দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির দোয়া আরবী ।। অ্যাঙ্কজাইটি বা দুশ্চিন্তা বলতে অনিশ্চয়তা কিংবা আতঙ্ক থেকে সৃষ্ট অতিরিক্ত ভয়কে বোঝায়; যা মানুষের মন ও মস্তিষ্কের মধ্যে এক ধরনের উচ্চচাপ সৃষ্টি করে।
দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কখনো কখনো আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মিত দুশ্চিন্তার সঙ্গে যোগ হয় তীব্র মাথা ব্যথা, পেশিবেদনা ও আতঙ্ক ব্যাধিসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা।
কখনো কখনো অযাচিত ভয় ব্যক্তির দুশ্চিন্তার মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এরকম কিছু সাধারণ অনাকাঙ্ক্ষিত আতঙ্ক হলো পড়ে যাবার ভয়,কারো দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় কিংবা কাজে বিফল হওয়ার ভয় ইত্যাদি।
মুসলমান হিসেবে আমরা জানি, এ পার্থিব জীবন একটি পরীক্ষামাত্র। আমরা বিশ্বাস করি- জীবনে চলার পথে কখনো কখনো আমাদেরকে চিন্তায় পড়তে হয়, ভাবতে হয়; তবে আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের এ চিন্তা যেনো আধিক্যের কারণে কখনো দুশ্চিন্তায় পরিণত না হয়। আর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার সর্বোত্তম উপায় হলো আল্লাহতায়ালার কাছে সাহায্য চাওয়া।
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির দোয়া আরবী
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ ضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউযু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউযু বিকা মিন দ্বালা’য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)
- আরও পড়ুন: বাবা মার জন্য সন্তানের দোয়া এবং করণীয় ১২ টি পরামর্শ
- আরও পড়ুন: মনের আশা পূরণের দোয়া
- আরও পড়ুন: টয়লেটে প্রবেশের আগে ও পরের দোয়া
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে আপনার আশ্রয় চাই, অপারগতা ও অলসতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই আর ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকেও আপনার আশ্রয় চাই।
ইসলাম বলে- একমাত্র আল্লাহই আমাদের সকল দুশ্চিন্তা, হতাশা ও কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে পারেন। তিনিই হচ্ছেন সব নিরাময়ের উৎস। এ পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে তার সবটাই আল্লাহর ইশারায় ঘটে।
সুতরাং সর্বাবস্থায় তাঁর সাহায্য কামনা করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। তবে দুশ্চিন্তাপীড়িত হলে প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসার আশ্রয় নিতে হবে।
দুশ্চিন্তা কিংবা হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার আরেকটি কার্যকর পন্থা হলো কোরআন পাঠ করা। তবে এক্ষেত্রে অর্থসহ কোরআন পাঠে অধিক ফল পাওয়া যায়; কেননা পবিত্র কোরআনে দুশ্চিন্তা ও হতাশা থেকে বিরত থাকতেই শুধু বলা হয়নি; বরং এসব থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সেই পথও বলে দেওয়া হয়েছে।
দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে দোয়া পাঠের উপকারিতা.
ক. দুশ্চিন্তার কারণগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে;
খ. আল্লাহর রহমত লাভের একমাত্র উপায় হলো দোয়া করা;
গ. হাদিসে এসেছে- দোয়ার মাধ্যমে কখনো কখনো নিয়তি বদলে যায়;
ঘ. দোয়ার মাধ্যমে সকল অনিশ্চয়তা দূর হয়ে যায় ও নির্দিষ্ট কাজে সফলতা আসে;
ঙ. দোয়ার মাধ্যমে হৃদয়ের অহমিকা ও পঙ্কিলতা দূর হয় এবং সহজেই বিনয়ী হওয়া যায়।
মনে রাখতে হবে, শারীরিক সুস্থতার মতো করে মানসিক সুস্থতাও অত্যন্ত জরুরি। আর মানসিকতাকে সুস্থ রাখতে মনের যত্ন নিতে হবে।
তাই সর্বাবস্থায় নবীজী সা.-এর শেখানো মাসনুন দোয়াসমূহ পাঠ করার মাধ্যমে আমাদের আল্লাহতায়ালার কাছে সাহায্য কামনা করতে হবে।
- আরও পড়ুন: ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া আরবীসহ বাংলা
- আরও পড়ুন:রিজিক কি! রিজিক বৃদ্ধির দোয়া
- আরও পড়ুন: কদরের রাতের দোয়া ও সালাত বাংলা সহ আরবী
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।