ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ২৬-৩০ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ২৬ উৎপাদন ব্যবস্থাপক কর্মীদের সমভাবে মূল্যায়ন না করায় কর্মীরাও তার আদেশ পালনে তেমন আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে উৎপাদন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানটিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ক্ষমতা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। [রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ; পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ; কুমিলা কমার্স কলেজ ]
ক. নীতি কী? ১
খ. আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক সম্পর্কে লেখো। ২
গ. উদ্দীপকে উৎপাদন ব্যবস্থাপনার কোন নীতি লঙ্ঘিত হওয়ায় উৎপাদন কাজ ব্যাহত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জনে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কর্তৃত্ব বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ? মতামত দাও। ৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো কাজের নির্দিষ্ট পরীক্ষিত নিয়কানুন বা নির্দেশিকাকে ঐ কাজের নীতি বলে।
খ উত্তরঃ আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক হচ্ছেন তুরস্কের খ্যাতিমান পণ্ডিত হেনরি ফেয়ল ।
১৮৪১ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে তিনি জš§গ্রহণ করেন। ১৮৬০ সালে তিনি এস.এ কমেনট্রি ফোরচ্যামবোল্ট-এর খনিতে প্রকৌশলী হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ব্যবস্থাপনাকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও সবর্জনীনভাবে প্রয়োগযোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই তাকে আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সাম্যের নীতি লঙ্ঘিত হওয়ায় উৎপাদন কাজ ব্যাহত হয়েছে।
সাম্যের নীতিতে অধস্তনদের সবার প্রতি সমান আচরণ বা েহ প্রদর্শন করা হয়। এটি ন্যায়পরায়ণতার সাথেও সম্পর্কিত। এর মাধ্যমে অধস্তনদের সাথে ঊর্ধ্বতনের সুসম্পর্ক তৈরি হয়। আর এ নীতির অভাবে ঊর্ধ্বতনের প্রতি অধস্তনদের খারাপ ধারণা তৈরি হয়। তার প্রতি শ্রদ্ধাও কমে যায়। ফলে এটি প্রতিষ্ঠানে কাজের বিশৃঙ্খলাও সৃষ্টি করে।
উদ্দীপকে উলেখ্য, উৎপাদন ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সমভাবে মূল্যায়ন করেন না। এতে কর্মীরাও তার আদেশ পালনে আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে উৎপাদন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের কাজে অনিয়ম হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী উৎপাদন কাজের অগ্রগতি হচ্ছে না।
কারণ, প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা তাদের নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ না পেয়ে অসন্তুষ্ট। এজন্য কাজও ধীরগতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। এসব বৈশিষ্ট্য সাম্যের নীতি লঙ্ঘনের সাথে সম্পর্কিত। তাই বলা যায়, সাম্যের নীতি লঙ্ঘিত হওয়ায় উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন কাজে সমস্যা হচ্ছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জনে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কর্তৃত্ব বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি কর্তৃত্ব ও দায়িত্বের সমতার নীতি অনুযায়ী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও যথার্থ।
কর্তৃত্ব (ধঁঃযড়ৎরঃু) হলো কাজের আদেশদানের অধিকার। দায়িত্ব হলো কাজের জবাবদিহি করার বাধ্যবাধকতা। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কর্ক উত্তরঃর্তাকে কোনো কাজের দায়িত্ব দিলে এর জন্য প্রয়োজনীয় কর্তৃত্বও (ক্ষমতা) দিতে হয়।
এতে কর্মীদের কাজ সম্পাদনে বাধ্য করার ক্ষমতা প্রয়োগ করা যায়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করানো সম্ভব হয়। প্রতিষ্ঠানের কাজের মধ্যে শৃঙ্খলাও বজায় থাকে।
উদ্দীপকের উৎপাদন ব্যবস্থাপক কর্মীদের সমভাবে মূল্যায়ন করেন না। তাই কর্মীরা আদেশ পালনে আগ্রহী হয় না। এতে উৎপাদন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটিতে সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ক্ষমতা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি কর্তৃত্ব ও দায়িত্বে সমতা নীতির সাথে সম্পর্কিত।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা প্রণয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই তাকে দায়িত্বের সাথে যথাযথ ক্ষমতা বা কর্তৃত্বও দিতে হয়। এতে তিনি কর্মীদের কাজের আদেশ ও কাজে বাধ্য করার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
এছাড়া কাজে কোনো সমস্যা হলে তা সমাধানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এতে কাজের অগ্রগতি হবে। ফলে কর্মীদের মাধ্যমে যথাসময়ে কাজ শেষ করানোও সম্ভব হবে।
কারণ এখানে জবাবদিহিতার বিষয়টি মেনে চলা হয়। সুতরাং, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কর্তৃত্ব বাড়ালে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্যার্জনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে।
প্রশ্নঃ ২৭ মি. ফরহাদ সিলভার এগ্রো ফুড লিমিটেড-এর একজন কর্ক উত্তরঃর্তা। তিনি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নির্ধারণ ও নীতি প্রণয়নের কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত লক্ষ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্জনের জন্য তিনি শ্রমিকদের প্রতিদিন এক ঘন্টা করে অতিরিক্ত কাজ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এজন্য তিনি কোনো পারিশ্রমিক দিবেন না বলে ঘোষণা দেন। এতে মালিক পক্ষ সন্তুষ্ট হলেও শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ তৈরি হতে শুরু করে। [দিনাজপুর সরকারি কলেজ]
ক. নির্দেশনার ঐক্য কী? ১
খ. জোড়া মই শিকল নীতি বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের মি. ফরহাদ কি প্রশাসক নাকি ব্যবস্থাপক? বুঝিয়ে লেখো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক অসন্তোষের জন্য ব্যবস্থাপনার কোন নীতির ব্যত্যয় দায়ী বলে তুমি মনে করো? ৪
২৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পূর্ব নির্দেশনার সাথে মিল রেখে পরবর্তী নির্দেশ দেয়ার কাজকে নির্দেশনার ঐক্য বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিচের স্তর পর্যন্ত প্রতিটি ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগকে একে অন্যের সাথে যুক্ত করাই জোড়া মই শিকল নীতি।
এ নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে কর্তৃত্ব ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তা থেকে ধাপে ধাপে অধস্তনের কাছে নেমে আসে। ফলে প্রতিটি বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীরা একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে। এটি কর্মীদের কর্তৃত্ব প্রবাহ ও যোগাযোগের পথ নির্দেশ করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. ফরহাদ একজন প্রশাসক।
প্রশাসক কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার উচ্চস্তরের ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ স্তরের কর্ক উত্তরঃর্তাগণ মানসিক শ্রমের কাজ বেশি করেন। প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করেন। আর প্রসাশকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সাধারণ ব্যবস্থাপকরা নিস্তরের কর্মীদের নির্দেশ দেন।
উদ্দীপকের মি. ফরহাদ সিলভার এগ্রো ফুড লিমিটেড-এর একজন কর্ক উত্তরঃর্তা। তিনি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নির্ধারণ ও নীতি প্রণয়নের কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত লক্ষ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্জনের জন্য সাধারণ ব্যবস্থাপকদের মাধ্যমে শ্রমিকদের নির্দেশনা দেন।
এক্ষেত্রে তিনি প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপর্যায়ে অবস্থান করছেন। আর লক্ষ্যার্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজও তিনি পালন করেন। এসব বৈশিষ্ট্য একজন প্রশাসকের কাজের সাথে সম্পর্কিত। তাই বলা যায়, মি. ফরহাদ ব্যবস্থাপক নন। তিনি একজন প্রশাসক হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক অসন্তোষের জন্য ব্যবস্থাপনার ন্যায্য পারিশ্রমিকের নীতির ব্যত্যয় দায়ী বলে আমি মনে করি।
এ নীতিতে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মীর কাজের ধরন ও তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত বেতন নির্ধারণ করা হয়। কর্মীরা নিজেদের শ্রম ও কাজের বিনিময়ে উপযুক্ত পারিশ্রমিক প্রত্যাশা করে। তাই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সবাইকে যোগ্যতা অনুযায়ীই পারিশ্রমিক দেয়া উচিত।
উদ্দীপকের মি. ফরহাদ এগ্রো ফুড লিমিটেডের একজন কর্ক উত্তরঃর্তা। তিনি প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত লক্ষ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্জন করতে চান।
এজন্য তিনি শ্রমিকদের প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে অতিরিক্ত কাজ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এর বিনিময়ে তিনি কোনো অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিবেন না বলে ঘোষণা দেন। এতে মালিক পক্ষ সন্তুষ্ট হলেও শ্রমিকরা অসন্তুষ্ট হয়। এখানে পারিশ্রমিকের নীতি যথার্থভাবে অনুসরণ করা হয়নি।
এ নীতি অনুযায়ী সাধারণত কর্মীরা অতিরিক্ত কাজের বিনিময়ে অতিরিক্ত মজুরি প্রত্যাশা করে। উদ্দীপকের মি. ফরহাদ শ্রমিকদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করিয়ে কোনো মজুরি দেননি। এতে শ্রমিকরা সেই কাজের প্রতি আগ্রহ হারাবে। ফলে কাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।
এছাড়া মতোবিরোধ ও ভুল বোঝাবুঝিরও সৃষ্টি হবে। সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা মালিকপক্ষের প্রতি অসন্তুষ্ট হবে। সুতরাং, উপযুক্ত পারিশ্রমিকের নীতি লঙ্ঘিত হওয়ায় উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা অসন্তুষ্ট হয়েছে।
প্রশ্নঃ ২৮ জনাব রায়হান একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। তিনি শিল্প প্রতিষ্ঠানে যে সকল কাজ হবে তা চিহ্নিত করে বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে তার অধীনে উপরিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর যেখানে যে মানের জনশক্তি প্রয়োজন তা নিয়োগ প্রদান করে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। শুধু ব্যক্তি নিয়োগই নয় উপায় উপকরণও স্থাপন করেন। এতে কাজ চলাকালে তিনি সুবিধা পাচ্ছেন। অ [চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক কে? ১
খ. ব্যবস্থাপনার জোড়া মই শিকল নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে জনাব রায়হান প্রথমত হেনরি ফেয়লের কোন নীতি অনুসরণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয়ত যে নীতির অনুসরণ করা হয়েছে তা প্রতিষ্ঠানকে গতিময় করে তুলেছেবিশ্লেষণ করো। ৪
২৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক হলেন আমেরিকান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ফ্রেডারিক উইন্সলো টেলর ।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচের স্তর পর্যন্ত প্রতিটি কর্মী, বিভাগ ও উপবিভাগকে একই সূত্রে আবদ্ধ করাকে জোড়া মই শিকল নীতি বলে।
এ নীতি অনুযায়ী কর্তৃত্ব ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তা থেকে ধাপে ধাপে অধস্তনের কাছে নেমে আসে। ফলে প্রতিটি বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তি কর্তৃত্বের শিকলে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত থাকে। এটি কর্মীদের কর্তৃত্বের প্রবাহ ও যোগাযোগের পথ নির্দেশ করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে জনাব রায়হান প্রথমত হেনরি ফেয়লের কার্যবিভাজন নীতি অনুসরণ করেছেন।
এ নীতিতে প্রতিষ্ঠানের কাজকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। এরপর প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করা হয়। এতে কর্মীরা তাদের কাজ, কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা বুঝে নিয়ে সেভাবে কাজ করতে পারে। ফলে তাদের কর্মদক্ষতাও বাড়ে।
উদ্দীপকের জনাব রায়হান একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানে যেসব কাজ হবে তা প্রথমে চিহ্নিত করেন। এগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে তার অধীনে উপবিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। কাজ ভাগ করে দেয়ার ফলে কর্মীরা নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবগত থাকে।
প্রত্যেকের কাজ নির্দিষ্ট থাকায় জবাবদিহিতা নেওয়া সহজ হয়। এসব বৈশিষ্ট্য কর্ম বিভাজন নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, জনাব রায়হান প্রথমে কার্য বিভাজন নীতিই অনুসরণ করেছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয়ত শৃঙ্খলার নীতি অনুসরণ করা হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল করে তুলেছে।
শৃঙ্খলার নীতিতে (চৎরহপরঢ়ষব ড়ভ ড়ৎফবৎ) যোগ্য ব্যক্তিকে সঠিক স্থানে নিয়োগ করা হয়। তাছাড়া সঠিক বস্তুকে সঠিক স্থানে স্থাপন করা হয়। এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বলতে উপায়-উপকরণাদির শৃঙ্খলাকে বোঝানো হয়।
উদ্দীপকের জনাব রায়হান একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে যেখানে যে মানের জনশক্তি প্রয়োজন তা নিয়োগ দেন। এরপর তাদের দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব নির্দিষ্টভাবে বুঝিয়ে দেন। প্রতিষ্ঠানের অন্য উপায়-উপকরণও তিনি সঠিকস্থানে স্থাপন করেন। এটি শৃঙ্খলার নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এ নীতি অনুসরণের ফলে জনাব রায়হানের প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজের দক্ষতা বাড়ে। কাজ সম্বন্ধে কর্মীর ভালো ধারণা থাকায় দ্রুত কাজ সম্পন্ন হয়। এতে নিরবচ্ছিন্নভাবে উৎপাদন চলতে থাকে। আবার অন্যান্য (যন্ত্রপাতি, মেশিন, কাঁচামাল) উপকরণ সঠিকস্থানে রাখা হচ্ছে।
এতে উপায়-উপকরণ সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানের সম্পদের সদ্ব্যবহার ঘটছে। সুতরাং, শৃঙ্খলার নীতিটি অনুসরণের ফলেই উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের কাজ গতিশীল হয়েছে।
প্রশ্নঃ ২৯ আলভা লি. একটি রপ্তানিমুখী সিরামিক কারখানা। তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কর্ক উত্তরঃর্তার আদেশ পালন করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হেেচ্ছ এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তাদের কর্মভার বেশি হওয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।
[চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
ক. টেলি কনফারেন্স কী? ১
খ. নিয়ন্ত্রণকে পরবর্তী পরিকল্পনার ভিত্তি বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভিন্ন ভিন্ন কর্ক উত্তরঃর্তার আদেশ পালন ব্যবস্থাপনায় কোন নীতির লঙ্ঘন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উলেখিত পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপকদের করণীয় কী? তোমার মতামত দাও। ৪
২৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো সভায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ ভৌগোলিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অবস্থান করেও যে ব্যবস্থায় টেলিফোন সংযোগের মাধ্যমে সভা ও আলোচনার অংশগ্রহণ করেন তাকে টেলিকনফারেন্স বলে।
খ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সংশোধনী এনে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় বলে একে পরবর্তী পরিকল্পনার ভিত্তি বলা হয়।
নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পাদিত হচ্ছে কি না তা দেখা, বিচ্যুতি নির্ণয় এবং প্রয়োজনে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিকল্পনা নেওয়া ত্র“টি-বিচ্যুতির কারণ জানা যায়।
এসব ত্র“টি সমাধানের উপায়ও জানা যায়। এরপর এসবের ওপর ভিত্তি করে সংশোধিত নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এজন্য নিয়ন্ত্রণকে পরবর্তী পরিকল্পনার ভিত্তি বলা হয়।
গ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভিন্ন ভিন্ন কর্ক উত্তরঃর্তার আদেশ পালন ব্যবস্থাপনার আদেশের ঐক্য নীতির লঙ্ঘন।
আদেশের ঐক্য নীতির মূলকথা হলো একজন কর্মী প্রত্যক্ষভাবে একই সময়ে শুধু একজন ঊর্ধ্বতনের কাছ থেকে আদেশ গ্রহণ করবে। অর্থাৎ কোনো কর্মী একজন মাত্র নির্বাহীর অধীনে থাকবে এবং তার আদেশ মেনে চলবে। দ্বৈত অধীনতা বা দুজন নির্বাহীর অধীনে একজন কর্মী সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে না।
উদ্দীপকের আলভা লি. একটি রপ্তানিমুখী সিরামিক কারখানা। উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কর্ক উত্তরঃর্তার আদেশ পালন করে। এতে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
তাই দেখা যায়, উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মীরা দ্বৈত অধীনতার শিকার। উক্ত প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার আদেশের ঐক্য লঙ্ঘিত হচ্ছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তাদের কর্মভার লাঘবের জন্য বিশেষজ্ঞ কর্মীকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
সরলরৈখিক নির্বাহী অধিক কর্মভারগ্রস্ত হয়ে পড়লে তাকে সহায়তার জন্য বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এভাবে সরলরৈখিক সংগঠন সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠনে রূপ নেয়। এক্ষেত্রে সরলরৈখিক নির্বাহীই চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
আর তাকে সহায়তার জন্য বিশেষজ্ঞ কর্মী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তিনি শুধু বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে রৈখিক নির্বাহীর কর্মভার লাঘব হয়। তার কাজ সহজ হয়। তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তাদের কর্মভার অনেক বেশি। এজন্য তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। তাই তাদের কর্মভার হ্রাস ও দ্র–ত সিন্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদের সহযোগী হিসেবে পদস্থ কর্মী নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
প্রশ্নঃ ৩০ দৃশ্যকল্প-১: আব্দুস সালাম একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে থাকেন। তবে প্রতিষ্ঠানের কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তার নিপদস্থ কর্ক উত্তরঃর্তার মাধ্যমে গৃহীত হয়।
দৃশ্যকল্প-২: আবুল কালাম অন্য একটি বহুজাতিক কোম্পানির চেয়ারম্যান। সিদ্ধান্ত প্রণয়নের ক্ষেত্রে তিনি নিজ স্বার্থকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সদস্যের সুবিধা-অসুবিধার বিষয় তিনি অগ্রাহ্য করেন।
[জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক. ব্যবস্থাপনা নীতি কী? ১
খ. এফ. ডব্লিউ. টেলরকে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক বলা হয় কেন? ২
গ. দৃশ্যকল্প-২-এ হেনরি ফেয়লের কোন নীতিটি অনুপস্থিত আছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হেনরি ফেয়লের কোন নীতির মিল রয়েছে? বিশ্লেষণ করো। ৪
৩০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার কাজ যথাযথভাবে সম্পাদনের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি অনুসরণ করাকে ব্যবস্থাপনার নীতি বলে।
হেনরি ফেয়ল প্রদত্ত আধুনিক ব্যবস্থাপনার নীতি ১৪টি। আর. এফ. ডব্লিউ. টেলর প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার নীতি ৪টি।
খ উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গতানুগতিক নিয়ম পরিহার করে বৈজ্ঞানিক নিয়মনীতির প্রয়োগকে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা বলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ফ্রেডারিক উইন্সলো টেলর ব্যবস্থাপনায় গতানুগতিকতা বাদ দিয়ে বৈজ্ঞানিক নিয়ম প্রয়োগ করেন। তিনি বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণা করে নতুন কিছু নীতি সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। ফলে ব্যবস্থাপনায় বৈজ্ঞানিক নতুন ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়। এজন্য তাকে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে দৃশ্যকল্প-২ এ হেনরি ফেয়লের (ঐবহৎর ঋধুড়ষ) সাধারণ স্বার্থে নিজ স্বার্থ ত্যাগের নীতিটি অনুপস্থিত আছে।
এ নীতিতে ব্যক্তিস্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে সাধারণ কর্মীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এতে দলীয় চেতনা বৃদ্ধি পায়। আর নিজ স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিলে প্রতিষ্ঠানে কাজের জটিলতা বাড়ে। প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। এতে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-২ এ উলেখ্য, আবুল কালাম একটি বহুজাতিক কোম্পানির চেয়ারম্যান। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত প্রণয়ন কাজ করেন। এক্ষেত্রে তিনি নিজ স্বার্থকে অধিক গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন। প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সদস্যের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করেন না।
এতে কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরির সম্ভাবনা বাড়ে। প্রতিষ্ঠানের কাজে তাদের আগ্রহ থাকে না। বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী স্বাধারণ স্বার্থে নিজ স্বার্থ ত্যাগের নীতি অনুসরণ না করলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সুতরাং, দৃশ্যকল্প-২ এ উপযুক্ত নীতিটি অনুপস্থিত।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হেনরি ফেয়লের (ঐবহৎর ঋধুড়ষ) কেন্দ্রীকরণ নীতির মিল আছে।
এ নীতিতে প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা মূলত উচ্চস্তরের ব্যবস্থাপকদের হাতে থাকে। এক্ষেত্রে অধস্তনদের সিদ্ধান্তকে মূল্যায়ন করা হয় না। উচ্চস্তরের কাছে তাদের গুরুত্ব হ্রাস পায়। প্রতিষ্ঠানের নিজ স্বার্থেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা উচ্চপর্যায়ের কর্মীদের কাছে রাখা হয়।
উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এ, আব্দুস সালাম একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অর্থাৎ তিনি একজন উচ্চস্তরের কর্ক উত্তরঃর্তা। তিনি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে থাকেন। এক্ষেত্রে তিনি নিজের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা মূলত নিজের কাছে রাখেন। বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এটি কেন্দ্রীকরণের নীতির সাথে সম্পর্কিত।
দৃশ্যকল্প-২ এ, আবুল কালাম অন্য একটি বহুজাতিক কোম্পানির চেয়ারম্যান। তিনিও একজন উচ্চস্তরের কর্ক উত্তরঃর্তা। সিদ্ধান্ত প্রণয়নের ক্ষেত্রে তিনি নিজ স্বার্থকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন। অধস্তনদের সুযোগ-সুবিধা মূল্যায়ন করেন না।
ব্যবস্থাপনার নীতি অনুযায়ী তিনি সিদ্ধান্ত নেয়ার সব ক্ষমতা নিজের কাছে কুক্ষিগত করে রাখেন; যা কেন্দ্রীকরণ নীতির সাথে সম্পর্কিত। সুতরাং, উভয় প্রতিষ্ঠানেই হেনরি ফেয়লের কেন্দ্রীকরণ নীতি মিল আছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।