ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২৬-৩০: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ২৬ তিতাস লি. প্রতি একক পণ্য উৎপাদনে নিæবর্ণিত ব্যয়সমূহ প্রাক্কলন করে:
ব্যয়ের উপাদান একক প্রতি ব্যয় (টাকায়)
কাঁচামাল ১,০০০
শ্রম ব্যয় ১৫০
পরোক্ষ ব্যয় ১০০
অন্যান্য ব্যয় ৫
মোট ব্যয় ১,৩০০
বিক্রয়মূল্য ১,৩৫০
একক প্রতি শ্রম ঘণ্টা ২০ মিনিট
তিতাস লি. তাদের উৎপাদন সংক্রান্ত ব্যয় ও বিক্রয় মূল্যের ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। [গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ]
ক. নিয়ন্ত্রণ কী? ১
খ. নিয়ন্ত্রণ কীভাবে দক্ষতা বৃদ্ধি করে? ২
গ. উদ্দীপকে এককপ্রতি ব্যয় নির্ধারণ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কোন ধাপ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তিতাস লি. কর্তৃক ব্যবহৃত কৌশলটি মূল্যায়ন করো। ৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পনন হচ্ছে কিনা, তা যাচাই করা এবং কোনো প্রকার গরমিল পাওয়া গেলে তা সংশোধন করার উপায়কে নিয়ন্ত্রণ বলে।
খ উত্তরঃ স্বলপ সময়ে ও স্বলপ ব্যয়ে মানসম্মত কাজ সম্পাদন করাকে দক্ষতা বলা হয়। নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিভিনন কার্যাবলির ওপর সূ² দৃষ্টি রাখা যায়। ফলে কাজ সম্পাদনে কোনো ভুল-তর“টি হলে তা দ্রুত সমাধান করা যায়।
কীভাবে ভুল-তর“টি এড়িয়ে কাজ করা যায় তা কর্মীরা শিখতে পারে। ফলে কর্মীদের দক্ষতা বাড়ে। তাই স্বলপ সময়ে ও স্বলপ ব্যয়ে মানসম্মত কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হয়। এভাবে নিয়ন্ত্রণ একটি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বাড়ায়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে একক প্রতি ব্যয় নির্ধারণ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার আদর্শমান প্রতিষ্ঠা বা প্রথম ধাপ।নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পাদন নিশ্চিত করা। এর প্রথম ধাপ হলো আদর্শমান প্রতিষ্ঠা। আদর্শমান হলো এমন একটি মানদণড বা বিন্দু; যার আলোকে প্রকৃত কর্মফল পরিমাপ করা হয়।
উদ্দীপকে তিতাস লি.-এ প্রতি একক পণয উৎপাদনের ব্যয় দেওয়া হয়েছে। এতে কাঁচামালের এককপ্রতি ব্যয় হয় ১০০০ টাকা, শ্রমব্যয় ১৫০ টাকা ইত্যাদি। এ ব্যয় অনুযায়ী পণয উৎপাদন করা গেলেই বুঝতে হবে পরিকল্পনা ঠিক আছে।
অন্যথায় কার্যফল পরিমাপ করে সংশোধনীমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে এককপ্রতি ব্যয় নির্ধারণের মাধ্যমে তিতাস লিমিটেডের উৎপাদনের মানদণড পরিমাপ করা যায়; যা নিয়ন্ত্রণের আদর্শমানের প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে তিতাস লি. কর্তৃক ব্যবহৃত নিয়ন্ত্রণ কৌশলটি বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ; যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জনয খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ওপর একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাফলয নির্ভরশীল। নিয়ন্ত্রণের অন্যতম একটি কৌশল হলো বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ। পরিকল্পনার সংখ্যাভিত্তিক মানের ওপর ভিত্তি করে বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
তিতাস লি. একক প্রতি উৎপাদন ব্যয় দেওয়া আছে। প্রতিষ্ঠান তাদের এককপ্রতি উৎপাদন ব্যয়ের সংখ্যাÍক মানের সাথে প্রকৃত কার্যফলের তুলনা করে। এরপর কোনো বিচ্যুতি ঘটলে তা নির্ণয় ও ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উকত পদ্ধতিতে তিতাস লি. উৎপাদনমূলক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ যেমন সম্ভব হয় তেমনি ধারাবাহিক উৎপাদনও অব্যাহত থাকে। এতে প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হয়। ফলে সহজেই লক্ষয অর্জিত হয়। এসব কারণে তিতাস লি. কর্তৃক ব্যবহৃত বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ কৌশলটি যথার্থ।
