SSC | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | PDF : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পত্রের দশম অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পত্রের দশম অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
১নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
সাবরিনা ও ফারহা বর্তমান বিশে^র বিভিন্ন শাসনব্যাবস্থা নিয়ে আলোচণা করছিল। এক পর্যায়ে সাবরিনা বলল, বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা সবচেয়ে ভালো। কেননা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে। আবার তারা তাদের কাজের জন্য জানগণের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে। সে আরও বলল, গণতন্ত্র ভালো শাসনব্যবস্থা হলেও এর কিছু ত্রæটি রয়েছে।
ক. গনতন্ত্র সর্বপ্রথমত কোথায় প্রচলিত হয় ?
খ. রাজনৈতিক দলের প্রধান উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের আঙ্গিকে গণতন্ত্রের গুণাবলি বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের সাবরিনার শেষোক্ত কথাটির সাথে তুমি কি একমত ? বিশ্লেষণত কর।
১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. গণতন্ত্র সর্বপ্রথম প্রাচীন গ্রিসের এথেন্সে প্রচলিত হয় ।
খ. রাখনৈতিক দলের কতগুলো উদ্দেশ্য থাকে। তবে রাজনৈতিক দলের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আদর্শগতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৈধ ও নিয়ম মাফিক নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শাসনভার গ্রহণ করা ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করা।
গ. উদ্দীপকের গণতন্ত্রের প্রধানত গুণগুলোর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
গণতন্ত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে এবং জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে। সাবরিনা ও ফারিহার আলোচনায় গণতন্ত্রের প্রধান এই গুণগুলো প্রকাশ পেয়েছে।
গণতন্ত্র হলো দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা। এ ব্যবস্থার আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় । এ ব্যবস্থার সরকারের প্রতিনিধিগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়। ফলে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে।
এতে রাষ্ট্রয় সকল সিদ্ধান্তে জনমতের প্রতিফলন ঘটে ফলে জনগণের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বা স্বাধীনতা স্বীকৃত হয় এবং ব্যক্তি তার আত্মবিকাশের সর্বাধিক সুবিধা ভোগ করে। তাই বর্তমান সময়ে প্রচলিত শসনব্যবস্থাগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রকেই সর্বোত্তম বলে বিবেচনা করা হয়।
ঘ. উদ্দীপকে সাবরিনার শেষ কথাটির সাথে আমি একমত।
বর্তমানে গণতন্ত্র অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশংসিত হলেও এর কিছু ত্রæটিও লক্ষ করা যায়। গণতন্ত্রের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে প্রাচীনকালে প্লেটো ও এরিস্টটল গণতন্ত্রেকে মূর্খের ও অযোগ্যের শাসনব্যবস্থা বলে অভিহিত করেছেন।
উদ্দীপকে সাবরিনা ও ফারিহা গণতন্ত্রের গুণাবলি নিয়ে আলোচনার সময় সাবরিনা গণতন্ত্রের প্রশংসা করা সত্তে¡ বলে যে, ভালো শাসনব্যবস্থা হলেও গণতন্ত্রে অনেক ত্রæটি বিদ্যমান। কারণ সংখ্যাগিরিষ্ঠের শাসন হিসেবে গণতনেত্্র নির্বাচণের মাধ্যমে অজ্ঞ, আযোগ্য , দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিও শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারে।
ফলে উপযুক্ত নেতার অভাবে গণতন্ত্রে শাসনকার্য পরিচালনায় নানা সমস্যা দেখা যায়। গণতন্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনে পরিণত হয় ফলে সংখ্যালঘুরা আইনসভায় প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। অনেক সময় রাজনৈতিক দলগুলো পারষ্পরিক সমঝোতায় ব্যর্থ হয়ে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং গণতন্ত্র অকার্যকর রূপ নেয়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে মতপার্থক্য ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এর ফলে জাতীয় সংহতি বিনষ্ট হয়। কখনো কখনো সরকারি দল নিজ দলের স্বার্থের প্রতি লক্ষ রেখে শাসন পরিচালনা করে। ফলে নিরপেক্ষতা নষ্ট হয়। তাছাড়া গণতন্ত্র অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি শাসন ব্যবস্থা। ঘন ঘন নির্বাচন, জনমত গঠন, প্রচার কাজ ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে সরকার, রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীয়দের প্রচুর অর্থ ব্য/য় করত হয়।
উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি যে, গণতন্ত্রের গুণগুলোর মতো ত্রæটিগুলোও প্রকট সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই আমি উদ্দীপকের সাবরিনার সাথে শেষোক্ত কথাটির একমত।
২ নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
জামাল, স্বপন ও ম্যাকিও একই বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র। তারা এমনই একটি রাষ্ট্রে বসবাস করে যেখানে জনগণই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। সংখ্যারিষ্ট জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের ফলে সেখানে সরকার গঠিত হয়। যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে তাদের দেশে সরকার গঠিত হয় সেহেতু উক্ত সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থে গঠিত ও পরিচালিত হয়।
ক. ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে কতবার জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
খ. বিরোধী রাজনৈতিক দল কীভাবে সংসদকে কার্যকর করে?
