ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৬ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৪৬-৫০ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ৪৬ মি. কামাল ঢাকার একটি ফ্যাশন হাউজের প্রধান নির্বাহী। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের পণ্যের চাহিদা কীভাবে বাড়ানো যায় এজন্য তার অধস্তনদের সাথে মিটিং করেন। মিটিং-এ ক্রেতাদের রুচি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেল। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ডিজাইনারদের পোশাক তৈরি এবং অন্যান্য জিনিসের মান উন্নয়নের নির্দেশ দেন। [রংপুর সরকারি কলেজ]
ক. নেতৃত্ব কী? ১
খ. লাগামহীন নেতৃত্বের অসুবিধাগুলো লিখো। ২
গ. জনাব কামাল প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় কোন ধরনের নেতৃত্ব অনুসরণ করেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত নেতৃত্ব পদ্ধতিটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কেমন ভ‚মিকা পালন করে? আলোচনা করো। ৪
৪৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ যে নেতৃত্বে নেতা কর্মীদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে নিজে কর্মবিমুখ থাকেন এবং কর্মীদের ইচ্ছামতো কাজ করার সুযোগ দেন, তাকে লাগামহীন নেতৃত্ব বলে।
এ নেতৃত্বের প্রধান অসুবিধা হলো কর্মীদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া।
এর ফলে কর্মীরা স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে কাজে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এছাড়া কর্মীরা অদক্ষ হলে এ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠানে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করতে পারে না।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব কামাল তার প্রতিষ্ঠান পরিচালনার গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করেন।
এ নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের সাথে আলাপ আলোচনা ও পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেন ও কাজ পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে নেতা সব ক্ষমতা নিজের হাতে না রেখে কর্মীদেরকেও কিছু ক্ষমতা প্রদান করেন। এতে কর্মীর মনোবল ও কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।
উদ্দীপকের জনাব কামাল ঢাকার একটি ফ্যাশন হাউজের প্রধান নির্বাহী। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের পণ্যের চাহিদা কীভাবে বাড়ানো যায় সেজন্য অধস্তনদের সাথে মিটিং করেন। ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করে ক্রেতাদের রুচি সম্পর্কে ধারণা পান।
পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ডিজাইনারদের পোশাক তৈরি এবং অন্যান্য জিনিসের মান উন্নয়নের নির্দেশ দেন। কর্মীদের সাথে পরামর্শ করেই তিনি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ বৈশিষ্ট্যগুলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তাই বলা যায়, জনাব কামাল তার প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করেছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব কামালের গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব তার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
এ নেতৃত্ব ব্যবস্থায় নেতা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ে তার অধস্তনদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেন। এ সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করেই প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিচালনা করা হয়। ফলে নেতার প্রতি কর্মীদের ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকের জনাব কামাল তার প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী। তিনি পুরো সিদ্ধান্ত একা না নিয়ে অধস্তনদের সাথে বিষয়টি নিয়ে মিটিংয়ে বসেন। এতে করে ক্রেতারা কী পছন্দ করেন, তাদের চাহিদা কী, এগুলো সম্পর্কে ধারণা পান।
জনাব কামাল নিজে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে কর্মীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। কর্মীরা ক্রেতাদের রুচি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে। জনাব কামাল প্রতিষ্ঠানের পণ্যের চাহিদা বাড়ানোর জন্য তাদের এ ধারণার ওপর ভিত্তি করে ডিজাইনারদের পোশাক তৈরি এবং মান উন্নয়নের নির্দেশ দেন।
এতে করে তিনি ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও সুনাম আসবে। তাই গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব এক্ষেত্রে ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।
