ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৪ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৫-১০ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ২৬ মি. কিরণ ও মি. হিরণ দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। মি. কিরণের প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তার প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধান, নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণাধীন থেকে কার্য সম্পাদন করেন। মি. হিরণের প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের তত্ত¡াবধান, নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ কর্মী আছেন। মি. হিরণ বিশেষজ্ঞ কর্মীকে নির্বাহীর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।
[রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ; ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. সংগঠন কী? ১
খ. কার্যভিত্তিক সংগঠন কাকে বলে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে মি. কিরণের সংগঠন কাঠামো কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. একটি বৃহদায়তন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য উদ্দীপকের সংগঠন দু’টির কোনটি অধিকতর উত্তম হবে বলে তুমি মনে করো? ধরন উলেখপূর্বক যুক্তি দেখাও। ৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি বিভাজন, কর্মীদের দায়িত্ব, কর্তৃত্ব, জবাবদিহি এবং পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ করার কাজকে সংগঠন বলে।
খ উত্তরঃ কাজকে প্রকৃতি অনুযায়ী ভাগ করে বিশেষজ্ঞ কর্মীকে দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব প্রদান করা হলে তাকে কার্যভিত্তিক সংগঠন বলে।
কার্যভিত্তিক সংগঠনে কর্মীদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী আলাদা আলাদা বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়। একজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেন। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। কাজে বিশেষায়ণের সুযোগ ঘটে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. কিরণের সংগঠন কাঠামোটি ‘সরলরৈখিক সংগঠন’ কাঠামো।
যে সংগঠনে কর্তৃত্ব রেখা উপর থেকে নিচে এবং জবাবদিহিতা নিচ থেকে উপরের দিকে ধাবিত হয় তাকে সরলরৈখিক সংগঠন বলে। এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন ব্যক্তির কর্তৃত্বে অধস্তনদের কাজ করতে হয়। তাই সকল কাজের দাযিত্ব ঊর্ধ্বতনের ওপর বর্তায়।
উদ্দীপকে মি. কিরণের প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তার প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে কাজ করেন। তিনি নিজেই নির্দেশনা দেন ও সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করেন। এক্ষেত্রে মি. কিরণ তার অধস্তনদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। তিনি সকল ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী।
তাই সকল কাজের দায়িত্বও তার ওপর বর্তায়। মি. কিরণের সার্বিক কার্যক্রমের সাথে সরলরৈখিক সংগঠনের পুরোপুরি মিল রয়েছে। সুতরাং, মি. কিরণের সংগঠনের ধরন হলো সরলরৈখিক সংগঠন।
ঘ উত্তরঃ বৃহদায়তন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য উদ্দীপকের সরলরৈখিক ও কার্যভিত্তিক সংগঠনের মধ্যে কার্যভিত্তিক সংগঠনই উত্তম বলে আমি মনে করি।
কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ নির্বাহীকে দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো তৈরি হয়।
বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করায় উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এছাড়াও সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে কাজে মনোযোগী হওয়ায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়।
উদ্দীপকে মি. কিরণের প্রতিষ্ঠানে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো রয়েছে। অপরদিকে মি. হিরণ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্যে বিশেষজ্ঞ কর্মীদের নির্বাহীর দায়িত্ব প্রদান করেন। অর্থাৎ, তিনি কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো তৈরি করেন।
মি. হিরণের কার্যভিত্তিক সংগঠনের মাধ্যমে কর্মীদের কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি নির্বাহী হওয়ায় কাজের ক্ষেত্রে বিশেষায়ণের সুবিধা পাওয়া যাবে।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি মানসম্মত কাজ করতে পারবে। তবে সরলরৈখিক সংগঠনের মাধ্যমে উলিখিত সুবিধা পাওয়া সম্ভব না। তাই বলা যায়, বৃহদায়তন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোই অধিক উপযোগী।
প্রশ্নঃ ২৭ জনাব ইমনের প্রতিষ্ঠানে পাঁচ ধরনের পণ্য উৎপাদন করা হয়। উৎপাদন ব্যবস্থাপক জনাব সুমন দক্ষতার সাথেই উৎপাদন কার্যাবলি সম্পাদন করছিলেন। বর্তমানে জনাব ইমন, জনাব সুমনের কাজের চাপ কমানোর পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মান উন্নত করার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তিনি একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্ক উত্তরঃর্তা নিয়োগ করেন। তিনি উৎপাদন ব্যবস্থাপক জনাব সুমনের কাছে তার কাজের জবাবদিহি করেন। [পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. সংগঠন কী? ১
খ. সংগঠন চার্ট বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. জনাব ইমনের প্রতিষ্ঠানে প্রথমে কোন ধরনের সংগঠন কাঠামো বিদ্যমান ছিল? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. প্রতিষ্ঠানটিতে পরবর্তীতে গৃহীত সংগঠনের যথার্থতা উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
২৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি বিভাজন, কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব নির্ধারণ করে পারস্পরিক সম্পর্কের যে কাঠামো তৈরি হয় তাই সংগঠন।
খ উত্তরঃ একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যকার সম্পর্ক চিত্রে উপস্থাপন করা হলে তাকে সংগঠন চার্ট বলে।
এতে প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কর্মীর অবস্থান, পদ, বিভাগ ও উপবিভাগ সম্পর্কে জানা যায়। এতে কে কার সরাসরি অধীন, সে বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায়। তাছাড়া কর্তৃত্ব প্রবাহ, কর্তৃত্ব রেখা প্রভৃতি বিষয়েও জানা যায়। তাই বলা যায়, সংগঠন চার্ট পুরো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেই একটা ধারণা প্রদান করে।
গ উত্তরঃ জনাব ইমনের প্রতিষ্ঠানে প্রথমে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো বিদ্যমান ছিল।
সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্ব উপরের পর্যায় থেকে ক্রমান্বয়ে নিচের পর্যায়ে আসে। আবার জবাবদিহিতা নিচের পর্যায় থেকে উপরের পর্যায়ে পৌঁছায়। এরূপ সংগঠনে অধস্তনরা বিনা দ্বিধায় ঊর্ধ্বতনের আদেশ মানতে বাধ্য থাকে।
উদ্দীপকে জনাব ইমন প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ স্তরের নির্বাহী। তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যবস্থাপক জনাব সুমন দক্ষতার সাথে উৎপাদন কার্যাবলি সম্পাদন করছিলেন। কিন্তু অধিক দায়িত্বের কারণে তার কাজের চাপ বেশি ছিল।
সরলরৈখিক সংগঠনে এরূপ নির্বাহীর ওপর সকল দায়িত্ব বর্তায়। এছাড়াও সরলরৈখিক সংগঠনের মতো জনাব ইমনের প্রতিষ্ঠানে কর্তৃত্বের ধারাবাহিকতা আছে। সুতরাং বলা যায়, জনাব ইমনের প্রতিষ্ঠানে প্রথমে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো ছিল।
ঘ উত্তরঃ বৃহদায়তন উৎপাদনকারী প্রতি¯¤ান হিসেবে পরবর্তীতে গৃহীত কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো প্রতিষ্ঠানটির জন্য যথার্থ বলে আমি মনে করি।
কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোতে প্রতিষ্ঠানের কাজের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নির্বাহীর দায়িত্ব দেয়া হয়। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক কাজে বিশেষায়ণের সুযোগ থাকে। তাই কর্মীদের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি পায়।
জনাব ইমনের প্রতিষ্ঠানে পাঁচ ধরনের পণ্য উৎপাদন করেন। উৎপাদন ব্যবস্থাপক জনাব সুমন দক্ষতার সাথে কাজ করলেও তার কাজের চাপ বেশী ছিল।
তাই জনাব ইমন, জনাব সুমনের কাজের চাপ কমানোর পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মান উন্নত করার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তিনি একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্ক উত্তরঃর্তা নিয়োগ দেন।
জনাব ইমন কয়েক ধরনের পণ্য উৎপাদন করায় তার প্রতিষ্ঠানে কাজের বিশেষায়ণ দরকার এছাড়াও এরূপ বৃহদায়তন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো অনুসরণ করলে প্রধান নির্বাহীর কাজের চাপ কমে।
পণ্যের মান উন্নয়নের পাশাপাশি কার্যভিত্তিক সংগঠনের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়। তাই বৃহদায়তন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো সর্বাধিক কার্যকর। সুতরাং বলা যায়, পরবর্তীতে গৃহীত কার্যভিত্তিক সংগঠনটিই জনাব ইমনের প্রতিষ্ঠানটির জন্য যথার্থ।
প্রশ্নঃ ২৮ ‘অনুপম কসমেটিক’ কারখানায় সাবান, স্যাম্পু ও বডি লোশন তিন ধরনের পণ্য উৎপাদন হয়। প্রতিটি পণ্য উৎপাদনের জন্য কারখানায় একটি করে বিভাগ আছে। প্রতি বিভাগের অধীনে আবার দুটি করে বিভাগ আছে। কারখানার প্রধান হিসাবে একজন কারখানা ব্যবস্থাপক দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি বিভাগের জন্য একজন করে ফোরম্যান আছেন। তারা কারখানা ব্যবস্থাপকের কাছে জবাবদিহি করেন। প্রতি বিভাগের অধীনে সেকশনের দায়িত্বে আছে একজন করে তত্ত¡াবধায়ক। তারা নিজস্ব বিভাগের ফোরম্যানের নির্দেশে কাজ করে। সম্প্রতি বিদ্যমান সংগঠন কাঠামোতে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে কার্য উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কার্য উপদেষ্টা বিভিন্ন বিষয়ে কারখানা ব্যবস্থাপককে পরামর্শ ও সহায়তা দিবেন। [দিনাজপুর সরকারি কলেজ]
ক. কার্যবিভাগ কী? ১
খ. “আদর্শ সংগঠনে দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব ভারসাম্যপূর্ণ হয়” ব্যাখ্যা করো। ২
গ. বর্তমানে ‘অনুপম কসমেটিক’-এর সংগঠন কাঠামোর ধরন ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘অনুপম কসমেটিক’-এর পূর্ববর্তী কাঠামোর কর্তৃত্ব প্রবাহ বিশ্লেষণ করো। ৪
২৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের কাজের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করাকে কার্যবিভাগ বলে।
খ উত্তরঃ কোনো কাজ সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা বা প্রয়োজনীয়তাকে দায়িত্ব বলে। অন্যদিকে কোনো কিছু করার বৈধ ক্ষমতাকে কর্তৃত্ব বলে।
সংগঠন কাঠামোর প্রত্যেক স্তরে কর্মীকে যে পরিমাণ দায়িত্ব দেয়া হয় সেই অনুপাতে কর্তৃত্বও দিতে হবে।
দায়িত্বের তুলনায় কর্তৃত্ব কম হলে নির্বাহীগণ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় ও অসহায় হয়ে পড়ে। অপরদিকে কর্তৃত্ব বেশি হলে নির্বাহীগণ স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠবে। তাই আদর্শ সংগঠনে দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব ভারসাম্যপূর্ণ হয়।
গ উত্তরঃ বর্তমানে অনুপম কসমেটিক এর সংগঠন কাঠামোর ধরন হলো ‘সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন’।
সরলরৈখিক নির্বাহীর সহযোগী হিসেবে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ বা উপদেষ্টা কর্মীর সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন কাঠামো হলো সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন। এরূপ সংগঠনে উপদেষ্টা কর্মী কেবল নির্বাহীকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
