ব্যবসা সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৪১-৪৪ : ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রশ্নঃ ৪১ জারা একটি বেসরকারি ব্যাংক এর শাখা ব্যবস্থাপক। উক্ত ব্যাংক থেকে তিনি উপযুক্ত বেতন, বোনাসসহ পরিবহনের সুবিধাও পান। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করে তাদের এ সুবিধাগুলো কর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহ উদ্দিপনা বাড়াবে। কিন্তু জারা তার প্রতিষ্ঠানের প্রতি সন্তুষ্ট নন। তিনি মনে করেন সেসব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন তা তার প্রাপ্য। তিনি তার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠান এর যথাযথ মল্যায়ন এবং সে অনুযায়ী স্বীকৃতির প্রত্যাশা করেন। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ দেখতে না পেয়ে তিনি হতাশ এবং চাকরি পরিবর্তন এর কথাও ভাবছেন। [নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. প্রেষণা কি? ১
খ. প্রেষণা চক্র বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকের ব্যাংকটি কর্মীদের উদ্দীপনা বৃদ্ধিতে কোন ধরনের প্রেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জারা-এর ক্ষেত্রে প্রেষণার কোন তত্তটি উপযুক্ত? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৪১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কর্মীদের পর্ণ কার্যক্ষমতা ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহী করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে।
খ উত্তরঃ প্রেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো (অভাব, তাড়না, অভাবপরণ ও সন্তুষ্টি অর্জন, পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হওয়াকে প্রেষণা চক্র বলে। কর্মীর মধ্যে কোনো কিছুর অভাব জাগ্রত হলে তা পরণের জন্য সে অস্থির হয়ে ওঠে। প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীর এ অভাব পরণ হয়।
যার ফলে কর্মীর সন্তুষ্টি অর্জন হয়। কর্মীর একটি অভাব পর হলে তার মধ্যে নতুন আরেকটি অভাব সৃষ্টি হয়। এ নতুন অভাব পরণের জন্য আবার প্রেষণার ধারাগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পাদন হয়। এরপ অভাববোধ এবং তা পরণের প্রক্রিয়াটি অবিরামভাবে চলতে থাকে বলে প্রেষণাকে একটি চক্র বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ব্যাংকটি কর্মীদের উদ্দীপনা বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। অর্থ বা আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কর্মীকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াই হলো আর্থিক প্রেষণা। উপযুক্ত বেতন ও মজুরি, বোনাস, পদোন্নতি, বাসস্থান ভাতা, পরিবহন সুবিধা ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান প্রভৃতি আর্থিক প্রেষণার উপাদান।
উদ্দীপককে জারা একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক। উক্ত ব্যাংক থেকে তিনি উপযুক্ত বেতন, বোনাস, পরিবহন সুবিধা পান। যা আর্থিক প্রেষণা দান পদ্ধতির উপাদান।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করেন এ ধরনের প্রেষণা পদ্ধতিতে কর্মীদের কাজের প্রতি উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়বে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে কর্মীদের উদ্দীপনা বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
ঘ উত্তরঃ জারা এর ক্ষেত্রে প্রেষণার দ্বি-উপাদান তত্তটি উপযুক্ত। প্রেষণার দ্বি-উপাদান তত্তে কর্মীদের সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির সাথে জড়িত উপাদানগুলো চিহ্নিত করে প্রেষণা দানের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এ তত্তে দুই ধরনের উপাদানের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো: রক্ষণাবেক্ষণকারী (ঐুমরবহব) উপাদান এবং প্রেষণামলক (গড়ঃরাধঃরড়হধষ) উপাদান।
উদ্দীপকে জারা একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক। তিনি ব্যাংক থেকে বেতন, বোনাস ও পরিবহন সুবিধা ভোগ করেন। যা রক্ষণাবেক্ষণকারী উপাদান। কিন্তু তিনি ব্যাংক থেকে তার মানের মল্যায়ন করা সে অনুযায়ী স্বীকৃতি পান না। এগুলো প্রেষণামলক উপাদানের অন্তর্ভুক্ত।
জারা ব্যাংক থেকে বেতন, বোনাস, পরিবহন সুবিধা (রক্ষণাবেক্ষণকারী উপাদান) পেলেও তিনি এগুলো পেয়ে সন্তুষ্ট নন। কারণ তিনি মনে করেন এগুলো তার প্রাপ্য। তাই এগুলোর পাশাপাশি তাকে তার কাজের অগ্রগতির মল্যায়ন এবং সে অনুযায়ী কাজের স্বীকৃতি (প্রেষণামলক উপাদান) প্রদান করতে হবে।
এই দুটি উপাদানই হার্জবার্গের উপাদান তত্ত। এর অনুপস্তিতির কারণেই জারা চাকরি পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। তাই জারাকে প্রতিষ্ঠানে ধরনের ধরে রাখার জন্য প্রেষণার দ্বি-উপাদান তত্তটি উপযুক্ত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ফ্রেডারিক হার্জবার্ড (ঋৎবফবৎরপশ যবৎুনবৎম) প্রেষণা দ্বি-উপাদান তত্তে মানুষের চাহিদাকে দু’ধরনের উপাদানে বিভক্ত করেছেন। যথা :
১. প্রেষণা দানকারী উপাদান: যোগ্যতা অর্জন, স্বীকৃতি।
২. রক্ষণা-বেক্ষণকারী উপাদান: বেতন, পদমর্যাদা।
প্রশ্নঃ ৪২ রায়হান একজন চাকরিজীবী। তিনি প্রতিষ্ঠানে দলবদ্ধভাবে কাজ করে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন। কাজের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত দক্ষ। তার চাকরির বয়স ১০ বছর পর্ণ হয়েছে। বছর শেষে বাৎসরিক মল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি জানতে পেরেছেন তার পদমর্যাদা আরও বাড়বে। এতে তার কাজে আরও অগ্রগতি হবে। [মদনমোহন কলেজ, সিলেট]
ক. লাগামহীন নেতৃত্ব কী? ১
খ. যোগাযোগ কিভাবে ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়াতে পারে? ২
গ. রায়হান মাসলোর প্রেষণাতত্তের কোন পর্যায়ে রয়েছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. রায়হানের কার্যের অগ্রগতি বিষয়টি হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান তত্তের সাথে কীভাবে সম্পর্কযুক্ত? বিশ্লেষণ করো। ৪
৪২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে নেতৃত্ব ব্যবস্থায় নেতা কর্মবিমুখ থেকে অধস্তনের ওপর নির্ভর করেন তাকে লাগামহীন নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ কতিপয় ব্যক্তি, দল বা পক্ষের মধ্যে কোনো সংবাদ, তথ্য, ভাব, ইত্যাদির বিনিময় হলে তাকে যোগাযোগ বলে। ব্যবস্থাপনা কাজের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ কাজ মখ্য। এ কাজসমহ সম্পন্ন করতে বিভিন্ন স্তরের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ ও মতামত বিনিময় প্রয়োজন হয়।
প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পক্ষের সাথে বিভিন্ন রকম যোগাযোগ করতে হয়। তাছাড়া দক্ষভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই বলা যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা দক্ষতা বাড়ায়।
গ উত্তরঃ রায়হান মাসলোর প্রেষণাতত্তের আতৃপ্তির পর্যায়ে রয়েছেন। আতৃপ্তির স্তরে কর্মী সমাজে বসবাসরত বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী, সক উত্তরঃ র্মীদের থেকে মান মর্যাদায় উচ্চস্তরে অবস্থান করেন। কর্মী চায় সবার থেকে নিজেকে একটু উচ্চপদে রাখতে। এছাড়াও তিনি কাজের স্বীকৃতি, পদ মর্যাদা ইত্যাদি বাড়াতে চায়।
উদ্দীপকের রায়হান একজন চাকরিজীবী, তিনি প্রতিষ্ঠানে দলবদ্ধভাবে কাজ করে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন। তিনি কাজের ক্ষেত্রে অনেক দক্ষ। তার চাকরির বয়স ১০ বছর পর্ণ হয়েছে।
বছর শেষে বাৎসরিক মল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি কাজে দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। ফলে তার পদমর্যাদা বাড়বে। তার এই কাজের স্বীকৃতি প্রদান ও পদমর্যাদা বৃদ্ধি মাসলোর চাহিদা তত্তের তৃপ্তির চাহিদা পর্যায়ের সাথে মিল রয়েছে। তাই বলা যায় রায়হান মাসালার প্রেষণাতত্তের আতৃপ্তির চাহিদা পর্যায়ে রয়েছেন।
ঘ উত্তরঃ রায়হানের কাজের অগ্রগতি বিষয়টি হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান তত্তের ‘প্রেষণাদানকারী উপাদানের’ সাথে মিল রয়েছে। প্রেষণাদানকারী উপাদান কর্মীর কাজের উৎসাহ বাড়ায়। এসকল উপাদান উচ্চস্তরের অভাব পরণে ব্যবহার হয়। যেমন : সাফল্য অর্জন, স্বীকৃতি, অগ্রগতি ইত্যাদি। এ উপাদানগুলোর উপস্থিতি কর্মীর কাছে কাজকে আকর্ষণীয় করে তোলে। তবে এগুলোর অনুপস্থিতে তারা অসন্তুষ্ট হয় না।
