বাংলাদেশে ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার কেমন হবে? আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশে ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার কেমন হবে? ওয়েব ডিজাইন কি?
ওয়েব ডিজাইন মানে হচ্ছে একটা ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে বা এর সাধারন রূপ কেমন হবে তা নির্ধারণ করা। ওয়েব ডিজাইনারের ক্যারিয়ার হিসেবে আপনার কাজ হবে একটা পূর্ণাঙ্গ ওয়েব সাইটের টেম্পলেট বানানো। যেমন ধরুন এটার লেয়াউট কেমন হবে।
হেডারে কোথায় মেনু থাকবে, সাইডবার হবে কিনা, ইমেজগুলো কিভাবে প্রদর্শন করবে ইত্যাদি। ভিন্ন ভাবে বলতে গেলে ওয়েবসাইটের তথ্য কি হবে এবং কোথায় জমা থাকবে এগুলো চিন্তা না করে, তথ্যগুলো কিভাবে দেখানো হবে সেটা নির্ধারণ করাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইনার এর কাজ।
আর এই ডিজাইন নির্ধারণ করতে ব্যাবহার করতে হবে কিছু প্রোগ্রামিং, স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ। একজন ওয়েব ডিজাইনার বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য প্রাথমিক পরিকল্পনা, ডিজাইন ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) নিয়ে কাজ করে থাকেন।
বাংলাদেশে ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার কেমন হবে?
এ পেশায় কাজ করতে টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল দক্ষতার প্রয়োজন হবে আপনার। বর্তমানে দেশে-বিদেশে এ পেশার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একজন ওয়েব ডিজাইনার বিভিন্ন শিল্পে চাকরি করা ছাড়াও স্বাধীনভাবে কাজ করার প্রচুর সুযোগ পান। প্রতিষ্ঠানভেদে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আলাদা হতে পারে।
কিন্তু ওয়েব ডিজাইনের উপর প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি থাকলে তা কাজ পাবার জন্য সুবিধাজনক।কমপক্ষে ৫টি কাজের অভিজ্ঞতা থাকা ছাড়া আসলে চাকরি খুঁজলে কিংবা আউটসোর্সিং করতে গেলে কাজ না পাওয়ার আশঙ্কাটাই বেশি।
এটা শুধু ওয়েব ডিজাইন কিংবা ওয়েব ডেভেলপিংয়ের ক্ষেত্রে না, যেকোনো সেক্টরের জন্য একই কথা প্রযোজ্য।
বাংলাদেশে ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার কেমন হবে?
এক নজরে একজন ওয়েব ডিজাইনার
- সাধারণ পদবী: ওয়েব ডিজাইনার।
- বিভাগ: কম্পিউটার ও ইন্টারনেট।
- প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি, ফ্রিল্যান্সিং, অন্যান্য।
- ক্যারিয়ারের ধরন: পার্ট-টাইম, ফুল টাইম।
- লেভেল: এন্ট্রি, মিড, টপ।
- অভিজ্ঞতা সীমা: কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ।
- এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বেতন সীমা: ২৫,০০০ টাকা কাজ, প্রতিষ্ঠান ও অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ।
- সম্ভাব্য বয়স সীমা: প্রতিষ্ঠান সাপেক্ষ।
- মূল স্কিল: কোডিং, ডিজাইন ও গ্রাফিক্স।
- বিশেষ স্কিল: সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
একজন ওয়েব ডিজাইনার কোথায় কাজ করেন?
মূলত আইটি কোম্পানি ও ফার্মগুলোতে ওয়েব ডিজাইনারদের কাজের ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি। তুলনামূলকভাবে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরাসরি চাকরির সুযোগ কম।
অবশ্য এসব প্রতিষ্ঠান সাধারণত আইটি সংক্রান্ত কাজ প্রজেক্ট আকারে সফটওয়্যার ও ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে দিয়ে থাকে। তাই নির্ভরযোগ্য ক্যারিয়ার গড়তে ওয়েব ডিজাইনারদের সমস্যা হয় না।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ওয়েব ডিজাইনের আন্তর্জাতিক মার্কেট যথেষ্ট বড়। আপওয়ার্ক কিংবা গুরু ডট কমের মতো প্লাটফর্মগুলোতে কাজ খুঁজে নিতে পারেন আপনি। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ওয়েব ডিজাইনাররা সবচেয়ে বেশি উপার্জন করতে সক্ষম।
বাংলাদেশে ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার কেমন হবে?