উদ্দীপকে অনুপম কসমেটিক সম্প্রতি ব্যবস্থাপককে সহায়তার জন্যে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে কার্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কারখানার ব্যবস্থাপককে পরামর্শ প্রদান করেন। এক্ষেত্রে উপদেষ্টা নিয়োগের আগে পর্যন্ত অনুপম কসমেটিক এ সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো ছিল।
তবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কার্যক্রমের সাথে সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠনের মিল রয়েছে। তাই বলা যায়, অনুপম কসমেটিক বর্তমানে সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন কাঠামো অনুসরণ করছে।
ঘ উত্তরঃ অনুপম কসমেটিক এর পূর্ববর্তী কাঠামোটি ছিল সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো। এরূপ সংগঠন কাঠামোয় কর্তৃত্ব সর্বোচ্চ স্তর থেকে সরলরেখায় সর্বনিæ স্তরে আসে।
সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোতে অধস্তনরা ঊর্ধ্বতনের আদেশ মানতে বাধ্য থাকে। এক্ষেত্রে অধস্তনকে তার কাজের জন্যে ঊর্ধ্বতনের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। এছাড়াও নির্বাহীকে সকল কাজের দায়িত্ব নিতে হয়।
উদ্দীপকে অনুপম কসমেটিক এ প্রতিটি পণ্যের জন্য কারখানায় একটি করে বিভাগ আছে। আবার প্রতি বিভাগের অধীনে দুটি করে সেকশন আছে। কারখানা ব্যবস্থাপক প্রধান নির্বাহী হিসেবে আছেন। তার অধীনে ফোরম্যান এবং ফোরম্যানের অধীনে তত্ত¡াবধায়ক নিয়োজিত আছেন।
সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোর ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব নিæগামী হয়। উদ্দীপকে প্রথমে কারখানা ব্যবস্থাপক থেকে শুরু হয়ে কর্তৃত্ব ফোরম্যানের মাধ্যমে তত্ত¡াবধায়ক পর্যন্ত আসে। অপরদিকে জবাবদিহিতা নিচ থেকে উপরের দিকে যায়।
এক্ষেত্রে তত্ত¡াবধায়ক তার কাজের জন্যে ফোরম্যানের কাছে এবং ফোরম্যান ব্যবস্থাপকের কাছে জবাবদিহি করে। পরিশেষে বলা যায়, অনুপম কসমেটিক এর পূর্ববর্তী সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোর কর্তৃত্ব প্রবাহ নিম্মুখী।
প্রশ্নঃ ২৯ মি. তারেক তার প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কাজগুলোকে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভক্ত করেন। বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কর্মীদের তিনি বিভাগীয় কাজে নিয়োজিত করেন। মি. জাহান সময়ে সময়ে তাদের অগ্রগতির খবরাখবর নেন। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অনুযায়ী কার্যাবলী সম্পাদনে তিনি সবসময় মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন। এতে প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন সফলতা অর্জন করছে। [দিনাজপুর সরকারি কলেজ]
ক. সমন্বয় সাধন কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনা চক্র বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মি. তারেক কোন স্তরের ব্যবস্থাপক? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোর অনুসরণই মি. তারেকের প্রতিষ্ঠানে সফলতার মূল কারণ তুমি কি একমত? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
২৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ বিভিন্ন ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগের কাজে ঐক্যবদ্ধ ও শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়াকে সমন্বয়সাধন বলে।
খ উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার কাজসমূহ চক্রাকারে আবর্তিত হওয়াকে ব্যবস্থাপনা চক্র বলে।
ব্যবস্থাপনার কাজসমূহের প্রথম ধাপ হলো পরিকল্পনা। পরিকল্পনার আলোকে কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ কার্য সম্পাদিত হয়। নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কোনো ত্র“টি-বিচ্যুতি পাওয়া গেলে তা সংশোধনের জন্য পুনরায় পরিকল্পনা করা হয়। এভাবেই ব্যবস্থাপনার কাজ অবিরামভাবে চলতে থাকে বলে একে ব্যবস্থাপনা চক্র বলা হয়।
