(ফ্রি পিডিএফ) অধ্যায়২: লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর, অধ্যায়:২ প্রশ্নোত্তর ও সাজেশন সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে পারবেন। সুতরাং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনার্স ১ম বর্ষের যেকোন বিভাগের সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
(ফ্রি পিডিএফ) অধ্যায়২: লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
অনার্স প্রথম বর্ষ
বিষয়ঃ লোকপ্রশাসন পরিচিতি
অধ্যায় ২ : প্রশাসন ও সংগঠনের নীতিমালা
বিষয় কোডঃ ২১১৯০৭
গ-বিভাগঃ রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
০৮. নব্য সনাতন বা অনানুষ্ঠানিক মতবাদ কী? এ তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। অথবা, নব্য সনাতন মতবাদ কী? এর বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : অনানুষ্ঠানিক সংগঠন প্রকৃত সংগঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপ। এটি মূলত ১৯৩০ সালে আনুষ্ঠানিক বা নব্য সংগঠনের দুর্বলতাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে। এটি সনাতন বা ক্লাসিক্যাল মতবাদের দোষ-ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা দূরীকরণের একটি মহৎ প্রচেষ্টা।
এ ক্ষেত্রে যান্ত্রিক সম্পর্কের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়, এ ক্ষেত্রে সংগঠনের মধ্যম পন্থা অনুসরণ করা হয়েছে। তাই এ মতবাদকে মধ্যমপন্থি (Middle range- theory) মতবাদ বলা হয়। অতীতে এটি প্রশাসনিক ব্যবস্থার মানবিক আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। এ ক্ষেত্রে মানবিক সম্পর্ক ও উপাদানের ওপর জোর দেওয়া হয় ।
নব্য সনাতন বা অনানুষ্ঠানিক মতবাদ : সনাতন তত্ত্বের সীমাবদ্ধতার প্রেক্ষিতে নব্য-সনাতন তত্ত্বের জন্ম। এই তত্ত্ব সনাতন তত্ত্বের তুলনায় মানুষের ওপর, মানুষের অভিপ্রায়ের ওপর এবং অনানুষ্ঠানিক গোষ্ঠীর কার্যকলাপের ওপর অধিক ঝোঁক ও সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে।
নব্য সনাতন তত্ত্ব সাংগঠনিক আচরণকে অত্যন্ত জটিল হিসেবে গণ্য করে সাংগঠনিক বিশ্লেষণ ও সমাধানের জন্য মানবিক আচরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এই তত্ত্বের মূল কথা হলো কর্মীদের অনুপ্রেরণার এবং অনানুষ্ঠানিক কাজের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা।
ফিফার ও শেরউড (Phiffner and Sherwood) বলেন, “অনানুষ্ঠানিক সংগঠন হলো কতিপয় জটিল সম্পর্ক ও উপাদান যা নিয়ত কাজ করে চলছে এবং সনাতন সংগঠন পদ্ধতিকে পরিবর্তন করে সংগঠনে মানবিক সম্পর্কের নতুন ধারণার অনুপ্রবেশ ঘটাতে আগ্রহী।”
সি. আই. বার্নার্ড (C. I. Barnard) এর ভাষায়, “By informal organization I mean the aggregate of the personal contracts and interections and the associated groupings of people. ”
Dictionary of Social Science এর ভাষায়, “অনানুষ্ঠানিক কর্মীদের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার অননুমোদিত পন্থায় আবেগ বা অনুভূতির দ্বারা যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাই অনানুষ্ঠানিক সংগঠন।” নব্য সনাতন বা অনানুষ্ঠানিক মতবাদের বৈশিষ্ট্য : নব্য সনাতন মতবাদটি সনাতন মতবাদের সংস্করণ মাত্র।
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময়ে সনাতন মতবাদের দুর্বলতার ভিত্তির ওপর এর জন্ম। এ মতবাদের মূলকথা হলো মানবিক সম্পর্কের ভিত্তিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে লক্ষ্য অর্জন করা যায়। এ মতবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো—
১. নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা : সামাজিক নিয়ন্ত্রণ অনানুষ্ঠানিক মতবাদের একটি উল্লেখযোগ্য দিক। এ ক্ষেত্রে এ মতবাদটি সামাজিক নিয়ন্ত্রণের বাহক হিসেবে কাজ করে। সামাজিক নিয়ন্ত্রণে অনানুষ্ঠানিক মতাবাদটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানবিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ ক্ষেত্রে সামাজিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
- আরো পড়ুন:- অধ্যায়২: লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর ফ্রি পিডিএফ
- আরো পড়ুন:- অধ্যায়২: লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর ৪টি ফ্রি পিডিএফ
- আরো পড়ুন:-প্রশাসন ও সংগঠনের নীতিমালা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(ফ্রি PDF)
- আরো পড়ুন:-প্রশাসন ও সংগঠনের নীতিমালা,অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(PDF)
- আরো পড়ুন:-লোকপ্রশাসন পরিচিতির রচনামূলক প্রশ্নোত্তর (ফ্রি PDF)
- আরো পড়ুন:- (ফ্রি PDF) লোকপ্রশাসন পরিচিতির রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- লোকপ্রশাসন পরিচিতির রচনামূলক প্রশ্নোত্তর(ফ্রি PDF)
- আরো পড়ুন:- ফ্রি PDF লোকপ্রশাসন পরিচিতি‘র (খ) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
২. সাংস্কৃতিক পরিবেশ : নব্য সনাতন মতবাদে সাংস্কৃতিক পরিবেশের উপস্থিতি বিদ্যমান। এ মতবাদের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে।
৩. নির্দিষ্ট আচরণবিধি : নব্য সনাতন মতবাদের অন্যতম দিক হলো সুনির্দিষ্ট আচরণবিধি। এ ধারণাটি কতিপয় আচরণবিধির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ মতবাদটি কতিপয় সুনির্দিষ্ট আচরণ বিধির ওপর ভিত্তি করে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক তৈরি করে। এ ধরনের আচরণবিধি আনুষ্ঠানিক সংগঠনের সাথে সংগতিপূর্ণ নয় ।
৪. আন্দোলনভিত্তিক : অনানুষ্ঠানিক মতবাদটি একটি আন্দোলন বিশেষ। সনাতন মতবাদের দুর্বলতার ভিত্তিতে এটি আন্দোলন রূপে যাত্রা করে। বিশেষত ১৯৩০ সালের পর এটি সনাতন বিরোধী আন্দোলন রূপে আত্মপ্রকাশ করে। এ আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হলো মানবিক সম্পর্ক তৈরি করা।
৫. মানবিক সম্পর্ক নব্য সনাতন মতবাদের স্বরূপ ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে এর মানবিক সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে । এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির সম্পর্ক বেশি প্রাধান্য পায় না এবং ব্যক্তির সম্পর্ক অপেক্ষা সংগঠনের পারস্পরিক মানব সম্পর্কের ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। মানবিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করা হয় ।
৬. অনানুষ্ঠানিকতা : নব্য সনাতন মতবাদটি অনানুষ্ঠানিক সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল। সনাতন পদ্ধতিতে অনানুষ্ঠানিকতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু নব্য সনাতন পদ্ধতিতে তা করা হয় না। এ ক্ষেত্রে আইনি সম্পর্কের চেয়ে অনানুষ্ঠানিকতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।
৭. স্বকীয়তা নব্য সনাতন মতবাদে স্বকীয়তার উপস্থিতি বিদ্যমান। এ মতবাদের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্যবোধ রয়েছে। স্বতন্ত্র মর্যাদা ও যোগাযোগ সম্পর্ক এর একটি বিশেষ দিক। মর্যাদাবোধ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মূলত অনানুষ্ঠানিক। এ কারণে এটি আনুষ্ঠানিক মতবাদ থেকে ভিন্ন ।
৮. নিরবচ্ছিন্নতা : নব্য সনাতন মতবাদে নিরবচ্ছিন্নতা লক্ষণীয়। এ মতবাদে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সম্পর্ক বজায় থাকে। এটি অনানুষ্ঠানিকতার কারণে সম্ভব। অনানুষ্ঠানিকতার কারণে কর্মচারীদের মধ্যে এক ধরনের স্থিতিশীল ও নিরবচ্ছিন্ন সম্পর্ক গড়ে ওঠে ।
