বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ০৯ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | PDF : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পত্রের নবম অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পত্রের নবম অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
অধ্যায়- নবম
১ নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
সম্প্রতি ইসরাইল প্যালেস্টাইনে হামলা চালালে বিশ^ব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। এর মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা উভয় দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তৎপর হয়।
ক. বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য দেশ?
খ. সিডও সনদ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে উল্লিত সংস্থাটি সৃষ্টির প্রেক্ষাপট পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থায় বাংলাদেশের ভূমিকা মূল্যায়ন কর।
১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য দেশ।
খ. নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য-দূরীকরণে জাতিসংঘ যে নীতি প্রণয়ন করেছে, তা-ই সিডও (ঈঊউঅড) সনদ নামে পরিচিত।
সিডও সনদটি নারীর অধিকার সংক্রান্ত একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল, যা বিভিন্ন সময়ে নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে গ্রহণকৃত বিভিন্ন ইস্যুকে সমন্বিত করে। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক এটি গৃহীত হয়।
এ সনদে মোট ৩০টি ধারা বিদ্যমান, যার প্রথম ১৬টি ধারা নারীর প্রতি বৈষম্যের রূপ ও পরবর্তী ১৪টি ধারা বৈষম্য নিরসনের উপায় বিশ্লেষণ করে। সর্বোপরি এর লক্ষ্য হলো নারীর সকল প্রকার অধিকার নিশ্চিতকরণ।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত সংস্থাটি হচ্ছে পাতিসংঘ। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পটভূমি মূলত যুদ্ধ- বিগ্রহের ইতিহাস নিয়ে। ১৯১৪ -১৯১৯ সালের প্রথম বিশ^যুদ্ধের ধ্বংসলীলা দেখে বিশ^নেতারা ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি লীগ অব নেশনস গঠন করেন।
কিন্তু এটি বিশ^শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধ শুরু হয়। যা আর একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তাকে অপরিহার্য করে তোলে।
দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ^ বিবেককে ভীষণভাবে আতঙ্কিত করে তোলে। এর প্রেক্ষাটটে বিশ^শান্তি প্রতষ্ঠার লক্ষ্যে তৎকালীন বিশ^ নেতৃবৃন্দ একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এ উদ্দেশ্যে ১৯৪৩ সালে তেহরান ও মস্কোতে চারটি প্রধান শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তারা জাতিসংঘ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরই ফলশ্রæতিতে ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়।
- আরো পড়ুন:-পৌরনীতি ও নাগরিকতা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রথম অধ্যায়
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর PDF
- আরো পড়ুন:- PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ. জাতিসংঘে বাংলাদেশের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গৌরবোজ্জল। জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার পর থেকে বাংলাদেশ এ বিশ^ সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১ তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। তার এই সভাপতি নির্বাচিত হওয়া জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিশেষ ভূমিকার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
পাতিসংঘে বাংলাদেশের আর্থিক অবদান কম হলেও বাংলাদেশের সৈন্যরা প্রাণ উৎসর্গ করে শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনায় কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। বর্তমান প্রায় ১১০০০- এর বেশি বাংলাদেশি সৈন্য বিশে^র ১১টি দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে।
আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশি সৈন্যদের অভূতপূর্ব সাফল্য সেই দেশগুলোতে তথ্য সারাবিশে^ বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতাকে অনেক বৃদ্ধি করেছে। বিশ^ব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার মডেল হিসেবে এবং শান্তিপ্রিয় জাতিহিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছে।
পরিশেষে বলা যায়, পাতিসংঘের শান্তিমিশনে বাংলাদেশি সৈন্যদের অবদান দেশের মর্যাদাকে উন্নত করেছে। এছাড়া বিশ^শান্তি রক্ষায় রেখেছে এক নজিরবিহীন অনন্য অবদান।
২ নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
চিত্র
ক. “লীগ অব নেশনস” কত তারিখে গঠিত হয়?
খ. জাতিসংঘ গঠনের উদ্দেশ্য বর্ণনা কর।
গ. চিত্রের সংস্থাটি কীভাবে বাংলাদেশি নারী তথ্য বিশে^র সকল নারীর জন্য অনন্য ভূমিকা রাখছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বিশ^শান্তি রক্ষায় চিত্রের সংস্থাটির সাথে বাংলাদেশের কাজের ভ‚মিকা মূল্যায়ন কর।
২ নং সৃজনশীলপ্রশ্নের উত্তরঃ
ক. ‘লীগ অব নেশনস ’ ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি গঠিত হয়।
খ. বিশ^শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ছিল জাতিসংঘ গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য।
যেকোনো ধরনের আক্রমণাত্মক প্রবণতা থেকে বিশ^কে নিরাপদ করে শান্তিময় বিশ^ প্রতিষ্ঠার জন্যই জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের সময় বিশ^যে নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছিল তা থেকে বিশ^কে রক্ষার পত্যয় নিয়েই জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল।
গ. চিত্রের সংস্থাটি অর্থাৎ জাহিসংঘ বিভিন্নভাবে বাংলাদেশি নারী তথা বিশে^র সকল নারীর জন্য অনন্য ভ‚মিকা রাখছে।
চিত্রে সাদার ভিতরে বিশে^র বৃত্তাকার মানচিত্র এবং এর দু পাশে দুটি জলপাই পাতার ঝাড় দেখা যাচ্ছে। যা জাতিসংঘের পতাকার মাঝ খানের অংশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ থেকে বোঝা যায়, সংস্থাটি জাতিসংঘ। আর জাতিসংঘ বাংলাদেশি নারী তথা বিশে^র সকল নারীর জন্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
জাতিসংঘ তার অঙ্গসংস্থা ইউনিফেমের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকার কর্মসূচি পালন করছে। নারীদের বিভিন্ন ধরনের অধিকার আদায় এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্ট করছে।
বাংলাদেশের নারীদের শ্রম অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতেও এ সংস্থা কাজ করছে। এছাড়া জাতিসংঘ বিশে^র সকল নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ এবং নারীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য তার সৃষ্টিলগ্ন থেকেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সনদ ও আইন প্রণয়ন করে নারীর জন্য অননত্য ভ‚মিকা পালন করছে।
ঘ. বিশ^শান্তি রক্ষায় চিত্রের সংস্থাটির সাথে তথা জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের কাজের ভূমিকা খুবই প্রশংসনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। চিত্রে জাতিসংঘের পতাকার মাঝখানের অশ প্রদর্শিত হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ^শান্তি রক্ষায় পাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে বাংলাদেশের ভ‚মিকা অনন্য।
বিশ^শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে বর্তমানে প্রায় ১১,০০০ এর বেশি বাংলাদেশি সৈন্য বিশে^র ১১টি দেশে জাতিস্যঘের অধীনে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদশি সৈন্যদের অভূতপূর্ব সাফল্য সেই দেশগুলোতে তথা সরাবিশে^ বাঙলাদেশের গ্রহণযোগ্যতাকে অনেক বৃদ্ধি করেছে।
বিশ^ব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার মডেল হিসেবে এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বির কারণে অন্যান্য দেশের সৈন্যরা যেখানে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছিল না সেখানে বাংলাদেশি সৈন্যরা শুধু গ্রহণ যোগ্যতা নয়, পেয়েছে স্থানীয় মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা।
সিয়েরালিওনে বাংলা ভাষা পেয়েছে সেই দেশের দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা। আইভরিকোস্টে অন্যতম ব্যস্ত সড়কের নাম হয়েছে বাংলাদেশ সড়ক। পরিশেষে বলা যায়, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশি সৈন্যদের অবদান দেশের মর্যাদাকে উন্নত করেছে। এছাড়া বিশ^শান্তি রক্ষায় রেখেছে এক রজরবিহীন অবদান।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।