প্রশ্নঃ ৪৭ বিক্রয় ব্যবস্থাপক মি. মোহন রাতদিন নিজেও খাটেন এবং বিক্রয় বাড়ানোর জন্য অধস্তনদের খাটান। কিন্তু আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না। তার বন্ধু জনাব নাজিম বললেন, ‘তুমি বিক্রয় সুপারভাইজারদের নিয়ে মাস শেষে সভা করে প্রত্যেকের এলাকার কাজ পর্যালোচনা এবং পরবর্তী মাসের বিক্রয় টার্গেট নির্ধারণ করে দাও’। সুপারভাইজাররাও যেন অধস্তনদের নিয়ে এ কাজটি করে তা নিশ্চিত করো। দেখবে সভাগুলোই সফলতা বয়ে আনবে। [ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ]
ক. লাগামহীন নেতৃত্ব কী? ১
খ. আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলতে কী বুঝায়? ২
গ. দৃষ্টিভঙ্গির বিচারে মি. মোহনের নেতৃত্বের ধরন ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব নাজিমের বক্তব্য থেকে যে ধরনের নির্দেশনা কথা বলা হয়েছে তার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
৪৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে নেতৃত্বে নেতা নিজেই কর্মবিমুখ থাকেন এবং কর্মীগণ নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করেন তাকে লাগামহীন নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী যে নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় তাকে আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলে।
এ ধরনের নেতৃত্বে পদমর্যাদা হতে সৃষ্টি হয়। সাংগঠনিক নিয়মে নেতা ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে তিনি তার অধস্তনদের পরিচালনা করেন। ফলে অধস্তনরাও তাকে নেতা হিসেবে গণ্য করেন।
গ উত্তরঃ দৃষ্টিভঙ্গি বিচারে মি. মোহনের নেতৃত্বের ধরন কর্মকেন্দ্রিক নেতৃত্ব।
কর্মকেন্দ্রিক নেতৃত্বে নেতা কর্মীর ভালো-মন্দ বিবেচনা করেন না। তিনি শুধু কাজ আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেন। এ ধরনের নেতৃত্বে নেতা ভয়-ভীতি দেখিয়েও কাজ আদায় করেন।
উদ্দীপকে বিক্রয় ব্যবস্থাপক মি. মোহন রাতদিন নিজেও খাটেন এবং অধস্তনদেরও খাটান। এ ধরনের নেতা কর্মীর সুখ-দুঃখ বিবেচনা করেন না। কর্মীদের কাজকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এরূপ নেতা কাজ আদায়ের বিষয়ে অধিক কর্তৃত্ব প্রয়োগ করেন।
যার ফলে কর্মীদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা দেখা দেয়। উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো কর্মকেন্দ্রিক নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের নেতৃত্বটি দৃষ্টিভঙ্গির বিচারে কর্মকেন্দ্রিক নেতৃত্ব।
ঘ উত্তরঃ উদ্দপকের জনাব নাজিম পরামর্শমূলক নির্দেশনার কথা বলেছেন, যা যৌক্তিক বলে আমি মনে করি।
পরামর্শমূলক নির্দেশনা হলো নির্দেশ দেওয়ার আগে কাজ বাস্তবায়নকারীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এক্ষেত্রে অধস্তন কর্মীদের কার্য সম্পাদন করতে সমস্যা তুলনামূলক কম হয়। এ ধরনের নির্দেশনা সবার নিকট গ্রহণযোগ্য।
উদ্দীপকে জনাব নাজিম বিক্রয় সুপারভাইজারদের নিয়ে প্রতি মাসে মি. মোহনকে সভা করার পরামর্শ দেন। এরপর প্রত্যেক এলাকার কাজ পর্যালোচনা করে পরবর্তী মাসের বিক্রয় টার্গেট নির্ধারণ করে দিতে বলেন। সুতরাং এটি পরামর্শমূলক নিদের্শনার স্বরূপ।
এ ধরনের নির্দেশনার ক্ষেত্রে সুপারভাইজার ও অধস্তনদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। ফলে কর্মীদের কাজের প্রতি উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হবে।
এক্ষেত্রে অধস্তনরা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে পারবে। এতে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করবে। ফলে প্রতিষ্ঠানেরও লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। সুতরাং বলা যায়, জনাব নাজিম যে পরামর্শ দিয়েছেন তা যৌক্তিক।
প্রশ্নঃ ৪৮ একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব নুজহাত আতিয়া। তার প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক জনাব রেহানা ও তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। দেখা যায় প্রতিষ্ঠানের বাইরেও তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য বিদ্যমান। বিকালে অফিস শেষে তাদের প্রায়ই চা খেতে বা শপিং এ যেতে দেখা যায়। ঘুরে বেড়ানোর সময়ও জনাব নুজহাত আতিয়া মাঝে মাঝে জনাব রেহানার সাথে বিপণন সংক্রান্ত আলাপ আলোচনা চালিয়ে যান। এতে বিপণন সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যায়। জনাব নুজহাত জানেন প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কীভাবে রক্ষা করতে হয়। তাই তিনি প্রতিষ্ঠানের জন্য সবার সাথে আলোচনা করে বিক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন।
