ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৩৬-৩৮ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৩৬-৩৮ | PDF
প্রশ্ন ৩৬: কীর্তনখোলা ব্যাংক জনসাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করে। কয়েক বছর পর দেখা গেল ব্যাংকটির বিধিবদ্ধ রিজার্ভ ও পরিশোধিত শেয়ার মূলধন সমান হয়ে গেল।
[সোনার বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কুমিলা]
ক. প্রত্যয়পত্র কী? ১
খ. ঋণ আদায়ে জামানতকে সর্বশেষ ব্যবস্থা বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত ব্যাংকটির বিধিবদ্ধ রিজার্ভ রাখার প্রয়োজনীয়তা যুক্তি সহকারে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধনই কি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তালিকাভুক্তির জন্য যথেষ্ট? তালিকাভুক্তির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারকের নুক‚লে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয় তাকে প্রত্যয়পত্র বলে।
খ উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্তৃক ঋণ আদায়ে জামানতকে সর্বশেষ ব্যবস্থা বলা হয়।
বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ স্বল্পমেয়াদি ঋণ দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে স্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তি ঋণ আদায়ে জামানত হিসেবে কাজ করে। তাই বলা যায়, ঋণ আদায়ের জন্য জামানত হলো সর্বশেষ ব্যবস্থা।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ব্যাংকটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ রিজার্ভ রাখার প্রয়োজনীয়তা যৌক্তিক হয়েছে।
তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ তাদের আমানতের একটি নির্দিষ্ট ংশ বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে, যা বিধিবদ্ধ রিজার্ভ নামে পরিচিত।
উদ্দীপকে কীর্তনখোলা ব্যাংক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক।
তালিকাভুক্তির জন্য এ ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট বিধিবদ্ধ রিজার্ভ জমা রাখতে হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য কোনো ব্যাংকের একটি ন্যূনতম পরিমাণ নির্দিষ্ট র্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়।
প্রতিটি ব্যাংক তাদের চলতি, সঞ্চয়ী ও স্থায়ী আমানতের একটি নির্দিষ্ট ংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষণ করে। তাই বলা যায়, তালিকাভুক্তিকরণের শর্ত হিসেবে উদ্দীপকের কীর্তনখোলা ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ রিজার্ভ রাখতে হয়।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তালিকাভুক্তকরণের জন্য যথেষ্ট নয়।
তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলতে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকার ন্তর্ভুক্ত ব্যাংকসমূহকে বোঝানো হয়। তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের নানাবিধ বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। শুধু পরিশোধিত মূলধন তালিকাভুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়।
উদ্দীপকে কীর্তনখোলা ব্যাংক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি জনসাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করে। কয়েক বছর পর দেখা যায় ব্যাংকটির বিধিবদ্ধ রিজার্ভ ও পরিশোধিত মূলধন সমান হয়ে যায়।
তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য কোনো ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও র্থবাজারের সদস্য হতে হয়। এছাড়া, দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং আইনের আওতায় এ ব্যাংককে নুমোদিত ও নিবন্ধিত হতে হয়।
তালিকাভুক্ত সব ব্যাংকেরই নির্দিষ্ট পরিমাণ ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিল থাকে। এছাড়াও, তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সব ব্যাংককেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিত নিয়ম নুযায়ী তারল্য সংরক্ষণ করতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম-নীতি মেনে চলাও তালিকাভুক্তির পরিহার্য শর্ত। সুতরাং বলা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্তকরণ একটি ন্যতম শর্ত হলেও শুধু পরিশোধিত মূলধন ব্যাংকের তালিকাভুক্তিকরণের জন্য যথেষ্ট নয়।
প্রশ্ন ৩৭: দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহকে প্রদত্ত ঋণের ওপর ৫% সুদের পরিবর্তে ৬% সুদ আরোপ করে। কিন্তু কিছু ব্যাংক এটা না মানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আকর্ষণীয় শর্তে বন্ড ও সিকিউরিটিজ বিক্রয়ের উদ্যোগ নেয়। এতে জনগণ ব্যাংক থেকে তাদের গচ্ছিত টাকা উত্তোলন শুরু করে।
[সিলেট সরকারি কলেজ]
ক. কাকে ‘গড়ঃযবৎ ড়ভ ঈবহঃৎধষ ইধহশ’ বলা হয়? ১
খ. নিকাশঘর বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রথমে ঋণ নিয়ন্ত্রণের কোন কৌশল গ্রহণ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী গৃহীত পদক্ষেপ যৌক্তিক।’ তুমি কী এ বক্তব্যের সাথে একমত? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ‘ব্যাংক ব ইংল্যান্ড’ কে গড়ঃযবৎ ড়ভ ঈবহঃৎধষ ইধহশ’ বলা হয়।
খ উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির স্থান হলো নিকাশঘর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নিকাশঘরের স্থান নির্দিষ্ট থাকে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে তাদের পাওনার প্রমাণ ও বিবরণপত্রসহ এখানে হাজির হয়। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকের হিসাবকে ডেবিট-ক্রেডিট করে লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করে থাকে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রথমে ঋণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাংক হার নীতির কৌশল গ্রহণ করেছে।
ব্যাংক হার নীতি হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণের একটি সংখ্যাÍক পদ্ধতি, যে নীতি নুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিল ও সিকিউরিটিজ (ঋণপত্র) বাট্টা করে দেয়। ব্যাংক হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