উদ্দীপকের রায়হান একজন চাকরিজীবী। তিনি প্রতিষ্ঠানে দলবদ্ধভাবে কাজ করেন। এতে তিনি বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন। কাজের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত দক্ষ, তার চাকরির বয়স ১০ বছর পর্ণ হয়েছে। বছর শেষে বাৎসরিক মল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি জানতে পেরেছেন তার পদমর্যাদা আরও বাড়বে। এতে তার কাজে আরও অগ্রগতি হবে।
কর্মীরা সাধারণত নিরপেক্ষভাবে কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে হার্জবার্গের প্রেষণাদানকারী উপাদান প্রদানের মাধ্যমে কর্মীদের কাজের উৎসাহ বাড়ানো যায়। ফলে তারা প্রতিষ্ঠানের প্রতি সন্তুষ্ট হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের কাজ দ্র–ত ও দক্ষতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
রায়হানকে প্রতিষ্ঠান তার কাজের দক্ষতার ভিত্তিতে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। তার পদমর্যাদা বাড়ানো হবে তাও জানানো হয়েছে। যা তার কাজের অগ্রগতি অনেক বাড়িয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠান যদি তাকে এভাবে স্বীকৃতি না দিত তাও তিনি তার কাজ দক্ষতার সাথে চালিয়ে যেত।
প্রতিষ্ঠানের এমন কাজ হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান তত্তের প্রেষণাদানকারী উপাদানকেই প্রকাশ করছে। তাই বলা যায় রায়হানের কাজের অগ্রগতি বিষয়টি হার্জবার্গের তত্তের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
প্রশ্নঃ ৪৩ বৃষ্টি আর্ট ওয়ার্কস প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মিস বৃষ্টি তার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনশীলতা উন্নত রাখতে সদা সচেষ্ট। তাই তিনি তার শৈল্পিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নানামুখী সৃষ্টিশীলতার সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে উন্নত কার্য পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রেষণা দান করেন। মিস বৃষ্টি জানেন, তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা আর প্রেষণা এ দুটির সহবস্থান তাকে লক্ষ্যর্জনে সহায়তা করে। [মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. অনার্থিক প্রেষণা কী? ১
খ. আর্থিক প্রেষণা বলতে কী বুঝ? ২
গ. এই প্রতিষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে, মিস বৃষ্টি কর্মীদের প্রেষণা দানের সাথে উৎপাদনশীলতার কীরপ সহাবস্থান খুঁজে পেয়েছেন। ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. প্রেষণা কার্যক্রম কীভাবে উৎপাদনশীলতা বাড়ায়, তা এই প্রতিষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করো। ৪
৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ আর্থিক সুযোগ-সুবিধার বাইরে প্রেষণা দানের যেসব (বাসস্থান সুবিধা, চাকরির নিরাপত্তা) উপায় রয়েছে তার মাধ্যমে প্রেষণা প্রদান করাকে অনার্থিক প্রেষণা বলে।
খ উত্তরঃ অর্থ ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধার সাথে সম্পৃক্ত প্রণোদনামলক (বেতন, বোনাস, পদোন্নতি) ব্যবস্থাকে আর্থিক প্রেষণা বলে। মানুষের জীবনের অধিকাংশ অভাব বা চাহিদা পরণ হয় অর্থের মাধ্যমে। তাই মানুষ কাজ করার বিনিময়ে অর্থ বা আর্থিক সুযোগ সুবিধা পেতে চায়।
এ ধরনের আর্থিক প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীর মনোবল বেড়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্মীর ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বেড়ে যায়। বেতন, বোনাস, মুনাফার অংশ,পদোন্নতি, যাতায়াত ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, বাসস্থান ভাতা ইত্যাদি আর্থিক প্রেষণার অন্তর্ভুক্ত।
গ উত্তরঃ এই প্রতিষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে, মিস বৃষ্টি কর্মীদের প্রেষণা দানের সাথে উৎপাদনশীলতার ইতিবাচক সহাবস্থান খুঁজে পেয়েছেন। কর্মরত কর্মীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্মীদের ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করা যায়। এতে কর্মীরা নিজ আগ্রহেই কাজ সম্পাদন করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়বে।
