ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২৬-৩০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২৬-৩০ | PDF
প্রশ্ন ২৬: রিয়াদ দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের একজন ছাত্র। নোট ও মুদ্রার প্রচলন কীভাবে শুরু হয় তা জানতে খুব আগ্রহী। নোট ও মুদ্রা প্রচলনের দায়িত্ব প্রথম দিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের থাকলেও তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর ন্যস্ত করা হয়। বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোট ও মুদ্রা প্রচলনে একচেটিয়া ধিকার ভোগ করে। [ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, যশোর]
ক. বিধিবদ্ধ রিজার্ভ কী? ১
খ. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের প্রকল্প সহায়ক বলা হয় কেন? ২
গ. নোট ও মুদ্রা প্রচলন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে ধরনের কার্যাবলি তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত দায়িত্ব পালনে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একচেটিয়া ধিকার প্রদান করা হয়েছে কেন? বিশ্লেষণ করো। ৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমানতের যে নির্দিষ্ট ংশ বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয় তাই বিধিবদ্ধ রিজার্ভ।
খ উত্তর: সরকারের উপদেষ্টা ও প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের প্রকল্প সহায়ক বলা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরামর্শ দিয়ে, র্থ দিয়ে, তথ্য সরবরাহ করে এবং সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সাহায্য করে। সরকার এসব ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের প্রকল্প সহায়ক বলা হয়।
গ উত্তর: নোট ও মুদ্রা প্রচলন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাধারণ বা মৌলিক কার্যাবলির আওতাভুক্ত।
সব দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোট ও মুদ্রা প্রচলনের একক প্রতিষ্ঠান। সরকারের ব্যাংক ও ন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কার্য সম্পাদনের বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু সাধারণ কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। নোট ও মুদ্রা প্রচলন তার মধ্যে ন্যতম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যতম কাজ হলো দেশে নোট ও মুদ্রার প্রচলন করা। নোট ও মুদ্রা প্রচলনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একচেটিয়া ধিকার ভোগ করে। উদ্দীপকে দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র রিয়াজ নোট ও মুদ্রার প্রচলন সম্পর্কে জানতে খুব আগ্রহী। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নোট ও মুদ্রা প্রচলনে কাজ করে। সাধারণ কার্যাবলির ংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নোট ও মুদ্রার প্রচলন করে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে নোট ও মুদ্রা প্রচলনের দায়িত্ব পালনে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একচেটিয়া ধিকার প্রদান করা হয়েছে।
বর্তমানকালে সব দেশেই নোট ও মুদ্রা প্রচলন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক ধিকার হিসেবে গণ্য। মূলত, নোট ও মুদ্রা প্রচলনের প্রয়োজনেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উৎপত্তি হয়েছে।
উদ্দীপকে রিয়াজ দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র। সে দেশের নোট ও মুদ্রা প্রচলনের শুরু কীভাবে হয়েছে তা জানতে খুবই আগ্রহী। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিকাশ লাভের পূর্বে নোট ও মুদ্রা প্রচলনের দায়িত্ব একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর র্পণ করা হতো। পরবর্তী র্থ ব্যবস্থার কার্যকর নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়।
উদ্দীপকে উলেখ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নোট ও মুদ্রা প্রচলনের একচেটিয়া ধিকার প্রদান করা হয়েছে। কারণ পূর্বে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তিরিক্ত নোট ও মুদ্রা প্রচলন করে সরকারকে আর্থিক সংকটে ফেলে দিত। এছাড়া কাম্য র্থ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান ভ‚মিকা পালন করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্তরে স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। একাধিক প্রতিষ্ঠানের নোট ও মুদ্রা প্রচলনের ধিকার থাকলে সরকারের জবাবদিহিতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুক উত্তর:ির মুখে পড়ত। তাই বলা যায়, উলিখিত কারণেই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নোট ও মুদ্রা প্রচলনের একচেটিয়া ধিকার প্রদান করা হয়েছে।
প্রশ্ন ২৭: ‘ক’ ব্যাংক লি. ‘খ’ ব্যাংকের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। ‘ক’ ব্যাংককে তার আমানতের একটি নির্দিষ্ট ংশ ‘খ’ ব্যাংকে বাধ্যতামূলক জমা রাখতে হয় ‘খ’ ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন নিয়ক উত্তর:ানুনের মধ্যে থেকে ‘ক’ ব্যাংক লি.-কে তার দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয় ‘খ’ ব্যাংকের নির্দেশনার বাইরে ‘ক’ ব্যাংক কোন কাজ করতে পারে না। [ভোলা সরকারি কলেজ]
ক. কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী? ১
খ. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণ দানের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয় কেন? ২
গ. ‘ক’ ব্যাংক লি.-এর একটি নির্দিষ্ট ংশ ‘খ’ ব্যাংকে জমা রাখার কারণ বুঝিয়ে লিখ। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত দু’টি ব্যাংকের তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। ৪
২৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে দেশের র্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে।
খ উত্তর: আর্থিক সংকটকালীন তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো বিভিন্ন উৎস থেকে আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয়।
তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ যেকোনো সময় তারল্য সংকটে পড়তে পারে। এ সময় ব্যাংকগুলো যখন আমানত বৃদ্ধি ন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহে ব্যর্থ হয় তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক উক্ত ব্যাংকসমূহকে ঋণ সরবরাহে এগিয়ে আসে। ঋণ দানে এ ধরনের ভ‚মিকার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে ‘ক’ ব্যাংক তার আমানতের একটি নির্দিষ্ট ংশ বিধিবদ্ধ রিজার্ভ হিসেবে ‘খ’ ব্যাংকে জমা রেখেছে।
তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ তাদের আমানতের একটি নির্দিষ্ট ংশ বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে, যাকে বিধিবদ্ধ রিজার্ভ বলে। বর্তমানে এ রিজার্ভের হার ১৯%।
উদ্দীপকে ‘ক’ ব্যাংক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ‘খ’ ব্যাংক একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিধিবদ্ধ রিজার্ভের আওতায় ‘ক’ ব্যাংক তার আমানতের একটি নির্দিষ্ট ংশ ‘খ’ ব্যাংকে বাধ্যতামূলকভাবে জমা রাখে। ঋণ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে ‘খ’ ব্যাংক এ র্থ জমা রাখে।
নগদ জমার নুপাত কমিয়ে-বাড়িয়ে ‘খ’ ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। নগদ জমার নুপাত বৃদ্ধি করলে ‘ক’ ব্যাংকের নগদ বস্থা সংকুচিত হয় এবং ঋণ সৃষ্টির ক্ষমতা ব্যাহত হয়।
অন্যদিকে, নগদ জমার হার হ্রাস করলে ‘ক’ ব্যাংকের নগদ বস্থা বৃদ্ধি পায় এবং ঋণ সৃষ্টির ক্ষমতাও বাড়ে। মূলত, ঋণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘খ’ ব্যাংক ‘ক’ ব্যাংকের আমানতের একটি নির্দিষ্ট ংশ বাধ্যতামূলকভাবে জমা রাখে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ‘ক’ ব্যাংক হলো তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ‘খ’ ব্যাংক হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যে ব্যাংক জনসাধারণের আমানত গ্রহণ ও ঋণদানের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। ন্যদিকে, জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে।
উদ্দীপকে ‘ক’ ব্যাংক একটি তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক। এ ব্যাংক তার আমানতের একটি নির্দিষ্ট ংশ বাধ্যতামূলকভাবে ‘খ’ ব্যাংকে জমা রাখে। এছাড়াও, ‘ক’ ব্যাংক প্রণীত বিভিন্ন নিয়ক উত্তর:ানুনের মাধ্যমে ‘খ’ ব্যাংক তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। তালিকাভুক্ত ব্যাংক হিসেবে ‘ক’ ব্যাংক ‘খ’ ব্যাংকের নির্দেশনার বাইরে কোনো কাজ করতে পারে না।
অপরপক্ষে, ‘খ’ ব্যাংক হলো একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক যার ধীনে সকল তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক পরিচালিত হয়। এটি দেশের মুদ্রা বাজারের ভিভাবক। দেশের সার্বিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়ভার এ ব্যাংকের।
এটি দেশের সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের তালিকাভুক্তকরণ ও ঋণ নিয়ন্ত্রণের কাজ করে থাকে। তাই বলা যায়, বৈশিষ্ট্যের বিবেচনায় উদ্দীপকের ‘ক’ ব্যাংককে বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ‘খ’ ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলা হয়।
প্রশ্ন ২৮ : দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা এবং মুদ্রাবাজার গঠন ও পরিচালনার মাধ্যমে র্থনৈতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্ভব। তাছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ভ্যন্তরীণ লেনদেন সম্পন্ন করে নিকাশঘরের দায়িত্ব পালন করে এবং নোট ইস্যুর একচেটিয়া ধিকার ভোগ করে। [আইডিয়াল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা]
ক. নিকাশঘর কী? ১
খ. ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংক’ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘নোট ইস্যুর একচেটিয়া ধিকার ভোগ করে’ ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে র্থনৈতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি আলোচনা করো। ৪
২৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত¡াবধানে তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা হলো নিকাশঘর।
খ উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে প্রয়োজনে ঋণদান ও সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের ব্যাংক বলে।
দেশের সব ব্যাংকের পরিচালনা ও দায়িত্বভার থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংক হিসেবে হিসাবরক্ষণ, র্থ সংরক্ষণ, র্থ হস্তান্তর প্রভৃতি কাজ করে থাকে। এছাড়া সরকারের আর্থিক নীতি বাস্তবায়নে এ ব্যাংক ভ‚মিকা রাখে। এজন্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের ব্যাংক বলা হয়।
গ উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোট ইস্যুর ক্ষেত্রে একচেটিয়া ধিকার ভোগ করে থাকে।
নোট ইস্যু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক ধিকার হিসেবে গণ্য করা হয়। নোট ইস্যুর প্রয়োজনেই মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উৎপত্তি। র্থের চাহিদা বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের নুমতি সাপেক্ষে নোট ইস্যু করে থাকে।
উদ্দীপকের তথ্য নুযায়ী দেশের মুদ্রাবাজার গঠন ও পরিচালনা এবং র্থনৈতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্ভব হয়েছে। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোট ইস্যুর একচেটিয়া ধিকার ভোগ করে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা বিকাশ লাভের পূর্বে নোট ইস্যুর দায়িত্ব ছিল বেসরকারি মালিকানাধীন এক বা একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর। পরবর্তীতে দেশের র্থ ব্যবস্থার ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নোট ইস্যুর একক দায়িত্ব র্পণ করা হয়।
তাই কাম্য র্থ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, জনআস্থা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার্থে নোট ইস্যুর ধিকার একচেটিয়াভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভোগ করে থাকে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের আলোকে র্থনৈতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানাবিধ কার্যাবলি রয়েছে।
দেশের র্থব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মুদ্রা ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল রেখে র্থনীতিকে একটি শক্তিশালী বস্থানে নিয়ে যেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে।
উদ্দীপকে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা ও মুদ্রাবাজার গঠন ও পরিচালনার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্ভব হয়। র্থনৈতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ভ্যন্তরীণ লেনদেন নিষ্পত্তির দায়িত্ব নিকাশঘরের মাধ্যমে পালন করে। আর ব্যাংক নোট ইস্যুর একচেটিয়া ধিকার ভোগ করে।
ব্যাংকিং ও মুদ্রা ব্যবস্থার সঠিক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে থাকে। দেশের জন্য একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল মুদ্রাবাজার গঠন ও পরিচালনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ। ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এ ব্যাংক র্থের পরিমাণ কাম্য স্তরে বজায় রাখে।
উলিখিত দায়িত্ব পালন ছাড়াও সরকারের নীতি বাস্তবায়ন, পরামর্শদান, তথ্য সরবরাহ, প্রতিনিধিত্বকরণ প্রভৃতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের র্থনীতিতে বদান রাখে। সর্বোপরি বলা যায়, র্থনৈতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন ২৯: সম্প্রতি বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক লি. এর যুক্তরাজ্য শাখা ব্যাংকিং কার্যক্রম পালনে ত্যন্ত বহেলা করে। বিষয়টি যুক্তরাজ্যের আর্থিক আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে। তারা যুক্তরাজ্যস্থ সোনালী ব্যাংককে ৩১ কোটি টাকা আর্থিক জরিমানা পরিশোধ করতে বলে। সোনালী ব্যাংক এ আদেশ মানতে বাধ্য।
[এম ই এইচ আরিফ কলেজ, গাজীপুর]
ক. মিশ্র ব্যাংকিং কী? ১
খ. ব্যাংককে ধার করা র্থের ধারক বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে আর্থিক আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপের সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোন পদক্ষেপের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘তালিকাভুক্ত ব্যাংকের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ মানা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকে না’Ñ এ বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? বিশ্লেষণ করো। ৪
২৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কার্যাবলি একত্রে সম্পাদন করা হয় তাকে মিশ্র ব্যাংকিং বলে।
খ উত্তর: ব্যাংক জনগণের র্থে ব্যবসায় কার্য পরিচালনা করে বিধায় ব্যাংককে ধার করা র্থের ধারক বলা হয়।
ব্যাংক গ্রাহকের র্থ স্বল্প সুদের বিনিময়ে আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে। এই সংগৃহীত র্থ দ্বারা ব্যাংক তার তহবিল গঠন করে। উক্ত তহবিল থেকে ব্যাংক ধিক সুদে ঋণ দেয়।
এছাড়াও বিভিন্ন লাভজনক খাতে ব্যাংক র্থ বিনিয়োগ করে। এভাবেই ব্যাংক তার ব্যবসায় কার্য পরিচালনার মাধ্যমে মুনাফা র্জন করে। তাই ব্যাংককে ধার করা র্থের ধারক বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে আর্থিক আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপটির সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনামূলক পদক্ষেপের মিল রয়েছে।
দেশের র্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের ন্য ব্যাংকসমূহের কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে। যদি কোনো ব্যাংক তাদের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা না করে তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক যুক্তরাজ্যে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পালনে ত্যন্ত বহেলা করে। তাই, যুক্তরাজ্যের আর্থিক নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সোনালী ব্যাংককে ৩১ কোটি টাকা আর্থিক জরিমানা করে।
উক্ত পদক্ষেপটি তালিকাভুক্ত ব্যাংকের প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনামূলক পদক্ষেপের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তালিকাভুক্ত ব্যাংক যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ মেনে না চলে তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাস্বরূপ এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের আলোকে “তালিকাভুক্ত ব্যাংকের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ মানা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই”Ñ উক্তিটি যথার্থ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব তালিকাভুক্ত ব্যাংকের পরিচালক, নিয়ন্ত্রক ও দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো সব তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ভিভাবক।
উদ্দীপকে সোনালী ব্যাংক যুক্তরাজ্যে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় নেক বহেলা করে। তাই যুক্তরাজ্যের আর্থিক নিয়ন্ত্রণকারী কর্র্তৃপক্ষ তাদের ৩১ কোটি টাকা জরিমানা করে। সোনালী ব্যাংক এ আদেশ মানতে বাধ্য। কারণ সোনালী ব্যাংক একটি তালিকাভুক্ত ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব তালিকাভুক্ত ব্যাংকের জন্য নিয়মনীতি নির্ধারণ করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব তালিকাভুক্ত ব্যাংকের প্রধান নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। তালিকাভুক্ত ব্যাংকের আর্থিক সংকটে এ ব্যাংক সাহায্যও করে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সব ব্যাংকের ব্যাংকার বলা হয়। তাই তালিকাভুক্ত ব্যাংকের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ মানা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
প্রশ্ন ৩০ বাণিজ্যিক ব্যাংকের ধিক ঋণ প্রবণতার কারণে মুদ্রাস্ফীতির হার দ্রুত বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাথমিক পর্যায়ে নির্দিষ্ট খাত যেমন- শিল্প, কৃষি ও ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বাজারে কিছুটা ভারসাম্য বস্থার সৃষ্টি হয়। তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন কৌশলে আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাংকগুলো আবার ঋণের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিপত্র জারি করেছে এখন থেকে ঋণ নিতে ব্যাংকগুলোকে ১% ধিক হারে র্থাৎ ৬% হারে সুদ দিতে হবে। [সফিউদ্দীন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ, গাজীপুর]
ক. বিহিত মুদ্রা কী? ১
খ. কোন হিসাবে ব্যাংক চেক প্রদান করে না? বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তুমি কি মনে করো দ্বিতীয় পর্যায়ে গৃহীত ব্যবস্থা দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য সহায়ক হবে? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো। ৪
৩০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: একটি দেশের প্রচলিত আইন নুযায়ী বৈধ মুদ্রাকে বিহিত মুদ্রা বলে।
খ উত্তর: স্থায়ী হিসাবের গ্রাহকদের ব্যাংক কোনো চেকবই দেয় না।
স্থায়ী হিসাবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গ্রাহক ব্যাংকে র্থ জমা করে। ঐ নির্দিষ্ট সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত গ্রাহক এ হিসাবের র্থ উত্তোলন করে না, এ হিসাবে জমাকৃত র্থের বিপরীতে ব্যাংক গ্রাহককে স্থায়ী আমানতের রসিদ দেয়। তাই এ হিসাবে ব্যাংক থেকে গ্রাহককে কোনো চেকবই দেয়া হয় না।
গ উত্তর: প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ বরাদ্দকরণ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে।
বিশেষ খাত চিহ্নিত করে সেক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ কম-বেশি করার নীতিকে ঋণ বরাদ্দকরণ নীতি বলে। এরূপ নীতির ক্ষেত্রে যেসব খাতে ঋণ দেওয়া প্রয়োজন সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ বরাদ্দের নির্দেশ দেয়।
উদ্দীপকে দেশের মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ কমানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এ নীতি নুসরণ করেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দিষ্ট খাতে যেমন- শিল্প, কৃষি ও ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। এতে প্রাথমিক পর্যায়ে বাজারে সাময়িক ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। উদ্দীপকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নুসৃত এ নীতি প্রাথমিক পর্যায়ে বাজারকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করেছে।
তাই বলা যায়, প্রাথমিক পর্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের বরাদ্দকরণ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয় পর্যায়ে গৃহীত ব্যবস্থা দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য সহায়ক হবে না।
ব্যাংক হারের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে। এ নীতিকে ব্যাংক হার নীতি বলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিরোধে ব্যাংক হার বাড়ায়। আবার মুদ্রা সংকোচনের প্রয়োজনে ব্যাংক হার কমায়।
উদ্দীপকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ধিক ঋণ প্রবণতার কারণে দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে যায়। এ বস্থায় নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ গ্রহণে সুদের হার ১% বাড়িয়ে ৬% এ উন্নীত করে।
ব্যাংক হার নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ গ্রহণে সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ব্যাংকগুলো নিরুৎসাহিত হয়ে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নির্ধারিত হারে ঋণ নেয়।
পরবর্তীতে তা থেকে উচ্চ সুদের হারে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়। দুই সুদের হারের পার্থক্যই বাণিজ্যিক ব্যাংকের মুনাফা। কিন্তু ব্যাংক হার বাড়িয়ে ৬% করার কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণদান ক্ষমতা হ্রাস পাবে, যা ব্যাংকগুলোর জন্য লাভজনক নয়।
তাই বলা যায়, দেশে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয় গৃহীত ব্যবস্থা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য সহায়ক নয়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।