ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৬ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ২৬-৩০ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের ষষ্ট অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ২৬ জনাব সাদেক ‘সততা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়। অপরদিকে, রানার অটোমোবাইলস এর প্রধান নির্বাহী জনাব শাহীন তার প্রতিষ্ঠানের সব সিদ্ধান্ত একাই নির্ধারণ করেন এবং কর্মীদের তা মানতে বাধ্য করেন। এতে কখনো কখনো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রায় নিয়মিতভাবেই সংবাদপত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে দেখা যায়।
[ঢাকা কমার্স কলেজ]
ক. নির্দেশনা কী? ১
খ. নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব সাদেক তার প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের নির্দেশনা প্রয়োগ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব শাহীনের নির্দেশনা কৌশল প্রাতিষ্ঠানিক সুনামের ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে কি? যুক্তি দাও। ৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া এবং তত্তাবধান কাজকে নির্দেশনা বলে।
খ উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনের জন্য অধস্তনদের আদেশ দান, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া এবং তত্তাবধান কাজকে নির্দেশনা বলে।হৃৎপিণ্ড মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখতে সাহায্য করে। এটি কাজ না করলে মানুষ অচল হয়ে পড়ে।
ঠিক তেমনিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন যেসব পরিকল্পনা, নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। নির্দেশনা দেওয়া না হলে প্রশাসনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এজন্যই নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব সাদেক তার প্রতিষ্ঠানে পরামর্শমূলক নির্দেশনা প্রয়োগ করেছেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নে জড়িত কর্মীদের সাথে পরামর্শ করে পরামর্শমূলক নির্দেশনার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়। এতে অধীনস্থদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা হয়। তাদের গঠনমূলক চিন্তাধারা ও সুচিন্তিত মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
উদ্দীপকের জনাব সাদেক প্রতিষ্ঠানের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কর্মীদের কাজের নির্দেশনা দেওয়ার আগে তাদের মতামত নেন।
তাদের গঠনমূলক চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজের নির্দেশনা তৈরি করেন। এতে কর্মীরা নির্দেশনা বাস্তবায়নের আগ্রহী হয়। এসব বৈশিষ্ট্য পরামর্শমূলক নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, জনাব সাদেক এ নির্দেশনাই প্রয়োগ করেছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব শাহীন স্বৈরাচারী নির্দেশনা প্রয়োগ করেন। এর ফলে তার প্রতিষ্ঠানের সুনামের ওপর অবশ্যই প্রভাব ফেলবে। স্বৈরাচারী নির্দেশনায় নির্বাহী সব ক্ষমতা তার নিজের কাছে কেন্দ্রীভ‚ত রাখেন।
এক্ষেত্রে নির্বাহী অধস্তনদের কাছ থেকে কাজ আদায়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও চাপ সৃষ্টি করেন। এরূপ নির্দেশনার ফলে কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কর্মীরা চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে থাকে।
উদ্দীপকের জনাব শাহীন তার প্রতিষ্ঠানের সব সিদ্ধান্ত একাই নেন। তিনি কর্মীদেরকে তার নির্দেশনা মানতে বাধ্য করেন। এতে কোনো বিষয়ে অধস্তনদের চিন্তা-ভাবনা, মতামত ও পরামর্শের গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
এতে বোঝা যায় তিনি স্বৈরাচারী নির্দেশনা প্রয়োগ করছেন। স্বৈরাচারী নির্দেশনার ফলে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জিত হলেও অনেকেই উক্ত প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। শ্রমঘূর্ণায়মানতার কারণে প্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনা ফুটে ওঠে।
এর ফলে পত্রিকায় শূন্য পদ পূরণের জন্য প্রায়ই বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়ে। এতে জনমনে এবং সম্ভাব্য কর্মীদের ভেতর উক্ত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। এভাবে জনাব শাহীনের গৃহীত স্বৈরতান্ত্রিক নির্দেশনা পদ্ধতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুনামের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
