দোয়া ইউনুস কি? পড়ার নিয়ম, উপকারিতা ও ফজিলত ।। মুসলিমদের জন্য দোয়া ইউনুস বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো সংকট ও অস্থিতিশীল সময়ে এই দোয়া পড়া সুন্নত। আল্লাহর নবী ইউনুস (আ.) বিপদে পড়ে বারবার এই দোয়া পড়েছিলেন। তখন আল্লাহ তার দোয়া কবুল করে তাকে সংকট থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
এ দোয়ার সঠিক আমলে মানুষ দুনিয়ায় যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে উপকার পায়। হাদিসে দোয়া ইউনুস-এর ফজিলত ও উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে।
[box type=”success” align=”aligncenter” class=”” width=””]দোয়া ইউনুস কি?[/box]
আল্লাহর পয়গাম্বর হজরত ইউনুস আলাইহিস সালাম দেশ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার সময় নদীতে ঝাঁপ দিলে তিনি মাছের পেটে বন্দি হন। এ অবস্থায় বিপদে পড়ে তিনি মহান আল্লাহর কাছে যে দোয়া পড়েন আর সে দোয়ার বরকতে আল্লাহ তাকে মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন, তাই দোয়া ইউনুছ। আর তাহলো.
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন।’
অর্থ : ‘তুমি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত।’
[box type=”success” align=”aligncenter” class=”” width=””]দোয়া ইউনুসের ফজিলত[/box]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি এই দোয়া ইউনুসের সাহায্যে আল্লাহর নিকট কিছু চাইবে, আল্লাহ তা কবুল করবেন।
অন্য হাদীস অনুযায়ী, এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তার দুঃশ্চিন্তা দূর করে দেবেন সুনানে আত-তিরমিযীঃ ৩৫০৫, শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
[box type=”success” align=”aligncenter” class=”” width=””]দোয়া ইউনুস কিভাবে পড়তে হবে[/box]
বিপদ আপদ বা দুঃশ্চিন্তার সময় এই দোয়া বেশি বেশি করে পড়তে হয়। আপনার যতবার ইচ্ছা ও যতবার সম্ভব হয়, ততবার পড়বেন। তবে আমাদের দেশে টাকা কিংবা হাদিয়ার বিনিময়ে হুজুর বা মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে ভাড়া করে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার বার এই দোয়া পড়ে যে ‘খতমে ইউনুস’ পড়ানো হয়, এমন দোয়া কেনাবেচা করা বিদআত।
এরকম খতম করানোর কোনো দলিল নেই। আপনার যতবার সম্ভব হয় ততবার দোয়া ইউনুস পড়বেন, এত এত বার পড়তে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। আপনি নিজের জন্য নিজে যেই দোয়া করবেন, আল্লাহ তায়ালার কাছে সেটাই বেশি পছন্দনীয়। ভাড়া করে হুজুর দিয়ে দোয়া পড়ানো বা কোরআন খতম পড়ানোর কোনো উপকারিতা বা প্রয়োজন নেই।
[box type=”success” align=”aligncenter” class=”” width=””]বিপদ-মসিবতে দোয়া ইউনুস পড়ার উপকারিতা[/box]
দোয়া ইউনুস-এর ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি। যে কোনো বিপদ-মসিবত, দুশ্চিন্তা-পেরেশানি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে দোয়া ইউনুস পাঠ করা অত্যন্ত কার্যকর আমল। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় ইউনুস (আ.) নদীতে বিশালাকৃতির একটি মাছের পেটে বন্দি হন। এই মহাবিপদে তিনি মহান আল্লাহর কাছে যে দোয়া পড়েন তা-ই দোয়া ইউনুস। এই দোয়ার বরকতে আল্লাহ তাঁকে মসিবত থেকে উদ্ধার করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলা এ ফজিলতপূর্ণ দোয়াটি পবিত্র কোরআনে তুলে ধরেন এভাবে, ‘আর স্মরণ করুন জুন নুন (মাছ ওয়ালা ইউনুস)-এর কথা। তিনি রাগ করে চলে গিয়েছিলেন। অতঃপর মনে করেছিলেন যে, আমি তাঁকে ধরতে পারব না।
অতঃপর তিনি অন্ধকারের মধ্যে (মাছের পেটে থাকা অবস্থায়) এ কথা বলে আহ্বান করলেন- ‘লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বলিমিন।’ অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তামুক্ত করে দিলাম। আমি এভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৭)
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।