ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ১ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১৬-২০ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের প্রথম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের প্রথম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ১৬ জনাব মোহন ও জনাব খোকন দু’জন বন্ধু। প্রথম জন সাংবাদিক ও দ্বিতীয় জন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। দু’জনেই একত্রে সকালে ধানমন্ডি লেকে হাঁটেন। হাঁটতে হাঁটতে কত কথা হয়। একদিন জনাব মোহন বললেন, সবকিছু কেমন যেন গোলমেলে হয়ে যাচ্ছে। সর্বত্রই অরাজকতা-বিশৃঙ্খলা।
এভাবে দেশে চলে না। খোকন বললেন, সমস্যাটা হলো ব্যবস্থাপনার। ব্যবস্থাপনা ইঞ্জিন সদৃশ। এটা একটা শক্তি। প্রতিষ্ঠানে সব উপকরণ কাজে লাগায় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা। তাই এটি দুর্বল হলে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র কিছুই চলে না। [ঢাকা কলেজ]
ক. ব্যবস্থাপনা চক্র কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনা হলো লক্ষ্যকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা করো। ২
গ. জনাব খোকন কেন বলেছেন যে, ব্যবস্থাপনা চালিকাশক্তি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা উপকরণসমূহকে কাজে লাগায়। তোমার জানামতে ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পর্যায়সমূহ আলোচনা করো। ৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যবস্থাপনার মৌলিক কাজগুলো (পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, সমন্বয়সাধন, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ) পরপর আবর্তিত হওয়াকে ব্যবস্থাপনা চক্র বলে।
খ উত্তর: প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অন্যকে দিয়ে দক্ষভাবে কাজ করিয়ে নেওয়ার কৌশলই হলো ব্যবস্থাপনা।
ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সহজে পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন এবং নিয়ন্ত্রণ কাজ করা হয়। ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা অনুযায়ী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রকৃত কার্যক্রম পরিমাপ করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হয়।
এটি নতুন পরিকল্পনা করতে সহযোগিতা করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। এ জন্যই বলা হয়, পরিকল্পনা হলো লক্ষ্য কেন্দ্রিক।
গ উত্তর: ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন জেনে জনাব খোকন বলেছেন ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের চালিকাশক্তি।
পরিবার, রাষ্ট্র এবং ব্যবসায়ের সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ কাজ সংঘটিত হয়। যেকোনো কাজে প্রথমে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, যা ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
উদ্দীপকে জনাব খোকন একজন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। তিনি মনে করেন ব্যবস্থাপনা ইঞ্জিন সদৃশ। প্রতিষ্ঠানে সব উপকরণ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ সম্পূর্ণ করে ব্যবস্থাপনা। একটি পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্র সব কিছুই ব্যবস্থাপনার আওতা অধীন।
প্রতিষ্ঠান বা পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিটা ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি প্রয়োগ করা হয়। পরিবার বা রাষ্ট্রের প্রতিটা কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী করলে তা সুষ্ঠভাবে সম্পন্য করা সম্ভব। তাই বলা যায় ব্যবস্থাপনা চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।
ঘ উত্তর: প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা উপকরণসমূহকে কাজে লাগায় উক্তিটির সাথে আমি একমত।
ব্যবস্থাপনা কতিপয় কাজের সমষ্টি। প্রতিটা কাজ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে বা ধারাবাহিকভাবে সম্পাদিত হয়। ব্যবস্থাপকীয় কাজগুলো (পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন ও নিয়ন্ত্রণ) পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠানের উপকরণসমূহকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগায়।
উদ্দীপকে জনাব মোহন ও জনাব খোকন দুই বন্ধু। তারা দেশের সর্বত্র অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ে চিন্তিত। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সমস্যা সমাধান করতে পারে। কারণ তারা মনে করে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি উপকরণ ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভরশীল।
ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক পর্যায় হলো পরিকল্পনা প্রণয়ন। পরিকল্পনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে কী করতে হবে তার নকশা প্রণয়ন করা হয়। পরিকল্পনার আলোকে কাজগুলো বিভিন্ন ভাগে করে সংগঠিত করা হয়। সংগঠন পর্যায়ে আবার পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনে দক্ষ কর্মীবাহিনী গঠন করা হয়।
অতঃপর কর্মীদের প্রয়োজনীয় আদেশ-নির্দেশ প্রদান করা হয়, যা নির্দেশনার আওতাভুক্ত। কর্মীদের কাজের প্রতি মনোবল বৃদ্ধি করা হয় প্রেষণার মাধ্যমে। পরে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আদর্শ মানের কার্যফল তুলনা করে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
ফলে ব্যবস্থাপনার কাজে গতি আসে এবং মানবীয় ও অমানবীয় উপকরণ সমূহের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয়। তাই বলা যায়, ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে উপকরণসমূহের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করে।
প্রশ্নঃ ১৭ সুমী ফ্যাশন লি. রপ্তানিকৃত ও সরবরাহকৃত পণ্যের গুণগত মানের ওপর সবসময় গুরুত্ব দেয়। কিন্তু গত বছর, দুর্ভাগ্যবশত যথাযথ উপদেশের অভাবে রপ্তানিকৃত পণ্যের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় বিদেশি ক্রেতাগণ তাদের পণ্যের অর্ডার বাতিল করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের সাথে রাখা অঙ্গীকার পূরণের জন্য আরও প্রস্তুতি নিয়েছে। [ঢাকা কলেজ]
ক. সমন্বয় কী? ১
খ. ‘ব্যবস্থাপনা চক্র’ কেন ব্যবস্থাপনার জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. ব্যবস্থাপনার কোন কাজটির অভাবে উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি রপ্তানিকৃত পণ্য সঠিকভাবে সরবরাহ করতে পারেনি বলে তুমি মনে করো? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ক্রেতাদের চাহিদা পূরণের জন্য উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি কোন কোন বিষয়ের ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে পারে বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ উপস্থাপনা করো। ৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিটি বিভাগ উপ-বিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করাকে সমন্বয়সাধন বলা হয়।
খ উত্তর: ব্যবস্থাপনার কার্যসমূহ (পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশনা, প্রেষণা, নিয়ন্ত্রণ) পরপর আবতির্ত হওয়াকে ব্যবস্থাপনা চক্র বলে।
ব্যবস্থাপনার কার্যাদি একটি ধারাবাহিক কার্য প্রক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এর প্রতিটি কাজ পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে এবং একটি কাজ অন্য কাজকে প্রভাবিত করে। পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হয়।
আবার নিয়ন্ত্রণ কাজের মধ্যে দিয়ে যে নির্দেশনা পাওয়া যায় তার আলোকে আবার নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এজন্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা চক্র গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
গ উত্তর: ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা কাজটির অভাবে উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি রপ্তানিকৃত পণ্য সঠিকভাবে সরবরাহ করতে পারেনি বলে আমি মনে করি।
নির্দেশনা হলো অধীনস্থদেরকে কাজ সম্বন্ধে অবহিতকরণ, আদেশ-নির্দেশন প্রদান, পরামর্শ দান ইত্যাদি কাজ। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে পরিকল্পনামাফিক কাজ সম্পাদন করতে কর্মীদের আদেশ, নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন পড়ে।
উদ্দীপকে সুমী ফ্যাশন লি. রপ্তানিকৃত ও সরবরাহকৃত পণ্যের গুণগত মানের ওপর সবসময় গুরুত্ব দেয়। কিন্তু বিগত বছর যথাযথ উপদেশের অভাবে রপ্তানিকৃত পণ্যের গুণগতমান খারাপ হওয়ায় বিদেশি ক্রেতাগণ তাদের পণ্যের অর্ডার বাতিল করে।
এক্ষেত্রে সুমী ফ্যাশন কর্মীদেরকে প্রয়োজনীয় আদেশ দান, তথ্য ও পরামর্শ দানে ব্যর্থ হয়। ফলে ক্রেতাদের চাহিদা মতো পণ্য উৎপাদিত হয়নি। এসব ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা কাজের বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তাই বলা যায়, ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা কাজটির অভাবে প্রতিষ্ঠানটি রপ্তানিকৃত পণ্য সঠিকভাবে সরবরাহ করতে পারেনি।
ঘ উত্তর: ক্রেতার চাহিদা পূরণের জন্য সুমী ফ্যাশন লি. নির্দেশনা দান বিষয়টির ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে পারে বলে আমি মনে করি।
নির্দেশনা দানের মাধ্যমে কর্মীদের প্রয়োজনীয় আদেশ, নির্দেশ ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন ও কর্মীদেরকে দক্ষভাবে পরিচালনা করতে নির্দেশনা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
উদ্দীপকে সুমী ফ্যাশন লি. রপ্তানিকৃত ও সরবরাহকৃত পণ্যের মানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। কিন্তু যথাযথ উপদেশ দানের অভাবে রপ্তানিকৃত পণ্যের গুণগত মান খারাপ হয়। ফলে প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের সাথে রাখা অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হয়।
এক্ষেত্রে সুমী ফ্যাশন লি. কর্মীদের পণ্যের মান সম্পর্কে দক্ষ কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে পারে। এছাড়া প্রয়োজনীয় আদেশ, নির্দেশ ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে পণ্যের গুণগত মান রক্ষায় কাজ করতে পারে।
নির্দেশনা দানের মাধ্যমে কর্মীদের কাজের তদরকি করতে পারে, যা ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় ভ‚মিকা পালন করবে। আবার যথাযথ নির্দেশনা কর্মীদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
ফলে সঠিক সময়ে পণ্য উৎপাদন করা যায়। এর মাধ্যমে ক্রেতার চাহিদা পূরণ করতে পারবে। তাই বলা যায়, ক্রেতার চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিষ্ঠানটি নির্দেশনা দানের ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে পারে।
প্রশ্নঃ ১৮ জনাব তামিম একটি কৃষি ফার্মের কর্মকর্তা। তার ফার্মে আগে লাঙ্গল দিয়ে চাষ হতো। তিনি লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর ব্যবহার করেন। তামিম কৃষি শ্রমিকদের কাছাকাছি থেকে তাদের কাজের খোঁজ-খবর নেন। তাছাড়া ফার্মের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত তিনি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দেন। অ [গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ]
ক. প্রশাসন কী? ১
খ. নির্দেশনার ঐক্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জনাব তামিমের কাজ ব্যবসায় ক্ষেত্রে সংঘটিত কোন বিপ্লবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব তামিমের ব্যবস্থাপনার মধ্য স্তরে অবস্থান করা কতটুকু যৌক্তিক? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ স্তর যেখানে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, কৌশল ও নীতি নির্ধারণ করা হয় তাকে প্রশাসন বলে।
খ উত্তর: একই ধরনের নির্দেশনার মাধ্যমে কর্মীদের কাজ করতে বলা হলে তাকে নির্দেশনার ঐক্য বলা হয়।
সব শ্রেণি ও বিভাগের কর্মীদের মধ্যে একই রকম কাজের দিকনির্দেশনা দিতে হয়। প্রতিষ্ঠানে সবাই একই উদ্দেশ্যে কাজ করেন। তাই কাজের ধরন ও পদ্ধতি একই হলে ভালো হয়।
নির্দেশনা সবসময় একই রকম না হলে কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে যথাসময়ে মানসম্মত কাজ সম্পাদন করতে পারেন না। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য অর্জন ব্যাহত হয়।
গ উত্তর: জনাব তামিমের কাজ ব্যবসায় ক্ষেত্রে সংঘটিত বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার বিপ্লবের সাথে সম্পর্কিত।
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা হলো গতানুগতিক পদ্ধতির পরিবর্তে পরিকল্পিত রীতিনীতির আলোকে প্রতিষ্ঠানের শ্রম ও উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল। এটি ব্যবস্থাপনার আধুনিক রূপ। এ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের সব উপকরণের সদ্ব্যবহার হয়।
উদ্দীপকে জনাব তামিম একটি কৃষি ফার্মে কর্মরত। তার ফার্মে আগে লাঙ্গল দিয়ে চাষ হতো। তিনি লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর ব্যবহার করেন। তিনি গতানুগতিক পদ্ধতির চেয়ে দ্রুত ও উত্তম উপায়ে চাষাবাদ করতে পারছেন।
এ ব্যবস্থায় শ্রম ও সময় কম লাগছে। লাঙ্গল দ্বারা উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে উৎপাদনশীলতা বাড়ছে। এসব বৈশিষ্ট্য বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায় জনাব তামিম বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনায় চাষাবাদ করেন, যা আধুনিক ব্যবস্থাপনার বিপ্লবের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
ঘ উত্তর: জনাব তামিমের ব্যবস্থাপনার মধ্য স্তরে অবস্থান করা খুবই যৌক্তিক বলে আমি মনে করি।
ব্যবস্থাপনা হলো একটি সুসংবদ্ধ ও ধারাবাহিক কার্যাবলি। ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি বা প্রক্রিয়া বাস্তবায়নকারীদের বিভিন্ন (উচ্চ, মধ্য ও নি) পর্যায়ই হলো ব্যবস্থাপনার স্তর। প্রতিষ্ঠানের নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মধ্য স্তরের ব্যবস্থাপক নি স্তরের কর্মীদের নির্দেশ প্রদান করে।
উদ্দীপকে জনাব তামিম কৃষি শ্রমিকদের কাছাকাছি থেকে কাজের খোঁজ-খবর নেন। তাছাড়া ফার্মের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত তিনি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দেন। এভাবে তিনি সুপারভাইজার বা ফোরম্যানের কাজ করেন।
জনাব তামিম নিস্তরের কর্মীদের মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করেন। তিনি উচ্চস্তরে থাকলে কাজের সুষ্ঠু সমন্বয়সাধন করতে পারতেন না। যদি তিনি মধ্য স্তরে থাকেন তাহলে ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক কৌশল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সহজে বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
মধ্য স্তরে থেকে তিনি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন। আবার ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা তিনি কর্মীদের দিতে পারবেন। ফলে দুটি পক্ষের কাছে তথ্যের সুষ্ঠু সমন্বয় হবে।
তাই বলা যায়, জনাব তামিমের মধ্য স্তরে থেকে ব্যবস্থাপনার কার্য সম্পাদন করা খুবই যৌক্তিক।
প্রশ্নঃ ১৯ কিংস কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বনভোজনে যাবে। অধ্যক্ষ স্যার শিক্ষকদের সভায় চাঁদার পরিমাণ, তারিখ ও স্থান ঠিক করে চাঁদা সংগ্রহ, বাস জোগাড়, খাবার ব্যবস্থা-এভাবে কাজকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করেন এবং কয়েকজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ তাদের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে মাঝে-মধ্যেই বসে সভা করে কারও কোনো অসুবিধা থাকলে তা দূর করার চেষ্টা করেন। সকলের সহযোগিতামূলক মনোভাব ও সম্পৃক্ততার কারণে বনভোজন সফলভাবে শেষ হয়। অ [নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজ, কুমিলা কমার্স কলেজ]
ক. আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক কে? ১
খ. ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. অধ্যক্ষ স্যারের বিভিন্ন শিক্ষকগণের মধ্যে কাজ ভাগ করে দেয়া ব্যবস্থাপনার কোন কাজ সংশ্লিষ্ট? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ ব্যবস্থাপনার কোন কাজ গুরুত্বের সাথে করার কারণে বনভোজন সফল হয়েছে? তার যথার্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক হেনরি ফেয়ল।
খ উত্তর: লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদসমূহকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াকে ব্যবস্থাপনা বলে।
ব্যবস্থাপনার প্রতিটি কাজ ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন হয়। এর কোনো একটি কাজের ব্যত্যয় ঘটলে অন্য কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় না।