প্রশ্নঃ ২৭ জনাব জুবায়ের আশা এন্ড কোং-এর ব্যবস্থাপক। তিনি তার অধীনস্থদের ওপর নির্ভরশীল। ফলে কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করে। জুবায়েরের নি®িক্রয়তার কারণে প্রতিষ্ঠানে এক ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ফারুক নামে এক কর্মী স্ব-উদ্যোগে সবাইকে কাজ সম্পাদনের নির্দেশ দেন। ফারুক সিনিয়র কর্মী হওয়ায় সকলে তাকে মান্য করে। [বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার]
ক. নেতৃত্ব কী? ১
খ. লক্ষ্যার্জনে নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. জনাব জুবায়েরের কর্মকাণ্ডে উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের নেতৃত্বর সৃষ্টি হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের উলিখিত পরিস্থিতিতে ফারুকের নেতৃত্বের যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
২৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।নেতৃত্বের মাধ্যমে নেতা তার অধীনস্থ সদস্যদের কাজের প্রতি প্রভাবিত করেন।
ফলে সদস্যগণ দলীয়ভাবে তাদের সম্ভাব্য সব সামর্থ্য দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করেন।এতে প্রতিষ্ঠানের জনশক্তির কর্মপ্রচেষ্টা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যপানে পরিচালিত হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন অনেকটাই সুনিশ্চিত হয়ে ওঠে। তাই লক্ষ্য অর্জনে নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব জুবায়েরের কর্মকাণ্ডে উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে লাগামহীন নেতৃত্বের সৃষ্টি হয়েছে। এ নেতৃত্বে নেতা তার দায়িত্ব থেকে নিজেকে কর্মবিমুখ রাখেন। নেতা কর্মীদের সুনির্দিষ্টভাবে আদেশ-নির্দেশ দেন না। তিনি কার্যসম্পাদনে অধস্তনদের ওপর সার্বিকভাবে নির্ভর করেন। ফলে কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করেন।
উদ্দীপকে জনাব জুবায়ের আশা এন্ড কোং-এর ব্যবস্থাপক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কার্য সম্পাদনে অধীনস্থ কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল। ফলে কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করে।
এক্ষেত্রে জনাব জুবায়েরের নি®িক্রয়তার জন্যই প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। জুবায়েরের এ সকল নেতৃত্বের সাথে লাগামহীন নেতৃত্বের সামঞ্জস্য আছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে জনাব জুবায়েরের নেতৃত্বটি হলো লাগামহীন নেতৃত্ব।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত পরিস্থিতিতে ফারুকের নেতৃত্বটি হলো অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব যা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে যথার্থ।
এ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠানের কোনো নিয়মনীতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে না। একই প্রতিষ্ঠানে একসাথে কাজ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্কে গড়ে ওঠে।
এরূপ নেতৃত্বের মাধ্যমেও সদস্যদের পরিচালিত করা যায়।উদ্দীপকে জনাব জুবায়ের আশা এন্ড কোং-এর একজন ব্যবস্থাপক। তিনি তার অধীনস্থদের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। এর ফলে কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করে। এতে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে ফারুক নামে এক কর্মী স্ব-উদ্যোগে সবাইকে কাজ সম্পাদনের নির্দেশ দেন।
ফারুক সিনিয়র কর্মী হওয়ায় সবাই তার নির্দেশ মান্য করে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিষ্ঠানে ফারুকের অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্বের প্রয়োজন আছে। কারণ, এরূপ নেতৃত্বের ফলে প্রতিষ্ঠানে কিছুটা হলেও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এ ধরনের নেতৃত্বে ফারুকের কোনো আনুষ্ঠানিক কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা না থাকলেও কর্মীদের প্রভাবিত করতে পারবেন।
এভাবে ফারুক কর্মীদের দিয়ে কাজ আদায় করতে পারবেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে উলিখিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ফারুকের অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্বটি যথার্থ বলে আমি মনে করি।
