ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৫ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৬-২০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের পঞ্চম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের পঞ্চম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৫ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৬-২০ | PDF
প্রশ্ন ১৬ জনাব শিমুল তার পাওনাদারকে স্ট্যাম্পযুক্ত সাদা কাগজে লিখলেন, ‘প্রেরিত পণ্য বিক্রয় সাপেক্ষে মি. করিক উত্তর:ে অথবা তার আদেশ নুসারে দ্য হতে ১ মাস পর ২০,০০০ টাকা প্রদানে বাধ্য থাকবো’। পাওনাদার মি. করিম তার ব্যাংকে দলিলটি বাট্টা করতে গেলে ব্যাংক তাতে রাজি হয়নি। ন্যদিকে মি. করিম তার পাওনাদার কর্তৃক স্ট্যাম্পযুক্ত সাদা কাগজে ১০,০০০ টাকার জন্য প্রস্তুত একটি দলিলে স্বীকৃতির স্থানে স্বাক্ষর করে পাওনাদারকে ফেরত দিয়েছেন। পাওনাদার তার ব্যাংক থেকে দলিলটি বাট্টা করতে পেরেছেন।
[দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ, কুমিলা]
ক. ব্যাংক হিসাব কাকে বলে? ১
খ. বিনিময় বিল বলতে কি বোঝ? ২
গ. হস্তান্তরযোগ্য দলিলের কোন বৈশিষ্ট্যের ভাবে মি. করিম তার প্রাপ্ত দলিলটি বাট্টা করতে পারেননি? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. পাওনাদার প্রস্তুতকৃত দলিলটি ধিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন, যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তা বাট্টাকরণ করা গেছে উক্তিটির যথাঅর্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংক তার গ্রাহকদেরকে অর্থ জমাদান ও উত্তোলনের সুযোগ দেয় তাকে ব্যাংক হিসাব বলে।
খ উত্তর: বিনিময় বিল হলো এক ধরনের হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল।
এ দলিলের মাধ্যমে ধারে বিক্রীত পণ্যের মূল্য পরিশোধের জন্য বিক্রেতা ক্রেতাকে নির্দেশ প্রদান করে। ক্রেতা স্বাক্ষর প্রদান করে এ দলিলে স্বীকৃতি প্রদান করে। এর ফলে, বিক্রেতা দলিলের মেয়াদপূর্তির পূর্বে বাট্টাকরণের মাধ্যমে ব্যাংক হতে অর্থ সংগ্রহ করতে পার। অথবা মেয়াদপূর্তিতে ক্রেতার নিকট বিল উপস্থাপন করে সরাসরি অর্থ সংগ্রহ করতে পারে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে হস্তান্তরযোগ্য দলিলের শর্তহীন আদেশ। বৈশিষ্ট্যের ভাবে মি. করিম তার প্রাপ্ত দলিলটি বাট্টা করতে পারেননি।
হস্তান্তরযোগ্য দলিলের হস্তান্তর বলতে দলিলের সত্ত¡া কর্তৃক যথানিয়মে এর মালিকানা ন্যের নিকট হস্তান্তর করাকে বোঝায়। তবে এরূপ হস্তান্তর শর্তহীন হতে হয়।
উদ্দীপকে মি. করিম জনাব শিমুলের নিকট থেকে স্ট্যাম্পযুক্ত একটি হস্তান্তযোগ্য দলিল পেয়েছেন।
তবে তিনি দলিলটি বাট্টা করতে চাইলে ব্যাংক তাতে রাজি হয়নি। কেননা, দলিলটিতে লিখা ছিল প্রেরিত পণ্য বিক্রয় সাপেক্ষে মি. করিক উত্তর:ে ২০ হাজার টাকা প্রদানে বাধ্য থাকবে। অর্থাৎ জনাব শিমুল অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। এরূপ শর্ত থাকলে তা কখনই বৈধ হস্তান্তরযোগ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হয় না। সুতরাং, শর্তহীন আদেশ বৈশিষ্ট্যের ভাবে মি. করিম দলিলটি বাট্টাকরণ করতে পারেননি।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত দ্বিতীয় দলিলটিতে হস্তান্তরযোগ্য দলিলের পরিহার্য শর্তাবলী পূরণ করায় তা বাট্টাকরণ সম্ভব হয়েছে।
হস্তান্তরযোগ্য দলিলের প্রস্তুত ও হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কিছু পরিহার্য শর্ত মেনে চলতে হয়। যেমন তারিখের উলেখ, প্রস্তুতকারীর স্বাক্ষর, শর্তহীন নির্দেশ ইত্যাদি।
উদ্দীপকে মি. করিম তার পাওনাদারের নিকট থেকে একটি দলিল গ্রহণ করেন। তিনি দলিলটির স্বীকৃতির স্থানে স্বাক্ষর করে পাওনাদারকে ফেরত দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি বিনিময় বিলে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।
এখানে, বিনিময় বিল দলিলটি যথাযথ নিয়মেই পাওনাদার কর্তৃক প্রস্তুত করা হয়েছে। আবার, এ দলিলটি ক্রেতা কর্তৃক অর্থাৎ মি. করিম কর্তৃক স্বীকৃতি হয়েছে। এছাড়া এতে সরকারি বিধি-নিষেধ নুযায়ী স্ট্যাম্পযুক্ত করা হয়েছে। তাই বলা যায়, হস্তান্তরযোগ্য দলিলের সকল শর্ত পূরণ করায় তা বাট্টাকরণ সম্ভব হয়েছে।
প্রশ্ন ১৭ রাকিবের বাবা একজন ব্যাংকার। গতকাল তিনি রাকিবকে একটি নতুন পাঁচ টাকার নোট দিলেন। রাকিব দেখল এই নতুন নোটটি পূর্বের পাঁচ টাকার নোট থেকে নেক ব্যতিক্রম। এছাড়া নোটটি উপরে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ শব্দসমূহ লেখা আছে।
[ধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ, কুমিলা]
ক. জ্ঞীকার পত্র কী? ১
খ. হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের উলিখিত নোটটি কোন ধরনের নোট? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের উলিখিত নোটটি দেশের ন্যান্য বড় ঙ্কের নোট থেকে আলাদা উক্তিটির যথাঅর্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে দলিলের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি পর কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেয় তাকে ঙ্গীকারপত্র বলে।
খ উত্তর: হস্তান্তরের মাধ্যমে যে দলিলের মালিকানার পরিবর্তন ঘটে তাকে হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলে।
যথানিয়মে একহাত থেকে ন্যহাতে হস্তান্তরের মাধ্যমে এ দলিলের হস্তান্তরগ্রহীতা এর বৈধ মালিকানা লাভ করে। আমাদের দেশের আইনে ঙ্গীকারপত্র, বিনিময় বিল ও চেক হস্তান্তরযোগ্য দলিল হিসেবে গণ্য।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত নতুন পাঁচ টাকার নোটটি হলো সরকারি নোট।
সরকারের নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো নোটই সরকারি নোট। এ নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকে।
উদ্দীপকে রাকিব তার বাবার কাছ থেকে নতুন পাঁচ টাকার নোট পেয়েছে। রাকিব দেখলো এই নতুন পাঁচ টাকার নোটের সাথে পূর্বের পাঁচ টাকার নোটের নেক পাঅর্থক্য রয়েছে। নতুন এ নোটটির গায়ে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ শব্দদ্বয় লেখা আছে।
অর্থাৎ এ নোটটি সরকারি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো হয়েছে। কেননা, অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো নোটেই এরূপ ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ লিখা থাকে। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে বলা যায়, উদ্দীপকে উলিখিত নতুন পাঁচ টাকার নোটটি সরকারি নোট।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত পাঁচ টাকার নোটটি দেশের ন্যান্য বড় ঙ্কের নোট থেকে আলাদা।
সাধারণত, সরকারি নোট কম মূল্যমানের হয়। পরদিকে, ব্যাংক নোট ধিক মূল্যমানের হয়।
উদ্দীপকে রাকিব তার বাবার কাছ থেকে একটি নতুন পাঁচ টাকার নোট পেয়েছে। নোটটির গায়ে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ শব্দসমূহ লেখা আছে। অর্থাৎ নতুন পাঁচ টাকার নোটটি হলো সরকারি নোট।
বাংলাদেশে এরূপ সরকারি নোটের সাথে সাথে ব্যাংক নোটও প্রচলিত রয়েছে। সরকারি নোট হওয়ায় ৫ টাকার নোটে বশ্যই অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকবে। পরদিকে, ব্যাংক নোটগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে।
সাধারণত, সরকারি নোটগুলো কম মূল্যমানের হয়ে থাকে। পরদিকে ব্যাংক নোটগুলো ধিক মূল্যমানের হয়ে থাকে। সরকারি নোট হওয়ায় ৫ টাকার নোটটি বিহিত মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত। পরদিকে বড় ঙ্কের ব্যাংক নোটগুলো (১০০ ও ৫০০) বিহিত মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত নয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে “উলিখিত নোটটি দেশের ন্যান্য বড় ঙ্কের নোট থেকে আলাদা” উক্তিটি যথাঅর্থ।
প্রশ্ন ১৮ মি. জাবেদ একজন পাইকারি ব্যবসায়ী। তিনি গ্রামের বাজার থেকে আলু, টমেটো, শিম ইত্যাদি ক্রয় করে শহরে খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করেন। ঈদের আগে টমেটোর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তিনি ধিক পরিমাণে টমেটো ক্রয় করতে চাইলেন। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে নগদ টাকা তার কাছে না থাকায় তিনি ৩ মাসের মধ্যে মূল্য পরিশোধের শর্তে একটি দলিলের মাধ্যমে টমেটো সংগ্রহ করলেন। এতে তিনি বেশি পরিমাণে মুনাফা র্জন করতে সক্ষম হন।
[হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ, চাঁদপুর]
ক. প্রত্যয়পত্র কী? ১
খ. বড় ঙ্কের লেনদেনে চেক পেক্ষা পে-অর্ডার উত্তম কেন? ২
গ. মি. জাবেদ কোন দলিলের মাধ্যমে পণ্য সংগ্রহ করেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মি. জাবেদের উক্ত দলিলের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করা কতটুকু যৌক্তিক বলে তুমি মনে করো? মতামত দাও। ৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারককে রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয় তাকে প্রত্যয়পত্র বলে।
খ উত্তর: ব্যাংক পে-অর্ডারের অর্থ প্রাপক ব্যতীত ন্য কাউকে পরিশোধ করে না বিধায় বড় ঙ্কের লেনদেনে এটি চেক পেক্ষা উত্তম।
পে-অর্ডার হলো হস্তান্তর যোগ্য ঋণের দলিল। দলিলে প্রাপক হিসেবে যার নাম থাকে ব্যাংক শুধু তাকেই অর্থ প্রদান করে। ন্যদিকে চেক হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল হওয়ায় ব্যাংক যে কাউকেও এ দলিলের অর্থ প্রদান করে। অর্থাৎ পে-অর্ডার হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলেও আঅর্থিক ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই। এ কারণেই বড় ঙ্কের লেনদেনে এটি চেক পেক্ষা উত্তম।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. জাবেদা বিনিময় বিলের মাধ্যমে পণ্য সংগ্রহ করেন।
বিনিময় বিল হলো এক ধরনের হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল। এ দলিলের মাধ্যমে বিক্রেতা ক্রেতাকে ধারে বিক্রীত পণ্যের মূল্য পরিশোধের শর্তহীন নির্দেশ প্রদান করে।
উদ্দীপকে মি. জাবেদ একজন পাইকারি ব্যবসায়ী।
তিনি গ্রামের বাজার থেকে আলু, টমেটো, শিম ইত্যাদি ক্রয় করে খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করেন। ঈদের আগে টমেটোর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তিনি ধিক পরিমাণে টমেটো ক্রয় করতে চাইলেন।
কিন্তু পর্যাপ্ত নগদ টাকা না থাকায় তিনি ৩ মাসের মধ্যে মূল্য পরিশোধের শর্তে একটি দলিলের মাধ্যমে টমেটো সংগ্রহ করলেন। অর্থাৎ তিনি বিনিময় বিলের মাধ্যমে টমেটো সংগ্রহ করলেন। কেননা বাকিতে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিনিময় বিলে মাধ্যমেই মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে মি. জাবেদের বিনিময় বিল দলিলের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করা পুরোপুরি যৌক্তিক।
বিনিময় বিলের মাধ্যমে বিক্রেতা ক্রেতাকে নির্দিষ্ট সময় পর মূল্য পরিশোধের শর্তহীন নির্দেশ প্রদান করে। ক্রেতা তাতে স্বাক্ষর প্রদান করে স্বীকৃতি দেয়।
উদ্দীপকে মি. জাবেদা একজন পাইকারি ব্যবসায়ী। ঈদের আগে পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তিনি ধিক পরিমাণে পণ্য ক্রয় করতে চাইলেন। পর্যাপ্ত নগদ অর্থ না থাকায় তিনি বিনিময় বিলের মাধ্যমে পণ্য সংগ্রহ করলেন।
বিনিময় বিলের মাধ্যমে পণ্য সংগ্রহ করায় মি. জাবেদকে কোনো নগদ অর্থ ব্যয় করতে হবে না। তিনি পণ্য বিক্রয় করে ৩ মাস পর এ মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। ন্যদিকে এ দলিলটি আইনগতভাবে প্রামাণ্য দলিল হওয়ায় বিক্রেতাও মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা পাবে।
ফলে মি. জাবেদের সাথে বিক্রেতার সুসম্পর্কও বজায় থাকবে। তাই বলা যায়, বিনিময় বিলের মাধ্যমে মি. জাবেদের পণ্য সংগ্রহ করার বিষয়টি যৌক্তিক।
প্রশ্ন ১৯: মি. কালাম একজন ব্যবসায়ী। তিনি খাগড়াছড়ির মি. হোসেন থেকে একটি দলিল পান, যেটি তিনি পূবালী ব্যাংক, খাগড়াছড়ি ছাড়া ন্য কোন শাখা হতে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন না এবং দলিলটি কারো নিকট হস্তান্তরযোগ্য নয়। পরদিকে, তিনি মি. মিল্টন সোনালী ব্যাংক, খাগড়াছড়ি শাখা থেকে একটি দলিল পান যেটি সোনালী ব্যাংক, গুলিস্তান শাখা, ঢাকায় ভাঙ্গানো যাবে। এটি সোনালী ব্যাংক এক শাখা কর্তৃক পর শাখাকে টাকা প্রদানের নির্দেশ। যেটির ভিতরে লিখা ছিল মি. কালাক উত্তর:ে অথবা আদেশানুসারে চাহিদা মাত্র ২০,০০০ টাকা (বিশ হাজার টাকা মাত্র) প্রদান করেন। [খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ]
ক. হস্তান্তরযোগ্য দলিল কী? ১
খ. ‘ব্যাংক নোট বিহিত মুদ্রা নয়’ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে মি. কালাম মি. হোসেন থেকে যে দলিলটি পান সেটি কোন ধরনের দলিল? দলিলটির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে মি. মিল্টন থেকে প্রাপ্ত দলিলটি কোন ধরনের? উলিখিত দলিলের সাথে উক্ত দলিলের পাঅর্থক্য নির্ণয় করো। ৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: হস্তান্তরের মাধ্যমে যে ঋণপত্র বা দলিলের মালিকালা হস্তান্তর করা যায় তাকে হস্তান্তরযোগ্য দলিল বলে।
যেমন: বিনিময় বিল, ব্যাংক ড্রাফট ইত্যাদি হলো এরূপ হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল।
খ উত্তর: ব্যাংক নোট সরাসরি সরকারি নিয়ন্ত্রণে ছাপানো হয় না বিধায় এটি বিহিত মুদ্রা নয়।
তবে সরকার এরূপ নোটের দায়িত্ব নেওয়ায় তা আইনগত বৈধতা লাভ করে। কোনো কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ব্যাংক নোট চল ঘোষণা করলে সমপরিমাণ মূল্যের নতুন ব্যাংক নোট প্রদানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্য থাকে। এ নোটকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিজ্ঞাপত্র হিসেবেও বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. কালাম মি. হোসেন থেকে যে দলিলটি পান সেটি হলো পে-অর্ডার।
পে-অর্ডারের মাধ্যমে ব্যাংকের কোনো একটি শাখা-এর প্রাপককে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের নিশ্চিত প্রতিশ্র“তি প্রদান করে। ব্যাংকের যে শাখা এ দলিল ইস্যু করে শুধু সেই শাখাই এটি পরিশোধ করে।
উদ্দীপকে মি. কালাম একজন ব্যবসায়ী। তিনি খাগড়াছড়ির মি. হোসেন থেকে একটি দলিল পান। তিনি পূবালী ব্যাংকের খাগড়াছড়ি শাখা ছাড়া ন্য কোনো শাখা হতে এ দলিলের অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন না। দলিলটি কারো নিকট হস্তান্তরযোগ্যও নয়। সাধারণত পে-অর্ডার হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা হতেই মূল্য গ্রহণ করতে হয়। তাই বলা যায়, মি. কালাম মি. হোসেন থেকে পে-অর্ডার পেয়েছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে মি. মিল্টন থেকে প্রাপ্ত দলিলটি হলো ব্যাংক ড্রাফট।
ব্যাংক ড্রাফট হলো এক ধরনের হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল। এ দলিলের অর্থ ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা বা ন্য কোনো শাখা হতে উত্তোলন করা যায়। ব্যাংক এ দলিলের অর্থ প্রাপককে অথবা তার আদেশানুসারে ন্য কোনো ব্যক্তিকে পরিশোধ করে থাকে।
উদ্দীপকে মি. কালাম একজন ব্যবসায়ী। তিনি মি. মিল্টন থেকে একটি দলিল পেয়েছেন। দলিলটি সোনালী ব্যাংকের খাগড়াছড়ি শাখা ইস্যু করলেও তা এ ব্যাংকের গুলিস্তান শাখা থেকেও ভাঙ্গানো যাবে। দলিলটিতে এটিও লেখা ছিল যে মি. কালাক উত্তর:ে অথবা আদেশানুসারে ন্য কাউকে ২০,০০০ টাকা প্রদান করা হউক। অর্থাৎ দলিলটি হলো ব্যাংক ড্রাফট
মি. মিল্টন থেকে প্রাপ্ত ব্যাংক ড্রাফট দলিলটির সাথে মি. হোসেন থেকে প্রাপ্ত পে-অর্ডারের যথেষ্ট পাঅর্থক্য রয়েছে। এখানে ব্যাংক ড্রাফট দলিলটি মি. কালাম প্রয়োজনে হস্তান্তর করতে পারবেন। কিন্তু পে-অর্ডার দলিলটি হস্তান্তরযোগ্য নয়।
এছাড়া ব্যাংক ড্রাফটের অর্থ মি. কালাম নিজে অথবা আদেশানুসারে ন্য কাউকে দিয়েও উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু পে-অর্ডারের ক্ষেত্রে ব্যাংক শুধু মি. কালাক উত্তর:েই অর্থ প্রদান করবে।
প্রশ্ন ২০: সুমনের বাবা প্রতিদিন স্কুলের টিফিন বাবদ তাকে ১২ টাকা করে প্রদান করেন। সুমন খেয়াল করল সে, তার বাবার দেওয়া ১২ টাকার মধ্যে একটি ১০ টাকার নোট এবং আরেকটি ২ টাকার নোট। সুমন আরও দেখল নোট দু’টিতে ভিন্ন ভিন্ন স্বাক্ষর। একটিতে বাংলাদেশের অর্থ সচিবের স্বাক্ষর এবং ন্যটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের স্বাক্ষর। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর সুমন তার বাবাকে নোট দু’টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কররেন। তখন তার বাবা বললেন, একটি সরকারি নোট, আরেকটি ব্যাংক নোট।
[মদনমোহন কলেজ, সিলেট]
ক. পে-অর্ডার কী? ১
খ. বিনিময় বিল বলতে কী বোঝায়? ২
গ. সুমনের ১২ টাকার নোট দু’টির মধ্যে কোনটি কী নোট? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের উলিখিত নোট দু’টির স্বতন্ত্র গুরুত্ব মূল্যায়ন করো। ৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে দলিলের মাধ্যমে ব্যাংকের কোনো একটি শাখা তার প্রাপককে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের নিশ্চিত প্রতিশ্র“তি প্রদান করে তাকে পে-অর্ডার বলে।
খ উত্তর: বিনিময় বিল হলো এক ধরনের হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল।
মূলত ধারে ক্রয়-বিক্রয়ের ফলে সৃষ্ট দেনা পরিশোধে এ দলিল ব্যবহৃত হয়। ধারে বিক্রীত পণ্যের মূল্য পরিশোধের জন্য এ দলিলের মাধ্যমে বিক্রেতা ক্রেতাকে শর্তহীন নির্দেশ প্রদান করে। সাধারণত কোনো প্রাপকের নাম উলেখ করে বিক্রেতা ক্রেতাকে মূল্য পরিশোধের জন্য এরূপ নির্দেশ প্রদান করে থাকে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে সুমনের ১০ টাকার নোটটি হলো একটি ব্যাংক নোট এবং ২ টাকার নোটি হলো সরকারি নোট।
সরকারি নোট বলতে সরকারি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো নোটকে বোঝায়। ন্যদিকে ব্যাংক নোট বলতে সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ছাপানো নোটকে বোঝায়।
উদ্দীপকে সুমনকে তার বাবা স্কুলের টিফিনের জন্য ১২ টাকা প্রদান করে। সুমন খেয়াল করলো, ১২ টাকার মধ্যে একটি নোট হলো ১০ টাকার এবং ন্য নোটটি হলো ২ টাকার। সুমন আরো দেখল একটি নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর এবং ন্য নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর।
বাংলাদেশে ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকে বিধায় এগুলো হলো সরকারি নোট। ন্যদিকে ১০ টাকা, ২০ টাকা বা তার ধিক মূল্যমানের নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে বিধায় এগুলো হলো ব্যাংক নোট। তাই বলা যায়, সুমনের ১০ টাকার নোটটি হলো ব্যাংক নোট এবং ২ টাকার নোটটি হলো সরকারি নোট।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে সরকারি নোট ও ব্যাংক নোট উভয়টিরই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বা গুরুত্ব রয়েছে।
সরকারি নোট হলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো নোট। ন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ছাপানো নোট হলো ব্যাংক নোট।
উদ্দীপকে সুমনের বাবা সুমনকে টিফিনের জন্য ১২ টাকা প্রদান করেন। এতে একটি নোট হলো ১০ টাকার এবং ন্যটি হলো ২ টাকার। এক্ষেত্রে ১০ টাকার নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর থাকায় এটি নিশ্চিতভাবে ব্যাংক নোট। ন্যদিকে ২ টাকার নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকায় এটি নিশ্চিতভাবে সরকারি নোট।
এখানে ২ টাকার মতো সরকারি নোটগুলো সরকার কর্তৃক বিহিত মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত। এরূপ বিহীত মুদ্রা হওয়ার কারণে এ নোটে চাহিবামাত্র-এর গ্রাহককে ফেরতৎ দিতে বাধ্য থাকবে’ এমন প্রতিশ্র“তির প্রয়োজন পড়ে না।
সাধারণত কম মূল্যমানের নোটগুলো সরকারি নোট হওয়ায়-এর ব্যবহার সীমিত। ন্যদিকে ১০ টাকার মতো ব্যাংক নোটগুলো বিহিত মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত নয়। তাই এতে ‘চাহিবামাত্র-এর গ্রহাককে ফেরৎ দিতে বাধ্য থাকবে’-এরূপ প্রতিশ্র“তির প্রয়োজন পড়ে।
সাধারণত ধিক মূল্যমানের নোটগুলো ব্যাংক নোট হওয়ায়-এর ব্যবহার ব্যাপক।
প্রশ্ন ২১: মি. হাসান মি. কামালের নিকট ১০,০০০ টাকা পান। মি. কামাল তাকে ৩ মাস পরের তারিখ লিখে এমন একটি দলিল দিয়েছেন যা উক্ত সময়ের পর আর তার কাছে উপস্থাপনের প্রয়োজন হবে না। মি. হাসান এতে রাজি না হয়ে তাকে এমন একটা দলিল লিখে দিতে বললেন যা তিনি তার ব্যাংক থেকে ১০% সুদে বাট্টা করতে পারবেন। মি. কামাল এরূপ দলিল লিখে দিয়েছেন। [মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. ব্যাংক ড্রাফট কী? ১
খ. দাগকাটা চেক কিভাবে ভাঙ্গনো যায়? এটি ধিক নিরাপদ কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মি. কামাল প্রথমে কোন ধরনের দলিল দিতে চেয়েছিলেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কিছু ক্ষতি হলেও পরের দলিলটি মি. হাসানের দ্রুত টাকা পেতে সহায়ক হবে উক্তিটির যথাঅর্থতা উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: চাহিবামাত্র প্রাপককে অর্থ পরিশোধের জন্য ব্যাংকের এক শাখা ন্য শাখাকে যে লিখিত নির্দেশ দেয় তাকে ব্যাংক ড্রাফট বলে।
খ উত্তর: প্রাপকের ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়ার মাধ্যমে দাগকাটা চেক ভাঙ্গানো যায়।
দাগকাটা চেকে সাধারণত চেকের উপরিভাগে বাক উত্তর:োণে আড়াআড়িভাবে সমান্তরাল দুটি রেখা টানা থাকে। এরূপ রেখা বা দাগটানার ফলে এ চেকের অর্থ শুধু প্রাপকের হিসাবেই জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে প্রাপক তার হিসাব হতে চেক কেটে অর্থ উত্তোলন করতে পারবে। প্রাপক ছাড়া ন্য কেউ এ চেকের অর্থ উত্তোলন করতে পারে না বিধায় এটি ধিক নিরাপদ।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. কামাল প্রথমে পরবর্তী তারিখের চেক দিতে চেয়েছিলেন।
চেক হলো এক ধরনের হস্তান্তরযোগ্য দলিল। চেকে ইস্যুর তারিখ উলেখ না করে কোনো ভবিষ্যৎ তারিখের উলেখ করা হলে সেটি পরবর্তী তারিখের বা ভবিষ্যৎ চেক বলে গণ্য হয়।
উদ্দীপকে মি. হাসান মি. কামালের নিকট ১০,০০০ টাকা পাবেন। মি. কামাল তাকে ৩ মাস পরের তারিখ লিখে একটি দলিল দিতে চেয়েছিলেন।
চেক হলো এক ধরনের হস্তান্তরযোগ্য দলিল। চেকে ইস্যুর তারিখ উলেখ না করে কোনো ভবিষ্যৎ তারিখের উলেখ করা হলে সেটি পরবর্তী তারিখের বা ভবিষ্যৎ চেক বলে গণ্য হয়।
উদ্দীপকে মি. হাসান মি. কামালের নিকট ১০,০০০ টাকা পাবেন। মি. কামাল তাকে ৩ মাস পরের তারিখ লিখে একটি দলিল দিতে চেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে, উক্ত সময়ের পর কামালের নিকট এ দলিলটি উপস্থাপনের প্রয়োজন হবে না।
অর্থাৎ মি. কামাল এমন দলিল দিতে চেয়েছেন যেটি তার পক্ষ হয়ে ব্যাংকই পরিশোধ করবে। এক্ষেত্রে, পরবর্তী তারিখের উলেখ করায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, মি. কামাল মি. হাসানকে পরবর্তী তারিখের চেক দিতে চেয়েছিলেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে মি. হাসানের কিছু ক্ষতি হলেও পরবর্তীতে প্রাপ্ত ঙ্গীকারপত্রটি তার জন্য দ্রুত টাকা পেতে সহায়ক হবে।
ঙ্গীকারপত্রের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি ন্য কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের লিখিত ঙ্গীকার করে। এক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট সময় পর ঙ্গীকার প্রদানকারী ব্যক্তি উলিখিত অর্থ পরিশোধ করে।
উদ্দীপকে মি. কামাল মি. হাসানকে পরবর্তী তারিখের চেক দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, মি. হাসান এতে রাজি হয় নি। মি. হাসান এমন দলিল চান, যে দলিল তিনি ব্যাংক থেকে ১০% সুদে বাট্টা করতে পারবেন। মি. কামাল তাকে সেই দলিলই প্রদান করেন।
ব্যাংক থেকে বাট্টাকরণের সুবিধা ও অর্থ পরিশোধের ঙ্গীকার বিবেচনায় বলা যায়, উদ্দীপকের দ্বিতীয় দলিলটি হলো ঙ্গীকারপত্র, ঙ্গীকারপত্র হওয়ার কারণে মি. হাসান এটি সহজেই ব্যাংক থেকে বাট্টা করতে পারবে।
অর্থাৎ তিনি এই দলিলের লিখিত মূল্য থেকে কিছু কম মূল্য গ্রহণ করবেন। এতে কিছু টাকা কম নিলেও তিনি দলিলটি পাওয়ার সাথে সাথেই তা নগদে রূপান্তর করতে পারবেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বক্তব্যটি যথাঅর্থ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।