এজন্য ব্যবস্থাপক নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানের কার্যাদি সম্পাদনের চেষ্টা করেন। এভাবে মানবীয় (শ্রমিক-কর্মী) ও অমানবীয় (যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল) সম্পদ ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন করার কৌশলই হলো ব্যবস্থাপনা।
গ উত্তর: অধ্যক্ষ স্যারের বিভিন্ন শিক্ষকগণের মধ্যে কাজ ভাগ করে দেওয়া ব্যবস্থাপনার সংগঠন কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট।
সংগঠনের মাধ্যমে কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ এবং পারস্পরিক সম্পর্ক নির্দিষ্ট করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের মানবীয় (শ্রমিক-কর্মী) ও অমানবীয় (যন্ত্রপাতি কাঁচামাল) উপাদান সংগ্রহ, একত্রিত ও সমন্বয় করা হয়।
উদ্দীপকে কিংস কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বনভোজনে যাবে। এজন্য অধ্যক্ষ স্যার সভা করলেন। সভায় চাঁদার পরিমাণ, তারিখ ও স্থান ঠিক করলেন। পরবর্তীতে চাঁদা সংগ্রহ, বাস ভাড়া ইত্যাদি কাজ কয়েকটি ভাগে ভাগ করেন।
অতঃপর একেকটি বিভাগের দায়িত্ব একেকজন শিক্ষককে দেন। এভাবে কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগ করে দায়িত্ব বণ্টন করা সংগঠন প্রক্রিয়ার কাজ। তাই বলা যায়, অধ্যক্ষ স্যারের কাজ সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট।
ঘ উত্তর: দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ের কাজ গুরুত্বের সাথে করার কারণে বনভোজন সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সমন্বয়সাধন হলো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিটি বিভাগ, উপবিভাগের কাজকে সংযুক্ত করা। এর মাধ্যমে দলীয় প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করা হয়। প্রতিষ্ঠানের কাজ সমন্বয় করার ফলে উদ্দেশ্য অর্জন সহজ হয়।
উদ্দীপকে কিংস কলেজের শিক্ষকগণ বনভোজনে যাবার জন্য কাজগুলো অধ্যক্ষ স্যারের মাধ্যমে ভাগ করে নেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ তাদের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে মাঝে মধ্যেই বসে সভা করেন। কাজে কোনো সমস্যা থাকলে তারা তা সমাধান করে নেন।
বনভোজনের শুরুতেই অধ্যক্ষ সব শিক্ষকদের সাথে যেন যোগাযোগ থাকে সেজন্য সভা করেন। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ সৃষ্টি হয়। আবার ঐক্যবদ্ধভাবে শিক্ষকরা দায়িত্বের বিষয়ে আলোচনা করে। ত্র“টি থাকলে সমাধান করেন।
ফলে কাজের মধ্যে ভারসাম্য বিরাজ করে, যা সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। তাই বলা যায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ বনভোজনের জন্য শুরু থেকেই যে সমন্বয়সাধন করেছেন তা সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
প্রশ্নঃ ২০ শাকিল খান ‘শাকিল এন্টারপ্রাইজ’-এর কর্ণধার। তিনি প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পরিচালক, সচিবসহ বিভিন্ন বিভাগের কাজে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেন। তাদের কাজের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও মূলধনের প্রয়োজন হয় তা সময়মতো সরবরাহ করেন। নীতি নির্ধারকরা প্রতিষ্ঠানের জন্য যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তা সকলে মিলে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটি সাফল্য পায়। [রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. ব্যবস্থাপনা কী ১
খ. বিকেন্দ্রীকরণ কাকে বলে? ২
গ. শাকিল খান কোন স্তরের ব্যবস্থাপক? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে নীতি নির্ধারক কে এবং কারা সেটি বাস্তবায়ন করেন? বিশ্লেষণ করো। ৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: পরিকল্পনা, সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদসমূহকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াকে ব্যবস্থাপনা বলে।
খ উত্তর: সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্পূর্ণ ক্ষমতা উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপনার হাতে না রেখে মধ্য ও নি স্তরের ব্যবস্থাপকদের কাছে প্রদান করাকে বিকেন্দ্রীকরণ বলে। অ
বিকেন্দ্রীকরণের ফলে প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের ভ‚মিকা বাড়ে।
অধস্তন কর্মীরা কাজের প্রতি মনোযোগ দেয়। কারণ অনেক সময় কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য এবং নীতি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করতে পারে। এছাড়া প্রাপ্ত ক্ষমতা কর্মীদেরকে কাজে উৎসাহিত করে।
গ উত্তর: শাকিল খান উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপক।
ব্যবস্থাপনার উচ্চ স্তরে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও কৌশল নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণের কাজ করা হয়। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ, কোম্পানি সচিব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ এ স্তরের ব্যবস্থাপনার অন্তর্গত।
উদ্দীপকে জনাব শাকিল খান ‘শাকিল এন্টারপ্রাইজ’-এর কর্ণধার বা প্রতিষ্ঠাতা। তিনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য পরিচালক, সচিবসহ বিভিন্ন বিভাগের কাজে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণ করেন।
তিনি প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও মূলধন সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তা বাস্তবায়নের জন্য অধস্তনদের নির্দেশনা দেন, যা উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপনার সাথে সামঞ্জ্যস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, শাকিল খান উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপক।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারক হলেন শাকিল খান। পরিচালক, সচিব এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ নীতি বাস্তবায়ন করেন। অ
