ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১৩ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৩৪-৩৭ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ত্রয়োদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ত্রয়োদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১৩ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৩৪-৩৭ | PDF
প্রশ্ন ৩৪: জনাব র্ক ও জনাব সৌম্য দুই বন্ধু। জনাব র্ক তার কোম্পানির জন্য ৫,০০,০০০ টাকার অগ্নিবিমা করেছে। অগ্নিকাণ্ডে তার কোম্পানির ৩,০০,০০০ টাকার ক্ষতি হলেও বিমা কোম্পানি তাকে ৫,০০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিল। পরদিকে জনাব সৌম্যের ফিসে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে সে বিমা কোম্পানি থেকে কোনো নগদ ক্ষতিপূরণ পেল না। থচ বিমা কোম্পানি তার ফিস সরঞ্জাম মেরামত ও পুনঃস্থাপন করে দিল। [ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক.ভাসমান বিমাপত্র কী?১
খ.অগ্নিবিমায় কোন ধরনের ঝুঁকি বেশি থাকে এবং কেন?২
গ.জনাব র্ক কোন ধরনের বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.জনাব সৌম্যের বিমাপত্রটিকে ‘পুরোনো প্রদীপের বদলে নতুন প্রদীপ বিমাপত্র’ ও বলা হয়ে থাকে? এ বক্তব্যটির যথাঅর্থতা মূল্যায়ন করো।৪
৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: একই মালিকানায় একাধিক স্থানে রক্ষিত একাধিক সম্পদের জন্য একটি বিমাপত্র গ্রহণ করা হলে তাকে ভাসমান বিমাপত্র বলে।
খ উত্তর: অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকি বেশি থাকে।
বিমাগ্রহীতার চরিত্র বা পার্শ্ববর্তী লোকজনের কার্যকলাপ থেকে সৃষ্ট ঝুঁকিকে অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকি বলে। নৈতিক ঝুঁকি দৃশ্যমান এবং তা মানুষের নৈতিকতার উপর নির্ভরশীল।
প্রাকৃতিক ঝুঁকির মতো এ ঝুঁকি নুমান করা দূরহ। পণ্য গুদাম বিমা করে পণ্য সরিয়ে আগুন লাগানো ও ক্ষতিপূরণ আদায় করা নৈতিক ঝুঁকির আওতাভুক্ত। তাই বিমা কোম্পানি এ ঝুঁকির জন্য সঠিক প্রিমিয়াম নির্ধারণ করতে পারে না। যা বিমাকারীর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকের জনাব র্ক তার কোম্পানির জন্য নির্দিষ্ট বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পত্তির বিপক্ষে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য নির্ধারণ করে যে অগ্নিবিমাপত্র গ্রহণ করা হয় তাকে নির্দিষ্ট বিমাপত্র বলে। এ বিমাপত্রের আওতায় ক্ষতি হলে বিমাকারী বিমাপত্রে উলিখিত মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ করে।
উদ্দীপকের জনাব র্ক তার কোম্পানির জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার অগ্নিবিমা করেন। পরবর্তীতে তার কোম্পানি অগ্নি দুর্ঘটনায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কিন্তু বিমা কোম্পানি তাকে পুরো পাঁচ লক্ষ টাকাই ক্ষতিপূরণ করে।
অর্থাৎ বিমা কোম্পানি বিমাপত্রের উলিখিত মূল্যেই ক্ষতিপূরণ করেছে। যা নির্দিষ্ট অগ্নি বিমাপত্রের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এ বিমাপত্রের আওতায় যত টাকার ক্ষতি হোক না কেন বিমা কোম্পানি বিমাকৃত সম্পূর্ণ অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের জনাব সৌম্যের বিমাপত্রটিকে ‘পুরানো প্রদীপের বদলে নতুন প্রদীপ বিমাপত্রও বলা হয়’ বক্তব্যটি যথাঅর্থ।
যে বিমাপত্রের ক্ষেত্রে বিমাকৃত বিষয়বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের পরিবর্তে বিমাগ্রহীতার সম্পত্তিকে নতুনভাবে পুনঃস্থাপন করে দেয় তাকে পুনঃস্থাপন বিমাপত্র বলে।
উদ্দীপকে জনাব সৌম্যের ফিসে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তিনি বিমা কোম্পানির নিকট বিমাদাবি জানায়। এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানি তাকে কোনো আঅর্থিক সহায়তা করেনি। তবে জনাব সৌম্যের ফিস সরঞ্জাম মেরামত ও পুনর্নিমাণ করে দেয়। বিমা কোম্পানির দাবি পরিশোধের এ পদ্ধতিটি পুনঃস্থাপন বিমাপত্রের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
বিমা কোম্পানি সংঘটিত ক্ষতির পরিস্থিতিতে জনাব সৌম্যকে আঅর্থিকভাবে সাহায্য না করে তার সরঞ্জাম নতুন করে মেরামত করে দিয়েছে। অর্থাৎ বিমা কোম্পানি এক্ষেত্রে পুনঃস্থাপনের নীতি নুসরণ করেছে। তাই পুরনো জিনিস সরিয়ে তা নতুন করে তৈরি করে দেয়ার কারণে জনাব সৌম্যের গৃহীত বিমাপত্রটিকে পুরনো প্রদীপের বদলে নতুন প্রদীপ বিমাপত্র বলা যায়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন ৩৫: গত ১১/১/২০১৭ তারিখে সাফিনের পাটের গুদামে আগুন লাগে। গুদামে ১০ লক্ষ টাকার পাট ৬ লক্ষ টাকায় ‘ক’ বিমা কোম্পানির নিকট বিমা করা ছিল। বিমাপত্রটি ছিল গড়পড়তা বিমাপত্র। আগুনে ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় ৪,০০,০০০ টাকা। সাফিন দ্রুত বিমা কোম্পানিকে ঘটনাটি জানায়। বিমা কোম্পানি উপযুক্ত সকল দলিলপত্র দাখিল করতে বলে। সাফিন ২৮/৫/২০১৭ তারিখে সকল প্রমাণপত্র ও পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করে বিমা দাবি পেশ করে।
[সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট]
ক.অগ্নিজনিত পচয় কী?১
খ.অগ্নি বিমার নৈতিক ঝুঁকি বলতে কী বোঝায়?২
গ.উদ্দীপকে সাফিনের বিমা দাবির পরিমাণ নির্ণয় করো।৩
ঘ.‘ক’ বিমা কোম্পানি সাফিনের বিমা দাবি পূরণ করবে কী? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।৪
৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: অগ্নিকাণ্ডের ফলে সহায়-সম্পত্তির যে ক্ষতি হয় তাকে অগ্নিজনিত পচয় বলে।
খ উত্তর: বিমাগ্রহীতার চরিত্র বা পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিবর্গের কার্যকলাপ থেকে সৃষ্ট বিপদের ঝুঁকিকেই নৈতিক ঝুঁকি বলে।
অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকির সম্ভাবনা ধিক। নৈতিক ঝুঁকি দৃশ্যমান এবং তা মানুষের আচরণের ওপর নির্ভরশীল। পণ্যের গুদাম বিমা করে পণ্য সরিয়ে আগুন লাগিয়ে ক্ষতিপূরণ আদায় এরূপ বিমায় সম্ভব নয়। তাই প্রাকৃতিক ঝুঁকির মতো ঝুঁকি নুমান করা এক্ষেত্রে প্রায় সম্ভব।
গ উত্তর: সাফিনের বিমা দাবির পরিমাণ নির্ণয় :
আমরা জানি,
বিমা দাবি = বিমাপত্রের মল্যদুর্ঘটনাকালে স¤ক্সত্তির প্রকৃত মল্য ক্ষতি
উদ্দীপকের সাফিনের পাটের গুদামে আগুন লাগার সময় পাটের প্রকৃত মূল্য ছিল ১০,০০,০০০ টাকা। যা ৬,০০,০০০ টাকায় বিমা করা ছিল। কিন্তু আগুনে ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় ৪,০০,০০০ টাকা। সুতরাং সাফিনের বিমা দাবি হলো
বিমা দাবি = ৬০০০০০১০০০০০০ ৪,০০,০০০
= ২,৪০,০০০ টাকা
অর্থাৎ সাফিনের বিমা দাবির পরিমাণ হবে ২,৪০,০০০ টাকা।
উত্তর : ২,৪০,০০০ টাকা।
ঘ উত্তর: বিমা দাবি উপস্থাপনের নির্দিষ্ট সময় সীমা তিক্রম করায় উদ্দীপকের ‘ক’ বিমা কোম্পানি সাফিনের বিমা দাবি পূরণ করবে না।
অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথেই বিমাকারী প্রতিষ্ঠানকে তা জানাতে হয়। বহিতকরণের ১৫-৩০ দিনের মধ্যে বিমা দাবির সব প্রমাণপত্র ও পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদনসহ বিমা দাবি পেশ করতে হয়।
উদ্দীপকের সাফিন তার বিমাকারী প্রতিষ্ঠান ‘ক’ বিমা কোম্পানিকে তার প্রতিষ্ঠানে ১১/১/২০১৭ তারিখে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দ্রুত বহিত করে। বিমা দাবি আদায়ের জন্য তিনি সব প্রমাণপত্র ও পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করে তা ২৮/৫/২০১৭ তারিখে বিমা কোম্পানিতে পেশ করেন।
১১/১/২০১৭ তারিখে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ঘটনা সাফিন শর্তানুযায়ী সঠিক সময়ে ক বিমা কোম্পানিকে বহিত করেন। কিন্তু বিমা দাবির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজ ২৮/৫/২০১৭ তারিখে জমা দেয়।
যা তার বিমাদাবি আদায়ের সাধারণ সময়সীমা ১৫-৩০ দিনকে তিক্রম করেছে। উদ্দীপকে কোম্পানি কর্তৃক নুমোদিত সময়ের উলেখ নেই। তাই অগ্নিবিমার সাধারণ দাবি আদায়ের সময়সীমা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
অর্থাৎ বিমা দাবি আদায়ের জন্য ১৫-৩০ দিনের মধ্যে ক্ষতির বিবরণসহ দলিলপত্র জমা দেয়ার প্রয়োজন ছিল। যা জনাব সাফিন করেন নি। তাই তিনি বিমা দাবি পাবেন না।
প্রশ্ন ৩৬ মি. মুনীর ও মি. কামরুল দুই বন্ধু প্রখ্যাত পাট ব্যবসায়ী। দুজনই সম্পত্তির মালামাল নিজেরা নির্দিষ্ট করে বিমাপত্র নিয়ে অগ্নিবিমা করেছেন। একদিন রাত্রে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মি. মুনীরের গুদামের সব পাট পুড়ে যায়। মি. কামরুলের গুদামে আগুন ছড়ালেও ফায়ার ব্রিগেডের লোকেরা আগুন নিভানোর কারণে তার ক্ষতির মাত্রা কম হয়। বিমা কোম্পানি তদন্ত সাপেক্ষে মি. মুনীরকে ক্ষতিপূরণ করে পুড়ে যাওয়া সম্পত্তির বশিষ্টাংশ নিজ দায়িত্বে নিয়ে নেয়। কিন্তু মি. কামরুলকে ক্ষতিপূরণ করলেও তার বশিষ্ট সবই মি. কামরুলেরই থেকে যায়। [মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক.দায়বিমা বলতে কী বোঝ?১
খ.“জীবন বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি নয়” ব্যাখ্যা করো।২
গ.উদ্দীপকের মি. কামরুলকে প্রদত্ত ক্ষতিপূরণ কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকের মি. মুনীরের সম্পত্তির বশিষ্টাংশ বিমা কোম্পানির নিজ দায়িত্বে নেওয়ার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।৪
৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: দায়ী ব্যক্তি তার দায়, বিমা কোম্পানির ওপর বর্তানোর উদ্দেশ্যে যে বিমা করে তাকে দায় বিমা বলে।
খ উত্তর: মানুষের জীবনহানি হলে ক্ষতির পরিমাণ অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। তাই জীবন বিমার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেয়া হয়।
ন্যান্য বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি হলেও জীবন বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি নয়। কেননা, কারো জীবনহানি বা পঙ্গুত্ববরণের ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানি নির্দিষ্ট পরিমাণ আঅর্থিক প্রতিদানের নিশ্চয়তা দেয়। তাই জীবন বিমাকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা যায় না।
গ উত্তর: উদ্দীপকের মি. কামরুলের সম্পত্তির ক্ষতির বিপক্ষে প্রদত্ত ক্ষতিপূরণ হলো আংশিক ক্ষতিপূরণ।
বিমাকৃত সম্পত্তি যখন আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন তাকে আংশিক ক্ষতি বলে। আর এ আংশিক ক্ষতির বিপক্ষে বিমা কোম্পানি যতটুকু ক্ষতিপূরণ দেয় তাকে আংশিক ক্ষতিপূরণ বলে।
উদ্দীপকে মি. কামরুল একজন পাট ব্যবসায়ী। তার বন্ধু মি. মুনীরের গুদামে আগুন লাগার প্রেক্ষিতে তার নিজের গুদামের কিছু ংশে আগুন লেগে যায়। এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানি মি. কামরুলকে যে প্রকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে তা হলো আংশিক ক্ষতিপূরণ।
সংঘটিতে ঘটনার ফলে মি. কামরুলের গুদামে যতটুকু ক্ষতি হয় বিমা কোম্পানি এর গড়পড়তা হার নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ করে। অর্থাৎ মি. কামরুলের ক্ষেত্রে শুধু ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির মূল্য নিরূপণ করেই মি. কামরুলকে বিমাদাবি পরিশোধ করা হয়েছে, যা আংশিক ক্ষতিপূরণ।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকটিতে বিমা কোম্পানি কর্তৃক মি. মুনীরের সম্পত্তির বশিষ্টাংশ নিজ দায়িত্বে নেয়া যথাঅর্থ হয়েছে।
অগ্নিবিমার স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি হলো বিমাকৃত সম্পত্তির অগ্নিজনিত কোনো কারণে ক্ষতি হলে বিমাকারী বিমাদাবি পরিশোধের পর উদ্ধারকৃত সম্পত্তির মালিকানা লাভ করে।
উদ্দীপকটিতে মি. মুনীরের বিমাকৃত গুদাম আগুনে পুড়ে যাওয়ার ফলে বিমা কোম্পানি মি. মুনীরের বিমাদাবির সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ করে। পরবর্তীতে গুদামে পুড়ে যাওয়া সম্পত্তির যতটুকু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তার মালিকানা লাভ করে বিমা কোম্পানি। যা স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি নামে পরিচিত।
জনাব মুনীর কর্তৃক অগ্নিবিমাপত্র করার মাধ্যমে অগ্নিবিমার পরিহার্য উপাদান তার জন্য গ্রহণ বাধ্যতামূলক। আর উদ্দীপকের স্থলাভিষিক্তকরণ নীতিটিও এ পরিহার্য উপাদানের আওতাভুক্ত।
এ নীতি নুযায়ী বিমাকারী কর্তৃক সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণের পর সম্পত্তির বশিষ্টাংশের মালিকানা বিমাকারীর নিকট বর্তায়। যা উদ্দীপকে জনাব মুনীরের বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়। সুতরাং বিমা কোম্পানি কর্তৃক জনাব মুনীরকে ক্ষতিপূরণের পর সম্পত্তির মালিকানা গ্রহণ যথাঅর্থ।
প্রশ্ন ৩৭: জনাব রাশেদ চট্টগ্রামের কোহিনুর জুট মিলের মালিক। মিলের গুদাঘ উত্তর:রে রক্ষিত পাটের বিপরীতে তিনি ১০ কোটি টাকার বিমা গ্রহণ করেন। বিমা গ্রহণের পর অগ্নিকাণ্ডে পাটের গুদামটি ভস্মীভ‚ত হয়ে যায়। তিনি ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বিমা কোম্পানি ক্ষতির কারণ নুসন্ধানপূর্বক বিমা দাবি পরিশোধ করে দেয়। [চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ]
ক.অগ্নিজনিত ক্ষতি কী?১
খ.অগ্নিজনিত ক্ষতির পরোক্ষ কারণগুলো কী কী?২
গ.জনাব রাশেদ কেন মিলের পাটের জন্য বিমা গ্রহণ করেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত বিমা জনাব রাশেদের গুদাঘ উত্তর:রের পুনর্গঠনে কীভাবে সাহায্য করতে পারে? তোমার মতামত দাও।৪
৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: অগ্নিকাণ্ডের ফলে সহায়-সম্পত্তির যে ক্ষতি হয় তাকে অগ্নিজনিত ক্ষতি বলে।
খ উত্তর: যে কারণসমূহ সরাসরি অগ্নিকাণ্ড ঘটায় না তবে পরোক্ষভাবে দায়ী উক্ত কারণগুলোকে অগ্নিজনিত ক্ষতির পরোক্ষ কারণ বলে।
ত্র“টিপূর্ণ নির্মাণ কাঠামো, দাহ্য পদাঅর্থের উপস্থিতি, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের প্রতুলতা ইত্যাদি অগ্নিজনিত ক্ষতির পরোক্ষ কারণ।
গ উত্তর: জনাব রাশেদের পাটের সম্ভাব্য অগ্নিজনিত ঝুঁকি বেশি থাকায় তিনি এর জন্য অগ্নি বিমাপত্র গ্রহণ করেন।
অগ্নিবিমা হলো অগ্নিজনিত ঝুঁকির বিপক্ষে আঅর্থিক ক্ষতিপূরণমূলক ব্যবস্থা। ব্যবসায়ীগণ তাদের সম্পদের সম্ভাব্য অগ্নিজনিত ঝুঁকি বিপক্ষে এ ধরনের বিমাপত্র করে থাকেন।
উদ্দীপকের জনাব রাশেদ চট্টগ্রামের কোহিনূর জুট মিলের মালিক। মিলের গুদাঘ উত্তর:রে রক্ষিত পাটের বিপরীতে তিনি একটি অগ্নিবিমা চুক্তি করেন। অর্থাৎ তিনি কেবল পাটের অগ্নিজনিত ক্ষতির আশঙ্কা থেকে বিমাচুক্তিটি করেছেন।
কারণ পাট এক ধরনের দাহ্য পদাঅর্থ। এতে আগুন লাগালে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সর্বাধিক হয়ে থাকে। তাই বলা যায়, জনাব রাশেদ মূলত উক্ত কারণকে বিবেচনা করে গুদামে রক্ষিত পাটের জন্য বিমা করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে বিমাচুক্তিটি ক্ষতিপূরণের নীতি নুযায়ী জনাব রাশেদের গুদাঘ উত্তর:র পুনর্গঠনে সাহায্য করতে পারে।
অগ্নিবিমা চুক্তি একটি ক্ষতিপূরণের চুক্তি। বিমাকৃত সম্পদের আংশিক ক্ষতিতে বিমাকারী আংশিক ক্ষতিপূরণ করে থাকে। তবে সম্পূর্ণ ক্ষতিতে বিমাকৃত মূল্যে ক্ষতিপূরণ করে থাকে।
উদ্দীপকের জনাব রাশেদ একজন জুট মিলের মালিক। তিনি তার গুদাঘ উত্তর:রে রক্ষিত পাটের জন্য একটি অগ্নিবিমাচুক্তি করেন, যার বিমাকৃত মূল্য ১০ কোটি টাকা। বিমা চুক্তির পর আগুন লেগে পাটের গুদামটি ভস্মীভ‚ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে, ক্ষতিপূরণের দাবি উত্থাপিত হলে কারণ নুসন্ধান করে বিমা কোম্পানি দাবি পরিশোধ করে।
জনাব রাশেদ তার গুদামের সম্পূর্ণ পাটের বিপরীতে বিমাচুক্তিটি করেছেন। আর গুদাম ভস্মীভ‚ত হওয়ার ফলে নুমান করা যায় সম্পূর্ণ পাটই আগুনে পুড়ে গেছে।
তবে বিমা কোম্পানি জনাব রাশেদকে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ করায় তাকে কোনো ক্ষতি বহন করতে হবে না। আবার, জনাব রাশেদ বিমাকৃত অর্থ পাওয়ার পর তিনি নতুন করে গুদাম ঘর নির্মাণ করতে পারবেন। অর্থাৎ অগ্নিবিমাপত্রটি জনাব রাশেদকে গুদাঘ উত্তর:র পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।