[স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক. নির্দেশনা কী? ১
খ. পরামর্শমূলক নির্দেশনার সুবিধা লিখো। ২
গ. আনুষ্ঠানিকতা বিচারে জনাব রেহানার সাথে জনাব নুজহাত আতিয়ার নেতৃত্বের ধরন ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষায় জনাব নুজহাত আতিয়ার নেতৃত্বের ধরনের কার্যকারিতা আছে কি? ব্যাখ্যা করো। ৪
৪৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া এবং তত্তাবধান কাজকে নির্দেশনা বলে।
খ উত্তরঃ যারা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে তাদের সাথে মতবিনিময় বা পরামর্শ করে নির্দেশনার বিষয়বস্তু ঠিক করার প্রক্রিয়াকে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলে।
এ ধরনের নির্দেশনা কর্মীরা আনন্দের সাথে গ্রহণ করেন।
ফলে তাদের কাজে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়ে যায়। তাছাড়া এ নির্দেশনা কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে দেয়া হয় বলে তা অধিক কার্যকর ও বাস্তবসম্মত হয়। তাই প্রতিষ্ঠানের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরামর্শমূলক নির্দেশনা প্রয়োজন।
গ উত্তরঃ আনুষ্ঠানিকতা বিচারে জনাব রেহানার সাথে জনাব নুজহাত আতিয়ার নেতৃত্বের ধরনটি হলো অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব।
প্রতিষ্ঠানিক নিয়ম নীতির ওপর ভিত্তি না করে একসাথে কাজ করতে গিয়ে যে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা থেকে এরূপ নেতৃত্বের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে নেতার কোনো বিধিবদ্ধ কর্তৃত্ব না থাকলেও সংশ্লিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর ওপর তার যথেষ্ট প্রভাব থাকে। আর এ প্রভাব নেতার মতাদর্শ বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।
উদ্দীপকে জনাব নুজহাত আতিয়া একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিপণন ব্যবস্থাপক হলেন জনাব রেহানা। প্রতিষ্ঠানের বাইরেও তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য বিদ্যমান। বিকেলে অফিস শেষে তারা প্রায়ই চা খেতে বা শপিং করতে যান।
ঘুরে বেড়ানোর সময় ও তারা বিপণন সম্পর্কিত আলাপ আলোচনা করেন। এসময় জনাব নুজহাত আতিয়া রেহানাকে বিভিন্ন সমস্যার সামধান সম্পর্কে ও অবহিত করেন। এখানে তাদের দুইজনের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠানিক নিয়ম-নীতির বাইরে।
তাই, জনাব রেহানার সাথে জনাব নুজহাত আতিয়ার মধ্যে অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে।
ঘ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষায় জনাব নুজহাত আতিয়া গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করেন; যা অত্যন্ত কার্যকর।
এ নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের সাথে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেন ও কাজ পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে নেতা সব ক্ষমতা নিজের হাতে না রেখে প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধস্তনদের অর্পণ করেন। এতে নেতার প্রতি কর্মীদের ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকে জনাব নুজহাত আতিয়া একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তিনি প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে চান। তাই অন্য সবার সাথে আলোচনা করে বিক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
জনাব নুজহাত আতিয়া গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মীদের সাথে সপরামর্শ করেন। এতে কর্মীরা সন্তুষ্ট হয়। তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের অংশ মনে করেন। তাদের মানসিকতা বেড়ে যায়।
পরামর্শ করার ফলে তারা তাদের কাজের সুস্পষ্ট ধারণা পান। এতে লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারা যথাযথভাবে কাজ করতে পারেন। ফলে তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় থাকে। তাই বলা যায়, প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষায় জনাব নুজহাত আতিয়ার গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অত্যন্ত কার্যকর।
প্রশ্নঃ ৪৯ ড. ইউনূস চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বল্প পরিমাণ ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে শুরু করেন গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম। প্রথম দিকে তিনি কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। কিন্তু এতে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ভালো থাকলেও উন্নতিতে ধীরগতি বিরাজ করায় দ্রুত সাফল্য পেতে নেতৃত্বে কঠোরতা অবলম্বন করবেন কিনা চিন্তাভাবনা করেন। [সিলেট কমার্স কলেজ]