প্রশ্নঃ ২৭ জনাব ইসমাইল হোসেন তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন, পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পাদন করছেন। তিনি গুরুত্বপূরণ কাজগুলোকে চিহ্নিত করে সময় নির্ধারণ করেন। এতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান কম হওয়ায় সফলতার সাথে কাজ সম্পাদনে কিছুটা তর“টি দেখা দিয়ে দিয়েছে। তিনি নিয়ন্ত্রণ আরো ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে নির্ধারিত কাজগুলো সংখ্যাগতভাবে প্রকাশের সিদ্ধানত নিয়েছেন।
[রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. অডিট কী? ১
খ. বাজেট বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ইসমাইল হোসেন নিয়ন্ত্রণের কোন কৌশল ব্যবহার করছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. নিয়ন্ত্রণ আরও কার্যকর করতে জনাব ইসমাইল হোসেন কর্তৃক সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করো। ৪
২৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের নিজসব উদ্যোগ এর বিভিনন কার্যের নিয়মিত তর“টি, বিচ্যুতি নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে নিরীক্ষা বা অডিট বলে।
খ উত্তরঃ পরিকল্পনার সংখ্যাÍক প্রকাশকে বাজেট বলে। বাজেটে আদর্শমান, বিচ্যুতি নির্ণয়, কার্যফল তুলনা সংশোধনমূলক ব্যবস্থা প্রভৃতি কারয সম্পাদিত হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হয়।
এছাড়াও কাজের মধ্যে সমন্বয় আসে। বাজেটের আলোকে যে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করা হয় তাকে বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ বলে। বাজেট বিভিনন ধরনের হয়, যথা: মূলধন বাজেট, আয় ব্যয় বাজেট ও বিক্রয় বাজেট।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের ইসমাইল হোসেন নিয়ন্ত্রণের পারট (চঊজঞ) কৌশলটি ব্যবহার করেছেন। পারট হলো প্রতিষ্ঠানের কোন কাজ কখন শুরু হবে এবং কখন শেষ হবে তা নির্ধারণ করার পর একটি চার্টের মাধ্যমে কাজগুলো সংযুকত করা হয়। এক্ষেত্রে কাজগুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী তালিকা করে সময় নির্ধারণ করা হয়।
উদ্দীপকে জনাব ইসমাইল হোসেন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পাদন করেন। তিনি গুরুত্বপূরণ কাজগুলোকে চিহ্নিত করে সময় নির্ধারণ করেন।
কাজগুলো শুরু ও শেষ হওয়ার তালিকা অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেন; যা নিয়ন্ত্রণ কৌশল পারট (চঊজঞ) এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, জনাব ইসমাইল হোসেন নিয়ন্ত্রণ কৌশল পারট ব্যবহার করেছেন।
ঘ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ আরো কার্যকর করার জনয জনাব ইসমাইল হোসেন কর্তৃক গৃহীত বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ কৌশলটি যৌক্তিক বলে আমি মনে করি। পরিকল্পনার সংখ্যাÍক প্রকাশ হলো বাজেট। বাজেটের আলোকে বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করা হয়। বাজেট বিভিনন প্রকার হতে পারে যেমন: মূলধন বাজেট, আয়-ব্যয় বাজেট, বিক্রয় বাজেট ইত্যাদি।
উদ্দীপকে জনাব ইসমাইল পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজগুলো চিহ্নিত করে বিভিনন ভাগে ভাগ করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান কম হওয়ায় সফলতার সাথে কাজ সম্পাদন করা তার জনয কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে তিনি নিয়ন্ত্রণকে আরও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে ভবিষ্যতের কাজগুলো সংখ্যাগত ভাব প্রকাশের সিদ্ধানত নেন।
কাজগুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী সংখ্যাগত আকারে প্রকাশ করাকে বাজেট বলে। ফলে মূলধন ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়। কারণ বাজেটের আলোকে কাজ সম্পাদিত হলে নির্দিষট সময় এবং অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হয় প্রকৃত কার্যফলের সাথে তুলনা করা হলে বিচ্যুতি নির্ণয় হয়।
পরবর্তীতে এর সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তাই বলা যায়, নিয়ন্ত্রণ আরও কার্যকর করতে ইসমাইল কর্তৃক গৃহীত সংখ্যাÍক প্রকাশ বা বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যনত যৌক্তিক।