গ. জামাল, স্বপন ও ম্যাকিও যে দেশে বাস করে সেই দেশে কোন ধরনের সরকার ব্যবস্থা প্রচলিত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর, উক্ত সরকার ব্যবস্থায় সংখ্যালঘিষ্ঠ জনগোষ্ঠী উপেক্ষিত ও তাদের স্বার্থ লঙ্ঘিত হয়? তোমার উত্তরের পক্ষে বক্তব্য পেশ কর।
২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে একবার জাতীয় পরিয়দের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
খ. বিরোধী দল গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধী দল সংসদে বিতর্ক, সরকারের নীতির সমালোচনা, মূলতবী প্রস্তাব উপস্থাপন এবং বিভিন্ন বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করে সংসদকে কার্যকর করে।
গ. জামাল, স্বপন ও ম্যাকিও যে দেশে বাস করে সে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রচলিত।
গণতন্ত্র হচ্ছে মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থে গঠিত ও পরিচালিত সরকার। কেননা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভোটাধিকারের ভিত্তিতেই গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হয়। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনগণই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে উল্লিখিত তথ্যসমূহ জামাল, স্বপন ও ম্যাকিও এর বসবাসরত দেশে বিদ্যামান সরকার ব্যবসথার অনুরূপ। তাই বলা যায়, জামাল, স্বপন ও ম্যাকিও যে দেশে বাস করে সে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রচলিত।
- আরো পড়ুন:-পৌরনীতি ও নাগরিকতা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রথম অধ্যায়
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর PDF
- আরো পড়ুন:- PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ. গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় সংখ্যালঘিষ্ঠ জনগোষ্ঠী উপেক্ষিত ও তাদের স্বার্থ লঙ্গিত হয় বলে আমি মনে করি।
জামাল, স্বপন ও ম্যাকিও এর বসবাসরত দেশে জনগণই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। এ থেকে বোঝা যায়, তাদের দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান। আর গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার একটি ত্রæটি হচ্ছে, এখানে সংখ্যালঘিষ্ঠ জনগোষ্ঠী উপেক্ষিত হয় এবং তাদের স্বার্থ লঙ্ঘিত হয়।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা বা ত্রæটি রয়েছে। প্রাচীন কালের প্রখ্যাত মনীষী ও দার্শনিকগণ যেমনÑ প্লেটো ও এরিস্টল গণতন্ত্রকে মূর্খের ও অযোগ্যের শাসন ব্যবস্থা বলে অভিহিত করেছেন। কেননা, সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন হিসেবে গণতন্ত্রে নির্বাচনের মাধ্যমে অজ্ঞ, অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও শাসক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারে।
ফলে উপযুক্ত লোকের অভাবে গণতন্ত্রের উদ্দেশ্য অর্জিত হয় না এবং শাসনকার্য পরিচালনায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বাস্তবে গণতন্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনে পরিণত হয়। সংখ্যালঘুরা আইনসভায় তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে না। ফলে তাদের অভাব অভিযোগ সম্পর্কে সরকার উদাসীন থাকে।
উপয্ক্তু আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সংখ্যালঘিষ্ঠ জনগণ আইন সভায় প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে না বলেই গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় তারা উপেক্ষিত হয় এবং তাদের স্বার্থ লঙ্ঘিত হয়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন ।