ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৪ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৪১-৪৩ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ৪১ জনাব অমিত একটি সাবান কোম্পানিতে চাকরি করেন। তাদের কোম্পানি কাপড় ধোয়ার সাবান উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করে। সম্প্রতি তাদের প্রতিষ্ঠানে নতুন সিইও দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন, বিপণন এবং অর্থসংস্থান বিভাগে একজন করে বিশেষজ্ঞকে নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দান করেছেন। বর্তমানে পূর্বের চেয়ে সাবানের মান উন্নত হচ্ছে, বিক্রয় বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানের মুনাফার পরিমাণও বাড়ছে। [সরকারি বি.এম.সি. মহিলা কলেজ, নওগাঁ]
ক. কমিটি কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের অপরিহার্যতা উলেখ করো। ২
গ. উদ্দীপকে জনাব অমিতের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের সংগঠন কাঠামো ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে কর? তোমার স্বপক্ষে মতামত দাও। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত সংগঠন কাঠামোটিই সবচেয়ে বেশি কার্যকর ছিল। উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪
৪১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ বিশেষ কোনো কাজের জন্য কয়েকজন ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে কমিটি বলে।
খ উত্তরঃ প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, প্রেষণা, সমন্বয়, নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কার্যাবলি পরিচালনাকে ব্যবস্থাপনা বলে।
ব্যবস্থাপনার প্রত্যেকটি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ আবশ্যক।
পরিকল্পনায় কখন কী করতে হবে, সংগঠনে কার কী দায়িত্ব থাকবে, কর্মীসংস্থানে মানবসম্পদ বিষয়ক সিদ্ধান্ত, নির্দেশনায় নেতৃত্বের ধরন কী হবে প্রভৃতি বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সর্বোপরি ব্যবস্থাপনার সব স্তরে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে জনাব অমিতের প্রতিষ্ঠানের কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো ব্যবহার করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।
কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোকে কাজের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। এরপর প্রত্যেক বিভাগে একজন করে বিশেষজ্ঞকে নির্বাহীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলে কাজে বিশেষায়নের সুযোগ থাকে; যা দক্ষতা বাড়ায়।
জনাব অমিতের প্রতিষ্ঠানে নতুন সিইও দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন, বিপণন ও অর্থসংস্থান বিভাগে একজন করে বিশেষজ্ঞকে নির্বাহীর দায়িত্ব দিয়েছেন।
যার ফলে কাজের বিশেষায়ণ হওয়ার সাবানের মান উন্নত হয়েছে। জনাব অমিতের প্রতিষ্ঠানের বিভাগগুলোতে বিশেষজ্ঞকে নির্বাহীর দায়িত্ব দেওয়া কার্যাভিত্তিক সংগঠন কাঠামেকেই নির্দেশ করে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোটিই সবচেয়ে বেশি কার্যকর উক্তিটি যথার্থ।
প্রতিষ্ঠানের কাজের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কার্যভিত্তিক সংগঠন গঠিত হয়। প্রত্যেক বিভাগে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি নির্বাহী হওয়ায় কাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।
জনাব অমিত একটি সাবান কোম্পানিতে চাকরি করেন। তাদের প্রতিষ্ঠানে নতুন সিইও এসে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো তৈরি করেন। এতে সাবানের মান উন্নত হচ্ছে এবং বিক্রয় বাড়ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানের মুনাফার পরিমাণও বাড়ছে।
উদ্দীপকে প্রত্যেক বিভাগে বিশেষজ্ঞ কর্মী নিয়োগ দেওয়ায় কাজের বিশেষায়ন হয়েছে। এতে কর্মীর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়বে। ফলে তারা কম সময়ে এবং কম খরচে অধিক পণ্য উৎপাদন করতে পারে। একই কাজ নিয়মিত করায় পণ্যের মানও উন্নত হয়।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ার ফলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির জন্য কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো অনুসরণ করাই সঠিক সিদ্ধান্ত।
প্রশ্নঃ ৪২ জেসমিন সোপ কোম্পানি লি. অ, ই ও ঈ নামে তিন ধরনের সাবান উৎপাদন করে। বাজারে তাদের পণ্যের প্রচুর চাহিদা থাকায় উৎপাদন ও বিক্রয় বিভাগের ব্যবস্থাপকগণ স্ব-স্ব বিভাগে সহযোগী থাকার পরও যথেষ্ট ব্যস্ত। কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য করলেন যে, সাগ উত্তরঃ্রিকভাবে সাবানের উৎপাদন ও বিক্রয় বাড়লেও ঈ সাবানের উৎপাদন কমছে এবং ই সাবানের উৎপাদন স্থির রয়েছে। কর্তৃপক্ষ তিনটি সাবানের জন্য আলাদা আলাদা প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক নিয়োগ দিলেন। যারা স্ব স্ব সাবানের উৎপাদন ও বিক্রয় বিষয়ে জবাবদিহি করবেন। [সিলেট সরকারি কলেজ]
ক. সংগঠন চার্ট কী? ১
খ. “প্রতিষ্ঠানের কমিটি সকল রোগের মহৌষধ নয়” ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির প্রথম পর্যায়ের সংগঠন কাঠামোর ধরন কী ছিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের সংগঠন কাঠামো প্রবর্তন করেন তা প্রতিটি সাবানের উৎপাদন ও বিক্রয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করবে।” তুমি কি এ বক্তব্যের সাথে একমত? তোমার মতামত দাও। ৪
৪২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ, উপরিভাগ ও কর্মীর মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ককে চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করাকে সংগঠন চার্ট বলে।
খ উত্তরঃ কমিটি হলো কোনো বিশেষ কাজ সম্পাদনের জন্য কয়েকজন ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন কাঠামো।
সাধারণত কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সমষ্টিগতভাবে কাজ করে। এর প্রত্যেক সদস্যেরই কমিটির বাইরে মূল দায়িত্বে থাকে।
কমিটি সংগঠনে বিভক্ত দায়িত্ব, সময়সাপেক্ষ, গোপনীয়তা প্রকাশ, সিদ্ধান্তহীনতা প্রভৃতি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। সে কারণে সবসময় সকলক্ষেত্রে কমিটি কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারে না। তাই বলা হয়, ‘প্রতিষ্ঠানের কমিটি সকল রোগের মহৌষধ নয়’।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম পর্যায়ে সরলরৈখিক ও পদস্থকর্মী সংগঠন কাঠামো অনুসরণ করা হয়েছিল।
যে সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্বরেখা ওপর থেকে নিচের দিকে সরলরেখার আকারে নেমে আসে এবং ঊর্ধ্বতনদের সহযোগিতার জন্য পদস্থকর্মী নিয়োগ করা হয় তা হলো সরলরৈখিক ও পদস্থকর্মী সংগঠন।
এক্ষেত্রে পদস্থকর্মীদের কাজ হলো সরলরৈখিক কর্ক উত্তরঃর্তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান এবং কর্ক উত্তরঃ্ষেত্রে সহযোগিতা করা। তবে তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচুর চাহিদা থাকায় উৎপাদন ও বিক্রয় বিভাগের ব্যবস্থাপকগণ স্ব-স্ব বিভাগের সহযোগীদের দ্বারা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে কার্যক্রম পরিচালনায় দুই ধরনের কর্মী দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যা সরলরৈখিক ও পদস্থকর্মী সংগঠনের সাথে মিলে যায়। সুতরাং, উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামোতে প্রথমে সরলরৈখিক ও পদস্থকর্মী সংগঠন দেখা যায়।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের আলোকে বলা যায়, পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ যে মেট্রিক্স সংগঠন কাঠামো গড়ে তুলেছেন তা প্রতিটি সাবানের উৎপাদন ও বিক্রয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
ব্যবস্থাপনা সংগঠনের আধুনিক রূপ হলো মেট্রিক্স সংগঠন। এ ধরনের সংগঠনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এক্ষেত্রে কার্যভিত্তিক ব্যবস্থাপক ও প্রজেক্ট ব্যস্থাপক দুধরনের কর্তৃপক্ষ একই সাথে কাজ করে। বৃহদায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এরূপ সংগঠন অধিক উপযোগী।
উদ্দীপকের সোপ কোম্পানি তিন ধরনের সাবানের জন্য আলাদা আলাদা প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক নিয়োগ দিলেন। তারা স্ব-স্ব সাবান উৎপাদন ও বিক্রয়ে জবাবদিহি করবেন।
জেসমিন সোপ কোম্পানিতে মেট্রিক্স সংগঠন কাঠামো গড়ে তোলার ফলে দুটি বিভাগের কাছে জবাবদিহিতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নির্বাহীগণের দক্ষতা বাড়বে। কার্যকর সমন্বয় প্রতিষ্ঠা হবে।
বহুমুখী প্রতিভা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা একত্রে বাড়বে। সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে প্রতিভা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সহজে সমস্যা সমাধান করা যাবে। সুতরাং বলা যায়, মেট্রিক্স সংগঠনের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে জেসমিন সোপ কোম্পানির সাবান উৎপাদন ও বিক্রয় বাড়বে।
প্রশ্নঃ ৪৩ মি. রতন একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও মুখ্য নির্বাহী। তার প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি বড় বিভাগে প্রধান নির্বাহীকে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষজ্ঞ কর্মী কর্মরত রয়েছে। তিনি লক্ষ করলেন যে, প্রায়শই বিশেষজ্ঞগণ প্রধান নির্বাহী কর্তৃক উপেক্ষিত হয় এবং তাদেরকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মধ্যে দ্ব›দ্ব লক্ষ করা যায়। তাই তিন উৎপাদন ও বিক্রয় বিভাগের কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে বিশেষজ্ঞদের নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