ওয়েব ডিজাইনারের কাজ কি?
প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী ওয়েব ডিজাইনারের কাজ আলাদা হয়ে থাকে। এছাড়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনের ধরনও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়ক।
বাংলাদেশে ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার কেমন হবে?
সাধারণত যে ধরনের কাজ ওয়েব ডিজাইনরা করে থাকেন, তার মধ্যে রয়েছে
- ক্লায়েন্টের চাহিদাগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেয়া ও পুরো কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে যোগাযোগ রাখা।
- ওয়েবপেইজ/ওয়েবসাইট/অ্যাপ্লিকেশনের প্রাথমিক লেআউট তৈরি করা।
- প্রজেক্টের জন্য গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন কিংবা ডিজিটাল ফটোগ্রাফি ডিজাইন করা।
- ক্লায়েন্টের কাছে প্রাথমিক ডিজাইন উপস্থাপন করা।
- প্রয়োজনীয় কোড লেখা।
- দরকার হলে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়ে কাজ করা।
- প্রজেক্ট বা প্রতিষ্ঠানের সাথে ওয়েবসাইট/অ্যাপ্লিকেশনের ডিজাইনের সামঞ্জস্য বজায় রাখা।
- ওয়েবপেইজ/অ্যাপ্লিকেশনের বিভিন্ন কন্টেন্ট এডিট করা ও বারবার এর কার্যকারিতা যাচাই করা।
- কাজ শেষ হবার পর ক্লায়েন্টের কাছে প্রজেক্ট হস্তান্তর করা।
- প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে ক্লায়েন্টকে টেকনিক্যাল সহায়তা দেয়া।
কি ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয় একজন ওয়েব ডিজাইনারের?
ওয়েব ডিজাইনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়েও কাজের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকা জরুরি।
এরপরও নিচের বিষয়গুলোতে ডিগ্রি থাকলে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার যোগ্যতা নিয়ে একজন চাকরিদাতা ভালো ধারণা পেতে পারেন।
- কম্পিউটার সায়েন্স।
- ওয়েব ডিজাইন।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন।
- মাল্টিমিডিয়া ডিজাইন।
- ডিজিটাল মিডিয়া প্রোডাকশন।
- ইনফরমেশন টেকনোলজি।
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং।
বাংলাদেশে ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার কেমন হবে?
প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক, কাজের পোর্টফোলিও থাকলে একজন ওয়েব ডিজাইনারের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়। আপনি যদি বিভিন্ন ছোট কোর্সের মাধ্যমে বা নিজে নিজে ওয়েব ডিজাইনের কাজ শেখেন, তাহলে আপনার জন্য পোর্টফোলিও থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অবশ্য ডিগ্রিধারী ডিজাইনারদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার প্রযোজ্য। একজন ওয়েব ডিজাইনারের কোন কোন দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয় ?
প্রজেক্টের উপর টেকনিক্যাল জ্ঞানের ধরন নির্ভর করে। এরপরও সাধারণ উদাহরণ হিসাবে নিচের স্কিলগুলোর কথা বলা যায়।
- কোডিং: HTML, CSS, JavaScript, jQuery, Dreamweaver
- ডিজাইন ও গ্রাফিক্স: Photoshop, Illustrator, InDesign
- কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম: WordPress, Drupal, Joomla
বহু কোম্পানিতে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কিছু কাজ ওয়েব ডিজাইনারদের দিয়ে করানো হয় বলে অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কোডিং (যেমনঃ PHP, Python) নিয়েও ধারণা থাকার দরকার হয়।
নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো
- সৃজনশীল উপায়ে ও যৌক্তিকভাবে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
- বিশ্লেষণী ক্ষমতা, যা খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে পারে।
- নিজে নিজে কাজ করার পাশাপাশি অন্যদের সাথেও কাজ করার মানসিকতা থাকা।
- বিভিন্ন ধরনের কাজ একসাথে সামলানোর দক্ষতা।
বাংলাদেশে ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার কেমন হবে?
