ব্যবসা সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১৬-২০ : ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রশ্নঃ ১৬ ‘ক’ ও ‘খ’ দুটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। ‘ক’ কোম্পানির ব্যবস্থাপক কাউকে দায়িত্ব দিলে তারা তা এড়িয়ে চলে, কেউ কেউ আবার কাজে ফাঁকিও দিচ্ছে, চাকরি রক্ষার জন্য যতটুকু দরকার কর্মীরা তার বেশি কাজ করে না। অপরদিকে ‘খ’ কোম্পানিতে কর্মীরা ভালো কাজ করলে এর স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। সাফল্য অর্জনও এখানে সহজ। কর্মীরা ব্যক্তিক উন্নয়নেরও সুযোগ পাচ্ছে। এ কোম্পানিতে কাজ করে তারা খুবই সন্তুষ্ট। [আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল]
ক. প্রেষণা কী? ১
খ. চিত্রের মাধ্যমে প্রেষণা চক্রটি ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে ‘ক’ কোম্পানিতে প্রেষণার কোন তত্তের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে তুমি মনে করো? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে ‘ক’ ও ‘খ’ কোম্পানির মধ্যে প্রেষণার তত্তগত পার্থক্য আছে কী? তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো। ৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের কার্যক্ষমতা পর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহী করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে।
খ উত্তরঃ প্রেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো (অভাব, তাড়না, অভাব পরণ ও সন্তুষ্টি অর্জন) পর্যায়ক্রমে সম্পাদন ও চলমান থাকাকে প্রেষণা চক্র বলে। কর্মীর মধ্যে কোনো কিছুর অভাব জাগ্রত হলে তা পরণের জন্য সে অস্থির হয়ে ওঠে। প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীর এ অভাব পরণ করা হয়।
যার ফলে তার মধ্যে সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।কর্মীর একটি অভাব পরণ হওয়ার পর তার মধ্যে আরেকটি অভাব সৃষ্টি হয় এবং তা অবিরামভাবে চলতে থাকে বলে একে প্রেষণা চক্র বলে। নিচের চিত্রে প্রেষণা চক্র উপস্থাপন করা হলো :
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের আলোকে বলা যায় ‘ক’ কোম্পানিতে প্রেষণার ‘ঢ’ তত্তের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তত্তে কর্মীদের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এ তত্ত অনুযায়ী কর্মীরা কাজকে অপছন্দ করে ও সুযোগ পেলেই কাজে ফাঁকি দেয়।
কর্মীরা কোনো দায়িত্ব না নিয়ে নির্বাহীর নির্দেশে কাজ করতে চায়। কাজের ক্ষেত্রে নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা খুব একটা প্রয়োগ করে না। উদ্দীপকে ‘ক’ হলো একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। ‘ক’ কোম্পানির ব্যবস্থাপক কোনো কর্মীকে দায়িত্ব দিলে কর্মী তা এড়িয়ে চলে। অনেক সময় কর্মীরা আবার কাজে ফাঁকি দিচ্ছে।
চাকরি রক্ষার জন্য যতটুকু দরকার কর্মীরা তার বেশি কাজ করে না। উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো তত্তের সাথে সামঞ্জস্যপর্ণ। তাই বলা যায়, ‘ক’ কোম্পানিতে প্রেষণার ‘ঢ’ তত্ত বিদ্যমান রয়েছে।
ডগলাস মারে ম্যাকগ্রেগর কর্মীর মনোভাব সম্পর্কে এই ধরনের তত্তের উলেখ করেছেন। তা নিæে দেওয়া হলো
১. তত্ত : কর্মী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা।
২. তত্ত : কর্মী সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে ‘ক’ কোম্পানি তত্ত এবং ‘খ’ কোম্পানি দ্বি-উপাদান তত্ত প্রেষণা পদ্ধতি প্রয়োগ করে। এ তত্ত দুটির মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। ‘ঢ’ তত্তে অনুসারে কর্মী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা থাকে।এক্ষেত্রে মনে করা হয় কর্মীরা দায়িত্ব এড়িয়ে চলে, এদের প্রেষিত করার সুযোগ কম। অন্যদিকে দ্বি-উপাদান তত্তে রক্ষণাবেক্ষণমলক ও প্রেষণামলক উপাদান রয়েছে। সাফল্য অর্জন, স্বীকৃতি, ব্যক্তিক উন্নয়নের সম্ভাবনা প্রভৃতি প্রেষণামলক উপাদান।
