বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ০২ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | PDF : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
অধ্যায়- দ্বিতীয়
১ নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা ও নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা হস্তান্তরের টালবাহানার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ রেসকোর্সে এক ঐতিহাসিক জনসভায় ভাষণ দেন। তার এ ভাষণই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে।
ক. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী?
খ. ১৯৭১ সালের ২ ও ২ মার্চ আওয়ামী লীগ হরতাল ডেকেছিল কেন?
গ. ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত ভাষণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বিশ্লেষণ কর।
১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
খ. ইয়াহিয়া খান কর্তৃক ৩ মার্চ, ১৯৭১ সালের জাতীয় অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালের মার্চ ও ৩ মার্চ হরতাল ডেকেছিল।
জাতীয় অধিবেশনের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনা না করে অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলে তিনি হরতাল আহŸান করেন। পূর্ব বাংলার জনগণ হরতালের এ আহŸানকে পূর্ণ সমর্থন দেন।
গ. ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তাই এ ভাষণের পর বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
উদ্দীপকে ৭ মার্চের ভাষণের পূর্ব ইতিহাস হিসেবে ইয়াহিয়া খানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর টালবাহানা ও অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষন, বঞ্চনার ইতিহাস, নির্বাচনে জয়ের পর বাঙালির সাথে প্রতারণার ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বাঙালিদের এ শোষণ ও প্রতারণার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহŸান জানান। তার এ ভাষণ থেকেই বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা ও মুক্তিযুদ্ধের নির্দেশনা পায়।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সকল স্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়। ভাষণ পরবর্তী বাঙালির ঐক্যবদ্ধতা দেখে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকেরা বাঙালির ওপর চরম নির্যাতন চালায় ও নৃশংস গণহত্যা শুরু করে। আর এ প্রেক্ষিতেই শুরু হয় বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত ৭ মার্চের ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করা হয় এবং এর প্রেক্ষিতে পৃথিবীর ইতিহাসে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। তাই এ ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসে আজও অ¤øান হয়ে আছে।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, বঞ্চনা ও ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যোন) বিশাল জনসভায় এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
এ ভাষণে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং সবাইকে সশ¯্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আহŸান জানান। তার এ আহŸানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ ভাষণ এক স্মরণীয় দলিল। তদুপরি পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী মানুষের নিকটও এ ভাষণ অমর হয়ে রয়েছে।
পরিশেষে বলা যায় যে, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা এবং এর প্রেক্ষিতে পৃথিবীর ইতিহাসে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ের কারণেই ৭ মার্চের ভাষণ আজও পৃথিবীর ইতিহাসে অ¤øান হয়ে আছে।
২ নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
একটি দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি রাষ্ট্রের থাকে একটিই সর্বোচ্চ দলিল। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। এদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার দলিলটি কিন্তু বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত।
ক. পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন কোন সালে প্রণীত হয়?
খ. বাংলাদেশের খাদ্যনীতি- ২০০৬ ব্যাখ্যা করো।
গ. বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য দলিলটি প্রণয়নের পটভূমি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত বিষয়ের সাথে একমত পোষণ কর? মতামত দাও।
২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০ সালে প্রণীত হয়।
খ. বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিশেষত দরিদ্র মানুষের খাদ্য-প্রাপ্তি ও পুষ্টির জন্য প্রণীত হয় ‘খাদ্যনীতি-২০০৬’।
খাদ্যনীতি- ২০০৬ অনুযায়ী প্রান্তিক ও গ্রামীণ জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সরকার বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি, যেমন- কাজের বিনিময়ে খাদ্য, ভিজিএফ, ভিজিডি, টিআর প্রভৃতি পরিচালনা করছে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার প্রায় ২০ লাখ টন চাল গরিবদের মাঝে বিতরণ করেছে।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখযোগ্য দলিলটি মূলত বাংলাদেশের সংবিধানকে নির্দেশ করে।
১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন। এতে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হয়। ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি খসড়া সংবিধান কমিটি গঠন করা হয়।
