ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১-৫ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১-৫ | PDF
প্রশ্ন ১: জনাব সোহেল খুলনায় ‘সোহেল এ্যাপারেলস লি.’ নামে একটি গার্মেন্টস পরিচালনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একাটি র্ডারের বিপরীতে তিনি ছয় লাখ ডলারের একটি ড্রাফট (জবপবরঢ়ঃ) পেয়েছেন। অন্যদিকে স্বীকৃতি (খবঃঃবৎ ড়ভ পৎবফরঃ) দিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত সাত লাখ টাকার কাপড়ের মূল্য তাকে দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। [রা. বো. ১৭]
ক.বৈদেশিক বিনিময় কী?১
খ.আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো।২
গ.রপ্তানির বিপরীতে গৃহীত ড্রাফটের অর্থ জনাব সোহেল কীভাবে সংগ্রহ করবেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত কাপড়ের মূল্য দ্রুত পরিশোধে সোহেল কোন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন বলে তুমি মনে করো? যুক্তি দাও।৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বৈদেশিক বিনিময় বলতে সাধারণত এক দেশের সাথে অন্য দেশের লেনদেন বা বিনিময়কে বোঝায়।
খ উত্তর: আমদানি রপ্তানি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য পরিশোধের জঅন্য বিনিময় হার নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
দুটি দেশের মুদ্রার মূল্যের তুলনা করে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুদ্রা আছে। তাই সাধারণত এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশে ব্যবহার করা যায় না। এজঅন্য বৈদেশিক লেনদেন নিষ্পত্তি করতে মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
গ উত্তর: উদ্দীপকে রপ্তানির বিপরীতে গৃহীত ড্রাফটি ব্যাংকে ভাঙ্গিয়ে জনাব সোহেল অর্থ সংগ্রহ করবেন।
ব্যাংক ড্রাফট হলো একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল, যা চাহিবামাত্র হস্তান্তর করা যায়। প্রাপক ব্যাংক ড্রাফটের অর্থ সরাসরি ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
উদ্দীপকে জনাব সোহেল “সোহেল এ্যাপারেলস লি.” নামে একটি গার্মেন্টস পরিচালনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি র্ডারের বিপরীতে তিনি ছয় লাখ ডলারের একটি ড্রাফট পেয়েছেন। অর্থাৎ উক্ত র্ডারের বিপরীতে তিনি ব্যাংক ড্রাফট গ্রহণ করেছেন। আমদানিকারক যখন ব্যাংক ড্রাফট পাঠিয়েছেন তখন তাকে কমিশনসহ সম্পূর্ণ অর্থ ব্যাংকে জমা দিতে হয়েছে। তাই জনাব সোহেল ব্যাংক ড্রাফটি ব্যাংকে জমা দিয়ে তার পাওনা অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন।
ঘ উত্তর: যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত কাপড়ের মূল্য দ্রুত পরিশোধে জনাব সোহেল বৈদেশিক বিনিময় বিল (ইরষষ ড়ভ বীপযধহমব) ব্যবহার করতে পারেন।
এরূপ বিলের মাধ্যমে, পাওনাদার অর্থ পরিশোধের জঅন্য বিদেশি দেনাদারের ওপর একটি শর্তহীন লিখিত নির্দেশ প্রদান করতে পারেন।
আমদানিকারক বিলে স্বীকৃতি দিলে তা বৈধ বিলে পরিণত হয়। ফলে রপ্তানিকারক তা ব্যাংকে জমা দিয়ে থবা আগাম বাট্টা বা বিক্রয় করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন।
উদ্দীপকে জনাব সোহেল খুলনায় একটি গার্মেন্টস পরিচালনা করছেন। ব্যবসায়ের প্রয়োজনে তাকে যুক্তরাজ্য হতে কাপড় আমদানি করতে হয়েছে। তাই আমদানিকৃত কাপড়ের সাত লক্ষ টাকা মূল্য তাকে দ্রুত পরিশোধ করতে হবে।
জনাব সোহেল বৈদেশিক বিনিময় বিলের মাধ্যমে কাপড়ের মূল্য দ্রুত পরিশোধ করতে পারবেন। তিনি বিলে স্বীকৃতি দিলে তা বৈধ বিলে পরিণত হবে। ফলে রপ্তানিকারক বিলটি ব্যাংকে বাট্টাকরণ (উরংপড়ঁহঃরহম) করে মেয়াদপূর্তির পূর্বেই অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। সুতরাং, জনাব সোহেল বৈদেশিক বিনিময় বিলে স্বীকৃতি দিয়ে দ্রুত পণ্য মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
বাট্টাকরণ : রপ্তানিকারক কর্তৃক বিনিময় বিলের মূল্যের কিছু কম মূল্যে অর্থ সংগ্রহ করাকে বাট্টাকরণ বলে।
প্রশ্ন ২: মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজ একটি পোশাক রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের ৫ লক্ষ পিস জিন্সের প্যান্ট রপ্তানির চুক্তি হয়। মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মি. খানের ধারণা প্রতি প্যান্ট থেকে তিনি ৮০ টাকা করে মুনাফা করবেন। এক্ষেত্রে তাঁর মুনাফার পরিমাণ হবে ৪ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যবসায় শেষে দেখা গেল মুনাফার পরিমাণ তার ধারণার চেয়ে বেশ কিছু বেশি হয়েছে। [দি. বো. ১৭]
ক.ফ্যাক্টরিং কী?১
খ.প্রত্যয়পত্র বলতে কী বোঝ?২
গ.যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজের যে চুক্তিটি হয় তা কোন প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়? এ প্রক্রিয়ার তিনটি নিয়ম উলেখ করো।৩
ঘ.মি. খাঁনের ধারণার চেয়ে মুনাফা বৃদ্ধির কারণ কী? ব্যাখ্যা করো।৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো আঅর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বাট্টায় প্রাপ্য বিল বিক্রি করলে তাকে ফ্যাক্টরিং বলে।
খ উত্তর: আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারকের নুক‚লে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে ব্যাংক যে পত্র ইস্যু করে তাকে প্রত্যয়পত্র বলে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যকার দূরত্বে মুদ্রার মানের ভিন্নতাসহ বিভিন্ন বাধার সৃষ্টি হয়।
এতে বৈদেশিক বাণিজ্যে মূল্য পরিশোধ বিষয়ে জটিলতা ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর এসব সমস্যা দূর করার জঅন্য মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়ে ব্যাংক প্রত্যয়পত্র ইস্যু করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজের যে চুক্তিটি হয় তা বিনিময় হার নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়।
এ হার নির্ধারণে দেশীয় মুদ্রা দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় বা বিক্রয় করা হয়।
অর্থাৎ কোনো দেশের এক একক মুদ্রা অন্য আরেকটি দেশের যে পরিমাণ মুদ্রা ক্রয় করতে সক্ষম তা-ই মূলত বৈদেশিক বিনিময় হার।
উদ্দীপকে মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজ পোশাক রপ্তানিকারক। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের পাঁচ লক্ষ পিস জিন্সের প্যান্ট রপ্তানির চুক্তি হয়। এ রপ্তানি চুক্তির মূল্য পরিশোধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করবে।
অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় দুটি দেশের মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতা দ্বারা রপ্তানি মূল্য পরিশোধিত হবে। এছাড়াও এ হার নির্ধারণে স্বর্ণমান ব্যবস্থা এবং মুদ্রার চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস পাওয়ায় মি. খানের ধারণার চেয়ে মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস বলতে দেশের পেক্ষাকৃত বেশি মুদ্রায় বিদেশের কম মুদ্রা গ্রহণকে বোঝায়। মূলত দুটি দেশের মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের তারতম্যের কারণে বিনিময় হারের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।