ব্যবস্থাপনার উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপকদের কাজ হলো প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করা। আর প্রতিষ্ঠানের নিচের স্তরের কর্মীরা দক্ষভাবে কাজ করে লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন।
উদ্দীপকে শাকিল খান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানের সচিব এবং পরিচালক নিয়োগ করেন। তারা এক সাথে প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণ করে পরিকল্পনা অনুযায়ী সব বিভাগের কর্মীদের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেন।
প্রতিষ্ঠানে জনাব শাকিল খান ব্যবস্থাপনার উচ্চ স্তরে অবস্থান করেন। আর উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপনার কাজ প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কৌশল নির্ধারণ করা।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকতা ও কর্মচারীগণ। তাই বলা যায়, শাকিল প্রতিষ্ঠানের প্রধান নীতিনির্ধারক এবং বিভাগীয় কর্মকতা ও কর্মচারীগণ তা বাস্তবায়ন করেন।
প্রশ্নঃ ২১
[রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. ৬গ-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. ‘ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন’- ব্যাখ্যা করো। ২
গ. চক্রের ঢ চিহ্নিত ঘরে কোন কাজটির অনুপস্থিতি রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ণ চিহ্নিত ঘরের কাজের সাথে পরিকল্পনার সম্পর্ক কী? বিশ্লেষণ করো। ৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ৬গ-এর পূর্ণরূপ হলো Men, Machine, Material, Money, Market I Method.
খ উত্তর: ব্যবস্থাপনার সর্বজনীনতা বলতে সর্বত্র, সব ক্ষেত্রে, সকলের জন্য ব্যবস্থাপনা জ্ঞানের আবশ্যকতা ও প্রয়োগ যোগ্যতাকে বোঝায়।
পরিবার, রাষ্ট্র এবং ব্যবসায় সংগঠনের সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি (পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, নির্দেশনা, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ) প্রয়োগ করা হয়। স্থানীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি, সামাজিক রীতি-নীতি ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। তবে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। তাই ব্যবস্থাপনাকে সর্বজনীন বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে চক্রের ঢ চিহ্নিত স্থানে ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থান কাজটি অনুপস্থিত আছে।
প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য ও দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্মী সংগ্রহ, নির্বাচন, নিয়োগ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজই হলো কর্মীসংস্থান। কর্মীর অবসর গ্রহণ, চাকরি থেকে অব্যাহতি দান ইত্যাদি কারণে প্রতিষ্ঠানে সারা বছরই কর্মীসংস্থানের কাজ চলতে থাকে।
উদ্দীপকে ঢ চিহ্নিত স্থানে কর্মীসংস্থানের কাজ বাদ পড়েছে। কারণ ব্যবস্থাপনা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর সাতটি কাজ যথা: পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন ও নিয়ন্ত্রণ কাজ চক্রকারে আবর্তিত হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজকে ভাগ করে তা কর্মীর দায়িত্ব ও কর্তব্য অনুসারে বণ্টন করা হয়, যা সংগঠন কাজের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়। আবার সংগঠন কাজকে সুদৃঢ় ও লক্ষ্যপানে পৌঁছাতে কর্মীসংস্থান প্রয়োজন হয়। তাই বলা যায়, পরিকল্পনা এবং সংগঠন কাজের পর কর্মীসংস্থান করা হয়, যা ঢ চিহ্নিত স্থানে বসবে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে ণ চিহ্নিত স্থানটি ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ কাজ, যা পরিকল্পনার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
পরিকল্পনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানে কী কাজ, কখন, কীভাবে, কে করবে ইত্যাদি বিষয়ে অগ্রিম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজ হচ্ছে কিনা তা দেখা, বিচ্যুতি নির্ণয় ও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উদ্দীপকে পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা চক্রে সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা দান, প্রেষণা ও সমন্বয়সাধন করা হয়েছে। চিত্রে ণ স্থানে ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ কাজটি রয়েছে। পরিকল্পনার আলোকেই নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম সম্পাদিত হয়।
প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। আর পরিকল্পনা মাফিক কাজ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা হয় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। ভুল হলে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ সংশোধনমূলক ব্যবস্থা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তাই বলা যায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ভুল সংশোধন করে পরবর্তী পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়। এ কাজ দু’টি একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
প্রশ্নঃ ২২
[চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. ব্যবস্থাপনা কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন-ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের ১নং(?) চিহ্নিত স্থানে কী বসবে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘১নং (?) চিহ্নিত এর বাস্তবায়নে ৩নং (?) চিহ্নিত কাজের গুরুত্ব সর্বাধিক’। যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদসমূহকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াকে ব্যবস্থাপনা বলে।
খ উত্তর: ব্যবস্থাপনার সর্বজনীনতা বলতে সর্বত্র, সব ক্ষেত্রে, সকলের জন্য স্বীকৃত ব্যবস্থাপনা জ্ঞানের আবশ্যকতা ও প্রয়োগ যোগ্যতাকে বোঝায়।
পরিবার, রাষ্ট্র এবং ব্যবসায় সংগঠনের সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি (পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, নির্দেশনা, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ) প্রয়োগ করা হয়।
স্থানীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি, সামাজিক রীতি-নীতি ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। তবে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। তাই ব্যবস্থাপনাকে সর্বজনীন বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকের ১ নং স্থানে ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা কাজটি বসবে।
পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কোন কাজ, কীভাবে, কখন, কার দ্বারা করতে হবে সে সম্পর্কে আগেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনা করতে হয়। এতে কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হয়। ফলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।
উদ্দীপকে ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি ধারাবাহিকভাবে উলেখ করা হয়েছে। ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় প্রথমে পরিকল্পনা কাজটি সম্পাদন করতে হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কাজ সংগঠিতকরণ করা হয়।
যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে কর্মীসংস্থান, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ কাজগুলো বাস্তবায়ন সহজ হয়। ব্যবস্থাপনার কাজগুলো মূলত পরিকল্পনার আলোকেই করা হয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ব্যবস্থাপনা কার্যাবলির প্রাথমিক অবস্থানে ‘পরিকল্পনা’ কাজটি বসবে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে বর্ণিত ৩ নং কাজটি হলো কর্মীসংস্থান। এটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে বলে আমি মনে করি।
কর্মীসংস্থান হলো প্রয়োজনীয় কর্মীসংগ্রহ, নির্বাচন ও প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কাজের সমষ্টি। নির্বাহীগণ পরিকল্পনা অনুযায়ী দক্ষ কর্মীবাহিনী তৈরি করেন। কারণ দক্ষ ও যোগ্য কর্মী তার সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে কাজ করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।
উদ্দীপকে পরিকল্পনার আলোকে (সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নেতৃত্ব, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ) ব্যবস্থাপনার যাবতীয় কাজ পরিচালিত হয়। চিত্রে ৩নং স্থানে ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থান কাজটি রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কর্মীসংস্থানের কাজ করতে হয়।
প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রথমেই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। আর তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন দক্ষ কর্মীবাহিনী। কর্মীসংস্থানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ দেয়া হয়। এই কর্মীবাহিনীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানো হয়।
কর্মীগণ পরিকল্পনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ দক্ষতার সাথে কাজ করে। ফলে কাজের ভুলত্র“টি কম হয় এবং অধিক উৎপাদন সম্ভব হয়; যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। তাই বলা যায়, প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যোগ্য কর্মীবাহিনীর গুরুত্ব সর্বাধিক।
প্রশ্নঃ ২৩
[চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
ক. বিকেন্দ্রীকরণ কি? ১
খ. ব্যবস্থাপনা কি একটি পেশা? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের ‘খ’ উলিখিত স্থানে ব্যবস্থাপনার কোন কাজ রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত ‘ক’ স্থানের কাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। ৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নিচের পর্যায়ের ব্যবস্থাপকদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হলে তাকে বিকেন্দ্রীকরণ বলে।
খ উত্তর: যখন কোনো ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অর্জন করে সেই জ্ঞানকে কার্যক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে জীবিকা উপার্জন করেন, তখন সেটিকে পেশা বলে।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে ব্যবস্থাপকদের ব্যবস্থাপনার নীতি ও কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
বর্তমানে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে তা কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করে অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাই ব্যবস্থাপনাকে পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকের ‘খ’ উলিখিত স্থানে ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থান কাজটি রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য ও দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্মী সংগ্রহ, নির্বাচন, নিয়োগ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজই কর্মীসংস্থান। কর্মীর অবসর গ্রহণ, চাকরি থেকে অব্যাহতি দান ইত্যাদি কারণে বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানে সারা বছরই কর্মীসংস্থানের কাজ চলতে থাকে।
উদ্দীপকে ‘খ’ উলিখিত স্থানে ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থানের কাজটি করতে হয়। ব্যবস্থাপনার কাজ সাতটি যথা: পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ। এ কাজগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পাদিত হয়।
উদ্দীপকের চিত্রে, ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় সংগঠনের পরের কাজ কর্মীসংস্থান। এ কর্মীসংস্থানের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের সব কাজ সম্পাদিত হয়, যা চিত্র থেকে বাদ পড়েছে। সুতরাং চিত্রের ‘খ’ স্থানটি ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থান কাজকে নির্দেশ করে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের ‘ক’ চিহ্নিত কাজটি হলো পরিকল্পনা, যা ব্যবস্থাপনা চক্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্যতে কোন কাজ, কীভাবে হবে তা আগেই ঠিক করা হলো পরিকল্পনা। এটি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার প্রথম কাজ। পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থাপনার অন্যান্য (সংগঠন, নির্দেশনা, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ) কাজ ধারাবাহিকতা মেনে সম্পন্ন করা হয়।
উদ্দীপকে ‘ক’ চিহ্নিত স্থানটি পরিকল্পনাকে নির্দেশ করে। পরিকল্পনার আলোকেই সংগঠন, কর্মীংসংস্থানসহ ব্যবস্থাপনার অন্যান্য কাজগুলো পরিচালিত হয়। আর নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা আদর্শমান হিসেবে ভ‚মিকা পালন করে। ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনাকে অন্যান্য কাজের ভিত্তি বলা হয়।
প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এতে কোন কাজ কে করবে, কখন করবে, কত সময়ের মধ্যে করবে ইত্যাদি নির্ধারণ করা থাকে। কর্মীদের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট থাকে।
ফলে এতে যেকোনো কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায়। সঠিক পরিকল্পনার ওপরই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে। তাই বলা হয়, পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনা চক্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
প্রশ্নঃ ২৪
[সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক. ব্যবস্থাপনা কী? ১
খ. প্রশাসন থেকে ব্যবস্থাপনা কীভাবে আলাদা? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. ব্যবস্থাপনা চক্রে ‘খ’ চিহ্নিত স্থানে কোন কাজটির অভাব অনুভ‚ত হচ্ছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত “ব্যবস্থাপনা চক্রে ‘ক’ চিহ্নিত কাজটি অন্যান্য কাজের মূল ভিত্তি” তোমার মতামত দাও। ৪
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয়সাধন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদসমূহকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াকে ব্যবস্থাপনা বলে।
খ উত্তর: প্রশাসন থেকে ব্যবস্থাপনার পার্থক্য নিচে তুলে ধরা হলো
প্রশাসন ব্যবস্থাপনা
১. দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও নীতিমালা প্রণয়ন, পরিচালনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং উচ্চ পর্যায়ের তত্তাবধান সংক্রান্ত কার্যাবলির সাথে প্রশাসন সম্পৃক্ত। ১. পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠিতকরণ, কমীংসংস্থান সমন্বয়সাধন, প্রেষণা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজের সাথে ব্যবস্থাপনা জড়িত।
২. প্রশাসন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। ২. প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কাজ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করা হয়।
৩. প্রশাসনের যারা কাজ করেন তারা প্রশাসক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা। ৩. ব্যবস্থাপনার সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তারা ব্যবস্থাপক।
৪. প্রশাসন পরিচালনা পর্ষদের কাছে দায়ী থাকে। ৪. ব্যবস্থাপনা সরাসরি প্রশাসনের কাছে দায়ী থাকে।
গ উত্তর: উদ্দীপকের ব্যবস্থাপনা চক্রে ‘খ’ চিহ্নিত স্থানে নির্দেশনা হবে।
প্রতিষ্ঠানের কর্মী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান, তত্তাবধান, উপদেশ ও পরামর্শ প্রদান ও অনুসরণ কাজকে নির্দেশনা বলে। এতে কর্মীদের কে কী কাজ করবে এ বিষয়ে সময়ে সময়ে আদেশ-নির্দেশ প্রদান করা হয়।
উদ্দীপকে ব্যবস্থাপনা চক্র দেখানো হয়েছে। ‘খ’ চিহ্নিত স্থানটিতে নির্দেশনা কাজটি বসবে। ব্যবস্থাপনার কাজ সাতটি। যথা: পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ।
ব্যবস্থাপনার কাজগুলো পর্যায়ক্রমে পরিচালিত হয়। কর্মীসংস্থানের পরে তাদের কাজের নির্দেশনা দিতে হয়, যা উদ্দীপকের চিত্র থেকে বাদ পড়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের চক্রে ‘খ’ চিহ্নিত স্থানে নির্দেশনার অভাব অনুভ‚ত হচ্ছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের ব্যবস্থাপনা চক্রে ‘ক’ চিহ্নিত কাজটি হলো পরিকল্পনা, যাকে অন্যান্য কাজের ভিত্তি বলা হয়।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্যতে কী করা হবে তা আগেই ঠিক করাকে পরিকল্পনা বলে। এটি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার প্রথম কাজ। পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থাপনার অন্যান্য (সংগঠন, কমীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ) কাজ ধারাবাহিকতা মেনে সম্পন্ন করা হয়।
উদ্দীপকে ‘ক’ চিহ্নিত স্থানটি পরিকল্পনাকে নির্দেশ করে। পরিকল্পনার আলোকেই সংগঠন, কর্মীসংস্থানসহ ব্যবস্থাপনার অন্যান্য কাজগুলো পরিচালিত হয়। আর নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা আদর্শমান হিসেবে ভ‚মিকা পালন করে।
ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা ছাড়া অন্যান্য কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায় না। প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এতে কোন কাজ কে করবে, কখন করবে, কত সময়ের মধ্যে করবে ইত্যাদি নির্ধারণ করা থাকে।
পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার জন্যই কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। অতঃপর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ পরিচালিত হচ্ছে কিনা তার জন্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করা হয়। ফলে অন্যান্য কাজগুলো সঠিকভাবে শেষ করা যায়। তাই পরিকল্পনাকে অন্যান্য কাজের মূল ভিত্তি বলা হয়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ২৫ প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি জনাব তানভির আহমদ। দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তিনি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনেকটাই দক্ষ। তত্ত¡াবধানের পাশাপাশি তিনি কারখানার যন্ত্রপাতিগুলোর সঠিক পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তিসম্পন্ন স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি যুক্ত হওয়ায় সঠিকভাবে পরিচালনা করা তার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
[জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক. বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কী? ১
খ. ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের উপকরণাদির সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কীভাবে? ২
গ. জনাব তানভির আহমদ কোন স্তরের ব্যবস্থাপক? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ব্যক্তিগত সমস্যা নিরসনে জনাব তানভিরকে কোন ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতার উন্নয়ন করা প্রয়োজন? বিশ্লেষণ করো। ৪
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিচার-বিশ্লেষণ ও সুপরিকল্পিত নীতির আলোকে প্রতিষ্ঠানের শ্রম ও উৎপাদন বাড়ানোর কৌশলকে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা বলে।
খ উত্তর: প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য অন্যদের দিয়ে কাজ আদায় করার কৌশলকে ব্যবস্থাপনা বলে।
প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানবীয় ও অমানবীয় (যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, অর্থ) সম্পদ ব্যবহার করা হয়। এসব সম্পদের মধ্যে মানব সম্পদের গুরুত্ব বেশি।
কারণ অমানবীয় উপকরণগুলো (যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, অর্থ) মানব সম্পদই কাজে লাগায়। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অন্যান্য উপাদানগুলো সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে।
গ উত্তর: জনাব তানভির আহমদ নি স্তরের ব্যবস্থাপক।
নি স্তরের ব্যবস্থাপনা হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্ষেত্রে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মীদের কাজের তদারকি করা। প্রতিষ্ঠানের কর্মনায়ক, তত্ত¡াবধায়ক, ফোরম্যান, অফিস সুপার, শাখা ব্যবস্থাপক ইত্যাদি এ স্তরের ব্যবস্থাপনার অন্তর্গত।
উদ্দীপকে জনাব তানভির প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তিনি কর্মীদের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ করেন। তিনি কাজের প্রয়োজনীয় আদেশ-নির্দেশ প্রদান করেন।
এভাবে তিনি কর্মীদের দ্বারা কাজ বাস্তবায়ন করেন। অর্থাৎ জনাব তানভির ফোরম্যান বা সুপার ভাইজারের দায়িত্ব পালন করেন; যা নি স্তরের ব্যবস্থাপনার কাজের অন্তর্ভুক্ত। তাই বলা যায়, জনাব তানভির নি স্তরের ব্যবস্থাপক।
ঘ উত্তর: ব্যক্তিগত সমস্যা নিরসনে জনাব তানভিরকে কারিগরি দক্ষতায় উন্নয়ন করতে হবে।
ব্যবস্থাপনা হলো একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমান পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে ব্যবস্থাপনার কাজ সম্পাদন করা একটি অন্যতম কৌশল। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষ ও যোগ্য করে তোলা যায়।
উদ্দীপকে জনাব তানভির একজন নি স্তরের ব্যবস্থাপক। তিনি কর্মীদের তদারক করার পাশাপাশি কারখানার যন্ত্রপাতিগুলোর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তিসম্পন্ন যন্ত্রপাতি যুক্ত হওয়ায় সঠিকভাবে পরিচালনা করা তার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
আধুনিক যুগ তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর। প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যবস্থা সহজ ও কর্মীদের কাজের গতি বাড়াতে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
তাই জনাব তানভির কম্পিউটার বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন। ফলে তিনি অতি সহজে পরিকল্পনামাফিক প্রযুক্তিসম্পন্ন স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন।
সুতরাং, জনাব তানভির কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সমস্যা নিরসন করে ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতার উন্নয়ন করতে পারবেন বলে আমি মনে করি।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।