উদ্দীপকে ‘ক’ কোম্পানির কর্মীদের দায়িত্ব দিলে কর্মীরা তা এড়িয়ে চলে। কর্মীরা কাজে ফাঁকিও দিচ্ছে। চাকরি রক্ষার জন্য ‘ক’ কোম্পানির কর্মীরা শুধু যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু কাজ করে। আবার ‘খ’ কোম্পানিতে কর্মীরা ভাল কাজ করলে কর্মীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ প্রতিষ্ঠানে সাফল্য অর্জনও সহজ। প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মীদের ব্যক্তিক উন্নয়নেরও সুযোগ আছে।
উদ্দীপকে বর্ণিত তথ্যের আলোকে বলা যায়, ‘ক’ এবং ‘খ’ কোম্পানিতে প্রেষণার ভিন্ন ভিন্ন তত্তের প্রয়োগ ঘটেছে। ‘ক’ কোম্পানিতে কর্মীদের সম্পর্কে সম্পর্ণ নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এখানে প্রেষণাদানের বিষয়টিও অনুপস্থিত।আবার ‘খ’ কোম্পানিতে কর্মীদের প্রেষণাদানে সাফল্য, স্বীকৃতি প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এমতই ‘ক’ এবং ‘খ’ কোম্পানির মধ্যে প্রেষণার তত্তগত পার্থক্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ফ্রেডারিক আরভিং হার্জবার্গ (ঋৎবফবৎরপশ ওৎারহম ঐবৎুনবৎম) মানুষের চাহিদাকে দুই ধরনের উপাদানে বিভক্ত করেছে। নিæে তা দেয়া হলো :
১. প্রেষণাদানকারী উপাদান : সাফল্য অর্জন, স্বীকৃতি, দায়িত্ব।
২. রক্ষণাবেক্ষণকারী উপাদান : বেতন, পদমর্যাদা, কার্যপরিবেশ।
প্রশ্নঃ ১৭ মি. হাসেম অইঈ কোম্পানির সিইও। রফিক নামে তার অধীনস্থ একজন কর্মী কাজের একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের কারণে উৎপাদনের মাত্রা পর্বের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তাই তিনি রফিককে একটি পদোন্নতি দিয়েছেন। অন্যদিকে কবির নামে আরেকজন কারখানা কর্মীকে অসতর্কতাবশত একটি মেশিন পুড়িয়ে ফেলার কারণে বার্ষিক বেতন বাড়ানো স্থগিত করেছেন। [নটর ডেম কলেজ, ঢাকা]
ক. প্রেষণা কী? ১
খ. নিয়ন্ত্রণকে পরবর্তী পরিকল্পনার ভিত্তি বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে মি. হাসেম, রফিককে প্রেষিত করার জন্য যে ধরনের উপায় অবলম্বন করেছেন ইহার কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলেখ প্রতিষ্ঠানে কখনও কখনও শাস্তিমলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ম্যাকগ্রেগরের X ও Y তত্তের ভিত্তিতে ইহা মল্যায়ন করো। ৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কর্মীদের কার্যক্ষমতা পর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদের কাজের প্রতি উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে।
খ উত্তরঃ পর্বনির্ধারিত আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কাজের ফলাফল তুলনা করে কোনো বিচ্যুতি হলে তা সংশোধনের ব্যবস্থাই হলো নিয়ন্ত্রণ।নিয়ন্ত্রণ পরবর্তী পরিকল্পনার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। পরিকল্পিতভাবে কাজ করার পর নির্দিষ্ট সময়ান্তে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা হয়।
আদর্শমানের সাথে প্রকৃত কাজের তুলনা করে বিচ্যুতি পাওয়া গেলে এর কারণ নিরপণ করে সংশোধনীমলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যার আলোকে পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তাই নিয়ন্ত্রণকে পরবর্তী পরিকল্পনার ভিত্তি বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে আর্থিক উপায়ে মি. হাসেম, রফিককে প্রেষিত করেছেন, যা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এর কার্যকারিতা রয়েছে।আর্থিক প্রেষণা বলতে অর্থ ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধার সাথে সম্পৃক্ত প্রণোদনামলক ব্যবস্থাকে বুঝায়। মানুষের জীবনের অধিকাংশ অভাব পরণ হয় অর্থের মাধ্যমে। উদ্দীপকে মি. হাসেম কোম্পানির সিইও।