উদ্দীপকে মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠনের সাথে তাদের পাঁচ লক্ষ পিস জিন্সের প্যান্ট রপ্তানির চুক্তি হয়। মি. খান প্রত্যাশা করেন প্রতি প্যান্ট থেকে তিনি ৮০ টাকা করে মুনাফা করবেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সর্বমোট প্রত্যাশিত মুনাফার পরিমাণ চার কোটি টাকা। কিন্তু ব্যবসা শেষে দেখা গেল মুনাফার পরিমাণ প্রত্যাশার তুলনায় ধিক হয়েছে।
এ রপ্তানি চুক্তিতে দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস পাওয়ায় মি. খান ধিক মুনাফা করেছেন। অর্থাৎ দেশে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এ পর্যায়ে মি. খান রপ্তানি মূল্য হিসেবে দেশে ডলারের যোগান দেয়ায় তিনি পূর্বের তুলনায় পেক্ষাকৃত বেশি টাকা পেয়েছেন। যার ফলে তার মুনাফার পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়েছে।
দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস : দেশের পেক্ষাকৃত বেশি মুদ্রায় বিদেশের কম মুদ্রা পাওয়া গেলে বিনিময় হার হ্রাস পেয়েছে বলা যায়। ধরা যাক, বাংলাদেশের ৭০ টাকায় ১ ডলার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে টাকার সাথে ডলারের বিনিময় হার ১৭০ ভাগ। কিন্তু ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ৮০ টাকা দিয়ে ১ ডলার পাওয়া গেলে বিনিময় হার কমে দাঁড়ায় ১৮০ ডলার।
প্রশ্ন ৩: আমাদের দেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ার কারণে রপ্তানি আয় আমাদের মুদ্রাকে শক্তিশালী করছে না। তবে আশার কথা এই যে, আমাদের দেশ থেকে নেক শ্রমিক এখন বিদেশে যাচ্ছে এবং তাদের পাঠানো অর্থ আমাদের বৈদেশিক বিনিময় সামঅর্থ্যকে ধরে রাখছে। কিন্তু আমাদের পাঠানো ধিকাংশ শ্রমিক দক্ষ বলে তাদের পারিশ্রমিক নেক কম। যদি দক্ষ শ্রমিক পাঠানো যায়, তবে এই বস্থার আরো উন্নতি হবে। [কু. বো. ১৭]
ক.বৈদেশিক বিনিময় কী?১
খ.বৈদেশিক বিনিময়ের আধুনিক তত্ত¡ কোনটি এবং কেন?২
গ.উদ্দীপকে আমাদের মুদ্রামান কম হওয়ার পিছনে কোন সমস্যাকে বড় বলে দেখানো হয়েছে?৩
ঘ.উদ্দীপকে মুদ্রার মান উন্নয়নে কোন খাতের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বৈদেশিক বিনিময় বলতে সাধারণত এক দেশের সাথে অন্য দেশের লেনদেন বা বিনিময়কে বোঝায়।
খ উত্তর: বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ হলো চাহিদা ও যোগান তত্ত¡।
দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান নুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বলে। এক্ষেত্রে মনে করা হয় যে, চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বিন্দুতে কোনো কিছুর দাম যেমনি নির্ধারিত হয় তেমনি অর্থের বিনিময় মূল্যও বৈদেশিক বাজারে এর চাহিদা ও যোগান দ্বারা নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে চাহিদার বিষয়টি দেশগুলোর মধ্যকার লেনদেনের ওপর নির্ভরশীল।
গ উত্তর: উদ্দীপকে আমাদের মুদ্রামান কম হওয়ার পিছনে ঋণাÍক বাণিজ্যের ভারসাম্য (ঘবমধঃরাব নধষধহপব ড়ভ ঃৎধফব) সমস্যাকে বড় বলে দেখানো হয়েছে।
ঋণাÍক বাণিজ্যের ভারসাম্য (ঘবমধঃরাব নধষধহপব ড়ভ ঃৎধফব) বলতে আমদানি বেশি কিন্তু রপ্তানি কম এরূপ বস্থাকে বোঝানো হয়। এ বস্থায় বৈদেশিক বাজারে দেশীয় মুদ্রার যোগান বাড়ে। ফলে দেশীয় মুদ্রার মান কমে।
উদ্দীপকে আমাদের দেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ কারণে আমাদের দেশের মুদ্রার মান শক্তিশালী হতে পারছে না। কেননা, কোনো দেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানির পরিমাণ বেশি হলে বাণিজ্যের ভারসাম্য ঋণাÍক হয়।
এতে বিদেশের বাজারে আমাদের দেশীয় মুদ্রার যোগান বাড়ে এবং চাহিদা কমে। যার কারণে ধিক পরিমাণ দেশীয় মুদ্রা দিয়ে কম পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। অর্থাৎ প্রতিক‚ল লেনদেন ব্যালেন্সের কারণেই দেশীয় মুদ্রার বিনিময় হার হ্রাস পায়।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে মুদ্রার মান উন্নয়নে রেমিটেন্স খাতের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
রেমিটেন্স বলতে বিদেশে কর্মরত কর্মীদের কর্তৃক নিজ দেশে অর্থ প্রেরণকে বোঝায়। প্রতিটি দেশেই রেমিটেন্স জাতীয় আয় ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
উদ্দীপকে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ার কারণে দেশীয় মুদ্রার মান কম হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ মুদ্রার মান শক্তিশালী হতে পারে।
প্রবাসী কর্তৃক পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স এদেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি করে। ফলে এ রেমিটেন্সের কারণে মাথাপিছু আয় এবং রাষ্ট্রীয় সামঅর্থ্যও বৃদ্ধি পায়। আবার, প্রবাসীরা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায় বিধায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বৃদ্ধি পায়।
যার ফলশ্র“তিতে বিনিময় হার দেশের নুক‚লে আসে। এছাড়া এ রেমিটেন্সের অর্থ দেশের ভ্যন্তরে মূলধন গঠনে সাহায্য করে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে। ফলে দেশের বেকার সমস্যা হ্রাস পায় এবং উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ৪: করিম বাংলাদেশের গ্রামের মহিলাদের তৈরি হস্তশিল্পজাত পণ্য রপ্তানি করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নাদিয়া, করিক উত্তর:ে ৬ মাসের মধ্যে পণ্য রপ্তানির জঅন্য একটি প্রত্যয়পত্র প্রেরণ করেন এবং তিনি করিক উত্তর:ে জানান যে, এই ৬ মাসের মধ্যে নাদিয়া হঠাৎ কোনো কারণে মৃত্যুবরণ করলেও নাদিয়ার ব্যাংক করিমের বিল পরিশোধ করবে। পণ্য রপ্তানির পূর্বে ডলার-এর মূল্য বেশি থাকলেও পরবর্তীতে তা হ্রাস পায়। করিম খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আমদানি কমে যাওয়ায় ডলার-এর চাহিদা হ্রাস পেয়েছে, এতে করিম আঅর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হন। [য. বো. ১৭]
ক.বৈদেশিক বিনিময় কী?১
খ.ফ্যাক্টরিং-এর চেয়ে ফোরফেইটিং কার্য ব্যাপকতর কেন?২
গ.উদ্দীপকে করিম নাদিয়ার নিকট থেকে কোন ধরনের প্রত্যয়পত্র পেয়েছিলেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকে নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ পদ্ধতি কতটুকু যৌক্তিক বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ লেখ।৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বৈদেশিক বিনিময় বলতে সাধারণত এক দেশের সাথে অন্য দেশের লেনদেন বা বিনিময়কে বোঝায়।
খ উত্তর: ফোরফেইটিং (ঋড়ৎভধরঃরহম) -এ আমদানি-রপ্তানির সগ উত্তর:্র লেনদেন বিবেচিত হয় বিধায় এটি ফ্যাক্টরিং (ঋধপঃড়ৎরহম) এর চেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
ফ্যাক্টরিং (ঋধপঃড়ৎরহম) এ শুধু বিল ক্রয়, হিসাব সংরক্ষণ, বিলের অর্থ আদায় ইত্যাদি ম“খ্য। কিন্তু ফোরফেটিং (ঋড়ৎভধরঃরহম) এর ক্ষেত্রে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যকার প্রস্তাবিত পুরো লেনদেনই বিবেচিত হয় বিধায় এর ব্যাপকতা বেশি।
গ উত্তর: উদ্দীপকে করিম নাদিয়ার নিকট থেকে নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র (খবঃঃবৎ ড়ভ পৎবফরঃ) পেয়েছিলেন।
নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র মূলত নির্দিষ্ট মেয়াদের জঅন্য খোলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের কথাও উলেখ থাকে। এরূপ প্রত্যয়পত্র মেয়াদান্তে বা অর্থ পরিশোধিত হলে বাতিল বলে গণ্য হয়। এ প্রত্যয়পত্রকে স্থায়ী প্রত্যয়পত্রও বলা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে জনাব করিম হস্তশিল্পজাত পণ্য রপ্তানি করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নাদিয়া ৬ মাসের মধ্যে পণ্য রপ্তানির জঅন্য একটি প্রত্যয় পত্র করিক উত্তর:ে প্রেরণ করেন। এই ৬ মাসের মধ্যে কোনো কারণে তিনি মারা গেলেও নাদিয়ার ব্যাংক করিমের বিল পরিশোধ করবে।
এরূপ নির্দিষ্ট মেয়াদ অর্থাৎ ৬ মাসের জঅন্য প্রত্যয়পত্রটি ইস্যু করায় এটি নির্দ্বিধায় নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র। সুতরাং, করিমের গৃহীত প্রত্যয়পত্রটি ছিলো নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ নুযায়ী বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারিত হয়েছে।
চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ নুযায়ী দুদেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান নুযায়ী নির্ধারিত হয়। এ তত্ত¡কে বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ও বলা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে করিম বাংলাদেশ হতে হস্তশিল্পজাত পণ্য রপ্তানি করেন। তিনি দেখেন, পণ্য রপ্তানির পূর্বে ডলারের মূল্য বেশি থাকলেও পরবর্তীতে তা হ্রাস পেয়েছে। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। এতে তিনি আঅর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হন।
অর্থাৎ এখানে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের ওপর ভিত্তি করে বিনিময় হার নির্ধারিত হয়েছে। বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের অন্যাঅন্য পদ্ধতিগুলো হলো ক্রয়ক্ষমতার সমতা তত্ত¡ ও স্বর্ণমান ব্যবস্থায় বিনিময় হার নির্ধারণ।
অন্যাঅন্য পদ্ধতিগুলোর নানাবিধ সুবিধার কারণে চাহিদা ও যোগান তত্ত¡টি বর্তমানে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। সুতরাং উদ্দীপকে নির্দেশিত বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে চাহিদা ও যোগান পদ্ধতিটি যৌক্তিক।
প্রশ্ন ৫ মামুন সাহেব বাংলাদেশে ৩ কেজি গম কিনতে ৭৮ টাকা খরচ করেন। ঠিক একই মানের ৩ কেজি গম কিনতে যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রবাসী ভাই খরচ করেন ১ ডলার। এক্ষেত্রে টাকা ও ডলারের বিনিময় হার ৭৮ ঃ ১। পরদিকে নিচের চিত্রের মাধ্যমও বিনিময় হার নির্ধারণ দেখানো যায়।
[রা. বো. ১৬]
ক.ফোরফেটিং কী?১
খ.রেমিটেন্স বলতে কী বোঝায়?২
গ.উদ্দীপকের চিত্রে বিনিময় হার নির্ধারণের কোন পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে বর্ণিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর বলে তুমি মনে করো? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমদানি ও রপ্তানিকারককে প্রাপ্য বিলের বিপরীতে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদি অর্থায়নের আধুনিক ব্যবস্থাকেই ফোরফেটিং বলে।
খ উত্তর: বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিরা অর্থাৎ প্রবাসীরা দেশে যে অর্থ পাঠান তাকে রেমিটেন্স বলা হয়।
