SSC সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর PDF : ২১ থেকে ২৫- সাধারণ বিজ্ঞান হতে যেকোনো ধরনের সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয়া ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেন আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
SSC সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর PDF : ২১ থেকে ২৫
প্রশ্ন -২১ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কাশেমের গ্রামের টিউবওয়েলগুলোর পানি খেয়ে এলাকার লোকজনের ত্বক ও পেটের অসুখ দেখা দিয়েছে। পরীক্ষা করে টিউবওয়েলের পানিতে এক ধরনের ক্ষতিকর ধাতুর উপস্থিতি বেশি পরিমাণের পাওয়া গেল। এখন টিউবওয়েলের পানি না পান করে গ্রামের মানুষ পুকুরের পানি পান করছে।
ক. ঊঞচ এর পূর্ণ নাম কী এবং এর কাজ কী? ১
খ. বৈশ্বিক উষ্ণতার সাথে সম্পর্কিত কম্পিউটার মডেলিং সম্বন্ধে ধারণা দাও। ২
গ. কাশেমের গ্রামের লোকজন কীভাবে বিশুদ্ধ পানি পেতে পারে? ব্যাখ্যাসহ লেখ। ৩
ঘ. কাশেমের গ্রামের লোকজন যদি টিউবওয়েলের পানি পান করা অব্যাহত রাখে তাহলে তাদের কী পরিণতি হতে পারে? বর্ণনা কর। ৪
🢖🢔 ২১নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. ঊঞচ এর পূর্ণ নাম ঊভভষঁসবহঃ ঞৎবধঃসবহঃ চষধহঃ এর কাজ বর্জ্যপানি পরিশোধন করে নদীতে ফেলা।
খ. বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে একেক এলাকার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ধরনের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। এ সংক্রান্ত পরিবর্তনগুলো কম্পিউটার মডেলিং থেকে ধারণা পাওয়া যায়।
কোন কোন এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাবে, আবার কোন কোন এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে, কোন এলাকায় শীতকালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এসব কিছু কম্পিউটার মডেলিং থেকে পূর্বে জানা যায়।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে গ্রামের মানুষ পুকুরের পানি পান করছে। পুকুরের পানিতে পানিবাহিত রোগের জীবাণু থাকে। একে পানযোগ্য করার অন্যতম উপায় হলো ক্লোরিনেশন করে বিশুদ্ধ করা।
এক্ষেত্রে কাশেমের গ্রামবাসী বিøচিং পাউডার অথবা সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড (ঘধঙঈষ) ট্যাবলেট ব্যবহার করে পানিকে বিশুদ্ধ করতে পারে। এতে থাকা ক্লোরিন পানির রোগজীবাণু ধ্বংস করে দেয়।
আর একটি সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি হচ্ছে পুকুরের পানিকে ১৫-২০ মিনিট ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করে ঠাণ্ডা করে পানযোগ্য করা।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে পরীক্ষা করে টিউবওয়েলের পানিতে এক ধরনের ক্ষতিকর ধাতুর উপস্থিতি বেশি পরিমাণ পাওয়া গেছে। ভ‚গর্ভস্থ পানি সাধারণত আর্সেনিক দ্বারা দূষিত হয়।
তাছাড়া গ্রামবাসীর ত্বকের ও পেটের অসুখ থেকে বোঝা যাচ্ছে এ এলাকায় ভ‚গর্ভস্থ পানি আর্সেনিক ধাতু দ্বারা দূষিত হয়ে পড়েছে।
কাশেমের গ্রামের অধিবাসীরা যদি টিউবওয়েলের পানি পান করা অব্যাহত রাখে তাহলে পানিতে উল্লিখিত পদার্থের উপস্থিতির কারণে তাদের ত্বক ও ফুসফসের ক্যান্সার এবং পাকস্থলীর রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
প্রশ্ন -২২ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রহিম ও তার গ্রামের মানুষরা প্রতিদিন তাদের বাড়ির কাছে পুকুরে সাবান দিয়ে গোসল করে এবং ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় পরিষ্কার করে। পুকুরের মাছগুলো মাঝে মাঝে ভেসে উঠে আবার মরেও যায়।
ক. পরিস্রাবণ কাকে বলে?
খ. পানির নির্দিষ্ট মান বজায় রাখা প্রয়োজন কেন?
গ. পুকুরের মাছগুলো মাঝে মাঝে ভেসে উঠে আবার মরেও যায় কেন?
ঘ. “রহিম ও গ্রামের মানুষের কর্মকাণ্ড উল্লিখিত পুকুরের জলজ জীবের জন্য হুমকি।” বিশ্লেষণ কর।
🢖🢔 ২২নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. তরল ও কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার প্রক্রিয়াকে পরিস্রাবণ বলে।
খ. পানি অত্যন্ত মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। পানি আমাদের জন্য যেমন অতি প্রয়োজনীয় তেমনি জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর আশ্রয়স্থল। পানি জীবদেহের সকল শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যম এবং সর্বজনীন দ্রাবকও বটে। তাই পানির নির্দিষ্ট মান যদি বজায় না থাকে তাহলে এটি পরিবেশের ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর হবে।
গ. জীবের পরিবেশের জন্য পানির মানদণ্ড যথাযথ হওয়া প্রয়োজন। পানির মানদণ্ডের মধ্যে পানির ঢ়ঐ ও দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে নদনদী এবং অন্য জলাশয়ের পানির ঢ়ঐ এর মান যদি ৬-৮ এর মধ্যে থাকে তাহলে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য অসুবিধা হবে না।
এই মান যদি বেড়ে যায় বা কমে যায় তাহলে ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের মারাত্মক ক্ষতি হয়। পুকুরের পানিতে সব সময় ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় কাঁচা ও সাবান ব্যবহারের ফলে ফসফেটের মাত্রা ক্রমশ অনেক বেড়ে যাচ্ছে এবং এর সাথে পানির ঢ়ঐ মানও বেড়ে যাচ্ছে।
পানিতে ফসফেট ও নাইট্রোজেনের মাত্রা খুব বেড়ে যাওয়ার কারণে পানিতে প্রচুর শ্যাওলা জাতীয় জলজ উদ্ভিদ জন্মায়। এগুলো মরে পানিতে দ্রবীভ‚ত থাকা অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে, ফলে পানির অক্সিজেনের স্বল্পতার সৃষ্টি হয়। তাই পানিতে অক্সিজেনের স্বল্পতার এবং ঢ়ঐ এর মানের বৃদ্ধির কারণে পুকুরটির মাছগুলো মাঝে মাঝে ভেসে উঠে এবং মরেও যায়।
ঘ. পুকুর জলজ প্রাণী ও জলজ উদ্ভিদের আবাসস্থল। এই আবাসস্থলে তাদের সকল শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো সম্পন্ন হওয়ার জন্য সঠিক মানদণ্ডের পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানি স্বচ্ছ হলে পানিতে সূর্যের আলোর প্রবেশ ঘটে ফলে জলজ উদ্ভিদগুলো সালোকসংশ্লেষণের দ্বারা পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের পরিমাণের বৃদ্ধি ঘটায়।
পানির ঢ়ঐ মান জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ঢ়ঐ ৬Ñ৮ থাকা জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য সুবিধাজনক অবস্থা। ঢ়ঐ মান কমে গেলে অথবা বেড়ে গেলে মাছের পোনা ও ডিম বেঁচে থাকতে পারে না। পানিতে যদি ফসফেট ও নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে সে পানিতে প্রচুর শ্যাওলা জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায়। এগুলো মরে পচে পানির দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের স্বল্পতা সৃষ্টি করে।
উদ্দীপকে উল্লিখিত পুকুরটিতে অতিরিক্ত সাবান ও ডিটারজেন্ট ব্যবহারের কারণে পুকুরের ঢ়ঐ এর মান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুকুরে ক্রমশ ফসফেট ও নাইট্রোজেনের বৃদ্ধির কারণে পুকুরে শ্যাওলা জাতীয় উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটছে।
এবং এগুলো মরে পচে অক্সিজেনের স্বল্পতা সৃষ্টি করছে। এসব কারণে রহিম ও গ্রামের মানুষের কর্মকাণ্ডে পুকুরটির জলজ পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জলজ জীবগুলো মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।
প্রশ্ন -২৩ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলাদেশের মিঠা পানির উৎস নদীনালা, খালবিল। কিছু ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে, এছাড়া ভারত কর্তৃক পানি প্রবাহের আন্তর্জাতিক নিয়ম না মানায় বাংলাদেশে মিঠা পানির উৎস হুমকির মধ্যে পড়েছে।
[এস ও এস হারম্যন মেইনার কলেজ, ঢাকা।]
ক. বিøচিং পাউডারের সংকেত লেখ।
খ. পানির পুনঃআবর্তন বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের কারণ ব্যতীত অন্য যে সমস্ত অভ্যন্তরীণ কারণে বাংলাদেশের মিঠা পানির উৎস নষ্ট হচ্ছে তা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের হুমকিটির স্বরূপ বিশ্লেষণসহ আমাদের কী করা উচিত বলে তুমি মনে কর? মতামত দাও।
🢖🢔 ২৩নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. বিøচিং পাউডারের সংকেত Ca(OCl)Cl।
খ. দিনের বেলায় সূর্যের তাপে ভ‚পৃষ্ঠের পানির উৎস- সমুদ্র, নদনদী, খালবিল, পুকুর, হ্রদ এর পানি বাষ্পীভ‚ত হয়ে বায়ুমণ্ডলে চলে আসে।
এরপর ঘনীভ‚ত হয়ে প্রথমে মেঘ ও পরে তা বৃষ্টি আকারে আবার ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসে। এই বৃষ্টির পানির বড় অংশ আবার নদনদী, সমুদ্র, খাল ও বিলে গিয়ে পড়ে এবং আবার বাষ্পীভ‚ত ও ঘনীভ‚ত হয়ে বৃষ্টির আকারে ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসে। এভাবে গঠিত চক্রটিকে পানির পুনঃআবর্তন বলে।
গ. যে সমস্ত অভ্যন্তরীণ কারণে বাংলাদেশের মিঠা পানির উৎস হুমকির মধ্যে পড়েছে সেগুলো হলো :
নদীদখল।
অপরিকল্পিতভাবে নদীতে বাঁধ নির্মাণ।
অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো :
১. মিঠা পানির উৎস রক্ষা করতে হলে অবৈধভাবে নদী দখল বন্ধ করতে হবে। জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
২. পদ্মা, যমুনাসহ বেশ কয়েকটি নদীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দেয়ার ফলে এদের শাখা-প্রশাখার পানি প্রবাহ মারাত্মক ভাবে বিঘিœত হয়েছে। কাজেই পরিকল্পিতভাবে নদীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
৩. ঢাকাসহ বাংলাদেশের বড় বড় শহরগুলোর বর্জ্যরে প্রায় অর্ধেক নর্দমা-নালা দিয়ে নদীতে গিয়ে পড়ে। এতে করে নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ছে। তাই প্রতিটি বড় শহরের সিটি কর্পোরেশনকে পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও সচেতন হতে হবে।
এছাড়া শিল্প কারখানার বর্জ্যও নদীতে ফেলা হয়। এজন্য একই ধরনের শিল্প কারখানা দিয়ে একটি শিল্পা ল গড়ে তুলে সব কারখানার বর্জ্য পানি একত্রিত করে একটি ইটিপিতে পরিশোধন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
ঘ. উদ্দীপকে বাংলাদেশে মিঠাপানি উৎসের হুমকির জন্য ভৌগোলিক অবস্থান এবং ভারত কর্তৃক পানি প্রবাহের আন্তর্জাতিক নিয়ম না মানার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ নদীর উৎপত্তি স্থল ভারতে। ভারত বেশ কয়েকটি নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করেছে। পানি প্রবাহের আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে ভারত সরকার গঙ্গার পানির গতিপথ পরিবর্তনের কারণেই বাংলাদেশের উত্তরা লের অনেক নদী পানিশূন্য হয়ে পড়েছে, যার কারণে ঐ অ লে খরার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ভারত ব্রহ্মপুত্র নদে এবং স¤প্রতি টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাতেও বাংলাদেশের পানি সম্পদ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
পানি সম্পদ অবশ্যই একটি সার্বজনীন বিষয়। পানি সম্পদের সার্বজনীনতা অনেক ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশন অনুযায়ী, একের অধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানি কোনো দেশই অন্যদেশের অনুমতি ছাড়া একতরফাভাবে ব্যবহার করতে পারবে না।
এই কনভেনশন অনুযায়ী দেশসমূহ ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গতভাবে নিজ নিজ দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অংশের পানি ব্যবহার করতে পারবে। অন্য দেশের অংশে পানি প্রবাহের যাতে কোন বিঘœ না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সুতরাং আমাদের এ সমস্যা সমাধানের জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন করতে হবে।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা নির্দ্ধিধায় বলা যায় যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পানির উৎসগুলো সংরক্ষণে সজাগ হতে হবে।
প্রশ্ন -২৪ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অ এমন একটি তরল পদার্থ যা মানবদেহের শতকরা ৬০-৭৫ ভাগ অংশ জুড়ে থাকে। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার্থেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে।
[সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
ক. মাছ কোনটির সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
খ. জলজ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
গ. অ-কীভাবে জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে বর্ণনা কর।
ঘ. অ-এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
🢖🢔 ২৪নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. মাছ ফুলকার মাধ্যমে পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন গ্রহণ করে শ্বাসকার্য চালায়।
খ. জলজ উদ্ভিদসমূহ মূলের মাধ্যমে পানি ও প্রয়োজনীয় উপাদান গ্রহণ করে। এছাড়াও এরা সারা দেহের মাধ্যমে পানিসহ প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ সংগ্রহ করে থাকে। এদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুবই নরম ফলে স্রোতেও জলজ প্রাণীর চলাচলের সাথে মানানসই। এরা অঙ্গজ উপায়ে বংশবৃদ্ধি করে।
গ. উদ্দীপকের ‘অ’ তরল পদার্থটি পানি। জলজ পরিবেশে জলজ প্রাণী ও জলজ উদ্ভিদ বাস করে। পানি না থাকলে জলজ উদ্ভিদ জন্মাতে পারত না। জলজ বাস্তুতন্ত্রে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলো খাদ্য শৃঙ্খলে আবদ্ধ এবং পরস্পরের উপর নির্ভরশীল।
জলজ উদ্ভিদ, মাছ ও অন্যান্য তৃণভোজী জলজ প্রাণীদের খাদ্যের এবং পানিতে বসবাসকারী প্রাণীদের শ্বসনের জন্য অক্সিজেনের যোগান দেয়। পানি না থাকলে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলো বাঁচতে পারত না এবং স্থলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের পানিও খাদ্যের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘিœত হতো। ফলে জলজ পরিবেশের বিপর্যয় ঘটত।
অ অর্থাৎ পানি এভাবেই জলজ উদ্ভিদ প্রাণীদের লালন করে জলজ ও স্থলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।
ঘ. জীবদের বেঁচে থাকার জন্য বায়ুর পরেই প্রয়োজনীয় উপাদান হলো উদ্দীপকের ‘অ’ তরল পদার্থ পানি। খাবার না খেয়েও বেশ কিছুদিন বেঁচে থাকা যায় কিন্তু বাতাস আর পানি ছাড়া জীবের বেঁচে থাকা মোটেই সম্ভব নয়।
আমাদের দেহের শতকরা ৬০-৭৫ ভাগ পানি। পানি হলো জীবকোষের প্রোটোপ্লাজমের এবং রক্তরসের অন্যতম উপাদান। দেহে পানির ঘাটতি বেশি হলে শুষ্কতাজনিত কারণে জীবের মৃত্যু ঘটে।
এ কারণে পানির আর এক নাম জীবন। পৃথিবীতে যত পানি আছে তার প্রায় শতকরা ৯০ ভাগের উৎস সমুদ্র। ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হলো- নদনদী, খালবিল, পুকুর ও ভ‚গর্ভস্থ পানি এবং এই পানি পৃথিবীর মোট পানির মাত্র ১ ভাগ।
এই পানি আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করি। পানি না থাকলে জলজ উদ্ভিদ জন্মাত না; এতে করে জলজ প্রাণীরা বাঁচতে পারত না এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতো। পানি না থাকলে আমরা খাদ্যশস্য আবাদ করতে পারতাম না। এছাড়া পানি না থাকলে পৃথিবীর সকল জীবের শারীরবৃত্তীয় কাজ ব্যাহত হতো।
সুতরাং পানির অভাবে পৃথিবীতে কোনো উদ্ভিদ জন্মাতে পারত না ফলে পৃথিবী জীবশূন্য মরুভ‚মিতে পরিণত হতো।
প্রশ্ন -২৫ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রহিমদের বাড়ির পাশ দিয়ে একটি ছোট নদী বয়ে গেছে। নদীটির পানি ঘোলাটে। এ নদীর পানির ঢ়ঐ পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে ৪.৮। নদীটিতে তেমন কোন জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী নেই।
[ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়; সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়]
ক. বিশুদ্ধ পানির ঢ়ঐ কত?
খ. পানির নির্দিষ্ট মান বজায় থাকা জরুরী কেন?
গ. নদীটিতে জলজ প্রাণী না থাকার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. নদীটির পানির মানদণ্ড যাচাই কর। ৪
PDF File সহ -সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : SSC
পানি: জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: সাধারণ বিজ্ঞান-PDF
🢖🢔 ২৫নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. বিশুদ্ধ পানির ঢ়ঐ হলো ৭।
খ. পানির মানদণ্ড বজায় রাখা প্রয়োজন। পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এবং ঢ়ঐ যদি খুব কমে যায় অথবা বেড়ে যায় তাহলে ওই পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ জীবের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
পানিতে ময়লা আবর্জনা থাকলে সে পানিতে জীবন ধ্বংসকারী জীবাণু তৈরি হয়। পানিতে বিভিন্ন ধাতব পদার্থ ও তেজস্ক্রিয় পদার্থ মানুষের ক্যান্সার ও অন্যান্য কঠিন ব্যাধি সৃষ্টি করে। এ জন্য পানির মান বজায় রাখা অপরিহার্য।
গ. উদ্দীপকে রহিমদের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির পানি ঘোলাটে। পানি ঘোলাটে হলে বসবাসকারী প্রাণীদের ও জলজ উদ্ভিদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ঘোলা পানিতে সূর্যের আলো জলজ উদ্ভিদের কাছ পর্যন্ত যেতে পারে না এবং সালোকসংশ্লেষণ বাধাগ্রস্থ হয়। এতে করে সালোকসংশ্লেষণের ফলে যে অক্সিজেন তৈরি হতো তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন কমে যায় এবং পানিতে বসবাসকারী জলজ প্রাণী অক্সিজেনের সল্পতার কারণে মরে যায়।
নদীটির পানির ঢ়ঐ ৪.৮ অর্থাৎ পানি এসিডিক।
ঢ়ঐ এর মান যদি খুব কমে যায়, তাহলে ঐ পানিতে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং প্রজননের জন্য ডিম বা ডিম পোনার মাছ বাঁচতে পারে না। এছাড়া পানি বেশি এসিডিক হলে জলজ প্রাণীদের দেহ থেকে ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ পদার্থ বেরিয়ে আসে; ফলে মাছ রোগাক্রান্ত হয়ে মরে যায়।
সুতরাং উদ্দীপকের নদীতে জলজ প্রাণী না থাকার কারণ হচ্ছে ঘোলা পানি এবং অ¤øত্ব।
ঘ. নদী, খাল বিল ও পুকুরের পানির মানদণ্ড বিচার করতে গেলে দেখতে হবে পানির বিশুদ্ধতা ও ঢ়ঐ এর মান। বিশুদ্ধ পানি স্বচ্ছ, বর্ণহীন ও স্বাদহীন হবে এবং ঢ়ঐ হবে নিরপেক্ষ বা ৭। কিন্তু উদ্দীপকের নদীটির পানি ঘোলাটে এবং ঢ়ঐ এর মান ৪.৮ অর্থাৎ এসিডিক।
পানি ঘোলাটে হওয়ার মূল কারণ হলো পানিতে অদ্রবণীয় পদার্থ যেমন : মাটি, বালি, তেল, গ্রিজ ইত্যাদির উপস্থিতি। এই পানি মানসম্মত না হওয়ায় হাত মুখ ধোয়া থেকে শুরু করে গোসল করাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য ১ লিটার পানিতে কমপক্ষে ৫ মিলিগ্রাম অক্সিজেন থাকা প্রয়োজন। কিন্তু নদীটির পানি ঘোলাটে হওয়ায় সূর্যের আলো না পাওয়ায় জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের ফলে যে অক্সিজেন তৈরি হতো, তাও বন্ধ হয়ে যাবে এবং জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
বিশুদ্ধ পানির ঢ়ঐ হতে হবে ৭। পানি যদি এসিডিক অর্থাৎ ঢ়ঐ ৭ এর কম এবং ক্ষরীয় অর্থাৎ ঢ়ঐ ৭ এর বেশি হয় তাহলে এ পানি জীবের শারীরবৃত্তীয় কাজে সমস্যা সৃষ্টি করে। দেহে নানা রোগ সৃষ্টি করে এবং পানিবাহিত রোগের জীবাণুদের বৃদ্ধি ঘটায়। এছাড়া মাছের প্রজনন ব্যাহত হয় এবং মাছ রোগাক্রান্ত হয়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।