প্রশ্নঃ ২৮ জনাব শাহীন আহমেদ বাংলাদেশ অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের সি ই ও। সবার সাথে আলোচনা করে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনা করেন। কর্মীদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা তিনি শোনেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত দেয়ার সুযোগ পেয়ে কর্মীরাও ব্যবস্থাপনার প্রতি সন্তুষ্ট। কর্মী ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের মানের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ওঝঙ সনদ লাভ করে। কিন্তু সম্প্রতি কিছু প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের ইন্ধনে কিছু শ্রমিক উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। [বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার]
ক. নির্দেশনা কী? ১
খ. নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের নির্দেশনা বিদ্যমান ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোন ধরনের নেতৃত্ব অধিকতর প্রয়োগযোগ্য বলে তুমি মনে কর? যুক্তিসহ লেখো। ৪
২৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া এবং তত্তাবধান কাজকে নির্দেশনা বলে।
খ উত্তরঃ লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া এবং তত্তাবধান কাজকে নির্দেশনা বলে।
হৃৎপিণ্ড মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখতে সাহায্য করে। এটি কাজ না করলে মানুষ অচল হয়ে পড়ে।
ঠিক তেমনিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন যেসব পরিকল্পনা, নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। নির্দেশনা দেওয়া না হলে প্রশাসনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এজন্যই নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বিদ্যমান। এ পদ্ধতিতে নেতা নির্দেশনার বিষয়বস্তু নিয়ে অধীনস্থদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন। তিনি তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন ও অধীনস্থদের মধ্যে সুসম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়।
ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে সবাই স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে কাজ করেন। উদ্দীপকে জনাব শাহীন আহমেদ বাংলাদেশ অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের সি ই ও। তিনি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধস্তনদের সাথে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনা করেন। এছাড়াও তিনি কর্মীদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা শোনেন এবং তা সমাধানের চেষ্ট করেন।
প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত দেওয়ার সুযোগ পেয়ে কর্মীরা ব্যবস্থাপনার প্রতি সন্তুষ্ট। এ বৈশিষ্ট্যগুলো পরামর্শমূলক নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানে পরামর্শমূলক নিদের্শনা বিদ্যমান।
ঘ উত্তরঃ বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব অধিকতর প্রয়োগযোগ্য বলে আমি মনে করি। এ নেতৃত্বে নেতা সব ক্ষমতা নিজের কাছে কেন্দ্রীভ‚ত করে রাখেন।
তিনি নিজের ইচ্ছেমতো সব সিদ্ধান্ত নেন। এরূপ নেতৃত্বে নেতা নিজে যা ভালো মনে করেন তাই করেন। তার কাজের জন্য তিনি কারও নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকেন না।
উদ্দীপকে জনাব শাহীন আহমেদ বাংলাদেশ অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের সি ই ও। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে পরামর্শমূলক নির্দেশনার মাধ্যমে কাজ পরিচালনা করেন। এতে কর্মীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার প্রতি সন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়। কিন্তু সম্প্রতি কিছু প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের ইন্ধনে কিছু শ্রমিক উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির পরামর্শমূলক নির্দেশনায় কর্মীদের মধ্যে কাজ করার প্রতি উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। কিন্তু কিছু অসৎ প্রতিযোগীর প্ররোচনায় শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব অধিকতর উপযোগী হবে।
কারণ, এ নেতৃত্বে নেতা কর্মীদের চাপ বা চাকরি থেকে ছাঁটাই ও বরখাস্ত করার ভয়-ভীতি দেখায়। ফলে কর্মীরা চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনের আদেশ মানতে বাধ্য হয়। এতে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে সাহস পায় না। এজন্য স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রয়োগ করাই উপযোগী হবে বলে আমি মনে করি।
প্রশ্নঃ ২৯ জনাব রফিক ঢাকায় একটি কারখানার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি যে বেতন পান তা দিয়ে মোটামুটি তার সংসারের ব্যয় নির্বাহ করেন। তাই বেতন নিয়ে তার কোনো চিন্তা নেই। তবে তিনি চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। কারণ উক্ত কারখানায় শ্রম ঘূর্ণায়মানতার হার বেশি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাকিবের ও মায়া মমতাপূর্ণ আচরণে অবশ্য রফিক তার চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা আশ্বস্থ হয়েছেন।
[গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ]
ক. নেতৃত্ব কী? ১
খ. লক্ষ্যার্জনে নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. জনাব সাকিবের আচরণে কোন ধরনের নেতৃত্বের প্রকাশ পায়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব রফিকের মধ্যে মাসলোর চাহিদা সোপান তত্তে বর্ণিত কোন স্তরের চাহিদা পরিলক্ষিত হয় বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
২৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগানোর কৌশলকে নেতৃত্ব বলে। নেতৃত্বের মাধ্যমে নেতা সদস্যদের প্রভাবিত করেন।
ফলে দলীয়ভাবে সদস্যগণ তাদের সব সামর্থ্য নির্ধারিত কাজে ব্যবহারের চেষ্টা করেন। এতে প্রতিষ্ঠানের সকল জনশক্তি নির্দিষ্ট লক্ষ্যপানে পরিচালিত হয়। এর ফলে লক্ষ্য অর্জন অনেকটাই সহজ হয়। তাই লক্ষ্য অর্জনে নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব সাকিবের আচরণে পিতৃসুলভ নেতৃত্ব প্রকাশ পেয়েছে। পিতৃসুলভ নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের পিতার মতো -ভালোবাসা দিয়ে কাজ আদায় করার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে তিনি অধস্তনদের অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শোনেন ও তা সমাধানের চেষ্টা করেন।
এ ধরনের নেতৃত্বে অধীনস্থরা নেতার প্রতি সন্তুষ্ট থাকে। উদ্দীপকের জনাব সাকিব একটি কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি অধস্তনদের সাথে ও মমতাপূর্ণ আচরণ করেন। অধস্তনদের সমস্যা ও অভিযোগ তিনি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন।
পিতা সন্তানের প্রতি যেমন আচরণ করেন, তিনিও অধস্তনদের সাথে তেমন ব্যবহার করে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন। তাই তার আচরণে কর্মীরা সন্তুষ্ট। এসব বৈশিষ্ট্য পিতৃসুলভ নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জ্যস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, জনাব সাকিব পিতৃসুলভ নেতৃত্ব অনুসরণ করেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের আলোকে আমি মনে করি, জনাব রফিকের মধ্যে চাহিদা সোপান তত্তের ‘নিরাপত্তার চাহিদা’ স্তরটির অভাব পরিলক্ষিত হয়। সকল বিপদ-আপদ ও অনিশ্চয়তা থেকে চাকরির স্থায়িত্ব বিধান হলো নিরাপত্তার চাহিদা। কর্মীর চাকরির নিরাপত্তা না থাকলে সবসময়ই তিনি চাকরি হারানোর ভয়ে থাকেন।
এ অবস্থায় কর্মী মানসিকভাবে কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। উদ্দীপকের জনাব রফিক শ্রমিক হিসেবে একটি কারখানায় কর্মরত। তিনি যে বেতন পান তা দিয়ে মোটামুটি তার সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা যায়। তবে তিনি চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। কারণ উক্ত কারখানাটিতে শ্রম ঘূর্ণায়মানতার হার বেশি।
কারখানাটিতে শ্রম ঘূর্ণায়মানতা বেশি হওয়ার কারণে শ্রমিকদের চাকরি ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। আবার শ্রমিকরা চাকরি হারানোর আশঙ্কায় থাকেন। এজন্য জনাব রফিক সবসময় উদ্বিগ্ন থাকেন। তাই বলা যায়, জনাব রফিকের মধ্যে চাকরির নিরাপত্তার চাহিদা পরিলক্ষিত হয়।
চাহিদা সোপান তত্তে মানুষের চাহিদাকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে; যা দেয়া হলো-
১. জৈবিক চাহিদা: যেমন- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি।
২. নিরাপত্তার চাহিদা: যেমন- চাকরির স্থায়িত্ব, বিমা সুবিধা, নিরাপত্তা বিধি, ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা ইত্যাদি।
৩. সামাজিক চাহিদা: যেমন- বন্ধুত্ব, -মমতা, সহানুভ‚তি ইত্যদি।
৪. আÍতৃপ্তির চাহিদা: যেমন- আÍমর্যাদা, সম্মান, স্বীকৃতি, পদমর্যাদা, শ্রদ্ধা অর্জন ইত্যাদি।