সাধারণত এক দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে রেমিটেন্স শব্দটি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ কোনো দেশে কর্মরত বিদেশি কোনো কর্মী যদি তার উপার্জিত অর্থ তার নিজের দেশে প্রেরণ করেন, তাহলে তার দেশের জঅন্য এ অর্থ হলো রেমিটেন্স। কোনো দেশের আঅর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নেকাংশেই এই রেমিটেন্সের অর্থাৎ বিদেশ থেকে আগত টাকার ওপর নির্ভর করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকের চিত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ ব্যবহৃত হচ্ছে।
দুই দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান নুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বলা হয়। এ তত্তে¡ মনে করা হয়, চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বিন্দুতে যেমন কোনো দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়, ঠিক একইভাবে মুদ্রার মূল্যও এর চাহিদা ও যোগান দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। রেখাচিত্রের মাধ্যমে এই তত্ত¡টিকে বর্ণনা করা হয়।
উদ্দীপকের চিত্রে ঢ ক্ষ বরাবর দেখানো হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের পরিমাণ এবং ণ ক্ষ বরাবর দেখানো হচ্ছে বিনিময়ের হার। ঝঝ১ রেখাটি মুদ্রার যোগান এবং উউ১ রেখাটি মুদ্রার চাহিদা নির্দেশ করছে।
চাহিদা ও যোগান রেখাদ্বয় যেখানে মিলিত হয়েছে সেখানেই মুদ্রার হার নির্ধারিত হয়েছে। অর্থাৎ মুদ্রার চাহিদা ও যোগান নুযায়ী এর মূল্য বা বিনিময় হার নির্ধারিত হচ্ছে। সুতরাং বলা যায়, চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বা আধুনিক তত্তে¡র মাধ্যমে বিনিময় হার নির্ধারিত হচ্ছে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে উদ্দীপকে বর্ণিত পদ্ধতি দুটি ক্রয়ক্ষমতা সমতা তত্ত¡ এবং চাহিদা যোগান তত্তে¡র মধ্যে চাহিদা ও যোগান তত্ত¡টি বেশি কার্যকর বলে আমি মনে করি।
ক্রয়ক্ষমতা তত্তে¡ দুই দেশের মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বিনিময় হার নির্ধারিত হয়ে থাকে। অপরপক্ষে, চাহিদা ও যোগান তত্তে¡ দুই দেশের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান নুযায়ী বিনিময় হার নির্ধারিত হয়।
উদ্দীপকের প্রথম ংশে দেখা যায়, মামুন সাহেব বাংলাদেশে ৩ কেজি গম কিনতে ৭৮ টাকা খরচ করেন। ঠিক একই মানের ৩ কেজি গম কিনতে যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রবাসী ভাই খরচ করেন ১ ডলার।
এর মাধ্যমে টাকা ও ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা যায় ৭৮ : ১। এটি ক্রয় ক্ষমতা সমতা তত্ত¡। আবার উদ্দীপকের দ্বিতীয় ংশে দেখা যাচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বিন্দুতে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে।
ক্রয়ক্ষমতা তত্তে¡ বিভিন্ন দেশের পণ্যের মূল্যস্তর নির্ধারণ যেমন কার্যত সম্ভব তেমনি মূল্যস্তর প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হওয়ায় বিনিময় হার নির্ধারণ করা কঠিন। তাছাড়া কোন কোন পণ্য হিসাবে নেয়া হবে কিংবা মূল্যস্তর নির্ধারণে ভিত্তি বছর কী হবে, তা নির্ধারণ করাও যথেষ্ট জটিল।
চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ নুসারে বিনিময় হার নির্ধারণে এসব জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না বিধায় বর্তমানে এ পদ্ধতিটি সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে স্বীকৃত। তাই বলা যায়, ক্রয়ক্ষমতা তত্তে¡র চেয়ে চাহিদা যোগান তত্ত¡ ধিক কার্যকর।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।