ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ২১-২৫ | PDF: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ২১ মি. হিমেল বিকোবি এন্ড সন্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি ত্যন্ত দক্ষতার সাথে ব্যবসায়িক কার্য পরিচালনা করায় ব্যবসায়িকভাবে তিনি বেশ সফল। ঢাকায় তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের হেড ফিস থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার ব্যবসায় বিস্তৃত। প্রতিটি দেশে তার প্রতিনিধি রয়েছে। সব সময় কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিনিধিদের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করেন। ব্যবসায়ের সার্বিক বস্থা পর্যালোচনা ও করণীয় নির্দেশনার জন্য মাঝে মধ্যে বস্থানগত দূরত্ব থাকা সত্তে¡ও ইলেকট্রনিক কৌশল ব্যবহার করে আলোচনা নুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেন। এ ধরনের আলোচনা তার ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। [হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা]
ক. এনকোডিং কী? ১
খ. যোগাযোগ প্রক্রিয়া বলতে কী বুঝায় (চিত্র সহ)? ২
গ. উদ্দীপকে বিকোবি এন্ড সন্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কীভাবে বার্তা আদান-প্রদান করেন- ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বৃহদায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় যে আলোচনা নুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে তা উলেখ করে উদ্দীপকের আলোকে তার যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রাপকের বোঝার সুবিধার জন্য প্রেরতি সংবাদ শব্দ বা প্রতীকের সাহায্যে সাজানো হলে তাকে এনকোডিং বলা হয়।
খ উত্তরঃ যোগাযোগ প্রক্রিয়া বলতে সম্পর্কযুক্ত কতগুলো পদক্ষেপ (প্রেরক, এনকোডিং, মাধ্যম, প্রাপক, ডিকোডিং)-এর সমষ্টিকে বুঝায়। নিে যোগাযোগ প্রক্রিয়ার চিত্র দেয়া হলো-
চিত্র: যোগাযোগ প্রক্রিয়া
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বিকোবি এন্ড সন্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ‘ই-মেইলে’ বার্তা আদান-প্রদান করে থাকেন। ইন্টারনেট সংযোগের সাহায্যে এক কম্পিউটার থেকে ন্য কম্পিউটারে যোগাযোগ করাকে ই-মেইল বলে। বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে তথ্য আদান-প্রদানে এটি ব্যবহার করা যায়। এতে প্রেরক ও প্রাপকের নির্দিষ্ট ই-মেইল ঠিকানা প্রয়োজন হয়।উদ্দীপকে ‘বিকোবি এন্ড সন্স’-এর হেড ফিস ঢাকায় বস্থিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের ব্যবসায় বিস্তৃত।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. হিমেলের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে তিনি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্যের আদান-প্রদান করেন। এতে সরাসরি উপস্থিত না থেকেও তিনি সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। তাছাড়া দ্রুত তথ্যের আদান-প্রদান সম্ভব হয়। এ ধরনের বৈশিষ্ট্যের সাথে ই-মেইলের মিল রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের ‘বিকোবি এন্ড সন্স’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ‘ই-মেইল’-এর মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদান করেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে ‘ভিডিও কনফারেন্সিং’-এর মাধ্যমে আলোচনা করার কথা বলা হয়েছে, যা বৃহদায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় যথার্থ। ই
দূরবর্তী স্থানে বস্থান করেও সভা বা আলোচনা নুষ্ঠানের জন্য ভিডিও কনফারেন্সিং এক ধরনের টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থা। এতে টেলিভিশন বা মনিটরের পর্দায় সভায় ংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগণ একজন আরেকজনকে দেখতে পান। এছাড়া শব্দও শোনা যায়। তাই যেকোনো সভা দূরে বসেও সহজে সম্পাদন করা যায়।
