ব্যবসা সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ২৬-৩০ : ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রশ্নঃ ২৬ জনাব রানা মিতালি গার্মেন্টস এর ব্যবস্থাপক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সব ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের বিরপ ও অস্থাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে হয় এবং তাদের কোন প্রকার মতামত প্রদানের সুযোগ-সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভেতরে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভের অবস্থা বিরাজ করছে। [পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. প্রেষণা কী? ১
খ. “প্রেষণা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে” ব্যাখ্যা করো। ২
গ. জনাব রানা কোন প্রকার প্রেষণা পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কর্মীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনে জনাব রানার কোন ধরনের প্রেষণা পদ্ধতি প্রবর্তন করা সমীচীন হবে বলে তুমি মনে কর? উদ্দীপকের আলোকে আলোচনা করো। ৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কর্মরত কর্মীদের পর্ণ কার্যক্ষমতা ব্যবহারের লক্ষ্যে তাদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত ও উৎসাহী করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে।
খ উত্তরঃ কর্মরত কর্মীদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত বা উৎসাহী করার প্রক্রিয়াকে প্রেষণা বলে। আর উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ও উৎপন্ন দ্রব্যের অনুপাতকে উৎপাদনশীলতা বলে। উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত সব মানবীয় ও অমানবীয় (কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি) উপকরণের দক্ষ ব্যবহারের ওপর।
মানব সম্পদই অমানবীয় উপকরণগুলো ব্যবহার করে। এজন্য মানব সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রতিনিয়ত প্রেষণা প্রদানের প্রয়োজন হয়। কর্মীকে প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে যত বেশি অনুপ্রাণিত করা যাবে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতাও বাড়বে। তাই বলা যায়, প্রেষণা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
গ উত্তরঃ জনাব রানা আর্থিক প্রেষণা পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অর্থ বা অর্থসংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কর্মীকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াই হলো আর্থিক প্রেষণা। ন্যায্য বেতন, বোনাস, পদোন্নতি, যাতায়াত ভাতা ইত্যাদি এ প্রেষণার অন্তর্ভুক্ত।
উদ্দীপকে মি. রানা মিতালি গার্মেন্টস এর ব্যবস্থাপক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধার ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি চান তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা আর্থিকভাবে প্রণোদিত হয়ে কাজ করুক। প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিবেশ বিরপ ও অস্বাস্থ্যকর হলেও তিনি সেদিকে নজর দেন না। তিনি ভাবেন, কর্মীরা আর্থিকভাবে সন্তুষ্ট থাকলেই কাজ আদায় করা যাবে। তাই বলা যায়, জনাব রানা শুধু আর্থিক প্রেষণার ওপরই গুরুত্বারোপ করছেন।
ঘ উত্তরঃ কর্মীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনে আর্থিক প্রেষণার পাশাপাশি জনাব রানার অনার্থিক প্রেষণা পদ্ধতিও প্রবর্তন করা উচিত বলে আমি মনে করি।সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ না পেলে কর্মীরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে পারে না।
এজন্য তাদের আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি অনার্থিক, নিরিবিলি ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রভৃতি সুবিধা প্রদান করতে হয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের কাজের গতি বাড়ে।
উদ্দীপকে জনাব রানা তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সব ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের বিরপ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে হয়। এমনকি তাদের কোনো প্রকার মতামত প্রকাশের সুযোগ দেয়া হয় না। ফলে প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের ভেতর অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে অনার্থিক প্রেষণা প্রদান করতে হবে। কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে কর্মীরা নির্বিঘেœ ও স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারবে। কর্মীদের মতামত নেওয়া হলে তারা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের গুরুত্বপর্ণ মনে করবে।
এতে কাজের প্রতি তাদের আন্তরিকতা ও আগ্রহ বেড়ে যাবে। এভাবে উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি অনার্থিক প্রেষণার ওপর গুরুত্ব দিলে কর্মীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসন করতে পারবে।
প্রশ্নঃ ২৭ মি. আজিজ ‘ঢণ’ নাক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের উপমহাব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তিনি হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে কর্তৃপক্ষ তাকে প্রাতিষ্ঠানিক খরচে ব্যাংকক থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনেন। ‘ঢণ’ কোম্পানির এমন ব্যবস্থা কর্মীদের মাঝে প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু ‘ঢণ’ কোম্পানির কারখানায় স্বল্প আলোতে শ্রমিকদের কাজ করতে হয়। বৈদ্যুতিক পাখার অভাবে পর্যাপ্ত বাতাস পাচ্ছেনা। এ নিয়ে ¤্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে। [দিনাজপুর সরকারি কলেজ]
ক. বোনাস কাকে বলে? ১
খ. পুরস্কার কী প্রণোদনা? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. হার্জবার্গের চাহিদা তত্ত মতে ‘ঢণ’ নাক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের প্রণোদনা উপাদান বিদ্যমান? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উদ্দীপকে শ্রমিক অসন্তোষের জন্য আর্থিক প্রেষণার অভাবই দায়ী” তুমি কী একমত? যুক্তিসহ উত্তর দাও। ৪
২৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ বেতন-ভাতার অতিরিক্ত যে অর্থ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মীকে প্রদান করা হয় তাকে বোনাস বলে। যেমন : ঈদ বোনাস, বৈশাখী বোনাস।
খ উত্তরঃ পুরস্কার প্রদান একটি প্রণোদনামলক কাজ। দক্ষ ও কর্মঠ কর্মীদের জন্য তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরপ পুরস্কার দেওয়া হয়। এতে কর্মীদের কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও উৎসাহ বাড়ে। পুরস্কার প্রাপ্তদের অনুসরণ করে অন্যরাও কাজে অনুপ্রাণিত হয়। এভাবে পুরস্কার দিয়ে কর্মীদের উৎসাহিত, উদ্দীপ্ত ও উজ্জীবিত করা যায়। তাই পুরস্কার প্রণোদনামলক কাজের অন্তর্ভুক্ত।
গ উত্তরঃ হার্জবার্গের চাহিদা তত্ত মতে ‘ঢণ’ নাক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে প্রেষণামলক উপদান বিদ্যমান। প্রেষণামলক উপাদান বলতে ঐ সব উপাদানকে বুঝায় যেগুলো কর্মীদের প্রণোদিত করে তোলে। এরপ উপাদানের অনুপস্থিতিতে কর্মীরা কাজে প্রেষিত হয় না ফলে তারা গতানুগতিক নিয়মে কাজ করে। কিন্তু এরপ উপাদানের উপস্থিতি কর্মীদের কাজের মনোযোগ বাড়িয়ে দেয়।
উদ্দীপকে মি. আজিজ ‘ঢণ’ নাক একটি প্রতিষ্ঠানের উপ মহাব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবেদিত প্রাণ। হঠাৎ করে তিনি হার্ট অ্যাটাক করলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে তাকে ব্যাংকক থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনেন। এ সহায়তাটি তার প্রাপ্য নয় তারপরও প্রতিষ্ঠান তাকে এই সহায়তাটি প্রদান করেছে। এতে তিনি প্রেষিত হয়।
প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার মানসিকতা ইতিবাচক হয়। যা হার্জবার্গের (ঐবৎুনবৎম) প্রেষণামলক উপাদান। তাই বলা যায়, হার্জবার্গের চাহিদা তত্ত মতে ‘ঢণ’ নাক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে প্রেষণামলক উপাদান বিদ্যমান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ফ্রেডারিক আরডিং হার্জবার্গ (ঋৎবফবৎরপশ ওৎারহম ঐবৎুনবৎম) মানুষের চাহিদাকে দু’ধরনের উপাদানে বিভক্ত করেছেন। যা নিæে দেওয়া হলো
১. প্রেষণাদানকারী উপাদান (গড়ঃরাধঃরড়হধষ ঋধপঃড়ং) : সাফল্য, স্বীকৃতি, দায়িত্ব, প্রণোদনা।
২. রক্ষণাবেক্ষণকারী উপাদান (ঐুমরবহপব ভধপঃড়ৎং) : বেতন, পদমর্যাদা, কার্য পরিবেশ।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে শ্রমিক অসন্তোষের জন্য অনার্থিক প্রেষণা দায়ী, আর্থিক প্রেষণা নয়। আর্থিক প্রেষণা হলো অর্থ ও আর্থিক সুবিধার সাথে সম্পৃক্ত। বেতন, বোনাস, পদোন্নতি প্রদান প্রভৃতি আর্থিক প্রেষণার সাথে জড়িত। অন্যদিকে অর্থ ব্যতীত যাবতীয় প্রেষণা অনার্থিক প্রেষণা। কর্ম পরিবেশ, ভালো কাজের প্রশংসা, উত্তম ব্যবহার ইত্যাদি অনার্থিক প্রেষণার সাথে জড়িত।
উদ্দীপকে নাক কোম্পানির কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের স্বল্প আলোতে কাজ করতে হচ্ছে। কর্মীরা সেখানে বৈদ্যুতিক পাখার অভাবে বাতাস পাচ্ছে না। অর্থাৎ তার পরিবেশগত সমস্যায় ভুগছে। যার ফলে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে অনার্থিক প্রেষণার অভাবে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। কারণ সেখানে কাজ করার মতো কোনো ভালো পরিবেশ নেই। এতে কর্মীদের কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। অন্যদিকে আর্থিক প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীর অর্থ ও অর্থসংক্রান্ত বিষয়ের সমস্যার সমাধান করা হয়।
উ দ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক প্রেষণাদান পদ্ধতি বিদ্যমান রয়েছে। তাই বলা যায়, আর্থিক প্রেষণা নয় বরং অনার্থিক প্রেষণার কারণেই প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্নঃ ২৮ আমিন ফ্যাশন হাউজ কর্মীদের প্রেষণাদানের ক্ষেত্রে নিæে উলেখ চাহিদার স্তরগুলো বিবেচনা করেন।
[চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. আর্থিক প্রেষণা কী? ১
খ. প্রেষণা চক্র বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে ২ নম্বরের চাহিদা কোনটি হবে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. আমাদের মতো দেশে চিত্রে উলেখ ৪ নম্বরের প্রযোজ্য চাহিদা সাধারণ কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য নয়- যুক্তি দাও। ৪
২৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অর্থ ও আর্থিক সুযোগসুবিধার সাথে সম্পৃক্ত প্রণোদনামলক ব্যবস্থাকে আর্থিক প্রেষণা বলে। যেমন: বেতন, বোনাস প্রভৃতি।
খ উত্তরঃ প্রেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো (অভাব, তাড়না, অভাববোধ ও সন্তুষ্টি অর্জন) পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হওয়াকে প্রেষণা চক্র বলে। কর্মীর মধ্যে কোনো কিছুর অভাব জাগ্রত হলে তা পরণের জন্য সে অস্থির হয়ে ওঠে। প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীর এ অভাব পরণ হয়। যার ফলে কর্মীর সন্তুষ্টি অর্জন হয়।
কর্মীর একটি অভাব পরণ হলে নতুন আরেকটি অভাব সৃষ্টি হয়। এ নতুন অভাব পরণের জন্য আবার প্রেষণার ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পাদন হয়। এরপ অভাববোধ এবং তা পরণের প্রক্রিয়াটি অবিরামভাবে চলতে থাকে। এটিই হলো প্রেষণা চক্র।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ২নং চিত্রে আব্রাহাম মাসলোর চাহিদা সোপান তত্তের ‘নিরাপত্তার চাহিদা’ বসবে। সব বিপদআপদ ও অনিশ্চয়তা থেকে চাকরির স্থায়িত্ব বিধান হলো নিরাপত্তার চাহিদা। কর্মীর চাকরির নিরাপত্তা না থাকলে সর্বদা তিনি চাকরি হারানোর ভয়ে থাকেন।
এমতাবস্থায় কর্মী মানসিকভাবে কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। উদ্দীপকে আমিন ফ্যাশন হাউজে কর্মীদের প্রেষণাদানের ক্ষেত্রে মাসলোর চাহিদা সোপান তত্তের স্তরটি বিবেচনা করেন। আব্রাহাম মাসলো মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করেছেন।
তিনি মনে করেন মানুষের একটি অভাব পরণ হওয়ার পর তার মধ্যে আরেকটি অভাবের সৃষ্টি হয়। তার দেওয়া চাহিদা সোপান তত্তের স্তরটি হলো যথাক্রমে: জৈবিক চাহিদা, নিরাপত্তার চাহিদা, সামাজিক চাহিদা, আতৃপ্তির চাহিদা, আপ্রতিষ্ঠার চাহিদা।
এক্ষেত্রে ২য় স্তরের চাহিদাটি হলো নিরাপত্তার চাহিদা। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ২নং চিত্রে প্রদর্শিত মাসলোর চাহিদার সোপান তত্তটি হলো নিরাপত্তার চাহিদা।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে ৪নং চিত্রে প্রদর্শিত চাহিদাটি হলো আতৃপ্তির চাহিদা, যা আমাদের মতো দেশের সাধারণ কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য নয়-উক্তিটি সম্পর্ণ যৌক্তিক। আতৃপ্তির চাহিদা বলতে সমাজের অন্যদের থেকে বা বন্ধুবান্ধব, আীয়স্বজন ও সহকর্মীদের থেকে নিজেকে একটু উচ্চতায় ওঠার আগ্রহকে বুঝায়। এরপ চাহিদা একজন ব্যক্তির সুখ্যাতি, যশ, অহংকারবোধ ইত্যাদির সাথে সংশ্লিষ্ট।
উদ্দীপকে আমিন ফ্যাশন হাউজ কর্মীদের প্রেষণাদানের ক্ষেত্রে আব্রাহাম মাসলোর চাহিদা সোপান তত্তের স্তরটি বিবেচনা করেন। আব্রাহাম মাসলো (অনৎধযধস গধংষড়)ি প্রেষণার চাহিদা সোপান তত্তে মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করেছেন। চাহিদাগুলো হলো যথাক্রমে: জৈবিক, নিরাপত্তা, সামাজিক, আতৃপ্তির ও আপর্ণতার চাহিদা।
জৈবিক চাহিদা, নিরাপত্তার চাহিদা ও সামাজিক চাহিদা পরণ হওয়ার পর মানুষের মধ্যে আতৃপ্তির চাহিদা জাগ্রত হয়। এ পর্যায়ে মানুষ বড় বাড়ি, দামি গাড়ি, ভালো বেতনের চাকরি ইত্যাদি অভাববোধ করে। কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই জৈবিক চাহিদা (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, ইত্যাদি) পরণ করতেই হিমসিম খেতে হয়।
তাছাড়া এ দেশের মানুষ পারিবারিক ও সামাজিকভাবেও নিরাপত্তার অভাববোধ করে। যেখানে আতৃপ্তির চাহিদা পরণ করা অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই বলা যায়, আমাদের মতো দেশের সাধারণ মানুষের জন্য আতৃপ্তির চাহিদা স্তরটি প্রযোজ্য নয়।
প্রশ্নঃ ২৯ মি. শিবলু বিএস গ্রুপের উৎপাদন ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভাল বেতন, চাকরি নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু কার্য পরিবেশ নিশ্চিত করা সত্তেও তার মনে হয় কর্মীরা সন্তুষ্ট নন। তিনি কর্মীদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারলেন যে, প্রতিষ্ঠানে সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা হয় না, সফলতার স্বীকৃতি এবং ব্যক্তিক উন্নয়নের বিশেষ সুযোগ নেই। তিনি বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন। [চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
ক. চাহিদা সোপান তত্তের প্রবর্তক কে? ১
খ. প্রেষণা চক্র বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে প্রেষণার কোন তত্তের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে কর্মীদের প্রেষিত না হওয়ার কারণটি মি. শিবলুর গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
২৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ চাহিদা সোপান তত্তের প্রবর্তক হলেন আব্রাহাম হ্যারল্ড মাসলো।
খ উত্তরঃ প্রেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো (অভাব, তাড়না, অভাবপরণ ও সন্তুষ্টি অর্জন) পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হওয়াকে প্রেষণা চক্র বলে।কর্মীর মধ্যে কোনো কিছুর অভাব জাগ্রত হলে তা পরণের জন্য সে অস্থির হয়ে ওঠে। কর্মীর একটি অভাব পরণ হলে তার মধ্যে নতুন আরেকটি অভাবের সৃষ্টি হয়।
ঐ নতুন অভাব পরণের জন্য আবার প্রেষণার ধাপগুলো পর্যাক্রমে সম্পাদন হয়। এরুপ অভাববোধ এবং তা পরণের প্রক্রিয়াটি অবিরামভাবে চলতে থাকে বলে প্রেষণাকে একটি চক্র বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে প্রেষণার দ্বি-উপাদান তত্তের কথা বলা হয়েছে।প্রেষণার দ্বি-উপাদান তত্তে কর্মীদের সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির সাথে জড়িত উপাদানগুলো চিহ্নিত করে প্রেষণা প্রদানের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এ তত্তে দু ধরনের উপাদানের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো: রক্ষণাবেক্ষণকারী (ঐুমরবহব) উপাদান এবং প্রেষণামলক (গড়ঃরাধঃরড়হধষ) উপাদান।
উদ্দীপকে মি. শিবলু বিএম গ্রুপের উৎপাদন ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভালো বেতন, চাকরির নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু কার্য পরিবেশ নিশ্চিত করেন। এসব উপাদান রক্ষণা-বেক্ষণকারী উপাদানের অন্তর্ভুক্ত। এই উপাদানসমহ প্রদান করা সত্তেও কর্মীদের অনুপ্রাণিত মনে হচ্ছে না।
কারণ কর্মীরা নিজেদের সৃজনশীলতা প্রকাশ, স্বীকৃতি ও ব্যক্তিক উন্নয়নের সুযোগ চায়। এই উপাদানগুলো প্রেষণামলক উপাদানের অন্তর্গত। এ দু’টি উপাদানই হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান তত্তের অন্তর্গত। তাই উদ্দীপকে প্রেষণার দ্বি-উপাদান তত্তের বলা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তারাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ফ্র্যাডারিক হার্জবার্গ (ঋৎবফবৎরপশ ঐবৎুনবৎম) প্রেষণা দ্বি-উপাদান তত্তের (ঐবৎুনবৎম’ং ঞড়ি ঋধপঃড়ৎং ঞযবড়ৎু) প্রণেতা। তিনি তার এই তত্তে মানুষের চাহিদাকে দু ধরনের উপাদানে বিভক্ত করেছেন। যথা
১. প্রেষণা দানকারী উপাদান সাফল্য অর্জন, স্বীকৃতি।
২. রক্ষণাবেক্ষণকারী উপাদান বেতন, পদমর্যাদা।
ঘ উত্তরঃ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মি. শিলু কর্মীদের প্রেষিত না থাকার কারণকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।প্রত্যেক ব্যক্তির চাহিদা, অভাব ও প্রয়োজনের ভিন্নতা রয়েছে। এজন্য কর্মীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রেষণা প্রদানের প্রয়োজন হয়। কর্মীবাহিনীকে সঠিকভাবে প্রেষিত বা অনুপ্রাণিত করে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
উদ্দীপকে মি. শিবলু বিএস গ্রুপের উৎপাদক ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ পান। প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের ভালো বেতন, চাকরির, নিরাপত্তা, সুষ্ঠু কার্য পরিবেশ ইত্যাদি নিশ্চিত করছেন। কিন্তু তারপরও কর্মীরা অনুপ্রাণিত হচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে কর্মীরা তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ, ভালো কাজের স্বীকৃতি ও ব্যক্তিক উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছে না।
উক্ত উপাদানসমহ মি. শিবলু গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন। কারণ কর্মীদের সৃজনশীলতা প্রকাশ ও ব্যক্তিক উন্নয়নের সুযোগ দিলে তারা নতুন ধারণার উদ্ভব ঘটাতে পারবেন। এছাড়াও কর্মীদের কাজের স্বীকৃতি দিলে তারা কাজের প্রতি আরও বেশি উৎসাহী হবেন।
ফলে প্রতিষ্ঠানের কাজের গতিশীলতা বাড়বে। এতে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদান ক্ষমতাও বাড়বে। তাই উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই কর্মীদের প্রেষিত করা প্রয়োজন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ৩০ বেগম হোসনে আরা একজন বড় শিল্পপতি। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর বেশ কয়েকটি শিল্পকারখানা রয়েছে। তিনি অত্যন্ত উন্নত মানসম্পন্ন জীবন যাপনে অভ্যস্ত। ইদানীং তিনি বিভিন্ন সমাজ সেবামলক কর্ক উত্তরঃ ান্ডে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ এ অংশ গ্রহণ করেন। নিজ এলাকায় কিছু জনকল্যাণমলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে চান। [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক. আর্থিক প্রেষণা কী? ১
খ. প্রেষণা কীভাবে শ্রম-ঘর্ণায়মানতা হ্রাস করে? ২
গ. বেগম হোসনে আরা মাসলোর চাহিদা সোপান তত্তের কোন স্থরে অবস্থান করছেন/ ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বেগম হোসনে আরা জনকল্যাণমলক প্রতিষ্ঠান স্থাপনে কি ধরনের ক্ষেত্র সুপারিশ করবে? ৪
৩০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অর্থ ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধার সাথে সম্পৃক্ত প্রণোদনামলক ব্যবস্থাকে আর্থিক প্রেষণা বলেন। যেমন বেতন, বোনাস, পদোন্নতি, বিমা।
খ উত্তরঃ কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে প্রেষণা শ্রম-ঘর্ণায়মানতা হ্রাস করে। সকল শ্রমিকই শ্রমের বিনিময়ে উপযুক্ত ও ন্যায্য মজুরি প্রত্যাশা করে। এরপ ন্যায্য মজুরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রেষণা ভ‚মিকা রাখে। কেননা প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীদের আর্থিক ও অনার্থিক সুবিধা দেওয়া হয়।
এতে কর্মীরা কাজের প্রতি অধিক মনোযোগী হয়ে ওঠে। এর ফলে বর্তমান প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাদের কাজের আগ্রহ বাড়ায় অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতি ঝোঁক কমে যায়। অর্থাৎ শ্রম-ঘর্ণায়মানতা হ্রাস পায়।
গ উত্তরঃ বেগম হোসনে আরা ম্যাসলোর চাহিদা সোপান তত্তের আপ্রতিষ্ঠার চাহিদা স্তরে অবস্থান করেছেন। এ পর্যায়ে ব্যক্তি নিজেকে প্রতিষ্ঠার জন্য তার সুপ্ত প্রতিভাবে বিকাশ করতে চায়। রাজনীতি, সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ইত্যাদি কাজ করে নিজের সৃজনশীলতা ও বিশেষ উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে মানুষ এ ধরনের চাহিদা পরণ করতে সচেষ্ট হয়। এ পর্যায়ের পর মানুষের আর কোনো চাহিদা থাকতে পারে না।
উদ্দীপকে বেগম হোসনে আরা একজন বড় শিল্পপতি। তিনি অত্যন্ত উন্নত মানসম্পন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত। ইদানিং তিনি বিভিন্ন সমাজ সেবামলক কর্ক উত্তরঃ ান্ডে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
তিনি তার নিজ এলাকায় কিছু জনকল্যাণমলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে চান। এসব কর্ক উত্তরঃ ান্ডের মাধ্যমে তিনি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চান। তাই প্রতীয়মান হয় যে, বেগম হোসনে আরা মাসলোর চাহিদা সোপান তত্তের আপ্রতিষ্ঠার চাহিদা স্তরে রয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক আব্রাহাম হ্যারাল্ড মাসলো (অনৎধযধস ঐধৎড়ষফ গধংষড়)ি প্রেষণার চাহিদা সোপান তত্তে (ঘববফ ঐরবৎধৎপযু ঞযবড়ৎু) মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করেছেন। যা নিæে দেয়া হলো :
১। জৈবিক চাহিদা : খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান।
২। নিরাপত্তার চাহিদা : চাকরির স্থায়িত্ব, বিমা সুবিধা।
৩। সামাজিক চাহিদা : বন্ধুত্ব, -মমতা, সহানুভ‚তি।
৪। আতৃপ্তির চাহিদা : আমর্যাদা, সম্মান, স্বীকৃতি।
৫। আপর্ণতার চাহিদা : পর্ণ দক্ষতার প্রকাশ, জটিল ও গুরুত্বপর্ণ কাজে সিদ্ধান্ত প্রদান।
ঘ উত্তরঃ বেগম হোসনে আরা জনকল্যাণমলক প্রতিষ্ঠান স্থাপনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে উপযোগী হবে। মানুষের একটি চাহিদা পরণের পর নতুন চাহিদা সৃষ্টি হয়। এভাবে চাহিদা একস্তর থেকে আরেক স্তরে প্রবাহিত হয়। মানুষের সর্বশেষ স্তরের চাহিদা হচ্ছে আপ্রতিষ্ঠার চাহিদা। এ স্তরে মানুষ নিজের খ্যাতি ছড়ানোর জন্য স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ ইত্যাদি স্থাপন করে।
উদ্দীপকের বেগম হোসনে আরা মাসলোর চাহিদা সোপান তত্তের সর্বশেষ ধাপে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ধর্মীয় বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে। এজন্য তিনি বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তির সাথে আলাপ-আলোচনা করেন। যাতে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারেন।
উদ্দীপকের বেগম হোসনে আরার মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ধর্মীয় বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে। তাই তিনি এসব ক্ষেত্রে জনসেবামলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারেন। এ ধরনের জনকল্যামলক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে তিনি নিজের নাম ছড়াতে চান। যাতে মৃত্যুর পরও মানুষ তাকে স্মরণ রাখে। ফলে তার আপ্রতিষ্ঠার চাহিদা পর্ণ হবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।