বদনজর থেকে শিশুকে রক্ষার দোয়া ।। আমাদের সমাজের বহুল প্রচলিত একটি রীতি হলো, শিশুদের মানুষের বদনজর থেকে রক্ষার জন্য তার কপালে কালো টিপ দেওয়া। বিশেষ করে নবজাতক শিশুকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় এ দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায়।
বস্তুত বদনজর থেকে হেফাজতের উদ্দেশ্যে শিশুর কপালে টিপ দেওয়াকে ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলাম মনে করে, এর ফলে বদনজর রোধ করে না। শিশুকে বদনজর ইত্যাদি থেকে রক্ষা করার জন্য কী করতে হবে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে।
- আরও পড়ুন:দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির দোয়া আরবী
- আরও পড়ুন: বাবা মার জন্য সন্তানের দোয়া এবং করণীয় ১২ টি পরামর্শ
- আরও পড়ুন: মনের আশা পূরণের দোয়া
- আরও পড়ুন: টয়লেটে প্রবেশের আগে ও পরের দোয়া
এমনকি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শিখিয়েছেন একাধিক হাদিসে। সহিহ বোখারির এক হাদিসে এসেছে, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত হাসান ও হজরত হোসাইন (রা.)-এর জন্য এই দোয়া পড়ে আল্লাহতায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।
বদনজর থেকে শিশুকে রক্ষার দোয়া
দোয়াটি হলো.
أُعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَّمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
উচ্চারণ: উয়িযুকুমা বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন।
অর্থ: সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদনজর হতে তোমাদেরকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের আশ্রয়ে দিচ্ছি। -কানজুল উম্মাল
দোয়াটি এক সন্তানের জন্য পড়লে ‘উয়িযুকা’, দুইজনের জন্য ‘উয়িযুকুমা’ আর দুইয়ের অধিক হলে ‘উয়িযুকুম’ বলতে হবে। এর সঙ্গে আয়াতুল কুরসি, তিন কুল ও হাদিসের অন্যান্য দোয়া তো আছেই।
বলা হয়, হজরত ইবরাহিম (আ.) তার ছেলে হজরত ইসহাক (আ.) এবং হজরত ইসমাইলকে (আ.) এই দোয়ার মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করতেন।
- আরও পড়ুন: ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া আরবীসহ বাংলা
- আরও পড়ুন:রিজিক কি! রিজিক বৃদ্ধির দোয়া
- আরও পড়ুন: কদরের রাতের দোয়া ও সালাত বাংলা সহ আরবী
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।