ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৯ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২১-২৫: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের নবম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের নবম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ২১ একটি প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বিভাগ যথেষ্ট উৎপাদন করলেও বিক্রয় বিভাগ পিছিয়ে পড়েছে। মজুদ পণ্য জমে যাওয়ায় অর্থ বিভাগও আর্থিক সংকটে আছে। ব্যবস্থাপক জনাব সেন মনে করেন প্রত্যেকটা বিভাগ ও উপবিভাগের প্রধান কর্তব্যরত ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করে নিলে এ সমস্যা হতো না। [ঢাকা সিটি কলেজ]
ক. লক্ষ্য কী? ১
খ. জোড়া মই শিকলের নীতি বলতে কী বুঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যবস্থাপনার কোন কার্যে অদক্ষতার কারণে সমস্যা হয়েছে? ৩
ঘ. জনাব সেন ব্যবস্থাপনা কাজটির সাথে সম্পৃক্ত কোন নীতির লঙ্ঘনকে সমস্যার কারণ চিহ্নিত করেছেন? তার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো কাজের প্রত্যাশিত ফলাফলই হলো লক্ষ্য।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের উচ্চ থেকে নিæ পর্যায় পর্যন্ত কর্মীদের কর্তৃত্বের চেইন বা শিকল বজায় রাখাকে জোড়া মই শিকলের নীতি বলে। এ নীতিতে কর্তৃত্ব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে ধাপে ধাপে অধস্তনের কাছে নেমে আসে। ফলে প্রতিটি বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তি কর্তৃত্বের শিকলে সম্পর্কযুক্ত। এরূপ শিকল কর্মীদের কর্তৃত্বের প্রবাহ ও যোগাযোগের পথ নির্দেশ করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার সমন্বয় কাজে অদক্ষতার কারণে সমস্যা হয়েছে।সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এর বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পাদন সহজ হয়।
ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়। উদ্দীপকে একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বিভাগ যথেষ্ট উৎপাদন করলেও বিক্রয় বিভাগ পিছিয়ে পড়েছে। মজুদ পণ্য জমে যাওয়ায় অর্থ বিভাগও আর্থিক সংকটে আছে। এর মূল কারণ হলো প্রতিষ্ঠানটির বিভাগগুলোর মধ্যে একতা বা দলীয় প্রচেষ্টা ছিল না।
প্রতিটি বিভাগ যে যার মতো কাজ করেছে। ফলে তাদের মধ্যে কাজের ভারসাম্য ছিল না। এমনকি দলীয় সমঝোতা না থাকায় তাদের কাজেও উৎসাহ ছিল না। এতে কাজের দক্ষতা ও গতিশীলতা হ্রাস পেয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে সমন্বয়ের অভাবে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ জনাব সেন ব্যবস্থাপনা কাজটির সাথে সম্পৃক্ত প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নীতির লঙ্ঘনকে সমস্যার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তার বক্তব্যটি সঠিক।এ নীতিতে বিভিন্ন ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যে সরাসরি তথ্য আদান-প্রদান করা হয়।
এ নীতির মাধ্যমে কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে এগিয়ে যেতে পারে। এতে প্রতিষ্ঠানের সফলতা অর্জন সম্ভব হয়।উদ্দীপকে একটি প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বিভাগ যথেষ্ট উৎপাদন করলেও বিক্রয় বিভাগ পিছিয়ে পড়েছে। মজুদ পণ্য জমে যাওয়ায় অর্থ বিভাগও আর্থিক সংকটে আছে।
এই সমস্যার কারণ হলো বিভাগগুলোর মধ্যে দলীয় প্রচেষ্টার অভাব ছিল। এমনকি তাদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়াসও ছিল না। সবাই যে যার মতো কাজ করেছে।
এক বিভাগ অন্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেনি। ফলে প্রতিষ্ঠানের বিভাগগুলোর মধ্যে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে ব্যবস্থাপক জনাব সেন মনে করেন প্রতিষ্ঠানে সরাসরি যোগাযোগ নীতি স্থাপিত হলে এ সমস্যা হতো না।
এ নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যে যথাযথভাবে তথ্য বিনিময় হতো। ফলে পরস্পর পরস্পরের সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারতো। অতঃপর তারা নিজেরা পরামর্শ করে সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারতো।
এছাড়া এ নীতির মাধ্যমে তাদের মধ্যে সুসস্পর্ক তৈরি হতো। ফলে একে অপরের কাজ সম্পাদনে সাহায্য করতো। এতে কাজের সমন্বয় করা সহজ হতো। প্রতিষ্ঠানের কোনো বিভাগ ক্ষতির সম্মুখীন হতো না। সুতরাং প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নীতির লঙ্ঘনই প্রতিষ্ঠানটির সমস্যার মূল কারণ।
