ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৬-২০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৬-২০ | PDF
প্রশ্ন ১৬: ‘কুশিয়ারা ব্যাংক লি.’ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় র্থ সংকটে পড়েছে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা চেয়ে আবেদন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়। এমতাবস্থায় ন্য একটি ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ঋণ পায়। উক্ত নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সিডরের কারণে জমিতে লবণাক্ততা দূরীকরণে স্বল্প সুদে ১০০ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যার ফলে দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। [নটর ডেম কলেজ, ঢাকা]
ক. নিকাশঘর কী? ১
খ. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রাবাজারের ভিভাবক বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের ‘কুশিয়ারা ব্যাংক লি.’ কোন ব্যাংক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ সুবিধা পেয়েছে? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে উদ্দীপকের ব্যাংকের কর্ক উত্তর:াণ্ডে কোন নীতির প্রভাব পরিলক্ষিত হয়? যুক্তিসহ আলোচনা করো।। ৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনায় তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা হলো নিকাশঘর।
খ উত্তর: মুদ্রাবাজার পরিচালনা করে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রাবাজারের মুরব্বি বা ভিভাবক বলা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো দেশের মুদ্রাবাজার গঠন, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের একক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। মুদ্রাবাজারের সার্বিক উন্নয়ন র্থ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। মুদ্রাবাজার গঠন ও উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা উদ্যোগ নেয়। মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান ভ‚মিকা রাখে বিধায় একে মুদ্রাবাজারের ভিভাবক বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকের কুশিয়ারা ব্যাংক লি. কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা পেয়েছে।
যে ব্যাংক দেশের মুদ্রাবাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং সরকারের ব্যাংক হিসেবে কাজ করে তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে। এ ব্যাংক বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকে।
উদ্দীপকে কুশিয়ারা ব্যাংক লি. তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় র্থ সংকটে পড়েছে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহায্য চেয়েও এ ব্যাংক র্থ সংগ্রহে ব্যর্থ হয়। পরে ন্য একটি ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন করে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে কুশিয়ারা ব্যাংক আর্থিক সংকট মোকাবেলা করে। মূলত দেশের সকল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী ব্যাংক হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকটময় সময়ে ঋণ প্রদান করে ন্যান্য তালিকাভুক্ত ব্যাংককে আর্থিক সহযোগিতা করে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে কুশিয়ারা ব্যাংক লি. যে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা পেয়েছে তা একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণকারী ব্যাংকের কর্ক উত্তর:াণ্ডে ঋণ বরাদ্দকরণ নীতির প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ঋণের বরাদ্দকরণ নীতি হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গুণগত বা নির্বাচনমূলক পদ্ধতি।
কোনো বিশেষ খাত চিহ্নিত করে সেক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ কম-বেশি করার নীতিকে ঋণের বরাদ্দকরণ নীতি বলে। এরূপ নীতির আওতায় যেসব খাতে ঋণ দেয়া প্রয়োজন সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ বরাদ্দের নির্দেশ দেয়।
উদ্দীপকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো সব ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সিডরের কারণে জমির লবণাক্ততা দূরীকরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বল্প সুদে ১০০ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
নিয়ন্ত্রণকারী ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণের একটি কৌশল হলো ঋণের বরাদ্দকরণ নীতি। উদ্দীপকে বিশেষ খাত হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের সিডরে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে ধিক পরিমাণে ঋণ প্রদান করা হয়।
ফলে, ঐ ঞ্চলের জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য দূর হবে এবং আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে। এতে মাথাপিছু আয় বাড়ার মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। এখানে ঋণদানের ক্ষেত্রে বিশেষ খাত চিহ্নিত করায় নিয়ন্ত্রণকারী ব্যাংকের ঋণের বরাদ্দকরণ নীতির প্রতিফলন হয়েছে। এর ফলে দেশের সুষম উন্নয়ন ঘটবে।
প্রশ্ন ১৭: সম্প্রতি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিলাসবহুল দ্রব্য ক্রয়ে ধিক পরিমাণ ঋণ দেয়ায় বাজারে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। তাই দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি সঞ্চিতি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাতে ঋণ সরবরাহ পরিস্থিতি তেমন পরিবর্তন না হওয়ায় ব্যাংকটি কিছু বণ্ডও বাজারে ছেড়েছে। এতে গ্রাহকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। [আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা]
ক. নিকাশঘর কী? ১
খ. কোন ব্যাংককে ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি ঋণ নিয়ন্ত্রণে সর্বপ্রথম কোন পদ্ধতি বলম্বন করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক গ্রহণকৃত ঋণ নিয়ন্ত্রণের পরবর্তী পদ্ধতিটি মুদ্রাস্ফীতির ওপর কিরূপ প্রভাব ফেলবে? বিশ্লেষণ করো। ৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনার নিষ্পত্তিস্থলই হলো নিকাশঘর।
খ উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয়।
তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ তারল্য সংকটে ন্য কোনো উৎস থেকে প্রয়োজনীয় র্থ সংগ্রহে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ সরবরাহে এগিয়ে আসে। দেশের সরকারও প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এরূপ সহায়তা নেয়। এই ধরনের ভ‚মিকার কারণেই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয়।
গ উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি ঋণ নিয়ন্ত্রণে সর্বপ্রথম জমার হার পরিবর্তন নীতি বলম্বন করেছে।
তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ তার সংগৃহীত আমানতের একটা নির্দিষ্ট ংশ বাধ্যতামূলকভাবে নগদে ও ংশবিশেষ সিকিউরিটিজ ক্রয় করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে। এই জমার হার পরিবর্তন করে ঋণ নিয়ন্ত্রণের কৌশলকে জমার হার পরিবর্তন নীতি বলে। সম্প্রতি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিলাসবহুল দ্রব্য ক্রয়ে ধিক পরিমাণ ঋণ দিচ্ছে। এর ফলে বাজারে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়।
তাই দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সঞ্চিতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশে ঋণ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে বিভিন্ন পদ্ধতি বলম্বন করে। সঞ্চিতি বৃদ্ধি তেমনই একটি পদ্ধতি, যাতে বাণিজ্যিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাধ্যতামূলকভাবে রিজার্ভ সংরক্ষণ করে। এটি জমার হার পরিবর্তন নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি ঋণ নিয়ন্ত্রণে সর্বপ্রথম জমার হার পরিবর্তন নীতি বলম্বন করেছে।
ঘ উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত ঋণ নিয়ন্ত্রণের পরবর্তী পদ্ধতিটি হলো খোলাবাজার নীতি, যা মুদ্রাস্ফীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক খোলাবাজারে সিকিউরিটি ও বিল (শেয়ার ও ডিবেঞ্চার) ক্রয়-বিক্রয় কার্যকে খোলাবাজার নীতি বলে।
উদ্দীপকের উলিখিত দেশটির তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিলাসবহুল দ্রব্য ক্রয়ে যথেচ্ছ ঋণ দিচ্ছে। তিরিক্ত ঋণ প্রদান দেশের মুদ্রাবাজারকে প্রভাবিত করছে।
ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের জন্য জমার হার পরিবর্তন নীতি ও খোলাবাজার নীতি বলম্বন করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি বাজারে বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে খোলাবাজার নীতি নুসরণ করছে।
এই বন্ড বিক্রয়ের ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বন্ড বিক্রয়ের র্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে আসবে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণদান ক্ষমতা হ্রাস পাবে। ফলে বাজারে ঋণের সরবরাহ এবং মুদ্রাস্ফীতিও হ্রাস পাবে।
তাই বলা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত ঋণ নিয়ন্ত্রণের খোলাবাজার নীতি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করবে।
প্রশ্ন ১৮: সরকারের আদেশে কিছুদিন পূর্বে ‘ই’ ব্যাংক ২০ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ে। তিস্তা ও সুরমা ব্যাংকসহ নেক ব্যাংক এসব নোট সংগ্রহ করে। তিস্তা ব্যাংককে ‘ই’ ব্যাংক এর সকল আদেশ ও নির্দেশিত শর্তাবলি মেনে চলতে হয়। কিন্তু সুরমা ব্যাংক এসব মানতে বাধ্য নয়। সম্প্রতি তিস্তা ও সুরমা ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়লে ‘ই’ ব্যাংক তিস্তা ব্যাংককে ঋণ দিয়ে সহায়তা করেছে কিন্তু সুরমা ব্যাংককে তা করেনি। [বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার]
ক. ব্যাংক কী? ১
খ. ভোক্তা ব্যাংক বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত ‘ই’ ব্যাংক সরকারের পক্ষে কোন ধরনের কাজ করেছে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত তিস্তা ব্যাংককে ‘ই’ ব্যাংকের সহায়তা করা কি সঠিক ছিল? তোমার মতামত ব্যাখ্যা করো। ৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংক হলো এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা আমানত হিসেবে র্থ সংগ্রহ করে, ঋণ দেয় এবং র্থ সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করে।
খ উত্তর: ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে যে ব্যাংক গঠিত ও পরিচালিত হয় তাকে ভোক্তা ব্যাংক বলে।
ভোক্তাদের বাকিতে পণ্য ক্রয়ের সুবিধা প্রদানের জন্যই এ ব্যাংক গঠন করা হয়। আমাদের দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ ধরনের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে থাকে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ‘ই’ ব্যাংক সরকারের পক্ষ হয়ে নোট ইস্যু করেছে।
জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের ব্যাংক বলা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষে নোট ও মুদ্রা ইস্যু করে থাকে।
উদ্দীপকে উলিখিত ‘ই’ ব্যাংকটি সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়। এ ব্যাংকটি সরকারের পক্ষে নোট ও মুদ্রার প্রচলনকারী হিসেবে কাজ করে, ‘ই’ ব্যাংক ২০ টাকার নতুন একটি নোট বাজারে ছাড়ে।
এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নোট ও মুদ্রা প্রচলন কাজের ন্তর্গত। বর্তমানে প্রায় সব দেশেই নোট ও মুদ্রা প্রচলনের একক দায়ভার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। উদ্দীপকে উলিখিত ‘ই’ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে সরকারের পক্ষ হয়ে কাজ করেছে। র্থাৎ বলা যায়, ‘ই’ ব্যাংক সরকারের নোট ও মুদ্রা প্রচলনের দায়ভার নিয়েছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত তিস্তা ব্যাংকটি একটি তালিকাভুক্ত ব্যাংক হওয়ায় এ ব্যাংককে সহায়তা করা ‘ই’ ব্যাংকের জন্য সঠিক ছিল বলে আমি মনে করি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশ নির্দেশ মেনে যে ব্যাংক এর তালিকার ন্তর্ভুক্ত হয় তাকে তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলে। তালিকাভুক্ত সব ব্যাংকের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সাহায্য, সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহের তারল্য সংকটের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সব ব্যাংককে ঋণ প্রদান করে থাকে। উদ্দীপকে ‘ই’ ব্যাংক সরকারের পক্ষ হয়ে নোট ও মুদ্রা ইস্যু করে। আবার তিস্তা ব্যাংক ‘ই’ ব্যাংকের সব আদেশ ও নির্দেশিত নিয়মাবলি মেনে চলে। সম্প্রতি তিস্তা ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়লে ‘ই’ ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ সহায়তা পায়।
তিস্তা ব্যাংক যেহেতু তালিকাভুক্ত ব্যাংক তাই ‘ই’ ব্যাংক তারল্য সংকটের সময় এ ব্যাংককে ঋণ প্রদান করেছে। ন্যদিকে সুরমা ব্যাংক তালিকাভুক্ত না হওয়ায় ‘ই’ ব্যাংক তাকে কোনো সহায়তা প্রদান করেনি। তাই বলা যায়, দায়িত্বের বিচারে তিস্তা ব্যাংককে ‘ই’ ব্যাংকের সহায়তা করা সঠিক ও যুক্তিযুক্ত ছিল।
প্রশ্ন ১৯ পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকার নিজস্ব তহবিলকে প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহের দায়িত্ব সরকার ‘ক’ ব্যাংকের ওপর ন্যস্ত করে। পদ্মা নদীর তীরবর্তী নুন্নত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য ‘ক’ ব্যাংক তার ধীনস্থ সব ব্যাংককে পেক্ষাকৃত কম সুদের হারে ঋণ প্রদানের নির্দেশ জারি করে। [আবদুল কাদির মোলা সিটি কলেজ, নরসিংদী]
ক. ব্যাংক হার নীতি কী? ১
খ. ঋণ নিয়ন্ত্রণে খোলাবাজার নীতির প্রভাব বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ ব্যাংকের তহবিল সংগ্রহের কাজ কোন ধরনের কার্যাবলি? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ ব্যাংকের উপরিউক্ত নির্দেশনা জারির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংক হারের হ্রাস-বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশলকে ব্যাংক হার নীতি বলে।
খ উত্তর: ঋণ নিয়ন্ত্রণে খোলাবাজার নীতি একটি ন্যতম পদ্ধতি।
ঋণ নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খোলাবাজার নীতি নুসরণ করে। এ নীতির মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠান খোলাবাজারে বিভিন্ন বিল ও সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের তিরিক্ত ঋণপ্রদানের ফলে বাজারে ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়।
তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্বে ক্রয়কৃত ঋণপত্রসমূহ খোলাবাজারে বিক্রির মাধ্যমে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। ফলে ব্যাংক ও জনগণের কাছে থাকা র্থের পরিমাণ কমে আসে এবং তাদের ঋণদান সামর্থ্য হ্রাস পায়। এভাবেই ঋণ নিয়ন্ত্রণে খোলাবাজার নীতি প্রভাব বিস্তার করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকের ‘ক’ ব্যাংকের তহবিল সংগ্রহের কাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরকারের ব্যাংক হিসেবে কার্যাবলির আওতায় পড়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত সরকারের ব্যাংক হিসেবে কাজ করে থাকে। সর্বত্রই এ ব্যাংক সরকারের প্রতিনিধি, উপদেষ্টা ও পরামর্শক হিসেবে বিভিন্ন কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। তহবিল সংগ্রহ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যতম কার্যাবলি।
উদ্দীপকে ‘ক’ ব্যাংক সরকারের ধীনস্থ একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে র্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে সরকার তহবিল সংগ্রহের দায়িত্ব ‘ক’ ব্যাংককে প্রদান করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত সরকারের পক্ষে সরাসরি তহবিল ও উদ্বৃত্ত সংরক্ষণ ও তত্ত¡াবধান করে। এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারি তহবিলের সংরক্ষক বলা হয়। উদ্দীপকে ‘ক’ ব্যাংক সরকারের তহবিল সংরক্ষক হিসেবে কাজ করছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে ‘ক’ ব্যাংকের উলিখিত নির্দেশনা জারি একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
বিশেষ খাত চিহ্নিত করে সেক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ কম-বেশি করার নীতিকে ঋণের বরাদ্দকরণ নীতি বলে। এ নীতির ক্ষেত্রে যেসব খাতে ঋণ দেওয়া প্রয়োজন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেখানে বিশেষ ঋণ বরাদ্দের নির্দেশ দেয়।
উদ্দীপকে ‘ক’ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে সরকারের তহবিল সংগ্রহের কাজ করে। ‘ক’ ব্যাংক পদ্মার তীরবর্তী নুন্নত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য তার ধীনস্থ সব ব্যাংককে কম সুদের হারে ঋণ প্রদানের নির্দেশ দেয়।
ঋণ বরাদ্দকরণের নীতি নুযায়ী ‘ক’ পদ্মা তীরবর্তী নুন্নত জনগোষ্ঠীকে বিশেষ খাত হিসেবে বিবেচনা করে। ফলে সরকার এ ঞ্চলের জনগণের সহায়তার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার ধীনে পরিচালিত সব ব্যাংককে কম সুদের হারে ঋণদানের নির্দেশ দেয়।
যার ফলে এ জনগোষ্ঠী সহজে ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। উক্ত ঋণ কাজে লাগিয়ে তারা র্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়বে। তাই বলা যায়, বিশেষ খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ক’ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা যথার্থ হয়েছে।
প্রশ্ন ২০: যেকোনো দেশেই একটি ব্যাংক থাকে যেটি ন্য ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, সরকারের ব্যাংক হিসেবে কাজ করে, মোট কথা ব্যাংকের রাজা হয়ে কাজ করে। বাংলাদেশেও এমন একটি ব্যাংক আছে যেটি সরকারের বিশেষ আইন ও ধ্যাদেশ বলে গঠিত। ন্যদিকে, আরো কিছু ব্যাংক থাকে যারা জনগণের কাছ থেকে বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে র্থ সংগ্রহ করে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে ঋণদান করে থাকে। আবার জনগণ চাইলে তাদের জমাকৃত র্থ চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারে। [কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. ব্যাংক হার নীতি কাকে বলে? ১
খ. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কোন ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয় তা ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত প্রথম ব্যাংকটি কার্যাবলির ভিত্তিতে কোন ধরনের ব্যাংক তা আলোচনা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত দুই ধরনের ব্যাংকের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করো। ৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাংককে ঋণ দান করে বা বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রথম শ্রেণির বিলগুলো বাট্টা করে দেয়, তাকে ব্যাংক হার বলে।
খ উত্তর: আর্থিক সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আর্থিক সহায়তা করে বলে এটি ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল।
তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ আর্থিক সংকটে ন্য কোনো উৎস থেকে ঋণ সংগ্রহে ব্যর্থ হলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের ঋণ প্রদান করে। সংকট উত্তরণে এ সহায়তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভিভাবকত্ব প্রকাশ করে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত প্রথম ব্যাংকটি কার্যাবলির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো র্থবাজার ও ব্যাংক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক। সরকারি মালিকানায় গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকই কেন্দ্রীয় ব্যাংক। র্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করে জনকল্যাণ সাধনই এ ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য।
সব দেশেই একটি প্রধান ব্যাংক থাকে, যা ন্য ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। উদ্দীপকে বাংলাদেশ ব্যাংক এমন একটি ব্যাংক যা সরকারের বিশেষ আইন ও ধ্যাদেশ ‘বাংলাদেশ ব্যাংক র্ডার-১৯৭২’ বলে গঠিত।
এটি সরকারের ব্যাংক, মোটকথা সব ব্যাংকের রাজা হিসেবে কাজ করে থাকে। র্থাৎ দেশের প্রধান ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সার্বিক ব্যাংক ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখবে।
এছাড়া, দেশে বিদ্যমান সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও বাংলাদেশ ব্যাংকের। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে উলিখিত ব্যাংকটি কার্যাবলির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে প্রথম ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর দ্বিতীয় ব্যাংকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে তাদের মাঝে পার্থক্য রয়েছে।
সরকারের ধীনে থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের মুদ্রাবাজার গঠন, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ন্যদিকে, বাণিজ্যিক ব্যাংক মুনাফা র্জনের উদ্দেশ্যে জনগণের আমানত সংগ্রহ ও স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে।
উদ্দীপকে উলিখিত দুটি ব্যাংকের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। উদ্দীপকে ১ম ব্যাংকটি সরকারের ব্যাংক হিসেবে ন্য ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, যাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে। এ ব্যাংক সরকারের বিশেষ আইন ও ধ্যাদেশ বলে গঠিত। ন্যদিকে দ্বিতীয় ব্যাংকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যা জনগণের কাছ থেকে বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে র্থ সংগ্রহ ও ঋণ দিয়ে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে বা বিশেষ আইন বলে গঠিত হয়। ন্যদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংক দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং আইন নুসারে গঠিত হয়। মুনাফা র্জনই বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য। ন্যদিকে, জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালিত হয়।
বাণিজ্যিক ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে। ন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাবাজারের ভিভাবক আর বাণিজ্যিক ব্যাংক এ বাজারের সদস্য। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের উলিখিত কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য রয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।