প্রশ্নঃ ২৮ জনাব আনোয়ার তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করেছেন। তিনি গুরুত্বপূরণ কাজগুলোকে চিহ্নিত করে সময় নির্ধারণ করেন। এতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান কম হওয়ায় সফলতার সাথে কার্যসম্পাদনে কিছুটা তর“টি দেখা দিয়েছে। তিনি নিয়ন্ত্রণ আরও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে নির্ধারিত কাজগুলোকে সংখ্যাগতভাবে প্রকাশের সিদ্ধানত নিয়েছেন। [পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ কী? ১
খ. নিয়ন্ত্রণকে কেন পরবর্তী পরিকল্পনার ভিত্তি বলা হয়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. জনাব আনোয়ার নিয়ন্ত্রণের কোন কৌশল ব্যবহার করেছেন? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. নিয়ন্ত্রণ আরও কার্যকর করতে জনাব আনোয়ার কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহণের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করো। ৪
২৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ বাজেটের সাথে অর্জিত ফলাফলের তুলনা করে তর“টি-বিচ্যুতি নির্ণয় এবং সংশোধনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ কার্যসম্পাদন প্রক্রিয়াকে বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ বলে।
খ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পাদিত হচ্ছে কিনা তা দেখা, বিচ্যুতি নির্ণয় এবং প্রয়োজনে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনার তর“টি-বিচ্যুতির কারণ জানতে পারে।
এসব তর“টি কীভাবে সমাধান করা যায়, তারও উপায় বের করা সম্ভব হয়। ফলে পরবর্তী বছর বা সময়ের পরিকল্পনা পূর্ববর্তী বিষয়সমূহের বিবেচনার আলোকে নির্ধারিত হয়। এভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের পরবর্তী পরিকল্পনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব আনোয়ার নিয়ন্ত্রণের পারট (চঊজঞ) কৌশলটি ব্যবহার করেছেন। পারট পদ্ধতি হলো প্রতিষ্ঠানের কোনো কাজ কখন শুরু হবে এবং শেষ হবে তা নির্ধারণ করে একটি চার্টের মাধ্যমে কাজগুলো সংযুকত করা। এক্ষেত্রে কাজগুলোর মোট সময় তালিকা আকারে প্রদর্শন করা হয়।
উদ্দীপকে জনাব আনোয়ার তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করেন। তিনি গুরুত্বপূরণ কাজগুলো চিহ্নিত করেন এবং নির্ধারিত কাজগুলোর প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ করেন।
সে অনুযায়ী কাজগুলো কখন শুরু হবে এবং কখন শেষ হবে তার একটি পরিকল্পনা করেন; যা পারট নিয়ন্ত্রণ কৌশলটির বৈশিষ্ট্যর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, জনাব আনোয়ার তার প্রতিষ্ঠানে পারট (চঊজঞ) নিয়ন্ত্রণ কৌশলটি ব্যবহার করেছেন।
ঘ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ আরও কার্যকর করতে জনাব আনোয়ার কর্তৃক গৃহীত বাজেটারি নিয়ন্ত্রণ কৌশলটি অধিক গ্রহণযোগয এবং যুক্তিযুকত বলে আমি মনে করি। বাজেট হলো পরিকল্পনার সংখ্যাতক উত্তরঃ প্রকাশ।
আর এ সংখ্যাতক মানের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানে বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিভিনন ধরনের বাজেট প্রতিষ্ঠানে গ্রহণ করা হয়। যথা: মূলধন বাজেট, আয়-ব্যয় বাজেট, বিক্রয় বাজেট প্রভৃতি।
উদ্দীপকে জনাব আনোয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী গুরুত্বপূরণ কাজগুলো চিহ্নিত করে সময় নির্ধারণ করেন। কিন্তু, প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান কম হওয়ায় সফলতার সাথে কাজ সম্পাদনে কিছুটা তর“টি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে তিনি লক্ষয অর্জনের জনয কাজগুলো সংখ্যাগতভাবে প্রকাশের সিদ্ধানত নেন।
সংখ্যাগতভাবে কাজ নির্ধারণ করা বাজেটের আওতাভুক্ত। এর মাধ্যমে সংখ্যাতক উত্তরঃ আদর্শমান নির্ধারণ করে তা প্রকৃত কার্যফলের সাথে তুলনা করা হয়। ফলে তর“টি-বিচ্যুতি সহজে ধরা পড়ে। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা অনুযায়ী সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ফলে প্রতিষ্ঠানে কতটুকু পণয উৎপাদন করতে কত টাকা খরচ হবে তার সঠিক তথয পাওয়া যায়। এ তথয অনুযায়ী অর্থের যোগান দিয়ে নতুন পরিকল্পনা করলে জনাব আনোয়ারের প্রতিষ্ঠানে সফলতা অর্জিত হবে। তাই বলা যায়, জনাব আনোয়ারের গৃহীত বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ কৌশলটি সম্পূরণ যৌক্তিক।
