নারী-পুরুষ: বীর্য বা ধাতুর জন্মকথা ।। প্রতিটি মানুষ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করেন। আবার কেউ কেউ স্বাস্থ্য সচেতনা সম্পর্কে ভালো কোন ধারনা থাকায় নানা সমস্যা পড়তে হয়েছে। মনে রাখা উচিত স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমরা যা কিছু খেয়ে থাকি তার কোন না কোন ভাবে আবার শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
বীর্য বা ধাতুর জন্ম সম্পর্কে অনেকেরই অজনা। আজকে আমরা আলোচনা করবো বীর্য বা ধাতুর জন্মকথা সম্পার্কে। আমরা যা কিছু খেয়ে থাকি, তার কিছু অংশ মলমূত্র ও ঘামের সঙ্গে বের হয়ে যায়। আর তার সার অংশটুকু দিয়ে শরীরের রক্ত সৃষ্টি হয়।
সেই রক্তের সার নির্যাস থেকে মাংস – মাংসের সার নির্যাস থেকে কচি হাড়- কচি হাড় থেকে হাড়ের ভিতরের শাঁস, তা থেকে সৃষ্টি হয়। ধাতু বা মনি। শত ফোটা রক্তের সার নির্যাস থেকে এক ফোঁটা ধাতু পয়দা হয়। ভুক্ত বস্তুসমূহ থেকে ধাতু সৃষ্টি হতে প্রায় ৪০ দিন সময় লাগে।
বয়ঃপ্রাপ্ত হবার সাথে সাথেই মানুষের শরীরের ধাতু সৃষ্টি হয়। তুমি কি জান ঘি-তৈরী হয় কোত্থেকে? যদি বলি দুধ থেকে। দুধের মধ্যে যেমন ঘি মিশে থাকে, মানুষের সব শরীর জুড়েই তেমনি ধাতু মিশে থাকে। যৌবন জোয়ারের সাথে-সাথে ইচ্ছা শক্তিও খুব বৃদ্ধি পায়, আর পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গও সে সাথে ধীরে-ধীরে বড় হয়।
মেয়েদের ধাতু পাতলা, কিঞ্চিৎ হলদে, যেখানে পড়ে, গােল হয়ে পড়ে। পুরুষের ধাতু খুব গাঢ়, এবং সাদা; আর যেখানে পড়ে, লম্বালম্বী হয়ে পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পুস্তকে আছে- খুব নরম এবং হালকা লম্বা দুটো রগ কোকড়া হয়ে পুরুষের অন্ডকোষ তৈরী হয়েছে। বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তাতে এক রকম লালা জন্মে।
Men’s sperm । দূষণের কারণে কমে যাচ্ছে পুরুষদের শুক্রাণু
উহা সহবাসকালে মনের ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে যােগ হয়ে লিঙ্গ দিয়ে স্ত্রীগর্ভ থলিতে চলে যায়। সন্তান জন্মাবার মূলেই রয়েছে এ লালা । তাই যদি কারাে অন্ডকোষ ফেলে দেয়া হয়। তবে শত সহস্রবার সহবাস করলেও তাতে সন্তান জন্মাতে পারে না । যেমন মুরগীর উপর খাসি মােরগ উঠায় মুরগী যে আন্ডা পাড়ে তাতে , বাচ্চা ফুটে না। এখানেও ঠিক তদ্রুপ মনে করবে।
পুরুষের মত মেয়েলােকের অন্ডকোষ না থাকলেও তাদের থলির সঙ্গে লাগা ডানপাশে যে একটি মােটা নলের মত রগ আছে, তার মধ্যে। কতক অংশে মাসিকের রক্ত প্রবেশ করে। এই রক্তটুকুর যে গুণ, পুরুষের অন্ডকোষের রসেরও সে গুণ। সন্তান জন্মাইতে এই রক্ত আর পুরুষের অন্ডকোষের রস এক সমান কাজ করে ।
সব বীর্য বা ধাতুতেই সন্তান জন্ম হয় না। সাধারণতঃ খুব গাঢ় নির্দোষ ধাতুতেই সন্তান জন্মায়। এরূপ ধাতুজাত সন্তান হৃষ্টপুষ্ট, বলিষ্ঠ ও সবলদেহ বিশিষ্ট হয়ে থাকে। আর অতিরিক্ত সহবাস, স্বপ্ন দোষ, কিংবা রােগের দরুন পিতামাতার উভয়েরই কিংবা একের ধাতু দুষিত বা তরল হলে, ওতে প্রায়ই সন্তান জন্মে না, জম্মিলেও প্রায়ই বাঁচে না এবং বাঁচলেও প্রায় জীর্ণশীর্ণ ও স্বাস্থ্যহীন হয়ে থাকে।
Women’s Health । জেনে নিন নারীর শরীর ও মনের যত্নে
অতএব, ও পিতামাতার কর্তব্য যে অতিরিক্ত ধাতু ক্ষয় করতঃ স্বীয় ও সন্তানের জীবন নাশ যেন না করেন। আর স্বপ্ন দোষ কিংবা অন্য কোন রােগের দরুণ ধাতু তরল দুষিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে উপযুক্ত চিকিৎসা ই দ্বারা প্রতিকার করে নেওয়া একান্ত কর্তব্য। এতে দাম্পত্য জীবন সুখে ও শান্তিতে ভরে উঠে। সংসার হয়ে উঠে সুন্দর থেকে সুন্দরতম।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
Comments ১