গ উত্তরঃ মি. তারেক ব্যবস্থাপনার উচ্চস্তর-এর ব্যবস্থাপক।
এ স্তরের ব্যবস্থাপনা বলতে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের নির্বাহীদের নিয়ে গড়ে ওঠা ব্যবস্থাপনাকে বুঝায়। এরূপ ব্যবস্থাপকগণ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, নীতি, কৌশল প্রভৃতি প্রণয়ন করে থাকেন। কোনো কোম্পানির চেয়ারম্যান, পরিচালকমণ্ডলী, সচিব এ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত হয়।
উদ্দীপকে মি. তারেক তার প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কাজগুলোকে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভক্ত করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করে থাকেন। এখানে তিনি সিদ্ধান্ত নেন এবং কর্মপরিকল্পনা করেন।
তার পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থাপকগণ কার্য সম্পাদন করেন। প্রতিষ্ঠানের সফলতা ও ব্যর্থতা অনেক ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। সুতরাং, মি. তারেক একজন উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপক।
ঘ উত্তরঃ কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোই মি. তারেকের প্রতিষ্ঠানের সফলতার একমাত্র কারণ বলে আমি মনে করি।
কাজের ধরন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কাজকে ভাগ করে প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব একজন বিশেষজ্ঞ কর্মীর ওপর ন্যস্ত করাই হলো কার্যভিত্তিক সংগঠন।
এ ধরনের সংগঠনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে প্রতি বিভাগে একজন বিশেষজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করা হয়। এরূপ সংগঠনের কাজগুলো ছোট ছোট বিভাগে ভাগ করায় নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।
উদ্দীপকে মি. তারেক তার প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কাজগুলোকে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভক্ত করেন। বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কর্মীদের তিনি বিভাগীয় কাজে নিয়োজিত করেন।
ফলে কর্মীরা ভালোভাবে তাদের কাজগুলো বুঝে নিয়ে সঠিকভাবে করতে পারেন। বিশেষজ্ঞের তত্ত¡াবধানে থাকার ফলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অধিকতর দক্ষতার সাথে কাজ সম্পাদন করতে পারছে।
প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করার কারণে কর্মীদের তত্ত¡াবধান করা সহজ হয়েছে। ফলে সঠিক সময়ে কাজ আদায় করা সম্ভব হয়। প্রতিটি বিভাগে বিশেষজ্ঞ কর্মী থাকার ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।
এ ধরনের সংগঠনে প্রতিটি বিভাগের কার্য নির্দিষ্ট করা থাকে। তাই বিভাগগুলোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। সুতরাং বলা যায় কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো অনুসরণ করে মি. তারেকের প্রতিষ্ঠানটি সফলতা পেয়েছে।
প্রশ্নঃ ৩০ জনাব কালাম ‘জনতা সু’ কোম্পানির উৎপাদন মহাব্যবস্থাপক। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে উপমহাব্যবস্থাপককে ১০,০০০ জোড়া আগুন প্রতিরোধী জুতা উৎপাদনের নির্দেশ দিলেন। নির্দেশটি উপমহাব্যবস্থাপক, অর্থ মহাব্যবস্থাপক, ক্রয় মহাব্যবস্থাপক এমন তেরটি স্তর পার হয়ে শ্রমিকের কাছে পৌঁছে। জুতা উৎপাদনের নির্দেশের স্থলে শ্রমিকরা জানতে পারে ১০,০০০ জোড়া স্যান্ডেল তৈরির আদেশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের দিয়েছে। পুরো ব্যাপারটি অনুধাবন করে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী সাংগঠনিক কাঠামো ও পণ্য উৎপাদন নীতি সংশোধন করলেন। যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ তিনজন কর্ক উত্তরঃর্তার মতামত লাগবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। প্রতিষ্ঠানটি কালক্রমে সাফল্য লাভ করতে লাগলো। [দিনাজপুর সরকারি কলেজ]
ক. ডিকোডিং কী? ১