৫. আÍপূর্ণতার চাহিদা: যেমন- পূর্ণ দক্ষতার প্রকাশ, জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে সিদ্ধান্ত প্রদান ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ ৩০ মি. মিজান একজন জেনারেল ম্যানেজার। তিনি তার কারখানার বিভাগীয় প্রধানদের সাথে প্রায়ই সভা করেন। সকলের পরামর্শ শোনেন এবং করণীয় নির্ধারণ করেন। কিন্তু কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপক কারও সাথে আলাপ না করে নিজে একাই টার্গেট নির্ধারণ করে দেন এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে কাজ আদায় করেন। প্রথম দিকে কারখানার উৎপাদন কিছুটা বাড়লেও পরে তা কমতে থাকে।
[গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ]
ক. পরামর্শমূলক নির্দেশনা কী? ১
খ. একজন নেতার ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মি. মিজানের নেতৃত্বের ধরন কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উৎপাদন ব্যবস্থাপকের নেতৃত্বের ধরনটি কি তুমি সমর্থন করো? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো। ৪
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
৩০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ নির্দেশনা দেয়ার পূর্বে যারা তা বাস্তবায়ন করবে তাদের সাথে পরামর্শ করে নির্দেশনার বিষয়বস্তু ঠিক করার প্রক্রিয়াকে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলে।
খ উত্তরঃ নেতার ঝুঁকি বহনের সামর্থ্যকে ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতা বলে। ব্যবসায়ের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সবসময় অনিশ্চিত থাকে। ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতার মাধ্যমে একজন নেতা বর্তমান ও ব্যবসায় সফলতার জন্য ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত ঝুঁকি গ্রহণ করেন।
এজন্য অধীনস্থদের ব্যর্থতার দায়ভারও তাকেই নিতে হয়। যে নেতা যত বেশি ঝুঁকি গ্রহণে সক্ষম তিনি তত বেশি সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. মিজানের নেতৃত্বের ধরনটি হলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব। এ নেতৃত্বে নেতা নিজের কাছে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে অধস্তনদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাজ পরিচালনা করেন। এ কারণে নেতার প্রতি কর্মীদের ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের কাজে গতিশীলতা আসে।
উদ্দীপকে মি. মিজান একজন জেনারেল ম্যানেজার। তিনি তার কারখানার বিভাগীয় প্রধানদের সাথে নিয়ে প্রায়ই সভা করেন। তিনি সবার পরামর্শ শোনেন। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সাথে আলোচনা করে তিনি করণীয় নির্ধারণ করেন।
এতে প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রতি কর্মীদের স্বতঃস্ফ‚র্ততার সৃষ্টি হয়। এসব বৈশিষ্ট্য গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, মি. মিজানের নেতৃত্বের ধরনটি হলো গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের উৎপাদন ব্যবস্থাপকের স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বটি সমর্থনযোগ্য নয়, এর পরিবর্তে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা উচিত। স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বে নেতা সব ক্ষমতা নিজের কাছে কেন্দ্রীভ‚ত করে রাখেন।
কাজ আদায়ের ক্ষেত্রে তিনি কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বে নেতা যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন। এতে কর্মীরা নেতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে।
উদ্দীপকে কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপক কারও সাথে আলাপ- আলোচনা না করেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজের টার্গেট নির্ধারণ করে দেন। এরপর তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি কর্মীদের ওপর ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করেন। এতে কারখানার উৎপাদন প্রথম দিকে কিছুটা বাড়লেও পরে তা কমতে থাকে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে উৎপাদন ব্যবস্থাপকের গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রয়োগ করতে হবে। কর্মীদের সাথে আলোচনা করে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিতে হবে। এতে ঐ নির্দেশ বাস্তবায়নে কর্মীরা মনোযোগী হবে।
কর্মীদের মতামতকে মূল্যায়ন করা হলে প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাদের কাজের আগ্রহ বেড়ে যাবে। ফলে প্রতিষ্ঠান সহজে লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। তাই উৎপাদন ব্যবস্থাপককে প্রতিষ্ঠানের জন্য গনতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রয়োগ করাই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।