ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৬ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৪১-৪৫ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ৪১ মি. রিশান তার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির কর্মচারীদের আদেশ-নির্দেশ প্রদানের পূর্বে বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে পরামর্শ করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। বছরের প্রথমে মি. রিশান বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে অতিরিক্ত ৫০ টন সুতা আমাদনি করেন, যাতে সমস্যা না হয়। বর্তমানে বাজারে সুতার দাম বেড়েছে। এর ফলে মি. রিশান-এর প্রতিষ্ঠান অনেক লাভবান হয়েছে। [ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ]
ক. বিকেন্দ্রীয়করণ কী? ১
খ. কার্য বিভাজন নীতির ফলে কীভাবে কার্যদক্ষতা বৃদ্ধি পায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে মি. রিশান-এর প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনার ধরন কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “ভবিষ্যৎ দূরদর্শিতার ওপর নেতৃত্বের সফলতা বহুলাংশে নির্ভরশীল।” উদ্দীপকের আলোকে এর যথার্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৪১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপনার হাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা না রেখে মধ্য ও স্তরের ব্যবস্থাপকদের দেওয়াকে বিকেন্দ্রীয়করণ বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের কাজকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক কর্মীর দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করে দেওয়াকে কার্যবিভাজন বলে।
এরূপ বিভাজনের ফলে প্রত্যেক বিভাগ, উপবিভাগ এবং সেই সাথে এতে নিয়োজিত জনশক্তি ও তাদের কাজকে সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়।
তাছাড়া একই ধরনের কাজ করায় প্রতিটি বিভাগে কর্মরত কর্মীদের কর্মদক্ষতা কৃদ্ধি পায়। এতে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতাও বাড়ে। তাই বলা যায়, কার্যবিভাজন কর্মীর কার্যদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. রিশান-এর প্রতিষ্ঠানে পরাামর্শমূলক নির্দেশনা বিদ্যমান।
এরূপ নির্দেশনায় অধস্তন কর্মীদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে নির্বাহী তার অধীনস্থ কর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। ফলে কর্মীরা কাজে উৎসাহিত হয়ে সহযোগিতামূলক আচরণ করেন।
উদ্দীপকে মি. রিশান তার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির কর্মচারীদের আদেশ-নির্দেশ দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। এক্ষেত্রে তিনি আদেশ-নির্দেশ দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে পরমার্শ করেন।
এরপর সিদ্ধান্ত নেন। মি. রিশানের নির্দেশনা দেওয়ার ধরনের সাথে পরামর্শমূলক নির্দেশনা সম্পূর্ণ মিলে যায়। সুতরাং, উলিখিত প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনাকে পরমার্শমূলক নির্দেশনা বলা যায়।
ঘ উত্তরঃ ‘ভবষ্যিৎ দূরদর্শিতার ওপর নেতৃত্বের সফলতা বহুলাংশে নির্ভরশীল’ কথাটি যথার্থ।
ভবিষ্যতের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতাই ভবিষ্যৎ দূরদর্শিতা। একজন নেতাকে সব সময় অনিশ্চয়তা আর ঝুঁকির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থেকে সফলতা অর্জনে দূরদর্শিতার সাথে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
উদ্দীপকের মি. রিশান একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি পরিচালনা করেন। তিনি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে বছরের প্রথমেই অতিরিক্ত ৫০ টন সুতা আমদানি করেন।
পরবর্তীতে যাতে দাম বাড়লে সমস্যা না হয় তাই তিনি এরূপ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বর্তমান বাজারে সুতার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে মি. রিশানের প্রতিষ্ঠান অনেক লাভবান হয়েছে।
মি. রিশান বছরের শুরুর দিকেই চিন্তা করেছিলেন সুতার দাম বাড়তে পারে। বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে তিনি বিষয়টি অনুমান করেন। তাই তখন বেশি পরিমাণে সুতা কিনে রেখেছিলেন। তার অনুমান সঠিক হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি অনেক লাভবান হয়েছে।
এক্ষেত্রে মি. রিশানের দূদর্শিতার কারণেই যথাসময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছেন। আর একটি প্রতিষ্ঠানের সফলতায় এরূপ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তাই বলা যায় যে, ভবিষ্যৎ অনুমান করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই সফলতা অর্জন সহজ হয়।
প্রশ্নঃ ৪২ মুন নাক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠান ২০১৬ সালে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার আগে বিভিন্ন পর্যায়ের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সকলের মতামতের ভিত্তিতে উৎপাদন ৩০% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের দৈনন্দিন কাজের চাপে নতুন সিদ্ধান্তটি তাদের স্ব-স্ব স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। তারা ইচ্ছামতো তাদের পদস্থ কর্মচারী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিতে থাকেন। ২০১৬ সালের সমাপ্তিতে দেখা যায়, ৩০% লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি।
[গুলশান কমার্স কলেজ, ঢাকা]
ক. তত্তাবধান কী? ১
খ. একজন নেতাকে দূরদর্শী হতে হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের মুন নাক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ব্যবস্থাপনার কোন মূলনীতি অনুসরণ না করার কারণে মুন নাক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠান তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়? যুক্তিসহকারে মতামত দাও। ৪
৪২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অধীনস্থ কর্মীদের কাজকর্ম দেখাশোনা করা, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বা পরামর্শ দেওয়াকে তত্তাবধান বলে।
খ উত্তরঃ ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা করার ক্ষমতা বা কল্পনাশক্তি থাকাই হলো নেতার দূরদর্শিতা।
ভবিষ্যৎ অনুমান করতে পারলে একজন নেতা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
এক্ষেত্রে নেতা সম্ভাব্য করণীয় আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখতে পারেন। ফলে তিনি সহজেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকেত পারেন। এজন্য একজন নেতাকে দূরদর্শিতার অধিকারী হতে হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মুন নাক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে পরামর্শমূলক নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়।
এ নির্দেশনায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জড়িত কর্মীদের সাথে পরামর্শ করে নির্দেশনার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়। নির্দেশনা অধীনস্থদের মতামতের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। সরাসরি বাস্তবায়নের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের মতের ভিত্তিতে এরূপ নির্দেশনা দেওয়ায় এর গুণগত মান উন্নত হয়ে থাকে।
উদ্দীপকের মুন নাক প্রতিষ্ঠান ২০১৬ সালে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। তবে এর আগে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকবলের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সবার মতামতের ভিত্তিতে উৎপাদন ৩০% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
তাই দেখা যায় সবার মতামতের বা পরামর্শের ভিত্তিতে এক্ষেত্রে নির্দেশনার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য একে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলা যায়।
ঘ উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার একটি মূলনীতি হলো যোগাযোগ। এটি সঠিকভাবে অনুসরণ না করার কারণে মুন নাক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানটি তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়।
একাধিক ব্যক্তি পক্ষের মধ্যে তথ্য বা ভাবের আদান-প্রদান হলো যোগাযোগ।
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্তরে এটি প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে। এর বিঘœ ঘটলে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জন কঠিন হয়ে পড়ে। আর এর সফলতা বা কার্যকারিতার ওপর প্রতিষ্ঠান তার কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করতে পারে।
উদ্দীপকে বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাহীদের সাথে মতবিনিময় করে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। তবে এই নির্বাহী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের দৈনন্দিন কাজের চাপে এই লক্ষ্য বা সিদ্ধান্তটি তাদের স্ব-স্ব স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
এর ফলে তারা ইচ্ছামতো কাজ করতে থাকে। এতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। তাই দেখা যায়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে সর্বস্তরে পৌছাতে পারেনি।
অর্থাৎ তাদের তথ্য আদান-প্রদান তথা যোগযোগ কার্য সফলভাবে হয়নি। আর এজন্যই তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
প্রশ্নঃ ৪৩ জনাব সোহেল ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠানের একজন নির্বাহী। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের সফলতা অর্জন করতে চাইলেও তিনি আমলাতান্ত্রিক মানসিকতার অধিকারী। তিনি অধস্তনদের সাথে আলাপ আলোচনা করে কোনো নির্দেশনা দেন না। কারণ এতে তার অধিকার খর্ব হবে বলে তিনি মনে করেন। অথচ কর্মীগণ দক্ষ আন্তরিক ও স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হলে তারা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম হবে। [ সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ, ঢাকা]
ক. একার্থক পরিকল্পনা কী? ১
খ. “নিয়ন্ত্রণ একটি অবিরাম প্রক্রিয়া” ব্যাখ্যা করো। ২
গ. জনাব সোহেলের প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী নির্দেশনার কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উক্ত নির্দেশনা কেন বাংলাদেশে প্রয়োগ করা অসম্ভব উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ একবার মাত্র ব্যবহারের জন্য যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় তাকে একার্থক পরিকল্পনা বলা হয়।
খ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ একটি অবিরাম প্রক্রিয়া। প্রতিষ্ঠানে সব সময় এটি চলমান থাকে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যসম্পাদন হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করাই হলো নিয়ন্ত্রণ। নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ কাজ হলেও এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি সংগঠনের প্রতিটি স্তরেই প্রয়োজন হয়।
একবার কোনো কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে তার সাথে মিল রেখে নির্দিষ্ট সময়ান্তে নিয়ন্ত্রণ কার্য চলতে থাকে, তাই এটি একটি নিরবচ্ছিন্ন ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব সোহেলের প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী নির্দেশনা হলো পরামর্শমূলক নির্দেশনা।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারীদের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে পরামর্শমূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরূপ নির্দেশনা বাস্তবায়নের সাথে যারা জড়িত তাদের মতের ভিত্তিতে নির্দেশনার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়।
উদ্দীপকের জনাব সোহেল তার প্রতিষ্ঠানের একজন নির্বাহী। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের সফলতা অর্জন করতে চান। এজন্য তার প্রতিষ্ঠানে পরামর্শমূলক নির্দেশনা উপযোগী। এরূপ নির্দেশনার ফলে কর্মীরা অধিক দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
কর্মীরা একে নিজেদের প্রণীত নির্দেশনা মনে করে। ফলে এরূপ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য তারা যথেষ্ট আন্তরিক ও স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে থাকে। এভাবে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম হয়। তাই সোহেলের প্রতিষ্ঠানের পরামর্শমূলক নির্দেশনাই বেশি উপযোগী।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের উপযোগী নির্দেশনা হলোা পরামর্শমূলক নির্দেশনা। কিন্তু নির্বাহীদের আত্মসম্মানবোধের কারণে বাংলাদেশে উক্ত নির্দেশনা প্রয়োগ করা সম্ভব নয়।
পরামর্শমূলক নির্দেশনা আধুনিক ও কার্যকর একটি কৌশল। এতে নির্দেশনার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের মতামতের ভিত্তিতে নির্দেশনার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়। একে অধীনস্থরা নিজেদের তৈরি বলে মনে করে।
তাই তা বাস্তবায়নে তারা সর্বাত্ক উত্তরঃ চেষ্টা করে। উদ্দীপকে দেখা যায়, জনাব সোহেল তার প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী হিসেবে এর সাফল্য প্রত্যাশা করেন। কিন্তু তিনি তার অধীনস্থদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে দ্বিধা বোধ করেন।
একে তিনি মানহানীকর বলে মনে করেন। এজন্য তিনি পরামর্শমূলক নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন না।
বাংলাদেশের অনেক নির্বাহীই মনে করেন যে, তাদের অধীনস্থদের সাথে আলাপ-আলোচনা করলে তাদের ক্ষমতা খর্ব হবে।
তাদের মতে, এতে কর্মীরা অবাধ্য হয়ে পড়বে। তাই সর্বত্র তাদের মত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে। এজন্য বাংলাদেশে এরূপ নির্দেশনা বাস্তবায়ন বা প্রয়োগ করাা অসম্ভব।
প্রশ্নঃ ৪৪ জনাব আসিফ করিম জুট মিলের উৎপাদন ব্যবস্থাপক। সব সময়ই তিনি কর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ বেশি করতে বাধ্য করেন। কর্মীদের ভালো-মন্দ বিবেচনা না করে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরই গুরুত্ব দেন। কর্মীরা এ অবস্থা থেকে উত্তরণ চায়।
[সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সিগঞ্জ]
ক. সম্মোহনী শক্তি কী? ১
খ. নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. জনাব আসিফ কোন ধরনের নেতৃত্ব অনুসরণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের অবস্থা উত্তরণের জন্য কোন ধরনের নেতৃত্ব উপযোগী বলে তুমি মনে করো মতামত দাও। ৪
৪৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ নেতা অধীনস্থ ও সমপর্যায়ের লোকদেরকে যে বিশেষ ক্ষমতা বা শক্তি দ্বারা আকৃষ্ট ও অভিভ‚ত করে আদেশ-নির্দেশ পালনে প্রভাবিত করেন তাকে সম্মোহনী শক্তি বলে।
খ উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ দান, উপদেশ ও পরামর্শ প্রদান এবং তত্তাবধানের কাজকে নির্দেশনা বলে।
হৃৎপিণ্ড মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখতে সাহায্য করে। এটি কাজ না করলে মানুষ অচল হয়ে পড়ে।
ঠিক তেমনিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন যেসব পরিকল্পনা, নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। নির্দেশনা দেওয়া না হলে প্রশাসনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এজন্যই নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব আসিফ তার প্রতিষ্ঠানে কর্মকেন্দ্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করছেন।
এ নেতৃত্বে নেতা কর্মীর চেয়ে তার কাজকে বেশি প্রাধান্য দেন। এক্ষেত্রে নেতা মনে করেন কাজ সম্পাদনই মূল বিষয়। এজন্য তিনি কর্মীদের ওপর অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেন।
উদ্দীপকে জনাব আসিফ করিম জুট মিলের একজন উৎপাদক ব্যবস্থাপক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের সব সময়ই একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেশি কাজ করতে বাধ্য করেন। এছাড়াও তিনি কর্মীদের ভালো-মন্দ বিবেচনা না করেই তাদের দ্বারা উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ বৈশিষ্ট্যগুলো একজন নেতার কর্মকেন্দ্রিক নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। তাই বলা যায়, জনাব আসিফ তার প্রতিষ্ঠানে কর্মকেন্দ্রিক নেতৃত্ব অনুসরণ করেছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কর্মীকেন্দ্রিক নেতৃত্ব উপযোগী বলে আমি মনে করি।
এ নেতৃত্বে নেতা কাজের পাশাপাশি কর্মীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করেন। নেতা সহানুভ‚তির সাথে কর্মীদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে নেতা কাজের জন্য কর্মীদের যথোপযুক্ত সুযোগ-সুবধিা প্রদান করেন। ফলে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুগত থাকে।
উদ্দীপকে জনাব আসিফ করিম জুট মিলের একজন উৎপাদক ব্যবস্থাপক। তিনি সবসময়ই কর্মীদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করতে বাধ্য করেন। এছাড়াও তিনি কর্মীদের ভালো-মন্দ বিবেচনা না করে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। কর্মীরা এ অবস্থা থেকে উত্তরণ চায়।
প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কর্মকেন্দ্রিক নেতৃত্বের পরিবর্তে কর্মীকেন্দ্রিক নেতৃত্ব প্রয়োগ করা প্রয়োজন। এরূপ নেতৃত্বে নেতা কর্মীদের কোনো ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন না।
নেতা কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তাদের ভালো-মন্দ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এতে কর্মীদের মধ্যে কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
কর্মীরা উৎসাহ নিয়ে তাদের কাজ সম্পাদন করে।
তাই আমি মনে করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানে কর্মীকেন্দ্রিক নেতৃত্ব প্রয়োগ করাই শ্রেয়।
প্রশ্নঃ ৪৫ সূর্যমুখী গার্মেন্টস লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. হারুন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সদা সচেষ্ট থাকেন। কর্মীদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক রাখেন। সকলে জানে তাদের বস তাদের সর্বদা মঙ্গল কামনা করেন। তাই, তাদের বস তাদের যখন যা কিছু করতে বলেন, তারা তা পালন করেন। বসের সাথে তাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক। কিন্তু পূর্বের বস মি. করীরের আচার-আচরণ একটু ভিন্ন ছিল। সকলে সবসময় ভয়-ভীতির মধ্যে থাকত। কারণ তার আদেশ-নির্দেশ সঠিকভাবে পালন না করার কারণে দুজনকে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে, কারও কারও পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে।
[সরকারি বি এম সি মহিলা কলেজ, নওগাঁ]
ক. নেতৃত্ব কাকে বলে? ১
খ. নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলেখ্য মি. হারুন কোন ধরনের নেতৃত্ব অনুসরণ করেছে বলে তুমি মনে করো? তোমার মতামত দাও। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলেখ্য মি. হারুনের দেওয়া নেতৃত্বই প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বদা মঙ্গলজনক। তুমি কী একমত? কেন? বা কেন নয়? ৪
৪৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কর্মরত কর্মীদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধনস্তদের আদেশ, উপদেশ, পরামর্শদান ও তত্তাবধানের কাজকে নির্দেশনা বলে।
হৃৎপিণ্ড মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে সাহায্য করে। এটি কাজ না করলে মানুষ অচল হয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন যেসব পরিকল্পনা, নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করে সেগুলোর বাস্তবায়নের জন্য কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।
নির্দেশনা দেওয়া না হলে প্রশাসনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এজন্য নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলেখ্য মি. হারুন পিতৃসুলভ নেতৃত্ব অনুসরণ করেছেন বলে আমি মনে করি।
এ নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের ওপর অতিমাত্রায় কর্তৃত্ব-পরায়ণ হলেও অধস্তনদের সাথে পিতৃসম সদয় ব্যবহার করে কাজ আদায় করেন। এক্ষেত্রে সার্বিক ক্ষমতা নেতার হাতেই কেন্দ্রীভ‚ত থাকে। নেতা কর্মীদের প্রতি ¯েœহশীল আচরণের মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করিয়ে থাকেন।
উদ্দীপকে সূর্যমুখী গার্মেন্টস লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. হারুন। তিনি কর্মীদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক রাখেন। তিনি সর্বদা কর্মীদের ভালো চান। তাই মি. হারুন তাদের যখন যা করতে বলেন, তারা তা পালন করেন।
কর্মীরা তাকে পিতার মতো শ্রদ্ধা করেন। তিনিও কর্মীদের সাথে ভালো ব্যবহার ও শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করে কৌশলে কাজ করিয়ে নেন। তাই বলা যায়, মি. হারুনের নেতৃত্বের ধরনটি পিতৃসুলভ।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলেখ্য মি. হারুনের দেওয়া পিতৃসুলভ নেতৃত্বই প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বদা মঙ্গলজনক। উক্তিটির সাথে আমি একমত।
এ নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের ওপর অতিমাত্রায় কর্তৃত্বপরায়ণ। কিন্তু তিনি কর্মীদের সন্তান মনে করেন, তাই পিতার ন্যায় সদয় ও কল্যাণকামী হয়ে থাকেন। নেতা অধস্তনদের মনে শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করেন। কর্মীরা নেতার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন। তাই তারা কাজে উৎসাহ পান।
উদ্দীপকে মি. হারুন সূর্যমুখী গার্মেন্টস লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কর্মীদের সাথে তার খুব ভালো সম্পর্ক। তাই, তিনি যখন যা করতে বলেন, কর্মীরা তাই করে। কর্মীরা মি. হারুনকে তাদের মঙ্গলকামী বলে জানে। ফলে তার প্রতি কর্মীদের শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে।
মি. হারুনের নেতৃত্বের ধরনটি পিতৃসুলভ নেতৃত্ব। এ নেতৃত্বে সব ক্ষমতা তার হাতে কেন্দ্রীভ‚ত থাকে। তিনি তার কাজের জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। তিনি কর্মীদের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করেন বলে কর্মীরা তার অনুগত। তিনি কর্মীদের অভাব-অভিযোগ বিবেচনা করেন।
এতে কর্মীদের মনে তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয়। সাধারণত অধীনস্তরা বেশ অনুগত ও কঠোর পরিশ্রমী হলে এরূপ নেতৃত্ব বেশি কার্যকর হয়। তবে কর্মী অলস বা কাজে নিরুৎসাহী হলেও নেতার পিতৃসুলভ আচরণ তাকে কাজে আগ্রহী করে তোলে।
কর্মীরা তাদের কাজ সম্পাদন করতে তৎপর থাকেন। তাই বলা যায়, মি. হারুনের দেওয়া পিতৃসুলভ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বদা মঙ্গলজনক।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।