৯. নেতৃত্ব : নেতৃত্ব অনানুষ্ঠানিক সম্পর্কের একটি অন্যতম পরিচয়। অন্যান্য সংগঠনের ন্যায় এ মতবাদেও একজন নেতা থাকেন। তবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারেন না, কিন্তু অনানুষ্ঠানিকভাবে সব কাজের নির্দেশ দেন। সব কাজে নেতৃত্ব দেন এতে কর্মচারীদের ওপর প্রভাব তৈরি হয়।
উপসংহার : উপযুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, নব্য এনাতন মতবাদের একটি স্বতন্ত্র পরিচয় রয়েছে। উল্লিখিত বিষয়গুলো এ মতবাদকে অন্যান্য ধারণা থেকে পৃথক করেছে। এগুলো নিউ-ক্লাসিক্যাল মতবাদের মূল বৈশিষ্ট্য। নব্য সনাতন মতবাদ সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য এগুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা আবশ্যক।
০৯. সংগঠনের মৌলিক নীতিসমূহ আলোচনা কর।
অথবা, প্রশাসনিক সংগঠনের নীতিসমূহ ব্যাখ্যা কর। অথবা, সংগঠনের মূলনীতিসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর : ভূমিকা : কোনো রাষ্ট্রের প্রশাসন ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। সংগঠন একটি যুক্তিসংগত সুপরিকল্পিত কর্তৃত্ব কাঠামো যার কতিপয় সাধারণ নীতি রয়েছে।
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে অবশ্যম্ভাবীরূপে কোনো পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালিত হতে হয়। অন্যথায় উক্ত কর্ম ও লক্ষ্য বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তিপূর্ণ হওয়ার সমূহ আশঙ্কা থাকে এবং কর্মপ্রচেষ্টা নিষ্ফল হয়ে যেতে পারে । প্রশাসনিক সংগঠনের মূলনীতিসমূহের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ওপরই কোনো সংগঠনের সফলতা নির্ভর করে।
সংগঠনের মৌলিক নীতিসমূহ : সংগঠনের প্রকৃতি ও ধরন সম্পর্কে প্রায় সব লোকপ্রশাসনবিদ নিম্নলিখিত নীতিসমূহের কথা উল্লেখ করেছেন । যেমন –
১. শ্রমবণ্টন নীতি : সংগঠনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে শ্রমবণ্টন নীতি সংগঠনের ভিত্তিস্বরূপ। কোনো বৃহদায়তন এবং জটিল প্রশাসনিক সংগঠনের যাবতীয় কার্যাবলি যখন বিভিন্ন এককে বিভক্ত করে বিভিন্ন ব্যক্তির যোগ্যতা,
দক্ষতা ও মেধানুযায়ী তাদের ওপর অর্পণ করা হয় তখনই তাকে কর্ম বিভাজন বা শ্রমবন্টন বলে প্রশাসনিক সংগঠনের যাবতীয় কার্যাবলি স্বল্প ব্যয়ে ও স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করার জন্য কর্ম বিভাজনের নীতি অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজন।
২. পদসোপান নীতি : প্রতিটি প্রশাসনিক সংগঠনে পদসোপান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে পদসোপান বলতে কতকগুলো পর্যায়ক্রমিক স্তরবিশিষ্ট কোনো সংগঠনকে বুঝায় যেখানে প্রতিটি নিম্নস্তরে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের নিকটতম কর্তৃপক্ষের অধীনে থেকে তার কাছে দায়বদ্ধ থাকে।
পদসোপান সাধারণত দায়িত্ব, কর্তব্য ও কর্তৃত্বের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় এবং এ কর্তৃত্ব সাধারণত আইন, সাংগঠনিক পদমর্যাদা, নিয়মতান্ত্রিক ক্ষমতা এবং সর্বোপরি উৎকৃষ্ট জ্ঞান ও কর্মদক্ষতা হতে উৎসারিত হয়।
৩. পরিকল্পনা : সংগঠনের মাধ্যমে কোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য যথাযথ ও পর্যাপ্ত পরিকল্পনা প্রয়োজন। কোনো কাজ শুরু করার পূর্বে ঐ কাজটি কীভাবে করা যায় বা কাজটি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ মানবসম্পদ ও অর্থের সরবরাহ আছে কি না ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করার পর সংগঠনের উদ্দেশ্যের সাথে সংগতি রেখে কার্যপ্রণালি নির্ধারণ করাকে পরিকল্পনা বলে। সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে যেকোনো প্রকল্প বাতিল হয়ে যেতে পারে।
৪. আদেশগত ঐক্য : আদেশগত নীতির মূলকথা হলো সংগঠনের একজন কর্মী কেবলমাত্র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট হতে আদেশ গ্রহণ করবেন। কোনো অধস্তন কর্মচারী একাধিক নিকটস্থ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশের অধীন নন।