[মদন মোহন কলেজ, সিলেট]
ক. পদোন্নতি কী? ১
খ. কর্মী মূল্যায়ন বলতে কী বোঝ? ২
গ. মি. রতনের প্রতিষ্ঠানে প্রথমত কোন ধরনের সংগঠন কাঠামো প্রচলিত ছিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মি. রতন উৎপাদন ও বিক্রয় বিভাগে যে ধরনের সংগঠন কাঠামোর প্রচলন ঘটিয়েছেন তার কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীর বর্তমান পদ থেকে মর্যাদা, ক্ষমতা, দায়িত্ব ও সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে উচ্চতর পদে নিয়োগ দেওয়াকে পদোন্নতি বলে।
খ উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একজন কর্মীর কর্মদক্ষতা পর্যালোচনা করার কৌশলকে কর্মী মূল্যায়ন বলে।
কর্মী মূল্যায়নে মূলত কর্মীদের যোগ্যতা ও দক্ষতার বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়। ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা নিয়মিত অধস্তনদের কাজের খোঁজখবর নেন এবং আলোচনা করেন। এরূপ মূল্যায়নের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই কর্মীদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাই মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার কর্মী মূল্যায়ন কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গ উত্তরঃ মি. রতনের প্রতিষ্ঠানে প্রথমত সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন কাঠামো প্রচলিত ছিল।
সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠনে দুই ধরনের কর্মী থাকে। সরলরৈখিক নির্বাহী ও সহকারী উপদেষ্টা। নির্বাহী ব্যক্তি কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী হন। অন্যদিকে উপদেষ্টা বা পদস্থ ব্যক্তি শুধু নির্বাহীকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন।
উদ্দীপকের মি. রতন একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও মুখ্য নির্বাহী। তার প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বড় বিভাগে প্রধান নির্বাহীর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি কর্মরত আছেন। তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই, তবে পরামর্শ দিয়ে নির্বাহীকে সাহায্য করতে পারেন।
এক্ষেত্রে তারা নির্বাহী কর্তৃক উপেক্ষিত হয়, তাই তাদের মধ্যে দ্ব›দ্ব দেখা দেয়। মি. রতনের এই সাংগঠনিক কাঠামোর সাথে সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন পুরোপুরি মিলে যায়। সুতরাং, উদ্দীপকে প্রথমে সংগঠন কাঠামোর ধরন ছিল সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ মি. রতন উৎপাদন ও বিক্রয় বিভাগে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো তৈরি করেছেন, যা অত্যন্ত কার্যকর।
কার্যভিত্তিক সংগঠনে বিভিন্ন বিভাগে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নির্বাহীর দায়িত্বে দেওয়া হয়। এতে প্রতিটি বিভাগের নির্বাহীরা তার বিভাগের সব ক্ষমতার অধিকারী হয়। আবার তার বিভাগের সব দায়িত্বও তার ওপর বর্তায়। বৃহদায়তন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এরূপ সংগঠন খুবই জনপ্রিয়।
উদ্দীপকের মি. রতন একটি প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহীর দায়িত্বে আছেন। তার প্রতিষ্ঠানে সরলরৈখিক নির্বাহী ও উপদেষ্টাদের মধ্যে প্রায়ই দ্ব›দ্ব সৃষ্টি হয়। তাই তিনি উৎপাদন ও বিক্রয় বিভাগের কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে দেন।
পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞদের নির্বাহীর দায়িত্ব দেন। এভাবে তিনি কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোর প্রচলন করেন। বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি নির্বাহীর দায়িত্বে থাকায় কার্যভিত্তিক সংগঠনে কাজে বিশেষায়ণ করা যায়। ফলে কর্মীরা আরও দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে।
এছাড়াও একজন বিশেষজ্ঞ নির্বাহীর দায়িত্বে থাকা মি. রতনের আগে ব্যবহৃত সংগঠনের মতো দ্ব›দ্ব তৈরির সুযোগ থাকে না। এরূপ সংগঠন কাঠামো ব্যবহারে উৎপাদন বেড়ে যায়, সময় বাঁচে ও অর্থ কম ব্যয় হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
তাই বলা যায়, প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে মি. রতনের প্রচলিত কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো সর্বাধিক উপযোগী।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।