HSC | তাহারেই পড়ে মনে | সুফিয়া কামাল | PDF Download : বাংলা ১ম পত্রের তাহারেই পড়ে মনে কবিতাটি হতে যেকোনো ধরনের প্রশ্নোত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা ১ম পত্রের তাহারেই পড়ে মনেকবিতাটি হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
কবি পরিচিতি
নাম সুফিয়া কামাল
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ২০ জুন, ১৯১১।
জন্মস্থান : শায়েস্তাবাদ, বরিশাল।
পৈতৃক নিবাস : কুমিল্লা।
পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : সৈয়দ আবদুল বারী।
মাতার নাম : নওয়াবজাদী সৈয়দা সাবেরা খাতুন।
শিক্ষাজীবন অনানুষ্ঠানিক ও স্বশিক্ষায় শিক্ষিত।
কর্মজীবন ও সংসার জীবন
কলকাতার একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, পরবর্তীতে সাহিত্য সাধনা ও নারী আন্দোলনে ব্রতী হন। ১৯২৩ সালে মামাতো ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনকে বিয়ে, ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে স্বামীর অকাল মৃত্যু এবং ১৯৩৯ সালে কামাল উদ্দিন আহমদকে বিয়ে করে ‘সুফিয়া কামাল’ নাম গ্রহণ।
সাহিত্য সাধনা কাহিনীকাব্য : সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, উদাত্ত পৃথিবী, মন ও জীবন, প্রশস্তি ও প্রার্থনা, মৃত্তিকার ঘ্রাণ ইত্যাদি।
গল্প : কেয়ার কাঁটা।
ভ্রমণ কাহিনী : সোভিয়েতের দিনগুলো।
স্মৃতিকথা : একাত্তরের ডায়েরী।
শিশুতোষ গ্রন্থ : ইতল বিতল, নওল কিশোরের দরবারে।
পুরস্কার ও সম্মাননা সুফিয়া কামাল পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ‘তখমা-ই ইমতিয়াজ’ নামক জাতীয় পুরস্কার, বাংলা একাডেমী পুরস্কার, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণপদক, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার, ডড়সবহ’ং ঋবফবৎধঃরড়হ ভড়ৎ ডড়ৎষফ চবধপব ঈৎবংঃ, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের খবহরহ ঈবহঃবহধৎু ঔঁনরষব গবফধষ, ঈুবপযড়ংষড়াধশরধ গবফধষ সহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পান।
বিশেষ কৃতিত্ব সমাজসেবা ও নারীকল্যাণমূলক কাজে অনন্য অবদান এবং ‘জননী সাহসিকা’ খ্যাতি লাভ।
জীবনাবসান ২০ নভেম্বর, ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দ।
পাঠ-পরিচিতি
সুফিয়া কামাল (১৯১১-১৯৯৯) বাংলাদেশের বিশিষ্ট মহিলা কবি। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ তাঁর এক অনবদ্য ও অনন্য সৃষ্টি। অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত এ কবিতাটি ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ‘মাসিক মোহাম্মদী’ পত্রিকায় নবম বর্ষ ষষ্ঠ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এ কবিতায় কবির ব্যক্তিজীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। শীতের অবসানে প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন ঘটেছে। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণ, বসন্ত মানেই নতুনের জাগরণ আর নতুন সৃষ্টিসম্ভার।
