ব্যবসা সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ : ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রশ্নঃ ১ M & M কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ কর্মীদের কার্যপরিবেশ উন্নত করায় শ্রমিক-কর্মীরা স্বচ্ছন্দে কাজ করছে। আবার পরিচালনা পর্ষদ বাংলা নববর্ষ উৎসব পালনের জন্য প্রত্যেককে বোনাস প্রদানের ঘোষণা দেন। এর ফলে শ্রমিক-কর্মীরা বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। [ঢা. বো., কু. বো. ১৭]
ক. জৈবিক চাহিদা কী? ১
খ. ‘ণ’ তত্তকে ইতিবাচক বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের কার্যপরিবেশ কোন ধরনের ইতিবাচক প্রেষণা? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘আর্থিক প্রেষণা কর্মীদের কাজের গতিকে বৃদ্ধি করে’ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ মানুষের বেঁচে থাকা তথা জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক উপকরণের (খাদ্য,বস্ত্র ও বাসস্থান প্রভৃতি) চাহিদাগুলোকে সাগকিভাবে জৈবিক চাহিদা বলে। চাহিদার স্তর: জৈবিক চাহিদা => নিরাপত্তার চাহিদা => সামাজিক চাহিদা => আতৃপ্তির চাহিদা => আপর্ণতার চাহিদা।
খ উত্তরঃ ডগলাস ম্যাকগ্রেগর প্রেষণার Y তত্তের প্রবক্তা। এ তত্তে কর্মীদের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করা হয়। এক্ষেত্রে মনে করা হয় তারা উদ্যোগী এবং কাজ করতে পছন্দ করে। এ কারণে কর্মীদের ওপর অহেতুক চাপ সৃষ্টি না করে তাদেরকে স্বেচ্ছায় কাজ করতে দেওয়া হয়। এর ফলে কর্মীদের মনে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তা আসে। তাই তত্তকে ইতিবাচক বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের কার্র্যপরিবেশকে বলা যায় ‘অনার্থিক ইতিবাচক প্রেষণা’। কর্মীদের প্রণোদিত করার জন্য অর্থ ছাড়া যেসব উদ্দীপক ব্যবহৃত হয় সেগুলোই অনার্থিক প্রেষণা। সুষ্ঠু কার্র্যপরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা, উত্তম ব্যবহার, ভালো কাজের প্রশংসা, প্রশিক্ষণ সুবিধা ইত্যাদি অনার্থিক প্রেষণার অন্তর্গত।
কর্মীরা সবসময় মনোরম, নিরিবিলি ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে চায়। এজন্য উদ্দীপকের M & M কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ কাজের পরিবেশ উন্নত করেছে। ফলে কর্মীরা ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। তারা এখন স্বাচ্ছন্দে কাজ করছে।
এ ধরনের কাজের পরিবেশ কর্মীদের আর্থিকভাবে কোনো প্রাপ্তি যোগ করে না। অথচ সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে তারা স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারত না। তাই বলা যায়, M & M কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাছ থেকে কাজ আদায়ের জন্য অনার্থিক প্রেষণা প্রদান করছেন।
ইতিবাচক প্রেষণাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা: ১. আর্থিক প্রেষণা (ন্যায্য পারিশ্রমিক,বোনাস ও মুনাফার অংশ প্রভৃতি); ২. অনার্থিক প্রেষণা (অনুক‚ল কার্যপরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা ও উত্তম ব্যবহার প্রভৃতি)।
ঘ উত্তরঃ ‘আর্থিক প্রেষণা কর্মীদের কাজের গতিকে বৃদ্ধি করে’উদ্দীপকের আলোকে বক্তব্যটি যৌক্তিক। আর্থিক (ন্যায্য বেতন, বোনাস) সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কর্মীকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করা হয়। ন্যায্য বেতনের পাশাপাশি বোনাস দেওয়া হলে কর্মীদের মাঝে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়।
ফলে তারা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে কাজ করতে আগ্রহী হয়। উদ্দীপকের M & M কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ প্রথমে কর্মীদের সুষ্ঠু কার্যপরিবেশের ব্যবস্থা করেন। এতে তারা স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে আগ্রহী হয়। অতঃপর পরিচালনা পর্ষদ বাংলা নববর্ষের উৎসব পালনের জন্য প্রত্যেক কর্মীকে বোনাস প্রদানের ঘোষণা দেন।
এতে তারা উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করতে থাকে। উক্ত আর্থিক প্রেষণা কর্মীদের মানসিক অবস্থা পরিবর্তন করে দেয়। বোনাস প্রদানের ঘোষণা কর্মীদের মনে বাড়তি উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। তারা মনে করে প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রতি আন্তরিক।