ওয়েব ডিজাইন কিভাবে শিখব?
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, কম্পিউটার সিস্টেম ডিজাইন কিংবা ইনফর্মেশন সিস্টেমের উপর অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে পারেন।
বিকল্প উপায় হিসাবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নিচের বিষয়গুলোর উপর কোর্স করতে পারেন।
- ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট।
- মাল্টিমিডিয়া ডিজাইন।
- ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) ও ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন।
- ডিজিটাল ইমেজিং।
- প্রোগ্রামিং।
অনলাইন Web Design শেখার ওয়েবসাইট গুলি
আপনারা অনেক সহজেই, ঘরে বসে কিছু ফ্রি ওয়েবসাইটের ব্যবহার করে ওয়েব ডিজাইন বা HTML, CSS, JavaScript এবং আরো বিভিন্ন বিষয় গুলির ব্যাপারে শিখে নিতে পারবেন।
Best websites to learn web designing.
১) W3Schools.com : কোডিং (coding) বা যেকোনো প্রোগ্রামিং ভাষা (Programming Language) শেখার জন্য সব থেকে বিশ্বাসী এবং লাভজনক ওয়েবসাইট। CSS, HTML, JavaScript এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন করার সাথে সব রকমের জিনিস আপনারা এখানে উদাহরনের সাথে শিখতে পারবেন।
২) Codecademy.com : ঘরে বসে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন web designing শেখার জন্য এই ওয়েবসাইট অনেকেই ব্যবহার করেছেন এবং এখন থেকে আপনারা অনেক কিছুই শিখে নিতে পারবেন। এখানে আপনাকে এক এক করে স্টেপ বাই স্টেপ live project দিয়ে শিখানো হয়।
৩) YouTube.com : আপনারা সবাই ইউটিউবের ব্যাপারে তো জানেনি। এখানে আপনারা বিভিন্ন রকমের টিউটোরিয়াল বা কোর্স পেয়ে যাবেন যেগুলি ভিডিওর মাধ্যমে দেখে দেখে শিখতে পারবেন।
আপনি শিখতে চাওয়া কোর্সের বিষয়ে লিখে সার্চ করলেই অনেক কোর্স পাবেন।
৪) Khanacademy.org : ফ্রীতেই HTML, CSS, advanced JavaScript, jQuery এবং আরো অনেক programming language শিখে নিতে পারবেন khanacademy computer programming ওয়েবসাইট থেকে।
এখানে আপনারা live tutorial audio শুনে এবং উদাহরণ (examples) দেখে কোর্স শিখতে পারবেন।
৫) Coursera.org : ওয়েব ডিজাইনিং শেখার জন্য আপনারা এই অনলাইন ফ্রি ওয়েবসাইটের ব্যবহার করতে পারবেন।
৬) Edx.org : web design কোর্স ছাড়াও আপনারা এখানে অন্য অনেক রকমের কোর্স ফ্রীতেই শিখতে পারবেন।
তাহলে বন্ধুরা, আপনাদের যদি সময়ের অভাব আছে, বা অন্য যেকোনো কারণে ঘরে বসেই ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান, তাহলে ওপরে দেয়া ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে শিখতে পারবেন।
একজন ওয়েব ডিজাইনারের মাসিক আয় কেমন?