উদ্দীপকে ‘বিকোবি এন্ড সন্স’ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনায় ইলেকট্রনিক কৌশল ব্যবহার করে থাকেন। এতে দূরে বস্থান করেও সহজে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। এ ধরনের আলোচনা তাদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিচ্ছে।
ইলেকট্রনিক কৌশল ব্যবহার করে ‘বিকোবি এন্ড সন্স’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ন্য দেশের প্রতিনিধিদের সাথে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। একই সাথে ছবি দেখা ও শব্দ শোনার ফলে দূরবর্তী স্থানে থেকেও সভায় ংশগ্রহণ করা যায়। এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয়। ঢাকায় থেকেও মি. হিমেল ন্য দেশে তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এতে সময় ও শ্রম উভয়ই সাশ্রয় হয়। ব্যবসায়িক কার্যক্রমও নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে। তএব, বৃহদায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ভিডিও কনফারেন্সিং-এর ব্যবহার উদ্দীপকের আলোকে যথার্থ বলে আমি মনে করি।
প্রশ্নঃ ২২ ব্যবস্থাপক মিস সোহানা উৎপাদন বিভাগের সবকিছু দেখাশোনা করেন। তিনি বিক্রয় বিভাগের একজন কর্মীকে ডেকে তার বিভাগের যে জায়গাগুলোতে সমন্বয়ের, ভাবে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা ভালো করে বুঝিয়ে দিলেন এবং পরবর্তী করণীয় বলে দিলেন। এতেও যখন সমস্যার সমাধান হলো না তখন বিক্রয় বিভাগের কর্মী তার ভুল স্বীকার করলো না বরং জানালো এরকম কোনো নির্দেশনা তাকে দেওয়া হয়নি। [ঢাকা সিটি কলেজ]
ক. ফলাবর্তন কী? ১
খ. আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বলতে কী বুঝায়? ২
গ. সংগঠনের স্তর বিচারে মিস সোহানা কোন ধরনের যোগাযোগ সম্পন্ন করেছিলেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কোন ধরনের যোগাযোগ সম্পাদন করা হলে উদ্দীপকের সমস্যাটি সমাধান হতো বলে তুমি মনে করো? ৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রেরকের সংবাদের প্রেক্ষিতে প্রাপকের উত্তর প্রদান বা সাড়া দেওয়াকে ফলাবর্তন (ঋববফনধপশ) বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতি, পদ্ধতি ইত্যাদি নুসরণ করে তথ্য আদান-প্রদান করাকে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বলে। যেমন: সাক্ষাৎকার, নোটিশ বা বিজ্ঞাপ্তি প্রদান, বক্তব্য প্রদান ইত্যাদি।
এ ধরনের যোগাযোগে প্রতিষ্ঠানের সব কর্ক উত্তরঃ র্ত-কর্মচারীকে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিয়ম-নীতি জানিয়ে দেওয়া হয়। এতে সবাই তাদের কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারে। এছাড়া এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বহিত করা হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য র্জন সম্ভব হয়।
গ উত্তরঃ সংগঠনের স্তর বিচারে মিস সোহানা কৌণিক যোগাযোগ সম্পন্ন করেছিলেন। এ যোগাযোগের মাধ্যমে সংগঠনের এক বিভাগের ঊর্ধ্বতন বা ধস্তন কর্মী ন্য বিভাগের ধস্তন বা ঊর্ধ্বতন কর্মীর সাথে তথ্য বিনিময় করে থাকে। এরূপ যোগাযোগে তথ্য ভিন্ন দু’টি বিভাগে কোনাকুনিভাবে প্রবাহিত হয়।উদ্দীপকের মিস সোহানা উৎপাদন বিভাগের সবকিছু দেখাশুনা করেন। তিনি বিক্রয় বিভাগের একজন কর্মীকে ডেকে তার বিভাগের যে জায়গাগুলোতে সমন্বয়ের ভাব আছে, তা ভালো করে বুঝিয়ে দিলেন। তঃপর তাকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বলে দিলেন।
উদ্দীপকে দেখা যায় মিস সোহানা উৎপাদন বিভাগের একজন ব্যবস্থাপক। তিনি উচ্চ স্তরের একজন কর্মী। কিন্তু বিক্রয় একটি আলাদা বিভাগ। এমনকি তিনি বিক্রয় বিভাগের যার সাথে যোগাযোগ করেছেন সে একজন নিস্তরের কর্মী। এতে দেখা যায়, তথ্য ভিন্ন দু’টি বিভাগে কোনাকুনিভাবে প্রবাহিত হয়েছে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে কৌণিক যোগাযোগ সম্পন্ন হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ আমি মনে করি, সমান্তরাল যোগাযোগ সম্পাদন করা হলে উদ্দীপকের সমস্যাটির সমাধান হতো। এ ধরনের যোগাযোগে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন (ক্রয়, বিক্রয়, র্থ, উৎপাদন) বিভাগের সমমর্যাদাভুক্ত কর্মচারীদের মধ্যে তথ্য বিনিময় হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা যায়।উদ্দীপকের মিস. সোহানা একজন উৎপাদন ব্যবস্থাপক। তিনি প্রয়োজনে ব্রিকয় বিভাগের একজন ধস্তন কর্মী ডেকে নেন। এতে তিনি তাকে তার জায়গাগুলোতে সমন্বয়ের ভাবে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা ভালো করে বুঝিয়ে দিলেন। তারপর তার করণীয়গুলো বলে দিলেন। তার এ কৌণিক যোগাযোগের ফলেও সমস্যার সমাধান হলো না। কিন্তু বিক্রয় বিভাগের কর্মী তার ভুল স্বীকার করলো না।
বরং সে জানালো তাকে এরকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এতে সমস্যা আরো জটিল হয়ে উঠল। এ বস্থায়, সমান্তরাল যোগাযোগ সম্পাদন করা হলে সমস্যাটি সমাধান হতো। কারণ এর মাধ্যমে সমমর্যাদাভুক্ত দু’জন কর্মীর মধ্যে তথ্য বিনিময় হতো। ফলে তারা পরস্পরের সমস্যা সম্পর্কে সহজেই উপলব্ধি করতে পারতো। তঃপর দু’জনে পরামর্শ করে সমস্যাটি সমাধানে সহজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারতো। এছাড়া তাদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠতো। কারো মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হতো না। সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু সমন্বয় ঘটতো। র্থাৎ, সমান্তরাল যোগাযোগ সম্পাদনের মাধ্যমে উদ্দীপকের সমস্যাটি সমাধান হতো।
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ২১-২৫ | PDF
প্রশ্নঃ ২৩ চজখ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মি. রাজেশ বার্ষিক সাধারণ সভায় বিভাগীয় ব্যবস্থাপকদের কাছে থেকে বিভাগীয় কাজের প্রতিবেদন জমা নেন। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগীয় কাজের বস্থা ও কাজের গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থাপকদের পরামর্শ নেন। সবশেষে মি. রাজেশ কোম্পানির লক্ষ্যমাত্রা র্জনের জন্য বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে কর্মীদেরকে দিক নির্দেশনা দেন এবং কোম্পানির পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে কার্য পরিকল্পনা নির্ধারণ করেন। [ঢাকা কমার্স কলেজ]
ক. যোগাযোগ কী? ১
খ. ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্বায়নকে ত্বরান্বিত করেছে’ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে তথ্য প্রবাহের ভিত্তিতে কোন ধরনের যোগাযোগ লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জনে মি. রাজেশের নুসৃত যোগাযোগ পদ্ধতির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ একাধিক ব্যক্তির মধ্যে তথ্য বা ভাবের আদান-প্রদানকে যোগযোগ বলে।
খ উত্তরঃ ইন্টারনেট নির্ভর যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান ও যোগাযোগ স্থাপন সংশ্লিষ্ট আধুনিক কম্পিউটার নির্ভর ব্যবস্থাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।এ প্রযুক্তির আবিষ্কার ও প্রসারের ফলে বিশ্বায়ন ব্যবস্থায় গতি এসেছে। এ প্রযুক্তির সুবাদে মুহূর্তেই বিশ্বের এক প্রান্তের তথ্য ন্য প্রান্তে পৌছে দেয়া যাচ্ছে। ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত কাজে পুরো বিশ্বই যেন আজ হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এজন্য বলা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্বায়নকে ত্বরান্বিত করেছে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে তথ্য প্রবাহের ভিত্তিতে উলম্ব যোগাযোগ লক্ষ করা যায়।এ ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠানের উচ্চ ও নি স্তরের ব্যক্তিবর্গের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান করা হয়। দুই পক্ষই তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করে। এতে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয। উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক বার্ষিক সাধারণ সভায় বিভাগীয় ব্যবস্থাপকদের কাছ থেকে বিভাগীয় কাজের প্রতিবেদন জমা নেন।
তিনি তাদের কাছ থেকে বিভাগীয় কাজের বস্থা ও গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থাপকদের পরামর্শ নেন। সবশেষে তিনি কোম্পানির লক্ষ্যমাত্রা র্জনের জন্য বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে কর্মীদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তাই দেখা যায়, তিনি ধীনস্থদের কাছ থেকে তথ্য গ্রহণ করছেন আবার তাদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা তথা তথ্য প্রদান করছেন। এভাবে এক্ষেত্রে উভয় দিক হতে তথ্য আদান প্রদান হচ্ছে। এজন্য একে উলম্ব যোগাযোগ বলা যায়।
ঘ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জনে মি. রাজেশের নুসৃত উলম্ব যোগাযোগ পদ্ধতিটি বশ্যই যৌক্তিক।সংগঠনের দুই স্তরের ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উলম্ব যোগাযোগ সংঘটিত হয়। এতে দুই পক্ষের কাছেই তথ্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকে। তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হয়।উদ্দীপকের চজখ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মি. রাশেদ। তিনি ব্যবস্থাপকদের কাছ থেকে পরামর্শ নেন। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য র্জনের জন্য তিনি কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেন। এতে উলম্ব যোগাযোগ সংঘটিত হয়।
এরূপ যোগাযোগের ফলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ধস্তনদের কাছ থেকে কার্যক্ষেত্রের বাস্তব বস্থা সম্পর্কে জানতে পারবে। আবার এ থেকে ধীনস্থরাও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মনোভাব ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারেন। এর ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির বসান ঘটে এবং সুসম্পর্ক বজায় থাকে। এভাবে প্রতিষ্ঠানের কার্যপরিবেশের উন্নয়ন ঘটে ও উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জন সহজ হয়। তাই বলা যায়, প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জনে মি. রাজেশের নুসৃত যোগাযোগ পদ্ধতির যৌক্তিকতা রয়েছে।
প্রশ্নঃ ২৪ প্রতিযোগী কোম্পানিগুলো পণ্যমূল্য কমানোর ফলে মাঠ পর্যায়ে বিক্রয়কর্মীরা নানান প্রতিক‚লতার সম্মুখীন হচ্ছে। এ বিষয়টি যথানিয়মে শীর্ষ নির্বাহীদের জানানো হলে পরিচালনা পর্ষদ পণ্যমূল্য ১৫% কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাধারণ ব্যবস্থাপক মি. ইমরান ম্যানেজিং ডিরেক্টর থেকে এরূপ নির্দেশ পাওয়ার পর বিক্রয় ব্যবস্থাপককে বহিত করেন। বিক্রয় ব্যবস্থাপক আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপককে বগত করে বার্তা দিলেন। [ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ]
ক. পদোন্নতি কী? ১
খ. দলীয় সমঝোতার নীতি কীভাকে সমন্বয়কে সহায়তা করে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে ‘১৫% মূল্য হ্রাসের বিষয়টি জানানো’ কোন ধরনের যোগাযোগ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে পক্ষসমূহ বিবেচনায় যে ধরনের যোগাযোগের ইঙ্গিত মিলেছে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় তার যথার্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কর্মীর বর্তমান পদ থেকে উচ্চতর পদে পদায়নকে পদোন্নতি বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের সব বিভাগ, উপ-বিভাগ ও ব্যক্তির মিলেমিশে চলার নীতিকে দলীয় সমঝোতার নীতি বলে।এ নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সবার মধ্যে দলবদ্ধতা, গতিশীলতা ও সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি হয়। এতে যেকোনো কঠিন কাজ সহজে সম্পাদন করা যায়। কারণ প্রতিষ্ঠানের সবাই একই লক্ষ্য র্জনের জন্য দলীয়ভাবে কাজ করে থাকে। এভাবেই দলীয় সমঝোতার নীতি সমন্বয়কে সহায়তা করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে ১৫% মূল্য হ্রাসের বিষয়টি জানানো নিগামী যোগাযোগের ন্তর্গত।এ ধরনের যোগাযোগে প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ ধস্তনদের সাথে যোগাযোগ করে থাকেন। এরূপ যোগাযোগে তথ্য প্রবাহ নিগামী হয়। এর মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ ধস্তনদের প্রয়োজনীয় আদেশ-নির্দেশ প্রদানসহ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, নিয়ম-কানুন ইত্যাদি জানিয়ে থাকেন।উদ্দীপকের প্রতিযোগী কোম্পানিগুলো পণ্যমূল্য কমিয়ে দেয়। ফলে মাঠ পর্যায়ের বিক্রয় কর্মীরা প্রতিক‚লতার সম্মুখীন হচ্ছে। এ বিষয়টি যথা নিয়মে শীর্ষ নির্বাহীদের জানানো হচ্ছে। ফলে পরিচালনা পর্ষদ পণ্যমূল্য ১৫% হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেয়।
সাধারণ ব্যবস্থাপক মি. ইমরান একজন মধ্যস্তরের ব্যবস্থাপক। তিনি ম্যানেজিং ডিরেক্টর র্থাৎ উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপক থেকে এ নির্দেশনা পান। পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি বিক্রয় ব্যবস্থাপককে জানান। তঃপর বিক্রয় ব্যবস্থাপক আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপককে বিষয়টি জানিয়ে বার্তা দিলেন। এতে দেখা যায়, তথ্য উচ্চস্তর থেকে পর্যায়ক্রমে নিস্তরে প্রবাহিত হয়েছে। এসব বৈশিষ্ট্য নিগামী যোগাযোগের সাথে সংগতিপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ১৫% মূল্য হ্রাসের বিষয়টি জানানো নিগামী যোগাযোগর ন্তর্গত।
ঘ উত্তরঃ পক্ষসমূহ বিবেচনায় উদ্দীপকে ভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ইঙ্গিত মিলেছে, যা একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় যথার্থ।এ ধরনের যোগাযোগে প্রতিষ্ঠানের ভ্যন্তরীণ পক্ষসমূহের মধ্যে তথ্য বিনিময় হয়ে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক কাজসমূহ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য এরূপ যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে লক্ষ্য র্জন সহজ হয়।
উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পণ্যমূল্য ১৫% হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়টি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাধারণ ব্যবস্থাপককে জানায়। তঃপর সাধারণ ব্যবস্থাপক বিক্রয় ব্যবস্থাপককে জানান। পরবর্তীতে বিক্রয় ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে বিষয়টি আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জানতে পারে। এতে দেখা যায়, তথ্য প্রতিষ্ঠানের উচ্চস্তর থেকে নিস্তরে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের বাইরের কোনো পক্ষকে নয়। এভাবে উদ্দীপকে ভ্যন্তরীণ যোগাযোগ সম্পাদিত হয়েছে।
এতে তথ্য শুধু প্রতিষ্ঠানের ভিতরে সরবরাহ হয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানের গোপনীয়তা বজায় থাকবে। পাশাপাশি কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া এতে সবাই লক্ষ্য র্জনে সচেষ্ট হবে। এমনকি-এর মাধ্যমে সবাই সঠিক নির্দেশনা পাবে। ফলে পরস্পরের মধ্যে ভুলভ্রান্তির বসান হবে, যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় জরুরি। সুতরাং, একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ ২৫ নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করো:
তথ্যের উৎস প্রেরক এনকোর্ডি সংবাদ বা তথ্য
মাধ্যম
ডিকোডিংপ্রাপক
[বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার]
ক. সিদ্ধান্ত গ্রহণ কী? ১
খ. ‘পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনার ন্যান্য কাজের ভিত্তি’- ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের প্রদত্ত চিত্রটি কোন প্রক্রিয়া নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত প্রক্রিয়ায় চিত্রে ‘’ চিহ্নিত উপাদানটির ভ‚মিকা মূল্যায়ন করো। ৪
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ সমস্যা সমাধান বা পরিকল্পনা গ্রহণে একাধিক বিকল্প থেকে সর্বোত্তম বিকল্প বাছাইকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ বলে।
খ উত্তরঃ ভবিষ্যতে কী করা হবে, তা আগে থেকে ঠিক করাই হলো পরিকল্পনা।ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার প্রথম কাজ পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের কার্যাবলি সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য উপাদানসমূহ সংগঠিত করা হয়। পরিকল্পনার আলোকেই ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা ও প্রেষণা কাজগুলো সম্পাদন করতে হয়। এছাড়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটি আদর্শমান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই পরিকল্পনাকে ব্যবস্থাপনার ন্যান্য কাজের ভিত্তি বলা হয়।
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ২১-২৫ | PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের প্রদত্ত চিত্রটি ‘যোগাযোগ প্রক্রিয়া’ নির্দেশ করে।দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কতগুলো ধারাবাহিক পদক্ষেপ (প্রেরক, মাধ্যম নির্বাচন, প্রাপক, ফলাবর্তন) এর প্রয়োজন হয়। এ পদক্ষেপগুলোর সমষ্টিই হলো যোগাযোগ প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে প্রেরক কারো কাছে সংবাদ পাঠিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু করেন। সংবাদ পাওয়ার পর প্রাপকের ফলাবর্তন (ঋববফনধপশ) প্রদানের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি শেষ হয়।
উদ্দীপকের চিত্রে একটি প্রক্রিয়া নিদের্শ করা হয়েছে। এটি শুরু হয়েছে ‘তথ্যের উৎস’ ধাপটির মাধ্যমে, শেষ হয়েছে ‘’ চিহ্নিত ফলাবর্তন ধাপটির মাধ্যমে। এ দুটি ধাপের মাঝে প্রেরক, এনকেডিং, সংবাদ, মাধ্যম, প্রাপক, ডিকোডিং রয়েছে। ধারাবাহিক এ ধাপগুলোর সাথে যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মিল রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের চিত্রটি যোগাযোগ প্রক্রিয়া নির্দেশ করে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত চিত্রে ‘’ চিহ্নিত উপাদানটি হলো ফলাবর্তন, (ঋববফনধপশ) যা যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে চলমান রাখতে সহায়তা করে।প্রেরকের সংবাদের উত্তরে প্রাপকের মনোভাব প্রকাশ হলো ফলাবর্তন। এর মাধ্যমে প্রাপকের কাছে সংবাদ বা তথ্য পৌঁছানো সম্পর্কে জানা যায়, প্রেরক এর সাহায্যে প্রাপকের মতামত পাওয়ার পর প্রয়োজনে আবার তথ্য পাঠাতে পারে।উদ্দীপকের চিত্রে প্রদত্ত ধারাবাহিক উপাদানগুলো (প্রেরক, এনকেডিং, মাধ্যম, প্রাপক) যোগাযোগ প্রক্রিয়ার নির্দেশ করে। ‘’ চিহ্নিত ফলাবর্তন উপাদানটি এ প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ। এর মাধ্যমে প্রাপকের প্রেরিত তথ্য প্রেরক জানতে পারে।
‘’ চিহ্নিত উপাদানটি উদ্দীপকে নুপস্থিত থাকলে যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ থেকে যাবে। প্রেরক তার পাঠানো তথ্যের উত্তর না পাওয়ায় পরবর্তীতে করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবে না। এছাড়া দুপক্ষের মধ্যে পরবর্তীতে আর যোগাযোগ হওয়া সম্ভব হবে না। এতে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হবে। এছাড়া তাদের মধ্যে সুসম্পর্কে বজায় থাকবে না। এর ফলে যোগাযোগ প্রক্রিয়াটি আর চলমান থাকবে না। তএব, যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে গতিশীল রাখতে ‘’ চিহ্নিত ফলাবর্তন (ঋববফনধপশ) উপাদানটির গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।