসন পরিচিতি‘র (খ) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
খ. বাহ্যিক সার্বভৌমত্বঃ এ সার্বভৌমত্বের বলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি রাষ্ট্র অন্য সকল রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ ও হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকে। রাষ্ট্র গঠনে জনসমষ্টি, ভূখন্ড এবং সরকার হলেই চলবে না।
রাষ্ট্রের প্রাণস্বরূপ সার্বভৌম ক্ষমতা অবশ্যই থাকতে হবে। তা না হলে রাষ্ট্র জনপদ উপনিবেশ বা অধীন রাজ্য বলে পরিগণিত হবে। সার্বভৌমত্ব ছাড়া কোনো সংগঠনই রাষ্ট্র হিসেবে গন্য হতে পারে না।
৫. অন্যান্য উপাদানসমূহঃ রাষ্ট্রের অন্যান্য উপাদানসমূহ নিম্নরুপঃ
ক. স্থায়িত্ব ও ধারাবাহিকতাঃ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে অক্ষয়, অজয় ও অমর। সরকারের পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রের পরিবর্তন হয় না। রাষ্ট্রের রুপান্তর ঘটতে পারে, কিন্তু তারা বিনাশ হয় না।
খ. স্বীকৃতিঃ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানে জাতিসংঘ কতৃক এবং অন্যান্য রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত দানকেও রাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বলা হয়। কোনো রাষ্ট্রকে জাতিসংঘ রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতি না দিলে সে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ হয় না।
গ. সাম্যঃ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাষ্ট্র সমান। আন্তর্জাতিক ক্ষত্রে রাষ্ট্র স্বীকৃতি লাভ করলে তা সমান অধিকার দাবি করতে পারে। জাতিসংঘে প্রত্যেক রাষ্ট্রের একটি ভোট রয়েছে। এ সাম্য রাষ্ট্রের একটি বৈশিষ্ট্য।
ঘ. পূর্ণ স্বাধীনতাঃ পূর্ণ স্বাধীনতা রাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। রাষ্ট্র অন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের সাথে আন্তর্জাতিক সম্বন্ধ স্থাপন করতে পারে এবং স্বেচ্ছায় চুক্তি সম্পাদন করতে পারে।
উপসংহারঃ উপর্যুক্ত আলোচনায় পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, প্রাচীনকালের সংজ্ঞায়িত রাষ্ট্রের সাথে আধুনিক রাষ্ট্রের সজ্ঞে কিছুটা পার্থক্য আছে। উপাদানসমূহের বিস্তৃতি এবং প্রয়োজনীয়তাই এ পার্থক্যের মূল কারণ।
আধুনিক রাষ্ট্রের উপাদানসমূহের কোনো একটি উপাদানের অনুপস্থিতিতেই সেটি তার গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে। শুধু সেসব উপাদান ছাড়াও আগে অনেক উপাদানসমূহের প্রয়োজনীয়তাও এখানে অনস্বীকার্য।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। ফ্রি পিডিএফ ফাইল এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন। রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি:রচনামূলক প্রশ্নোত্তর(PDFফ্রি)