তৃণ-গুল্ম ও পত্রপলবে মুকুলের মনোহর সৌরভে দক্ষিণা-স্নিগ্ধ সমীরণ ভরে উঠেছে। মৌমাছির গুঞ্জন, মাধবী ফুলের কুঁড়ির নাচন আর বনে বনে পাখ-পাখালির কলকাকলি মনকে নতুন আনন্দ শিহরণে উদ্বেলিত করে তোলে। এমন স্নিগ্ধ মধুর ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশেও কবিকণ্ঠ আজ নীরব ও মন দুঃখভারাক্রান্ত। বসন্তকে বরণ করে নেয়ার কোনো উৎসাহ-ই কবির নেই।
বসন্তের প্রতি তিনি পুরোপুরি উদাসীন। প্রকৃতির মন ভোলানো রূপকে সযতেœ পাশ কাটিয়ে কবি নীরবতা পালন করছেন। বসন্তের প্রতি কবির এমন ঔদাসীন্য দেখে তাঁর ভক্তরা মর্মাহত ও ব্যথাতুর হয়ে পড়েছেন।
তাঁর গুণমুগ্ধ ভক্ত কবিকণ্ঠে বসন্ত-বন্দনা শুনতে উৎসুক। তাই বসন্ত-সংগীত রচনার জন্যে তারা কবিকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানান। উত্তরে কবি শুধু এটুকু বলেন যে, বসন্ত কবির গানের অপেক্ষায় বসে থাকে নি। সে ফাগুনকে ভুলে নি। তাই ঋতু পরিক্রমায় ফাগুনের রেশ বুকের গন্ধ দিয়ে বসন্তকে অর্ঘ্য নিবেদন করেছে।
বসন্ত নিজের চিরন্তন ঐশ্বর্য দিয়ে প্রকৃতিকে সুশোভিত করেছে। এতদসত্তে¡ও বসন্তের প্রতি কবির নির্লিপ্ততা ও ঔদাসীন্য বসন্তকে হয়তোবা ব্যথিত করে তুলতে পারে। কিন্তু কবি বসন্তকে অভ্যর্থনা জানাতে অক্ষম। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন পথে মাঘ মাস তার সমুদয় রিক্ততা ও হাহাকার নিয়ে বিদায় নিয়েছে।
শীতের বিদায়ের করুণ স্মৃতিতে কবির হৃদয় আজ বেদনায় ভারাক্রান্ত। তিনি শীতের সেই বিদায় ব্যথা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। সেই বেদনাঘন স্মৃতিচারণে তিনি ব্যাপৃত। তাই বসন্তের সমারোহকে বরণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
শীতের রিক্ততার মাঝেই কবি নিজ জীবনের অনন্ত শূন্যতা ও মর্মপীড়ার সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন। তাই বসন্তের সামগ্রিক আয়োজনকে ব্যর্থ করে দিয়ে তাঁর হৃদয়ে শীতের রিক্ততা বারবার আবিভর্‚ত হচ্ছে।
উৎস পরিচিতি
সুফিয়া কামালের ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ‘মাসিক মোহাম্মদী’ পত্রিকায় [নবম বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা, ১৩৪২] প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এটি ‘সাঁঝের মায়া’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।
রচনা পরিচিতি
‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় ভাগ্যাহত কবি বসন্তের আগমনলগ্নে দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে অতীত হয়ে যাওয়া শীতের স্মৃতিচারণ করেছেন। মানুষের মন সাধারণত প্রগতিশীল। অর্থাৎ সামনের দিকে ধাবিত হয়। অতীতকে কেউ স্মরণ করতে চায় না।
কিন্তু কবির বেলায় তা ব্যতিক্রম। অনুভ‚তিশীল কবিহৃদয় অতীতের রিক্ততাকে ভুলতে পারছেন না। তাই বসন্তের আবির্ভাবেও কবি হারিয়ে যাওয়া শীতের স্মৃতি হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না। বারবার অতীত শীতের কথাই তাঁর মনে পড়ছে।
বস্তুত কবিমানসের আবেগাপ্লুত অবস্থার কাছে বসন্তের সকল আয়োজনের ডালি পরাজিত হয়েছে বলেই আলোচ্য কবিতায় কবিরমনের অবস্থাই প্রধানরূপে প্রতিভাত।
বস্তুসংক্ষেপ