অধ্যাপক ফিফনার এবং প্রেসথাসের মতে, আদেশগত ঐক্যের ধারণা বিধান করে যে, সংগঠনের প্রত্যেক সদস্যই একজন এবং কেবল একজন নেতার নিকট রিপোর্ট প্রদান করবেন।
৫. নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্র : সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ পরিধি নীতিটি একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা একই সময়ে কতজন কর্মচারীকে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা ও সীমা নির্ধারণ করে। উক্ত কর্মকর্তার অধীন কর্মচারী অধিক হলে তার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে, আবার কর্মচারী স্বল্পসংখ্যক হলে তিনি কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
৬. কর্তৃত্ব হস্তান্তর : সাধারণত কর্তৃত্ব হস্তান্তর নীতি বলতে এক নির্বাহী ইউনিট বা সাংগঠনিক ইউনিট হতে অপর নির্বাহী বা সাংগঠনিক ইউনিটের নিকট কর্তৃত্ব ক্ষমতা ও দায়িত্ব অর্পণ করাকে বুঝায় ।
এ ক্ষমতা অর্পণ বলতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক অধস্তন কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করে দিয়ে তা যথাসময়ে আদায় করে নেওয়াকে বুঝায় ।
৭. লাইন অ্যান্ড স্টাফ নীতি : যেকোনো দেশের শাসক তথা সরকার প্রধানকে সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাই লাইন এন্ড স্টাফ নীতি নামে পরিচিত। কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অধীন দুধরনের কর্মচারী কাজ করে।
যেমন— একদল কর্মচারীকে বলা হয় লাইন এজেন্সি (Line Agency) এবং অপর দলকে বলা হয় স্টাফ এজেন্সি (Staff Agency)। লাইন এজেন্সি সাধারণত কর্তৃত্ব প্রয়োগ বা আদেশ প্রদানে নিয়োজিত থাকে, আর স্টাফ এজেন্সি প্রশাসনিক সমস্যাদি অধ্যয়ন করা, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা, প্রয়োজনীয় উপদেশ ও পরামর্শ প্রদান করা ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত থাকে ।
৮. সমন্বয়সাধন : সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিট বা অংশের মধ্যে সমন্বয়সাধন করা প্রশাসনিক সংগঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নীতি কোনো সংগঠনের সব অংশ যাতে দ্বৈততা, শূন্যতা কিংবা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি না করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথাসময়ে পরস্পরের সাথে কাজ করতে পারে তার ব্যবস্থা করার নামই সমন্বয়সাধন ।
সমন্বয়সাধনের লক্ষ্য হলো কর্মচারীদের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করে তাদের মধ্যে একতা, সহযোগিতা ও যোগসূত্র স্থাপনের মাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করা।
৯. যোগাযোগ : যোগাযোগ নীতি প্রশাসনিক প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিউম্যান ও সামার যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে ঘটনা, ধারণা, মতামত ও আবেগ- অনুভূতির আদানপ্রদান বলে অভিহিত করেছেন। সুষ্ঠু যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই প্রশাসনিক আচরণ সংশোধিত, পরিবর্তিত ও প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জিত হয়।
১০. কেন্দ্রীকরণ ও বিকেন্দ্রীকরণ : কোনো প্রশাসনিক ইউনিটের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব যখন এককভাবে প্রশাসনিক সংস্থার কেন্দ্রে সংরক্ষিত হয় তখন তাকে প্রশাসনিক কেন্দ্রীকরণ বলে । অপরদিকে, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে জনস্বার্থে পরিকল্পনা প্রণয়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনার কর্তৃত্ব স্থানীয় বা নিম্নপর্যায়ে স্থানান্তরকে বিকেন্দ্রীকরণ বলা হয়।