খ. ফলাবর্তন বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. কোন ধরনের সাংগঠনিক কাঠামোগত সমস্যার কারণে জনতা সু কোম্পানিতে তথ্য বিকৃতি ঘটেছে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান নির্বাহী কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানটির সফলতা অর্জনে সহায়ক হয়েছে” মূল্যায়ন করো। ৪
৩০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ সংবাদ প্রাপ্তির পর প্রাপক তার নিজের মত করে সংবাদকে বিন্যাস, উপলব্ধি ও ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াকে ডিকোডিং বলে।
খ উত্তরঃ ফলাবর্তন (ঋববফনধপশ) বলতে প্রেরকের সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপকের উত্তর দেওয়াকে বুঝায়।
ফলাবর্তন হলো যোগাযোগ প্রক্রিয়ার চ‚ড়ান্ত পর্যায়। সংবাদ প্রাপ্তির পর প্রাপক সে সংবাদ বিশ্লেষণ ও উপলব্ধি করে। অতঃপর প্রেরকের কাছে প্রতিক্রিয়া দেয়। এতে প্রেরক প্রাপকের মনোভাব সম্পর্কে জানতে পারে। প্রয়োজনে একাধিকবার প্রত্যুত্তরের মধ্যে দিয়ে যোগাযোগের উদ্দেশ্য অর্জিত হয়।
গ উত্তরঃ সরলরৈখিক সংগঠন-এ কাঠামোগত সমস্যার কারণে জনতা সু কোম্পানির তথ্য বিকৃতি ঘটেছে।
এ সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্ব রেখা ব্যবস্থাপনার উচ্চস্তর হতে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে নেমে আসে। এক্ষেত্রে অধস্তনদের জবাবদিহিতা নিæস্তর থেকে উচ্চস্তরে প্রবাহিত হয়। এ ধরনের সংগঠন কাঠামোতে ঊর্ধ্বতন কর্ক উত্তরঃর্তারা যে নির্দেশনা দেয় অধস্তনরা তা পালন করে।
উদ্দীপকে জনাব কামাল জনতা সু কোম্পানির একজন উৎপাদন মহাব্যবস্থাপক। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে উপমহাব্যবস্থাপককে ১০,০০০ জোড়া আগুন প্রতিরোধী জুতা উৎপাদনের নির্দেশ দিলেন।
নির্দেশটি উপমহাব্যবস্থাপক, অর্থ মহাব্যবস্থাপক, ক্রয় মহাব্যবস্থাপক এমন তেরটি স্তর পার হয়ে শ্রমিকের কাছে পৌঁছে।
সংগঠনটিতে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা উচ্চ পর্যায় থেকে নিæ পর্যায়ে নেমে আসে যা সরলরৈখিক সংগঠনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। কিন্তু সংগঠন কাঠামোতে স্তর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তথ্যের বিকৃতি ঘটে। তাই বলা যায়, সরলরৈখিক সংগঠনের কাঠামোগত সমস্যার কারণে তথ্য বিকৃতি ঘটেছে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ ‘কমিটি সংগঠন’-এর মাধ্যমে প্রধান নির্বাহী প্রতিষ্ঠানটির সফলতা অর্জনে সহায়ক হয়েছে বলে আমি মনে করি।
এ ধরনের সংগঠন বলতে কোন বিশেষ কাজ সম্পাদন করার জন্য যাদের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয় তাদের সমষ্টিকে বোঝায়। কোনো বিশেষ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিষ্ঠানের এ সংগঠন উপযোগী।
এছাড়াও যেকোনো কাজ করতে আলোচনা ও পর্যালোচনার দরকার হয়। এ ধরনের কাজের জন্য কমিটি গঠন ইতিবাচক ফল দেয়।
উদ্দীপকে ‘জনতা সু’ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী সাংগঠনিক কাঠামো ও পণ্য উৎপাদন নীতি সংশোধন করেন। যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ তিনজন কর্ক উত্তরঃর্তার মতামত প্রয়োজন বলে জানানো হয়। এক্ষেত্রে কাজ সম্পাদনের জন্য কমিটির সদস্যগণ তাদের মতামত বিনিময় করেন।
কমিটির সদস্যরাই দলবদ্ধ হয়ে কোনো সমস্যার সমাধান করে থাকেন। উদ্দেশ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের কমিটি কাজ করে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটি যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য তিনজন কর্ক উত্তরঃর্তা নিয়ে একটি কমিটি সংগঠন গঠন করে। বিভিন্ন স্তরে তথ্য আদান-প্রদান ক্ষেত্রে এটি ভ‚মিকা রাখে। কোনো সমস্যা হলে তা সমাধান করে। ফলে তথ্যের বিকৃতি বা কর্মীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি দূর করা সম্ভব হয়।
সুতরাং বলা যায়, প্রধান নির্বাহীর সিদ্ধান্তের ফলে প্রতিষ্ঠানটি সফলতা পেয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।