ক. পিতৃসুলভ নেতৃত্ব কী? ১
খ. কর্মীকেন্দ্রিক নেতৃত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে লিখ। ২
গ. প্রাথমিক পর্যায়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্ব কিরূপ ছিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. পরবর্তী পর্যায়ে ড. ইউনূস কী ধরনের নেতৃত্বের কথা চিন্তাভাবনা করছেন? এটা কি যুক্তিযুক্ত? ৪
৪৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে নেতৃত্বে নেতা পিতার ন্যায় সদয় ব্যবহার ও শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করে অধস্তনদের কাছ থেকে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন, তাকে পিতৃসুলভ নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ যে নেতৃত্বে নেতা কাজের পাশাপাশি কর্মীদের মানসিক দিক বিবেচনা করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে কর্মীদের থেকে কাজ আদায় করেন তাকে কর্মীকেন্দ্রিক নেতৃত্ব বলে।
এ নেতৃত্বে কর্মীদের কাজের মানসিকতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। ফলে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজের তাগিদ দেয়া যায়। এতে কর্মীরা কাজের প্রতি আগ্রহী হয়। এরূপ নেতৃত্বে কর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে প্রাথমিক পর্যায়ে ড. ইউনূস গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করেছেন।
এ নেতৃত্ব ব্যবস্থায় নেতা অধস্তনদের সাথে আলোপ-আলেচনা ও পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেন। এসব ক্ষমতা নিজের হাতে না রেখে অধস্তনদের প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব দেন। ফলে কর্মীদের কাজের প্রতি মনোবল বৃদ্ধি পায়।
উদ্দীপকে ড. ইউনূস চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করেন। এই গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বল্প পরিমাণে ঋণ দেয়ার মাধ্যমে সাহায্য করতেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতেন।
তাদের মতামত ও অনুভ‚তি বিবেচনা করতেন। যার কারণে তার প্রতি কর্মীদের ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। ফলে তারা সন্তুষ্ট থাকেন। কাজের প্রতি তাদের মনোবল বৃদ্ধি পায়। কর্মীরা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করেন।
এ বৈশিষ্ট্যগুলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের ড. ইউনূস পরবর্তীতে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বের চিন্তাভাবনা করেছেন।
এ নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অধস্তনদের মতামতকে গ্রাহ্য না করে নেতা এককভাবে সিদ্ধান্ত নেন। নেতার কাছেই সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত থাকে। প্রতিষ্ঠানে কোনো কাজ দ্রুত করাার জন্য অথবা কর্মীরা স্বেচ্ছায় কাজ করতে না চাইলে এর মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া যায়।
উদ্দীপকে ড. ইউনূস চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি দরিদ্রতা হ্রাসের চেষ্টা করেন। এজন্য তাদেরকে স্বল্প পরিমাণে ঋণ দেন। তাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এতে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ভালো থাকলেও উন্নতিতে ধীরগতি বিরাজ করে। তাই তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন। প্রতিষ্ঠানের দ্রুত সফলতার জন্য কঠোর হয়ে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করতে চাচ্ছেন।
ড. ইউনূস স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করলে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে না। বেতন কমিয়ে দেয়া, চাকরি থেকে ছাঁটাই ইত্যাদির ভয়ে কাজ করবে। এতে প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বাড়বে। তার প্রতিষ্ঠানে দ্রুত সাফল্য আসবে।
তবে এই নেতৃত্ব দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই স্বল্প সময়ের জন্য দ্রুত সফল হতে ড. ইউনূসের স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করার চিন্তা যৌক্তিক বলে আমি মনে করি।
প্রশ্নঃ ৫০ মি. আলম ‘আলম কনস্ট্রাকশন’ এর স্বত্বাধিকারী। তার প্রতিষ্ঠানে ৩ জন ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত থাকলেও তিনিই প্রধান নির্বাহী। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও কর্মকর্তাদের প্রতি অত্যন্ত সদয়। তিনি তাদের অভাব অভিযো শোনেন ও তা পুরণে চেষ্টা করেন কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কাজের বিষয়ে কোনো পরামর্শ করতে ও শুনতে আগ্রহী নন। অসুস্থতার কারণে তিনি কাজ থেকে অবসর নেন এবং তার বড় ছেলে রতনের ওপর প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অর্পণ করেন। রতন ফার্মে যেতে চান না। কর্মীদের ওপর সব কাজ ছেড়ে দিয়ে ক্লাবে বন্ধু-বান্ধবের সাথে সময় কাটান। [সিলেট সরকারি কলেজ]
ক. আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব কী? ১
খ. মনোবল বৃদ্ধিতে নেতৃত্বের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মি. আলমের নেতৃত্বের ধরন ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় রতন যে ধরনের নেতৃত্ব দিচ্ছে তাতে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ অন্ধকার” তুমি কী এ বক্তব্যের সাথে একমত? যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও। ৪
৫০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামোর নিয়ম-নীতির ভিত্তিতে যে নেতৃত্ব দেওয়া হয় তাকে আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ একজন নেতার সফল নেতৃত্বের কারণে কর্মীদের মনোবল অনেক বৃদ্ধি পায়।
নেতৃত্বের ফলে কর্মীরা জোটবদ্ধ হয়ে লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হতে থাকে। আদর্শ নেতার নেতৃত্বের কারণে কর্মী বা অনুসারীরা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে লক্ষ্যার্জনে ধাবিত হতে থাকে। তারা তাদের সর্বাত্ক প্রচেষ্টা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করে। এভাবে কর্মীরা দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে অর্থাৎ দৃঢ় মনোবলের সাথে কাজ সম্পাদন বা প্রতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জনে লিপ্ত হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. আলম পিতৃসুলভ নেতৃত্ব প্রদান করতেন।
এ নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের ওপর অতিমাত্রায় কর্তৃত্বপরায়ণ হলেও পিতা-পুত্রের ন্যায় সদয় আচরণ করে তাদের মাধ্যমে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন। স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বের উন্নত ও ইতিবাচক রূপ হলো পিতৃসুলভ নেতৃত্ব। এরূপ নেতৃত্বে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা নেতার হাতেই কেন্দ্রীভ‚ত থাকে।
উদ্দীপকের আলম ‘আলম কনস্ট্রাকশন’ এর মালিক। তিনিই এর প্রধান নির্বাহী। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও কর্মকর্তাদের প্রতি অত্যন্ত সদয়। তিনি তাদের অভাব-অভিযোগ শোনেন ও তা পূরণের চেষ্টা করেন।
কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কাজের বিষয়ে কোনো কর্মীর সাথে কোনো পরামর্শ করতে ও শুনতে চান না। তাই দেখা যায়, তিনি তার অধীনস্থদের প্রতি সদয় ও হলেও কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা তিনি তার নিজের হাতেই রেখেছেন। এজন্য তার নেৃতৃত্বের ধরনকে পিতৃসুলভ নেতৃত্ব বলা যায়।
ঘ উত্তরঃ ‘প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় রতন মুক্ত বা লাগামহীন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলা যায়।
লাগামহীন নেতৃত্বে নেতা কর্মীদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে নিজে কর্মবিমুখ ও দূরে থাকেন। নেতা কর্মীদের প্রতি সুনির্দিষ্টভাবে আদেশ-নির্দেশ দেন না বা কাজে হস্তক্ষেপ করেন না। এক্ষেত্রে কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছামতো কাজকর্ম করেন। নেতা শুধু লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন এবং দায়িত্ব এড়িয়ে চলেন।
উদ্দীপকের মি. আলম তার প্রতিষ্ঠানে পিতৃসুলভ নেতৃত্ব প্রদান করতেন। তার অবসরের পর তার ছেলে রতন উক্ত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেন। তবে রতন ফার্মে যেতে চান না। কর্মীদের ওপর সব কাজ ছেড়ে দিয়ে নিজে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ক্লাবে সময় কাটান।
তার এরূপ নেতৃত্বের সাথে মুক্ত বা লাগামহীন নেতৃত্বের মিল রয়েছে।
এরূপ নেতত্বের ফলে উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। কর্মীরা তাদের ইচ্ছামতো কাজ করতে থাকলে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। অনেকেই তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করবে। যথাযথ নজরদারির অভাবে নির্বাহীরা স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠবে।
এভাবে প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দিকে ধাবিত হতে থাকবে। তাই বলা যায়, রতনের নেতৃত্বের ফলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