রফিক নামে তার অধীনস্থ একজন কর্মী কাজের জন্য নতুন একটি উদ্ভাবন করেছেন। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন মাত্রা আগের চেয়ে বহুগুণে বেড়েছে। তাই তিনি রফিকের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে তাকে পদোন্নতি দিয়েছেন।
এতে রফিকের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বেড়ে চলেছে। ফলে কাজের প্রতি তার উৎসাহ আর বেড়ে যাবে। এতে প্রতিষ্ঠানেরও উৎপাদনশীলতা বেড়ে যাবে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মি. হাসেম রফিককে প্রেষিত করার জন্য প্রেষণার আর্থিক উপায়টি অবলম্বন করেছে, যা প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই কার্যকর।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলেখ প্রতিষ্ঠানে কখনও কখনও শাস্তিমলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে উক্তিটি যথার্থ। ডগলাস ম্যাকগ্রেগর তত্তের জনক। এ ধরনের তত্তে মানব প্রকৃতির বিষয়ে দু’টি ভিন্নধর্মী ধারণা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি মনে করেন সমাজে দু’ধরনের মন-মানসিকতার লোক পাওয়া যায়।
বিভিন্নমুখী পরিবেশ, কর্মীদের শিক্ষা, জ্ঞান, যোগ্যতা সব মিলিয়ে এ দু’টো প্রকৃতির কর্মীদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠানসমহে লক্ষণীয়। উদ্দীপকে মি. হাসেম অইঈ কোম্পানির সিইও। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কবির নামে একজন কর্মী অসতর্কতাবশত একট মেশিন পুড়িয়ে ফেলে। যার কারণে তিনি তার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করেছেন।
‘ঢ’ তত্তে মানব প্রকৃতির সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা লক্ষণীয়। এক্ষেত্রে মনে করা হয় কর্মীরা জন্মসুত্রে কাজ অপছন্দ করে এবং সুযোগ ফেলে কাজে ফাঁকি দেয়। তাই তাদের কাছে থেকে ভয়ভীতি বা শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে কাজ আদায় করতে হয়।
অন্যদিকে Y তত্তে মনে করা হয় কর্মীরা জš§গতভাবে কাজকে পছন্দ করে। তাই তাদের ভয়-ভীতি বা শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানটিতে ম্যানগ্রেগর তত্তে অনুসারী। তাই মি. হাসেম কবিরকে শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে কাজ আদায় করার চেষ্টা করছেন।
প্রশ্নঃ ১৮ মি. বারেক একটি প্রতিষ্ঠানের এমডি। ইদানীং তিনি লক্ষ্য করছেন তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজের ব্যাপারে খুবই উদাসীন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেল, এ প্রতিষ্ঠানে তাদের কোনো অগ্রগতি নেই, কোনো স্বীকৃতি নেই এবং ব্যক্তিক উন্নয়নের সুযোগও খুব কম। তাই তিনি কর্মীদের কাজে স্বতঃস্ফর্ততা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে তিনি ভাবছেন। এসকল চাহিদা পর্যায়ক্রমে পরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করেছেন। তিনি আশা করেছেন, কর্মীদের মধ্যে স্বতঃস্ফর্ততা ফিরে আসবে। [নটর ডেম কলেজ, ঢাকা]
ক. ‘Z’ তত্ত কী? ১
খ. “মানুষের অভাববোধই প্রেষণার ভিত্তি” ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে মি” বারেক প্রেষণার কোন তত্তটি বিবেচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে তুমি মনে করো? তোমার বক্তব্যের যথার্থতা নিরপণ করো। ৩