এজন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিও তাদের আনুগত্য বেড়ে যায়। তাই প্রত্যেক কর্মী নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়। এ কারণেই বলা যায়, আর্থিক প্রেষণা কর্মীদের কাজের গতি বাড়াতে সহায়তা করে।
প্রশ্নঃ ২ জনাব কফিল ‘সাহানা গার্মেন্টস’-এর সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক। এম.বি.এ পাসের পর তিনি বর্তমান কর্মস্থলে যোগদান করেন। একটি বড় কক্ষে তিনি অন্যান্য বিভাগের পাঁচজন ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপকের সাথে একসঙ্গে বসে অফিস কার্যসম্পাদন করেন। গত পাঁচ বছরে একই পদে তার বেতন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু একই বেতনে তিনি সালেহা গার্মেন্টসে চলে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা পোষণ করলে কর্তৃপক্ষ বেতন না বাড়িয়ে তাকে ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি দেন এবং তার জন্য অন্য একটি সুসজ্জিত কক্ষ বরাদ্দ করেন। জনাব কফিল এতে অত্যন্ত খুশি হন এবং পর্বের চেয়ে আরও বেশি উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করতে থাকেন। [রা. বো. ১৭]
ক. আতৃপ্তির চাহিদা কী? ১
খ. প্রেষণা ও মনোবলের মধ্যে সম্পর্ক দেখাও। ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম পর্যায়ে জনাব কফিলকে কোন ধরনের প্রেষণা প্রদান করা হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ. যে ধরনের প্রেষণা প্রদানের ফলে জনাব কফিল প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে যাননি তার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ বন্ধু-বান্ধব, আীয়স্বজন ও সহকর্মীদের অবস্থান থেকে একটু বেশি উপরে ওঠার আগ্রহকে আতৃপ্তির চাহিদা বলে।চাহিদার স্তর: জৈবিক চাহিদা => নিরাপত্তার চাহিদা => সামাজিক চাহিদা => আতৃপ্তির চাহিদা => আপর্ণতার চাহিদা।
খ উত্তরঃ কর্মীদের কাজের প্রতি উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াই হলো প্রেষণা। আর মনোবল হলো মানসিক শক্তি সংশ্লিষ্ট বিষয়।প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে মলত কর্মীকে উৎসাহিত করা হয়।
প্রেষণা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত। এতে কাজের প্রতি কর্মীর আগ্রহ ও মনোবল বাড়ে। আবার প্রেষণার অনুপস্থিতিতে কর্মীর মনোবল ভেঙে যায় এবং কাজের গতিও কমে যায়। তাই বলা হয়, প্রেষণা মনোবলের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম পর্যায়ে জনাব কফিলকে আর্থিক প্রেষণা প্রদান করা হয়েছিল। আর্থিক প্রেষণা হলো অর্থ ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধার সাথে সম্পৃক্ত এমন প্রণোদনামলক ব্যবস্থা। বেতন, বোনাস ও যাতায়াত ভাতা প্রদান প্রভৃতি আর্থিক প্রেষণার সাথে জড়িত।
আর্থিক প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে কর্মীর অর্থসংক্রান্ত চাহিদা পরণ করা হয়। উদ্দীপকের জনাব কফিল ‘সাহানা’ গার্মেন্টস’-এর সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক। তিনি এ প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর যাবৎ কর্মরত।এ সময়ে তার বেতন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ বেতন অর্থসংশ্লিষ্ট একটি উপাদান। তাই বলা যায়, জনাব কফিলকে প্রথমে আর্থিক প্রেষণা প্রদান করা হয়েছিল।
ঘ উত্তরঃ আর্থিক প্রেষণার পাশাপাশি অনার্থিক প্রেষণা প্রদানের ফলে জনাব কফিল প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে যাননি। কর্মীদের প্রণোদিত করার জন্য অর্থের বাইরে যেসব উদ্দীপক ব্যবহৃত হয় সেগুলোই অনার্থিক প্রেষণা। সুষ্ঠু কার্র্যপরিবেশ, পদোন্নতি, উত্তম ব্যবহার, ভালো কাজের প্রশংসা, প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রভৃতি অনার্থিক প্রেষণার অন্তর্গত।
আর্থিক প্রেষণার পাশাপাশি অনার্থিক প্রেষণা প্রদান করা হলে কর্মী প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুগত থাকেন। উদ্দীপকের জনাব কফিল ‘সাহানা গার্মেন্টস’-এর সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক। তিনি একটি বড় কক্ষে বসে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে কার্য সম্পাদন করেন। গত পাঁচ বছর যাবৎ তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে একই পদে কর্মরত।
এ সময়ে তার বেতন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু উক্ত সময়ে তিনি কোনা পদোন্নতি ও সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ পাননি। তাই তিনি একই বেতনে সালেহা গার্মেন্টসে চলে যেতে চান। এজন্য ‘সাহানা গার্মেন্টস’ তাকে ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি প্রদান করে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি তার জন্য একটি সুসজ্জিত কক্ষ বরাদ্দ করে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমেই দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের প্রতিষ্ঠানে র্দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায়।
উদ্দীপকের জনাব কফিলকে অনার্থিক প্রেষণা প্রদান করায় তার আসন্তুষ্টি এসেছে। তিনি মনে করছেন, প্রতিষ্ঠান তাকে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিও তাঁর শ্রদ্ধা ও আনুগত্য বেড়ে গেছে। তাই তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাননি। বরং তিনি অত্যন্ত খুশি এবং পর্বের চেয়ে আরও অধিক উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই বলা যায়, অনার্থিক প্রেষণা প্রদানের কারণেই জনাব কফিল প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে যাননি।
প্রশ্নঃ ৩ ‘নিশাত’ গ্রপের ব্যবস্থাপক কর্মীদের কাছ থেকে জোর করে কাজ আদায় করেন। তিনি মনে করেন, কর্মীরা কাজ অপছন্দ করে ও সুযোগ পেলেই কাজে ফাঁকি দেয়। তাছাড়া তার ধারণা কর্মীরা গতানুগতিক প্রকৃতির এবং পরিবর্তন পছন্দ করে না। এজন্য তিনি কাজের নির্দেশ দিয়ে বসে থাকেন না বরং যেভাবেই হোক কাজ আদায়ের জন্য সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেন। এতে করে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে। [চ. বো. ১৭]
ক. অনার্থিক প্রেষণা কী? ১
খ. ‘প্রেষণা উৎপাদনশীলতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে’ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে ‘নিশাত’ গ্র“পের ব্যবস্থাপক প্রেষণার কোন তত্ত বিশ্বাস করেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত ‘নিশাত’ গ্র“পের ব্যবস্থাপকের কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কর্মীদের দীর্ঘমেয়াদে উচ্চাকাক্সক্ষা পোষণের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলবে বলে তুমি মনে করো? মতামত দাও। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কর্মীদের প্রণোদিত করার জন্য অর্থ ছাড়া যেসব উদ্দীপক ব্যবহৃত হয় তাকে অনার্থিক প্রেষণা বলে। । যেমন: বাসস্থান সুবিধা, চাকরির নিরাপত্তা।
খ উত্তরঃ অধীনস্থ কর্মীদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহী করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে। আর উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ও উৎপন্ন দ্রব্যের অনুপাতকে উৎপাদনশীলতা বলে।উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত সকল মানবীয় (কর্মী) ও অমানবীয় (কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি) উপকরণের দক্ষ ব্যবহারের ওপর। মানবসম্পদই অমানবীয় উপকরণগুলো ব্যবহার করে। এজন্য মানবসম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রতিনিয়ত প্রেষণা দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
কর্মীকে প্রেষণা দেওয়ার মাধ্যমে যত বেশি অনুপ্রাণিত করা যাবে, কাজের প্রতি তাদের আন্তরিকতা তত বাড়বে।ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদশীলতাও বৃদ্ধি পাবে। তাই বলা যায়, প্রেষণা উৎপাদনশীলতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ‘নিশাত’ গ্রপের ব্যবস্থাপক প্রেষণার ‘X’ তত্ত বিশ্বাস করেন। ঢ তত্তে মনে করা হয়, কর্মীরা কাজকে অপছন্দ করে ও সুযোগ পেলেই কাজে ফাঁকি দেয়। এ তত্ত মতে কর্মীরা সাধারণত প্রতিষ্ঠানের কোনো নিয়ম-নীতি সহজে মেনে নিতে পারে না। এজন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও তত্তাবধানের মাধ্যমে তাদের দিয়ে কাজ করাতে হয়।
উদ্দীপকের ‘নিশাত’ গ্র“পের ব্যবস্থাপক কর্মীদের কাছ থেকে জোর করে কাজ আদায় করেন। তিনি মনে করেন, কর্মীরা কাজ অপছন্দ করে ও সুযোগ পেলেই কাজে ফাঁকি দেয়। এছাড়া কর্মীরা কাজের ক্ষেত্রে কোনো নতুন নিয়ম বা পরিবর্তনকে পছন্দ করে না।