আমাদের দেশে অভিজ্ঞতা ছাড়া বা স্বল্প অভিজ্ঞ ওয়েব ডিজাইনারের আনুমানিক গড় আয় মাসিক ২৫,০০০ টাকা। দেশের বাইরে গেলে যা মাসিক ৪০,০০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০০ টাকা বা তার বেশিও হতে পারে।
এবং, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ঘণ্টা প্রতি গড়ে ১০ থেকে ১৫ ডলার অর্জন করা সম্ভব। তবে এজন্য চমৎকার পোর্টফোলিও থাকার কোন বিকল্প নেই।
ওয়েব ডিজাইনারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
শুরুতে শুধু প্রজেক্ট নির্ভর ছোট বা মাঝারি আকারের কাজ করলেও চার-পাঁচ বছরের মধ্যে সিনিয়র ওয়েব ডিজাইনার পদে উন্নীত হবেন। এক্ষেত্রে বড় আকারের প্রজেক্ট বা বড় মাপের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
এছাড়া আপনার দক্ষতা আর নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানের ভিত্তিতে নিজের দল চালানোর কাজ পেতে পারেন। কনসালট্যান্ট হিসাবেও সার্ভিস দিতে পারেন অন্যদের।
যারা ব্যর্থ হয়, তার কারণ –
১. কোডের জটিলতাকে ভয় করা
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সবসময়ের জটিল কোডের সম্মুখীন হওয়ার জন্য মনপ্রাণ দিয়ে আশা করবেন। ওয়েব ডেভেলপিং করতে গিয়ে যত বেশি কোডের জটিলতার সম্মুখীন হবেন, তত বেশি নিজের ভেতর কনফিডেন্ট তৈরি হবে।
ওয়েব ডেভেলপারদের মনে রাখা দরকার, একজন ওয়েব ডেভেলপারদের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই। এ বিশ্বাসটা ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজের মধ্যে তৈরি রাখতে হবে।
যেটুকু শিখেছি, এর বাইরে কিছু দেখলেই পারা যাবে না, এ বিশ্বাসটা একজন ওয়েব ডেভেলপারের ব্যর্থ ক্যারিয়ারের জন্য অত্যন্ত বেশি দায়ী।
২. খুব বেশি অন্যের উপর নির্ভরশীল
একজন ওয়েব ডেভেলপারকে সারাজীবন ধরেই শিখতে হয়। আপনি কারও কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে একটা পর্যায় পর্যন্ত যেতে পারেন। কিন্তু বাকি পথটা একা একাই হাঁটতে হবে।
আর সেজন্য প্রচুর পরিমাণ গুগল থেকে সার্চ করে নিজে নিজে শেখার অভ্যাসটা শুরু থেকেই করে নিতে হবে। কোডিং সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যার সমাধানই গুগলে পাবেন।
৩. রিয়েল লাইফ প্রজেক্ট না করা
যত শিখবেন তার চাইতে বেশি প্রজেক্ট করার চেষ্টা করে যেতে হবে। যত বেশি প্রজেক্ট করবেন, তত বেশি কোডিংয়ের জটিলতার সম্মুখীন হবেন। আর এ বিষয়টি আপনাকে ভালো মানের ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে প্রস্তুত করবে।
সুতরাং কোডিংয়ের জটিলতা রয়েছে এ রকম কাজ করার চেষ্টা করুন প্রচুর পরিমাণে। কাছের কারো ওয়েবসাইট ফ্রি ডেভেলপিং করে কিংবা নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ডেভেলপিং করেও রিয়েল লাইফ প্রজেক্টের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
৪. নিজের কাজের পোর্টফলিও না থাকা
কমপক্ষে পাঁচটি কাজের অভিজ্ঞতা থাকা ছাড়া আসলে চাকরি খুঁজলে কিংবা আউটসোর্সিং করতে গেলে কাজ না পাওয়ার আশঙ্কাটাই বেশি।
এটা শুধু ওয়েব ডিজাইন কিংবা ওয়েব ডেভেলপিংয়ের ক্ষেত্রে না, যেকোনো সেক্টরের জন্য একই কথা প্রযোজ্য। এ কাজটি আমরা করি না দেখেই দক্ষ হওয়ার পরও বেশিরভাগ সময় বেকার বসে থাকি।
বাংলাদেশে ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার কেমন হবে?
শেখার শুরুর দিক থেকেই এদিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে নজর দেওয়া উচিত। ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে একই ধরনের না করে আলাদা আলাদা ধরনের এবং জটিল কোডিংসহ ওয়েব ডেভেলপ করে সেগুলোকে কাজের পোর্টফলিও হিসেবে প্রস্তুত করুন।
উক্ত বিষয় সর্ম্পকে যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।