উদ্দীপকে বৃষ্টি আর্ট ওয়ার্কস প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মিস বৃষ্টি। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা উন্নত রাখতে সদা সচেষ্ট। তাই তিনি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সৃজনশীলতার সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে উন্নত কার্যপরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করেন। এতে কর্মীরা প্রেষিত হয়। আর কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকলে কাজের প্রতিও তাদের মনোযোগ বাড়ে। এতে কম সময়ে অধিক উৎপাদন করা যায়। অর্থাৎ কর্মীদের প্রেষণা বাড়লে উৎপাদনশীলতা সমহারে বেড়ে যায়। এভাবেই মিস বৃষ্টি প্রেষণা ও উৎপাদনশীলতার সহাবস্থান খুঁজে পেয়েছেন।
ঘ উত্তরঃ প্রেষণা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ায় বক্তব্যটি যথার্থ। প্রেষণা হলো কর্মরত কর্মীদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহী করার প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে কর্মীদের মনোবল উন্নত হয়। অন্যদিকে উৎপাদনশীলতা হলো উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ও উৎপন্ন দব্যের অনুপাত। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঠিক মাত্রায় প্রেষিত করতে পারলেই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
উদ্দীপকে মিস বৃষ্টি আর্ট ওয়ার্কস প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা উন্নত রাখতে সদা সচেষ্ট। তাই তিনি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সৃষ্টিশীলতার সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে উন্নত কার্যপরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রেষণাও করেন। মিস বৃষ্টি মনে করেন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা আর আর প্রেষণা ও দুটির সহাবস্থান তাকে লক্ষ্যার্জনে সহায়তা করবে।
প্রেষণা এবং উৎপাদনশীলতার মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান। কেননা প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের সার্বিক মাত্রায় প্রেষিত করতে পারলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ে। তারা কাজে অধিকমনোযোগী হয়। এতে উৎপাদন বাড়ে।
কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যত দক্ষ ও অভিজ্ঞ হোক না কেন তাদের প্রেষণা না দিলে তারা কাজের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। এমনকি কর্মী চাকরি ছেড়ে নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের চেষ্টা করে। এতে কর্মীর কাজের গতি কমে যায়। ফলে উৎপাদনশীলতাও কমে যায়।
এজন্যই উদ্দীপকের মিস বৃষ্টি মনে করেন কর্মীদের প্রেষিত করতে পারলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। তাই বলা যায়, প্রেষণা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ায় বক্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ৪৪ মি. মানিক ও মি অপু দু’জন বন্ধু। প্রথমজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তিনি বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি কর্ক উত্তরঃ র্তা হতে আগ্রহী। বেতন কম হলেও সেখানে ভবিষ্যৎ সুযোগ-সুবিধা ভালো। কারণ অবসরের পর আর্থিক অনটনে পড়তে হবে না। অন্যদিকে মি. অপু মনে করেন যে কোনো কাজে দক্ষতা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে পারলে উন্নতি ধরা দেবেই। তাই সে বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে কাজ করতে চায়। সেখানে চ্যালেঞ্জ থাকবে। [ঝালকাঠি সরকারি কলেজ]
ক. আতৃপ্তির চাহিদা কী? ১
খ. প্রেষণা ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপর্ণ কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মি মানিকের বর্তমান প্রত্যাশা মাসলোর প্রেষণা তত্তের কোন চাহিদার পর্যায়ভুক্ত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মি. অপুর প্রত্যাশা হার্জবার্গের তত্ত অনুযায়ী যে উপাদানের অধীন তা তার দক্ষতার উন্নয়নে সহায়ক হবে উক্তির যথার্থতা উদ্দীপকের মল্যায়ন করো। ৪
৪৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ সমাজে বসবাসরত বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী, আীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের থেকে মান-মর্যাদা, সম্ভ্রম ও প্রতিপত্তি, খ্যাতি ইত্যাদির দিক দিয়ে নিজেকে উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আকাক্সক্ষাকে আতৃপ্তির চাহিদা বলে।
খ উত্তরঃ কর্মরত কর্মীদের পর্ণ কার্যক্ষমতা ব্যবহার করে তাদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহী করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে। প্রত্যেক মানুষই পৃথক সত্তার অধিকারী এবং তাদের স্বভাব, চাহিদা ও প্রয়োজনে ভিন্নতা রয়েছে।
এজন্য ব্যক্তিভেদে প্রেষণা দানের পদ্ধতি ভিন্ন হয়ে থাকে। এই কারণে প্রত্যেক মানুষের অভাব, অভিযোগ, আবেগ, অনুভ‚তি ইত্যাদি উপলব্ধি করে ব্যবস্থাপনাকে প্রেষণা প্রদান করতে হয়। তাই ব্যবস্থায়পনায় প্রেষণা খুবই গুরুত্বপর্ণ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. মানিকের বর্তমান প্রত্যাশা সাফল্যের প্রেষণা তত্তের নিরাপত্তা চাহিদার পর্যায়ভুক্ত। ভয়হীন, ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদে বাঁচতে পারার চাহিদাই হলো নিরাপত্তার চাহিদা, জৈবিক চাহিদা পরণের পর মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজবোধ করে নিরাপত্তার চাহিদার। উদ্দীপকের মি. মানিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
এ পর্যায়ে তিনি নিজেকে ও তার পরিবারকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করতে চায়। এজন্য তিনি চান চাকরির স্থায়িত্ব, ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও বাঁচার সুযোগ। তাই তিনি বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি কর্ক উত্তরঃ র্তা হতে আগ্রহী।
কারণ সরকারি চাকরিতে বেতন কম হলেও ভবিষ্যৎ সুযোগ-সুবিধা ভালো। যা নিরাপত্তার চাহিদার সাথে সম্পর্কিত। তাই বলা যায়, মি. মানিকের বর্তমান প্রত্যাশা মাসলোর প্রেষণা তত্তের নিরাপত্তার চাহিদার পর্যায়ভুক্ত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্রাহাম হ্যারল্ড মাসলো (অনৎধযধস ঐধৎড়ষফ গধংষড়)ি প্রেষণার চাহিদা সোপান তত্তে (ঘববফ ঐরবৎধৎপযু ঃযবড়ৎু) মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করেছেন। যা দেওয়া হলো :
১. জৈবিক চাহিদা : খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা।
২. নিরাপত্তার চাহিদা : চাকরির স্থায়িত্ব, বিমা সুবিধা, ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা।
৩. সামাজিক চাহিদা : বন্ধুত্ব, -মমতা, সহানুভ‚তি।
৪. আতৃপ্তির চাহিদা : আমর্যাদা, সম্মান, স্বীকৃতি, পদমর্যাদা।
৫. আপর্ণতার চাহিদা : পর্ণ দক্ষতার প্রকাশ গুরুত্বপর্ণ কাজে সিদ্ধান্ত প্রদান।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. অপুর প্রত্যাশা হার্জবার্গের তত্ত অনুযায়ী প্রেষণামলক উপাদানের অধীন যা তার দক্ষতার উন্নয়নে সহায়ক হবে উক্তিটি যথার্থ।
প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান যে সব উপাদানের উপস্থিতি কর্মীদের প্রণোদিত করে তোলে তাই হলো প্রেষণামলক উপাদান। হার্জবার্গ সাফল্যার্জন, স্বীকৃতি, আকর্ষণীয় কাজ, ব্যক্তিক উন্নয়নের সম্ভাবনা, দায়িত্ব ইত্যাদিকে প্রেষণামলক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
উদ্দীপকে মি. অপু মনে করেন যে কোনো কাজে দক্ষতা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে পারলে যেখানে উন্নতি ধরা দিবেই। তাই তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে কাজ করতে চান। যেখানে তাকে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে।
মি. অপু চ্যালেঞ্জিং কাজের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে উন্নতি করতে চান, যা প্রেষণামলক উপাদান। আর এসব উপাদানের উপস্থিতি কর্মীদের কাজের সাথে অধিক হারে সম্পৃক্ত হতে ও মনোযোগ সহকারে কাজ সম্পাদনে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং বলা যায়, মি. অপুর প্রত্যাশা হার্জবার্গের তত্ত অনুযায়ী প্রেষণামলক উপাদানের অধীন যা তার দক্ষতার উন্নয়নে সহায়ক হবে উক্তিটি যথার্থই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ফ্রেডারিক আরভির হার্জবার্গ (ঋৎবফবৎরপশ ওৎারহম ঐবৎুনবৎম) মানুষের চাহিদাকে দুই ধরনের উপাদানে বিভক্ত করেছেন। যা দেওয়া হলো :-
১. প্রেষণদানকারী উপাদান: সাফল্য অর্জন, স্বীকৃতি, দায়িত্ব।
২. রক্ষণাবেক্ষণকারী উপাদান বেতন, পদমর্যাদা, কার্য পরিবেশ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।