বেগম সুফিয়া কামালের অনেক কবিতাতেই তাঁর স্বজন হারানোর বেদনা প্রকাশ পেয়েছে। আলোচ্য ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটিও এর ব্যতিক্রম নয়। তাঁর সাহিত্য সাধনার প্রধান সহায়ক ও উৎসাহদাতা স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে কবির জীবনে প্রচণ্ড শূন্যতা ও দুঃসহ বিষণœতা নেমে আসে।
কবি ব্যক্তিজীবনের সবচেয়ে প্রিয়জনকে কোনোমতেই ভুলতে পারছেন না। বারবার শুধু তাঁর কথাই মনে পড়ছে। তাই কবিতার অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের ভিত্তিতে বিচার করলে কবিতাটির ‘তাহারেই পড়ে মনে’ নামকরণ অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও সার্থক হয়েছে।
এ কবিতায় কবির ব্যক্তিজীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। তাঁর সাহিত্য সাধনার প্রধান সহায়ক ও উৎসাহদাতা স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে কবির জীবনে শূন্যতা নেমে আসে। তাই স্বামীর কথাই কবির মনে পড়ে বারবার। সুতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায়, ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার নামকরণ যথার্থ ও সার্থক হয়েছে।
নামকরণ
সাহিত্যের নামকরণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংগত কারণেই যেকোনো রচনার নামকরণ অত্যাবশ্যক। নামকরণ ব্যতিরেকে কোনো রচনাই পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। অর্থপূর্ণ একটি শিরোনাম রচনার বিষয়বস্তুকে পাঠকের কাছে সুস্পষ্ট করে তুলতে পারে।
সাহিত্যের নামকরণ একটি আর্ট বা বিশেষ কলা। পাশ্চাত্য মনীষী ঈধাবহফরং বলেন “অ নবধঁঃরভঁষ হধসব রং সড়ৎব াধষঁধনষব ঃযধহ ধ ষড়ঃ ড়ভ বিধষঃয.” অর্থাৎ, একটি সুন্দর নাম একগাদা সম্পদের চেয়েও উত্তম। নামকরণের ক্ষেত্রে লেখককে কতকগুলো দিকের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হয়।
কখনও বিষয়বস্তুর অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের ওপর নির্ভরশীল নাম নির্বাচন করা হয়। কখনও রচনার মূলবক্তব্যের রূপক অর্থে কিংবা স্থান, কাল বা পাত্রভেদে নামকরণ করা হয়ে থাকে।
তবে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটির নামকরণ করা হয়েছে অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের ভিত্তিতে।
HSC | ঐকতান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | PDF Download
HSC | ঐকতান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | বহু নির্বাচনি প্রশ্নসমুহ | PDF
HSC | ঐকতান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর | PDF
HSC | ঐকতান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১-৫ | PDF
HSC | ঐকতান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ৬-১০ | PDF
বানান সতর্কতা
অধীর, আগমনী, উত্তরী, কুহেলি, গীতি, তরী, তীব্র, ধীরে ধীরে নীরব, পুষ্পারতি, মাধবী, সন্ন্যাসী, সমীর।
শব্দার্থ ও টীকা
হে কবি : কবিভক্ত এখানে কবিকে সম্বোধন করেছেন।
নীরব কেন : উদাসীন হয়ে আছেন কেন? কেন কাব্য ও গান রচনায় সক্রিয় হচ্ছেন না।
ফাগুন যে এসেছে ধরায় : পৃথিবীতে ফাল্গুন অর্থাৎ বসন্তের আবির্ভাব ঘটেছে।
বরিয়া : বরণ করে।
লবে : নেবে।
তব বন্দনায় : তোমার রচিত বন্দনা-গানের সাহায্যে। অর্থাৎ বন্দনা:গান রচনা করে বসন্তকে কি তুমি বরণ করে নেবে না?