ঘ. তুমি কি মনে করো উদ্দীপকে উলিখিত বাস্তবতাই আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে বিরাজমান বিধায় উৎপাদনশীলতা কম? তোমার বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে তত্তে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের স্বাধীনতা, নিয়ন্ত্রণ ও উচ্চাকাক্সক্ষার চাহিদাগুলো পরণের কথা বলা হয়েছে তাকে Z’ তত্ত বলে।
খ উত্তরঃ মানুষের পর্ণ কার্যক্ষমতা ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহী করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে।প্রেষণা শুরু হয় মলত মানুষের বিভিন্নমুখী অভাব বা প্রয়োজনবোধ থেকে। কেউ প্রয়োজন অনুযায়ী কোনো কিছুর অভাববোধ করলে তার মধ্যে এক ধরনের হতাশা সৃষ্টি হয়। এ অভাববোধ বুঝেই প্রেষণা প্রদানের প্রয়োজন হয়, যা মানুষের হতাশা দর করে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। এভাবেই অভাববোধ থেকে প্রেষণা সৃষ্টি হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. বারেক প্রেষণার হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান তত্তটি বিবেচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। যে তত্তে কর্মীদের সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির সাথে জড়িত দু’ধরনের উপাদান নির্দিষ্ট করে প্রেষণাদানের উপায় সম্পর্কে দিক নির্দেশ করা হয়েছে তা প্রেষণা তত্তের ‘দ্বি উপাদান তত্ত’, নামে পরিচিত। প্রখ্যাত মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ফ্রেডারিক হার্জবার্গ এরপ তত্তের উদ্ভাবক।
উদ্দীপকে মি. বারেক একটি প্রতিষ্ঠানের এমডি। তিনি লক্ষ্য করছেন ইদানীং তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজের ব্যাপারে খুবই উদাসীন। তিনি তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারলেন, এ প্রতিষ্ঠানে তাদের কোনো অগ্রগতি নেই, কাজের স্বীকৃতি নেই এবং ব্যক্তিক উন্নয়নের সুযোগও কম।
উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান তত্তের সাথে সামঞ্জস্যপর্ণ তাই তিনি হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান তত্তগুলো বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজে স্বতঃস্ফর্ততা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। প্রখ্যাত মার্কিন মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ফ্রেডারিক আরভিং হার্জবার্গ দ্বি-উপাদান তত্ত প্রবর্তন করেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত বাস্তবতাই আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে বিরাজমান, যার ফলে এদেশে উৎপাদনশীলতা কম হয় উক্তিটি সম্পর্ণ যৌক্তিক।প্রেষণা হলো প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীদের কার্যক্ষমতার পর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত, উৎসাহিত ও প্ররোচিত করার প্রক্রিয়া। ফলে কর্মী স্বত্বঃপ্রণোদিত হয়ে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম বা ঊর্ধ্বতনের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্বীয় সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে কাজ করতে উদ্দীপ্ত হয়।
উদ্দীপকে মি. বারেক একটি প্রতিষ্ঠানের এমডি তিনি লক্ষ্য করছেন ইদানীং তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজে খুবই উদাসীন। তাদের সাথে কথা বলে তিনি জানতে পারলেন, এ প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের কোনো অগ্রগতি নেই, কাজের স্বীকৃতি নেই এবং ব্যক্তিক উন্নয়নের সুযোগ কম। তাই তিনি আশা করছে এসব সমস্যা সমাধান করতে পারলে কর্মীদের মধ্যে আবার কাজে স্বতঃস্ফ‚র্ততা ফিরে আসবে।
যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সাফল্য প্রকৃতপক্ষে নির্ভর করে কর্মীবাহিনীর কাজের সফলতার ওপর। আর এই সফলতা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের প্রেষণাদানের ওপর। কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের প্রেষিত করা হয় না।
ফলে কর্মীরা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে কাজ সম্পাদন করে না। যার ফলে দেশের উৎপাদনশীলতা কম হয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে উলিখিত বাস্তবতাই আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে বিরাজমান বিধায় উৎপাদনশীলতা কম হয় বলে আমি মনে করি।
প্রশ্নঃ ১৯ মি. রতন-এর ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি কর্ক উত্তরঃ র্তা হবেন। বেতন কম হলেও সেখানে ভবিষ্যৎ সুযোগ সুবিধা অনেক। অপরদিকে মি. রতনের বন্ধু মি. আজম মনে করেন যেকোনো কাজেই দক্ষতা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে পারলে উন্নতি হবেই। তাই সে বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে কাজ করতে চায়। সেখানে চ্যালেঞ্জ থাকবে। [হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা]
ক. ঢ ও ণ তত্তের জনক কে? ১
খ. প্রেষণার চক্র বলতে কী বুঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে মি. রতনের বর্তমান প্রত্যাশা মাসলোর চাহিদা সোপান তত্তের কোন চাহিদার অন্তর্ভুক্ত- ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মি. আজমের প্রত্যাশা হর্জবার্গের তত্ত অনুযায়ী যে উপাদানের অধীন তা তার দক্ষতার উন্নয়নে সহায়ক হবে- উক্তিটির যথার্থতা উদ্দীপকের আলোকে মল্যায়ন করো। ৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ X ও Y তত্তের জনক ডগলাস মারে ম্যাকগ্রেগর।
খ উত্তরঃ প্রেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো (অভাব, তাড়না, অভাববোধ ও সন্তুষ্টি অর্জন) পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হওয়াকে প্রেষণা চক্র বলে।কর্মীর মধ্যে কোনো কিছুর অভাব জাগ্রত হলে তা পরণের জন্য সে অস্থির হয়ে ওঠে। প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীর এ অভাব পরণ হয়।
যার ফলে কর্মীর সন্তুষ্টি অর্জন হয়। কর্মীর একটি অভাব পরণ হলে তার মধ্যে নতুন আরেকটি অভাবের সৃষ্টি হয়। এ নতুন অভাব পরণের জন্য আবার প্রেষণার ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পাদন হয়। এরপ অভাববোধ এবং তা পরণের প্রক্রিয়াটি অবিরামভাবে চলতে থাকে বলে প্রেষণাকে একটি চক্র বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. রতনের বর্তমান প্রত্যাশা আব্রাহাম মাসলোর চাহিদা যোগান তত্তের নিরাপত্তার চাহিদার অন্তর্ভুক্ত। সব বিপদ আপদ ও অনিশ্চয়তা থেকে চাকরির স্থায়িত্ব বিধান হলো নিরাপত্তার চাহিদা। কর্মীর চাকরির নিরাপত্তা না থাকলে সর্বদা তিনি চাকরি হারানোর ভয়ে থাকেন। এমতাবস্থায় কর্মী মানসিকভাবে কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।
উদ্দীপকে মি. রতন-এর ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল তিনি বড় হয়ে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি কর্ক উত্তরঃ র্তা হবেন। বেতন কম হলেও তার কোনো সমস্যা নেই। কারণ তিনি জানেন সরকারি কর্ক উত্তরঃ র্তাদের ভবিষ্যৎ সুযোগ সুবিধা অনেক এবং চাকরির নিরাপত্তা রয়েছে।
উক্ত সুযোগ সুবিধাগুলোর কথা চিন্তা করেই মি. রতন সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহী। উপরোক্ত, চাহিদাগুলো মাসলোর নিরাপত্তা চাহিদার অন্তর্ভুক্ত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে মি. রতনের বর্তমান প্রত্যাশা মাসলোর চাহিদা সোপান তত্তের নিরাপত্তার চাহিদার অন্তর্ভুক্ত।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্রাহাম হ্যারল্ড মাসলো মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করেছেন। যা নিচে দেওয়া হলো:
১. জৈবিক চাহিদা : খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান।
২. নিরাপত্তার চাহিদা : চাকরির স্থায়িত্ব, বিমা সুবিধা।
৩. সামাজিক চাহিদা : বন্ধুত্ব, øেহ মমতা, সহানুভ‚তি।
৪. আতৃপ্তির চাহিদা : আমর্যাদা, সম্মান, পদমর্যাদা।
৫. আপর্ণতার চাহিদা : পর্ণ দক্ষতার প্রকাশ, জটিল ও গুরুত্বপর্ণ কাজে সিদ্ধান্ত প্রদান।
ঘ উত্তরঃ মি. আজমের প্রত্যাশা হার্জবার্গের তত্ত অনুযায়ী ‘প্রেষণামলক উপাদানের’ অধীন যা তার দক্ষতার উন্নয়নে সহায়ক হবে- উক্তিটি যথার্থ। প্রেষণামলক উপাদান কর্মীদের কার্য সম্পাদনে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। সাফল্য, অর্জন, স্বীকৃতি, দায়িত্ব, আকর্ষণীয় কাজ প্রভৃতি প্রেষণামলক উপাদানের অন্তর্গত।
উদ্দীপকে মি. রতনের বন্ধু মি. আজম মনে করেন যেকোনো কাজেই দক্ষতা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে পারলে উন্নতি হবেই। এ ভেবে তিনি পড়ালেখা শেষ করে বিসিএস পরীক্ষা না দিয়েই একটি বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের র্তা হিসেবে কাজে যোগ দেন।
তিনি জানেন সেখানে অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়েই তাকে কাজ করতে হবে। এ ধরনের প্রত্যাশা হার্জবার্গের প্রেষণামলক উপাদানের সাথে সম্পৃক্ত। হার্জবার্গের প্রেষণামলক উপাদানের উপস্থিতি কর্মীদের কাজের সাথে অধিক হারে সম্পৃক্ত হতে ও মনোযোগ সহকারে কার্য সম্পাদনে উদ্বুদ্ধ করে। এজন্য মি. আজম চ্যালেঞ্জিং কাজে নিজের দক্ষতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে উন্নতি করতে আগ্রহী।
তাই মি. আজম মনে করেন, যেকোনো কাজে দক্ষতা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে পারলে সাফল্য আসবে। এ আশায় তিনি সর্বোচ্চ দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবেন। তাই বলা যায়, মি. আজমের প্রত্যাশা হার্জবার্গের তত্ত অনুযায়ী প্রেষণামলক উপাদানের অধীন যা তার দক্ষতার উন্নয়নে সহায়ক হবে- উক্তিটি যথার্থ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ফ্রেডারিক আরভিং হার্জবার্গ (ঋৎবফবৎরপশ ওৎারহম ঐবৎুনবৎম) মানুষের চাহিদাকে দুই ধরনের উপাদানে বিভক্ত করেছেন। তা দেওয়া হলো:
১. প্রেষণাদানকারী উপাদান : সাফল্য, স্বীকৃতি, দায়িত্ব।
২. রক্ষণাবেক্ষণকারী উপাদান : বেতন, পদমর্যাদা, কার্যপরিবেশ।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ২০ রফিক একটি নাম করা বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করে। সে ভালো বেতন ও আর্থিক সুবিধা পায়। এছাড়া তার চাকরিও স্থায়ী প্রকৃতির এবং সব সহকর্মীদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক। প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিবেশ ও নিয়ম-নীতিও ইতিবাচক। এত কিছু সত্তেও রফিক সন্তুষ্ট নয়। সে চায় নতুন ধরনের কাজের দায়িত্ব ও সফলতা। অন্যদের চাইতে নিজেকে অনেক উচ্চতায় দেখতে চায় রফিক। [ঢাকা সিটি কলেজ]
ক. প্রেষণা কী? ১
খ. নিস্তরের কর্মীদের জন্য কোন ধরনের প্রেষণা দেয়ার উপায় অধিক গুরুত্বপর্ণ? কেন? ২
গ. মাসলোর চাহিদা তত্ত অনুযায়ী রফিক চাহিদা সোপানের কোন স্তরে অবস্থান করছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. রফিকের সন্তুষ্টি এবং অসন্তুষ্টির আলোকে হার্জবার্গের তত্তের যথার্থতা মল্যায়ন করো। ৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজের প্রতি উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার কাজকে প্রেষণা বলে।
খ উত্তরঃ নিস্তরের কর্মীদের জন্য আর্থিক প্রেষণা দেয়ার উপায় অধিক গুরুত্বপর্ণ। কর্মীদের অর্থ সংক্রান্ত চাহিদা পরণের জন্য আর্থিক উপায়ে প্রেষণা দেয়া হয়। সাধারণত উচ্চস্তরের কর্মীদের আর্থিক সমস্যা থাকে না বলে তাদের অর্থের চাহিদা কম থাকে। কিন্তু স্তরের কর্মীদের আর্থিক সমস্যা থাকে।
এ কারণে তাদের অর্থের চাহিদাও বেশি থাকে। তাই তাদের বেতন ও বোনাস সংক্রান্ত আর্থিক সুবিধা দিলে কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ে। এজন্যই নিæস্তরের কর্মীদের আর্থিক প্রেষণা প্রদান গুরুত্বপর্ণ।
গ উত্তরঃ মাসলোর চাহিদা তত্ত অনুযায়ী উদ্দীপকের রফিক চাহিদা সোপান তত্তের ‘আতৃপ্তির চাহিদা’ স্তরে অবস্থান করছে। মাসলোর চাহিদা তত্তের প্রথম তিনটি স্তরের (জৈবিক নিরাপত্তা ও সামাজিক চাহিদা) চাহিদা পরণের পর কোনো ব্যক্তির মনে সম্মান ও মর্যাদার চাহিদা দেখা দেয়।
তিনি তার সামর্থ্য ও যোগ্যতা প্রকাশের মাধ্যমে সকলের প্রশংসা ও স্বীকৃতি অর্জনের চেষ্টা করেন। এ স্তরটি আতৃপ্তির চাহিদা হিসেবে বিবেচিত। উদ্দীপকে রফিক একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করে। সে ভালো বেতন ও আর্থিক সুবিধা পায়। তার চাকরিও স্থায়ী প্রকৃতির। সব কর্মীদের সাথে তার সুন্দর সম্পর্ক আছে। প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিবেশও ইতিবাচক।
এখানে জৈবিক চাহিদা ও নিরাপত্তার চাহিদা স্তরের পরিপর্ণতা আছে। এতেও সে সন্তুষ্ট নয়। সে নতুন ধরনের কাজের দায়িত্ব ও সফলতা চায়। সহকর্মীদের চেয়ে নিজেকে অনেক উচ্চতায় দেখতে চায়। এ বৈশিষ্ট্যগুলো আতৃপ্তির চাহিদার সাথে সম্পর্কিত। তাই বলা যায়, রফিক মাসলোর চাহিদা সোপানের আতৃপ্তির চাহিদা স্তরে অবস্থান করছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে রফিকের সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির ক্ষেত্রে হার্জবার্গের (ঐবৎুনবৎম) দ্বি উপাদান তত্তের প্রেষণা দানকারী ও রক্ষণাবেক্ষণকারী উপাদান প্রভাব রেখেছে, যা যথার্থ।
হার্জবার্গের তত্তে কর্মীদের সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির সাথে জড়িত এ দুটি উপাদান নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। তিনি মনে করেন কোনো ব্যক্তির সাথে তার কাজের সম্পর্ক বা সে তার কাজের প্রতি কেমন মনোভাব পোষণ করেএর ওপর ব্যক্তির কাজের সফলতা নির্ভরশীল।
উদ্দীপকের রফিক একটি নাক উত্তরঃ রা বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করে। এটি তার পদমর্যাদা। তিনি প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো বেতন ও আর্থিক সুবিধা পায়। প্রতিষ্ঠানে তার চাকরির স্থায়িত্ব আছে। সহকর্মীদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক আছে। প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিবেশও ভালো। হার্জবার্গের তত্ত অনুযায়ী এগুলো প্রেষণার রক্ষণাবেক্ষণকারী উপাদান। এসব উপাদান পর্যাপ্ত না থাকলে কর্মীরা অসন্তুষ্ট হয়।
রফিকের উক্ত সুবিধাগুলো থাকা সত্তেও তিনি নতুন ধরনের কাজের দায়িত্ব ও সফলতা চায়। অন্যদের চাইতে নিজেকে অনেক উচ্চতায় দেখতে চায়। তাই কাজে সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতি চায়। এগুলো হার্জবার্গের প্রেষণা তত্তের প্রেষণামলক উপাদানের সাথে সম্পর্কিত।
এসব সুবিধা বা উপাদানের অনুপস্থিতি কর্মীদের অসন্তুষ্ট করে না। সুতরাং, রফিকের সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির ক্ষেত্রে হার্জবার্গের প্রেষণা তত্তের উক্ত উপাদানগুলো যথার্থ প্রভাব রেখেছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।