প্রশ্নঃ ৫১ মি. হাসান তার কারখানায় সিদ্ধান্ত নিতে সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পরামর্শ গ্রহণ করেন। এতে কর্মীদের মধ্যে প্রশাসনের প্রতি ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে মি. রাসেল তার কারখানার সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো কর্মীর পরামর্শ নেন না। তিনি একাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং তা বাস্তবায়নে সবাইকে বাধ্য করেন। এতে প্রশাসনের প্রতি কর্মীদের অসন্তোষ বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।
[ঝালকাঠি সরকারি কলেজ]
ক. নেতৃত্ব কী? ১
খ. পরামর্শমূলক নির্দেশনা অধিক কার্যকর কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মি. হাসানের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের নেতৃত্ব পরিলক্ষিত হয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মি. রাসেলের নেতৃত্বের ধরন দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেই উদ্দীপকের আলোকে বক্তব্যের যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
৫১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ যারা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে তাদের সাথে পরামর্শ করে নির্দেশনার বিষবয়স্তু ঠিক করার প্রক্রিয়াকে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলে।
এ ধরনের নির্দেশনা পদ্ধতিকে কর্মীরা আনন্দের সাথে গ্রহণ করেন। ফলে তাদের কাজে উৎসাহ উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া পরামর্শমূলক নির্দেশনা কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তৈরি করা হয় বলে তা অধিক কার্যকর ও বাস্তবসম্মত হয়।
কারণ এ ধরনের নির্দেশনা পদ্ধতি কর্মীদের মধ্যে কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে তোলে। যার ফলশ্র“তিতে প্রতিষ্ঠানের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সহজ হয়। তাই প্রতিষ্ঠানের জন্য পরামর্শমূলক নির্দেশনা অধিক কার্যকর হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. হাসানের প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব পরিলক্ষিত হয়।
এ নেতৃত্বে নেতা নিজের কাছে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে অধস্তনদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাজ পরিচালনা করেন। এরূপ নেতৃত্ব কর্মীদের মনে স্বতঃস্ফ‚র্ততা নিয়ে আসে। ফলে প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়।
উদ্দীপকে মি. হাসান একটি কারখানার মালিক। তিনি তার কারখানার যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরামর্শ নেন। এতে কর্মীদের মধ্যে প্রশাসনের প্রতি ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়।
এর ফলে প্রতিষ্ঠানের কাজের গতিশীলতা বাড়ার সাথে সাথে উৎপাদনও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বৈশিষ্ট্যগুলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সমাঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মি. হাসানের মধ্যে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব পরিলক্ষিত হয়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ মি. রাসেলের নেতৃত্বটি হলো স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব, যা দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেই উক্তিটি যথার্থ।
এ নেতৃত্বে নেতা নিজের কাছে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত করে রাখেন। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো একাই সিদ্ধান্ত নেন। এরূপ নেতৃত্বে নেতা যা ভালো মনে করেন তাই করেন।
উদ্দীপকে মি. রাসেল একটি কারখানা পরিচালনা করেন। তিনি তার কারখানার সিদ্ধান্ত নিতে কোনো কর্মীর সাথে আলাপ-আলোচনা করেন না। প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সিদ্ধান্ত তিনি একাই নেন এবং তা বাস্তবায়নে কর্মীদের বাধ্য করেন। এতে প্রশাসনের প্রতি কর্মীদের অসন্তোষ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বে কর্মীরা কাজকে ভয় পায়। কাজের প্রতি তাদের কোনো মনোযোগ থাকে না। কাজ যতটুকু করে তাও তারা বাধ্য হয়ে করে। ফলে প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। উদ্দীপকের মি. রাসেলের নেতৃত্বটিও হলো স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব।
যার ফলে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানের জন্য কখনোই কাম্য নয়। তাই বলা যায়, স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর উক্তিটি যথার্থ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।