দক্ষিণ দুয়ার গেছে খুলি? : কবির জিজ্ঞাসাবসন্তের দখিনা বাতাস বইতে শুরু করেছে কি-না। উদাসীন কবি যে তা লক্ষ্য করেন নি তার এই জিজ্ঞাসা থেকে তা স্পষ্ট হয়।
সমীর : বাতাস।
বাতাবি লেবুর ফুল…
অধীর আকুল : বসন্তের আগমনে বাতাবি লেবুর ফুল ও আমের মুকুলের গন্ধে দখিনা বাতাস দিগি¦দিক সুগন্ধে ভরে তোলে। কিন্তু উন্মনা কবি এসব কিছুই লক্ষ্য করেন নি। কবির জিজ্ঞাসা তাঁর উদাসীনতাকেই স্পষ্ট করে।
এখনো দেখনি তুমি? : কবিভক্তের এ কথায় আমরা নিশ্চিত হই প্রকৃতিতে বসন্তের সব লক্ষণ মূর্ত হয়ে উঠেছে। অথচ কবি তা লক্ষ্য করছেন না।
কোথা তব নব পুষ্পসাজ : বসন্ত এসেছে অথচ কবি নতুন ফুলে ঘর সাজান নি। নিজেও ফুলের অলংকারে সাজেন নি।
অলখ : অলক্ষ, দৃষ্টি অগোচরে।
পাথার : সমুদ্র।
রচিয়া : রচনা করে।
লহ : নাও।
বরিয়া : বরণ করে।
বসন্তেরে আনিতে…
ফাগুন স্মরিয়া : কবি বন্দনা-গান রচনা করে বসন্তকে বর্ণনা করলেও বসন্ত অপেক্ষা করে নি। ফাল্গুন আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিতে বসন্ত এসেছে।
করিলে বৃথাই : ব্যর্থ করলে। অর্থাৎ কবি-ভক্তের অনুযোগ-বসন্তকে কবি বরণ না করায় বসন্তের আবেদন গুরুত্ব হারিয়েছে।
পুষ্পারতি : ফুলের বন্দনা বা নিবেদন।
পুষ্পারতি লভে নি কি
ঋতুর রাজন? : ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ ও বন্দনা করার জন্য গাছে গাছে ফুল ফোটে নি? অর্থাৎ বসন্তকে সাদর অভ্যর্থনা জানানোর জন্যেই যেন ফুল ফোটে।
মাধবী : বাসন্তী লতা বা তার ফুল।
অর্ঘ্য বিরচন : অঞ্জলি বা উপহার রচনা। প্রকৃতি বিচিত্র সাজে সজ্জিত হয়ে ফুল ও তার সৌরভ উপহার দিয়ে বসন্তকে বরণ করে।
উপেক্ষায় ঋতুরাজে কেন
কবি দাও তুমি ব্যথা : কবিভক্ত বুঝতে পারছেন না, কবি যথারীতি সানন্দে বসন্ত বন্দনা না করে তার দিকে মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন কেন।
কুহেলি : কুয়াশা।
উত্তরী : চাদর,উত্তরীয়।
কুহেলি উত্তরী তলে
মাঘের সন্ন্যাসী : কবি শীতকে মাঘের সন্ন্যাসীরূপে কল্পনা করেছেন। বসন্ত আসার আগে সর্বত্যাগী-সর্বরিক্ত সন্ন্যাসীর মতো মাঘের শীত যেন কুয়াশার চাদর গায়ে মিলিয়ে গেছে।
পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে : শীত প্রকৃতিতে দেয় রিক্ততার রূপ। গাছের পাতা যায় ঝরে। গাছ হয় ফুলহীন। শীতের এ রূপকে বসন্তের বিপরীতে স্থাপন করা হয়েছে। প্রকৃতি বসন্তের আগমনে ফুলের সাজে সাজলেও কবির মন জুড়ে আছে শীতের রিক্ততার ছবি। শীত যেন সর্বরিক্ত সন্ন্যাসীর মতো কুয়াশার চাদর গায়ে পত্রপুষ্পহীন দিগন্তের পথে চলে গেছে।
তাহারেই পড়ে মনে : প্রকৃতিতে বসন্ত এলেও কবির মন জুড়ে আছে শীতের রিক্ত ও বিষণœ ছবি। কবির মন দুঃখ ভারাক্রান্ত। তার কণ্ঠ নীরব। শীতের করুণ বিদায়কে তিনি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। তাই বসন্ত তার মনে কোনো সাড়া জাগাতে পারছে না। বসন্তের সৌন্দর্য তার কাছে অর্থহীন, মনে কোনো আবেদন জানাতে পারছে না। প্রসঙ্গত উলেখ্য, তাঁর প্রথম স্বামী ও কাব্যসাধনার প্রেরণা-পুরুষের আকস্মিক মৃত্যুতে কবির অন্তরে যে বিষণœতা জাগে তারই সুস্পষ্ট প্রভাব ও ইঙ্গিত এ কবিতায় ফুটে উঠেছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।