প্রশ্নঃ ২৯ জনাব ইসমাইল একজন উৎপাদন ব্যবস্থাপক। তিনি স্বশরীরে উপস্থিত থেকে উৎপাদন কাজ ততত¡াবধান করেন। প্রয়োজনে উপদেশ ও পরামরশ দেন। তিনি সম্প্রতি চলমান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার কিছু তর“টি সনাকত করেছেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনড় অবস্থানের জনয পূর্বের প্রক্রিয়াই অব্যাহত রেখেছেন। [দিনাজপুর সরকারি কলেজ]
ক. আদর্শমান কী? ১
অ খ. ‘নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় সাধনে সহায়ক’ ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. জনাব ইসমাইলের নিয়ন্ত্রণ কৌশলটি কীরূপ? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে আদর্শ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কোন নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ উত্তর দাও। ৪
২৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ আদর্শমান হলো এমন এক মানদণড যার আলোকে প্রকৃত কার্যফল পরিমাপ করা হয়।
খ উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পাদন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা এবং সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া। নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরে ব্যাপ্ত। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি স্তরে যোগাযোগ ও আন্তঃসম্পরক সৃষ্টি করা সমন্বয়সাধনের কাজ।
ব্যবস্থাপনার প্রতিটি স্তরে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ ও উপ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর থাকে। ফলে প্রতিষ্ঠানের আন্তঃসম্পরক বজায় থাকে। তাই, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর সমন্বয়সাধনকে সহায়তা করে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব ইসমাইল ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ কৌশলটি ব্যবহার করেন। প্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে অধীনস্থদের কাজের খোঁজখবর নিলে তাকে ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি বলে। এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাজের ভুলতর“টি পেলে তা সংশোধনের জনয প্রয়োজনীয় পরামরশ ও নির্দেশনা প্রদান করেন।
উদ্দীপকে জনাব ইসমাইল একজন উৎপাদক ব্যবস্থাপক। তিনি সব-শরীরে উপস্থিত থেকে উৎপাদন কাজ ততত¡াবধান করেন। প্রয়োজন অধীস্থদের উপদেশ ও পরামরশ দেন।
এছাড়াও কোনো তর“টি দেখা দিলে তা সংশোধনের জনয চেষ্টা করেন। যা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ কৌশলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, জনাব ইসমাইল ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ কৌশলটি ব্যবহার করেছেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে আদরশ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার নমনীয়তার নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে আমি মনে করি। নমনীয়তা হলো পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে সামঞ্জসয রেখে প্রতিষ্ঠানের লক্ষয অর্জনের কৌশল।
কার্যক্ষেত্রে তর“টি বিচ্যুতি হলে সংশোধনের জনয সবসময় পূরব গৃহীত ব্যবস্থা সঠিক হবে এমন প্রত্যাশা করা যায় না। তাই কার্যক্ষেত্রের পরিবর্তনের সাথে নিয়মনীতি পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে।
উদ্দীপকে জনাব ইসমাইল স্বশরীরে উপস্থিত থেকে কাজের তদারকি করেন। তিনি সম্প্রতি চলমান নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থার তর“টি শনাকত করেন। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনড় অবস্থার জনয পূর্বের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাই অব্যাহত থাকে।
এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কমকর্তা নমনীয়তার নীতি লঙ্ঘিত করে। কারণ, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত; যাতে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে তা সামঞ্জসয বজায় রেখে চলতে সক্ষম হয়। কার্যক্ষেত্রে কোনো ভুল তর“টি উদ্ভাবিত হলে তা সংশোধন করা হয়।