উদ্দীপকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকারী। এ ব্যাংক দেশের মুদ্রাবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন ধরনের নীতি প্রয়োগ করে থাকে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে প্রদত্ত ঋণের উপর ৫% সুদের পরিবর্তে ৬% সুদ আরোপ করে। র্থাৎ ঋণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণগ্রহণের সুদের হারকে বাড়িয়েছে। যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যাংক হার নীতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক পরবর্তীতে গৃহীত খোলাবাজার নীতি যৌক্তিক বলে আমি মনে করি।
খোলাবাজার নীতি হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণের একটি সংখ্যাগত পদ্ধতি। এ নীতি নুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক খোলাবাজারে বিল ও সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় করে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
উদ্দীপকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রথমে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ঋণ গ্রহণের সুদের হার ৫% থেকে ৬% এ বৃদ্ধি করে। কিন্তু, ব্যাংক তা না মানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আকর্ষণীয় শর্তে বন্ড ও সিকিউরিটিজ বিক্রয়ের উদ্যোগ নেয়। এতে জনগণ ব্যাংক থেকে তাদের গচ্ছিত টাকা উত্তোলন শুরু করে।
উদ্দীপকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরবর্তী খোলাবাজার নীতি ব্যবহার করেছে। এ নীতির আলোকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এ ব্যাংক আকর্ষণীয় শর্তে বাজারে বন্ড ও সিকিউিরিটিজ বিক্রয় করে।
এ কারণে জনগণ এসব বিল ও সিকিউরিটিজ ক্রয়ের জন্য ব্যাংক থেকে র্থ উত্তোলন শুরু করে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণদান ক্ষমতা কমে যায়। আর বিল ও সিকিউরিটিজ ক্রয়ের মাধ্যমে জনগণের গচ্ছিত র্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট চলে যায়। এতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত হবে। তাই বলা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী গৃহীত পদক্ষেপটি যৌক্তিক।
প্রশ্ন ৩৮: ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতা উভয়ই দেশের র্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এ উভয় বস্থায় দেশে উৎপাদন, বিনিয়োগ ও র্থনৈতিক উন্নয়ন চরমভাবে ব্যাহত হয়। এ বস্থা থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য ঋণ নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক। র্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে র্থনীতির প্রয়োজন নুযায়ী র্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ই [চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ]
ক. ঋণ নিয়ন্ত্রণ কী? ১
খ. ঋণ নিয়ন্ত্রণ কেন প্রয়োজন? ২
গ. র্থ সরবরাহ পরিস্থিতি কাম্যস্তরে না থাকলে কী সমস্যা হয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বস্থা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে? বর্ণনা করো। ৪
৩৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ঋণের পরিমাণ কাম্যস্তরে বজায় রাখাই হলো ঋণ নিয়ন্ত্রণ।
খ উত্তর: দেশের সাগ উত্তর:্রিক ঋণের পরিমাণে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই ঋণ নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
ঋণ হলো বাজারে র্থ যোগানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই যোগান কম হলে উৎপাদন ব্যাহত হয়। ন্যদিকে ঋণের যোগান বেশি হলে র্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। উভয় বস্থাই র্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।
তাই উভয় বস্থা এড়িয়ে বাজারে ঋণের পরিমাণ কাম্যস্তরে রাখতে ঋণ নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আর এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গ উত্তর: র্থ সরবরাহ পরিস্থিতি কাম্যস্তরে না থাকলে র্থনীতি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে থাকে।
র্থ বা ঋণের পরিমাণ কাম্যস্তরে রাখাই ঋণ নিয়ন্ত্রণের কাজ। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ঋণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তবে র্থবাজার নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকই মুখ্য ভ‚মিকা পালন করে।
উদ্দীপকে উলিখিত ঋণের আধিক্য এবং স্বল্পতা উভয়ই র্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। র্থনীতিতে র্থ সরবরাহ বেশি হলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। ন্যদিকে র্থ সরবরাহ কমে গেলে দেশে উৎপাদন ও বিনিয়োগ কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এতে দেশের র্থনৈতিক উন্নয়ন বিপর্যস্ত হয়। র্থাৎ, র্থনীতিতে র্থের সংকট বা আধিক্য কোনোটাই কাম্য নয়। এই লক্ষ্যে র্থ সরবরাহ পরিস্থিতি কাম্যস্তরে রাখতে হয়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে বর্ণিত বস্থা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারে।
দেশের ভ্যন্তরে মুদ্রা সরবরাহ পরিস্থিতি কাম্যস্তরে বজায় রাখাই হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। সাধারণত বিভিন্ন কৌশল বা নীতি প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এর মধ্যে খোলাবাজার নীতি, ব্যাংক হার নীতি, জমার হার পরিবর্তন নীতি প্রভৃতি উলেখযোগ্য।
উদ্দীপকে উলেখ্য ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতা উভয়ই র্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে দেশের উৎপাদন ও বিনিয়োগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। এরূপ বস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ঋণ নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত ব্যাংক হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ পদ্ধতিতে বিল ও সিকিউরিটি নির্দিষ্ট হারে বাট্টাকরণ করে বাজারে ঋণের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়।
এছাড়া বাজারে র্থের পরিমাণ বাড়ানো ও কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক খোলাবাজার নীতির মাধ্যমে বন্ড, বিল, ঋণপত্র, সিকিউরিটি প্রভৃতি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। তাছাড়া, তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহের জমার হার পরিবর্তন করেও ঋণের আধিক্য ও স্বল্পতায় ভারসাম্য রাখতে পারে। তাই বলা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের উলিখিত পদ্ধতির মাধ্যমে উদ্দীপকে বর্ণিত বস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।