১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান বিল আকারে পেশ করা হয়। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর থেকে সংবিধান কার্যকর হয়। স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু সরকার বাঙালিকে মাত্র দশ মাসে একটি সংবিধান উপহার দিতে সক্ষম হয়।
ঘ. উদ্দীপকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলিল বলতে সংবিধানকে বোঝানো হয়েছে এবং এ সংবিধান বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত বলে আমি মনে করি।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রচেষ্টায় মাত্র ১০ মাসে বাঙালি জাতি সংবিধান লাভ করেছিল।
লিখিত এ সংবিধানটি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দুষ্পরিবর্তনীয়। এ সংবিধানের চারটি মূলনীতি হলো জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এ চারটি বিষয়কে রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষন এ সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মানুষের মৌলিক প্রয়োজন যেমন- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদির ভার রাষ্ট্রের ওপর অর্পিত হয়। জীবনধারণের অধিকার, চলাফেরা ও বাক স্বাধীনতার অধিকার, ধর্মচর্চার অধিকার।
চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, ব্যাক্তিগত সম্পত্তি ভোগের অধিকার, ইত্যাদি বিষয় এ সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়। সংবিধানে বাংলাদেশকে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৭২ সালের সংবিধানে বাংলাদেশতকে প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা কার হয়, যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে পরিচিত। এ সংবিধানে জনগণকে ক্ষমতার উৎস হিসেবে অভিহিত করা হয়, যা জনগণের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে।
বাঙালি জাতির স্বপ্ন ও পরিশ্রমের ফলাফল হলো এ সংবিধান। এখানে বাঙালি অধিকার যথার্থভাবে প্রতিফলিত হওয়ায় এ সংবিধানকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হিসেবে অভিহিত করা তাৎপর্যপূর্ণ।
জ্ঞানমুলক প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্ন: ১. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান কী?
উত্তর: রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
প্রশ্ন: ২. গণযুদ্ধ কী?
উত্তর: যে যুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করে তাকে গণযুদ্ধ বলে।
প্রশ্ন: ৩. ‘জাতীয় শিশু নীতি-২০১১’ অনুযায়ী শিশু কারা?
উত্তর: ‘জাতীয় শিশু নীতি- ২০১১’ অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী সকল ব্যক্তি শিশু।
প্রশ্ন: ৪. বাংলাদেশ কত সালে ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য হয়?
উত্তর: বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য হয়।
প্রশ্ন: ৫. সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কার অধীনে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্ন: ১. অপারেশন সার্চলাইট বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ২৫ শে মার্চ র াতে পৃথিবীর ইতিহাসে যে বর্বরতা গণহত্যা ঘটে তাই ‘অপারেশন সার্চলাই’ নামে পরিচিত। ১৭ মার্চ, টিক্কা খান ও রাও ফরমান আলী অপারেশন সার্চ লাইট বা বাঙালির ওপর নৃশংস হত্যাকন্ড পরিচালনার নীলনকশা তৈরি করে। ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হত্যা করে বহু নিরীহ মানুষকে।
প্রশ্ন: ২. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে ‘জনযুদ্ধ’ বা ‘গণযুক্ত’ বলা হয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিল সর্বস্তরের জনগণ। কৃষক, শ্রমিক, পুলিশ, ছাত্র, কর্মী সকলে অংশগ্রহণ করেছিল। তারা কোনোভাবেই পাকিস্তানিদেরকে ছাড় দেয়নি। সর্বস্তরের বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল বলে একে গণযুদ্ধ বলা হয়।
প্রশ্ন: ৩. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২৬ শে মার্চ চট্টগ্রামের বেতারের শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে।
- আরো পড়ুন:-পৌরনীতি ও নাগরিকতা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রথম অধ্যায়
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর PDF
- আরো পড়ুন:- PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন: ৪. গণপরিষদ কী? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু ‘বাংলাদেশ পরিষদ নামে একটি আদেশ জারি করেন। গণপরিষদ গঠনের মূল উদ্দেশ্য সংবিধান প্রণয়ন।
এই আদেশ বলে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণ গণপরিষদের সদস্য বলে পরিগণিত হন।
১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় আইন-কানুন পাস ও কার্যকর করা সম্ভব হয়, যা গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে সুসংহত করে।
প্রশ্ন: ৫. পররাষ্ট্র নীতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে নীতির মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে তাই হলো পররাষ্ট্রনীতি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলকথা হলো: সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রæতা নয়’ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পরে বঙ্গবন্ধু শেখে মুজিবুর রহমান এটা ঘোষণা করেন।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।