যদি ভুল তর“টি সংশোধন না করে পরবর্তী পরিকল্পনা করা হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানে লক্ষয অর্জন ব্যাহত হয়। তাই, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে যথাসম্ভব নমনীয় হতে হয়। তাই বলা যায়, আদরশ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার নমনীয়তার নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ৩০ ‘জবফ’ প্রিন্টিং প্রেসের মালিক মি. নীল প্রত্যেক কর্মীর কাজ ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করেন। এতে কোনো কর্মীই কাজে ফাঁকি দিতে পারে না। প্রত্যেকের কাজের তর“টি সাথে সাথে ধরা পড়ে এবং তৎক্ষণাৎ সংশোধন করা হয়ে থাকে। ফলে মি. নীল প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের কোন ব্যাঘাত হয় না এবং দিন দিন তার ব্যবসায়ের সম্প্রসারণ ঘটেছে।
[কুমিলা কমারস কলেজ]
ক. বাজেট কী? ১
খ. অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের মি. নীল নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত মি. নীল নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো। ৪
৩০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ পরিকল্পনার সংখ্যাÍক প্রকাশকে বাজেট বলে।
খ উত্তরঃ অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা হলো যখন প্রতিষ্ঠান নিজসব উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের হিসাবপত্রাদি নিরীক্ষা, তর“টি নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করে। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে কর্মীরা অনেক সময় আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িত হয়ে পড়েন।
এর ফলে প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রসত হয়। এজনয প্রতিষ্ঠান কর্তৃপকষ অভ্যন্তরীণ কার্যাবলি স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনার জনয নিরীক্ষা বিভাগ গঠন করে। এ ব্যবস্থাই নিয়ন্ত্রণের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার কৌশল।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. নীল ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করেন।ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে অধীনস্থদের কাজ তদারকি করেন। এক্ষেত্রে তিনিও কাজের ভুল-তর“টি পেলে তা সংশোধনের প্রয়োজনীয় পরামরশ ও নির্দেশনা দেন। ফলে কাজের প্রতি কর্মীদের গুরুতব বৃদ্ধি পায়।
উদ্দীপকে জবফ প্রিন্টিং প্রেসের মালিক মি. নীল প্রত্যেক কর্মীর কাজ ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করেন। ফলে কোনো কর্মী কাজের ফাঁকি দিতে পারে না। প্রত্যেকের কাজের তর“টি ধরা পড়লে তিনি তৎক্ষণাৎ তর“টি সংশোধন করে দেন; যা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, মি. নীল ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করেন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত মি. নীল ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করেন; যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কাজ। প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদসথ কর্মকর্তা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের কাজের খোঁজ-খবর নিয়ে থাকেন। ফলে কর্মীদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়।
উদ্দীপকে মি. নীল প্রত্যক্ষভাবে কর্মীদের কাজের পর্যবেক্ষণ করেন। কাজের কোনো ভুল-তর“টি হলে তা সংশোধন করে দেন। ফলে কর্মীরা কাজের ফাঁকি দিতে পারে না; যা কাজের প্রতি কমীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ মি. নীলের প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহাযয করে। কাজের যথাযথ পরামরশ দান কর্মীদের কাজের প্রতি মনোবল বৃদ্ধি করে। ফলে কর্মীদের কাজের সময় কম লাগে।
ভুল-তর“টি হলে মি. নীল তা সংশোধন করেন; যা পণ্যের গুণগত মান রক্ষায় সাহাযয করে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও লক্ষয অর্জনে ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভ‚মিকা রাখে। তাই বলা যায়, মি. নীল কর্তৃক বর্ণিত ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।