এজন্য তিনি কর্মীদের সর্বদা নজরে রাখেন; যাতে কর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করে। এসব বৈশিষ্ট্য ‘X’ তত্তের সঙ্গে সঙ্গতিপর্ণ। তাই বলা যায়, ‘নিশাত’ গ্রুপের ব্যবস্থাপক প্রেষণার ‘X’ তত্ত অনুসরণ করেন।
ডগলাস মারে ম্যাকগ্রেগর ‘(Douglas Murray McGregor) ‘The Human Side of Enterprize’ গ্রন্থে কর্মীর মনোভাব সম্পর্কে দুই ধরনের তত্তের উলেখ করেন, যা X’ ও Y তত্ত নামে পরিচিত। ‘X’ ও Y তত্ত হলো- ঢ তত্তে (নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি) মনে করা হয় কর্মীরা কাজকে অপছন্দ করে ও সুযোগ পেলেই কাজে ফাঁকি দেয়।
এজন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ, ভয়-ভীতি দেখানো ও শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে দিয়ে কাজ করাতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কর্মীরা তাদের নিজস্ব বুদ্ধিমত্তার খুব একটা প্রয়োগ করে না । ণ তত্তে (ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি) মনে করা হয় কর্মীরা কাজকে পছন্দ করে এবং তারা স্বপরিচালিত ও স্বনিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তারা দায়িত্ব গ্রহণ, সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা প্রদান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণেও যোগ্যতার প্রমাণ রাখে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত ‘নিশাত’ গ্র“পের ব্যবস্থাপকের কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কর্মীদের উচ্চাকাক্সক্ষা পোষণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি। নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে কি না তা যাচাই করা এবং প্রয়োজনে সংশোধনমলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা
। ঊর্ধ্বতন কর্কর্তা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণের কাজের সাথে জড়িত থাকেন। এজন্য তিনি কর্মীদের কাজ সর্বদা পর্যবেক্ষণ করেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃ র্তা কঠোরভাবে এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করলে কর্মীরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।
উদ্দীপকের ‘নিশাত’ গ্র“পের ব্যবস্থাপক মনে করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজকে অপছন্দ করে এবং সুযোগ পেলেই কাজে ফাঁকি দেয়। তাই তিনি কর্মীদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখেন। তিনি কর্মীদের মানসিক দিক বিবেচনা না করে তাদের কাছ থেকে জোর করে কাজ আদায় করতে সচেষ্ট থাকেন।
এ ধরনের কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কর্মীরা সাময়িকভাবে মেনে নিলেও সর্বদা এ ধরনের পরিবেশ প্রত্যাশা করে না। এ ব্যবস্থায় কর্মী মনে করে প্রতিষ্ঠান তাকে মল্যায়ন করে না। তাই প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার আনুগত্য কমে যায়। ধীরে ধীরে কর্মীর কাজের প্রতি মনোবলও কমে যায়।
ফলে দীর্ঘ মেয়াদে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কর্মীর প্রত্যাশা কমে যায়। তাই আমি মনে করি ‘নিশাত’ গ্র“পের ব্যবস্থাপকের কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কর্মীদের দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চাকাক্সক্ষা পোষণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
প্রশ্নঃ ৪ জনাব মেহের সাভার রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের সব ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাদেরকে বিরপ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে হয়। এমনকি তাদের কোনো প্রকার মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয় না। ফলে প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের ভেতর অসন্তোষ ও ক্ষোভ কাজ করছে। [সি. বো. ১৭]
ক. মাসলো প্রদত্ত প্রেষণা তত্তের নাম কী? ১
খ. প্রেষণা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে জনাব মেহের কোন প্রকার প্রেষণা পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কর্মীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনে জনাব মেহেরের কোন ধরনের প্রেষণা পদ্ধতি প্রবর্তন করা সমীচীন হবে উদ্দীপকের আলোকে মল্যায়ন করো। ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ আব্রাহাম হ্যারল্ড মাসলো প্রদত্ত প্রেষণা তত্তের নাম হলো ‘চাহিদা সোপান তত্ত’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্রাহাম হ্যারল্ড মাসলো ১৯৪৩ সালে A Theory of Human Motivation গ্রন্থে চাহিদা সোপান তত্তটি (Need Hierarchy Theory) প্রকাশ করেন। এ তত্তের স্তরগুলো হলো- জৈবিক চাহিদা => নিরাপত্তার চাহিদা => সামাজিক চাহিদা => আতৃপ্তির চাহিদা => আপর্ণতার চাহিদা।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের পর্ণ কার্যক্ষমতা ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদেরকে কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে। মানুষের ইচ্ছা ও আকাক্সক্ষাকে প্রভাবিত করে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে কাজ করার আগ্রহ সৃষ্টিই প্রেষণার উদ্দেশ্য। এটি কর্মীদের মানসিক অবস্থাকে প্রতিষ্ঠান ও কাজের প্রতি ইতিবাচক করে তোলে। এতে কাজের প্রতি কর্মীর মনোবল বাড়ে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে জনাব মেহের আর্থিক প্রেষণা পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। আর্থিক প্রেষণা হলো অর্থসংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে মানুষকে উৎসাহিত করা। ন্যায্য বেতন, বোনাস,চিকিৎসা সুবিধা প্রদান প্রভৃতি আর্থিক প্রেষণার উদাহরণ।
উদ্দীপকের জনাব মেহের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধার ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি চান তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা আর্থিকভাবে প্রণোদিত হয়ে কাজ করুক।প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিবেশ বিরপ ও অস্বাস্থ্যকর হলেও তিনি সেদিকে নজর দেন না।তিনি ভাবেন, কর্মীরা আর্থিকভাবে সন্তুষ্ট থাকলেই কাজ আদায় করা যাবে। তাই বলা যায়, জনাব মেহের শুধু আর্থিক প্রেষণার ওপরই গুরুত্বারোপ করেছেন।
ঘ উত্তরঃ কর্মীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনে আর্থিক প্রেষণার পাশাপাশি জনাব মেহেরের অনার্থিক প্রেষণা পদ্ধতিও প্রবর্তন করা উচিত বলে আমি মনে করি। সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ না পেলে কর্মীরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে পারে না।
এজন্য তাদেরকে আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি অনার্থিক (নিরিবিল ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা,মত প্রকাশের স্বাধীনতা) সুবিধা প্রদান করতে হয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের কাজের গতি বেড়ে যায়।
উদ্দীপকের জনাব মেহের তার প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের সব ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের বিরপ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে হয়। এমনকি তাদের কোনো প্রকার মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয় না। ফলে প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের ভেতর অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে অনার্থিক প্রেষণা প্রদান করতে হবে। কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে কর্মীরা নির্বিঘেœ ও স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারবে।
কর্মীদের মতামত গ্রহণ করা হলে তারা প্রতিষ্ঠানে নিজেদেরকে গুরুত্বপর্ণ মনে করবে। এতে কাজের প্রতি তাদের আন্তরিকতা ও আগ্রহ বেড়ে যাবে। এভাবে উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি অনার্থিক প্রেষণার ওপর গুরুত্ব দিলে কর্মীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসন করতে পারবে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ৫ মি. জুনায়েদ একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। তিনি তার কর্মীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পারিশ্রমিক দেন না। ফলে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আর্থিক-অনার্থিক সব উপাদান নিশ্চিত করার মাধ্যমে তিনি কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করে একটি সুষ্ঠু উৎপাদন পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণ ও মান বাড়াতে আগ্রহী। [য. বো. ১৭]
ক. ব্যবস্থাপক কে? ১
খ. ‘ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন’ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মি. জুনায়েদ কর্তৃক কর্মীদের প্রদত্ত অপর্যাপ্ত পারিশ্রমিক ব্যবস্থাপনার কোন কাজের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উৎপাদনের পরিমাণ ও মান বৃদ্ধিতে মি. জুনায়েদের কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের যথার্থতা মল্যায়ন করো। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে সকল ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নেতৃত্ব ও নির্দেশনা দান, প্রেষণা প্রদান, সমন্বয়সাধন এবং নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া সম্পাদনের সাথে জড়িত থাকেন তাদেরকে ব্যবস্থাপক বলে।
খ উত্তরঃ ‘ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন’ উক্তিটি গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের । ব্যবস্থাপনার সর্বজনীনতা বলতে সর্বত্র, সব ক্ষেত্রে, সকলের দ্বারা স্বীকৃত ব্যবস্থাপনা জ্ঞানের আবশ্যকতা ও প্রয়োগ যোগ্যতাকে বোঝায়।পরিবার, রাষ্ট্র এবং ব্যবসায় সংগঠনের সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি (পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, নির্দেশনা, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ) প্রয়োগ করা হয়।
স্থানীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি, সামাজিক রীতি-নীতি ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। তবে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। তাই ব্যবস্থাপনাকে সর্বজনীন বলা হয়।
গ উত্তরঃ মি. জুনায়েদ কর্তৃক কর্মীদের প্রদত্ত অপর্যাপ্ত পারিশ্রমিক প্রদান ব্যবস্থাপনার আর্থিক প্রেষণা কাজের অন্তর্ভুক্ত। আর্থিক প্রেষণা হলো অর্থ ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধার সাথে সম্পৃক্ত প্রণোদনামলক ব্যবস্থা। মানুষের জীবনে যে সীমাহীন অভাব লক্ষণীয় তার মুখ্য অংশের পরণ অর্থের সাথে সংশ্লিষ্ট।
কর্মীদের যদি ন্যায্য পারিশ্রমিক প্রদান না করা হয় তবে তাদের যতই আদেশ-নির্দেশ প্রদান করা হোক, তত্তাবধান করা হোক তা কখনোই কাক্সিক্ষত ফল বয়ে আনতে পারে না। উদ্দীপকে মি. জুনায়েদ একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যবস্থাপক। তিনি কর্মীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পারিশ্রমিক দেন না। তাই কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
কারণ কর্মীদের মনোবল ও উৎসাহ বাড়ানোর অন্যতম উপায় হলো ন্যায্য পারিশ্রমিক প্রদান করা। উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত পারিশ্রমিক পর্যাপ্ত নয় বিধায় কর্মীরা কাজে আগ্রহী নয়, যা আর্থিক প্রেষণার স্বরপ। তাই বলা যায়, মি. জুনায়েদের কাজটি আর্থিক প্রেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট।
ঘ উত্তরঃ উৎপাদনের পরিমাণ ও মান বৃদ্ধিতে মি. জুনায়েদের কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য প্রেষণা দানের সিদ্ধান্তটি যথার্থ। কর্মীদের কাজে উৎসাহিত করার অন্যতম উপায় হলো প্রেষণা দান। কর্মীদের কাজের উৎসাহ না বাড়ালে প্রতিষ্ঠানের সফলতাও যেমন অর্জিত হয় না তেমনি কর্মীরাও নিরুৎসাহিত থাকে।
উদ্দীপকে মি. জুনায়েদ তার কর্মীদের কম পারিশ্রমিক দেওয়ার ফলে কর্মীরা অসন্তুষ্ট। এ অবস্থায় তিনি আর্থিক-অনার্থিক সব উপাদান নিশ্চিত করার মাধ্যমে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধিসহ একটি সুষ্ঠু উৎপাদন পরিবেশ সৃষ্টি করে উৎপাদনের পরিমাণ ও মান বাড়াতে আগ্রহী। অর্থাৎ মি. জুনায়েদ কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি এবং সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান।
এর ফলে কর্মীরা সন্তুষ্ট হওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনেও অধিক মনোযোগী হবে। এতে উক্ত প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনের পরিমাণ ও মান বাড়বে। অর্থাৎ মি. জুনায়েদের কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি সম্পর্ণ যুক্তিযুক্ত।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।