১১. প্রেষণা : প্রশাসনিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মানবপ্রকৃতি ও মানুষের আচার আচরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সংগঠনের কার্যক্রমে কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও কর্মপ্রেরণার সৃষ্টি করানোই হচ্ছে প্রেষণা। কর্মচারীদের মনোবল বৃদ্ধি ও তা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য প্রেষণা চাবিকাঠি স্বরূপ।
১২. সমতা বিধান : সমতার নীতির মাধ্যমে সংগঠনের সব বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যে কার্য ও ক্ষমতার সমন্বয় করার ক্ষমতা হচ্ছে কর্তৃত্ব এবং এ কার্যসম্পাদন করার বাধ্যবাধকতা হচ্ছে দায়িত্ববোধ কার্যসম্পাদনের দায়িত্ব অর্পণের সাথে সমপরিমাণ ক্ষমতাও দিতে হবে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, কোনো প্রশাসনিক সংগঠন পরিচালনার জন্য তার মৌলিক নীতিসমূহের সঠিক বাস্তবায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আধুনিক রাষ্ট্রের কাজের বিস্তৃতির সাথে ব্যাপক ও বিচিত্রধর্মী সংগঠনের উদ্ভব ঘটছে যাতে করে সংগঠনের কাজ অনেক জটিল হয়ে পড়েছে। এসব জটিল কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য উপর্যুক্ত নীতিসমূহের কার্যকর ও সুষ্ঠু প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
১০. পদসোপান নীতি কী? পদসোপানের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর ।
অথবা, পদসোপান নীতির সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর। অথবা, পদসোপান নীতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : প্রতিটি বৃহদায়তন সংগঠনে পদক্রমের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। অধ্যাপক মুনি (Mooney) এর মতে, “পদক্রম হচ্ছে প্রশাসনিক সংগঠনের অন্যতম নীতি।” সংগঠনের কর্তৃত্ব কোনো না কোনো স্তরে অবশ্যই ন্যস্ত থাকবে। এই দিক হতে বিচার করলে দেখা যায় যে, পদক্রমিক সংগঠনের কয়েকটি বাস্তব সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে।
- আরো পড়ুন:-লোকপ্রশাসন পরিচিতি অধ্যায়:-১(সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDFফ্রি)
- আরো পড়ুন:-স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৬ষ্ঠ-অতিসংক্ষিপ্ত)
- আরো পড়ুন:-স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৬ষ্ঠ-সংক্ষিপ্ত)
- আরো পড়ুন:- স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৬ষ্ঠ-রচনামূলক)-১
- আরো পড়ুন:- স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৬ষ্ঠ-রচনামূলক)-২
- আরো পড়ুন:-স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (৬ষ্ঠ-রচনামূলক)-৩
পদসোপান নীতি : পদসোপান বা Hierarchy এর আক্ষরিক অর্থ হলো উচ্চতর স্তর কর্তৃক নিচুতর স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করা। প্রশাসনের ক্ষেত্রে পদসোপান বলতে পর্যায়ক্রমিক স্তরবিশিষ্ট কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে বুঝায় যেখানে নিচুস্তরে কার্যরত ব্যক্তিগণ তাদের ঠিক ঊর্ধ্বস্তরে কার্যরত ব্যক্তিদের আদেশে সব প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। পদসোপানের বিভিন্ন রূপ দায়িত্ব এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের বেতনের বিভিন্নতার কারণে পদসোপান নীতিতে একটি ঊর্ধ্বতন অধস্তন সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : এল. ডি. হোয়াইট (L. D. White) এর মতে, “Hierarchy consists in the universal application of superior subordinate relationship through a number of levels of responsibility reaching from top to the bottom of the structure.” অর্থাৎ, পদসোপান নীতি এমন একটি সাংগঠনিক রূপ নির্দেশ করে যা মূলত এক সর্বজনীন ঊর্ধ্বতন অধস্তন সম্পর্কের ভিত্তিতে দায়িত্ব এবং কর্তৃত্বের বিভিন্ন ধাপের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয় এবং যা সংগঠনের ওপর হতে নিচ পর্যন্ত অতিক্রম করে।
বি. পি. ভামব্রি (B. P. Bhambri) এর মতে, “Hierarchy is a system of interlocking superior subordinate relationship from top to bottom.” অর্থাৎ পদসোপান হলো ঊর্ধ্বতন ও অধস্তন কর্তৃপক্ষের উচ্চ থেকে নিম্ন পর্যন্ত আদেশ দান ও লাভের সম্পর্ক।
পদসোপান নীতির সুবিধাসমূহ পদক্রম বা পদসোপান নীতির সুবিধাগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো-
১. আদেশ দান আদেশ দানে পদসোপান নীতির গুরুত্ব পরিলক্ষিত হয়। এ নীতির মাধ্যমে যথার্থভাবে আদেশ প্রদান করা হয়। পদসোপান নীতি আদেশ প্রদানের প্রধান উপায়। এ ক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিম্নস্তরের কর্মকর্তাদের আদেশ প্রদান করে থাকে।
২. কর্তৃত্ব অর্পণ : পদসোপান নীতি হলো কর্তৃত্ব অর্পণের একটি বিশেষ মাধ্যম। এ নীতির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পদসোপানের পথ ধরে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতাকে সংশ্লিষ্টদের নিকট অর্পণ করা হয়। এ ধরনের কর্তৃত্ব ঊর্ধ্বতন থেকে নিম্নস্তর পর্যন্ত প্রবাহিত হয়।
৩. সঠিক যোগাযোগ : সঠিক যোগাযোগ পদসোপান নীতির একটি অন্যতম সুবিধা। এর মাধ্যমে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে একটি যোগসূত্র তৈরি হয়। পদসোপান নীতি যোগাযোগের প্রধান নীতিরূপে কাজ করে। বিশ্লেষকদের মতে, “Hierarchy or social system serves as an instrument of integration and coexistence in an organization.”
৪. দায়িত্ববোধ সৃষ্টি দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতে পদসোপান নীতির গুরুত্ব অনেক । এ নীতির মাধ্যমে সংগঠনে দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে কেননা এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ইউনিটকে স্ব স্ব দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয় ফলে প্রত্যেক ইউনিট ও ব্যক্তি দায়িত্ববান হয়ে ওঠে।
৫. প্রশাসন পরিচালনা : প্রশাসন পরিচালনা পদসোপান নীতির একটি ইতিবাচক দিক। এ নীতির মাধ্যমে প্রশাসনকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়। পদসোপানের মাধ্যমে উচ্চস্তরের আদেশ নিম্নস্তরে আসে। প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণের সঠিক নেতৃত্বে নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়িত হয়।
৬. কর্মের সমন্বয় কর্মের সমন্বয় সাধনে পদসোপান নীতির গুরুত্ব অনেক। এটি পদসোপান নীতির একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা। পদসোপান ব্যবস্থা সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে সংগঠনকে একটি সাধারণ কর্ম ইউনিটে পরিণত করতে সাহায্য করে। কর্মকে বিভিন্ন স্তরে বিভাজন করা হয়। সঠিকভাবে সংশ্লিষ্টকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কর্মের সমন্বয় সাধন করেন।
৭. চিরন্তন ব্যবস্থা : পদসোপান নীতি চিরন্তন ব্যবস্থা রূপে চিহ্নিত। Prof. J. D. Mooney এ নীতিকে সংগঠনের চিরন্তন নীতি রূপে অভিহিত করেছেন। শ্রমবিভাগের কারণে সংগঠনকে বিভিন্ন ইউনিটে বিভক্ত ও ঐক্য তৈরি হয়।
৮. কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব এ ধরনের নীতির মাধ্যমে সংগঠনে কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব গড়ে ওঠে। উচ্চস্তরের কর্মকর্তাগণ সাধারণত কেন্দ্রে অবস্থান করে। অবশ্য উচ্চ স্তরের কর্মকর্তাগণ ক্ষমতাকে বিভিন্ন স্তরে বণ্টন করেন। তবে মূল ক্ষমতার অধিকারী হলো কেন্দ্র। কেন্দ্রকে ভিত্তি করে সব ক্ষমতা আবর্তিত।
৯. কর্মীদক্ষতা : কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির একটি অন্যতম উপায় হলো পদসোপান নীতি। কর্ম বিভাজন নীতি অনুসারে কর্মকে বিভিন্ন ইউনিট ও ব্যক্তির মধ্যে বণ্টন করা হয়। পদসোপানের মাধ্যমে কর্তৃত্ব অর্পণ, শ্রমবিভাগ ও বিশেষীকরণের বিধান প্রতিষ্ঠা পায়।
পদসোপান নীতির অসুবিধা : পদসোপান নীতির কতিপয় ইতিবাচক দিক রয়েছে ঠিকই। কিন্তু এ নীতিটি সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। নিম্নে পদসোপান নীতির অসুবিধা উল্লেখ করা হলো—
১. লাল ফিতার দৌরাত্ম্য : লাল ফিতার দৌরাত্ম্য পদসোপান নীতির একটি বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা। পদসোপান নীতির প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফাইল বিভিন্ন টেবিলে দেখা যায়। এতে অনেকে সিদ্ধান্ত দিতে বিলম্ব করে। অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি হয়। এটি একটি গুরুতর অসুবিধা।
২. প্রশাসনিক জটিলতা : পদসোপান নীতির একটি গুরুতর সমস্যা হলো প্রশাসনিক জটিলতা। লাল ফিতার কারণে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ঘটে। এরূপ বিলম্বের ফলে প্রশাসন ভেঙে পড়তে পারে। এ অবস্থা প্রশাসনের জন্য শুভকর নয় ।
৩. অনমনীয়তা : পদসোপান বিধিটি অনমনীয় দোষে দুষ্ট। এক্ষেত্রে Proper Channel Unit of Command এর বিধি-নিষেধ কঠিনভাবে অনুসৃত হয়। সংশ্লিষ্টরা সাধারণ বিধি বিধানের বাইরে যেতে চায় না । এ ধরনের মানসিকতা গণতন্ত্রের জন্য যথার্থ নয়।
৪. কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব হ্রাস : পদসোপান নীতির একটি অন্যতম সীমাবদ্ধতা হলো কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব হ্রাস। এ নীতির মাধ্যমে কেন্দ্রের ক্ষমতা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ইউনিটের নিকট হস্তান্তরিত করা হয়। ফলে কেন্দ্র অনেকটা কর্তৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ে।
৫. অনুষ্ঠান সর্বস্ব : পদসোপান নীতি অনুষ্ঠান সর্বস্ব দোষে দুষ্ট। এতে প্রশাসনিক বিধি বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানকে বেশি প্রাধান্য দেন। এতে অনানুষ্ঠানিক ব্যবস্থা অপেক্ষা অনুষ্ঠান সর্বস্ব আচরণই বেশি প্রতিফলিত হয়।
৬. ফাঁকির প্রবণতা : পদসোপান নীতির ক্ষেত্রে ফাঁকির প্রবণতার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ঊর্ধ্বতনদের আদেশ অবিকল রূপে মান্য করা হয়। এতে অনেক ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম করে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
৭. স্বেচ্ছাচারিতা : পদসোপান নীতির একটি অন্যতম নেতিবাচক দিক হলো স্বেচ্ছাচারিতা। ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা অধস্তন কর্মচারীদের অনেক বিষয়ে বাধ্য করে। ফলে স্বৈরাচারী অবস্থার সৃষ্টি হয় এতে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় ।
৮. সময়ের অপচয় : সমালোচকদের দৃষ্টিতে পদসোপান নীতিতে সময়ের অপচয় ঘটে। এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেকের মতামতের প্রয়োজন হয় । এটি কাম্য নয়।
৯. মানবিকতা উপেক্ষা : মানবিকতা উপেক্ষা পদসোপান নীতির একটি উল্লেখযোগ্য অসুবিধা। কারো কারো মতে, এক্ষেত্রে গতানুগতিক ব্যবস্থাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে বিষয়বস্তুর প্রকৃত আবেদন ও মানবিক দিকটা বেশি উপেক্ষিত হয়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, পদসোপান নীতির নানাবিধ সুবিধা ও অসুবিধা বিদ্যমান। তবে নানাবিধ অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও পদসোপান নীতি প্রশাসনিক সংগঠনের অপরিহার্য নীতি।
এ নীতির মাধ্যমে যেকোনো সংগঠনের কাজকে বিভিন্ন অংশ বা স্তরে সাজানো হয়। বর্তমানে সরকারি বেসরকারি | যেকোনো সংগঠনেই পদসোপান নীতির উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। ফ্রি পিডিএফ ফাইল এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন। (ফ্রি পিডিএফ) অধ্যায়২: লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর