ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৩ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের তৃতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা তৃতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৩ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০ | PDF
প্রশ্ন ৬: ‘গোমতি ব্যাংক লি.’ একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। সম্প্রতি ব্যাংকটি বিভিন্ন কারণে গ্রাহকদের চাহিদা মাফিক যথাসময়ে র্থ পরিশোধ করতে পারছিল না। ব্যাংকটি আধুনিক ব্যাংকিং কৌশলও সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারছিল না। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ব্যাংকটি ৫০ ভাগ শেয়ার ‘ইছামতি ব্যাংক লি.’ কে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যাতে ব্যাংকটি আধুনিক ব্যাংকে রূপান্তরিত হতে পারে। [সি. বো. ১৭]
ক.ব্যাংকের পূর্বসূরী কারা?১
খ.ব্যাসেল-২ কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়?২
গ.গ্রাহকদের যথাসময়ে র্থ দিতে না পারায় ‘গোমতি ব্যাংক লি.’ এর ব্যাংকের কোন নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে?৩
ঘ.‘ইছামতি ব্যাংক লি.’ কে শেয়ার হস্তান্তর ‘গোমতি ব্যাংক লি.’ এর জন্য কতটুকু যৌক্তিকÑ মতামত দাও।৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: স্বর্ণকার, মহাজন ও ব্যবসায়ী শ্রেণিকে ব্যাংক ব্যবস্থার পূর্বসরি হিসেবে গণ্য করা হয়।
খ উত্তর: ব্যাংকের ন্যূনতম মূলধন পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণ, তদারকী পর্যালোচনা ও বাজার শৃঙ্খলা বজায়ে ব্যাসেল-২ প্রয়োগ করা হয়।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকির পরিমাপ ও মূলধন বিভাজনের জন্য সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বিধি-বিধান তৈরি ও তা উপস্থাপনের লক্ষ্যে ব্যাসেল-২ কমিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটিকে আন্তর্জাতিক স্মারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে গোমতি ব্যাংক লি. গ্রাহকদের আমানতকৃত র্থ যথাসময়ে ফেরত দিতে না পরায় ব্যাংকটি তারল্য নীতির লঙ্ঘন করেছে।
চাহিবামাত্র নগদে গ্রাহকের র্থ পরিশোধ ক্ষমতাই হলো তারল্য। আর গ্রাহকদের চেকের র্থ চাহিবামাত্র পরিশোধের সামর্থ্য ধরে রাখার জন্য কাম্য পরিমাণ তরল সম্পত্তি সংরক্ষণের কৌশলই বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভাষায় তারল্য নীতি।
উদ্দীপকে গোমতি ব্যাংক লি. একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। সম্প্রতি ব্যাংকটি বিভিন্ন কারণে গ্রাহকদের চাহিদা মাফিক যথাসময়ে র্থ পরিশোধ করতে পারছিল না। বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রকৃতি নুযায়ী ব্যাংক তার আমানত কর্মীদের চাহিবামাত্র অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য এবং না করতে পারলে ব্যাংকের সুনাম কমে যায়। গোমতি ব্যাংক লি. এই কাজটিই করতে ব্যর্থ হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই কাম্য পরিমাণ তরল সম্পত্তি সংরক্ষণের ভাবে এরূপ ঘটেছে যা সার্বিকভাবেই ব্যাংকটির তারল্য নীতির লঙ্ঘনকে স্পষ্ট করেছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে গোমতি ব্যাংক লি. এর পঞ্চাশ ভাগ যা ইছামতি ব্যাংক লি. কে হস্তান্তর যৌক্তিক।
শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে ব্যাংকটি গ্র“প ব্যাংকিং এর আওতাভুক্ত হবে। গ্র“প ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কতিপয় ব্যাংক একটি শক্তিশালী ব্যাংকের ধীনে একত্রিত হয়ে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। এক্ষেত্রে ধীনস্ত ব্যাংকগুলো শক্তিশালী ব্যাংকের প্রদত্ত নীতিমালা নুসরণ করে।
উদ্দীপকে গোমতি ব্যাংক লি. একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। সম্প্রতি ব্যাংকটি তারল্যের ভাবে গ্রাহকদের চাহিদামাফিক র্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছিল। যার ফলে ব্যাংকটির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকতে গোমতি ব্যাংক লি. তার পঞ্চাশ শতাংশ শেয়ার ইছামতি ব্যাংকের নিকট হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উক্ত পরিস্থিতিতে গোমতি ব্যাংক গ্র“প ব্যাংকিং-এ ন্তর্ভুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে এ ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গোমতি ব্যাংকটি ইছামতি ব্যাংকের নীতিমালা নুসরণে বাধ্য হবে।
যার ফলে গোমতি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ইছামতি ব্যাংকের নিকট হস্তান্তরিত হবে। র্থাৎ গোমতি ব্যাংকটি নিজস্ব স্বাধীন স্তিত্ব হারাবে। সুতরাং শেয়ার হস্তান্তর করা গোমতি ব্যাংকের উচিত হবে না।
প্রশ্ন ৭: জনাব রহমান ‘কনকা লি’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি তার ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ‘শাপলা ব্যাংক লি.’-এর কাছে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ চাইলে ব্যাংক তা মঞ্জুর করে এবং ‘কনকা লি’-কে ঋণের র্থ জমার জন্য একটি হিসাব খুলতে বলে। ‘কনকা লি.’ চেকের মাধ্যমে ‘শাপলা ব্যাংক লি.’ থেকে ঋণের র্থ উত্তোলন করে। ন্যদিকে জনাব মহসিন ‘বলাকা ব্যাংক লি’-এ ১০ লক্ষ টাকা জমা করেন। পরবর্তীতে ‘বলাকা ব্যাংক লি’. জনাব মহসিন এর জমাকৃত টাকা থেকে ২০% জমা রেখে বশিষ্ট টাকা জনাব সেলিমকে ঋণ হিসাবে প্রদান করে।[য. বো. ১৭]
ক.বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের মূল উৎস কোনটি?১
খ.গ্রাহককে জানতে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ফরম কোনটি? ব্যাখ্যা করো।২
গ.‘বলাকা ব্যাংক লি. কত টাকা ঋণ আমানত সৃষ্টি করতে পারবে? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.‘শাপলা ব্যাংক লি.’ এবং ‘বলাকা ব্যাংক লি.’ এর ঋণ আমানত সৃষ্টির কৌশলের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো।৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের মূল উৎস হলো আমানতকারীদের জমাকৃত অর্থ।
খ উত্তর: গ্রাহককে জানতে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত ফরম হলো কণঈ (কহড়ি ণড়ঁৎ ঈঁংঃড়সবৎ) ফরম।
ব্যাংকে হিসাব খোলার সময় আবেদন ফরমের সাথে আবেদনকারী সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যসম্বলিত যে ফরম বাধ্যতামূলকভাবে হিসাবগ্রহীতাকে পূরণ করতে হয় তাই মূলত কণঈ (কহড়ি ণড়ঁৎ ঈঁংঃড়সবৎ) ফরম। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এর সত্যতা যাচাই করে এতে স্বাক্ষর করেন। মূলত ভুয়া গ্রাহক চিহ্নিতকরণ ও বৈধ লেনদেন বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ব্যাংক এই ফরম সংরক্ষণ করে।
গ উত্তর: ‘বলাকা ব্যাংক লি’. এর ঋণ আমানত সৃষ্টির পরিমাণ নির্ণয় :
আমরা জানি,
ঋণ আমানতের পরিমাণ = মূল আমানত ১নগদ রিজার্ভের নুপাত
এখানে, মূল আমানত = ১০ লক্ষ টাকা
নগদ রিজার্ভের নুপাত = ২০% বা ০.২০
ঋণ আমানতের পরিমাণ = ১০ ১০.২০ লক্ষ টাকা
= ৫০ লক্ষ টাকা
অর্থাৎ, ‘বলাকা ব্যাংক লি’. ১০ লক্ষ টাকা আমানত হতে মোট ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ আমানত সৃষ্টি করতে পারবে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে শাপলা ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে আমানত সৃষ্টি করছে এবং বলাকা ব্যাংক আমানত থেকে ঋণ সৃষ্টি করছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংক দুইভাবে ঋণ আমানত সৃষ্টি করে থাকে। প্রথমত, গ্রাহকের জমাকৃত আমানত হতে ব্যাংক ঋণ সৃষ্টি করে। দ্বিতীয়ত, মঞ্জুরকৃত ঋণ হতে ব্যাংক ঋণ আমানত সৃষ্টি করে।
উদ্দীপকে শাপলা ব্যাংক মঞ্জুরকৃত ঋণের র্থ সরাসরি নগদে প্রদান না করে গ্রাহকের হিসাবে জমা করে। র্থাৎ ঋণের মাধ্যমে ব্যাংকটি আমানত সৃষ্টি করেছে। অপরদিকে বলাকা ব্যাংক তার গ্রাহক জনাব মহসিনের জমাকৃত র্থ হতে ২০% জমা রেখে বাকি র্থ জনাব সেলিমকে ঋণ দেয়।
অর্থাৎ বলাকা ব্যাংক আমানতের র্থ হতে ঋণ সৃষ্টি করছে।
ঋণের মাধ্যমে আমানত সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় ব্যাংক গ্রাহককে সরাসরি ঋণ দেয় না। এজন্যই শাপলা ব্যাংক কনকা লি. কে ঋণ দেয়ার পূর্বে তাদেরকে একটি হিসাব খুলতে বলে।
এ প্রক্রিয়ায় মঞ্জুরকৃত ঋণের র্থ হতে নতুন করে আমানত সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এ আমানত হতেই ব্যাংকটি কনকা লি. কে ঋণের র্থ উত্তোলনের সুযোগ দেয়। পরদিকে আমানতকৃত র্থ হতে ঋণ সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় ব্যাংক আমানতকারীর গচ্ছিত অর্থ হতে নির্দিষ্ট পরিমাণ তারল্য সংরক্ষণ করে বাকি র্থ ঋণ দেয়।
এখানে বলাকা ব্যাংক জনাব মহসিন এর জমাকৃত আমানত হতে ২০% তারল্য সংরক্ষণ করে বাকি র্থ জনাব সেলিমকে ঋণ প্রদান করেছে। সুতরাং, শাপলা ব্যাংক এবং বলাকা ব্যাংক দুটি ভিন্ন প্রক্রিয়ায় ঋণ আমানত সৃষ্টি করেছে।
প্রশ্ন ৮: লোটাশ ব্যাংক জনগণের আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যাবলি পরিচালনা করে। ব্যাংকের গ্রাহক আরিফ মাহমুদ শর্তপূরণ সাপেক্ষে ১০ বছরের জন্য ২০ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য আবেদন করলে ব্যাংকটি সাথে সাথে স্বীকৃতি জানায়। এতে আরিফ মাহমুদ ঐ ব্যাংকের হিসাব বন্ধ করে দিয়ে ন্য ব্যাংকে হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নেন।[ব. বো. ১৭]
ক.তারল্য কী?১
খ.ঋণ কীভাবে আমানত সৃষ্টি করে?২
গ.উদ্দীপকে উলিখিত ব্যাংকটি কী ধরনের? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.লোটাশ ব্যাংকের ঋণ না দেয়ার সিদ্ধান্তটি বিশ্লেষণ করো।৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: গ্রাহকদের জমাকৃত র্থ চাহিবামাত্র তাকে ফেরত দানের ক্ষমতাকে ব্যাংকের তারল্য বলা হয়।
খ উত্তর: গ্রাহকদের প্রদত্ত ঋণ হতে ব্যাংক নতুন আমানতের সৃষ্টি করে।
ব্যাংক গ্রাহকদের মঞ্জুরকৃত ঋণের র্থ সরাসরি নগদে প্রদান না করে আমানত হিসাবের মাধ্যমে প্রদান করে। অর্থাৎ ব্যাংক উক্ত হিসাবে ঋণের র্থ ক্রেডিট করে, যা ঋণগ্রহীতা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে। আর এভাবেই প্রদত্ত ঋণ ব্যাংকের জন্য নতুন আমানতের সৃষ্টি করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ব্যাংকটি হলো বাণিজ্যিক ব্যাংক।
এ ব্যাংক মূলত মুনাফা র্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংক স্বল্প সুদে জনগণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ধিক সুদে ন্যান্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়।
উদ্দীপকে লোটাশ ব্যাংক জনগণের আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যাবলি পরিচালনা করে। র্থাৎ লোটাশ ব্যাংকটি স্বল্প সুদে জনগণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে। মূলত স্থায়ী, চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমেই ব্যাংকটি এ আমানত সংগ্রহ করে থাকে।
পরবর্তীতে ব্যাংকটি ধিক সুদে ঋণগ্রহীতাদেরকে আমানতকৃত র্থ ঋণ হিসেবে প্রদান করে। এ উভয় সুদের পার্থক্যই হলো লোটাশ ব্যাংকের আয়। আর এ আয় দিয়েই ব্যাংকটি তার আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ সকল বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় বলা যায়, লোটাশ ব্যাংক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক।
আমানত : ব্যাংকের গ্রাহক তার হিসাবে যে পরিমাণ র্থ ব্যাংকে জমা রাখে তাকেই আমানত বলে।
ঘ উত্তর: লোটাশ ব্যাংকটি স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী হওয়ায় ব্যাংকটির দীর্ঘমেয়াদে ঋণ না দেয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল।
স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী বলতে বাণিজ্যিক ব্যাংক-কেই বোঝায়। বাণিজ্যিক ব্যাংক পরের র্থ আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে এ র্থ ন্যদের ঋণ দিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করে।
তাই এ ব্যাংককে সবসময় পর্যাপ্ত নগদ অর্থ সংরক্ষণ করতে হয়। কারণ আমানতকারী চাহিবামাত্র উক্ত র্থ ফেরত দিতে ব্যাংক বাধ্য থাকে।
উদ্দীপকে আরিফ মাহমুদ লোটাশ ব্যাংকে ১০ বছরের জন্য ২০ লক্ষ টাকা ঋণের আবেদন করেন। লোটাশ ব্যাংক আরিফ মাহমুদকে এ ঋণ প্রদানে স্বীকৃতি জানায়।
উদ্দীপকের লোটাশ ব্যাংক জনগণের র্থ আমানত নিয়ে ব্যবসায় করছে।
তাই ব্যাংকটিকে সবসময় পর্যাপ্ত তারল্য সংরক্ষণ করতে হয়। কেননা, গ্রাহক যেকোনো সময় তার র্থ ফেরত চাইতে পারে। ব্যাংকটি এভাবে দীর্ঘমেয়াদি এত ধিক পরিমাণ র্থ ঋণ দিলে তারল্য সংকট দেখা দিতে পারে।
এরূপ সংকট যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্যই ব্যাংকটি এ ঋণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, যা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছিল।
প্রশ্ন ৯: মি. আকাশ খুলনায় বসবাস করেন। এখানেই ‘ঢ’ ব্যাংকে তার একটি সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে। হঠাৎ করে বাড়িতে তার সন্তান সুস্থ হয়ে পড়লে টাকা উত্তোলনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তার হিসাবে যথেষ্ট টাকা থাকা সত্তে¡ও ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে তার উপস্থাপিত চেকের টাকা পরিশোধে পারগতা জানায়। এজন্য পরবর্তীতে তিনি আর্থিক সামর্থ্য ভালো এমন ব্যাংকে হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নেন। [ঢা. বো. ১৬]
ক.ব্যাংক কী?১
খ.ব্যাংক কীভাবে মূলধন গঠনে সহায়তা করে?২
গ.উদ্দীপকের আলোকে ব্যাংক কেন মি. আকাশকে র্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.পরবর্তীতে ব্যাংকে হিসাব খোলার জন্য মি. আকাশ ব্যাংকের কোন নীতিকে প্রাধান্য দিবেন? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংক হলো এমন একটি আর্থিক মধ্যস্থ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যা আমানত হিসেবে র্থ সংগ্রহ করে, ঋণ দেয় ও বিভিন্ন ব্যাংক সংক্রান্ত কাজ সম্পাদন করে।
খ উত্তর: ব্যাংক বিভিন্ন হিসাব খুলে জনগণের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহের মাধ্যমে মূলধন গঠনে সহায়তা করে।
সাধারণত ব্যাংকের সব কার্যক্রম কেন্দ্রীয় ফিস কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এর শাখা ফিস থাকে। এসব শাখায় বিভিন্ন হিসাব খোলার সুবিধা প্রদান করে ব্যাংক জনগণের বিক্ষিপ্ত র্থ সংগ্রহ করে। এভাবেই ব্যাংক মূলধন গঠনে সহায়তা করে থাকে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে ব্যাংকের পর্যাপ্ত তারল্য না থাকায় ব্যাংক মি. আকাশকে র্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়।
গ্রাহকের জমাকৃত র্থ চাহিবামাত্র ফেরত দেয়ার ক্ষমতাকে ব্যাংকের ভাষায় তারল্য বলে।
উদ্দীপকে ‘ঢ’ ব্যাংকে মি. আকাশের একটি সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে। হঠাৎ পারিবারিক প্রয়োজনে তিনি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন। কিন্তু যথাযথভাবে চেক উপস্থাপনের পরও ব্যাংক টাকা পরিশোধে পারগতা জানায়।
যদিও তার হিসাবে পর্যাপ্ত র্থ জমা ছিল। কেবল ব্যাংকের সচ্ছলতার ভাবে এমনটি ঘটেছে। কেননা, কোন ধরনের ত্র“টিবিহীন চেক প্রস্তুত, উপস্থাপন এবং হিসাবে পর্যাপ্ত র্থ থাকা সত্তেও ব্যাংক তার গ্রাহককে চাহিবামাত্র অর্থ পরিশোধ করতে পারেনি।
যেহেতু ‘ঢ’ ব্যাংকে মি. আকাশ কর্তৃক চাহিবামাত্র অর্থ ফেরত দেয়ার ক্ষমতা নেই সেহেতু এটি তারল্যের ভাবের সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ। সুতরাং, পর্যাপ্ত তারল্য না থাকার কারণেই ‘ঢ’ ব্যাংক মি. আকাশকে র্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়।
ঘ উত্তর: পরবর্তীতে হিসাব খোলার জন্য মি. আকাশ ব্যাংকের তারল্য নীতিকে প্রাধান্য দেবেন।
গ্রাহকদের চেকের র্থ চাহিবামাত্র ফেরত দেয়ার সামর্থ্য ধরে রাখার কৌশলকে তারল্য নীতি বলে।
উদ্দীপকে মি. আকাশের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে জরুরি টাকার প্রয়োজন হলেও ‘ঢ’ ব্যাংক থেকে র্থ উত্তোলন করতে পারেন নি। ব্যাংকের পর্যাপ্ত তারল্য সংরক্ষণ ছিল না বিধায় ঢ ব্যাংক আকাশকে র্থ পরিশোধে পারগতা জানায়।
বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে যেকোনো ব্যাংকেরই ন্যতম নীতি হলো তারল্য নীতি। এখানে জনাব আকাশের ব্যাংকটি যদি তারল্যের নীতি নুসরণ করতো তাহলে জনাব আকাশকে র্থ উত্তোলনে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। টাকা থাকা সত্তে¡ও তিনি পারিবারিক বিপদ মোকাবিলা করতে হিমশিমে পড়েন। তাই পরবর্তীতে তিনি এমন ব্যাংকেই হিসাব খুলবেন যেখানে এ ধরনের পরিস্থিতি আবার সৃষ্টি না হয়। র্থাৎ, যে ব্যাংক তারল্য নীতি যথাযথভাবে নুসরণ করে সে ব্যাংকেই তিনি হিসাব খুলবেন।
প্রশ্ন ১০: জনাব রাকিব সাহেব তার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মি. আরিফের নিকট হতে ব্যাংকের একটি ঋণের দলিলের মাধ্যমে কিছু টাকা ধার করেন। এক্ষেত্রে জনাব রাকিবের পক্ষ থেকে ব্যাংক মি. আরিফকে তার প্রদত্ত ঋণের র্থ ফেরত পাবার নিশ্চয়তা দেয় এবং পরবর্তীতে জনাব রাকিব হঠাৎ করে জাপান চলে যায় এবং দীর্ঘদিন পরে বাংলাদেশে ফিরে আসে। তবে এ ব্যাপারে মি. আরিফ বিন্দুমাত্র বিচলিত হন নি। [ঢা. বো. ১৬]
ক.ভাসমান মুদ্রা কী?১
খ.কখন বিনিময় হার নির্ধারিত হয়?২
গ.কোন ঋণ দলিলের মাধ্যমে জনাব রাকিব র্থ ধার করেছিলেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.মি. আরিফ তার প্রদত্ত ঋণের র্থ প্রাপ্তিতে কেন বিচলিত হন নি? উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে ধরনের মুদ্রার মান মুদ্রাবাজারের চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য দ্বারা সৃষ্টি হয় তাকে ভাসমান মুদ্রা বলে।
খ উত্তর: দুটি ভিন্ন দেশের লেনদেন নিষ্পত্তির সময় বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়।
সাধারণত এক দেশের সঙ্গে ন্য দেশের লেনদেন বা বিনিময়কে বৈদেশিক বিনিময় বলে। এরূপ বৈদেশিক বিনিময় সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্যই বিনিময় হার নির্ধারণের প্রয়োজন পড়ে।
কেননা, ভিন্ন ভিন্ন দেশের মুদ্রার মান ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই সঠিক মান নির্ধারণের জন্য উভয় দেশের লেনদেন নিষ্পত্তিতে এ হার নির্ধারণ করা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে ব্যাংক নিশ্চয়তা সনদের মাধ্যমে জনাব রাকিব অর্থ ধার করেছিলেন।
যে পত্রের মাধ্যমে নিশ্চয়তা দেয়া হয় যে, গ্রাহক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধে সমঅর্থ হলে ব্যাংক তা পরিশোধ করবে তাকে ব্যাংকের নিশ্চয়তা সনদ বলে।
উদ্দীপকে রাকিব সাহেব ব্যাংকের কাছে একটি দলিলের মাধ্যমে আরিফের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেন।
এ দলিলের মাধ্যমে ব্যাংক রাকিবের পক্ষে আরিফকে অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করে। এ ধরনের নিশ্চয়তা এ মর্মে করা হয় যে, রাকিব সাহেব অর্থ পরিশোধে সমঅর্থ হলে ব্যাংক তা আরিফকে পরিশোধ করবে।
অর্থাৎউদ্দীপকে উলিখিত দলিলের বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাংকের নিশ্চয়তা সনদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সুতরাং রাকিব ব্যাংকের নিশ্চয়তাপত্রের মাধ্যমে ধার করেছিলেন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: ব্যাংকের নিশ্চয়তা থাকার কারণেই মি. আরিফ প্রদত্ত ঋণের অর্থ প্রাপ্তিতে বিচলিত হননি।
ব্যাংক নিশ্চয়তা সনদের মাধ্যমে ব্যাংক এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে, উক্ত ব্যাংকের গ্রাহক কোনো কারণে ধারকৃত অর্থ পরিশোধে ব্যঅর্থ হলে ব্যাংক তা পরিশোধ করবে।
উদ্দীপকে জনাব রাকিব ব্যাংকের নিশ্চয়তাপত্রের মাধ্যমে জনাব আরিফের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। জনাব রাকিব হঠাৎ জাপান চলে যান এবং দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরলেও মি. আরিফ বিচলিত হননি ব্যাংকের নিশ্চয়তা সনদের কারণে।
ব্যাংকের নিশ্চয়তাপত্রের মাধ্যমে ব্যাংক রাকিবের পক্ষে মি. আরিফকে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। অর্থাৎ জনাব রাকিব কখনো দেশে না ফিরলেও মি. আরিফের ঋণের অঅর্থ প্রাপ্তিতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হতো না। কেননা, ব্যাংক মি. আরিফককে এ অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য। সুতরাং ব্যাংকের নিশ্চয়তাপত্র থাকার কারণেই মি. আরিফ বিচলিত হননি।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।