প্রশ্নঃ ২২ জনাব মুশফিকের সংগঠন কাঠামোতে দেখা যায় একটি বিভাগে কর্মীর সংখ্যা কম হওয়ায় ঐ বিভাগের কর্মীরা কর্মভারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আবার অন্য একটি বিভাগে কর্মীর সংখ্যা বেশি থাকায় তারা দ্রুত কাজ শেষ করে অলস সময় কাটাচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য জনাব মুশফিক জনবল পুনর্বিন্যাস করেছেন। পরবর্তীতে প্রতিটি বিভাগ যেন নিজ থেকেই সব বিভাগের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জনে কাজ করে তার ব্যবস্থাও করেন। [বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার]
ক. পরিকল্পনা কী? ১
খ. কার্যকর সমন্বয়ের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যের ঐক্য স্থাপন জরুরি কেন? ২
গ. উদ্দীপকের জনাব মুশফিকের সংগঠনে সমন্বয়ের কোন নীতির অভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের পরবর্তীতে সমন্বয়ের যে নীতির কথা বলা হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জনে তার ভ‚মিকা বিশ্লেষণ করো। ৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ভবিষ্যতে কোন কাজ, কীভাবে করতে হবে, তার অগ্রিম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাকে পরিকল্পনা বলে।
খ উত্তরঃ উদ্দেশ্যের ঐক্য নীতি হলো প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের আলোকে বিভিন্ন বিভাগ ও উপবিভাগের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট করা। এ নীতিতে মূল লক্ষ্যের আলোকে উপবিভাগীয় পর্যায়ে উদ্দেশ্য নিরূপণ করা হয়।
ফলে বিভাগ ও উপবিভাগের উদ্দেশ্য একে অপরের সাথে সমন্বিত হয়। এভাবে বিভাগ এবং সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য অর্জনে সমন্বিত প্রয়াস তৈরি হয়। তাই কার্যকর সমন্বয়ে উদ্দেশ্যের ঐক্য স্থাপন জরুরি।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব মুশফিকের সংগঠনে সমন্বয়ের ভারসাম্যের নীতির অভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ, উপবিভাগের মধ্যে কাজের সমতা বজায় রাখার নীতিই হলো ভারসাম্যের নীতি। কোনো বিভাগে কর্মীর থেকে বেশি পরিমাণ কাজের অথবা কাজের থেকে কর্মীর সংখ্যা বেশি যেন না হয় সেই বিষয়টি ভারসাম্যের নীতিতে বিবেচনা করা হয়।
উদ্দীপকের জনাব মুশফিকের সংগঠন কাঠামোতে দেখা যায়, একটি বিভাগে কাজের চাপ বেশি। অন্য একটি বিভাগের কর্মীরা কাজের অভাবে বসে আছে। এতে জনাব মুশফিকের সংগঠনে কাজ ও কর্মীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে না। তাই বলা যায়, ভারসাম্যের নীতির অভাবেই উক্ত সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের পরবর্তীতে সমন্বয়ের সমঝোতার নীতির কথা বলা হয়েছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
প্রতিষ্ঠানের সব বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তির মধ্যে সুসম্পর্কও মিলেমিশে চলার নীতিকে সমঝোতার নীতি বলে। কর্মীদের মাঝে দলবদ্ধতা ও সহযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়। কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়, ফলে যেকোনো জটিল ও কঠিন কাজকে সহজে করা যায়।
উদ্দীপকের জনাব মুশফিক প্রথমে ভারসাম্যের নীতি না মানায় প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে জনাব মুশফিক কর্মীদেরকে পুনর্বিন্যাস করেছেন। এছাড়াও প্রতিটি বিভাগকে উৎসাহিত করেন যেন সব বিভাগের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করে।
জনাব মুশফিকের সংগঠনে সমঝোতার নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিটি বিভাগ সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে পারবে। এতে কাজ সহজে ও তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হবে। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। সুতরাং প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে সমঝোতার নীতির বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
প্রশ্নঃ ২৩ রহমান গ্র“পের বোর্ড সভায় ২০১৩ সালে ৫ লক্ষ ইউনিট পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের জন্য গৃহীত হয়। জুন মাসে দেখা যায়, উৎপাদন বিভাগ ২.৫ লক্ষ ইউনিট পণ্য উৎপাদন করেছে। কিন্তু বিক্রয় বিভাগে জনশক্তি কম থাকায় চেষ্টা করেও তারা মাত্র ১.৫ লক্ষ ইউনিট পণ্য বিক্রয় করতে সমর্থ হয়। তদন্ত করে জানা যায়, সামগ্রিক বিষয় যেভাবে বিবেচনা করা দরকার ছিল তা হয় নি। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ চিন্তিত।
[গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ]
ক. ইন্টারনেট কী? ১
খ. যেকোনো দলীয় প্রচেষ্টায় সমন্বয় অপরিহার্য কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ব্যবস্থাপনার কোন কাজের ফলশ্র“তিতে কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. সমন্বয়ের কোন নীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করলে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান সমস্যা এড়াতে পারবে? বিশ্লেষণ করো। ৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ইন্টারনেট হলো পারস্পারিক সম্পর্কযুক্ত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। যার মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য দেওয়া-নেওয়া করা যায়।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিয়োজিত বিভাগ ও ব্যক্তির প্রচেষ্টাসমূহ একত্রে সংযুক্ত ও সুসংহত করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয় (ঈড়ড়ৎফরহধঃরড়হ) বলে।দলের সদস্যদের কাজের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে দলীয় প্রচেষ্টা কখনো সফল হতে পারে না। এতে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তাই লক্ষ্য অর্জনের জন্য দলীয় প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে সমন্বয় অপরিহার্য।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে ব্যবস্থাপনার সমন্বয় সাধনের অভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। সমন্বয়সাধনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক পর্যায়ের কার্যাবলির মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা হয়।
ব্যবস্থাপনার কর্মীদের ওপর দায়-দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। সমন্বয়ের মাধ্যমে এসব দায়-দায়িত্ব সঠিক সময়ে সম্পন্ন করা যায়। এতে কর্মীদের কর্মক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
উদ্দীপকে রহমান গ্র“প ৫ লক্ষ ইউনিট পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু উৎপাদন বিভাগ ২.৫ লক্ষ ইউনিট পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। কর্মী কম থাকায় বিক্রয় বিভাগ মাত্র ১.৫ লক্ষ ইউনিট পণ্য বিক্রয় করতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি বিভাগ সমূহের কাজের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করতে না পারায় লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। সুতরাং, রহমান গ্র“প বিভাগের কাজের সমন্বয় সাধন করলে সমস্যাটির সৃষ্টি হতো না।
ঘ উত্তরঃ সমন্বয়ের উদ্দেশ্যের ঐক্য নীতিটি যথাযথভাবে অনুসরণ করলে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান সমস্যা এড়াতে পারবে।উদ্দেশ্য হলো চ‚ড়ান্ত ফল যাকে ঘিরে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ঐক্য নীতি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কর্মী, বিভাগ ও উপবিভাগের কার্যাবলিকে একই লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করা উচিত।রহমান গ্র“পের উৎপাদন বিভাগের কর্মীরা সঠিক লক্ষ্যমাত্রা জানত না। তারা ৫ লক্ষ ইউনিট পণ্যের জায়গায় ২.৫ লক্ষ ইউনিট পণ্য উৎপাদন করে।
একইভাবে, বিক্রয় বিভাগ উৎপাদন অনুযায়ী বিক্রয় করতে পারেনি। কর্মী কম থাকায় তারা মাত্র ১.৫ লক্ষ ইউনিট পণ্য বিক্রয় করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি এসব সমস্যা নিয়ে চিন্তিত।
প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্যের ঐক্য নীতি মেনে চলা উচিত ছিল। বোর্ড সভায় উৎপাদন ও বিপণনের লক্ষ্য ঠিক করে বিভাগগুলোকে জানিয়ে দিতে হতো। এতে উৎপাদন বিভাগ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদনের পরিকল্পনা করতে পারতো। বিক্রয় বিভাগ অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করে সব উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করতে পারতো। ফলে উপর্যুক্ত সমস্যাটির সমাধান হতো।
প্রশ্নঃ ২৪ মি. তাহের সেবা সামগ্রী উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি উৎপাদন কাজ পরিচালনার সময় উৎপাদন সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করেন। সবার পরিকল্পনার আলোকে তা বাস্তবায়ন করেন। ফলে দেখা যায় মি. তাহের প্রতি বছর তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেন এবং সবার সহযোগিতায় তা বাস্তবায়ন করেন।
[রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. উদ্দেশ্যের ঐক্য নীতি কী? ১
খ. স্বতঃস্ফ‚র্ত সমন্বয় উত্তম সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. উদ্দীপকে মি. তাহের সমন্বয়কে কার্যকর করার জন্য সমন্বয়ের কোন পূর্ব শর্তটি গ্রহণ করেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মি. তাহেরের প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বাড়াতে সমন্বয়ের গুরুত্ব কতটুকু বিশ্লেষণ করো। ৪
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে নীতিতে একজন অধস্তন শুধু একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে আদেশ পায় তাকে উদ্দেশ্যের ঐক্য নীতি বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগের কাজে স্বেচ্ছায় ও স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে একের সাথে অন্যের সমন্বয়সাধনের রীতিকে স্বতঃস্ফ‚র্ত সমন্বয় বলে।প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের একার পক্ষে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়।
তারা নিজে থেকেই সহযোগিতার মাধ্যমে কাজের সমন্বয়সাধন করলে কাজ সম্পাদন অনেক সহজ হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনও সহজ হয়। তাই স্বতঃস্ফƒর্ত সমন্বয় উত্তম সমন্বয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে মি. তাহের সমন্বয়কে কার্যকর করার জন্য সুসংহত পরিকল্পনা (ওহঃবমৎধঃবফ ঢ়ষধহ) পূর্বশর্তটি অনুসরণ করেন। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ-উপবিভাগ ও কর্মীর পরিকল্পনার মধ্যে মিল থাকলে পরিকল্পনা সুসংহত হয়।
পরিকল্পনায় মিল না থাকলে কাজের সমন্বয় করা যায় না। প্রতিষ্ঠানের সব কাজের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকে মি. তাহের একটি সেবা সামগ্রী উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের মালিক। উৎপাদন কাজ পরিচালনার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সামঞ্জস্য বিধান করেন। সবার পরিকল্পনার সাথে মিল রেখে তা বাস্তবায়ন করেন।
পরবর্তীতে মি. তাহের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিলে কর্মীরা সহযোগিতার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে সমর্থ হন। সুতরাং বলা যায়, মি. তাহের প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনাকে সুসংহত করার মাধ্যমে কার্যকরভাবে সমন্বয় সাধন করেন।
ঘ উত্তরঃ মি. তাহেরের প্রতি¯¤ানে উৎপাদন বাড়াতে সমন্বয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এর বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয়সাধন বলে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাজের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।
মি. তাহের সেবা সামগ্রী উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি উৎপাদন কাজ পরিচালনার সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে কাজের সামঞ্জস্য বিধান করেন। সব বিভাগের পরিকল্পনার সাথে মিল রেখে কাজ সম্পন্ন করেন। ফলে মি. তাহের প্রতিবছর তার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিলে তা সহজেই বাস্তবায়ন করতে পারেন।
উদ্দীপকে মি. তাহের তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কাজ পরিচালনা করার জন্য সব বিভাগ ও ব্যক্তি কাজের সমন্বয় সাধন করেন। এর ফলে কর্মীদের কাজের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হয়। এতে তারা কাজগুলো সহজে সম্পন্ন করতে পারেন।
এছাড়া তিনি সব বিভাগের পরিকল্পনার সাথে মিল রেখে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা করেন। ফলে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সচেষ্ট হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের সবার মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবের সৃষ্টি হয়। ফলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হতো। সুতরাং, সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমেই মি. তাহেরের প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ২৫ জনাব রিপন একটি কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী। তিনি প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নিজের হাতে রেখেছেন। এতে অন্যান্য বিভাগীয় ব্যবস্থাপকরা স্বাধীনভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ফলে অন্যান্য প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে জনাব রিপনের প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় কমে গেছে। তাই তিনি নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করার চিন্তা করেছেন। এখন তিনি তার অধীনস্থ সকল বিভাগ-উপবিভাগের কার্যক্রমের নিয়মিত খোঁজ রাখেন এবং কারও কোনো সমস্যা হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেন। ফলে কর্মীরা এখন নিজ দায়িত্বে দলীয়ভাবে কাজ করে এবং প্রতিষ্ঠানটি এখন সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
[পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. সমন্বয় কী? ১
অ খ. সমন্বয়ে ভারসাম্যের নীতিটি বর্ণনা করো। ২
অ গ. সমন্বয়ের কোন নীতির ব্যত্যয় ঘটায় জনাব রিপনের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. ‘জনাব রিপনের পরবর্তীতে গৃহীত সমন্বয় উপায়টি ঐক্য ও ভারসাম্য সৃষ্টিতে সহায়ক’ তোমার মত আলোচনা করো। ৪
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানর লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও ব্যক্তিক প্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে সমন্বয় বলে।
খ উত্তরঃ সমন্বয়ের ভারাম্যের নীতি বলতে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ, উপবিভাগ বা শাখা পর্যায়ে বণ্টিত কাজের মধ্যে সমতা বিধানকে বোঝায়। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য আলাদা হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কর্মীর অভাব হলে বিভাগগুলোর কাজের গতি বাড়বে না। আবার অতিরিক্ত কর্মী নিয়োজিত থাকলে কর্মীরা কাজ শেষ করে অলস সময় কাটাবে। এজন্য ভারসাম্য নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও কাজের মধ্যে সমতা আনা হয়।
গ উত্তরঃ সমন্বয়ের কর্তৃত্বের নীতির ব্যত্যয় ঘটায় জনাব রিপনের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে। এই নীতি অনুযায়ী নির্বাহীদের যথাযথ কর্তৃত্ব অর্পণ ও তা অধীনস্থদের ওপর প্রয়োগের অধিকার দেয়া হয়।
এতে তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকরূপে পালন করতে পারে। নির্বাহীকে দায়িত্ব দেয়ার পর প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব প্রদান না করা হলে তার পক্ষে সুষ্ঠুভাবে কার্যসম্পাদন সম্ভব না। এজন্য দায়িত্ব ও কর্তৃত্বের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়।
জনাব রিপন তার প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো বিভাগ অনুযায়ী ভাগ করেছেন। তবে বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার হাতেই রেখে দিয়েছেন। এতে বিভাগীয় ব্যবস্থাপকরা কোনো সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নিতে পারেন না।
ফলে প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় অনেক কমে গেছে। এ থেকে বোঝা যায়, প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় ব্যবস্থাপকদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কিন্তু যথাযথ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়নি। এতে কর্তৃত্ব নীতির ব্যত্যয় ঘটেছে।
ঘ উত্তরঃ জনাব রিপন পরবর্তীতে কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন: যা সমন্বয়ে ঐক্য ও ভারসাম্য সৃষ্টিতে সহায়ক। কার্যকর যোগাযোগ বলতে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঠিক সময়ে, সঠিক তথ্য সহজ উপায়ে প্রেরণ করাকে বুঝায়। এর মাধ্যমে সংগঠনের সব স্তরে প্রয়োজনীয় তথ্যের সহজ আদান-প্রদান সম্ভব হয়।
উদ্দীপকে জনাব রিপনের প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় কমে গেছে। তাই তিনি নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করার চিন্তা করছেন। বর্তমানে তিনি অধীনস্থ সব বিভাগ-উপবিভাগের কাজের নিয়মিত খোঁজ রাখেন।
এছাড়া কোনো সমস্যা হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে তা সমাধানে সাহায্য করেন। ফলে কর্মীরা এখন নিজ দায়িত্বে দলীয়ভাবে কাজ করেন। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
জনাব রিপন তার প্রতিষ্ঠানে কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করেছেন। এতে সব বিভাগের-উপবিভাগের নির্ভুল তথ্য সরবরাহ হচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে তা সমাধান করা যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানের সব বিভাগের মধ্যে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় তারা কাজের সমন্বয় খুঁজে পান। একে অন্যকে কাজে সহযোগিতা করার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। সুতরাং প্রতিষ্ঠানে কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলেই জনাব রিপনের সমন্বয়ে ঐক্য ও ভারসাম্য সৃষ্টি হয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।